Showing posts with label কবিতা. Show all posts
Showing posts with label কবিতা. Show all posts

Friday, 30 December 2016

অর্থের অনুদ্রিলা

অর্থের আকাশে মেঘেরা উড়ে আয়,
পাখিরা গান করে সবুজের শ্যামলিমায়;
         ভ্রমরা মধু পানে-
                    ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়ায়।
        মৃদুমন্দ বাতাসে-
                   পুষ্পেরা সুবাস ছড়ায়।
চারপাশে ছেয়ে যায় মৌ মৌ গন্ধ,
       প্রকৃতিও খুঁজে তাই প্রণয়-ছন্দ।
রাখালিয়া বাজে বাঁশি-
                 বনের ঐ ধারেতে;
কলসি কাঁধে গাঁয়ের বধূ,
                তরুণীও যায় পানিতে।
ফুলে ফুলে আজ সুশোভিত,
             অনুদ্রিলার ছোট্ট কানন।
কাটাবিহীন সব কলি তুলতে,
              অর্থের নেইকো বারণ।
          তাই, আজ সে দিয়েছে
                      সাদা পাঞ্জাবি গায়;
অনুদ্রিলাও হেঁটে আসে
                  আলতা রাঙা পায়।
অপ্সরী নৃত্য করে-
              শুনে দেবালয়ের ঘণ্টে;
কোকিলের কুহুকুহু তখন-
              দুজনার কণ্ঠে।
                   সময়ের পরিক্রমায়
                       আজো যে একত্রিশ
           মাসের পালাক্রমে,
                 হয়নি যে উনিশ-বিশ।
এ যেন তারুণ্যতে- শুরু শৈশব,
       এ বুঝি বিরহ-প্রণয়-অনুভব,
দেখা করে দুজনা রেখে দিয়ে সব।
[উৎসর্গ- অর্থ + অনুদ্রিলা]

Monday, 5 September 2016

ধোঁয়াশা

সেলফোন হাতে বসে আছি একা-
দেখা হয়নি, তবু বেড়েছে মনের স্পন্দন,
দেখা হবে বলে বলে হয়নিকো দেখা,
হয়নি তো এ দু মনের সেতুবন্ধন।
হঠাত এক অজানা ঝরে-
একই ছাদের নিচে দুজনার-
চোখে চোখ পড়ে।
লজ্জায় কুচি কুচি আমি তুমি ভেতরে,
বেচারি চেয়ে আছে মান গেল, আহা রে!
হয়নি কথা ঐদিন আর তাকিয়ে তাকিয়ে,
দেখে নিলাম তাকে আবার চোখটা বাঁকিয়ে।
সেদিন ছিলাম দাঁড়িয়ে, ছাতা হাতে বৃষ্টিতে,
প্রতীক্ষার অবসান তার ডাকে দৃষ্টিতে।
সে থেকে দুজনার পথচলা একসাথে,
আলাপ চলে অবসর দিন কি রাতে।
দেখা হত মাঝে মাঝে নির্জন প্রান্তরে,
কথা হত চোখে মুখে নাড়া দিত অন্তরে।


--------------------- অসমাপ্ত।।।
শীঘ্রই আসছে বাকি টুকু।

অতঃপর কাব্যনারী

ক্যানবাসে নয়, তুই বাস্তবে সুদর্শনা
অন্বেষণের পর বুঝেছি-
তুই ই তোর উপমা।
তোর অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে,
নিমিষে উতলা হয়ে- যাই হারিয়ে।
বিধাতা তোকে গড়ল- হয়ে অকৃপণ,
প্রকৃতি তাই সেজেছে নিয়ে- তোর রূপ রং।
গোলাভরা সোনালী-ফসল-হাসি
জুড়ে আছে তোর মুখখানি,
তোকে দেখে তাই ঈর্ষা করে-
কল্পলোকের রাণী।
পুষ্পে-পুষ্পে সুশোভিত তোর স্নিগ্ধতা,
তোকে দেখে পূর্ণ হয় সহস্র কবিতা।

তুমি আমি ছিলাম যখন দূরে,
ভালবাসা এসে মনে উকি মারে,
অজানা ঠিকানায় দেই প্রেমের বিজ্ঞাপন,
বার্তা গিয়ে খোঁজ পায় তোমার- মনের স্টেশন।


--------------------- অসমাপ্ত।।।
শীঘ্রই আসছে বাকি টুকু।

তুমি আমি একাকার

তুমি আমার কবিতার ছন্দে,
কবিতার শুরুতে কিংবা অন্তে,
আমার প্রতিটি সংগীতে,
গানের কলিতে, হৃদয়ে ও তুমি।
আমার প্রতিটি প্রার্থনা বাক্যে,
অভিধানের শব্দ হয়ে কন্ঠে,
কাব্যের শিরোনামে কিংবা মধ্যে,
সাহিত্যের ভুবনেও-
শুধু যে তুমি।
তোমার মিষ্টতায় হই একাকার,
শিরায় উপশিরায় মিশেছ আমার।
তুমি ছাড়া জগত নির্বাক তাই,
মনের ভাব মিটাতে তোমায় আগে পাই;
হৃদয়ের ক্ষুতপিপাসা মিটে-
আমার আষ্টেপৃষ্ঠে।
সকল উপমার ঊর্ধ্বে রাখা,
তুমিই আমার মাতৃভাষা।।

