Showing posts with label অর্থনীতি. Show all posts
Showing posts with label অর্থনীতি. Show all posts

Sunday, 8 November 2015

দীর্ঘ সাত বছর পর কুয়েতে খুলল বাংলাদেশের শ্রমবাজার

মধ্যপ্রাচের অনেক দেশে বাংলাদেশী ভিসা বন্ধ।আলোর মুখ দেখতে শুরু করছে সৌদি আরব এর ভিসা খোলার মধ্যদিয়ে। অপেক্ষায় আছে সংযুক্ত আরব আমিরত। সাত বছর পর আবারো খুলছে কুয়েতে বাংলাদেশের শ্রমবাজার। ইতিমধ্যে সে দেশের একটি প্রতিষ্ঠান ৫৯২ জন শ্রমিক নিতে চাহিদাপত্র পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো-বিএমইটি।
বিএমইটির তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭৬ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত কুয়েতে চার লাখ ৮০ হাজার বাংলাদেশী শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়। বাংলাদেশী শ্রমিকদের বিরুদ্ধে কিছু আইন ভঙ্গ করার অভিযোগ এনে, ২০০৭ সাল থেকে বাংলাদেশী শ্রমিক নেয়া প্রায় বন্ধ রাখে কুয়েত সরকার।
তবে চলতি মাসেই কুয়েতে আবারো শ্রমিক পাঠানো যাবে বলে জানিয়েছেন বিএমইটির মহাপরিচালক বেগম শামসুন নাহার।
তিনি জানান, কয়েকটি প্রতিনিধি দল কয়েক দফায় কুয়েত সরকারের সঙ্গে বৈঠকের পর দেশটি বাংলাদেশ থেকে আবারো শ্রমিক নিতে রাজি হয়।প্রসঙ্গত, বিশ্বের যে কয়টি দেশ থেকে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স আসে তার মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েত অন্যতম।

Monday, 2 November 2015

চারকোল (পাটজাত পণ্য) বাংলাদেশে নতুন সম্ভাবনার দ্বার

বাংলাদেশের সোনালি আঁশখ্যাত পাট হারিয়েছে তার গৌরব। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে পাটজাত অনেক দ্রব্যের চাহিদা বাড়ছে এখনো। পণ্যগুলোর রফতানি বাজার ধরতে পারলে পাটের হারানো গৌরব পুনরুদ্ধার সম্ভব। এ রকমই একটি সম্ভাবনাময় পণ্য পাটখড়ি পুড়িয়ে তৈরি কয়লা বা চারকোল। জানা গেছে, পণ্যটি রফতানির মাধ্যমে বার্ষিক রফতানি আয় বাড়ানো সম্ভব আড়াই হাজার কোটি টাকা। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্ভাবনাময় এ পণ্যটির বিকাশে সরকারও এগিয়ে আসছে।

জানা গেছে, দেশে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে চারকোল উত্পাদন শুরু হয় ২০১২ সালে। ওই বছরই চীনে প্রথম চালান পাঠানোর মাধ্যমে রফতানিমুখী পণ্য হিসেবে অভিষেক ঘটে দেশে উত্পাদিত চারকোলের। বর্তমানে পণ্যটির চাহিদা রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। দেশে বাণিজ্যিকভাবে পণ্যটির উত্পাদন বাড়লে আগামীতে জাপান,ব্রাজিল, তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চারকোল রফতানি সম্ভব হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশে প্রতিবছর প্রায় ৩০ লাখ টন পাটকাঠি উত্পাদিত হয়। এর মধ্যে ৫০ শতাংশের সঠিকভাবে ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে চারকোলের বার্ষিক উত্পাদন দাঁড়াতে পারে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টনে, যা বিদেশে রফতানির মাধ্যমে বার্ষিক বৈদেশিক মুদ্রার আয় বাড়ানো সম্ভব প্রায় ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। একই সঙ্গে সারা দেশে বাড়বে কর্মসংস্থানের সুযোগ।বিশ্বব্যাপী চারকোলের ব্যবহার বহুমুখী। ফেসওয়াশ,ফটোকপিয়ারের কালি, পানির ফিল্টার, বিষ ধ্বংসকারী ওষুধ, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, দাঁত পরিষ্কারের ওষুধসহ আরো বিভিন্ন পণ্য তৈরিতে ব্যবহূত হয় চারকোল।
বাংলাদেশে বর্তমানে চারকোল উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১০-১২টি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো সানবিম কর্পোরেশন, মাহফুজা অ্যান্ড আহান এন্টারপ্রাইজ,জামালপুর চারকোল লিমিটেড ও রিগারো প্রাইভেট লিমিটেড। এছাড়াও অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে চারকোলের উত্পাদন শুরু হয়েছে জামালপুর,নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, রাজবাড়ী,ফরিদপুর, গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।
সানবিম কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুল এর বলেন, ‘চারকোল উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে দেশে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব।তবে এ সম্ভাবনা বাস্তবায়ন করতে হলে উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সরকারি সহযোগিতা প্রয়োজন। পাটজাত পণ্য উত্পাদক হিসেবে গত এক বছর ধরে আমরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছি। এরই মধ্যে পাট মন্ত্রণালয় থেকে সহায়তার আশ্বাসও পেয়েছি আমরা। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী,চারকোল উত্পাদন খাতে সরকারি সহযোগিতা হিসেবে প্রস্তাবিত বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে একে একটি উদীয়মান শিল্প হিসাবে ঘোষণা, উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত বা সহযোগী প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের সুযোগ সৃষ্টি, শিল্পটির জন্য দ্রুত পৃথক নীতিমালা তৈরি এবং সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতার পাশাপাশি ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
চারকোল উত্পাদনকারীদের মতে, নতুন বলেই খাতটিকে বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। এর মধ্যে কাঁচামালের সরবরাহ সংকটের পাশাপাশি রয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে পাটকাঠির মূল্যবৃদ্ধি। এসব সমস্যা মোকাবেলার জন্য পাট মন্ত্রণালয়ের সহায়তা চেয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
জানা গেছে, গত ২৮ ও ২৯ অক্টোবর বিষয়গুলো নিয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে একটি সভা হয়। সভায় উত্পাদনকারীদের সমস্যাগুলো দূর করার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে নির্দেশনা দেয়া হয়। জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে খুব শিগগিরই একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
বিষয়টি নিয়ে পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম জানান, চারকোল বাংলাদেশে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। এতে পাট উত্পাদনে আবারো আগ্রহী হবেন কৃষকরা। এভাবেই ফিরিয়ে আনা হবে সোনালি আঁশের হারানো ঐতিহ্য।

