Showing posts with label লাইফস্টাইল. Show all posts
Showing posts with label লাইফস্টাইল. Show all posts

Monday 19 October 2015

বিনা কাস্টমসে যেসব পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করা যাবে

বিনা কাষ্টমসে(Custom) বিদেশ থেকে কি কি জিনিস আমদানী করতে পারবেন, তা আপনি জানেন কি? না জানলে পড়ুন।আমাদের অনেকের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব বিদেশে থাকেন।দেশ-বিদেশ যাতায়ত করার সময় আমরা বিদেশ থেকে অনেক জিনিস এনে থাকি, সেটা হয়ত প্রয়োজনে বা শখের বশে, অথবা আত্মীয়কে খুশি করতে। অনেক সময় সামান্য একটু অসর্তকতার কারনে আপনার ক্রয়কৃত পন্য এয়ারপোর্টে ফেলে আসতে হয় অথবা শুল্ক বাবদ দিতে হয় অনেকগুলি টাকা।আগেই বলি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পন্য আনার ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য নয়। শুধুমাত্র নিজ ব্যবহার, গৃহস্থালী ব্যবহারের জন্য প্রযোজ্য।
●প্রথমেই দিচ্ছি শুল্ক কর আরোপযোগ্য পন্যের তালিকা→
(ক) ব্যাক্তিগত এবং গৃহস্থালী কাজে ব্যাবহৃত হয় না এমন পন্য।
(খ) দুইটি স্যুটকেসের অতিরিক্ত স্যুটকেসে আনীত ব্যাগেজ। তবে ৩য় স্যুটকেসে আনীত বইপত্র, সাময়িকি বা শিক্ষার উপকরণ শুল্ক ও কর মুক্তভাবে খালাসযোগ্য।
(গ) বাণিজ্যিক পরিমানে যে কোন পন্য ব্যাগেজে আমদানী হলে শুল্ক ও কর আরোপযোগ্য।

★(ঘ) নিম্নে বর্ণিত পণ্য ব্যাক্তিগত ও গৃহস্থালী ব্যাগেজ হিসেবে আমদানী হলেও প্রতিটির পাশে উল্লেখিত হারে কর পরিশোধ করতে হবে→
(১) টেলিভিশন (CRT) ২৫" এর উর্ধ্বে হলে ২৯" পর্যন্ত ৩০০০/- টাকা।
(২) Plasma, LCD, TFT ও অনুরুপ প্রযুক্তির টেলিভিশন:
(ক) ১৭" হতে ২১" পর্যন্ত = ১০,০০০.০০/= টাকা,
(খ) ২২" হতে ২৯" পর্যন্ত = ১৫,০০০.০০/= টাকা,
(গ) ৩০" হতে ৪২" পর্যন্ত = ২০,০০০.০০/= টাকা,
(ঘ) ৪৩" হতে ৫২" পর্যন্ত = ৫০,০০০.০০/= টাকা,
(ঙ) ৫৩" হতে তদুর্ধ সাইজ = ৭৫,০০০.০০/= টাকা।

(৩) (ক) ৪টি স্পিকারসহ কম্পোনেন্ট (মিউজিক সেন্টার) সিডি/ডিভিডি/ভিসিডি/এমডি/ এএলডি/ ব্লু-রে-ডিস্ক সেট = ৪,০০০.০০/= টাকা।
(খ) ৪ এর অধিক তবে সবোর্চ্চ ৮টি স্পিকারসহ (মিউজিক সেন্টার) হোম থিয়েটার/সিডি/ডিভিডি/ভিসিডি/এমডি/ এএলডি/ ব্লু-রে-ডিস্ক সেট = ৮,০০০.০০/=

(৪) রেফ্রিজারেটর/ ডিপ ফ্রিজার = ৫,০০০.০০/=
(৫) ডিশ ওয়াশার/ ওয়াশিং মেশিন/ ক্লথ ডায়ার = ৩,০০০.০০/=
(৬) এয়ারকুলার/ এয়াকন্ডিশনার
(ক) উইন্ডো টাইপ = ৭,০০০.০০/= টাকা
(খ) স্প্লিট টাইপ = ১৫,০০০.০০/= টাকা
(৭) ওভেন বার্নারসহ = ৩,০০০.০০/=
(৮) ডিস এন্টেনা = ৭,০০০.০০/=
(৯) স্বর্ণবার বা স্বর্ণপিন্ড (সবোর্চ্চ ২০০ গ্রাম) প্রতি ১১.৬৬৪ গ্রাম বা ভরি= ১৫০.০০/=
(১০) রৌপ্যবার বা রৌপ্য পিন্ড (সর্বোচ্চ ২০০ গ্রাম) প্রতি ১১.৬৬৪ গ্রাম = ৬.০০/=
(১১) HD Cam, DV Cam, BETA Cam & Professional used Camera = 15,000.00 Taka.
(১২) এয়ারগান/ এয়ার রাইফেল = ২,০০০.০০ টাকা (বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমুতি সাপেক্ষে আমদানিযোগ্য, আমদানি নীতি-আদেশ ২০০৩-২০০৬ দ্রষ্টব্য )
(১৩) ঝাড়বাতি = ৩০০.০০ টাকা প্রতি পয়েন্ট।
(১৪) কার্পেট ১৫বর্গ মিটার পর্যন্ত = ৫০০.০০ টাকা প্রতি বর্গমিটার।

★এবার দেখুন কি কি পন্য বিনা শুল্কে আমদানীযোগ্য (প্রত্যেকটি ১টি করে)→
১. ক্যাসেট প্লেয়ার/ টু ইন ওয়ান,
২. ডিস্কম্যান / ওয়্যাকম্যান অডিও,
৩. বহনযোগ্য অডিও সিডি প্লেয়ার,
৪. ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, ইউপিএস, স্ক্যানার, ফ্যাক্সমেশিন।
৫. ভিডিও ক্যাম: এইচ ডি ক্যাম, ডিভি ক্যাম, বেটা ক্যাম এবং প্রফেশনাল কাজে ব্যবহৃত হয় না এমন ক্যামেরা ব্যাতিত সব।
৬. ডিজিটাল ক্যামেরা,
৭. সাধারণ/পুশবাটন/কর্ডলেস টেলিফোন সেট
৮. সাধারণ ইলেকট্রিক ওভেন/ মাইক্রোওয়েভ ওভেন,
৯. রাইস কুকার/ প্রেসার কুকার,
১০. টোস্টার/ স্যান্ডউইচ মেকার/ ব্লেনডার/ ফুড প্রসেসর/ জুসার/কফি মেকার।
১১. সাধারণ ও বৈদ্যুতিক টাইপ রাইটার,
১২. গৃহস্থালী সেলাই মেশিন (মেনুয়াল/বৈদ্যুতিক)
১৩. টেবিল / প্যাডেস্টাইল ফ্যান,
১৪. স্পোর্টস সরন্জাম (ব্যাক্তিগত ব্যবহারের জন্য)
১৫. ২০০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণ/র্যোপ্য অলংকার (এক প্রকারের অলংকার ১২টির অধিক হবে না)
১৬. এক কার্টুন সিগারেট (২০০ শলাকা),
১৭. ২৪" পর্যন্ত রঙ্গিন টিভি (সিআরটি)/সাদাকালো টিভি,
১৮. ভিসিআর/ভিসিপি,
১৯. সাধারণ সিডি ও দুই স্পিকার সহ কম্পোনেন্ট (মিউজিক সেন্টার/ সিডি/ ভিসিডি/ ডিভিডি/এলডি/ এমডি সেট)
২০. ভিসিডি/ডিভিডি/এলডি/এমডি ব্লুরেডিস্ক প্লেয়ার,
২১. এলসিডি মনিটর ১৭" পর্যন্ত (টিভি সুবিধা থাকুক বা নাই থাকুক)
২২. একটি মোবাইল সেট।

[[বিঃদ্রঃ বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্স ( Biman Bangladesh Airlines) এ ক্যারি ১৫ কেজি পর্যন্ত আনা যায় আর ৪৪.৪০ কিলো পর্যন্ত বুকিং দেয়া যায়। যারা বিদেশ থেকে কম্বল (Blanket /Quilt) আনেন, তারা ২টি কম্বল এক সাথে বাধবেন না। এয়ার পোর্ট এভাবে এখন আর এলাউ করে না। ২টির বেশী কম্বল আনতে দেয় না। কারণ আপনার জন্য যে আয়তনের জায়গা বরাদ্দ আছে তা ২ কম্বল ও একটি লাগেজেই ভরে যায়। কম্বল ৩টি হলে অন্যর কম্পার্টমেন্ট শেয়ার করতে হয়। তাই ডিজএলাউড।]]

Thursday 25 June 2015

সর্বনিম্ন ফিতরা নির্ধারণ জনপ্রতি ৬০ টাকা

গম বা আটার বাজারমূল্য হিসাব করে এবার
সর্বনিম্ন ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে জনপ্রতি
৬০ টাকা
বুধবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে
ফিতরা নির্ধারণী সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে
ফাউন্ডেশনের পরিচালক এ এন এম সিরাজুল ইসলাম
জানান।
১ কেজি ৬৫০ গ্রাম গম বা আটা অথবা খেঁজুর,
কিসমিস, পনির বা যবের মধ্যে যে কোনো একটি
পণ্যের ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজার মূল্য ফিতরা
হিসেবে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করা যায়।
এই হিসেবে এবার সর্বনিম্ন ৬০ টাকা থেকে ১
হাজার ৬৫০ টাকা ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে
বলে সিরাজুল ইসলাম জানান।
তিনি বলেন, “নিজ নিজ সামর্থ্য অনুসারে এসব
পণ্যের যে কোনো একটি দিয়ে অথবা সমপরিমাণ
দাম দিয়ে ফিতরা আদায় করা যাবে। তবে খুচরা
বাজারে এসব পণ্যের দামে তারতম্য থাকতে
পারে।”
ইসলাম ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, প্রত্যেক
সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য ফিতরা আদায় করা
ওয়াজিব। নাবালক ছেলেমেয়ের পক্ষ থেকে
বাবাকে এই ফিতরা দিতে হয়। আর তা দিতে হয়
ঈদুল ফিতরের নামাজের আগেই।
গত বছর সর্বনিম্ন ফিতরা ধরা হয়েছিল জনপ্রতি
৬৫ টাকা; তার আগের বছর ছিল ৬৬ টাকা।
সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বায়তুল
মোকাররম জাতীয় মসজিদে ইসলামিক
ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে এই সভায় ফিতরা
নির্ধারণী কমিটির সদস্য ও বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত
ছিলেন।

Thursday 11 June 2015

ড. মুসা বিন শমসের বাংলাদেশের কিংবদন্তি


ড.মুসা বিন শমসের তিনি শুধু এবারই নয় এর আগেও
আলোচনায় এসেছেন শুধু বাংলাদেশে নয় বিশ্ব
মিডিয়ায় তাকে নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে।
বৃটেনের বিরোধীদলীয় নেতা পরবর্তীতে
প্রধানমন্ত্রী টনী ব্লেয়ারের নির্বাচনী তহবিলে
৫০ লাখ পাউন্ড অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে বিশ্ব
মিডিয়ার আলোচনায় আসেন। এরপর ১৯৯৭ সালে
আয়ারল্যান্ডের জাতীয় ঐতিহ্য কালকিনি দুর্গ
কিনে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সদর দপ্তর করার
প্রস্তাব দিয়ে আর একবার বিশ্বব্যাপী আলোচনায়
এসেছিলেন। স¤প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন তার
বিত্তবৈভব ও বিদেশে অর্থ পাচার নিয়ে
অনুসন্ধ্যানে নামায় আবার তিনি আলোচনায়
এসেছেন।
১৯৯৮ সালে লন্ডনের সানডে টেলিগ্রাফের ১৭ মে
সংখায় ”ম্যান উইথ দ্য গোল্ডেন গানস’শিরোনামে
আলোচিত হয়েছিলেন বাংলাদেশের ধনকবের মুসা
বিন শমসের। টেলিগ্রাফের এই সংখ্যায়
বাংলাদেশের মুসা বিন শমসেরকে নিয়ে লেখা
হয়েছিল এক ব্যাতিক্রম ধর্মী এক প্রচ্ছদ কাহিনী।
রিপোর্ট টি প্রকাশিত হবার পর পশ্চিমা জগতে
দারুন আলোড়ন তোলেন মুসা বিন শমসের। প্রচ্ছদ
কাহিনীতে টেলিগ্রাফের বিশেষ প্রতিনিধি
নাইজেল ফার্নডেল লিখেন , বিশ্বের প্রথম সারির
এই ব্যবসায়ী পৃথিবীর সর্বত্র বিশেষ করে পাশ্চাত্য
সমাজে ’ প্রিন্স অব বাংলাদেশ’ বলে খ্যাত।
বিশ্বখ্যাত এই ধনকুবের আর কেউ নন তিনি
বাংলাদেশের ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার
কাজীকান্দা গ্রামে জন্ম নেয়া ড. মুসা বিন
শমসের। যিনি বিশ্ব দরবারে প্রিন্স মুসা বলে
পরিচিত।
ড. মুসা বিন শমসের নামে তিনি বিশ্বব্যাপী
পরিচিত হলেও তার নাম এ ডি এম ( আবু দাইদ
মোহাম্মদ ) মুসা। তিনি ১৯৫০ সালের ১৫ অক্টোবর
ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার ফুলসুতি
ইউনিয়নের কাজীকান্দা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
তার পিতার নাম মোঃ শমসের আলী মোল্লা।।
মুসা বিন সমশের এর পিতা বৃটিশ আমলে কলকাতা
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি লাভ
করেন। এরপর তিনি বৃটিশ ভারতীয় সরকারের শিক্ষা
কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি করেন। ফরিদপুরের
নগরকান্দায় শিক্ষা কর্মকর্তা শমসের নামে তিনি
পরিচিত ছিলেন।
২০১০ সালে তাকে নিয়ে আবার আলোচনার ঝড় উঠে
পশ্চিমা জগতে। সাত বিলিয়ন ডলার বা ৫১ হাজার
কোটি টাকা সুইস ব্যাংকে আটকে যাওযার খবরে
তিনি আবার আলোচনায় আসেন। এ একাউন্ট জব্দ
করেছেন ব্যাংক কর্তৃপক্ষই। বলা হয়েছে ড. মুসা বিন
শমসেরের লেনদেন অনিয়মিত। টাকা তুলতে না
পারার কারণ ১ কেটি ডলার দামের একটি মন্ট বাষ্ক
কলম। জানা গেছে ফ্রান্সে তৈরি নির্মাতা
কোম্পানি একািট মাত্র কলমই তৈরি করেছেন। ২৪
ক্যারেট স্বর্নে তৈরি কলমটিতে রয়েছে ৫৭০০ টি
হীরকখন্ড। এক কোটি ডলারের বেশি লেনদেনের
কোন ব্যবসায়িক চুক্তি হলেই নাকে তিনি এই কলম
দিয়ে সাক্ষর করতেন। স¤প্রতি এই কলমটি আটকে
দিয়েছে সুইস ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এই কলম তুলতে
যাওয়ার পরই জানতে পারেন সুইস ব্যাংকে রক্ষিত
তার সকল সম্পদই জব্ধ করা হয়েছে। তাঁকে বাংলাদেশের ‘জনশক্তি
রপ্তানির জনক’ বলা হয়। রূপকথার মতোই তাঁর বর্ণিল
জীবন ও বিস্ময়কর সব কর্মধারা।বিস্ময়কর এই ব্যক্তিকে জানার আপনার অনেক কৌতূহল আছে। তাহলে দেখে নিন তার লাইফস্টাইল :
কলম : তিনি যে কলম দিয়ে স্বাক্ষর করেন সেটি এক
কোটি ডলার দামের মন্ট বাঙ্ক কলম। ফ্রান্সে
তৈরি ওই কলম মাত্র একটিই তৈরি করেছে
নির্মাতা কোম্পানি। ২৪ ক্যারেট সোনা দিয়ে
তৈরি এ কলমটিতে রয়েছে ৭৫০০টি হীরকখণ্ড। সারা
বছরই কড়া প্রহরায় এ কলমটি রক্ষিত থাকে সুইস
ব্যাঙ্কের ভল্টে। প্রয়োজন হলে সর্বোচ্চ
নিরাপত্তায় ওই কলম নিয়ে যাওয়া হয় নির্দ্দিষ্ট
স্থানে। আবার সেভাবে ফেরত নিয়ে আসা হয়।
ঘড়ি : তিনি যে ঘড়ি ব্যবহার করের সেটি রোলেক্স
এর ৫০ লাখ ডলার দামের বিশেষ ঘড়ি। ওই বিশেষ
ঘড়ি মাত্র একটিই তৈরি করেছে নির্মাতা
কোম্পানি। এই মূল্যবান ঘড়িটি তৈরি করা হয়েছিল
২৭ মাসেরও বেশি সময় ধরে।
আংটি : তিনি কয়েকটি আংটি ব্যবহার করেন। তার
মধ্যে ১৬ ক্যারেটের একটি রুবি। যার দাম ১০ লাখ
ডলার। ৫০ হাজার ডলার দামের একটি চুনি। এছাড়া
৫০ হাজার ডলার দামের একটি হীরা ও এক লাখ
ডলার দামের একটি পালা (এমেরাল্ড)।
স্যুট : তাঁর পরনের স্যুটগুলো স্বর্ণসুতাখচিত। তাঁকে
কখনো এক স্যুট পরিহিত অবস্থায় দুই বার দেখা যায়
না। প্রতিটি স্যুটের দাম ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার
পাউন্ড। যা শুধু তাঁর জন্য তৈরি করা।
পোশাক : পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ডিজাইনার বলে
খ্যাত প্রিওনি বেলভেস্ট এবং ইটালির আবলা এবং
ফ্যান্সিসকো স্মলটো ও খ্রিস্টিয়ান ডিয়রের
বিশেষ ব্র্যান্ডের অতি মূল্যবান পোশাক-আশাক
দিয়েই তাঁর সারি সারি ওয়্যারড্রব ভর্তি। এসবের
জন্য তাকে বলা হয় The Best Dressed Man of the
World.
জুতা : তিনি হীরকখচিত যে জুতা পরেন তার প্রতি
জোড়ার মূল্য লক্ষ ডলার। তাঁর সংগ্রহে এমনি
রত্নখচিত হাজারো জুতো রয়েছে।
গোসল : তিনি প্রতিদিন নির্জলা গোলাপ পানি
দিয়ে গোসল করেন।
পানি : তিনি সবসময় ফ্রান্সের ইভিয়ান ব্র্যান্ডের
পানি পান করেন।
বাসা : তাঁর বাসার স্টাইল-আয়োজন কর্মকাণ্ড
সবকিছুই ফাইভ স্টার মানের। গুলশানে অবস্থিত
তাঁর প্রাসাদের সাজসজ্জা চোখ ধাঁধানো। লিভিং
রুমসহ ভবনের ছাদ অবধি শোভা পায় দ্যুতিময় অসংখ্য
ঝালর। মেঝে মূল্যবান ক্রিস্টাল পাথরে ছাওয়া।
ফ্লোরে ঝকঝকে কার্পেট। এ বাসাতে প্রায়
প্রতিদিনই পার্টি থাকে। সেখানে সবসময় তার
দেশি বেদেশি হাইপ্রোফাইল মেহমানরা উপস্থিত
থাকেন। পার্টিতে খাবার পরিবেশনের জন্য রয়েছে
প্রশিক্ষিত কয়েক ডজন সেফ। এরা সবাই রান্না-
বান্না ও পরিবেশনার উপর উচ্চ ডিগ্রিধারী।
দেহরক্ষী : চারজন নারী দেহরক্ষীসহ মোট ৪০ জন।
জন্মদিন : ১৯৯৯ সালের দিকেই সম্ভবত, তিনি পুরো
এটিএন বাংলা কয়েক ঘণ্টার জন্য ভাড়া
নিয়েছিলেন শেরাটনে তাঁর জন্মদিনের অনুষ্ঠানটি
সরাসরি সম্প্রচার করবার জন্য।
অন্যান্য : তার ব্যাক্তিগত জেট প্লেনটি ধার
দিয়েছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বব
ডোলের যাতায়াতের জন্য। কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট
তাকে নিয়মিত ফোন করে পরামর্শ নেয়। ক্ষমতায়
থাকার সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বরিস
ইয়েলতসিন তো নিয়মিত খোজ নিত তার।
তার নিজের একান্ত চেষ্টায় প্রথম বাংলাদেশী
জনশক্তির জন্য ইউরোপীয় স্বর্ণ-দ্বার খুলে যায়।
এমনকি বাংলাদেশের ডিপ্লোমা নার্সিং
কাউন্সিলের সনদ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি লাভ
করে তারই লবিং এর ফলে। ফলে এদেশের নার্সরা
ইচ্ছে করলে সহজেই বিদেশে গিয়ে চাকুরী করতে
পারে এখন।