Friday, 2 September 2016

বিদায়

ছোট্ট সোনা আর কাঁদবেনা,
আলতো করে হাত দিবেনা,
মিটমিটিয়ে চেয়ে হাসবে ও না;
কোলে বুঝলাম নাহি আসবে!
একা ঘরে কী করে থাকবে?
তাইতো তোকে দিলাম তাড়িয়ে
সাঙ্গ করে সব- সাদা শাড়ি পড়িয়ে;
খুঁজব তোকে সকাল-সন্ধ্যায়-
আকাশগঙ্গায় কিবা ক্লেশহীন তন্দ্রায়।
স্মৃতির পাতায় থাকবে তোর ছায়ামূর্তি-
স্বর্গোদ্যান মেতে থাক- করে ফূর্তি।

Wednesday, 31 August 2016

ঈশ্বর বন্দনা

ডাকি তোমায় প্রভু,হে দয়াময়,
কর মোর পাপমোচন, কর পূণ্যময়।
পাপী আমি অদম গোনাহগার,
এই দুনিয়া জগত সংসার-
সবই তো তোমার।
দুঃখ দিয়ে কেন মাওলা কর অসহায়?
সৃষ্টি যদি করলে প্রভু তোমারই মায়ায়!
মানব মনের গুপ্ত কথা তোমারই জ্ঞাত।
অগ্নিপরীক্ষায় ফেলে করনা পরিত্যক্ত।
হে বিধাতা, মনের কথা-
বলতে তোমায় চাই,
বিলাপ করি, ভাষা তবু-
খুঁজে নাহি পাই।
তোমার বুলি এ অন্তরে করে দিও ঠাই,
দিবস-রজনী যেন তোমারই গান গাই।

Sunday, 10 July 2016

বিশ্ব পরিবার (গীতিকাব্য )

একটা ভুবন আমাদের সবার,
প্রত্যয় মোদের বিশ্ব পরিবার গড়ার,
ছোট্টছোট্ট অভিপ্রায়, দৃঢ় মনোবল,
তারুণ্যের জয়গান গেয়ে-
কররে দেহমনে শক্তি সঞ্চার-
আয়রে তোরা এগিয়ে চল।।
ঐ কালো আঁধারে অমানিশা পেরিয়ে-
যাইরে আজ তেপান্তরের মাঠে চল।
বিশ্ব পরিবার গড়ব মোরা-
অগ্নিবীণায় তুই আওয়াজ তুল।।

Friday, 1 July 2016

অবসাদ


ওর চলে যাওয়া, তোমার অবহেলা

না বলা কিছু কথা-

নির্মমভাবে আঘাত করেছিল।

এ জন্যে তো প্রায় তিন মাস-

ঘর থেকে বেরুই নি।

রাতগুলো কেটে যেত বেলকুনিতে বসে।

ক্লাস! তা তো ভুলে গেছিলাম,

উপলব্ধি করতাম বাবার চুপিসারে অশ্রুবিসর্জন,

মায়ের চোখে যা অনেক আগে শুকিয়ে গেছে।

আজও একসাথে হাঁটি, মাস্তি করি,

ভেব না, ওর স্বার্থ তোমার দ্বারে।

যে হৃদয়টা বহু আগে মরে গেছে-

সে জানে, কিভাবে তোমায় বাঁচিয়ে রাখবে।

যা কিছু ভাব, তাঁবেদার-ভৃত্য

কী স্বার্থে আসতো দিবারাত্র নিত্য।

জেনে রেখো তবু;সাহায্যের দাবী নিয়ে-

আসবে না সে কবু।

তোমার পরিচয় যাকে -

করেছিল সর্বস্ব বিলীন,

মলিন করেও আপন ভূবন-

রেখেছে তোমায় রঙিন।



Tuesday, 7 June 2016

কর্মবন্দনা


কাজ করে মা সংসারে


সুখ আসবে যে পরিবারে,


কাজ করে বাবা রাতদিন


কি করে শোধ করব ঋণ?


কাজ করে মোর বড় ভাইয়ে


সবার মুখে দেখতে হাসি সবসময়ে,


কাজ করে মোর বড় বোন


অলস বসে থাকার নেইকো গুণ,


কাজ করে ঐ গাঁয়ের চাষা


ফলায় ফসল দিয়ে ভালবাসা,


কাজ করে জেলে নদীর বুকে


মাছে-ভাতে বাঙালী থাকবে সুখে,


কাজ করে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার


দ্বার যাদের উন্মুখ মানব সেবার,


কাজ করে দেশের তরে নিত্য শিক্ষক


জ্ঞানের আলো হাতে তারাই পথপ্রদর্শক,


বৈচিত্র্যময় কাজ ভাই জীবন রাঙাতে


খেলার ছলে কাজ করি ভুবন সাজাতে,


কাজেই সুখ, কাজেই সমৃদ্ধি, কাজই ভালবাসি


কাজ বিনা জীবন সুখী হয় নাকি?

Thursday, 2 June 2016

শুধু নারী বলে

শুধু নারী বলে বাস্তবতাকে

সহজে মেনে নেয়া তাদের জন্মগত স্বভাব।

শুধু পাড়ার সুন্দরী মেয়ে বলে

কত ছেলে বুড়ো যে তাকিয়ে থাকতো!

কী বিশ্রীভাবে ক্লাসে স্যার পিঠে হাত বুলাতো

ব্যঙ্গ করে বলতো,কেমন করে চলছে-

তোমার লেখাপড়া সোনামণি?