Monday, 19 October 2015

বিনা কাস্টমসে যেসব পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করা যাবে

বিনা কাষ্টমসে(Custom) বিদেশ থেকে কি কি জিনিস আমদানী করতে পারবেন, তা আপনি জানেন কি? না জানলে পড়ুন।আমাদের অনেকের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব বিদেশে থাকেন।দেশ-বিদেশ যাতায়ত করার সময় আমরা বিদেশ থেকে অনেক জিনিস এনে থাকি, সেটা হয়ত প্রয়োজনে বা শখের বশে, অথবা আত্মীয়কে খুশি করতে। অনেক সময় সামান্য একটু অসর্তকতার কারনে আপনার ক্রয়কৃত পন্য এয়ারপোর্টে ফেলে আসতে হয় অথবা শুল্ক বাবদ দিতে হয় অনেকগুলি টাকা।আগেই বলি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পন্য আনার ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য নয়। শুধুমাত্র নিজ ব্যবহার, গৃহস্থালী ব্যবহারের জন্য প্রযোজ্য।
●প্রথমেই দিচ্ছি শুল্ক কর আরোপযোগ্য পন্যের তালিকা→
(ক) ব্যাক্তিগত এবং গৃহস্থালী কাজে ব্যাবহৃত হয় না এমন পন্য।
(খ) দুইটি স্যুটকেসের অতিরিক্ত স্যুটকেসে আনীত ব্যাগেজ। তবে ৩য় স্যুটকেসে আনীত বইপত্র, সাময়িকি বা শিক্ষার উপকরণ শুল্ক ও কর মুক্তভাবে খালাসযোগ্য।
(গ) বাণিজ্যিক পরিমানে যে কোন পন্য ব্যাগেজে আমদানী হলে শুল্ক ও কর আরোপযোগ্য।

★(ঘ) নিম্নে বর্ণিত পণ্য ব্যাক্তিগত ও গৃহস্থালী ব্যাগেজ হিসেবে আমদানী হলেও প্রতিটির পাশে উল্লেখিত হারে কর পরিশোধ করতে হবে→
(১) টেলিভিশন (CRT) ২৫" এর উর্ধ্বে হলে ২৯" পর্যন্ত ৩০০০/- টাকা।
(২) Plasma, LCD, TFT ও অনুরুপ প্রযুক্তির টেলিভিশন:
(ক) ১৭" হতে ২১" পর্যন্ত = ১০,০০০.০০/= টাকা,
(খ) ২২" হতে ২৯" পর্যন্ত = ১৫,০০০.০০/= টাকা,
(গ) ৩০" হতে ৪২" পর্যন্ত = ২০,০০০.০০/= টাকা,
(ঘ) ৪৩" হতে ৫২" পর্যন্ত = ৫০,০০০.০০/= টাকা,
(ঙ) ৫৩" হতে তদুর্ধ সাইজ = ৭৫,০০০.০০/= টাকা।

(৩) (ক) ৪টি স্পিকারসহ কম্পোনেন্ট (মিউজিক সেন্টার) সিডি/ডিভিডি/ভিসিডি/এমডি/ এএলডি/ ব্লু-রে-ডিস্ক সেট = ৪,০০০.০০/= টাকা।
(খ) ৪ এর অধিক তবে সবোর্চ্চ ৮টি স্পিকারসহ (মিউজিক সেন্টার) হোম থিয়েটার/সিডি/ডিভিডি/ভিসিডি/এমডি/ এএলডি/ ব্লু-রে-ডিস্ক সেট = ৮,০০০.০০/=

(৪) রেফ্রিজারেটর/ ডিপ ফ্রিজার = ৫,০০০.০০/=
(৫) ডিশ ওয়াশার/ ওয়াশিং মেশিন/ ক্লথ ডায়ার = ৩,০০০.০০/=
(৬) এয়ারকুলার/ এয়াকন্ডিশনার
(ক) উইন্ডো টাইপ = ৭,০০০.০০/= টাকা
(খ) স্প্লিট টাইপ = ১৫,০০০.০০/= টাকা
(৭) ওভেন বার্নারসহ = ৩,০০০.০০/=
(৮) ডিস এন্টেনা = ৭,০০০.০০/=
(৯) স্বর্ণবার বা স্বর্ণপিন্ড (সবোর্চ্চ ২০০ গ্রাম) প্রতি ১১.৬৬৪ গ্রাম বা ভরি= ১৫০.০০/=
(১০) রৌপ্যবার বা রৌপ্য পিন্ড (সর্বোচ্চ ২০০ গ্রাম) প্রতি ১১.৬৬৪ গ্রাম = ৬.০০/=
(১১) HD Cam, DV Cam, BETA Cam & Professional used Camera = 15,000.00 Taka.
(১২) এয়ারগান/ এয়ার রাইফেল = ২,০০০.০০ টাকা (বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমুতি সাপেক্ষে আমদানিযোগ্য, আমদানি নীতি-আদেশ ২০০৩-২০০৬ দ্রষ্টব্য )
(১৩) ঝাড়বাতি = ৩০০.০০ টাকা প্রতি পয়েন্ট।
(১৪) কার্পেট ১৫বর্গ মিটার পর্যন্ত = ৫০০.০০ টাকা প্রতি বর্গমিটার।

