নাগরি বর্ণের গণদাবী
মাগো, তোমার মাত-অর মর্যাদা
অখন ও পাইলাম না।
মা, অখনো মানুষর দুয়ারে দুয়ারে আঠি,
আতো থাকে বর্ণমালার পোস্টার,
জানিনা, আর কত দিন আঠা লাগবো?
তালাদেওয়া রুমো বইয়া করে গবেষণা,
নেয় পিএইছডি আর ডক্টরেট ডিগ্রী,
তোমার মাত আর বর্ণমালার
জাগা অয় আলমারিত ।
বৈশাগি হাওয়াত খাড়া আছলাম –
ইস্কুলর অউ ধারিত।
আখতা দেখি খরেদি ছাইয়া-
দশ, পনড্ড বা আরো বেশি
যেরা দলা অইছে অখনো,
মাত-অর লাগি, মা’র মাত-অর লাগি,
ছিলটি মাত-অর লাগি, তারা জান দিতে রাজী।
একটা অঞ্চলর মহান সংস্কৃতির মর্যাদার লাগি
মরমী কবি হাছন রাজার ঐতিহ্য রাখার লাগি,
আধ্যাতিক কবি শিতালং শাহ,
জ্ঞানের সাগর দূরবীন শাহ আর রাধা রমণ,
বাউল সম্রাট আবদুল করিমর
“ গাঁয়ের নওজোয়ান, হিন্দু-মুসলমান
মিলিয়া বাউলা গান আর মুর্শিদী গাইতাম”
গান অর লাগি,
মুন্সী সাদেক আলীর “হালতুন্নবী”
পুঁথি সাহিত্যর লাগি,
তারা আইজ পাড়ায় পাড়ায় আওয়াজ তুলে।
বায়ান্নত নিছে তারা আমার ভাইওর জান,
বাংলার লগে ছিলটি তারার রক্তর দান।
অউ ভাষাতে মাতি আমি,
মা কইয়া ডাকি।
অউ ভাষার নাগরি বর্ণে লেখমু
অউ দাবি রাখি।
Bangla Transliteration
মাগো, তোমার ভাষার মর্যাদা
এখনো পাইনি ।
মা, এখনো মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরি,
হাতে থাকে বর্ণমালার পোস্টার,
জানিনা, আর কত দিন হাঁটতে হবে?
তালাবদ্ধ রুমে বসে করে গবেষণা,
নেয় পিএইছডি আর ডক্টরেট ডিগ্রী,
তোমার ভাষা ও বর্ণমালার
জায়গা হয় আলমারিতে ।
বৈশাখী হাওয়ায় দাঁড়িয়ে ছিলাম –
স্কুলের ঐ বারান্দায়।
হঠাৎ দেখি পিছনে তাকিয়ে-
দশ, পনেরো বা আরো বেশি
যারা একত্রিত হয়েছে এখানে,
ভাষার জন্য, মাতৃভাষার জন্য,
ছিলটি ভাষার জন্য, তারা প্রান দিতে রাজী।
একটা অঞ্চলের মহান সংস্কৃতির মর্যাদার জন্য,
মরমী কবি হাছন রাজার ঐতিহ্য রক্ষার জন্য,
আধ্যাতিক কবি শিতালং শাহ,
জ্ঞানের সাগর দূরবীন শাহ আর রাধা রমণ,
বাউল সম্রাট আবদুল করিমের
“ গাঁয়ের নওজোয়ান, হিন্দু-মুসলমান
মিলিয়া বাউলা গান আর মুর্শিদী গাইতাম”
গানের জন্য,
মুন্সী সাদেক আলীর “হালতুন্নবী”
পুঁথি সাহিত্যর জন্য,
তারা আজ পাড়ায় পাড়ায় আওয়াজ তুলে।
বাহান্নতে নিলো তারা আমার ভাইয়ের প্রান,
বাংলার সাথে ছিলটি তাদের রক্তের দান।
এই ভাষাতে কথা কই,
মা বলে ডাকি।
এই ভাষার নাগরি বর্ণে লেখব
এই দাবি রাখি।
নাগরি বর্ণের গণদাবী
মাগো, তোমার মাত-অর মর্যাদা
অখন ও পাইলাম না।
মা, অখনো মানুষর দুয়ারে দুয়ারে আঠি,
আতো থাকে বর্ণমালার পোস্টার,
জানিনা, আর কত দিন আঠা লাগবো?