সেই সস্তা রসিকতা আজো সে ভুলেনি।

শত হায়েনার ভিড়ে যখন সে বাসে চড়ে

ভুঁড়ি নিয়ে কেউ পাশে দাঁড়ায়,কেউবা গা ঘেঁষে।

ভাই-বাবা বটবৃক্ষ মাথার উপর নাই

টিউশনিটা করে করে পড়ালেখা চালায়।

কখনো ছাত্রের মা বাড়ি ফিরতে দেরি হলে

উদম গায়ে থাকা তার বাবার সঙ্গে ভয়ে গল্প চলে।

বাঘের ন্যায় হিংস্র চাহনিতে তার গলা শুকিয়ে আসে।

যে প্রেমিকের হাত ধরে ঘর থেকে সে বেরিয়ে এসেছিল

পুরাতন হবার পর শত উপেক্ষা করে সেই তাকে ফেলে গেছে।

সমাজের প্রতিটা স্তর থেকে তাকে আঘাত করেছে তীরন্দাজ

মানিয়ে নেয়া,হার না মানা মেয়েটা উচ্চে তুলেছে স্বীয় তাজ-

উচ্চশিক্ষার অজানা লক্ষে সে দিয়েছে বিদেশ পাড়ি আজ।

Sunday, 29 May 2016

বিষণ্ণ এক ঈদ

চেয়ে আছি ছোট্ট দুটি খোকা-খুকির দিকে,

লাল-জামা আর চুড়ি না পেয়ে ঈদটা হবে ফিকে,

ফিরনি-পায়েস ঘরে-ঘরে,সন্দেশের ঘ্রাণ নাকে,

বৃষ্টি পড়ে ওরা তাকায়- চালের ফোটার ফাকে,

কেউ ডাকে বুয়া আমায়,কেউবা খালা,

সারাদিন খেটে যাই- বোঝেনা কেউ মনের জ্বালা,

চলে যায় বাড়ি সবে- অফিস,কলেজ,ভার্সিটি পেয়ে ছুটি,

ভাবে না একবার ও কেউ- জুটবে কি বুয়ার রুটি?

বছর শেষে ঈদ আসে নিয়ে আনন্দের বন্যা,

একরাশ ব্যথা চাপা দিয়ে চলছি গরিবের কন্যা।

Saturday, 21 May 2016

ছিলট জননী (সনেট)


বঙ্গ মা’র আল্লাদর ছিলট জননী,
পাহাড়ি ফুরি, আখালুকির জলপরী।
খাল-বিল আওরো,বডারো ছকিধারী;
ঘুমো তোমার কোরো এমেজি ওসমানী,
নিরাই হুতন শাজালালইয়েমেনী;
ছিলটি আর খাসিয়া আছে মনিপুরী।
মিঠা তোর মাথ, মাগো, হরফ নাগরী!
কমলা,হাতখরা, চা’র নু রাজধানী।
.
ডেউ ডেউ সুরমা তোমার অলংকার,
বাড়িত গুয়া, পাহাড়ো পানোর আবাদ।
আদি-ছাটির দেশো মরি করি কান্দন,
হাছন করিমর সুরো বন্দনা তার।
স্বাধীন-বেশে বাংলাদেশ, আশীর্বাদ,
সালাম, জানাই- আজারো অভিনন্দন।
[[নাগরি বর্ণে লেখা এখটা সনেট ]]

<== Bangla Version ==>
ছিলট জননী
বঙ্গ মায়ের সুকন্যা ছিলট জননী,
পাহাড়ি-কন্যা, হাকালুকির জলপরী।
খাল-বিল হাওরে, সীমান্তে প্রহরী।
ঘুমিয়ে তোর কোলে এমেজি ওসমানী;
শান্তি শয়নে শাহজালাল ইয়েমেনী;
ছিলটি কিবা খাসিয়া আছে মনিপুরী।
মুগ্ধ তোর ভাষা, মাগো, বর্ণ নাগরী!
কমলা,সাতখরা, চায়ের রাজধানী।

স্রোতস্বিনী সুরমা তোর অলংকার,
বাড়িতে সুপারি, পাহাড়ে পানের আবাদ;
শীতল-পাঠির দেশে মরি এ ক্রন্দন,
হাছন করিমের সুরে বন্দনা তার।
স্বাধীন-বেশে বাংলাদেশ, আশীর্বাদ,
সালাম, জানাই- সহস্র অভিনন্দন।

Friday, 6 May 2016

মাতৃভাষা


 জন্মের পরেই পেয়েছি তোমারে,
       শুনিয়া মায়ে র মুখের ধ্বনিরে।
তুমি আমার মায়ের ভাষা,
           তাই তুমি ছাড়া মিটে কি আশা।
জেনেছি তোমারও আছে লেখার বর্ণ,
                   যাহার নাম 'নাগরি' বর্ণ।
শুনে তোমারই নাগরি বর্ণ,
                    জোড়ায় আমার কর্ণ।
তুমি ত দিযেছ মা মধুর সেই ভাষা,
            তাই ছিলটি মোর মাতৃভাষা।
তোমারে করিতে স্বাধীন,
   তোমার দামাল ছেলেরা হবে প্রাণহীন।
তাই আজ আমরাও ঐক্যবদ্ধ,
            তোমরা সকলে হও বোধগম্য।
দাবী মোদের নাগরির স্বীকৃতি,
 আনব ছিনিয়ে এটা হবে মোদের কীর্তি।
যার ফলে পাব মোরা স্বাধীন নাগরি,
    তাই আজ এসো সবাই প্রতিজ্ঞা করি।
যদি যায় এই প্রাণ,
           হবো না ক মোরা ম্লান।
রব চির দৃঢ় প্রতিজ্ঞ,
   যাতে নাগরিতে থাকেনা কেউ অজ্ঞ।।
  ©আর জে হৃদয়