★এবার দেখুন কি কি পন্য বিনা শুল্কে আমদানীযোগ্য (প্রত্যেকটি ১টি করে)→
১. ক্যাসেট প্লেয়ার/ টু ইন ওয়ান,
২. ডিস্কম্যান / ওয়্যাকম্যান অডিও,
৩. বহনযোগ্য অডিও সিডি প্লেয়ার,
৪. ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, ইউপিএস, স্ক্যানার, ফ্যাক্সমেশিন।
৫. ভিডিও ক্যাম: এইচ ডি ক্যাম, ডিভি ক্যাম, বেটা ক্যাম এবং প্রফেশনাল কাজে ব্যবহৃত হয় না এমন ক্যামেরা ব্যাতিত সব।
৬. ডিজিটাল ক্যামেরা,
৭. সাধারণ/পুশবাটন/কর্ডলেস টেলিফোন সেট
৮. সাধারণ ইলেকট্রিক ওভেন/ মাইক্রোওয়েভ ওভেন,
৯. রাইস কুকার/ প্রেসার কুকার,
১০. টোস্টার/ স্যান্ডউইচ মেকার/ ব্লেনডার/ ফুড প্রসেসর/ জুসার/কফি মেকার।
১১. সাধারণ ও বৈদ্যুতিক টাইপ রাইটার,
১২. গৃহস্থালী সেলাই মেশিন (মেনুয়াল/বৈদ্যুতিক)
১৩. টেবিল / প্যাডেস্টাইল ফ্যান,
১৪. স্পোর্টস সরন্জাম (ব্যাক্তিগত ব্যবহারের জন্য)
১৫. ২০০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণ/র্যোপ্য অলংকার (এক প্রকারের অলংকার ১২টির অধিক হবে না)
১৬. এক কার্টুন সিগারেট (২০০ শলাকা),
১৭. ২৪" পর্যন্ত রঙ্গিন টিভি (সিআরটি)/সাদাকালো টিভি,
১৮. ভিসিআর/ভিসিপি,
১৯. সাধারণ সিডি ও দুই স্পিকার সহ কম্পোনেন্ট (মিউজিক সেন্টার/ সিডি/ ভিসিডি/ ডিভিডি/এলডি/ এমডি সেট)
২০. ভিসিডি/ডিভিডি/এলডি/এমডি ব্লুরেডিস্ক প্লেয়ার,
২১. এলসিডি মনিটর ১৭" পর্যন্ত (টিভি সুবিধা থাকুক বা নাই থাকুক)
২২. একটি মোবাইল সেট।

[[বিঃদ্রঃ বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্স ( Biman Bangladesh Airlines) এ ক্যারি ১৫ কেজি পর্যন্ত আনা যায় আর ৪৪.৪০ কিলো পর্যন্ত বুকিং দেয়া যায়। যারা বিদেশ থেকে কম্বল (Blanket /Quilt) আনেন, তারা ২টি কম্বল এক সাথে বাধবেন না। এয়ার পোর্ট এভাবে এখন আর এলাউ করে না। ২টির বেশী কম্বল আনতে দেয় না। কারণ আপনার জন্য যে আয়তনের জায়গা বরাদ্দ আছে তা ২ কম্বল ও একটি লাগেজেই ভরে যায়। কম্বল ৩টি হলে অন্যর কম্পার্টমেন্ট শেয়ার করতে হয়। তাই ডিজএলাউড।]]

Friday, 26 June 2015

ফাইভার মার্কেটপ্লেসে কাজ পাবেন ১০০%

Fiverr এ ভিডিও যুক্ত করার গুরুত্ব এবং নিয়ম
যারা ফাইভার মার্কেটপ্লেসে কাজ করার চেষ্টা
করছেন, তাদের জন্য বলছি, গিগে অবশ্যই ভিডিও
যুক্ত করেন, তাহলে কাজ পেয়ে যাবেন। পরিচিত
একজনকে দেখলাম, শুধুমাত্র গিগে ভিডিও যুক্ত
থাকার কারনে, তার ইমেজ রিটাচ সম্পর্কিত গিগে
মাত্র ৪৬টা ক্লিক পড়ার পরেও পেয়েছে ৯টা
অর্ডার।
গত বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, Fiverr ব্লগ থেকে
জানা গেল যে, যেসকল গিগে ভিডিও ছিল তাদের
সেল অনেক বেড়েছে। শুধু তাই নয় যে সকল সেলারের
ভিডিওতে নিজেরাই নিজেদের কাজ উপস্থাপন
করেছেন তাদের সেল বেড়েছে ৯৬% আর যাদের
ভিডিও ইফেক্ট, এনিমেশন, লেখা, ষ্টীল ছবি,
ইত্যাদির মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন তাদের সেল
বেড়েছে ৮৪%। মিউজিক এবং অডিও ক্যাটাগরিতে
যাদের ভিডিও ছিল তাদের সেল বেড়েছে
অবিশ্বাস্য ভাবে ৪১৮%। সুতরাং গিগে ভিডিওর
গুরুত্বটা পরিস্কার বুঝা যাচ্ছে, আশা করি।
এখন ভিডিওর ব্যাপারে Fiverr এর কিছু নিয়ম বলি
১। ভিডিও অবশ্যই ১ মিনিট বা তার কম হতে হবে
২। "Exclusively on Fiverr" এই কথাটা অবশ্যই গিগে
থাকতে হবে। সেটা লিখে, মুখে বলে, বা ছবির
মাধ্যমে যে ভাবে হোক।
৩। পর পর তিনবার ভিডিও রিজেক্ট হলে আর কখনই
গিগে ভিডিও যুক্ত করতে পারবেন না । কাজেই
সাবধান। উপরোক্ত ১,২ করণেই সাধারণত ভিডিও
রিজেক্ট হয়।
৪। ভিডিও অবশ্যই গিগের উপর ভিত্তি করে হতে
হবে।
৫। একই ভিডিও একধিক গিগে যুক্ত করতে পারবেন।
৬। ভিডিও যুক্ত করার সাধারণত ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই
গিগে শো করে।
৭। ভিডিও পাবলিশ হবার পর যতবার খুশি ভিডিও
পরিবর্তন করতে পারবেন। Thumbnail ও ইচ্ছেমত
পরিবর্তন করতে পারবেন।

ফাইভারে ৫ডলারের কাজ দেখে কেউ অবজ্ঞা করলে
ভুল করবেন, কারন এখানে ৫ডলার না, সবাই ৩০০-৪০০
ডলার দিয়েও কাজ করছে।

Friday, 5 June 2015

আয়ারল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশি

যেসব বাংলাদেশি প্রবাসী ভাইদের জন্য আমাদের অর্থনীতির চাকা দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, তারা প্রবাসে কত কষ্টে আছে তারা জানে। স্যালুট এই সব ভাইদের। এই নিউজ টা আয়ারল্যান্ডের প্রবাসী বাংলাদেশি ভাইদের জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তির হবে আশা করি।অনেকে জানেন আবার অনেকে না- আগামী ৭ই জুন ২০১৫ ইং রোজ রবিবার লন্ডনের বাংলাদেশ দূতাবাস আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনে সকাল ১০টা ৩০মিনিট থেকে বৈকাল ৪টা পর্যন্ত সকল বাংলাদেশীদের জন্য বাংলাদেশী পাসপোর্ট নবায়ন, নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন গ্রহন, আইরিশ পাসপোর্টের জন্য নো ভিসা রিকয়ার্ড সীল, এফিডেভিট, জন্ম সনদ সত্যায়িত এবং পাওয়ার এটর্নি সহ আরো অন্যান্য সেবা সমূহ প্রদান করার জন্য ডাবলিনে আসবেন।
স্থান: Islamic Cultural Centre of Ireland,
19 Roebuck Road, Clonskeagh, Dublin 14,Ireland
বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন: টিটু খন্দকার -০৮৬৬৬৬৫৩১৮, রিয়াজ খন্দকার-০৮৬৭৭৫৮৯৭০, আসিক কামাল -০৮৯৯৫০৫৪৪৬, জিকু বনিক -০৮৬২৫১৯১২৫।