Monday 8 June 2015

'সেরা রন্ধনশিল্পী-২০১৫’ প্রতিযোগিতা (২য় পর্ব)


যে কাঁদতে জানে,সে রাঁধতে জানে! সত্যি কি তাই? কাঁদেন বা রাঁধেন যাই করেন না কেন, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলা এবং পাক্ষিক দ্য বাংলাদেশ মনিটর রান্নাপ্রিয় ভাই-বোনদের জন্য আয়োজন করেছে এক রন্ধনশিল্প প্রতিযোগিতার।দেখিয়ে দিন আপনার প্রতিভা আর হয়ে উঠেন দেশ সেরা রাঁধুনি।
দেশের রন্ধনশিল্পী প্রতিভা অন্বেষণে টিভি রিয়্যালিটি শো ‘সেরা রন্ধনশিল্পী-২০১৫’ প্রতিযোগিতার দ্বিতীয়
পর্বের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হলে আগামী ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে নাম নিবন্ধন করতে হবে।
★নিবন্ধনের সঙ্গে প্রধান ডিশের একটি রেসিপি ও ছবি,
★প্রতিযোগীর পাসপোর্ট সাইজ ছবি,
★প্রতিযোগীর বিভাগের নামসহ পূর্ণ যোগাযোগ ঠিকানা ও তথ্য থাকতে হবে।
 ভ্রমণবিষয়ক পাক্ষিক দ্য বাংলাদেশ মনিটর এবং
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলা এ
রিয়্যালিটি শোর আয়োজন করছে।আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে প্রতি সপ্তাহে একটি করে মোট ১৩টি পর্বে এটিএন বাংলায় এ রিয়েলিটি শো প্রচারিত হবে। এ
আয়োজনের পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছে মালয়েশিয়ান পাম অয়েল কাউন্সিল এবং টি কে গ্রুপের ফ্যামিলি ব্র্যান্ড পাম অয়েল।ঢাকায় সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে এসব
তথ্য জানানো হয়। এতে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মনিটর সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম, মালয়েশিয়ান পাম অয়েল কাউন্সিলের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক এ কে এম ফখরুল আলম, টি কে গ্রুপের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা এ আর গণি ও এটিএন বাংলার উপদেষ্টা নওয়াজিশ আলী খান। 

Sunday 10 May 2015

"অ্যাপল ওয়াচ" এর না জানা কথা

আজকাল আমাদের হাতে একটা চমৎকার এবং মানানসই রিস্টওয়াচ না হলে মনে হয় যেন হালের ফ্যাশনে কিছু একটা কম আছে।মোবাইল ফোনের বদৌলতে কয়েক বছর আগেও যেটা ছিল বেশ তুচ্ছ একটা অ্যাক্সেসরি,তা আজ নতুন আঙ্গিকে, নতুন রুপে শোভা পাচ্ছে আমাদের হাতে হাতে।আর তা যদি হয় অ্যাপলের মত নাম করা ব্রান্ডের,তাহলে তো কথাই নেই।তো চলুন,জেনে নেওয়া যাক এই অ্যাক্সেসরির চার্জিং সম্পর্কে। টেক জায়ান্ট অ্যাপলের তৈরি ‘অ্যাপল ওয়াচ’-এ একটি গোপন চার্জিং পোর্ট চিহ্নিত করেছে প্রযুক্তি পণ্যের অ্যাক্সেসরিজ নির্মাতা  ‘রিসার্ভ স্ট্র্যাপ’।

ম্যাশএবল জানিয়েছে, হাতে পরা অবস্থাতেই অ্যাপল ওয়াচ চার্জ করবে এমন রিস্টব্যান্ড তৈরির পরিকল্পনা করছে প্রতিষ্ঠানটি। ফলে অ্যাপল ওয়াচ চার্জ হওয়ার জন্য লম্বা সময় ধরে অপেক্ষা করতে হবে না ব্যবহারকারীকে। অ্যাপল ওয়াচের নিচের অংশে একটি ৬ পিনের পোর্ট রয়েছে। এই ‘সিক্রেট’ পোর্ট ব্যবহারের পরিকল্পনাই করেছে রিসার্ভ স্ট্র্যাপ।এই পোর্ট চার্জিংয়ের কাজে ব্যবহার করা যাবে কি না সে ব্যাপারে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি অ্যাপল। রিজার্ভ স্ট্র্যাপের আড়াইশ ডলার দামের রিস্টব্যান্ড কেনার আগে সবদিক বিবেচনা করে দেখার পরামর্শই দিয়েছে ম্যাশএবল।

Saturday 4 April 2015

ওজন কমাবে সঠিক ডায়েট প্লান আর সচেতনতা

আমার মত যারা শরীরের অতিরিক্ত ওজন ভয় পান,তারা পোস্ট টি একটু দেখে নিতে পারেন। আর যাদের হাতে এখন সময় নাই,তারা পোস্ট টি শেয়ার করে ফেসবুক টাইমলাইন এ রেখে দেন।
আধুনিকতার এই যুগে নানা কারণেই বাড়ছে আমাদের শরীরের ওজন। কি নারী আর কি পুরুষ কেউই রেহাই পাচ্ছেন না এ থেকে। তার জন্য কেউ বা ছুটছেন জিমে আবার কেউ বা করছেন ডায়েটিং তার সাথে আরো যে কত্তো আয়োজন! কিন্তু মাথার উপর
খাঁড়ার মতো ঝুলছে লক্ষ্যপূরণের চাপ। সময় কোথায় এত কিছু মেইনটেন করার? এ দিকে আবার আমাদের স্লিম বডি চাই। তাই কম সময়ে স্লিম-ট্রিম হওয়ার কিছু পন্থা রইল আপনাদের জন্য।মোটা দেহ নিয়ে কারো চোখে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তোলা যায় না।মানুষ মোটা হয় শর্করা ও স্নেহজাতীয় পদার্থের ফলে।প্রতিদিন স্বাভাবিকের
চেয়ে ৫০০ ক্যালরি খাবার কম খেলে প্রায় ১ পাউন্ড ওজন কমানো যায়।ক্যালরি কম গ্রহণ করলে দেহাভ্যন্তরে বাড়তি মেদ ভেঙে গিয়ে দেহকে বাড়তি ক্যালরি জোগান দেয়।
সাধারণত একজন প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে প্রতিদিন ১০০০ ক্যালরি খাবার গ্রহণ করে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।মহিলাদের ক্ষেত্রে কোমরের মাপ ৮০ সেন্টিমিটার বা ৩১.৫ ইঞ্চি পর্যন্ত স্বাভাবিক ধরা যেতে পারে। তবে মহিলাদের কোমরের মাপ ৮৮ সেন্টিমিটার বা ৩৪.৬ ইঞ্চি থেকে বেশি হলে অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে।ডায়েটিং করলেই মেদ কমানো যায় না।খাবারের মধ্যে কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট জাতীয় জিনিস না খেয়ে বেশি করে প্রোটিন জাতীয় খাবার খাবেন। প্রচুর পানি, শাকসবজি ও ফলমুল বেশি করে খাবেন।সুস্থ জীবনযাপনে ওজন এক বিশেষ শত্রু। একবার দেহের ওজন বৃদ্ধি পেলে সহজেই তা কমানো যায় না।ওজন কমাতে আপনার নিজের ব্যাপার নিয়ে নিজেই দায়িত্ব নিতে হবে। কিন্তু তাই বলে নিতান্তই একা নন। আপনি মানসিক জোর পেতে পারেন আপনার সঙ্গীর কাছ থেকে, বন্ধুদের কাছ থেকে। এমন মানুষ নির্বাচন করুন যে কিনা আপনাকে মূল্য দেবে এবং আপনার কথা শুনবে। আপনার শরীর চর্চার সময় আপনাকে সঙ্গ দেবে। ওজন কমানোর জন্য আগে জানতে হবে আপনার আদর্শ ওজন কত, আদর্শ ওজনের চেয়ে কত বেশি আছে, কোন শারীরিক সমস্যা আছে কিনা, এই বিষয়গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে তারপর ওজন নিয়ন্ত্রণে মনোযোগী হতে হবে। ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আপনার একান্ত আগ্রহ আর মোটিভেশন ।রাতে ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ২ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিন। প্রতিবেলা খাবার আগে অবশ্যই এক গ্লাস পানি পান করুন ।ক্ষুধা না পেলে কখনই খাবনে না।সপ্তাহে অন্তত একদিন নিজের ওজন মাপুন।ফোনে কথা বলার সময় হাটুন ।সুস্থ্ থাকতে এবং ওজন কমানোর জন্য বেশি খাওয়া বন্ধ করতে হবে।অল্প তেলে রান্না করার অ্ভ্যাস গড়ে তুলুন।ঝোল করে তরকারি রান্না করুন, এতে তেল কম লাগে। ১ চা চামচ কম তেলে রান্না করলে আমরা ১২৪ ক্যালোরি সেভ করতে পারি ।অতিরিক্ত লবণ খাওয়া পরিহার করতে হবে। কারণ, লবণ শরীরের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।পেটের মেদ এর সাথে হার্টের সমস্যা থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস ও অন্যান্য সমস্যার জোরালো সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়।পেটের মেদ কমাতে হলে প্রয়োজন পুরো শারীরিক ব্যায়াম।৪০ থেকে ৪৫ মিনিট হালকা জগিং বা জোরে হাটার পর রক্তে চলমান ফ্যাট শেষ হয়ে দেহে সঞ্চিত ফ্যাট ভাঙতে থাকে। তাই এই ৪০ বা ৪৫ মিনিটের পর আপনি যদি ১০ বা ১৫ মিনিট ও জগিং বা জোরে হাঁটতে পারেন, তাহলেই প্রতিদিন একটু একটু করে আপনার জমান চর্বি কমতে থাকবে।পেটে, নিতম্বে, কোমরে ফ্যাট সেল বেশি থাকে ;বংশগত কারণেও মানুষ মোটা হতে পারে। ‘ওব জিন’ নামের এক ধরনের জিন থাকে ফ্যাট সেলের মধ্যে।এগুলো ল্যাপটিন নামের এক রকম হরমোন তৈরি করে। আবার যাদের দেহে ব্রাউন এডিপোজ টিস্যু বেশি থাকে তারা মোটা হয় না ।কোমরে আর পেটে চর্বি জমাতে যেমন সহজ। ঠিক ততটাই কঠিন সেই চর্বি কমিয়ে ফেলা। কিন্তু কিছু ভালো অভ্যাস ও সাধারণ কিছু ব্যায়াম ধৈর্যের সাথে চালিয়ে গেলে একদিকে বাড়তি মেদ যেমন ঝরবে অন্যদিকে শরীরটা মুটিয়ে যাবার ভয়টাও কমে আসবে অনেকাংশেই। ওজন কমানোর মুল মন্ত্র হল মটিভেসন ও একাগ্রতা।শুধু
ব্যায়াম করলেই অনেক সময় মেদ কমে না, এর জন্য আপনাকে খাবার গ্রহণে সতর্ক হতে হবে।খাবারে প্রচুর পরিমানে আঁশ জাতীয় খাদ্য যেমন শাক সবজি রাখুন। চর্বি জাতিয় খাবার কম খান।ফাস্ট ফুড খাওয়া বন্ধ করতে হবে।নিয়ম মেনে পরিমিত ব্যায়াম করে গেলে ও খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করলে পেটের মেদই শুধু নয়, সারা দেহের মেদ কমিয়ে কাঙ্ক্ষিত ফিগার পেতে পারি।
বাড়তি ওজনের জন্য যেকোনো ধরনের হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।মেদবহুল ব্যক্তির জরায়ু, প্রস্টেট ও কোলন ক্যান্সারের সম্ভাবনা শতকরা ৫ ভাগ বেশি।আজকাল অপারেশনের সাহায্যেও ভুঁড়ি কিংবা মেদ কমানো হচ্ছে।মেদ বা ভুঁড়ি কোনোভাবেই সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ নয় বরং নানা অসুখের কারণ- একথা মনে রাখবেন।আমিষ বা প্রোটিন খেলে শরীরে জমে থাকা চর্বি কমে যায়। কারণ এই চর্বি শরীরকে শক্তি বা ক্যালরির যোগান দেয়।স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ রান্না মাংস খেলে আমিষের ঘাটতি কেটে যায় এবং মেদও কমে, সামুদ্রিক মাছও হতে পারে আমিষের ভালো উৎস। এ ধরনের মাছে উপকারি চর্বি ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড রয়েছে। মাছ মেদ কমায়,বিষন্নতা দূর করে,হৃদস্বাস্থ্য ভালো রাখে।খাবার সঙ্গে চা পান করা চর্বির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আরেক উপায়।সারা দিনে অন্তত দুই লিটার পানি পান করবেন। এর ফলে আপনার বাড়তি ১০০ ক্যালরি খরচ হবে। অতিরিক্ত ঘুম,মানসিক চাপ, স্টেরয়েড এবং অন্য নানা ধরনের ওষুধ গ্রহণের ফলেও ওজন বাড়তে পারে ।নিয়মিত হাঁটা সবচেয়ে ভালো ব্যায়াম। প্রতিদিন নিয়ম করে ১ ঘণ্টা হাঁটতে পারলে খুবই ভালো। সাইকেল চালানো ও সাঁতার কাটাও খুব ভালো ব্যায়াম।ভুঁড়ি কমাতে কিছু আসনের সাহায্য নেয়া যেতে পারে। এগুলোর মধ্যে ত্রিকোণ আসন,একপদ উত্থান আসন, পবন মুক্তাসন, পশ্চিমোত্থানাসন খুবই কার্যকর।কাঁচা পেঁপে, শশা, গাজর, লেটুস বা ধনিয়া পাতার সালাদ ওজন কমাতে রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। পেঁপে যুদ্ধ করে দেহের বাড়তি মেদের বিরুদ্ধে। অতিরিক্ত ওজনের কারনে পায়ে ব্যথা হয় । ওজন কমানোর জন্য আপনার থাকতে হবে- ১০০% ইচ্ছা শক্তি,ধৈর্য্য , ১০০% ডায়েট চার্ট মেনে চলা,প্রতিদিন নিয়ম করে ১ ঘন্টা হাঁটা। অভিনেত্রী মৌ ২০ কেজি ওজন কমিয়েছেন এবং গায়ক আদনান সামী ওজন কমিয়ে দেখিয়েছেন ।হেঁটে যতটুকু ক্যালরি খরচ হলো ঠিক ততটুকু বা তার বেশি ক্যালরি গ্রহণ করা হলে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে হাঁটাই বৃথা।আপনার ওজন কমানোর প্রধান হাতিয়ার হিসেবে প্রচুর পানি পান করুন।অনেকেই ওজন কমাতে চান। কিন্তু কোনো কষ্ট করতে রাজি না।
বাঁধাকপিকে ওজন কমানোর আরেকটি কার্যকর উপায় হিসেবে ধরা হয়। বাঁধাকপি মিষ্টি ও শর্করাজাতীয় খাবারকে চর্বিতে রূপান্তর করতে বাধা দেয়। এ জন্য বাঁধাকপি খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখে ওজন কমাতে।এটিকে কাঁচা অথবা রান্না করেও খাওয়া যায়।আগে যেখানে তিনটি রুটি খেতেন,সেখানে দুটি খান। ভাতের ক্ষেত্রেও তাই।
ধীরে ধীরে ভাতের পরিমাণও কমিয়ে আনতে পারেন।যেটুকু খাবার কমিয়ে দিচ্ছেন,সেই জায়গাটা ফলমূল ও সবুজ সবজি দিয়ে পূরণ করুন।গাজর, টমেটো, কাঁচা-পাকা পেঁপে,শসা রাখতে পারেন খাদ্যতালিকায়। রিকশার পথটুকু হেঁটে যান, আর ফেরার পথে বিকেলের বাতাস খেতে খেতে হেঁটে আসুন বাসায়। ওজন কমানো এ আর এমন কঠিন কী!
প্রতিদিন এই ব্যায়াম করুন- চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাত দুটো সোজা কানের দুই পাশ ঘেসে মাথার উপরে মাটিতে শোয়ানো থাকবে,পা মাটিতে শোয়ানো থাকবে। শ্বাস নিতে নিতে উঠে বসুন (উঠার সময় কনুই দিয়ে মাটিতে ভর দিবেন না, হাত কানের পাশ দিয়ে মাথার উপর উঠানো থাকবে) এবং দুই হাত একসাথে মাথার উপর থেকে নামিয়ে শরীরের দুই পাশ দিয়ে সামনে হাত বাড়ানো অবস্থায় বসুন।এবার শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পায়ের আঙ্গুল ছুতে চেষ্টা করুন। যতটুকু পারুন পায়ের আঙ্গুলের দিকে আগান (প্রথম প্রথম পেটের মেদের কারণে আঙ্গুল ছুতে পারবেন না, মেদ কমে গেলে এরপর পারবেন), এরপর থেমে শ্বাস নিতে নিতে আবার শরীর ঝুকানো অবস্থা থেকে সোজা বসে থাকা অবস্থায় ফিরে যান।এরপর শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে আগের মত করে শুয়ে পড়ুন। এভাবে ১০ বার করুন।মিষ্টি জাতীয় খাবার বাদ। ফাস্ট ফুড,অয়েলি খাবার বাদ। রিচ ফুড/পোলাও/বিরানী এইসব বাদ।দুপুর ২ টায় লাঞ্চ।ভাত ২ কাপ। শাক ১.৫ কাপ।মুরগী বা মাছ ২ টুকরা।ডাল ১ কাপ। মিক্সড ভেজিটেবল ১ কাপ। সালাদ ১.৫ কাপ (লেবুসহ)। মধুতে যদিও চিনি থাকে, কিন্তু এতে ভিটামিন ও মিনারেল থাকার কারণে এটি সাধারণ চিনির মত ওজন না বাড়িয়ে, কমায় ।কারণ সাধারণ চিনি হজম করতে আমাদের শরীর নিজের থেকে ভিটামিন ও মিনারেল খরচ করে, ফলে এই সব পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি হয়। এই সব উপাদান ফ্যাট ও cholesterol কমাতে বা ভাঙ্গতে সাহায্য করে। লেবু ওজন কমাতে সাহায্য করে। ১০০% মেনে চলা মুশকিল,এটা আমিও বুঝি কিন্তু পারতে হবে।অনেকে টিভি দেখতে দেখতে বাড়তি খাবার খেতে পছন্দ করে। তবে ওজন কমাতে চাইলে এই অভ্যেস বাদ দিতে হবে।রাতে খাওয়া ছেড়ে দেন অনেকেই। রাতে একদম না খেয়ে থাকা স্বাস্থ্যের জন্য খুব ক্ষতিকর। রাতের খাবার খেয়ে একটু হাঁটাচলা করুন, তারপর ঘুমাতে যান। দুপুরে ভরপেট খেয়ে ঘুম দিলে কিন্তু সর্বনাশ। ওজন:কমাতে চাইলে দুপুরের আরামের ঘুমটির কথা একদম ভুলে যান।
আসুন না দেখি একটু সচেতন হয়ে, কিছু কৌশলের মাধ্যমে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত ওজনের সাফল্যে পৌঁছাতে পারি কি না?নিয়মগুলো মেনে চলতে শুরু করেই দেখুন। কিছুদিনের মধ্যেই শরীর অনেক বেশি ফুরফুরে অনুভব করবেন। আর ওজন কমানো তো সময়ের ব্যাপার মাত্র।খুবই সাধারণ ও উপকারী এই নিয়মগুলো মেনে চলুন আর ফলাফল নিজেই উপলব্ধি করুণ।

চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল এর পুষ্টিবিদ মোস্তফা আল মামুন এর কাছ থেকে পোস্ট টি সংগৃহীত।

Sunday 22 March 2015

ওজন বাড়াবে যে ২০ টি খাদ্য

আপনি ও কি তাদের মধ্যে একজন? যারা তাদের ওজন কিভাবে একটু বাড়াবেন তার জন্য চেষ্টা করছেন!!কিন্তু ওজন বাড়াতে গিয়ে যেন আবার বাংলা সিনেমার জাম্বুর মত হয়ে না যান!! অনেকেই ওজন বাড়াতে গিয়ে ভুল করেন,ফলে শরীরে দেখা দেয় নানান সমস্যা। তাই আজ জেনে নিন স্বাস্থের সঠিক বৃদ্ধির জন্য ২০টি সঠিক খাদ্যের তালিকা। খাদ্য গ্রহণ এর মাধ্যমে আপনি যদি ওজন বাড়াতে চান তাহলে আপনাকে উচ্চ-ক্যালোরির জাঙ্ক ফুড অথবা কেবল পুষ্টিকর খাদ্য খেলেই হবে না [[জাংক ফুড অনেক রোগের কারণ]] । আপনাকে এমন খাদ্য বেছে নিতে হবে যাতে পুষ্টির ও শক্তি উভয়ই আছে পরিমাণ মত।

এখন আপনার জন্য ২০টি খাদ্যের তালিকা রইল যা খেলে আপনি সু-স্বাস্থ্যের জন্য পাবেন সঠিক পরিমাণ পুষ্টি:
১। চিনাবাদামের মাখনঃ সকালের নাস্তায় রুটিতে হালকা করে চিনাবাদামের মাখন মেখে খেতে পারেন। এটি আপনাকে যথেষ্ট পরিমাণ শক্তি দিবে প্রায় ১৯২ ক্যালরি!
২। একটা গোটা ডিমঃ এটি প্রোটিন ও তিন রকমের ভিটামিনে পরিপূর্ণ। এতে আছে ভিটামিন A, D,Eএবং প্রচুর পরিমাণ কলেস্টেরল।
৩। বাদাম ও মধু সমৃদ্ধ খাবারঃ সকালের নাস্তা হিসেবে বাদাম ও মধু সমৃদ্ধ খাবার আপনার নাস্তার তালিকায় রাখুন। এতে আপনি পাবেন প্রায় ৫০০ ক্যালরি। এছাড়া এটি এমন একটি খাবার যা আপনার সকালের নাস্তাকে সু-স্বাদু করে তুলবে।
৪। মাখনঃ মাখন আপনাকে দীর্ঘ মেয়াদী ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। তবে মাখন খেতে হবে পরিমাণ মত। কারন প্রচুর পরিমাণ মাখন আবার আপনার হার্টে সমস্যা করতে পারে।
৫। বন রুটিঃ বন রুটিতে থাকছে অতিরিক্ত ক্যালরি এবং প্রচুর পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট।
৬। ভুট্টা রুটিঃ ভুট্টার রুটি খেতে পারেন সকালে বা বিকেলে। ভুট্টাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট। আপনি সুপের সাথে ভুট্টার রুটি খেতে পারেন।
৭। পনিরঃ এক চামচ পনিরে থাকে ৬৯ ক্যালরি শক্তি।পনির তৈরি করা হয় দুধ থেকে তাই এতে থাকে প্রচুর প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, চর্বি ও কলেস্টেরল।
৮। ফলের রসঃ ফলের রস হচ্ছে ওজন বাড়ানোর স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর পথ। ১০০% ফলের রস আপনার শরীরে দেবে প্রচুর পরিমাণ চিনি ও পুষ্টি।
৯। পাস্তা ও নুডুলসঃ পাস্তা ও নুডুলস খাদ্যশস্য ও শর্করার একটি ক্যালোরি সমৃদ্ধ খাদ্য যোগান তাই এটি একটি সুস্থ এবং উচ্চ ক্যালোরি খাবার হিসাবে পরিচিত। আপনি প্রতিদিন পরিমাণ মত পাস্তা অথবা নুডুলস খেতে পারেন।
১০। চিংড়িঃ চিংড়িতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিকর ও প্রয়োজনীয় এসিড যা আপনার স্বাস্থ্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
১১। গমের পাউরুটিঃ গমের পাউরুটি খেয়ে আপনি পেতে পারেন ৬৯ ক্যালোরি শক্তি। এর ফলে আপনার ওজন বৃদ্ধি হবে।
১২। শুকনো ফলঃ আপনি দ্রুত ক্যালোরি পেতে পারেন শুকনো ফল খেয়ে। শুকনো ফলে পাকা ফলের মতই প্রচুর পরিমাণ ক্যালোরি থাকে।
১৩। যবের রুটিঃ যবের রুটিও হতে পারে আপনার সকালের নাস্তার জন্য উপযুক্ত। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ফাইবার ও পুষ্টি।
১৪। দইঃ দই আপনাকে ১১৮ ক্যালোরির সমপরিমাণ শক্তি যোগাবে। এটা চর্বি বিহীন শক্তিকর খাবারের মধ্যে অন্যতম। আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকাতে দই অন্তর্ভুক্তি করুন।
১৫। স্বাস্থ্যকর চর্বি ও তেলঃ আপনার খাদ্য তালিকাতে পরিমাণ মত চর্বি যুক্ত করুণ এর ফলে আপনার ক্যালোরির অভাব পুরন হয়ে যাবে। ভোজ্য তেল হিসেবে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
১৬। বাদামী চালঃ বাদামী চাল আপনাকে প্রচুর পরিমান কার্বোহাইড্রেট ও স্বাস্থ্য বৃদ্ধির উপাদান ফাইবার দিবে।
১৭। কলাঃ একটি কলাতে থাকে ১০০ ক্যালোরি। কলাতে ক্যাবল ক্যালোরি থাকে তাই নয় এটি আপনার কর্ম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
১৮। বাদাম এবং বীজঃ স্বাস্থ্য বৃদ্ধির জন্য বাদাম ও বীজ খেতে হবে। বাদাম ও বীজে রয়েছে পলি-আনসেচারেতেড চর্বি যা আপনার স্বাস্থ্য বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
১৯। মটরশুটিঃ নিরামিষীদের জন্য মটরশুটি প্রোটিনের প্রধান উৎস। তাই আপনি মটরশুটি প্রাণীজ আমিষের বিকল্প হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন।
২০। আলুঃ আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে কার্বোহাইড্রেট ও কমপ্লেক্স সুগার। নিয়মিত রান্না ও সিদ্ধ আলু খাওয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করতে পারেন।
আমরা আমাদের এই ব্লগ কে শিক্ষণীয় পোস্ট এর মাধ্যমে সবার কাছে ছড়িয়ে দিতে চাই।তাই আপনি ও আমাদের ব্লগের একজন সঙ্গি হন।।

Thursday 5 March 2015

গার্বেজ ব্যাগে পাওয়া গেল অস্কারজয়ী তারকার সেই পোশাক!


অস্কারজয়ী অভিনেত্রী লুপিতা নিয়োঙ্গের ১
লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলারের পোশাক চুরি হওয়ার ২ দিনের মধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে। তার এ পোশাক৬ হাজার মুক্তা ও হীরা দিয়ে খচিত ছিল। এবারের অস্কার অনুষ্ঠানে এ পোশাক পরে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা অথবা বুধবার দিনে এই পোশাক
চুরি হতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। ওয়েস্ট হলিউডের লন্ডন হোটেলের টয়লেটের ভেতর একটি গার্বেজ ব্যাগ থেকে পোশাকটি পাওয়া যায়। বর্তমানে লস এনঞ্জেলেসের কর্মীরা হোটেলটির পুনঃসংস্কারের কাজ করছে।
পুলিশ জানায়, সিসিটিভি ফুটেজে সন্দেহভাজন কিছু ধরা না পড়লেও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। ৬ হাজার মুক্তা দিয়ে খচিত এই পোশাকের কিছু মুক্তা পড়ে গেছে,তবে পোশাকটির কোনো ক্ষতি হয়নি।
৩১ বছর বয়সী লুপিতা নিয়োঙ্গে গত রোববার ৮৭তম অস্কার অনুষ্ঠানে এ পোশাকটি পরেন। ওই
অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থাপিকার ভূমিকা পালন করেন। কেনিয়ান অভিনেত্রী লুপিটা নিয়োঙ্গে গত বছর ‘টুয়েলভ ইয়ারস অ্যা স্লেভ’র জন্য সেরা সহ-অভিনেত্রী হিসেবে অস্কার পুরস্কার লাভ করেন। তিনি একই বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সাপ্তাহিক ‘পিপল ম্যাগাজিন’র সেরা সুন্দরী নির্বাচিত হন।

Saturday 28 February 2015

ছয় হাজার মুক্তোর পোশাক চুরি




চুরি হয়ে গেছে অস্কারজয়ী অভিনেত্রী লুপিতা নিয়ঙ্গর
সাড়া জাগানো মুক্তোর পোশাক। এই পোশাক পরেই
লুপিতা এবারের অস্কার আসরের লাল গালিচায় সবার নজর
কাড়েন।

লুপিতা এখন অবস্থান করছেন লন্ডন ওয়েস্ট হলিউড হোটেলে।
সেখান থেকেই চুরি হয় দেড় লাখ ডলার মূল্যের পোশাকটি।
ফ্রান্সিসকো কস্তার নকশায় কেলভিন ক্লেইনের এই
পোশাকটি তৈরিতে ব্যবহার করা হয় ছয় হাজার মুক্তা।
বুধবার ৩১ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী বাইরে থেকে তার হোটেল
কক্ষে ঢুকে আবিষ্কার করেন পোশাকটি নেই।
লুপিতা সে রাতে তার বন্ধু, মেইক আপ আর্টিস্ট
এবং স্টাইলিস্টদের সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছিলেন।
সে রাতের ৮টা থেকে ৯ টার মধে্য সব সারভেইলেন্স ভিডিও
খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
লুপিতার তরফ থেকে এখনও এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক
বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তার সঙ্গীদের তরফ থেকেও এ
ব্যাপারে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে লস এঞ্জেলসের
কাউন্টি শেরিফ ডিপার্টমেন্টের অফিসার জন মিচেল
ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চত করেন।

Friday 27 February 2015

এবার ওজন কমাতেও সাহায্য করছে স্মার্টফোন


ওজন কমাতে চান? স্মার্টফোন
আছে? ব্যাস তাহলেই
চিন্তা শেষ। এই সংক্রান্ত
একাধিক স্মার্টফোন অ্যাপ এখন
বাজারে ভর্তি। যে কোনও একটা ডাউনলোড
করতে পারলেই কেল্লাফতে। এই অ্যাপগুলো লাগাতার
মেসেজ করে ভিডিও পাঠিয়ে আপনাকে ডায়েট
নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কী খাবেন আর কী খাবেন
না সেই বিষয়ে বিস্তারিত পরামর্শ দেয়। নতুন এক
গবেষণায় দেখা গেছে ওজন কমাতে এই অ্যাপসগুলো বেশ
কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টুলান ইউনিভার্সিটি অফ
পাবলিক হেলথ ও ট্রপিকাল মেডিসিনের গবেষকদের
মতে এই স্মার্টফোন অ্যাপগুলির
সাহায্যে লক্ষ্যনীয়ভাবে ওজন কমে। এই
অ্যাপগুলি থেকে আসা লাগাতার মেসেজ বা ভিডিও
স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন
আনতে বাধ্যকরে।
এই ধরণের অ্যাপ ব্যবহারকারী ১,৩৩৭ জনের উপর র্যান্ডম
সমীক্ষা চালিয়েছেন গবেষকরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই
পসিটিভ ফলাফল মিলেছে।
টানা ৬মাস বা ১ বছর এই ধরণের অ্যাপ ব্যবহার
করলে দেখা গেছে গড়ে প্রায় প্রতিমাসে ১.৪৪
কেজি ওজন কমেছে।

Tuesday 10 February 2015

" Man Is The Architect Of His Own Fortune "

পোস্টটি যদিও একটু বড় তবে অনেক কিছু শেখার আছে।এখন সময় না হলে শেয়ার করে রাখুন,পরে পড়ে নিবেন।