বর্ণ আমার "নাগরি"

নাগরি আমার বর্ণমালা,
নাগরি আমার গর্ব ,
নাগরির জন্য লড়ছি মোরা,
আজীবন লড়ে যাবো। 

তাই আজ করছি শপথ,
কখনো দেবোনা হারাতে,
নাগরি তোমাকে,
তুমি আমাদের বর্ণ,
হ্যা তুমি আমাদের গর্ব। 

ছিলটি আমার মায়ের ভাষা,
নাগরি তাহারি বর্ণ,
কে বলেছে মাগো তোমারি,
ভাষা অপূর্ণ। 

তোমার ভাষায় বলছি কথা মা,
লেখার জন্য দিয়েছ তুমি,
নাগরি বর্ণ, 
কে বলেছে মাগো তোমার,
ভাষা অপূর্ণ। 

ছিলটি আমার মায়ের ভাষা,
নাগরি তাহারি বর্ণ,
বর্ণ ভাষা দিয়ে তুমি মা,
করেছ "সম্পূর্ণ "। 

তাই আজ ,গর্বিত আমি,

গর্বিত মা,

গর্বিত ছিলটি বলে,

গর্বিত আমি,
গর্বিত মা,
আমার ভাষার, 
একটি বর্ণ আছে বলে।

© এ.এস পার্থ 'র- ব্লগ
৬/৫/১৬ ইং
(উৎসর্গ - সকল নাগরি ভাষাসৈনিকদের প্রতি)

নাগরি বর্ণের গণদাবী



মাগো, তোমার মাত-অর মর্যাদা
অখন ও পাইলাম না।
মা, অখনো মানুষর দুয়ারে দুয়ারে আঠি,
আতো থাকে বর্ণমালার পোস্টার,
জানিনা, আর কত দিন আঠা লাগবো?
তালাদেওয়া রুমো বইয়া করে গবেষণা,
নেয় পিএইছডি আর ডক্টরেট ডিগ্রী,
তোমার মাত আর বর্ণমালার
জাগা অয় আলমারিত ।
বৈশাগি হাওয়াত খাড়া আছলাম –
ইস্কুলর অউ ধারিত।
আখতা দেখি খরেদি ছাইয়া-
দশ, পনড্ড বা আরো বেশি
যেরা দলা অইছে অখনো,
মাত-অর লাগি, মা’র মাত-অর লাগি,
ছিলটি মাত-অর লাগি, তারা জান দিতে রাজী।
একটা অঞ্চলর মহান সংস্কৃতির মর্যাদার লাগি
মরমী কবি হাছন রাজার ঐতিহ্য রাখার লাগি,
আধ্যাতিক কবি শিতালং শাহ,
জ্ঞানের সাগর দূরবীন শাহ আর রাধা রমণ,
বাউল সম্রাট আবদুল করিমর
“ গাঁয়ের নওজোয়ান, হিন্দু-মুসলমান
মিলিয়া বাউলা গান আর মুর্শিদী গাইতাম”
গান অর লাগি,
মুন্সী সাদেক আলীর “হালতুন্নবী”
পুঁথি সাহিত্যর লাগি,
তারা আইজ পাড়ায় পাড়ায় আওয়াজ তুলে।

বায়ান্নত নিছে তারা আমার ভাইওর জান,
বাংলার লগে ছিলটি তারার রক্তর দান।
অউ ভাষাতে মাতি আমি,
মা কইয়া ডাকি।
অউ ভাষার নাগরি বর্ণে লেখমু
অউ দাবি রাখি।

 
Bangla Transliteration




মাগো, তোমার ভাষার মর্যাদা
এখনো পাইনি ।
মা, এখনো মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরি,
হাতে থাকে বর্ণমালার পোস্টার,
জানিনা, আর কত দিন হাঁটতে হবে?
তালাবদ্ধ রুমে বসে করে গবেষণা,
নেয় পিএইছডি আর ডক্টরেট ডিগ্রী,
তোমার ভাষা ও বর্ণমালার
জায়গা হয় আলমারিতে ।
বৈশাখী হাওয়ায় দাঁড়িয়ে ছিলাম –
স্কুলের ঐ বারান্দায়।
হঠাৎ দেখি পিছনে তাকিয়ে-
দশ, পনেরো বা আরো বেশি
যারা একত্রিত হয়েছে এখানে,
ভাষার জন্য, মাতৃভাষার জন্য,
ছিলটি ভাষার জন্য, তারা প্রান দিতে রাজী।
একটা অঞ্চলের মহান সংস্কৃতির মর্যাদার জন্য,
মরমী কবি হাছন রাজার ঐতিহ্য রক্ষার জন্য,
আধ্যাতিক কবি শিতালং শাহ,
জ্ঞানের সাগর দূরবীন শাহ আর রাধা রমণ,
বাউল সম্রাট আবদুল করিমের
“ গাঁয়ের নওজোয়ান, হিন্দু-মুসলমান
মিলিয়া বাউলা গান আর মুর্শিদী গাইতাম”
গানের জন্য,
মুন্সী সাদেক আলীর “হালতুন্নবী”
পুঁথি সাহিত্যর জন্য,
তারা আজ পাড়ায় পাড়ায় আওয়াজ তুলে।

বাহান্নতে নিলো তারা আমার ভাইয়ের প্রান,
বাংলার সাথে ছিলটি তাদের রক্তের দান।
এই ভাষাতে কথা কই,
মা বলে ডাকি।
এই ভাষার নাগরি বর্ণে লেখব
এই দাবি রাখি।