নিউজ টা শেয়ার করে বাংলাদেশিদের সেবায় এগিয়ে আসুন,প্লিজ ।

Budget 2015-2016 যেসব পণ্যের দাম বাড়ছে বা কমছে

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত । গড় মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ২ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য ঠিক করে বর্তমান সরকারের দ্বিতীয় বাজেট ঘোষণা করেছেন তিনি। সাত শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরে নতুন অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, “সরবরাহের দিক থেকে শিল্প ও সেবাখাত এবং চাহিদার দিক থেকে ব্যক্তি খাতের ভোগ ব্যয় এবং ব্যক্তি ও সরকারিখাতোর বিনিয়োগ ব্যয় হবে এই প্রবৃদ্ধিরচালিকাশক্তি। উপরন্তু, রাজস্ব ও মুদ্রানীতিরসুসমন্বয় এ লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে।”

নতুন বাজেটের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে উচ্চ প্রবৃদ্ধির পথ রচনা। অর্থমন্ত্রী আশা করছেন,আসন্ন নতুন অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) চলতি অর্থবছরের চেয়ে ৭শতাংশ বাড়বে।সেই সঙ্গে গড় মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ২ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য ঠিক করেছেন মুহিত।

বাজেটে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে শুল্কহার, সম্পূরক শুল্ক ও মূল্য সংযোজন করে (মূসক) ছাড় বা অব্যাহতি কিংবা শুল্ক রেয়াতি সুবিধা দেওয়া হলে পণ্যের দাম কমে থাকে। আবার এসব সুবিধার উল্টোটা হলে অর্থাৎ শুল্ক–করসমূহ বাড়ানো হলে পণ্যের দাম বাড়ে। তাহলে বাজেট অনুযায়ী দেখে নেই কোন কোন জিনিসের দাম কমছে বা বাড়ছে।

যেসব পণ্যের দাম বাড়বে:
চিনি: অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে টন প্রতি কাস্টমস ডিউটি দুই হাজার থেকে চার হাজার টাকা করায় আমদানি করা চিনির দাম বাড়বে ।আর পরিশোধিত চিনি আমদানিতে টন প্রতি কাস্টমস ডিউটি সাড়ে চার হাজার থেকে আট হাজার টাকা করায় এর দাম বাড়বে।
মোটরগাড়ির টায়ার: মোটরগাড়ির টায়ার আমদানিতে নতুন করে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাবে এটির দাম বাড়বে।
ইলেকট্রিক ব্যাটারিচালিত মোটরগাড়ি:
আমদানিতে নতুন করে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের কারণে এর দাম বৃদ্ধি পাবে। অটোরিকশা/থ্রি-হুইলার: দুই স্ট্রোক এবং চারস্ট্রোকবিশিষ্ট অটোরিকশা/ থ্রি-হুইলারের ইঞ্জিন আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ১৫ থেকে বৃদ্ধি করে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাবে এটির দাম বাড়বে।
এলইডি ও এলসিডি টিভি: বাজেটে এলসিডি ও এলইডি টেলিভিশন তৈরির পূর্ণাঙ্গ প্যানেল এবংঅপটিক্যাল ফাইবারের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব করায় এর দাম বাড়তে পারে।
সিম কার্ড: অর্থমন্ত্রী সিম কার্ড আমদানির ওপর সম্পূরক শুল্ক হার ১৫ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছেন। এতে পণ্যটির দাম বাড়বে।
রেজর: রেজর আমদানিতে নতুন করে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং স্টেইনলেস স্টিল ব্লেড আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ১৫ থেকে বাড়িয়ে ২০শতাংশ করার প্রস্তাবে এর দাম বাড়বে।

আরও যেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে:
মোটরসাইকেল, রিভলবার ও পিস্তল, অমসৃণ হীরাও ইমিটেশন জুয়েলারি; সৌন্দর্যচর্চা ও ত্বক-নখ-পায়ের পরিচর্যার প্রসাধন সামগ্রী; চা; মাখনসহ অন্যান্য দুগ্ধজাত চর্বি, তেল ও দই-পনির; তাজাবা ঠান্ডা টমেটো; তাজা বা শুকনা সুপারি,সিরামিকের বাথটাব ও জিকুজি, শাওয়ার,শাওয়ার ট্রে; প্রিন্টিং ইংক; রিরোলিংশিল্পের মধ্যবর্তী পণ্য বিলেট; আর্টিফিশিয়াল ফিলামেন্ট টো; টেম্পারড সেফটি গ্লাস ও ল্যামিনেটেড সেফটি গ্লাস; ফ্রেমবিহীন ও ফ্রেমযুক্ত কাচের আয়না; কাস্ট আয়রনের টিউব পাইপস ও ফাঁপা প্রোফাইল; আয়রন বা স্টিলের তৈরি অন্যান্য টিউব, পাইপ ও ফাঁপা প্রোফাইল,সিমলেস; অয়েল অথবা গ্যাস পাইপ লাইনে ব্যবহৃত লাইন পাইপ, রান্নার তৈজসপত্র ও প্লেট গরমকারক; স্টেইনলেস স্টিলের টেবিলওয়্যার,কিচেনওয়্যার, সিঙ্ক, ওয়াশ বেসিন, পানির ট্যাপও বাথরুমের ফিটিংস; কপারের তৈরি স্যানিটারি ওয়্যার অ্যালুমিনিয়াম স্যানিটারিওয়্যার ও এর যন্ত্রাংশ; বিভিন্ন ধরনের সাউন্ডরেকর্ডিং বা রিপ্রডিউসিং এপারেটাস (ম্যাগনেটিক, অপটিক্যাল বা সেমিকন্ডাক্টর মিডিয়া ব্যবহারকারী); সম্পূর্ণ তৈরি সাউন্ডরেকর্ডিং বা রিপ্রডিউসিং এপারেটাস; সম্পূর্ণ তৈরি ভিডিও রেকর্ডিং বা রিপ্রডিউসিংয়ের যন্ত্রপাতি; লোডেড প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড;পকেট সাইজ রেডিও ক্যাসেট প্লেয়ার;সালফিউরিক অ্যাসিড; ওলিয়াম; পেইন্টস,ভার্নিশ ও লেকার (এনামেল ও ডিস্টেম্পারসহ)।

