Sunday 22 February 2015

Once Upon A Time In Sylhet

কালের বিবর্তনে সিলেটের ওসমানী নগরের এককালের উত্তাল
রত্না নদী হারিয়েছে তার স্রোত, যৌবন ও পেটের ক্ষুধা।
বর্তমানে এ নদী নাম পরিবর্তিত হয়ে বিভিন্ন এলাকায়
বিভিন্ন নামে পরিচিতি পাচ্ছে। ইতিহাস সাক্ষ্যে প্রমাণিত
হয় এই নদীর আয়তন ছিল প্রায় ১৫ কিলোমিটার। কিন্তু
বর্তমানে তার এক তৃতীয়াংশও খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কথিত আছে,
সুরমা নদী হয়ে জাহাজ, লঞ্চ রত্না নদীর ঢেউয়ের
সাথে খেলা করে গোয়ালাবাজারের গয়নাঘাটে ভিড়তো।
ব্রিটিশ বেনিয়াগোষ্ঠী ব্যবসা করতে এ স্থানে আসতো।
১৬৬২ সালে মোঘল বাদশাহ শাহজাহান সিলেট ভ্রমণের সময়
৭টি জাহাজ নিয়ে এ নদী দেখতে এসেছিলেন। ফেরার
পথে ঢেউয়ের তোড়ে ১টি জাহাজ ডুবে যায়।
যেটি পরবর্তীতে আর উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ১৯৯৭
সালে ইসবপুর গ্রামের একটি পুকুর খননকালে জাহাজের মাস্তুল
পাওয়া গিয়েছিল। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে নানা রকমের
পিতলের সামগ্রী পাওয়া গেছে বলে প্রবীণরা জানান।
মহাভারত ও শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত আকর গ্রন্থে এ নদীর উল্লেখ্য
আছে। ব্রিটিশ আমলে পিতল ও কাসার ব্যবসা ছিল তুঙ্গে আর
তাই রত্না নদীর বুকে বড় বড় জাহাজ ভাসতো। সে সময়ের
রাজা-বাদশারা ভ্রমণে আসতেন বাহারী নৌকা নিয়ে।
একদা প্রমত্তা রত্না নদী পরিবর্তনের ধারায় প্রকৃতির
কাছে আত্মসমর্পণ করে খাল বলে চিহ্নিত হলেও ইতিহাস
তাকে নদী হিসাবে ধরে রেখেছে সযত্নে

Sunday 22 February 2015

Once Upon A Time In Sylhet

কালের বিবর্তনে সিলেটের ওসমানী নগরের এককালের উত্তাল
রত্না নদী হারিয়েছে তার স্রোত, যৌবন ও পেটের ক্ষুধা।
বর্তমানে এ নদী নাম পরিবর্তিত হয়ে বিভিন্ন এলাকায়
বিভিন্ন নামে পরিচিতি পাচ্ছে। ইতিহাস সাক্ষ্যে প্রমাণিত
হয় এই নদীর আয়তন ছিল প্রায় ১৫ কিলোমিটার। কিন্তু
বর্তমানে তার এক তৃতীয়াংশও খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কথিত আছে,
সুরমা নদী হয়ে জাহাজ, লঞ্চ রত্না নদীর ঢেউয়ের
সাথে খেলা করে গোয়ালাবাজারের গয়নাঘাটে ভিড়তো।
ব্রিটিশ বেনিয়াগোষ্ঠী ব্যবসা করতে এ স্থানে আসতো।
১৬৬২ সালে মোঘল বাদশাহ শাহজাহান সিলেট ভ্রমণের সময়
৭টি জাহাজ নিয়ে এ নদী দেখতে এসেছিলেন। ফেরার
পথে ঢেউয়ের তোড়ে ১টি জাহাজ ডুবে যায়।
যেটি পরবর্তীতে আর উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ১৯৯৭
সালে ইসবপুর গ্রামের একটি পুকুর খননকালে জাহাজের মাস্তুল
পাওয়া গিয়েছিল। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে নানা রকমের
পিতলের সামগ্রী পাওয়া গেছে বলে প্রবীণরা জানান।
মহাভারত ও শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত আকর গ্রন্থে এ নদীর উল্লেখ্য
আছে। ব্রিটিশ আমলে পিতল ও কাসার ব্যবসা ছিল তুঙ্গে আর
তাই রত্না নদীর বুকে বড় বড় জাহাজ ভাসতো। সে সময়ের
রাজা-বাদশারা ভ্রমণে আসতেন বাহারী নৌকা নিয়ে।
একদা প্রমত্তা রত্না নদী পরিবর্তনের ধারায় প্রকৃতির
কাছে আত্মসমর্পণ করে খাল বলে চিহ্নিত হলেও ইতিহাস
তাকে নদী হিসাবে ধরে রেখেছে সযত্নে