দেহে রক্ত প্রবাহ হঠাত করে বন্ধ হয়ে জমাট বাঁধতে পারে। বিশেষ করে ধমনীতে এমন হওয়া খুব বিপদজনক। মস্তিষ্কে এমন clot বেধে গেলে স্ট্রোক হয়ে যেতে পারে। আর যদি হৃদপিণ্ডে বাসা বাধে তবে হার্ট এটাক হবে। এই clot বাঁধা উত্তরাধিকারী সুত্রে বা জীবন যাত্রার কারনে হতে পারে। ঔষধ খেয়ে যেমন রক্ত জমাট বাঁধা হতে রেহাই পাওয়া যায় তেমনি কিছু প্রাকৃতিক উপাদান আছে যা রক্ত পাতলা করতে সাহায্য করে। নিরাপদ ও কার্যকরী এই পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে রাখা ভাল।
রক্ত জমাট বাঁধাতে ভিটামিন কে’ র ভূমিকা আছে।অন্যান্য ভিটামিনের মতো এটা ডায়েটারি সাপ্লিমেন্ট হিসেবে ব্যবহার হয় না। Salicylates এগুলি এস্পিরিনের মতো পদার্থ যা ভিটামিন কে’ র শোষণ রুদ্ধ করে ফেলে। Salicylates রক্ত পাতলা করতে সাহায্য করে। Salicylates সমৃদ্ধ মশলার মধ্যে আছে কারি পাউডার, লাল মরিচের গুঁড়া, আদা, দারুচিনি, গোল মরিচ, হলুদ, licorice, পুদিনা।ফলের মধ্যে আছে কিশমিশ, আলু বোখারা, চেরি, ক্রেনবেরি। অন্যান্য খাবারের মধ্যে আছে ব্রকলি,মধু,ভিনেগার, ফুলকপি, ব্রাসেল স্প্রাউট ইত্যাদি।
ভিটামিন ই ভিটামিন কে’র শোষণের বিপক্ষে কাজ
করে। তাই এটাও রক্ত পাতলা করতে সহায়তা করে।বেশিরভাগ বাদাম যেমন→
আল্মন্ড,
আখরোট,
সব ধরনের ভেজিটেবল অয়েল,
ডাল,
গম,
ছোলা,
ভাত,
যব,
আম,
টমেটো ইত্যাদি।
ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ খাবার হৃদরোগ প্রতিরোধ করে এবং রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি কমায়।তিসির তেল, ক্যানোলা তেল, আখরোট, মিষ্টি কুমড়ার বীচি ,সামুদ্রিক ও মিঠা পানির মাছ, কড লিভার তেল এগুলি ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড সমৃদ্ধ।আদা রসুনের মতো এন্টিবায়োটিক মশলা উপকারি।অন্যান্য খাবারে মধ্যে ভিটামিন বি ৬ সমৃদ্ধ খাবার,দারুচিনি উল্লেখযোগ্য । তবে কারো যদি এগুলিতে কোন এলারজির সমস্যা থাকে তবে তা বর্জন করা ভাল।প্রচুর পানি পানে রক্ত পাতলা থাকে। দৈনিক ৩০ মিনিট এর workout এক্ষেত্রে কাজে দেয়।