যেসব পণ্যের দাম কমবে:
তৈরি পোশাক: পুরুষ, মহিলা ও শিশুদের জন্য আমদানি করা সব ধরনের তৈরি পোশাকের দাম কমতে পারে। এসব পণ্যে সম্পূরক শুল্ক ৬০ থেকে কমিয়ে ৪০ শতাংশ করা হয়েছে।
ওষুধ: হেপাটাইটিস-সি ভাইরাস জনিত বালিভার-সংক্রান্ত জটিল রোগের ওষুধের ওপর উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে মূসক অব্যাহতি এবংআরও বেশ কিছু ওষুধের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক রেয়াতি সুবিধা প্রদানের প্রস্তাব থাকায় বিভিন্ন ধরনের ওষুধের দাম কমবে।
পেঁয়াজ: বাজেটে পেঁয়াজের ওপর আরোপিত আমদানির ওপর শুল্কহার সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এতে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কমবে।
দেশি খেলনা: বিভিন্ন শর্তে খেলনা শিল্পের যন্ত্রপাতি ও উপকরণ আমদানিতে শুল্ক হ্রাসের প্রস্তাব করায় এটির দাম কমবে।
টুথব্রাশ: ডেন্টাল প্লেট ব্রাশসহ সব ধরনের টুথব্রাশ আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক কমানোর ফলে এর দাম কমবে।
মশার কয়েল: মশার কয়েল ও অ্যারোসল আমদানির ওপর সম্পূরক শুল্ক ৩০ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশপ্রস্তাব করায় এর দাম কমবে।
টিস্যু পেপার: টিস্যু পেপার, টয়লেট পেপার,টাওয়েল বা ন্যাপকিন পেপার ও সমজাতীয় পণ্য,গৃহস্থালি, স্যানিটারি বা অনুরূপ কাজে ব্যবহৃত এ ধরনের পণ্য আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ৪৫ থেকে কমিয়ে ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাবে এগুলোর দাম কমবে

আরও যেসব পণ্য ও সেবার দাম কমবে:
দেশলাই; ছেলেদের স্যুট, জ্যাকেট, ব্লেজার,
ট্রাউজার; মেয়েদের স্যুট, জ্যাকেট, ব্লেজার,ড্রেস, স্কার্ট, ট্রাউজার, ব্লাউজ, শার্ট, শার্ট-
ব্লাউজ; ছেলেদের আন্ডারপ্যান্ট, নাইটশার্ট,পায়জামা, বাথরোব, ড্রেসিং গাউন, স্লিপ,
পেটিকোট, ব্রিফ, প্যান্টি, নাইটড্রেস,পায়জামা, নেগলেজি, বাথরোব, টি-শার্ট,পুলওভার, কার্ডিগান, ওয়েস্টকোট; শিশুদের গার্মেন্টস; গ্লাভস, মিটেনস ও মিটস; পুরুষ,মহিলা ও শিশুদের ট্র্যাকস্যুট ও সমজাতীয় পণ্য;কৃত্রিম ফুল, ফল; কাস্ট অথবা রোল গ্লাস; ড্রনগ্লাস ও বোন গ্লাসশিট; খেলার তাস; ডাম্পারট্রাক; কোকাযুক্ত চকলেট ও অন্যান্য খাদ্য প্রিপারেশন; কোকাযুক্ত নয় এমন সুগার কনফেকশনারি (সাদা চকলেটসহ); তৈরি চকলেট;জ্যাম-জেলি, মারমালেডস; ফল বা বাদামযুক্ত পিউরি, ফল বা বাদামের পেস্ট; গ্রিজ (খনিজ);প্লাস্টিকের তৈরি দরজা, জানালা, বাক্স,কেইস, টেবিলওয়্যার বা কিচেনওয়্যার, সেলফএডহেসিভ প্লেট, শিট, ফিল্ম, ফয়েল, টেপ, স্ট্রিপ,কার্বয়, বোতল, ফ্লাস্ক ও প্যালেটস; সব ধরনের পার্টিক্যাল বোর্ড, ফাইবার বোর্ড, হার্ডবোর্ড,প্লাইউড, ভিনিয়ার্ড প্যানেলস ও সমজাতীয় লেমিনেটেড পণ্য, দরজা, জানালা, প্যারকিটপ্যানেল ও শাটারিং; পেপার ও পেপার বোর্ড;কার্টন, বক্স, কেস, করোগেটেড পেপার ও পেপারবোর্ড; স্যাকস্ ও ব্যাগস্; মুদ্রিত বই, ব্রশিউর ও লিফলেট; ছাপানো ছবি, ফটোগ্রাফসহ অন্যান্য ছাপানো পণ্যসামগ্রী; মিস্টি বিস্কুট, ওয়াফল সওয়েফার; পশু খাদ্যের পুষ্টি প্রিমিক্স;হিমাগার সেবার বিদ্যুৎ বিল; পলিস্টার সুতার কাঁচামাল পেটচিপস; আয়রণ অক্সাইড; প্লাস্টিকদানা; বাসবার ট্রাংকিং সিস্টেম ও ফ্লাক্স ফাইবার প্রভৃতি।

Friday, 6 March 2015

Choose Your Easy Online Payment Method

অনলাইন মার্কেটিং এ পেমেন্ট সম্পর্কে আপনার জানা থাকলে ভালো :
 পিটিসি(PTC), ডাটা এন্ট্রি(DATA ENTRY) থেকে শুরু করে গ্রাফিক ডিজাইন বা প্রোগ্রামিং এর কাজ করুন,ইন্টারনেটের মাধ্যমে কিছু বিক্রি করুন, টাকা হাতে পাওয়ার জন্য আপনার প্রয়োজন অনলাইন পেমেন্ট ব্যবস্থা। এখানে অনলাইনে লেনদেনের বিভিন্ন পদ্ধতির একটি চিত্র তুলে ধরা হলো ---

