জাতীয় পরিচয় পত্র হারিয়ে গেলে, ভুল থাকলে অথবা নতুন
পরিচয়পত্র করতে গেলে কি করবেন?
ঠিকানা সংশোধনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকা বর্তমান ঠিকানা ও ভোটার
এলাকা বদল করার সুযোগ আছে। তবে সারা বছর সেই সুযোগ
মেলে না। এটা শুধু ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সময়
করা যাবে। বর্তমানে হালনাগাদ করার কাজটি করা হয় শুধু
জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে। সারা বছর ভোটার
এলাকা বদলের সুযোগ থাকে না কেন, জানতে চাইলে প্রকল্পের
কমিউনিকেশন অফিসার দেবাশীষ কুণ্ডু বলেন, ‘আমাদের
দেশে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা, সিটি করপোরেশন
ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভিন্ন ভিন্ন সময়ে হয়। দেখা যায়,
একই বছর একাধিক নির্বাচন হয়। একই বছরে কেউ যাতে ইউনিয়ন
পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট
দিতে না পারেন, তাই সারা বছর ভোটার এলাকা বদলের সুযোগ
দেওয়া হয় না।’ হালনাগাদ করার সময় ভোটার এলাকা বদল
করতে হলে নতুন ঠিকানার উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিস
থেকে দেওয়া ফরম-১৩ অথবা ফরম-১৪ পূরণ
করে উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।
তবে ঠিকানা পরিবর্তন না করে সংশোধন (বানান, বাড়ির
নম্বর, সড়ক নম্বর ভুল থাকলে) করার সুযোগ ঢাকার প্রকল্প
কার্যালয়ে রয়েছে।এ ছাড়া স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন বা এর
কোনো তথ্য সংশোধনেরও সুযোগ আছে। ঠিকানার
ছোটখাটো ভুল সংশোধন বা স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তনের
সুযোগ সারা বছরই থাকে। এ জন্য আবেদনপত্রের সঙ্গে প্রকল্প
কার্যালয়ের নির্দিষ্ট কাউন্টারে জমা দিতে হবে পরিবারের
কোনো সদস্যের পরিচয়পত্রের কপি, গ্যাস, বিদ্যুৎ,টেলিফোন
বিলের যেকোনো একটির কপি বা কর দেওয়ার কপি। আরও
জমা দিতে হবে চেয়ারম্যান বা ওয়ার্ড কাউন্সিলরের
প্রত্যয়নপত্র। স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ওই
ঠিকানায় নিজের নামে বা পিতা বা মাতার
নামে থাকা জমি বা ফ্ল্যাটের দলিলের সত্যায়িত ফটোকপিও
জমা দিতে হবে।
রক্তের গ্রুপ সংশোধনঃ
রক্তের গ্রুপ সংশোধন করতে হলে মেডিকেল প্রতিবেদন দাখিল
করতে হবে।
বিবিধ সংশোধনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্রে কোনো নামের আগে পদবি, উপাধি,
খেতাব ইত্যাদি সংযুক্ত করা যাবে না।
পিতা বা স্বামী বা মাতাকে মৃত উল্লেখ করতে চাইলে মৃত্যুর
সনদ দাখিল করতে হবে। জীবিত
পিতা বা স্বামী বা মাতাকে ভুলক্রমে মৃত হিসেবে উল্লেখ
করার কারণে পরিচয়পত্র সংশোধন করতে হলে সংশ্লিষ্ট
ব্যক্তির পরিচয়পত্রের কপি দাখিল করতে হবে।
হালনাগাদ কর্মসূচির পরিচয়পত্র সংশোধনঃ
২০০৯ সালে হালনাগাদ কর্মসূচির সময় যাদের নাম ভোটার
তালিকায় যুক্ত হয়েছে, তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে কোনো ভুল
থাকলে বা হারিয়ে গেলে তাদের ২০১০ সালের ডিসেম্বরের পর
প্রকল্প কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে হবে।
পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলেঃ
পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট থানায় ভোটার নম্বর
বা আইডি নম্বর উল্লেখ করে সাধারণ ডায়েরি (জিডি)
করতে হবে। এরপর জিডির মূল কপিসহ প্রকল্প কার্যালয়
থেকে নেওয়া ছকের আবেদনপত্র নির্দিষ্ট
কাউন্টারে জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র নিতে হবে।
প্রাপ্তি স্বীকারপত্রে উল্লেখ করা তারিখে ডুপ্লিকেট
পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়।