Showing posts with label কবিতা. Show all posts
Showing posts with label কবিতা. Show all posts

Friday, 30 December 2016

অর্থের অনুদ্রিলা

অর্থের আকাশে মেঘেরা উড়ে আয়,
পাখিরা গান করে সবুজের শ্যামলিমায়;
         ভ্রমরা মধু পানে-
                    ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়ায়।
        মৃদুমন্দ বাতাসে-
                   পুষ্পেরা সুবাস ছড়ায়।
চারপাশে ছেয়ে যায় মৌ মৌ গন্ধ,
       প্রকৃতিও খুঁজে তাই প্রণয়-ছন্দ।
রাখালিয়া বাজে বাঁশি-
                 বনের ঐ ধারেতে;
কলসি কাঁধে গাঁয়ের বধূ,
                তরুণীও যায় পানিতে।
ফুলে ফুলে আজ সুশোভিত,
             অনুদ্রিলার ছোট্ট কানন।
কাটাবিহীন সব কলি তুলতে,
              অর্থের নেইকো বারণ।
          তাই, আজ সে দিয়েছে
                      সাদা পাঞ্জাবি গায়;
অনুদ্রিলাও হেঁটে আসে
                  আলতা রাঙা পায়।
অপ্সরী নৃত্য করে-
              শুনে দেবালয়ের ঘণ্টে;
কোকিলের কুহুকুহু তখন-
              দুজনার কণ্ঠে।
                   সময়ের পরিক্রমায়
                       আজো যে একত্রিশ
           মাসের পালাক্রমে,
                 হয়নি যে উনিশ-বিশ।
এ যেন তারুণ্যতে- শুরু শৈশব,
       এ বুঝি বিরহ-প্রণয়-অনুভব,
দেখা করে দুজনা রেখে দিয়ে সব।
[উৎসর্গ- অর্থ + অনুদ্রিলা]

Monday, 5 September 2016

ধোঁয়াশা

সেলফোন হাতে বসে আছি একা-
দেখা হয়নি, তবু বেড়েছে মনের স্পন্দন,
দেখা হবে বলে বলে হয়নিকো দেখা,
হয়নি তো এ দু মনের সেতুবন্ধন।
হঠাত এক অজানা ঝরে-
একই ছাদের নিচে দুজনার-
চোখে চোখ পড়ে।
লজ্জায় কুচি কুচি আমি তুমি ভেতরে,
বেচারি চেয়ে আছে মান গেল, আহা রে!
হয়নি কথা ঐদিন আর তাকিয়ে তাকিয়ে,
দেখে নিলাম তাকে আবার চোখটা বাঁকিয়ে।
সেদিন ছিলাম দাঁড়িয়ে, ছাতা হাতে বৃষ্টিতে,
প্রতীক্ষার অবসান তার ডাকে দৃষ্টিতে।
সে থেকে দুজনার পথচলা একসাথে,
আলাপ চলে অবসর দিন কি রাতে।
দেখা হত মাঝে মাঝে নির্জন প্রান্তরে,
কথা হত চোখে মুখে নাড়া দিত অন্তরে।


--------------------- অসমাপ্ত।।।
শীঘ্রই আসছে বাকি টুকু।

অতঃপর কাব্যনারী

ক্যানবাসে নয়, তুই বাস্তবে সুদর্শনা
অন্বেষণের পর বুঝেছি-
তুই ই তোর উপমা।
তোর অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে,
নিমিষে উতলা হয়ে- যাই হারিয়ে।
বিধাতা তোকে গড়ল- হয়ে অকৃপণ,
প্রকৃতি তাই সেজেছে নিয়ে- তোর রূপ রং।
গোলাভরা সোনালী-ফসল-হাসি
জুড়ে আছে তোর মুখখানি,
তোকে দেখে তাই ঈর্ষা করে-
কল্পলোকের রাণী।
পুষ্পে-পুষ্পে সুশোভিত তোর স্নিগ্ধতা,
তোকে দেখে পূর্ণ হয় সহস্র কবিতা।

তুমি আমি ছিলাম যখন দূরে,
ভালবাসা এসে মনে উকি মারে,
অজানা ঠিকানায় দেই প্রেমের বিজ্ঞাপন,
বার্তা গিয়ে খোঁজ পায় তোমার- মনের স্টেশন।


--------------------- অসমাপ্ত।।।
শীঘ্রই আসছে বাকি টুকু।

তুমি আমি একাকার

তুমি আমার কবিতার ছন্দে,
কবিতার শুরুতে কিংবা অন্তে,
আমার প্রতিটি সংগীতে,
গানের কলিতে, হৃদয়ে ও তুমি।
আমার প্রতিটি প্রার্থনা বাক্যে,
অভিধানের শব্দ হয়ে কন্ঠে,
কাব্যের শিরোনামে কিংবা মধ্যে,
সাহিত্যের ভুবনেও-
শুধু যে তুমি।
তোমার মিষ্টতায় হই একাকার,
শিরায় উপশিরায় মিশেছ আমার।
তুমি ছাড়া জগত নির্বাক তাই,
মনের ভাব মিটাতে তোমায় আগে পাই;
হৃদয়ের ক্ষুতপিপাসা মিটে-
আমার আষ্টেপৃষ্ঠে।
সকল উপমার ঊর্ধ্বে রাখা,
তুমিই আমার মাতৃভাষা।।