পেওনিয়ার মাষ্টার কার্ড(Master Card) : পেমেন্ট সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন বিকল্পের অন্যতম ও কার্যকর ব্যবস্থাটি হল পেওনিয়ার কার্ড। পেওনিয়ার কার্ডের কথা জানা নেই এরকম কম মানুষই আছেন। পেওনিয়ার কার্ড দিয়ে প্রায় সকল ওয়েবসাইট থেকে কেনাকাটা করা যায়। পেপাল, ফেসবুক, ইবে, অ্যাডওয়ার্ড ইত্যাদি অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করা যায়। এমনকি পেপালে টাকা গ্রহণ করা যায়। বিশ্বের সকল দেশের এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারবেন (বাংলাদেশ থেকেও)। ফ্রিল্যান্স সাইট সমূহ, ক্লায়েন্ট বা অন্য কারো কাছে থেকে পেমেন্ট গ্রহন। পেওনিয়ার প্রায় ২০০ কোম্পানি হতে পেমেন্ট সাপোর্ট করে। সুবিধার পাশাপাশি অল্প কিছু অসুবিধাও পেওনিয়ারের নেই, তা নয়। তবে সুবিধার তুলনায় তা নগন্য। আমার মতে সবচেয়ে বড় অসুবিধা হল ফি। পেওনিয়ারের এটিএম উইথড্র এর ক্ষেত্রে ফি টা একটু বেশি। এছাড়াও ২০ ডলারের নিচে কার্ড লোড করতে না পারাটাও অন্যতম একটা সমস্যা। অবশ্য এসব আমার মনে হয় সুবিধার তুলনায় নগন্য। পেওনিয়ার সাইটে গিয়ে সরাসরি এপ্লাই করতে পারেন কার্ডের জন্য। তবে কোনো পার্টনারের সাহায্যে বা রেফারেল লিংক হতে এপ্লাই করে কার্ড পাওয়ার পসিবিলিটি বেশি।

ওয়েষ্টার্ন ইউনিয়ন : ওয়েষ্টার্ন ইউনিয়ন ব্যবহার করে অনলাইনে বা ফোনের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করা যায় কিংবা অনলানে বিল দেয়া, কেনাকাটা করা যায়। একাজ করতে হয় তাদের কোন এজেন্ট (Bank) এর মাধ্যমে। টাকা প্রদানের জন্য নির্দিষ্ট কোড ব্যবহার করা হয় বলে লেনদেন নিরাপদ।

অয়্যার ট্রান্সফার : এক ব্যাংক থেকে আরেক ব্যাংকে টাকা পাঠানোর পদ্ধতি। আপনি যার কাছে অর্থ পাবেন তিনি তার ব্যাংক একাউন্ট থেকে টাকা পাঠাবেন। সেটা জমা হবে আপনার ব্যাংক একাউন্টে। দেশ এবং অর্থ পরিমান ইত্যাদি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে লেনদেনের জন্য ফি দিতে হয় !


ব্যাংক চেক : আপনার নামে সরাসরি ব্যাংক চেক পাঠানো হবে। আপনি স্থানীয় ব্যাংক থেকে তার বিপরীতে টাকা উঠাতে পারেন। গুগল, চিতিকা এবং আরো কিছু কোম্পানী এই ব্যবস্থা ব্যবহার করে। সমস্যা হচ্ছে, চেক হারিয়ে যেতে পারে, হাতে পেতে দেরী হতে পারে। গুগলের এমন ব্যবস্থা রয়েছে যেখানে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে কুরিয়ারের মাধ্যমে চেক নিতে পারেন। এতে দ্রুত চেক পাওয়া যায়।

পে-পল: সহজে অর্থ লেনদেনের সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি। তাদের সাইটে গিয়ে বিনামুল্যে একাউন্ট করা যায় (বাংলাদেশসহ কিছু দেশ বাদে)। লেনদেনের জন্য শুধুমাত্র ই-মেইল এড্রেস ব্যবহার করতে হয়। অর্থাৎ আপনি যারকাছে টাকা পাবেন তাকে ই-মেইল এড্রেস জানালে তিনি আপনার একাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দিতে পারেন। একইভাবে কোথাও অর্থ দেয়া প্রয়োজন হলে (যেমন সার্ভার ভাড়া করা বা সফটঅয়্যার কেনা) আপনি পে-পল একাউন্ট থেকে টাকা দিতে পারেন। কিংবা অনলাইনে কিছু কিনতে পারেন। প্রায় সব কোম্পানী এই ব্যবস্থা ব্যবহার করে থাকে। বাংলাদেশ থেকে পে-পলের সদস্য হওয়া যায় না। সরকার এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জানালেও বাস্তবে সেটা এখনো হয়নি।

স্ক্রীল: পে-পলের মত একই ধরনের আরেকটি প্রতিস্ঠান। এখানেও ইমেইল এড্রেস ব্যবহার করে টাকা লেনদেন করা হয়। বাংলাদেশে স্ক্রীল ব্যবহার করা যায়্ তবে এর জনপ্রিয়তা এবং ব্যবহার পে-পলের থেকে কম। ফলে যে কোম্পানী এই ব্যবস্থা ব্যবহার করে কেবলমাত্র তাদের সাথে লেনদেনের কাজ করতে পারেন। সদস্য হতে টাকা দিতে হয় না, তবে প্রতিটি লেনদেন থেকে সার্ভিস চার্জ হিসেবে কিছু টাকা কেটে নেয়া হয়। নিজস্ব ব্যাংক একাউন্ট থেকে এখানে জমা হওয়া টাকা উঠানো যায়।

পায়জা: এটাও ইমেইল এড্রেস ব্যবহার করে টাকা স্থানান্তরের পদ্ধতি। তাদের একাউন্টে জমা হওয়া টাকা ব্যাঙকের মাধ্যমে কিংবা চেক অয়্যার ট্রান্সফার, ডেবিট-ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে উঠানো যায়। এছাড়া কয়েকটি দেশের জন্য তাদের নিজস্ব কার্ড রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে পায়জা ব্যবহার করা যায়।

এগুলি ছাড়াও এধরনের আরো বেশকিছু পদ্ধতি রয়েছে যার মাধ্যমে অনলাইনে অর্থ লেনদেন করা যায়।
আপনাদের প্রযোজনীয় টিপস নিয়ে আমরা সব সময় প্রস্তুত , আমাদের সাথেই থাকুন !!! 