তালাদেওয়া রুমো বইয়া করে গবেষণা,
নেয় পিএইছডি আর ডক্টরেট ডিগ্রী,
তোমার মাত আর বর্ণমালার
জাগা অয় আলমারিত ।
বৈশাগি হাওয়াত খাড়া আছলাম –
ইস্কুলর অউ ধারিত।
আখতা দেখি খরেদি ছাইয়া-
দশ, পনড্ড বা আরো বেশি
যেরা দলা অইছে অখনো,
মাত-অর লাগি, মা’র মাত-অর লাগি,
ছিলটি মাত-অর লাগি, তারা জান দিতে রাজী।
একটা অঞ্চলর মহান সংস্কৃতির মর্যাদার লাগি
মরমী কবি হাছন রাজার ঐতিহ্য রাখার লাগি,
আধ্যাতিক কবি শিতালং শাহ,
জ্ঞানের সাগর দূরবীন শাহ আর রাধা রমণ,
বাউল সম্রাট আবদুল করিমর
“ গাঁয়ের নওজোয়ান, হিন্দু-মুসলমান
মিলিয়া বাউলা গান আর মুর্শিদী গাইতাম”
গান অর লাগি,
মুন্সী সাদেক আলীর “হালতুন্নবী”
পুঁথি সাহিত্যর লাগি,
তারা আইজ পাড়ায় পাড়ায় আওয়াজ তুলে।
বায়ান্নত নিছে তারা আমার ভাইওর জান,
বাংলার লগে ছিলটি তারার রক্তর দান।
অউ ভাষাতে মাতি আমি,
মা কইয়া ডাকি।
অউ ভাষার নাগরি বর্ণে লেখমু
অউ দাবি রাখি।
Bangla Transliteration
মাগো, তোমার ভাষার মর্যাদা
এখনো পাইনি ।
মা, এখনো মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরি,
হাতে থাকে বর্ণমালার পোস্টার,
জানিনা, আর কত দিন হাঁটতে হবে?
তালাবদ্ধ রুমে বসে করে গবেষণা,
নেয় পিএইছডি আর ডক্টরেট ডিগ্রী,
তোমার ভাষা ও বর্ণমালার
জায়গা হয় আলমারিতে ।
বৈশাখী হাওয়ায় দাঁড়িয়ে ছিলাম –
স্কুলের ঐ বারান্দায়।
হঠাৎ দেখি পিছনে তাকিয়ে-
দশ, পনেরো বা আরো বেশি
যারা একত্রিত হয়েছে এখানে,
ভাষার জন্য, মাতৃভাষার জন্য,
ছিলটি ভাষার জন্য, তারা প্রান দিতে রাজী।
একটা অঞ্চলের মহান সংস্কৃতির মর্যাদার জন্য,
মরমী কবি হাছন রাজার ঐতিহ্য রক্ষার জন্য,
আধ্যাতিক কবি শিতালং শাহ,
জ্ঞানের সাগর দূরবীন শাহ আর রাধা রমণ,
বাউল সম্রাট আবদুল করিমের
“ গাঁয়ের নওজোয়ান, হিন্দু-মুসলমান
মিলিয়া বাউলা গান আর মুর্শিদী গাইতাম”
গানের জন্য,
মুন্সী সাদেক আলীর “হালতুন্নবী”
পুঁথি সাহিত্যর জন্য,
তারা আজ পাড়ায় পাড়ায় আওয়াজ তুলে।
বাহান্নতে নিলো তারা আমার ভাইয়ের প্রান,
বাংলার সাথে ছিলটি তাদের রক্তের দান।
এই ভাষাতে কথা কই,
মা বলে ডাকি।
এই ভাষার নাগরি বর্ণে লেখব
এই দাবি রাখি।
No comments:
Post a Comment