Friday, 2 September 2016

বিদায়

ছোট্ট সোনা আর কাঁদবেনা,
আলতো করে হাত দিবেনা,
মিটমিটিয়ে চেয়ে হাসবে ও না;
কোলে বুঝলাম নাহি আসবে!
একা ঘরে কী করে থাকবে?
তাইতো তোকে দিলাম তাড়িয়ে
সাঙ্গ করে সব- সাদা শাড়ি পড়িয়ে;
খুঁজব তোকে সকাল-সন্ধ্যায়-
আকাশগঙ্গায় কিবা ক্লেশহীন তন্দ্রায়।
স্মৃতির পাতায় থাকবে তোর ছায়ামূর্তি-
স্বর্গোদ্যান মেতে থাক- করে ফূর্তি।

Wednesday, 31 August 2016

ঈশ্বর বন্দনা

ডাকি তোমায় প্রভু,হে দয়াময়,
কর মোর পাপমোচন, কর পূণ্যময়।
পাপী আমি অদম গোনাহগার,
এই দুনিয়া জগত সংসার-
সবই তো তোমার।
দুঃখ দিয়ে কেন মাওলা কর অসহায়?
সৃষ্টি যদি করলে প্রভু তোমারই মায়ায়!
মানব মনের গুপ্ত কথা তোমারই জ্ঞাত।
অগ্নিপরীক্ষায় ফেলে করনা পরিত্যক্ত।
হে বিধাতা, মনের কথা-
বলতে তোমায় চাই,
বিলাপ করি, ভাষা তবু-
খুঁজে নাহি পাই।
তোমার বুলি এ অন্তরে করে দিও ঠাই,
দিবস-রজনী যেন তোমারই গান গাই।

Sunday, 10 July 2016

বিশ্ব পরিবার (গীতিকাব্য )

একটা ভুবন আমাদের সবার,
প্রত্যয় মোদের বিশ্ব পরিবার গড়ার,
ছোট্টছোট্ট অভিপ্রায়, দৃঢ় মনোবল,
তারুণ্যের জয়গান গেয়ে-
কররে দেহমনে শক্তি সঞ্চার-
আয়রে তোরা এগিয়ে চল।।
ঐ কালো আঁধারে অমানিশা পেরিয়ে-
যাইরে আজ তেপান্তরের মাঠে চল।
বিশ্ব পরিবার গড়ব মোরা-
অগ্নিবীণায় তুই আওয়াজ তুল।।

Friday, 1 July 2016

অবসাদ


ওর চলে যাওয়া, তোমার অবহেলা

না বলা কিছু কথা-

নির্মমভাবে আঘাত করেছিল।

এ জন্যে তো প্রায় তিন মাস-

ঘর থেকে বেরুই নি।

রাতগুলো কেটে যেত বেলকুনিতে বসে।

ক্লাস! তা তো ভুলে গেছিলাম,

উপলব্ধি করতাম বাবার চুপিসারে অশ্রুবিসর্জন,

মায়ের চোখে যা অনেক আগে শুকিয়ে গেছে।

আজও একসাথে হাঁটি, মাস্তি করি,

ভেব না, ওর স্বার্থ তোমার দ্বারে।

যে হৃদয়টা বহু আগে মরে গেছে-

সে জানে, কিভাবে তোমায় বাঁচিয়ে রাখবে।

যা কিছু ভাব, তাঁবেদার-ভৃত্য

কী স্বার্থে আসতো দিবারাত্র নিত্য।

জেনে রেখো তবু;সাহায্যের দাবী নিয়ে-

আসবে না সে কবু।

তোমার পরিচয় যাকে -

করেছিল সর্বস্ব বিলীন,

মলিন করেও আপন ভূবন-

রেখেছে তোমায় রঙিন।



Tuesday, 7 June 2016

কর্মবন্দনা


কাজ করে মা সংসারে


সুখ আসবে যে পরিবারে,


কাজ করে বাবা রাতদিন


কি করে শোধ করব ঋণ?


কাজ করে মোর বড় ভাইয়ে


সবার মুখে দেখতে হাসি সবসময়ে,


কাজ করে মোর বড় বোন


অলস বসে থাকার নেইকো গুণ,


কাজ করে ঐ গাঁয়ের চাষা


ফলায় ফসল দিয়ে ভালবাসা,


কাজ করে জেলে নদীর বুকে


মাছে-ভাতে বাঙালী থাকবে সুখে,


কাজ করে ডাক্তার-ইঞ্জিনিয়ার


দ্বার যাদের উন্মুখ মানব সেবার,


কাজ করে দেশের তরে নিত্য শিক্ষক


জ্ঞানের আলো হাতে তারাই পথপ্রদর্শক,


বৈচিত্র্যময় কাজ ভাই জীবন রাঙাতে


খেলার ছলে কাজ করি ভুবন সাজাতে,


কাজেই সুখ, কাজেই সমৃদ্ধি, কাজই ভালবাসি


কাজ বিনা জীবন সুখী হয় নাকি?

Thursday, 2 June 2016

শুধু নারী বলে

শুধু নারী বলে বাস্তবতাকে

সহজে মেনে নেয়া তাদের জন্মগত স্বভাব।

শুধু পাড়ার সুন্দরী মেয়ে বলে

কত ছেলে বুড়ো যে তাকিয়ে থাকতো!

কী বিশ্রীভাবে ক্লাসে স্যার পিঠে হাত বুলাতো

ব্যঙ্গ করে বলতো,কেমন করে চলছে-

তোমার লেখাপড়া সোনামণি?