    Sunday, 1 March 2015

    Stop Misuse of Public Spectrum

    সাড়ে ৯৮ হাজার কোটি টাকার তরঙ্গ
    মাত্র ৫০০০ কোটি টাকায়
    বিক্রি কেন?
    রাষ্ট্রের অমূল্য সম্পদ মোবাইল তরঙ্গ
    পছন্দের
    কোম্পানীকে পাইয়ে দেবার জন্যই
    কি পানির দরে বিক্রির এ
    ব্যবস্থা হচ্ছে?
    ১৫ বছর আগে মোবাইলফোন অপারেটর
    ‘একটেল’ পরবর্তীতে ‘রবি আজিয়াটা’
    নামে তাদের ব্যবসা শুরু করে।
    শুরুতে ‘রবি’ ১৭ দশমিক ৮ মেগাহার্টজ
    ফ্রিকোয়েন্সি (তরঙ্গ)
    নিয়ে ব্যবসা শুরু করলেও কোনো তরঙ্গ
    চার্জ দেয়নি।
    এ ধরনের কোনো আইন না থাকার
    সুযোগ নিয়ে রবি ওই সময় বিনা পয়সায়
    তরঙ্গ ব্যবহার করে হাজার হাজার
    কোটি টাকা আয় করলেও
    সরকারকে এজন্য কোনো ফি দেয়নি। ১
    টাকার কল মিনিট বিক্রি করেছে ৭-৮
    টাকায়। অথচ
    সে আমলে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত,
    পাকিস্তান, নেপালসহ বিশ্বের
    অন্যান্য দেশ মিলিয়ন-বিলিয়ন ডলার
    আয় করেছিল এই
    ফ্রিকোয়েন্সি বিক্রি করে।
    দেখা গেছে, ভারত ওই সময়
    প্রতি মেগাহার্টজ
    ফ্রিকোয়েন্সি বিক্রি করে আয়
    করছিল ১১৩ মিলিয়ন রুপি। অথচ
    বাংলাদেশ হাজার হাজার
    কোটি টাকার
    মুনাফা লাভকারী প্রতিষ্ঠানের
    কাছে এই তরঙ্গ দিয়েছিল স্রেফ শূন্য
    টাকায়। সোজা কথায় ‘মাগনা’।
    শুধু অতীতে নয়, বর্তমানেও সরকারের
    যুগোপযোগী টেলিযোগাযোগ
    নীতিমালার অভাবে হাজার
    হাজার কোটি টাকা দামের তরঙ্গ
    (স্পেকট্রাম) পানির
    দরে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।
    বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন
    রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি)
    কাছে অবশিষ্ট থাকা টুজির ১০ দশমিক
    ৬ মেগাহাটজ এবং থ্রিজির আরও ১৫
    মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম বা তরঙ্গ
    নিলামের চূড়ান্ত তারিখ
    ঘোষণা করা হয়েছে।
    নীতিমালা অনুসারে আগামী ৩০
    এপ্রিল এ নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। আর উভয়
    ধরনের ব্যান্ডের স্পেকট্রামের এ
    নিলামে অংশ নিতে ২৬
    ফেব্রুয়ারির মধ্যে আবেদন করতে হবে।
    কিন্তু পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন, মূল্য
    অনেক বেশী কম ধরে ও
    ‘প্রতিযোগিতাহীন’ নিলামের
    মাধ্যমে অ্যববহৃত থ্রি-জি ও টু-জি তরঙ্গ
    নিলামে বিক্রির সিদ্ধান্ত
    নিয়েছে বাংলাদেশ
    টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন
    (বিটিআরসি)। খাত সংশ্লিষ্ট
    বিশেষজ্ঞদের মতে এতে প্রায় লাখ
    কোটি টাকার রাজস্ব আয়
    থেকে বঞ্চিত হবে সরকার।
    নতুন গাইড লাইনে এ তরঙ্গের
    ভিত্তিমূল্য প্রতিবেশী দেশগুলোর
    তুলনায় বিশেষ করে ভারতের তুলনায়ও
    অনেক বেশী কম ধরা হয়েছে।
    ভারতে চলতি বছরের নিলাম
    অনুযায়ী ১৮০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের
    প্রতি মেগাহার্জ তরঙ্গের
    ভিত্তিমূল্য যেখানে ২৭৩৮
    কোটি টাকা সেখানে আমাদের
    দেশে ধরা হয়েছে মাত্র ২৩০
    কোটি (৩ কোটি ইউএস ডলার),
    অন্যদিকে ভারতে ২১০০ মেগাহার্জ
    ব্যান্ডের তরঙ্গের ভিত্তিমূল্য
    যেখানে ৪৬৩১
    কোটি টাকা সেখানে আমাদের
    দেশে মাত্র ১৬৫ কোটি টাকা (২.২০
    কোটি ইউএস ডলার) ধরা হয়েছে।
    বিটিআরসি ঘোষিত
    নিলামে প্রতিবেশী ভারতের
    প্রতি মেগাহার্টজ তরঙ্গের
    মূল্যকে ভিত্তিমূল্য ধরে নিলাম
    করলেও টুজি’র
    ক্ষেত্রে প্রতি মেগাহার্টজে ২৭৩৮
    কোটি টাকা করে ১০.৬
    মেগাহার্টজে পাওয়া যেত ২৯০২২
    কোটি টাকা। আবার থ্রিজি’র ৪৬৩১
    কোটি টাকা করে ১৫
    মেগাহার্টজে পাওয়া যেত ৬৯৪৯৫
    কোটি টাকা। নিলামে সরকারের
    মোট আয় দাড়াত ৯৮৫১৭ কোটি টাকা।
    অথচ বিটিআরসি’র বর্তমান ঘোষিত
    মূল্যে নিলামে পাওয়া যাবে সর্বোচ্চ
    ৫০০০ কোটি টাকা। ফলে সরকার প্রায়
    সাড়ে ৯৩ হাজার কোটি টাকার আয়
    থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
    উল্লেখ্য, ফ্রিকোয়েন্সি ও
    মেগাহার্টজ জনগণের সম্পত্তি। এজন্য
    দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা থাকতে হবে।
    কিন্তু এসব
    অসঙ্গতি তুলে ধরতে কোনো সিটিজেন
    ফোরাম নেই। কেউ কথা বলে না।
    ফ্রিকোয়েন্সি ও মেগাহার্টজ
    সীমিত। অথচ
    ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দের
    কোনো ম্যাপিং নেই। এজন্য
    মাস্টারপ্ল্যান থাকতে হবে। সবার
    অংশগ্রহণে এটি করা জরুরী। সস্তায়
    তরঙ্গ বিক্রির বিষয়টি চোখে আঙ্গুল
    দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে যে, জনগণ ও
    দেশের সম্পদের সঠিক ব্যবহার
    সম্পর্কে সরকার কত উদাসীন।
    টেলিযোগাযোগ
    বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের
    সমন্বয়হীনতা ও দূরদর্শিতার অভাবেই
    দেশের ব্যবহারযোগ্য সম্পদ মোবাইল
    ফোন ‘তরঙ্গ’ পানির
    দরে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।
    মোবাইল তরঙ্গ সীমিত সম্পদ। সীমিত
    যে কোনো কিছুই বেশ মূল্যবান, আর
    তাই উচিত- সে সম্পদ থেকে সর্বোচ্চ
    মুনাফা আদায় করা। বিশেষ
    করে যদি তৃতীয় পক্ষ কেউ
    যদি সে সম্পদকে পুঁজি করে ব্যবসা করে।
    উদাহরণ হিসাবে বলা যায় যে-
    সরকার বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর
    কাছে গ্যাস বিক্রি করছে, আবার
    বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো নাগরিকদের
    বিদ্যুৎ বিক্রি করছে। ঠিক
    তেমনি সরকার তরঙ্গ বিক্রি করবে আর
    মোবাইল কোম্পানিগুলো তা ব্যবহার
    করে মোবাইল সার্ভিস
    বিক্রি করে মুনাফা করবে। মোবাইল
    কোম্পানীর ব্যবসার
    মুনাফা যতটা বেশি হবে সরকারকেও
    তার কাঁচামাল তরঙ্গ তত
    বেশি মূল্যে বিক্রি করতে হবে।
    কিন্তু যথাযথ নীতিমালা ছাড়াই
    চলছে তরঙ্গ ব্যবসা। আর এর সুযোগ
    নিচ্ছে মোবাইল অপারেটররা।
    এতে দেশ বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয়
    থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
    পাশাপাশি টেলিযোগাযোগ
    খাতে বড় বিনিয়োগ হওয়ার
    সম্ভাবনা হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে।
    টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক
    সংস্থা বিটিআরসি’র তথ্যমতে,
    দেশে মোবাইল গ্রাহক ১২
    কোটি ছাড়িয়েছে।
    দেশে মোবাইলের
    মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর
    সংখ্যা ৩ কোটি ৯০ লাখ ৫২ হাজার।
    অর্থাৎ টেলিযোগাযোগ খাত,
    বিশেষ করে মোবাইলফোন খাত
    হতে পারে বাংলাদেশের
    অর্থনীতির অন্যতম মূল চালিকাশক্তি।
    এ খাত দেশের
    জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য
    অবদান রেখে চলেছে।
    খাতটি কর্মসংস্থান ও বৈদেশিক
    বিনিয়োগের (এফডিআই) বৃহত্তম
    সংস্থানকারী এবং সরকারের কর
    রাজস্বের সবচেয়ে বড় উৎস। কিন্তু
    সরকারের উদাসীনতায়
    এক্ষেত্রে কাঙ্খিত সমৃদ্ধি আসছে না,
    জনগণ বঞ্চিত হচ্ছে আর
    বিদেশীরা লুটপাট করছে।
    এক্ষেত্রে সরকারের উদাসীনতা ও
    নিষ্ক্রিয়তার
    বিপরীতে জনগণকে সচেতন
    হতে হবে নিজেদের হক্ব যাতে নষ্ট
    না হয়, সে সম্পর্কে সচেতন ও সক্রিয়
    থাকতে হবে।