গত চারদিন ধরে নাফিস ভয়াবহ মানসিক টেনশানে ভুগছে । খেতে বসলে খেতে পারেনা । খাবার গলা দিয়ে নামেনা ! পড়তে বসলে পড়তে পারেনা । পড়ার মাঝে থাকেনা সে । একটা ভয়ের...!! প্রচণ্ড ভয় আর লজ্জার পৃথিবীতে চলে যায় সে ! যেখানে সবসময় তাকে মাথা নিচু করে হাঁটতে হবে !! তাকে…তার মা কে… তার বাবাকে …!! মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে নিজেকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে । কোথাও গিয়ে মরে পড়ে থাকতে !! এত লজ্জার বোঝা সে কেমন করে বইবে !! পড়ার টেবিলে বসে হটাৎ একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে আনমনেই বলে উঠল সে- ‘’জীবনটা এখানে থেমে গেলেই বুঝি ভালো হত !!’’ নাফিস আবরার । একটা মোটামুটি মানের বেসরকারী স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র । আর ছাত্র হিসেবে তার মান ‘’ মোটামুটি’’ ও নয় ! সোজাসাপ্টা ভাষায় তাকে খারাপ ছাত্রই বলা যায় । আড়ালে আবডালে যাকে মানুষ খারাপ ছেলেও ডাকে ! যেই ছেলে ঠিকমত স্কুলে যায়না , পড়াশোনায় মনযোগ নেই , যার পড়ার টেবিলের ওপর এক ইঞ্চি পুরু ধুলার স্তর পড়ে আছে দীর্ঘদিন অযত্ন অবহেলার কারনে তাকে অবশ্য কেউ খারাপ ছেলে বললেও কোন প্রতিবাদ করার মত কোন সুযোগ থাকেনা । যার মা কে প্রতিদিন পাড়া প্রতিবেশীর টিটকারি শুনতে হয় এমন ছেলের জন্য , যার বাবা কখনো মানুষের সামনে মাথা উঁচু করে নিজের ছেলের কথা বলতে পারেনা , যার প্রতিদিনের রুটিন সকাল-সন্ধ্যা ফুটবল-ক্রিকেট খেলা , আর রাত হলে পড়ার সময় গল্পের বই নিয়ে পড়ে থাকা ! তাকে তো খারাপ ছেলে বলাই যায় !!! আর এই হল এলাকায় ‘’খারাপ ছেলে’’ হিসেবে পরিচিত নাফিসের পরিচয় । এভাবেই মানুষের লাঞ্ছনা- গঞ্জনা শুনে দিন কাটতে লাগলো নাফিসের । কিন্তু এসব নিয়ে তার কোন মাথাব্যাথাই যেন নেই !! সে আছে তার খেলাখুলা নিয়ে ! এক্কেবারে টেনশানলেস ! আস্তে আস্তে তার টেস্ট পরীক্ষা শুরু হল । নাফিস পরীক্ষা টা দিল কোন রকমে ! আসলে পরীক্ষা না দিয়ে অনেকটা হল থেকে ঘুরে আসলো-ই বলা যায় !! রেসাল্টও হল সেরকম ! চার সাবজেক্টে ডাব্বা ! যার ফলাফল হল- তাকে আর এসএসসি পরিক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হবেনা !! কিন্তু নাফিস রেজাল্ট দেখে অবাকই হল !! কারণ সে যত খারাপ ছাত্রই হোকনা কেন ! টেনেটুনে পাশ করার মত যোগ্যতা তার আছে !!! যাই হোক সে সাথে সাথে গিয়ে স্যার দের সাথে কথা বলল । আর তা থেকে জানতে পারল যে- তার মত একটা ছেলেকে কিছুতেই পরীক্ষা দিতে দেয়া হবেনা ! নাফিস চিন্তিত মনে বাসায় চলে এল । এসে অনেক ভয়ে ভয়ে মা কে সব খুলে বলল । ওর কথা শুনে মা কিছু বলল না । শুধু কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল ! নাফিস মায়ের কান্নাটা সহ্য করতে পারলনা । পরের দিন আবার স্কুলের দিকে রওনা দিল সে । যে করেই হোক… স্যার দের হাতে পায়ে ধরে হলেও তাকে এবছর এসএসসি পরিক্ষা দিতেই হবে !! নাহলে বাবা-মায়ের আর অপমানের অন্ত থাকবেনা !! ভেবেই নাফিসের গা টা শিউরে উঠলো !! যাওয়ার পথে রাস্তায় রেদওয়ানের সঙ্গে দেখা হল । নাফিস দের বাসার কাছেই ওদের বাসা । আর রেদওয়ান ওদের ক্লাসের থার্ড বয় । এবার টেস্টে 4.50 পয়েন্ট পেয়েছে বলে অহঙ্কারে মাটিতে পা পড়ছেনা ! রাস্তায় নাফিসকে পেয়ে রেদওয়ান আর তার সাঙ্গপাঙ্গরা দূর থেকে ওকে ‘ফেল্টুশ’ বলে বলে অপমান করল ! আজ প্রথমবার অপমান কি জিনিস বুঝতে পারল ও ! বুঝতে পারল মানুষের টিটকারি শুনে ওর বাবা- মায়ের কেমন লাগে ! স্কুলে পৌঁছেই আবার স্যারদের সেই কথাই শুনতে হল । শূন্য হাতেই ফিরতে হল ওকে ! কিন্তু সে হাল ছাড়ল না । দিনের পর দিন স্যারদের কাছে গিয়ে ভিখারীর মত ধর্না দিতে থাকল ! কিন্তু কিছুতেই কিছু হলনা । একবুক হতাশা , শূন্যতা আর অভিমান নিয়ে তৃতীয় দিন সে স্কুল থেকে কাঁদতে কাঁদতে বের হয়ে এল স্কুল থেকে । চোখের সামনে ভাসছিল শুধু মায়ের কান্নারত চেহারাটা , বাবার মাথা হেঁট করে হাঁটার ভঙ্গীটা ! নাফিসের পায়ের নিচের মাটি যেন সরে যাচ্ছিল ! মনে হচ্ছিল এখনই একটা গাড়ির নিচে লাফ দিয়ে মরে যেতে ! কিন্তু পারল না ! তাতে তো মা বাবার কষ্ট আরও বাড়বে !! এভাবে আনমনে হাঁটতে হাঁটতে হঠাত একটা পাথরের সাথে হোঁচট খেয়ে পড়ে গেল নাফিস ! খুব বাজে ভাবে ব্যাথা পেল ! হাঁটু ছিলে রক্ত বেরোচ্ছে ! এতটা ব্যাথা যে- পায়ে কোন অনুভুতিই হচ্ছেনা ! ওর মনে হচ্ছে যেন আর উঠে দাড়াতেই পারবেনা ও ! নাফিসের মোবাইল টা পকেট থেকে বেরিয়ে রাস্তায় পড়ে ছিল ! হঠাৎ কোথা থেকে কি যেন হয়ে গেল ! একটা চোর এসে রাস্তা থেকে মোবাইল টা তুলে নিয়ে দৌড় দিল ! অনেক প্রিয় মোবাইল ছিল নাফিসের ! বড় মামা বিদেশ থেকে পাঠিয়েছিল ! হঠাত করেই নাফিস ব্যাথার কথা ভুলে গেল !! কোন মতে রাস্তা থেকে নিজেকে টেনে তুলে চোরের পিছে ছুটতে লাগলো ! ছুটতে গিয়ে যেন অসুরের শক্তি এসে গেল ওর শরীরে ! ব্যাথার কথা বেমালুম ভুলেই গেল ! পাড়া বেড়ানো ছেলে নাফিস ! সারাদিন খেলাধুলা করে । প্রতিবছর দৌড়ে ফার্স্ট হয় ! তাই ছ্যাকড়া চোরটাকে ধরে ফেলতে বেশীক্ষণ লাগলোনা ওর ! কলার ধরে দুটো থাপ্পড় দিতেই মোবাইলটা ফেরত দিয়ে পালালো ! ওটা হাতে পেয়েই নাফিস আবার দুর্বল হয়ে পড়ল ! পায়ের ব্যাথাটা চিনচিন করে বাড়ছে । সেদিনের মত ঘরে চলে এলো ও । বিছনায় শুয়ে শুয়ে নাফিস আজকের ঘটনাটার কথা ভাবতে লাগলো ! হোঁচট খেয়ে তো মুখ থুবড়ে পড়েছিল ও ! কিন্তু চোরটার পিছু নেয়ার জন্য যদি উঠে না দাঁড়াত তাহলে কি কখনও ফেরত পেত ওর জিনিসটা !! হঠাত বুঝতে পারল সে- আজকের এই ঘটনার সাথে তার নিজের জীবনেরও মিল আছে !! হোঁচট খেয়ে তো সবাই পড়ে ! কিন্তু দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে আবার উঠে দাড়াতে হয় !! সফল হতে হলে ক্ষতবিক্ষত শরীর নিয়েও লড়ে যেতে হয় ! সে মনে মনে তখনই ভেবে নিল ! এভাবে হেরে গেলে চলবেনা ! তাকে উঠে দাঁড়াতে হবে !! হ্যাঁ-সে আবার উঠে দাঁড়াবে ! তাকে দাঁড়াতেই হবে !!! পরদিন নাফিস তার মা কে নিয়ে স্কুলে হেডস্যারের রুমে গেল । তখন ওখানে স্কুলের প্রায় সব স্যারই একটা মিটিং-এ বসেছিল ওই স্কুলের এ+ এর হার কম বলে ! গত চার বছরে মাত্র ১০ জন ছেলে এ+ পেয়েছে এই স্কুল থেকে ! নাফিস স্যারের অনুমতি চাইল ভেতরে ঢুকার । নাফিসের মা কে দেখে হেডস্যার ভেতরে আসতে বললেন । নাফিস বলল-‘’স্যার আমি পরীক্ষা দিতে চাই । আমি জানি আপনারা রাজি হবেন না । কারণ একটা ছেলে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করলে স্কুলের বদনাম হবে । আর আপনারা এটা চান না । কিন্তু স্যার- আমি আজ আপনাদের এটা বলতে এসেছি যে , আমাকে একটা সুযোগ দিয়ে দেখুন । আমি এই স্কুল থেকে এ+ পেয়ে দেখাবো । প্লিজ স্যার একটা সুযোগ দিন আমাকে !! প্লিজ !! নাহলে আজ আমার মা কে এখান থেকে অপমানের বোঝা মাথায় নিয়ে বের হতে হবে ‘’ কথাগুলো বলতে বলতে নাফিস ঝরঝর করে কেঁদে ফেলল । হেডস্যার তাকিয়ে দেখলেন , নাফিসের মায়ের চোখেও পানি ! স্যার খুব আবেগী হয়ে গেলেন কেন জানি ! অন্য স্যারদের সাথে পরামর্শ করে নাফিসকে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ দিলেন । ওদিন ওই মুহূর্তে নাফিসের চেয়ে খুশী বোধহয় কেউ হয়নি । হেডস্যারকে সালাম করে চলে আসল । স্যার শুধু নাফিসের পিঠে হাত বুলিয়ে একটা কথা বললেন-‘’বাবা রে, তোর মাকে যেন আর কাঁদতে না হয়’’ । স্যারের কথা শুনে নাফিস কান্না চেপে চলে আসলো ওখান থেকে । আসতে আসতে নাফিস প্রতিজ্ঞা করল যে – হ্যাঁ ! নাফিস ওর মাকে কাঁদাবে । কিন্তু সেটা হবে সুখের কান্না । হ্যাঁ !! এটা ওর প্রতিজ্ঞা । একটা এক্সামে ফেল করা খারাপ ছেলের প্রতিজ্ঞা ! দিন কেটে যায় ধীরে ধীরে । এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট দিয়েছে আজ । সকাল থেকে বাসায় বসে আছে নাফিস । কেউই ওকে বাইরে দেখেনি । কেউ আর ওর খবরও নেয়নি ! ফেলু ছেলে ফেলই করবে ! এ আর এমন কি ! রাত ন’টা বাজে । রেদওয়ানের মা নাফিসদের বাসায় এলো মিষ্টি নিয়ে । আসলে যতটা না নিজের ছেলের পাশ করার খুশিতে এলো , তার চেয়ে বেশী খুশী লাগছে নাফিসের পরীক্ষায় ফেল করার কথা ভেবে ! আর সে নাফিসের মা কে কিছু ঠেস মারা কথা বলতে পারবে সেই কথা ভেবে !! এসেই উনি বলল- ‘’ভাবি !! আপনাদের দোয়ায় রেদওয়ান তো এ+ পেয়েছে !! এই নেন ! মিষ্টি খান !! ‘’ হঠাৎ ঠোঁটের কোণে হাসি চেপে রেদওয়ানের মা বলল যে- ‘’আপনার ছেলেটা কই ??? দেখছিনা যে !! রেজাল্ট কি ওর ?? ফেল করেছে বুঝি !!!! কি ছেলে যে জন্ম দিলেন ভাবী ! আপনাদের মান সম্মান তো ধুলোয় মিশিয়ে দিল একদম !! এখন কি করবেন ??? এক কাজ করেন ভাবী , আমার এক পরিচিত লোক আছে ! শহরে বড় দোকান আছে উনার ! ওখানে সেলস ম্যানের কাজে ঢুকিয়ে দিন ! অন্তত ব্যাবসা হলেও শিখুক ! জীবনে একটা কিছু করে খেতে পারবে । অন্তত আপনাদের ঘাড়ের বোজা তো হবেনা !!.....হেহেহে.........’’ নাফিস সবই পাশের রুমে বসে শুনছিল ! রাগে পিত্তি জ্বলে যাচ্ছিল ওর ! কিন্তু ও শুধু আজকের দিনটার অপেক্ষায় ছিল !!! ওর মায়ের চোখে সুখের জল দেখার অপেক্ষায় ! রেদওয়ানের মা আরও কিছু বলতে যাচ্ছিল ! এমন সময় নাফিস এল ওই রুমে ! দাঁতে দাঁত চেপে বলল- ‘’শুনুন খালাম্মা , আমি গোল্ডেন এ+ পেয়েছি ! আমাদের স্কুলের ইতিহাসের প্রথম গোল্ডেন এ+’’ নাফিসের কথা শুনে রেদওয়ানের মা ভূত দেখার মত অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকল ! অনেক অপমান লাগলো উনার ! কিন্তু কথায় আছে ‘কয়লা ধুলে ময়লা যায়না’ । তাই সেও হাল ছাড়লনা ! নাফিসকে অপদস্ত করতে চাইল টেস্টের রেজাল্টের কথা বলে ! বলল যে-‘তুমি না টেস্ট...’’ তার মুখ থেকে কথা কেড়ে নিয়ে নাফিসই বুক ফুলিয়ে বলে দিল- ‘’হ্যাঁ ! আমি টেস্টে ফেল করেছি ! তো কি হয়েছে ???’’ ওর মুখে হঠাৎ এমন শুনে রেদওয়ানের মা আর থাকতে পারল না । প্রচণ্ড অপমানিত হয়ে , মুখ কালো করে চলে গেল । নাফিস তার মায়ের মুখের দিকে তাকাল । মা কাঁদছে । সুখের কান্না ! সন্তানের প্রাপ্তিতে খুশীর কান্না ! নাফিস গিয়ে মা কে জড়িয়ে ধরল । নাফিসও কাঁদছে । বিজয়ের কান্না !! মা কাঁদতে কাঁদতে বলল – ‘’তুই একদিন অনেক বড় হবি বাবা । অনেক বড় মানুষ হবি তুই’’ সেদিন বোধহয় কেউ একজন সৃষ্টির অন্তরালে বসে মা ছেলের এই আবেগের কান্না দেখেছিলেন , মায়ের সেই দোয়া শুনেছিলেন !! পরিশিষ্টঃ- কিছুদিন পর জানা গেল নাফিস নাকি ওই বোর্ডে চতুর্থ হয়েছে ! পুরো স্কুলে আর আদিখ্যেতার অন্ত রইলনা ওর জন্য ! স্যাররা মাথায় তুলে নাচে মতন অবস্থা ! রেদওয়ানের মাকে আর কখনও নাফিসের মায়ের মুখোমুখি হতে দেখা যায়নি । আর আসেননি তিনি ওদের বাসায় ! বোধহয় ওদিন নাফিসের ঝাটকি টা বেশীই হয়ে গেছিল ! হাহাহা...!! নাফিসের মা-বাবা এখন অনেক সুখে আছে । মা তো সবার কাছে ছেলের একের পর এক অর্জনের কথা বলতে বলতেই হয়রান হয়ে যায় । বাবা এখন মাথা উঁচু করে হাঁটে ! রাস্তায় পরিচিত কেউ দেখলে বলে- ‘’ওই দেখো ! নাফিসের বাবা যায় !’’ নাফিস এখন অনেক বড় । শুনলাম বুয়েট থেকে পাশ করে পিএইচডি করতে লন্ডনে গেছে কিছুদিন আগে । দেশে যখন ছিল তখন কেউ যদি ওর শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা জিজ্ঞেস করত তখন নাকি বুক ফুলিয়ে বলত- ‘ক্লাস টেনে টেস্ট এক্সামে ফেল’ !! এই টেস্ট এক্সমে ফেল করে ছেলেটা আর কিছু শিখুক অথবা না শিখুক , একটা জিনিস ঠিকই শিখেছে- জীবনে অনেক ধাক্কা খাবে , হোঁচট খাবে , পড়ে যাবে , শরীর ক্ষতবিক্ষত হবে , সবাই আঘাত করতে থাকবে তোমাকে ! কিন্তু হেরে গেলে চলবে না ! আবার উঠে দাঁড়াতে হবে । ব্যাথা,দুঃখকে সঙ্গী করেই দৌড়াতে হবে । পৃথিবী সোনার চামচ মুখে নেয়া ননীর পুতুলদের চায় না । পৃথিবী গোবরের মাঝে পদ্মফুল খুজে বেড়ায় । পৃথিবী অমিতাভ বচ্চনের ছেলে অভিষেক বচ্চনকে ‘হিরো’ বলতে কুণ্ঠাবোধ করে ! কিন্তু সামান্য বাসের হেল্পার থেকে উঠে আসা রজনী কান্তকে নির্দ্বিধায় ‘সুপারহিরো’ বলে ! পৃথিবী সামনের সারিতে বসে থাকা বিড়ালদের চায় না । পৃথিবী তাদেরই চায় যারা সকল প্রতিকূলতাকে তুচ্ছ করে বাঘের মত পেছনের সারি থেকে সামনে উঠে আসে ! কজ,দ্যা ওয়ার্ল্ড ইজ অনলি ফর ফিটেস্ট এন্ড ফাইটারস ! আত্মতৃপ্তি বড় জিনিস ! স্রোতের প্রতিকূলে নৌকা চালিয়ে সবার আগে নদী পার হওয়ার মজাই আলাদা ! তখন ওই আত্মতৃপ্তির সুখ টার সাথে পৃথিবীর কোন সুখেরই তুলনা হয়না ! নাফিস আবরার সেটা করে দেখিয়েছে ! স্রোতের প্রতিকূলে নৌকা চালিয়ে সবার আগে নদী পার হয়ে দেখিয়েছে !! একটা ফেল করা ছেলে সবচেয়ে সফল হয়ে দেখিয়েছে ! আমার কথাঃ- এই গল্পটা তাদের জন্য যারা জীবন যুদ্ধে পরাজিত ভাবছে নিজেকে । যারা ভাবছে তাদের সব শেষ হয়ে গেছে ! যারা নিজ নিজ অবস্থানে একবুক হতাশা আর শুন্যতা নিয়ে ‘খারাপ ছেলে’র তকমা নিয়ে ঘুরছে ! যারা মা-বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে প্রতিদিন , প্রতি মুহূর্তে মরছে ! না ! সব শেষ হয়নি !! জীবন তো মাত্র শুরু !! খুজে দ্যাখ না !! হয়তো তোমার মধ্যেও খুঁজে পাবি কোন ঘুমন্ত নাফিস আবরার কে !
Showing posts with label লাইফস্টাইল. Show all posts
Showing posts with label লাইফস্টাইল. Show all posts

Monday 19 October 2015

বিনা কাস্টমসে যেসব পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করা যাবে