সেই সস্তা রসিকতা আজো সে ভুলেনি।

শত হায়েনার ভিড়ে যখন সে বাসে চড়ে

ভুঁড়ি নিয়ে কেউ পাশে দাঁড়ায়,কেউবা গা ঘেঁষে।

ভাই-বাবা বটবৃক্ষ মাথার উপর নাই

টিউশনিটা করে করে পড়ালেখা চালায়।

কখনো ছাত্রের মা বাড়ি ফিরতে দেরি হলে

উদম গায়ে থাকা তার বাবার সঙ্গে ভয়ে গল্প চলে।

বাঘের ন্যায় হিংস্র চাহনিতে তার গলা শুকিয়ে আসে।

যে প্রেমিকের হাত ধরে ঘর থেকে সে বেরিয়ে এসেছিল

পুরাতন হবার পর শত উপেক্ষা করে সেই তাকে ফেলে গেছে।

সমাজের প্রতিটা স্তর থেকে তাকে আঘাত করেছে তীরন্দাজ

মানিয়ে নেয়া,হার না মানা মেয়েটা উচ্চে তুলেছে স্বীয় তাজ-

উচ্চশিক্ষার অজানা লক্ষে সে দিয়েছে বিদেশ পাড়ি আজ।

Sunday, 29 May 2016

বিষণ্ণ এক ঈদ

চেয়ে আছি ছোট্ট দুটি খোকা-খুকির দিকে,

লাল-জামা আর চুড়ি না পেয়ে ঈদটা হবে ফিকে,

ফিরনি-পায়েস ঘরে-ঘরে,সন্দেশের ঘ্রাণ নাকে,

বৃষ্টি পড়ে ওরা তাকায়- চালের ফোটার ফাকে,

কেউ ডাকে বুয়া আমায়,কেউবা খালা,

সারাদিন খেটে যাই- বোঝেনা কেউ মনের জ্বালা,

চলে যায় বাড়ি সবে- অফিস,কলেজ,ভার্সিটি পেয়ে ছুটি,

ভাবে না একবার ও কেউ- জুটবে কি বুয়ার রুটি?

বছর শেষে ঈদ আসে নিয়ে আনন্দের বন্যা,

একরাশ ব্যথা চাপা দিয়ে চলছি গরিবের কন্যা।

Saturday, 21 May 2016

ছিলট জননী (সনেট)


বঙ্গ মা’র আল্লাদর ছিলট জননী,
পাহাড়ি ফুরি, আখালুকির জলপরী।
খাল-বিল আওরো,বডারো ছকিধারী;
ঘুমো তোমার কোরো এমেজি ওসমানী,
নিরাই হুতন শাজালালইয়েমেনী;
ছিলটি আর খাসিয়া আছে মনিপুরী।
মিঠা তোর মাথ, মাগো, হরফ নাগরী!
কমলা,হাতখরা, চা’র নু রাজধানী।
.
ডেউ ডেউ সুরমা তোমার অলংকার,
বাড়িত গুয়া, পাহাড়ো পানোর আবাদ।
আদি-ছাটির দেশো মরি করি কান্দন,
হাছন করিমর সুরো বন্দনা তার।
স্বাধীন-বেশে বাংলাদেশ, আশীর্বাদ,
সালাম, জানাই- আজারো অভিনন্দন।
[[নাগরি বর্ণে লেখা এখটা সনেট ]]

<== Bangla Version ==>
ছিলট জননী
বঙ্গ মায়ের সুকন্যা ছিলট জননী,
পাহাড়ি-কন্যা, হাকালুকির জলপরী।
খাল-বিল হাওরে, সীমান্তে প্রহরী।
ঘুমিয়ে তোর কোলে এমেজি ওসমানী;
শান্তি শয়নে শাহজালাল ইয়েমেনী;
ছিলটি কিবা খাসিয়া আছে মনিপুরী।
মুগ্ধ তোর ভাষা, মাগো, বর্ণ নাগরী!
কমলা,সাতখরা, চায়ের রাজধানী।

স্রোতস্বিনী সুরমা তোর অলংকার,
বাড়িতে সুপারি, পাহাড়ে পানের আবাদ;
শীতল-পাঠির দেশে মরি এ ক্রন্দন,
হাছন করিমের সুরে বন্দনা তার।
স্বাধীন-বেশে বাংলাদেশ, আশীর্বাদ,
সালাম, জানাই- সহস্র অভিনন্দন।

Friday, 6 May 2016

মাতৃভাষা


 জন্মের পরেই পেয়েছি তোমারে,
       শুনিয়া মায়ে র মুখের ধ্বনিরে।
তুমি আমার মায়ের ভাষা,
           তাই তুমি ছাড়া মিটে কি আশা।
জেনেছি তোমারও আছে লেখার বর্ণ,
                   যাহার নাম 'নাগরি' বর্ণ।
শুনে তোমারই নাগরি বর্ণ,
                    জোড়ায় আমার কর্ণ।
তুমি ত দিযেছ মা মধুর সেই ভাষা,
            তাই ছিলটি মোর মাতৃভাষা।
তোমারে করিতে স্বাধীন,
   তোমার দামাল ছেলেরা হবে প্রাণহীন।
তাই আজ আমরাও ঐক্যবদ্ধ,
            তোমরা সকলে হও বোধগম্য।
দাবী মোদের নাগরির স্বীকৃতি,
 আনব ছিনিয়ে এটা হবে মোদের কীর্তি।
যার ফলে পাব মোরা স্বাধীন নাগরি,
    তাই আজ এসো সবাই প্রতিজ্ঞা করি।
যদি যায় এই প্রাণ,
           হবো না ক মোরা ম্লান।
রব চির দৃঢ় প্রতিজ্ঞ,
   যাতে নাগরিতে থাকেনা কেউ অজ্ঞ।।
  ©আর জে হৃদয়

বর্ণ আমার "নাগরি"

নাগরি আমার বর্ণমালা,
নাগরি আমার গর্ব ,
নাগরির জন্য লড়ছি মোরা,
আজীবন লড়ে যাবো। 

তাই আজ করছি শপথ,
কখনো দেবোনা হারাতে,
নাগরি তোমাকে,
তুমি আমাদের বর্ণ,
হ্যা তুমি আমাদের গর্ব। 

ছিলটি আমার মায়ের ভাষা,
নাগরি তাহারি বর্ণ,
কে বলেছে মাগো তোমারি,
ভাষা অপূর্ণ। 

তোমার ভাষায় বলছি কথা মা,
লেখার জন্য দিয়েছ তুমি,
নাগরি বর্ণ, 
কে বলেছে মাগো তোমার,
ভাষা অপূর্ণ। 

ছিলটি আমার মায়ের ভাষা,
নাগরি তাহারি বর্ণ,
বর্ণ ভাষা দিয়ে তুমি মা,
করেছ "সম্পূর্ণ "। 

তাই আজ ,গর্বিত আমি,

গর্বিত মা,

গর্বিত ছিলটি বলে,

গর্বিত আমি,
গর্বিত মা,
আমার ভাষার, 
একটি বর্ণ আছে বলে।

© এ.এস পার্থ 'র- ব্লগ
৬/৫/১৬ ইং
(উৎসর্গ - সকল নাগরি ভাষাসৈনিকদের প্রতি)

নাগরি বর্ণের গণদাবী



মাগো, তোমার মাত-অর মর্যাদা
অখন ও পাইলাম না।
মা, অখনো মানুষর দুয়ারে দুয়ারে আঠি,
আতো থাকে বর্ণমালার পোস্টার,
জানিনা, আর কত দিন আঠা লাগবো?
তালাদেওয়া রুমো বইয়া করে গবেষণা,
নেয় পিএইছডি আর ডক্টরেট ডিগ্রী,
তোমার মাত আর বর্ণমালার
জাগা অয় আলমারিত ।
বৈশাগি হাওয়াত খাড়া আছলাম –
ইস্কুলর অউ ধারিত।
আখতা দেখি খরেদি ছাইয়া-
দশ, পনড্ড বা আরো বেশি
যেরা দলা অইছে অখনো,
মাত-অর লাগি, মা’র মাত-অর লাগি,
ছিলটি মাত-অর লাগি, তারা জান দিতে রাজী।
একটা অঞ্চলর মহান সংস্কৃতির মর্যাদার লাগি
মরমী কবি হাছন রাজার ঐতিহ্য রাখার লাগি,
আধ্যাতিক কবি শিতালং শাহ,
জ্ঞানের সাগর দূরবীন শাহ আর রাধা রমণ,
বাউল সম্রাট আবদুল করিমর
“ গাঁয়ের নওজোয়ান, হিন্দু-মুসলমান
মিলিয়া বাউলা গান আর মুর্শিদী গাইতাম”
গান অর লাগি,
মুন্সী সাদেক আলীর “হালতুন্নবী”
পুঁথি সাহিত্যর লাগি,
তারা আইজ পাড়ায় পাড়ায় আওয়াজ তুলে।

বায়ান্নত নিছে তারা আমার ভাইওর জান,
বাংলার লগে ছিলটি তারার রক্তর দান।
অউ ভাষাতে মাতি আমি,
মা কইয়া ডাকি।
অউ ভাষার নাগরি বর্ণে লেখমু
অউ দাবি রাখি।

 
Bangla Transliteration




মাগো, তোমার ভাষার মর্যাদা
এখনো পাইনি ।
মা, এখনো মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরি,
হাতে থাকে বর্ণমালার পোস্টার,
জানিনা, আর কত দিন হাঁটতে হবে?
তালাবদ্ধ রুমে বসে করে গবেষণা,
নেয় পিএইছডি আর ডক্টরেট ডিগ্রী,
তোমার ভাষা ও বর্ণমালার
জায়গা হয় আলমারিতে ।
বৈশাখী হাওয়ায় দাঁড়িয়ে ছিলাম –
স্কুলের ঐ বারান্দায়।
হঠাৎ দেখি পিছনে তাকিয়ে-
দশ, পনেরো বা আরো বেশি
যারা একত্রিত হয়েছে এখানে,
ভাষার জন্য, মাতৃভাষার জন্য,
ছিলটি ভাষার জন্য, তারা প্রান দিতে রাজী।
একটা অঞ্চলের মহান সংস্কৃতির মর্যাদার জন্য,
মরমী কবি হাছন রাজার ঐতিহ্য রক্ষার জন্য,
আধ্যাতিক কবি শিতালং শাহ,
জ্ঞানের সাগর দূরবীন শাহ আর রাধা রমণ,
বাউল সম্রাট আবদুল করিমের
“ গাঁয়ের নওজোয়ান, হিন্দু-মুসলমান
মিলিয়া বাউলা গান আর মুর্শিদী গাইতাম”
গানের জন্য,
মুন্সী সাদেক আলীর “হালতুন্নবী”
পুঁথি সাহিত্যর জন্য,
তারা আজ পাড়ায় পাড়ায় আওয়াজ তুলে।

বাহান্নতে নিলো তারা আমার ভাইয়ের প্রান,
বাংলার সাথে ছিলটি তাদের রক্তের দান।
এই ভাষাতে কথা কই,
মা বলে ডাকি।
এই ভাষার নাগরি বর্ণে লেখব
এই দাবি রাখি।