বিনা কাষ্টমসে(Custom) বিদেশ থেকে কি কি জিনিস আমদানী করতে পারবেন, তা আপনি জানেন কি? না জানলে পড়ুন।আমাদের অনেকের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব বিদেশে থাকেন।দেশ-বিদেশ যাতায়ত করার সময় আমরা বিদেশ থেকে অনেক জিনিস এনে থাকি, সেটা হয়ত প্রয়োজনে বা শখের বশে, অথবা আত্মীয়কে খুশি করতে। অনেক সময় সামান্য একটু অসর্তকতার কারনে আপনার ক্রয়কৃত পন্য এয়ারপোর্টে ফেলে আসতে হয় অথবা শুল্ক বাবদ দিতে হয় অনেকগুলি টাকা।আগেই বলি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পন্য আনার ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য নয়। শুধুমাত্র নিজ ব্যবহার, গৃহস্থালী ব্যবহারের জন্য প্রযোজ্য।
●প্রথমেই দিচ্ছি শুল্ক কর আরোপযোগ্য পন্যের তালিকা→
(ক) ব্যাক্তিগত এবং গৃহস্থালী কাজে ব্যাবহৃত হয় না এমন পন্য।
(খ) দুইটি স্যুটকেসের অতিরিক্ত স্যুটকেসে আনীত ব্যাগেজ। তবে ৩য় স্যুটকেসে আনীত বইপত্র, সাময়িকি বা শিক্ষার উপকরণ শুল্ক ও কর মুক্তভাবে খালাসযোগ্য।
(গ) বাণিজ্যিক পরিমানে যে কোন পন্য ব্যাগেজে আমদানী হলে শুল্ক ও কর আরোপযোগ্য।

★(ঘ) নিম্নে বর্ণিত পণ্য ব্যাক্তিগত ও গৃহস্থালী ব্যাগেজ হিসেবে আমদানী হলেও প্রতিটির পাশে উল্লেখিত হারে কর পরিশোধ করতে হবে→
(১) টেলিভিশন (CRT) ২৫" এর উর্ধ্বে হলে ২৯" পর্যন্ত ৩০০০/- টাকা।
(২) Plasma, LCD, TFT ও অনুরুপ প্রযুক্তির টেলিভিশন:
(ক) ১৭" হতে ২১" পর্যন্ত = ১০,০০০.০০/= টাকা,
(খ) ২২" হতে ২৯" পর্যন্ত = ১৫,০০০.০০/= টাকা,
(গ) ৩০" হতে ৪২" পর্যন্ত = ২০,০০০.০০/= টাকা,
(ঘ) ৪৩" হতে ৫২" পর্যন্ত = ৫০,০০০.০০/= টাকা,
(ঙ) ৫৩" হতে তদুর্ধ সাইজ = ৭৫,০০০.০০/= টাকা।

(৩) (ক) ৪টি স্পিকারসহ কম্পোনেন্ট (মিউজিক সেন্টার) সিডি/ডিভিডি/ভিসিডি/এমডি/ এএলডি/ ব্লু-রে-ডিস্ক সেট = ৪,০০০.০০/= টাকা।
(খ) ৪ এর অধিক তবে সবোর্চ্চ ৮টি স্পিকারসহ (মিউজিক সেন্টার) হোম থিয়েটার/সিডি/ডিভিডি/ভিসিডি/এমডি/ এএলডি/ ব্লু-রে-ডিস্ক সেট = ৮,০০০.০০/=

(৪) রেফ্রিজারেটর/ ডিপ ফ্রিজার = ৫,০০০.০০/=
(৫) ডিশ ওয়াশার/ ওয়াশিং মেশিন/ ক্লথ ডায়ার = ৩,০০০.০০/=
(৬) এয়ারকুলার/ এয়াকন্ডিশনার
(ক) উইন্ডো টাইপ = ৭,০০০.০০/= টাকা
(খ) স্প্লিট টাইপ = ১৫,০০০.০০/= টাকা
(৭) ওভেন বার্নারসহ = ৩,০০০.০০/=
(৮) ডিস এন্টেনা = ৭,০০০.০০/=
(৯) স্বর্ণবার বা স্বর্ণপিন্ড (সবোর্চ্চ ২০০ গ্রাম) প্রতি ১১.৬৬৪ গ্রাম বা ভরি= ১৫০.০০/=
(১০) রৌপ্যবার বা রৌপ্য পিন্ড (সর্বোচ্চ ২০০ গ্রাম) প্রতি ১১.৬৬৪ গ্রাম = ৬.০০/=
(১১) HD Cam, DV Cam, BETA Cam & Professional used Camera = 15,000.00 Taka.
(১২) এয়ারগান/ এয়ার রাইফেল = ২,০০০.০০ টাকা (বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমুতি সাপেক্ষে আমদানিযোগ্য, আমদানি নীতি-আদেশ ২০০৩-২০০৬ দ্রষ্টব্য )
(১৩) ঝাড়বাতি = ৩০০.০০ টাকা প্রতি পয়েন্ট।
(১৪) কার্পেট ১৫বর্গ মিটার পর্যন্ত = ৫০০.০০ টাকা প্রতি বর্গমিটার।

★এবার দেখুন কি কি পন্য বিনা শুল্কে আমদানীযোগ্য (প্রত্যেকটি ১টি করে)→
১. ক্যাসেট প্লেয়ার/ টু ইন ওয়ান,
২. ডিস্কম্যান / ওয়্যাকম্যান অডিও,
৩. বহনযোগ্য অডিও সিডি প্লেয়ার,
৪. ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, ইউপিএস, স্ক্যানার, ফ্যাক্সমেশিন।
৫. ভিডিও ক্যাম: এইচ ডি ক্যাম, ডিভি ক্যাম, বেটা ক্যাম এবং প্রফেশনাল কাজে ব্যবহৃত হয় না এমন ক্যামেরা ব্যাতিত সব।
৬. ডিজিটাল ক্যামেরা,
৭. সাধারণ/পুশবাটন/কর্ডলেস টেলিফোন সেট
৮. সাধারণ ইলেকট্রিক ওভেন/ মাইক্রোওয়েভ ওভেন,
৯. রাইস কুকার/ প্রেসার কুকার,
১০. টোস্টার/ স্যান্ডউইচ মেকার/ ব্লেনডার/ ফুড প্রসেসর/ জুসার/কফি মেকার।
১১. সাধারণ ও বৈদ্যুতিক টাইপ রাইটার,
১২. গৃহস্থালী সেলাই মেশিন (মেনুয়াল/বৈদ্যুতিক)
১৩. টেবিল / প্যাডেস্টাইল ফ্যান,
১৪. স্পোর্টস সরন্জাম (ব্যাক্তিগত ব্যবহারের জন্য)
১৫. ২০০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণ/র্যোপ্য অলংকার (এক প্রকারের অলংকার ১২টির অধিক হবে না)
১৬. এক কার্টুন সিগারেট (২০০ শলাকা),
১৭. ২৪" পর্যন্ত রঙ্গিন টিভি (সিআরটি)/সাদাকালো টিভি,
১৮. ভিসিআর/ভিসিপি,
১৯. সাধারণ সিডি ও দুই স্পিকার সহ কম্পোনেন্ট (মিউজিক সেন্টার/ সিডি/ ভিসিডি/ ডিভিডি/এলডি/ এমডি সেট)
২০. ভিসিডি/ডিভিডি/এলডি/এমডি ব্লুরেডিস্ক প্লেয়ার,
২১. এলসিডি মনিটর ১৭" পর্যন্ত (টিভি সুবিধা থাকুক বা নাই থাকুক)
২২. একটি মোবাইল সেট।

[[বিঃদ্রঃ বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্স ( Biman Bangladesh Airlines) এ ক্যারি ১৫ কেজি পর্যন্ত আনা যায় আর ৪৪.৪০ কিলো পর্যন্ত বুকিং দেয়া যায়। যারা বিদেশ থেকে কম্বল (Blanket /Quilt) আনেন, তারা ২টি কম্বল এক সাথে বাধবেন না। এয়ার পোর্ট এভাবে এখন আর এলাউ করে না। ২টির বেশী কম্বল আনতে দেয় না। কারণ আপনার জন্য যে আয়তনের জায়গা বরাদ্দ আছে তা ২ কম্বল ও একটি লাগেজেই ভরে যায়। কম্বল ৩টি হলে অন্যর কম্পার্টমেন্ট শেয়ার করতে হয়। তাই ডিজএলাউড।]]

Thursday 25 June 2015

সর্বনিম্ন ফিতরা নির্ধারণ জনপ্রতি ৬০ টাকা

গম বা আটার বাজারমূল্য হিসাব করে এবার
সর্বনিম্ন ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে জনপ্রতি
৬০ টাকা
বুধবার ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে
ফিতরা নির্ধারণী সভায় এ সিদ্ধান্ত হয় বলে
ফাউন্ডেশনের পরিচালক এ এন এম সিরাজুল ইসলাম
জানান।
১ কেজি ৬৫০ গ্রাম গম বা আটা অথবা খেঁজুর,
কিসমিস, পনির বা যবের মধ্যে যে কোনো একটি
পণ্যের ৩ কেজি ৩০০ গ্রামের বাজার মূল্য ফিতরা
হিসেবে গরিবদের মধ্যে বিতরণ করা যায়।
এই হিসেবে এবার সর্বনিম্ন ৬০ টাকা থেকে ১
হাজার ৬৫০ টাকা ফিতরা নির্ধারণ করা হয়েছে
বলে সিরাজুল ইসলাম জানান।
তিনি বলেন, “নিজ নিজ সামর্থ্য অনুসারে এসব
পণ্যের যে কোনো একটি দিয়ে অথবা সমপরিমাণ
দাম দিয়ে ফিতরা আদায় করা যাবে। তবে খুচরা
বাজারে এসব পণ্যের দামে তারতম্য থাকতে
পারে।”
ইসলাম ধর্মের বিশ্বাস অনুযায়ী, প্রত্যেক
সামর্থ্যবান মুসলমানের জন্য ফিতরা আদায় করা
ওয়াজিব। নাবালক ছেলেমেয়ের পক্ষ থেকে
বাবাকে এই ফিতরা দিতে হয়। আর তা দিতে হয়
ঈদুল ফিতরের নামাজের আগেই।
গত বছর সর্বনিম্ন ফিতরা ধরা হয়েছিল জনপ্রতি
৬৫ টাকা; তার আগের বছর ছিল ৬৬ টাকা।
সিরাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে বায়তুল
মোকাররম জাতীয় মসজিদে ইসলামিক
ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে এই সভায় ফিতরা
নির্ধারণী কমিটির সদস্য ও বিশেষজ্ঞরা উপস্থিত
ছিলেন।

Thursday 11 June 2015

ড. মুসা বিন শমসের বাংলাদেশের কিংবদন্তি


ড.মুসা বিন শমসের তিনি শুধু এবারই নয় এর আগেও
আলোচনায় এসেছেন শুধু বাংলাদেশে নয় বিশ্ব
মিডিয়ায় তাকে নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়েছে।
বৃটেনের বিরোধীদলীয় নেতা পরবর্তীতে
প্রধানমন্ত্রী টনী ব্লেয়ারের নির্বাচনী তহবিলে
৫০ লাখ পাউন্ড অনুদান দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে বিশ্ব
মিডিয়ার আলোচনায় আসেন। এরপর ১৯৯৭ সালে
আয়ারল্যান্ডের জাতীয় ঐতিহ্য কালকিনি দুর্গ
কিনে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সদর দপ্তর করার
প্রস্তাব দিয়ে আর একবার বিশ্বব্যাপী আলোচনায়
এসেছিলেন। স¤প্রতি দুর্নীতি দমন কমিশন তার
বিত্তবৈভব ও বিদেশে অর্থ পাচার নিয়ে
অনুসন্ধ্যানে নামায় আবার তিনি আলোচনায়
এসেছেন।
১৯৯৮ সালে লন্ডনের সানডে টেলিগ্রাফের ১৭ মে
সংখায় ”ম্যান উইথ দ্য গোল্ডেন গানস’শিরোনামে
আলোচিত হয়েছিলেন বাংলাদেশের ধনকবের মুসা
বিন শমসের। টেলিগ্রাফের এই সংখ্যায়
বাংলাদেশের মুসা বিন শমসেরকে নিয়ে লেখা
হয়েছিল এক ব্যাতিক্রম ধর্মী এক প্রচ্ছদ কাহিনী।
রিপোর্ট টি প্রকাশিত হবার পর পশ্চিমা জগতে
দারুন আলোড়ন তোলেন মুসা বিন শমসের। প্রচ্ছদ
কাহিনীতে টেলিগ্রাফের বিশেষ প্রতিনিধি
নাইজেল ফার্নডেল লিখেন , বিশ্বের প্রথম সারির
এই ব্যবসায়ী পৃথিবীর সর্বত্র বিশেষ করে পাশ্চাত্য
সমাজে ’ প্রিন্স অব বাংলাদেশ’ বলে খ্যাত।
বিশ্বখ্যাত এই ধনকুবের আর কেউ নন তিনি
বাংলাদেশের ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার
কাজীকান্দা গ্রামে জন্ম নেয়া ড. মুসা বিন
শমসের। যিনি বিশ্ব দরবারে প্রিন্স মুসা বলে
পরিচিত।
ড. মুসা বিন শমসের নামে তিনি বিশ্বব্যাপী
পরিচিত হলেও তার নাম এ ডি এম ( আবু দাইদ
মোহাম্মদ ) মুসা। তিনি ১৯৫০ সালের ১৫ অক্টোবর
ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা উপজেলার ফুলসুতি
ইউনিয়নের কাজীকান্দা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
তার পিতার নাম মোঃ শমসের আলী মোল্লা।।
মুসা বিন সমশের এর পিতা বৃটিশ আমলে কলকাতা
বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি লাভ
করেন। এরপর তিনি বৃটিশ ভারতীয় সরকারের শিক্ষা
কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি করেন। ফরিদপুরের
নগরকান্দায় শিক্ষা কর্মকর্তা শমসের নামে তিনি
পরিচিত ছিলেন।
২০১০ সালে তাকে নিয়ে আবার আলোচনার ঝড় উঠে
পশ্চিমা জগতে। সাত বিলিয়ন ডলার বা ৫১ হাজার
কোটি টাকা সুইস ব্যাংকে আটকে যাওযার খবরে
তিনি আবার আলোচনায় আসেন। এ একাউন্ট জব্দ
করেছেন ব্যাংক কর্তৃপক্ষই। বলা হয়েছে ড. মুসা বিন
শমসেরের লেনদেন অনিয়মিত। টাকা তুলতে না
পারার কারণ ১ কেটি ডলার দামের একটি মন্ট বাষ্ক
কলম। জানা গেছে ফ্রান্সে তৈরি নির্মাতা
কোম্পানি একািট মাত্র কলমই তৈরি করেছেন। ২৪
ক্যারেট স্বর্নে তৈরি কলমটিতে রয়েছে ৫৭০০ টি
হীরকখন্ড। এক কোটি ডলারের বেশি লেনদেনের
কোন ব্যবসায়িক চুক্তি হলেই নাকে তিনি এই কলম
দিয়ে সাক্ষর করতেন। স¤প্রতি এই কলমটি আটকে
দিয়েছে সুইস ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। এই কলম তুলতে
যাওয়ার পরই জানতে পারেন সুইস ব্যাংকে রক্ষিত
তার সকল সম্পদই জব্ধ করা হয়েছে। তাঁকে বাংলাদেশের ‘জনশক্তি
রপ্তানির জনক’ বলা হয়। রূপকথার মতোই তাঁর বর্ণিল
জীবন ও বিস্ময়কর সব কর্মধারা।বিস্ময়কর এই ব্যক্তিকে জানার আপনার অনেক কৌতূহল আছে। তাহলে দেখে নিন তার লাইফস্টাইল :
কলম : তিনি যে কলম দিয়ে স্বাক্ষর করেন সেটি এক
কোটি ডলার দামের মন্ট বাঙ্ক কলম। ফ্রান্সে
তৈরি ওই কলম মাত্র একটিই তৈরি করেছে
নির্মাতা কোম্পানি। ২৪ ক্যারেট সোনা দিয়ে
তৈরি এ কলমটিতে রয়েছে ৭৫০০টি হীরকখণ্ড। সারা
বছরই কড়া প্রহরায় এ কলমটি রক্ষিত থাকে সুইস
ব্যাঙ্কের ভল্টে। প্রয়োজন হলে সর্বোচ্চ
নিরাপত্তায় ওই কলম নিয়ে যাওয়া হয় নির্দ্দিষ্ট
স্থানে। আবার সেভাবে ফেরত নিয়ে আসা হয়।
ঘড়ি : তিনি যে ঘড়ি ব্যবহার করের সেটি রোলেক্স
এর ৫০ লাখ ডলার দামের বিশেষ ঘড়ি। ওই বিশেষ
ঘড়ি মাত্র একটিই তৈরি করেছে নির্মাতা
কোম্পানি। এই মূল্যবান ঘড়িটি তৈরি করা হয়েছিল
২৭ মাসেরও বেশি সময় ধরে।
আংটি : তিনি কয়েকটি আংটি ব্যবহার করেন। তার
মধ্যে ১৬ ক্যারেটের একটি রুবি। যার দাম ১০ লাখ
ডলার। ৫০ হাজার ডলার দামের একটি চুনি। এছাড়া
৫০ হাজার ডলার দামের একটি হীরা ও এক লাখ
ডলার দামের একটি পালা (এমেরাল্ড)।
স্যুট : তাঁর পরনের স্যুটগুলো স্বর্ণসুতাখচিত। তাঁকে
কখনো এক স্যুট পরিহিত অবস্থায় দুই বার দেখা যায়
না। প্রতিটি স্যুটের দাম ৫ হাজার থেকে ৬ হাজার
পাউন্ড। যা শুধু তাঁর জন্য তৈরি করা।
পোশাক : পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ডিজাইনার বলে
খ্যাত প্রিওনি বেলভেস্ট এবং ইটালির আবলা এবং
ফ্যান্সিসকো স্মলটো ও খ্রিস্টিয়ান ডিয়রের
বিশেষ ব্র্যান্ডের অতি মূল্যবান পোশাক-আশাক
দিয়েই তাঁর সারি সারি ওয়্যারড্রব ভর্তি। এসবের
জন্য তাকে বলা হয় The Best Dressed Man of the
World.
জুতা : তিনি হীরকখচিত যে জুতা পরেন তার প্রতি
জোড়ার মূল্য লক্ষ ডলার। তাঁর সংগ্রহে এমনি
রত্নখচিত হাজারো জুতো রয়েছে।
গোসল : তিনি প্রতিদিন নির্জলা গোলাপ পানি
দিয়ে গোসল করেন।
পানি : তিনি সবসময় ফ্রান্সের ইভিয়ান ব্র্যান্ডের
পানি পান করেন।
বাসা : তাঁর বাসার স্টাইল-আয়োজন কর্মকাণ্ড
সবকিছুই ফাইভ স্টার মানের। গুলশানে অবস্থিত
তাঁর প্রাসাদের সাজসজ্জা চোখ ধাঁধানো। লিভিং
রুমসহ ভবনের ছাদ অবধি শোভা পায় দ্যুতিময় অসংখ্য
ঝালর। মেঝে মূল্যবান ক্রিস্টাল পাথরে ছাওয়া।
ফ্লোরে ঝকঝকে কার্পেট। এ বাসাতে প্রায়
প্রতিদিনই পার্টি থাকে। সেখানে সবসময় তার
দেশি বেদেশি হাইপ্রোফাইল মেহমানরা উপস্থিত
থাকেন। পার্টিতে খাবার পরিবেশনের জন্য রয়েছে
প্রশিক্ষিত কয়েক ডজন সেফ। এরা সবাই রান্না-
বান্না ও পরিবেশনার উপর উচ্চ ডিগ্রিধারী।
দেহরক্ষী : চারজন নারী দেহরক্ষীসহ মোট ৪০ জন।
জন্মদিন : ১৯৯৯ সালের দিকেই সম্ভবত, তিনি পুরো
এটিএন বাংলা কয়েক ঘণ্টার জন্য ভাড়া
নিয়েছিলেন শেরাটনে তাঁর জন্মদিনের অনুষ্ঠানটি
সরাসরি সম্প্রচার করবার জন্য।
অন্যান্য : তার ব্যাক্তিগত জেট প্লেনটি ধার
দিয়েছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট প্রার্থী বব
ডোলের যাতায়াতের জন্য। কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট
তাকে নিয়মিত ফোন করে পরামর্শ নেয়। ক্ষমতায়
থাকার সময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বরিস
ইয়েলতসিন তো নিয়মিত খোজ নিত তার।
তার নিজের একান্ত চেষ্টায় প্রথম বাংলাদেশী
জনশক্তির জন্য ইউরোপীয় স্বর্ণ-দ্বার খুলে যায়।
এমনকি বাংলাদেশের ডিপ্লোমা নার্সিং
কাউন্সিলের সনদ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃতি লাভ
করে তারই লবিং এর ফলে। ফলে এদেশের নার্সরা
ইচ্ছে করলে সহজেই বিদেশে গিয়ে চাকুরী করতে
পারে এখন।

Monday 8 June 2015

'সেরা রন্ধনশিল্পী-২০১৫’ প্রতিযোগিতা (২য় পর্ব)


যে কাঁদতে জানে,সে রাঁধতে জানে! সত্যি কি তাই? কাঁদেন বা রাঁধেন যাই করেন না কেন, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলা এবং পাক্ষিক দ্য বাংলাদেশ মনিটর রান্নাপ্রিয় ভাই-বোনদের জন্য আয়োজন করেছে এক রন্ধনশিল্প প্রতিযোগিতার।দেখিয়ে দিন আপনার প্রতিভা আর হয়ে উঠেন দেশ সেরা রাঁধুনি।
দেশের রন্ধনশিল্পী প্রতিভা অন্বেষণে টিভি রিয়্যালিটি শো ‘সেরা রন্ধনশিল্পী-২০১৫’ প্রতিযোগিতার দ্বিতীয়
পর্বের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে হলে আগামী ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে নাম নিবন্ধন করতে হবে।
★নিবন্ধনের সঙ্গে প্রধান ডিশের একটি রেসিপি ও ছবি,
★প্রতিযোগীর পাসপোর্ট সাইজ ছবি,
★প্রতিযোগীর বিভাগের নামসহ পূর্ণ যোগাযোগ ঠিকানা ও তথ্য থাকতে হবে।
 ভ্রমণবিষয়ক পাক্ষিক দ্য বাংলাদেশ মনিটর এবং
বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন বাংলা এ
রিয়্যালিটি শোর আয়োজন করছে।আগামী সেপ্টেম্বর মাস থেকে প্রতি সপ্তাহে একটি করে মোট ১৩টি পর্বে এটিএন বাংলায় এ রিয়েলিটি শো প্রচারিত হবে। এ
আয়োজনের পৃষ্ঠপোষকতায় রয়েছে মালয়েশিয়ান পাম অয়েল কাউন্সিল এবং টি কে গ্রুপের ফ্যামিলি ব্র্যান্ড পাম অয়েল।ঢাকায় সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে এসব
তথ্য জানানো হয়। এতে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ মনিটর সম্পাদক কাজী ওয়াহিদুল আলম, মালয়েশিয়ান পাম অয়েল কাউন্সিলের আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক এ কে এম ফখরুল আলম, টি কে গ্রুপের প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা এ আর গণি ও এটিএন বাংলার উপদেষ্টা নওয়াজিশ আলী খান। 

Sunday 10 May 2015

"অ্যাপল ওয়াচ" এর না জানা কথা

আজকাল আমাদের হাতে একটা চমৎকার এবং মানানসই রিস্টওয়াচ না হলে মনে হয় যেন হালের ফ্যাশনে কিছু একটা কম আছে।মোবাইল ফোনের বদৌলতে কয়েক বছর আগেও যেটা ছিল বেশ তুচ্ছ একটা অ্যাক্সেসরি,তা আজ নতুন আঙ্গিকে, নতুন রুপে শোভা পাচ্ছে আমাদের হাতে হাতে।আর তা যদি হয় অ্যাপলের মত নাম করা ব্রান্ডের,তাহলে তো কথাই নেই।তো চলুন,জেনে নেওয়া যাক এই অ্যাক্সেসরির চার্জিং সম্পর্কে। টেক জায়ান্ট অ্যাপলের তৈরি ‘অ্যাপল ওয়াচ’-এ একটি গোপন চার্জিং পোর্ট চিহ্নিত করেছে প্রযুক্তি পণ্যের অ্যাক্সেসরিজ নির্মাতা  ‘রিসার্ভ স্ট্র্যাপ’।

ম্যাশএবল জানিয়েছে, হাতে পরা অবস্থাতেই অ্যাপল ওয়াচ চার্জ করবে এমন রিস্টব্যান্ড তৈরির পরিকল্পনা করছে প্রতিষ্ঠানটি। ফলে অ্যাপল ওয়াচ চার্জ হওয়ার জন্য লম্বা সময় ধরে অপেক্ষা করতে হবে না ব্যবহারকারীকে। অ্যাপল ওয়াচের নিচের অংশে একটি ৬ পিনের পোর্ট রয়েছে। এই ‘সিক্রেট’ পোর্ট ব্যবহারের পরিকল্পনাই করেছে রিসার্ভ স্ট্র্যাপ।এই পোর্ট চার্জিংয়ের কাজে ব্যবহার করা যাবে কি না সে ব্যাপারে এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি অ্যাপল। রিজার্ভ স্ট্র্যাপের আড়াইশ ডলার দামের রিস্টব্যান্ড কেনার আগে সবদিক বিবেচনা করে দেখার পরামর্শই দিয়েছে ম্যাশএবল।

Saturday 4 April 2015

ওজন কমাবে সঠিক ডায়েট প্লান আর সচেতনতা

আমার মত যারা শরীরের অতিরিক্ত ওজন ভয় পান,তারা পোস্ট টি একটু দেখে নিতে পারেন। আর যাদের হাতে এখন সময় নাই,তারা পোস্ট টি শেয়ার করে ফেসবুক টাইমলাইন এ রেখে দেন।
আধুনিকতার এই যুগে নানা কারণেই বাড়ছে আমাদের শরীরের ওজন। কি নারী আর কি পুরুষ কেউই রেহাই পাচ্ছেন না এ থেকে। তার জন্য কেউ বা ছুটছেন জিমে আবার কেউ বা করছেন ডায়েটিং তার সাথে আরো যে কত্তো আয়োজন! কিন্তু মাথার উপর
খাঁড়ার মতো ঝুলছে লক্ষ্যপূরণের চাপ। সময় কোথায় এত কিছু মেইনটেন করার? এ দিকে আবার আমাদের স্লিম বডি চাই। তাই কম সময়ে স্লিম-ট্রিম হওয়ার কিছু পন্থা রইল আপনাদের জন্য।মোটা দেহ নিয়ে কারো চোখে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তোলা যায় না।মানুষ মোটা হয় শর্করা ও স্নেহজাতীয় পদার্থের ফলে।প্রতিদিন স্বাভাবিকের
চেয়ে ৫০০ ক্যালরি খাবার কম খেলে প্রায় ১ পাউন্ড ওজন কমানো যায়।ক্যালরি কম গ্রহণ করলে দেহাভ্যন্তরে বাড়তি মেদ ভেঙে গিয়ে দেহকে বাড়তি ক্যালরি জোগান দেয়।
সাধারণত একজন প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে প্রতিদিন ১০০০ ক্যালরি খাবার গ্রহণ করে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।মহিলাদের ক্ষেত্রে কোমরের মাপ ৮০ সেন্টিমিটার বা ৩১.৫ ইঞ্চি পর্যন্ত স্বাভাবিক ধরা যেতে পারে। তবে মহিলাদের কোমরের মাপ ৮৮ সেন্টিমিটার বা ৩৪.৬ ইঞ্চি থেকে বেশি হলে অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে।ডায়েটিং করলেই মেদ কমানো যায় না।খাবারের মধ্যে কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট জাতীয় জিনিস না খেয়ে বেশি করে প্রোটিন জাতীয় খাবার খাবেন। প্রচুর পানি, শাকসবজি ও ফলমুল বেশি করে খাবেন।সুস্থ জীবনযাপনে ওজন এক বিশেষ শত্রু। একবার দেহের ওজন বৃদ্ধি পেলে সহজেই তা কমানো যায় না।ওজন কমাতে আপনার নিজের ব্যাপার নিয়ে নিজেই দায়িত্ব নিতে হবে। কিন্তু তাই বলে নিতান্তই একা নন। আপনি মানসিক জোর পেতে পারেন আপনার সঙ্গীর কাছ থেকে, বন্ধুদের কাছ থেকে। এমন মানুষ নির্বাচন করুন যে কিনা আপনাকে মূল্য দেবে এবং আপনার কথা শুনবে। আপনার শরীর চর্চার সময় আপনাকে সঙ্গ দেবে। ওজন কমানোর জন্য আগে জানতে হবে আপনার আদর্শ ওজন কত, আদর্শ ওজনের চেয়ে কত বেশি আছে, কোন শারীরিক সমস্যা আছে কিনা, এই বিষয়গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে তারপর ওজন নিয়ন্ত্রণে মনোযোগী হতে হবে। ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আপনার একান্ত আগ্রহ আর মোটিভেশন ।রাতে ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ২ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিন। প্রতিবেলা খাবার আগে অবশ্যই এক গ্লাস পানি পান করুন ।ক্ষুধা না পেলে কখনই খাবনে না।সপ্তাহে অন্তত একদিন নিজের ওজন মাপুন।ফোনে কথা বলার সময় হাটুন ।সুস্থ্ থাকতে এবং ওজন কমানোর জন্য বেশি খাওয়া বন্ধ করতে হবে।অল্প তেলে রান্না করার অ্ভ্যাস গড়ে তুলুন।ঝোল করে তরকারি রান্না করুন, এতে তেল কম লাগে। ১ চা চামচ কম তেলে রান্না করলে আমরা ১২৪ ক্যালোরি সেভ করতে পারি ।অতিরিক্ত লবণ খাওয়া পরিহার করতে হবে। কারণ, লবণ শরীরের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।পেটের মেদ এর সাথে হার্টের সমস্যা থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস ও অন্যান্য সমস্যার জোরালো সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়।পেটের মেদ কমাতে হলে প্রয়োজন পুরো শারীরিক ব্যায়াম।৪০ থেকে ৪৫ মিনিট হালকা জগিং বা জোরে হাটার পর রক্তে চলমান ফ্যাট শেষ হয়ে দেহে সঞ্চিত ফ্যাট ভাঙতে থাকে। তাই এই ৪০ বা ৪৫ মিনিটের পর আপনি যদি ১০ বা ১৫ মিনিট ও জগিং বা জোরে হাঁটতে পারেন, তাহলেই প্রতিদিন একটু একটু করে আপনার জমান চর্বি কমতে থাকবে।পেটে, নিতম্বে, কোমরে ফ্যাট সেল বেশি থাকে ;বংশগত কারণেও মানুষ মোটা হতে পারে। ‘ওব জিন’ নামের এক ধরনের জিন থাকে ফ্যাট সেলের মধ্যে।এগুলো ল্যাপটিন নামের এক রকম হরমোন তৈরি করে। আবার যাদের দেহে ব্রাউন এডিপোজ টিস্যু বেশি থাকে তারা মোটা হয় না ।কোমরে আর পেটে চর্বি জমাতে যেমন সহজ। ঠিক ততটাই কঠিন সেই চর্বি কমিয়ে ফেলা। কিন্তু কিছু ভালো অভ্যাস ও সাধারণ কিছু ব্যায়াম ধৈর্যের সাথে চালিয়ে গেলে একদিকে বাড়তি মেদ যেমন ঝরবে অন্যদিকে শরীরটা মুটিয়ে যাবার ভয়টাও কমে আসবে অনেকাংশেই। ওজন কমানোর মুল মন্ত্র হল মটিভেসন ও একাগ্রতা।শুধু
ব্যায়াম করলেই অনেক সময় মেদ কমে না, এর জন্য আপনাকে খাবার গ্রহণে সতর্ক হতে হবে।খাবারে প্রচুর পরিমানে আঁশ জাতীয় খাদ্য যেমন শাক সবজি রাখুন। চর্বি জাতিয় খাবার কম খান।ফাস্ট ফুড খাওয়া বন্ধ করতে হবে।নিয়ম মেনে পরিমিত ব্যায়াম করে গেলে ও খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করলে পেটের মেদই শুধু নয়, সারা দেহের মেদ কমিয়ে কাঙ্ক্ষিত ফিগার পেতে পারি।
বাড়তি ওজনের জন্য যেকোনো ধরনের হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।মেদবহুল ব্যক্তির জরায়ু, প্রস্টেট ও কোলন ক্যান্সারের সম্ভাবনা শতকরা ৫ ভাগ বেশি।আজকাল অপারেশনের সাহায্যেও ভুঁড়ি কিংবা মেদ কমানো হচ্ছে।মেদ বা ভুঁড়ি কোনোভাবেই সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ নয় বরং নানা অসুখের কারণ- একথা মনে রাখবেন।আমিষ বা প্রোটিন খেলে শরীরে জমে থাকা চর্বি কমে যায়। কারণ এই চর্বি শরীরকে শক্তি বা ক্যালরির যোগান দেয়।স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ রান্না মাংস খেলে আমিষের ঘাটতি কেটে যায় এবং মেদও কমে, সামুদ্রিক মাছও হতে পারে আমিষের ভালো উৎস। এ ধরনের মাছে উপকারি চর্বি ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড রয়েছে। মাছ মেদ কমায়,বিষন্নতা দূর করে,হৃদস্বাস্থ্য ভালো রাখে।খাবার সঙ্গে চা পান করা চর্বির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আরেক উপায়।সারা দিনে অন্তত দুই লিটার পানি পান করবেন। এর ফলে আপনার বাড়তি ১০০ ক্যালরি খরচ হবে। অতিরিক্ত ঘুম,মানসিক চাপ, স্টেরয়েড এবং অন্য নানা ধরনের ওষুধ গ্রহণের ফলেও ওজন বাড়তে পারে ।নিয়মিত হাঁটা সবচেয়ে ভালো ব্যায়াম। প্রতিদিন নিয়ম করে ১ ঘণ্টা হাঁটতে পারলে খুবই ভালো। সাইকেল চালানো ও সাঁতার কাটাও খুব ভালো ব্যায়াম।ভুঁড়ি কমাতে কিছু আসনের সাহায্য নেয়া যেতে পারে। এগুলোর মধ্যে ত্রিকোণ আসন,একপদ উত্থান আসন, পবন মুক্তাসন, পশ্চিমোত্থানাসন খুবই কার্যকর।কাঁচা পেঁপে, শশা, গাজর, লেটুস বা ধনিয়া পাতার সালাদ ওজন কমাতে রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। পেঁপে যুদ্ধ করে দেহের বাড়তি মেদের বিরুদ্ধে। অতিরিক্ত ওজনের কারনে পায়ে ব্যথা হয় । ওজন কমানোর জন্য আপনার থাকতে হবে- ১০০% ইচ্ছা শক্তি,ধৈর্য্য , ১০০% ডায়েট চার্ট মেনে চলা,প্রতিদিন নিয়ম করে ১ ঘন্টা হাঁটা। অভিনেত্রী মৌ ২০ কেজি ওজন কমিয়েছেন এবং গায়ক আদনান সামী ওজন কমিয়ে দেখিয়েছেন ।হেঁটে যতটুকু ক্যালরি খরচ হলো ঠিক ততটুকু বা তার বেশি ক্যালরি গ্রহণ করা হলে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে হাঁটাই বৃথা।আপনার ওজন কমানোর প্রধান হাতিয়ার হিসেবে প্রচুর পানি পান করুন।অনেকেই ওজন কমাতে চান। কিন্তু কোনো কষ্ট করতে রাজি না।
বাঁধাকপিকে ওজন কমানোর আরেকটি কার্যকর উপায় হিসেবে ধরা হয়। বাঁধাকপি মিষ্টি ও শর্করাজাতীয় খাবারকে চর্বিতে রূপান্তর করতে বাধা দেয়। এ জন্য বাঁধাকপি খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখে ওজন কমাতে।এটিকে কাঁচা অথবা রান্না করেও খাওয়া যায়।আগে যেখানে তিনটি রুটি খেতেন,সেখানে দুটি খান। ভাতের ক্ষেত্রেও তাই।
ধীরে ধীরে ভাতের পরিমাণও কমিয়ে আনতে পারেন।যেটুকু খাবার কমিয়ে দিচ্ছেন,সেই জায়গাটা ফলমূল ও সবুজ সবজি দিয়ে পূরণ করুন।গাজর, টমেটো, কাঁচা-পাকা পেঁপে,শসা রাখতে পারেন খাদ্যতালিকায়। রিকশার পথটুকু হেঁটে যান, আর ফেরার পথে বিকেলের বাতাস খেতে খেতে হেঁটে আসুন বাসায়। ওজন কমানো এ আর এমন কঠিন কী!
প্রতিদিন এই ব্যায়াম করুন- চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাত দুটো সোজা কানের দুই পাশ ঘেসে মাথার উপরে মাটিতে শোয়ানো থাকবে,পা মাটিতে শোয়ানো থাকবে। শ্বাস নিতে নিতে উঠে বসুন (উঠার সময় কনুই দিয়ে মাটিতে ভর দিবেন না, হাত কানের পাশ দিয়ে মাথার উপর উঠানো থাকবে) এবং দুই হাত একসাথে মাথার উপর থেকে নামিয়ে শরীরের দুই পাশ দিয়ে সামনে হাত বাড়ানো অবস্থায় বসুন।এবার শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পায়ের আঙ্গুল ছুতে চেষ্টা করুন। যতটুকু পারুন পায়ের আঙ্গুলের দিকে আগান (প্রথম প্রথম পেটের মেদের কারণে আঙ্গুল ছুতে পারবেন না, মেদ কমে গেলে এরপর পারবেন), এরপর থেমে শ্বাস নিতে নিতে আবার শরীর ঝুকানো অবস্থা থেকে সোজা বসে থাকা অবস্থায় ফিরে যান।এরপর শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে আগের মত করে শুয়ে পড়ুন। এভাবে ১০ বার করুন।মিষ্টি জাতীয় খাবার বাদ। ফাস্ট ফুড,অয়েলি খাবার বাদ। রিচ ফুড/পোলাও/বিরানী এইসব বাদ।দুপুর ২ টায় লাঞ্চ।ভাত ২ কাপ। শাক ১.৫ কাপ।মুরগী বা মাছ ২ টুকরা।ডাল ১ কাপ। মিক্সড ভেজিটেবল ১ কাপ। সালাদ ১.৫ কাপ (লেবুসহ)। মধুতে যদিও চিনি থাকে, কিন্তু এতে ভিটামিন ও মিনারেল থাকার কারণে এটি সাধারণ চিনির মত ওজন না বাড়িয়ে, কমায় ।কারণ সাধারণ চিনি হজম করতে আমাদের শরীর নিজের থেকে ভিটামিন ও মিনারেল খরচ করে, ফলে এই সব পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি হয়। এই সব উপাদান ফ্যাট ও cholesterol কমাতে বা ভাঙ্গতে সাহায্য করে। লেবু ওজন কমাতে সাহায্য করে। ১০০% মেনে চলা মুশকিল,এটা আমিও বুঝি কিন্তু পারতে হবে।অনেকে টিভি দেখতে দেখতে বাড়তি খাবার খেতে পছন্দ করে। তবে ওজন কমাতে চাইলে এই অভ্যেস বাদ দিতে হবে।রাতে খাওয়া ছেড়ে দেন অনেকেই। রাতে একদম না খেয়ে থাকা স্বাস্থ্যের জন্য খুব ক্ষতিকর। রাতের খাবার খেয়ে একটু হাঁটাচলা করুন, তারপর ঘুমাতে যান। দুপুরে ভরপেট খেয়ে ঘুম দিলে কিন্তু সর্বনাশ। ওজন:কমাতে চাইলে দুপুরের আরামের ঘুমটির কথা একদম ভুলে যান।
আসুন না দেখি একটু সচেতন হয়ে, কিছু কৌশলের মাধ্যমে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত ওজনের সাফল্যে পৌঁছাতে পারি কি না?নিয়মগুলো মেনে চলতে শুরু করেই দেখুন। কিছুদিনের মধ্যেই শরীর অনেক বেশি ফুরফুরে অনুভব করবেন। আর ওজন কমানো তো সময়ের ব্যাপার মাত্র।খুবই সাধারণ ও উপকারী এই নিয়মগুলো মেনে চলুন আর ফলাফল নিজেই উপলব্ধি করুণ।

চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল এর পুষ্টিবিদ মোস্তফা আল মামুন এর কাছ থেকে পোস্ট টি সংগৃহীত।

Sunday 22 March 2015

ওজন বাড়াবে যে ২০ টি খাদ্য

আপনি ও কি তাদের মধ্যে একজন? যারা তাদের ওজন কিভাবে একটু বাড়াবেন তার জন্য চেষ্টা করছেন!!কিন্তু ওজন বাড়াতে গিয়ে যেন আবার বাংলা সিনেমার জাম্বুর মত হয়ে না যান!! অনেকেই ওজন বাড়াতে গিয়ে ভুল করেন,ফলে শরীরে দেখা দেয় নানান সমস্যা। তাই আজ জেনে নিন স্বাস্থের সঠিক বৃদ্ধির জন্য ২০টি সঠিক খাদ্যের তালিকা। খাদ্য গ্রহণ এর মাধ্যমে আপনি যদি ওজন বাড়াতে চান তাহলে আপনাকে উচ্চ-ক্যালোরির জাঙ্ক ফুড অথবা কেবল পুষ্টিকর খাদ্য খেলেই হবে না [[জাংক ফুড অনেক রোগের কারণ]] । আপনাকে এমন খাদ্য বেছে নিতে হবে যাতে পুষ্টির ও শক্তি উভয়ই আছে পরিমাণ মত।

এখন আপনার জন্য ২০টি খাদ্যের তালিকা রইল যা খেলে আপনি সু-স্বাস্থ্যের জন্য পাবেন সঠিক পরিমাণ পুষ্টি:
১। চিনাবাদামের মাখনঃ সকালের নাস্তায় রুটিতে হালকা করে চিনাবাদামের মাখন মেখে খেতে পারেন। এটি আপনাকে যথেষ্ট পরিমাণ শক্তি দিবে প্রায় ১৯২ ক্যালরি!
২। একটা গোটা ডিমঃ এটি প্রোটিন ও তিন রকমের ভিটামিনে পরিপূর্ণ। এতে আছে ভিটামিন A, D,Eএবং প্রচুর পরিমাণ কলেস্টেরল।
৩। বাদাম ও মধু সমৃদ্ধ খাবারঃ সকালের নাস্তা হিসেবে বাদাম ও মধু সমৃদ্ধ খাবার আপনার নাস্তার তালিকায় রাখুন। এতে আপনি পাবেন প্রায় ৫০০ ক্যালরি। এছাড়া এটি এমন একটি খাবার যা আপনার সকালের নাস্তাকে সু-স্বাদু করে তুলবে।
৪। মাখনঃ মাখন আপনাকে দীর্ঘ মেয়াদী ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। তবে মাখন খেতে হবে পরিমাণ মত। কারন প্রচুর পরিমাণ মাখন আবার আপনার হার্টে সমস্যা করতে পারে।
৫। বন রুটিঃ বন রুটিতে থাকছে অতিরিক্ত ক্যালরি এবং প্রচুর পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট।
৬। ভুট্টা রুটিঃ ভুট্টার রুটি খেতে পারেন সকালে বা বিকেলে। ভুট্টাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট। আপনি সুপের সাথে ভুট্টার রুটি খেতে পারেন।
৭। পনিরঃ এক চামচ পনিরে থাকে ৬৯ ক্যালরি শক্তি।পনির তৈরি করা হয় দুধ থেকে তাই এতে থাকে প্রচুর প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, চর্বি ও কলেস্টেরল।
৮। ফলের রসঃ ফলের রস হচ্ছে ওজন বাড়ানোর স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর পথ। ১০০% ফলের রস আপনার শরীরে দেবে প্রচুর পরিমাণ চিনি ও পুষ্টি।
৯। পাস্তা ও নুডুলসঃ পাস্তা ও নুডুলস খাদ্যশস্য ও শর্করার একটি ক্যালোরি সমৃদ্ধ খাদ্য যোগান তাই এটি একটি সুস্থ এবং উচ্চ ক্যালোরি খাবার হিসাবে পরিচিত। আপনি প্রতিদিন পরিমাণ মত পাস্তা অথবা নুডুলস খেতে পারেন।
১০। চিংড়িঃ চিংড়িতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিকর ও প্রয়োজনীয় এসিড যা আপনার স্বাস্থ্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
১১। গমের পাউরুটিঃ গমের পাউরুটি খেয়ে আপনি পেতে পারেন ৬৯ ক্যালোরি শক্তি। এর ফলে আপনার ওজন বৃদ্ধি হবে।
১২। শুকনো ফলঃ আপনি দ্রুত ক্যালোরি পেতে পারেন শুকনো ফল খেয়ে। শুকনো ফলে পাকা ফলের মতই প্রচুর পরিমাণ ক্যালোরি থাকে।
১৩। যবের রুটিঃ যবের রুটিও হতে পারে আপনার সকালের নাস্তার জন্য উপযুক্ত। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ফাইবার ও পুষ্টি।
১৪। দইঃ দই আপনাকে ১১৮ ক্যালোরির সমপরিমাণ শক্তি যোগাবে। এটা চর্বি বিহীন শক্তিকর খাবারের মধ্যে অন্যতম। আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকাতে দই অন্তর্ভুক্তি করুন।
১৫। স্বাস্থ্যকর চর্বি ও তেলঃ আপনার খাদ্য তালিকাতে পরিমাণ মত চর্বি যুক্ত করুণ এর ফলে আপনার ক্যালোরির অভাব পুরন হয়ে যাবে। ভোজ্য তেল হিসেবে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
১৬। বাদামী চালঃ বাদামী চাল আপনাকে প্রচুর পরিমান কার্বোহাইড্রেট ও স্বাস্থ্য বৃদ্ধির উপাদান ফাইবার দিবে।
১৭। কলাঃ একটি কলাতে থাকে ১০০ ক্যালোরি। কলাতে ক্যাবল ক্যালোরি থাকে তাই নয় এটি আপনার কর্ম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
১৮। বাদাম এবং বীজঃ স্বাস্থ্য বৃদ্ধির জন্য বাদাম ও বীজ খেতে হবে। বাদাম ও বীজে রয়েছে পলি-আনসেচারেতেড চর্বি যা আপনার স্বাস্থ্য বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
১৯। মটরশুটিঃ নিরামিষীদের জন্য মটরশুটি প্রোটিনের প্রধান উৎস। তাই আপনি মটরশুটি প্রাণীজ আমিষের বিকল্প হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন।
২০। আলুঃ আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে কার্বোহাইড্রেট ও কমপ্লেক্স সুগার। নিয়মিত রান্না ও সিদ্ধ আলু খাওয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করতে পারেন।
আমরা আমাদের এই ব্লগ কে শিক্ষণীয় পোস্ট এর মাধ্যমে সবার কাছে ছড়িয়ে দিতে চাই।তাই আপনি ও আমাদের ব্লগের একজন সঙ্গি হন।।

Thursday 5 March 2015

গার্বেজ ব্যাগে পাওয়া গেল অস্কারজয়ী তারকার সেই পোশাক!


অস্কারজয়ী অভিনেত্রী লুপিতা নিয়োঙ্গের ১
লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলারের পোশাক চুরি হওয়ার ২ দিনের মধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে। তার এ পোশাক৬ হাজার মুক্তা ও হীরা দিয়ে খচিত ছিল। এবারের অস্কার অনুষ্ঠানে এ পোশাক পরে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা অথবা বুধবার দিনে এই পোশাক
চুরি হতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। ওয়েস্ট হলিউডের লন্ডন হোটেলের টয়লেটের ভেতর একটি গার্বেজ ব্যাগ থেকে পোশাকটি পাওয়া যায়। বর্তমানে লস এনঞ্জেলেসের কর্মীরা হোটেলটির পুনঃসংস্কারের কাজ করছে।
পুলিশ জানায়, সিসিটিভি ফুটেজে সন্দেহভাজন কিছু ধরা না পড়লেও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। ৬ হাজার মুক্তা দিয়ে খচিত এই পোশাকের কিছু মুক্তা পড়ে গেছে,তবে পোশাকটির কোনো ক্ষতি হয়নি।
৩১ বছর বয়সী লুপিতা নিয়োঙ্গে গত রোববার ৮৭তম অস্কার অনুষ্ঠানে এ পোশাকটি পরেন। ওই
অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থাপিকার ভূমিকা পালন করেন। কেনিয়ান অভিনেত্রী লুপিটা নিয়োঙ্গে গত বছর ‘টুয়েলভ ইয়ারস অ্যা স্লেভ’র জন্য সেরা সহ-অভিনেত্রী হিসেবে অস্কার পুরস্কার লাভ করেন। তিনি একই বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সাপ্তাহিক ‘পিপল ম্যাগাজিন’র সেরা সুন্দরী নির্বাচিত হন।

Saturday 28 February 2015

ছয় হাজার মুক্তোর পোশাক চুরি




চুরি হয়ে গেছে অস্কারজয়ী অভিনেত্রী লুপিতা নিয়ঙ্গর
সাড়া জাগানো মুক্তোর পোশাক। এই পোশাক পরেই
লুপিতা এবারের অস্কার আসরের লাল গালিচায় সবার নজর
কাড়েন।

লুপিতা এখন অবস্থান করছেন লন্ডন ওয়েস্ট হলিউড হোটেলে।
সেখান থেকেই চুরি হয় দেড় লাখ ডলার মূল্যের পোশাকটি।
ফ্রান্সিসকো কস্তার নকশায় কেলভিন ক্লেইনের এই
পোশাকটি তৈরিতে ব্যবহার করা হয় ছয় হাজার মুক্তা।
বুধবার ৩১ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী বাইরে থেকে তার হোটেল
কক্ষে ঢুকে আবিষ্কার করেন পোশাকটি নেই।
লুপিতা সে রাতে তার বন্ধু, মেইক আপ আর্টিস্ট
এবং স্টাইলিস্টদের সঙ্গে নিয়ে ঘুরতে বের হয়েছিলেন।
সে রাতের ৮টা থেকে ৯ টার মধে্য সব সারভেইলেন্স ভিডিও
খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
লুপিতার তরফ থেকে এখনও এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক
বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তার সঙ্গীদের তরফ থেকেও এ
ব্যাপারে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে লস এঞ্জেলসের
কাউন্টি শেরিফ ডিপার্টমেন্টের অফিসার জন মিচেল
ঘটনাটির সত্যতা নিশ্চত করেন।

Friday 27 February 2015

এবার ওজন কমাতেও সাহায্য করছে স্মার্টফোন


ওজন কমাতে চান? স্মার্টফোন
আছে? ব্যাস তাহলেই
চিন্তা শেষ। এই সংক্রান্ত
একাধিক স্মার্টফোন অ্যাপ এখন
বাজারে ভর্তি। যে কোনও একটা ডাউনলোড
করতে পারলেই কেল্লাফতে। এই অ্যাপগুলো লাগাতার
মেসেজ করে ভিডিও পাঠিয়ে আপনাকে ডায়েট
নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কী খাবেন আর কী খাবেন
না সেই বিষয়ে বিস্তারিত পরামর্শ দেয়। নতুন এক
গবেষণায় দেখা গেছে ওজন কমাতে এই অ্যাপসগুলো বেশ
কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টুলান ইউনিভার্সিটি অফ
পাবলিক হেলথ ও ট্রপিকাল মেডিসিনের গবেষকদের
মতে এই স্মার্টফোন অ্যাপগুলির
সাহায্যে লক্ষ্যনীয়ভাবে ওজন কমে। এই
অ্যাপগুলি থেকে আসা লাগাতার মেসেজ বা ভিডিও
স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন
আনতে বাধ্যকরে।
এই ধরণের অ্যাপ ব্যবহারকারী ১,৩৩৭ জনের উপর র্যান্ডম
সমীক্ষা চালিয়েছেন গবেষকরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই
পসিটিভ ফলাফল মিলেছে।
টানা ৬মাস বা ১ বছর এই ধরণের অ্যাপ ব্যবহার
করলে দেখা গেছে গড়ে প্রায় প্রতিমাসে ১.৪৪
কেজি ওজন কমেছে।

Tuesday 10 February 2015

" Man Is The Architect Of His Own Fortune "

পোস্টটি যদিও একটু বড় তবে অনেক কিছু শেখার আছে।এখন সময় না হলে শেয়ার করে রাখুন,পরে পড়ে নিবেন।

গত চারদিন ধরে নাফিস ভয়াবহ মানসিক টেনশানে ভুগছে । খেতে বসলে খেতে পারেনা । খাবার গলা দিয়ে নামেনা ! পড়তে বসলে পড়তে পারেনা । পড়ার মাঝে থাকেনা সে । একটা ভয়ের...!! প্রচণ্ড ভয় আর লজ্জার পৃথিবীতে চলে যায় সে ! যেখানে সবসময় তাকে মাথা নিচু করে হাঁটতে হবে !! তাকে…তার মা কে… তার বাবাকে …!! মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে নিজেকে নিশ্চিহ্ন করে দিতে । কোথাও গিয়ে মরে পড়ে থাকতে !! এত লজ্জার বোঝা সে কেমন করে বইবে !! পড়ার টেবিলে বসে হটাৎ একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে আনমনেই বলে উঠল সে- ‘’জীবনটা এখানে থেমে গেলেই বুঝি ভালো হত !!’’ নাফিস আবরার । একটা মোটামুটি মানের বেসরকারী স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র । আর ছাত্র হিসেবে তার মান ‘’ মোটামুটি’’ ও নয় ! সোজাসাপ্টা ভাষায় তাকে খারাপ ছাত্রই বলা যায় । আড়ালে আবডালে যাকে মানুষ খারাপ ছেলেও ডাকে ! যেই ছেলে ঠিকমত স্কুলে যায়না , পড়াশোনায় মনযোগ নেই , যার পড়ার টেবিলের ওপর এক ইঞ্চি পুরু ধুলার স্তর পড়ে আছে দীর্ঘদিন অযত্ন অবহেলার কারনে তাকে অবশ্য কেউ খারাপ ছেলে বললেও কোন প্রতিবাদ করার মত কোন সুযোগ থাকেনা । যার মা কে প্রতিদিন পাড়া প্রতিবেশীর টিটকারি শুনতে হয় এমন ছেলের জন্য , যার বাবা কখনো মানুষের সামনে মাথা উঁচু করে নিজের ছেলের কথা বলতে পারেনা , যার প্রতিদিনের রুটিন সকাল-সন্ধ্যা ফুটবল-ক্রিকেট খেলা , আর রাত হলে পড়ার সময় গল্পের বই নিয়ে পড়ে থাকা ! তাকে তো খারাপ ছেলে বলাই যায় !!! আর এই হল এলাকায় ‘’খারাপ ছেলে’’ হিসেবে পরিচিত নাফিসের পরিচয় । এভাবেই মানুষের লাঞ্ছনা- গঞ্জনা শুনে দিন কাটতে লাগলো নাফিসের । কিন্তু এসব নিয়ে তার কোন মাথাব্যাথাই যেন নেই !! সে আছে তার খেলাখুলা নিয়ে ! এক্কেবারে টেনশানলেস ! আস্তে আস্তে তার টেস্ট পরীক্ষা শুরু হল । নাফিস পরীক্ষা টা দিল কোন রকমে ! আসলে পরীক্ষা না দিয়ে অনেকটা হল থেকে ঘুরে আসলো-ই বলা যায় !! রেসাল্টও হল সেরকম ! চার সাবজেক্টে ডাব্বা ! যার ফলাফল হল- তাকে আর এসএসসি পরিক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেয়া হবেনা !! কিন্তু নাফিস রেজাল্ট দেখে অবাকই হল !! কারণ সে যত খারাপ ছাত্রই হোকনা কেন ! টেনেটুনে পাশ করার মত যোগ্যতা তার আছে !!! যাই হোক সে সাথে সাথে গিয়ে স্যার দের সাথে কথা বলল । আর তা থেকে জানতে পারল যে- তার মত একটা ছেলেকে কিছুতেই পরীক্ষা দিতে দেয়া হবেনা ! নাফিস চিন্তিত মনে বাসায় চলে এল । এসে অনেক ভয়ে ভয়ে মা কে সব খুলে বলল । ওর কথা শুনে মা কিছু বলল না । শুধু কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল ! নাফিস মায়ের কান্নাটা সহ্য করতে পারলনা । পরের দিন আবার স্কুলের দিকে রওনা দিল সে । যে করেই হোক… স্যার দের হাতে পায়ে ধরে হলেও তাকে এবছর এসএসসি পরিক্ষা দিতেই হবে !! নাহলে বাবা-মায়ের আর অপমানের অন্ত থাকবেনা !! ভেবেই নাফিসের গা টা শিউরে উঠলো !! যাওয়ার পথে রাস্তায় রেদওয়ানের সঙ্গে দেখা হল । নাফিস দের বাসার কাছেই ওদের বাসা । আর রেদওয়ান ওদের ক্লাসের থার্ড বয় । এবার টেস্টে 4.50 পয়েন্ট পেয়েছে বলে অহঙ্কারে মাটিতে পা পড়ছেনা ! রাস্তায় নাফিসকে পেয়ে রেদওয়ান আর তার সাঙ্গপাঙ্গরা দূর থেকে ওকে ‘ফেল্টুশ’ বলে বলে অপমান করল ! আজ প্রথমবার অপমান কি জিনিস বুঝতে পারল ও ! বুঝতে পারল মানুষের টিটকারি শুনে ওর বাবা- মায়ের কেমন লাগে ! স্কুলে পৌঁছেই আবার স্যারদের সেই কথাই শুনতে হল । শূন্য হাতেই ফিরতে হল ওকে ! কিন্তু সে হাল ছাড়ল না । দিনের পর দিন স্যারদের কাছে গিয়ে ভিখারীর মত ধর্না দিতে থাকল ! কিন্তু কিছুতেই কিছু হলনা । একবুক হতাশা , শূন্যতা আর অভিমান নিয়ে তৃতীয় দিন সে স্কুল থেকে কাঁদতে কাঁদতে বের হয়ে এল স্কুল থেকে । চোখের সামনে ভাসছিল শুধু মায়ের কান্নারত চেহারাটা , বাবার মাথা হেঁট করে হাঁটার ভঙ্গীটা ! নাফিসের পায়ের নিচের মাটি যেন সরে যাচ্ছিল ! মনে হচ্ছিল এখনই একটা গাড়ির নিচে লাফ দিয়ে মরে যেতে ! কিন্তু পারল না ! তাতে তো মা বাবার কষ্ট আরও বাড়বে !! এভাবে আনমনে হাঁটতে হাঁটতে হঠাত একটা পাথরের সাথে হোঁচট খেয়ে পড়ে গেল নাফিস ! খুব বাজে ভাবে ব্যাথা পেল ! হাঁটু ছিলে রক্ত বেরোচ্ছে ! এতটা ব্যাথা যে- পায়ে কোন অনুভুতিই হচ্ছেনা ! ওর মনে হচ্ছে যেন আর উঠে দাড়াতেই পারবেনা ও ! নাফিসের মোবাইল টা পকেট থেকে বেরিয়ে রাস্তায় পড়ে ছিল ! হঠাৎ কোথা থেকে কি যেন হয়ে গেল ! একটা চোর এসে রাস্তা থেকে মোবাইল টা তুলে নিয়ে দৌড় দিল ! অনেক প্রিয় মোবাইল ছিল নাফিসের ! বড় মামা বিদেশ থেকে পাঠিয়েছিল ! হঠাত করেই নাফিস ব্যাথার কথা ভুলে গেল !! কোন মতে রাস্তা থেকে নিজেকে টেনে তুলে চোরের পিছে ছুটতে লাগলো ! ছুটতে গিয়ে যেন অসুরের শক্তি এসে গেল ওর শরীরে ! ব্যাথার কথা বেমালুম ভুলেই গেল ! পাড়া বেড়ানো ছেলে নাফিস ! সারাদিন খেলাধুলা করে । প্রতিবছর দৌড়ে ফার্স্ট হয় ! তাই ছ্যাকড়া চোরটাকে ধরে ফেলতে বেশীক্ষণ লাগলোনা ওর ! কলার ধরে দুটো থাপ্পড় দিতেই মোবাইলটা ফেরত দিয়ে পালালো ! ওটা হাতে পেয়েই নাফিস আবার দুর্বল হয়ে পড়ল ! পায়ের ব্যাথাটা চিনচিন করে বাড়ছে । সেদিনের মত ঘরে চলে এলো ও । বিছনায় শুয়ে শুয়ে নাফিস আজকের ঘটনাটার কথা ভাবতে লাগলো ! হোঁচট খেয়ে তো মুখ থুবড়ে পড়েছিল ও ! কিন্তু চোরটার পিছু নেয়ার জন্য যদি উঠে না দাঁড়াত তাহলে কি কখনও ফেরত পেত ওর জিনিসটা !! হঠাত বুঝতে পারল সে- আজকের এই ঘটনার সাথে তার নিজের জীবনেরও মিল আছে !! হোঁচট খেয়ে তো সবাই পড়ে ! কিন্তু দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে আবার উঠে দাড়াতে হয় !! সফল হতে হলে ক্ষতবিক্ষত শরীর নিয়েও লড়ে যেতে হয় ! সে মনে মনে তখনই ভেবে নিল ! এভাবে হেরে গেলে চলবেনা ! তাকে উঠে দাঁড়াতে হবে !! হ্যাঁ-সে আবার উঠে দাঁড়াবে ! তাকে দাঁড়াতেই হবে !!! পরদিন নাফিস তার মা কে নিয়ে স্কুলে হেডস্যারের রুমে গেল । তখন ওখানে স্কুলের প্রায় সব স্যারই একটা মিটিং-এ বসেছিল ওই স্কুলের এ+ এর হার কম বলে ! গত চার বছরে মাত্র ১০ জন ছেলে এ+ পেয়েছে এই স্কুল থেকে ! নাফিস স্যারের অনুমতি চাইল ভেতরে ঢুকার । নাফিসের মা কে দেখে হেডস্যার ভেতরে আসতে বললেন । নাফিস বলল-‘’স্যার আমি পরীক্ষা দিতে চাই । আমি জানি আপনারা রাজি হবেন না । কারণ একটা ছেলে এসএসসি পরীক্ষায় ফেল করলে স্কুলের বদনাম হবে । আর আপনারা এটা চান না । কিন্তু স্যার- আমি আজ আপনাদের এটা বলতে এসেছি যে , আমাকে একটা সুযোগ দিয়ে দেখুন । আমি এই স্কুল থেকে এ+ পেয়ে দেখাবো । প্লিজ স্যার একটা সুযোগ দিন আমাকে !! প্লিজ !! নাহলে আজ আমার মা কে এখান থেকে অপমানের বোঝা মাথায় নিয়ে বের হতে হবে ‘’ কথাগুলো বলতে বলতে নাফিস ঝরঝর করে কেঁদে ফেলল । হেডস্যার তাকিয়ে দেখলেন , নাফিসের মায়ের চোখেও পানি ! স্যার খুব আবেগী হয়ে গেলেন কেন জানি ! অন্য স্যারদের সাথে পরামর্শ করে নাফিসকে পরীক্ষা দেয়ার সুযোগ দিলেন । ওদিন ওই মুহূর্তে নাফিসের চেয়ে খুশী বোধহয় কেউ হয়নি । হেডস্যারকে সালাম করে চলে আসল । স্যার শুধু নাফিসের পিঠে হাত বুলিয়ে একটা কথা বললেন-‘’বাবা রে, তোর মাকে যেন আর কাঁদতে না হয়’’ । স্যারের কথা শুনে নাফিস কান্না চেপে চলে আসলো ওখান থেকে । আসতে আসতে নাফিস প্রতিজ্ঞা করল যে – হ্যাঁ ! নাফিস ওর মাকে কাঁদাবে । কিন্তু সেটা হবে সুখের কান্না । হ্যাঁ !! এটা ওর প্রতিজ্ঞা । একটা এক্সামে ফেল করা খারাপ ছেলের প্রতিজ্ঞা ! দিন কেটে যায় ধীরে ধীরে । এসএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট দিয়েছে আজ । সকাল থেকে বাসায় বসে আছে নাফিস । কেউই ওকে বাইরে দেখেনি । কেউ আর ওর খবরও নেয়নি ! ফেলু ছেলে ফেলই করবে ! এ আর এমন কি ! রাত ন’টা বাজে । রেদওয়ানের মা নাফিসদের বাসায় এলো মিষ্টি নিয়ে । আসলে যতটা না নিজের ছেলের পাশ করার খুশিতে এলো , তার চেয়ে বেশী খুশী লাগছে নাফিসের পরীক্ষায় ফেল করার কথা ভেবে ! আর সে নাফিসের মা কে কিছু ঠেস মারা কথা বলতে পারবে সেই কথা ভেবে !! এসেই উনি বলল- ‘’ভাবি !! আপনাদের দোয়ায় রেদওয়ান তো এ+ পেয়েছে !! এই নেন ! মিষ্টি খান !! ‘’ হঠাৎ ঠোঁটের কোণে হাসি চেপে রেদওয়ানের মা বলল যে- ‘’আপনার ছেলেটা কই ??? দেখছিনা যে !! রেজাল্ট কি ওর ?? ফেল করেছে বুঝি !!!! কি ছেলে যে জন্ম দিলেন ভাবী ! আপনাদের মান সম্মান তো ধুলোয় মিশিয়ে দিল একদম !! এখন কি করবেন ??? এক কাজ করেন ভাবী , আমার এক পরিচিত লোক আছে ! শহরে বড় দোকান আছে উনার ! ওখানে সেলস ম্যানের কাজে ঢুকিয়ে দিন ! অন্তত ব্যাবসা হলেও শিখুক ! জীবনে একটা কিছু করে খেতে পারবে । অন্তত আপনাদের ঘাড়ের বোজা তো হবেনা !!.....হেহেহে.........’’ নাফিস সবই পাশের রুমে বসে শুনছিল ! রাগে পিত্তি জ্বলে যাচ্ছিল ওর ! কিন্তু ও শুধু আজকের দিনটার অপেক্ষায় ছিল !!! ওর মায়ের চোখে সুখের জল দেখার অপেক্ষায় ! রেদওয়ানের মা আরও কিছু বলতে যাচ্ছিল ! এমন সময় নাফিস এল ওই রুমে ! দাঁতে দাঁত চেপে বলল- ‘’শুনুন খালাম্মা , আমি গোল্ডেন এ+ পেয়েছি ! আমাদের স্কুলের ইতিহাসের প্রথম গোল্ডেন এ+’’ নাফিসের কথা শুনে রেদওয়ানের মা ভূত দেখার মত অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকল ! অনেক অপমান লাগলো উনার ! কিন্তু কথায় আছে ‘কয়লা ধুলে ময়লা যায়না’ । তাই সেও হাল ছাড়লনা ! নাফিসকে অপদস্ত করতে চাইল টেস্টের রেজাল্টের কথা বলে ! বলল যে-‘তুমি না টেস্ট...’’ তার মুখ থেকে কথা কেড়ে নিয়ে নাফিসই বুক ফুলিয়ে বলে দিল- ‘’হ্যাঁ ! আমি টেস্টে ফেল করেছি ! তো কি হয়েছে ???’’ ওর মুখে হঠাৎ এমন শুনে রেদওয়ানের মা আর থাকতে পারল না । প্রচণ্ড অপমানিত হয়ে , মুখ কালো করে চলে গেল । নাফিস তার মায়ের মুখের দিকে তাকাল । মা কাঁদছে । সুখের কান্না ! সন্তানের প্রাপ্তিতে খুশীর কান্না ! নাফিস গিয়ে মা কে জড়িয়ে ধরল । নাফিসও কাঁদছে । বিজয়ের কান্না !! মা কাঁদতে কাঁদতে বলল – ‘’তুই একদিন অনেক বড় হবি বাবা । অনেক বড় মানুষ হবি তুই’’ সেদিন বোধহয় কেউ একজন সৃষ্টির অন্তরালে বসে মা ছেলের এই আবেগের কান্না দেখেছিলেন , মায়ের সেই দোয়া শুনেছিলেন !! পরিশিষ্টঃ- কিছুদিন পর জানা গেল নাফিস নাকি ওই বোর্ডে চতুর্থ হয়েছে ! পুরো স্কুলে আর আদিখ্যেতার অন্ত রইলনা ওর জন্য ! স্যাররা মাথায় তুলে নাচে মতন অবস্থা ! রেদওয়ানের মাকে আর কখনও নাফিসের মায়ের মুখোমুখি হতে দেখা যায়নি । আর আসেননি তিনি ওদের বাসায় ! বোধহয় ওদিন নাফিসের ঝাটকি টা বেশীই হয়ে গেছিল ! হাহাহা...!! নাফিসের মা-বাবা এখন অনেক সুখে আছে । মা তো সবার কাছে ছেলের একের পর এক অর্জনের কথা বলতে বলতেই হয়রান হয়ে যায় । বাবা এখন মাথা উঁচু করে হাঁটে ! রাস্তায় পরিচিত কেউ দেখলে বলে- ‘’ওই দেখো ! নাফিসের বাবা যায় !’’ নাফিস এখন অনেক বড় । শুনলাম বুয়েট থেকে পাশ করে পিএইচডি করতে লন্ডনে গেছে কিছুদিন আগে । দেশে যখন ছিল তখন কেউ যদি ওর শিক্ষাগত যোগ্যতার কথা জিজ্ঞেস করত তখন নাকি বুক ফুলিয়ে বলত- ‘ক্লাস টেনে টেস্ট এক্সামে ফেল’ !! এই টেস্ট এক্সমে ফেল করে ছেলেটা আর কিছু শিখুক অথবা না শিখুক , একটা জিনিস ঠিকই শিখেছে- জীবনে অনেক ধাক্কা খাবে , হোঁচট খাবে , পড়ে যাবে , শরীর ক্ষতবিক্ষত হবে , সবাই আঘাত করতে থাকবে তোমাকে ! কিন্তু হেরে গেলে চলবে না ! আবার উঠে দাঁড়াতে হবে । ব্যাথা,দুঃখকে সঙ্গী করেই দৌড়াতে হবে । পৃথিবী সোনার চামচ মুখে নেয়া ননীর পুতুলদের চায় না । পৃথিবী গোবরের মাঝে পদ্মফুল খুজে বেড়ায় । পৃথিবী অমিতাভ বচ্চনের ছেলে অভিষেক বচ্চনকে ‘হিরো’ বলতে কুণ্ঠাবোধ করে ! কিন্তু সামান্য বাসের হেল্পার থেকে উঠে আসা রজনী কান্তকে নির্দ্বিধায় ‘সুপারহিরো’ বলে ! পৃথিবী সামনের সারিতে বসে থাকা বিড়ালদের চায় না । পৃথিবী তাদেরই চায় যারা সকল প্রতিকূলতাকে তুচ্ছ করে বাঘের মত পেছনের সারি থেকে সামনে উঠে আসে ! কজ,দ্যা ওয়ার্ল্ড ইজ অনলি ফর ফিটেস্ট এন্ড ফাইটারস ! আত্মতৃপ্তি বড় জিনিস ! স্রোতের প্রতিকূলে নৌকা চালিয়ে সবার আগে নদী পার হওয়ার মজাই আলাদা ! তখন ওই আত্মতৃপ্তির সুখ টার সাথে পৃথিবীর কোন সুখেরই তুলনা হয়না ! নাফিস আবরার সেটা করে দেখিয়েছে ! স্রোতের প্রতিকূলে নৌকা চালিয়ে সবার আগে নদী পার হয়ে দেখিয়েছে !! একটা ফেল করা ছেলে সবচেয়ে সফল হয়ে দেখিয়েছে ! আমার কথাঃ- এই গল্পটা তাদের জন্য যারা জীবন যুদ্ধে পরাজিত ভাবছে নিজেকে । যারা ভাবছে তাদের সব শেষ হয়ে গেছে ! যারা নিজ নিজ অবস্থানে একবুক হতাশা আর শুন্যতা নিয়ে ‘খারাপ ছেলে’র তকমা নিয়ে ঘুরছে ! যারা মা-বাবার মুখের দিকে তাকিয়ে প্রতিদিন , প্রতি মুহূর্তে মরছে ! না ! সব শেষ হয়নি !! জীবন তো মাত্র শুরু !! খুজে দ্যাখ না !! হয়তো তোমার মধ্যেও খুঁজে পাবি কোন ঘুমন্ত নাফিস আবরার কে !