    Monday, 16 February 2015

    What Is Online Income Or Outsourcing ?


    Online Income or Outsourcing বর্তমানে বহুল পরিচিত
    দুইটা শব্দ। আমরা জানি Online থেকে আয় করা যায়। কিন্তু
    সেটা কি ভাবে? কিংবা আদো কি Online থেকে আয়
    করা যায়?
    এর উওর হচ্ছে, হ্যা। যায়। তবে Online থেকে আয়
    করতে হলে Online Income এর Process গুলো আমাদের ঠিকমত
    জানতে হবে। আর বর্তমানে Outsourcing এর সবচে বড় খাত
    হচ্ছে Online Marketing, যেটাকে আমরা সবাই #SEO
    নামে জানি। SEO for Search Engine Optimization. SEO
    হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি Service, Product
    বা Website কে Search Engine এর
    কাছে তুলে ধরা যাতে SERPs এ আপনার বা আপনার Client এর
    Website টি সবার উপরে থাকে। SEO তে Article Writing,
    Forum Posting, Blog Posting, Link building, Affiliation etc.
    সহ প্রায় ১০ টি আলাদা আলাদা Sector কাজ করার সুযোগ
    রয়ছে। কিন্তু এর মানে এইনয় যে একটা Computer আর Internet
    Connection নিয়ে বসলাম কিছুক্ষণ টিপাটিিপ কোরলাম আর
    Account এ Dollar জমা হতে শুরু করল। যদি এটা ভেবে থাকেন
    তাহলে আপনি এখনো বোকার স্বর্গে বসবাস করছেন।
    স্বৎপথে অর্থ উপার্যন কখনই এত সহজ নয়। তবে আপনার
    মধ্যে তিনটা গুণ থাকলেই আপনি Outsourcing করে Online থেকে অতি সহজেই Income করতে পারবেন।
    আর সেগুলো হচ্ছে:
    ১। প্রবল জানার ইচ্ছা
    ২। পরিশ্রম করার মানষিকতা
    ৩। ধৈর্য ধারনের ক্ষমতা  ।

    আর এই কাজ সঠিক ভাবে সম্পুন্ন করার জন্য আপনার দরকার একটি সঠিক গাইডলাইন। শুদু মাএ সঠিক গাইডলাইন এর অভাবে অনেক সময় ইচ্ছা ও সামর্থ্য থাকা স্বত্বেও অনেকে সফল হতে পারেনা।সবার সুস্বাস্থ কামনা করে আজকের মতো এটুকুই।

    এ কোন 'আইএস ভূত' বাংলাদেশের ঘাড়ে


    যৌনদাসী ইস্যুতে ‘আইএস ভূত’ বাংলাদেশের ঘাড়ে

    ঢালাও যৌন নির্যাতনের মুখে ইন্দোনেশিয়া ফিলিপাইন শ্রীলংকা বিগত বছরগুলোতে সউদি আরবে নারী গৃহকর্মী প্রেরণ বন্ধ করে দেয়ার পর সংকট নিরসনে নতুন ৪টি দেশ ইথিওপিয়া, কেনিয়া, নেপাল ও বাংলাদেশ থেকে ‘হাউজ মেইড’ নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সৌদি শ্রম মন্ত্রনালয়। নারীদের অধিকার রক্ষায় উক্ত ৪টি দেশে ‘জনসচেতনতা’ কম থাকার পাশাপাশি সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ে ‘উদাসীনতা’র সুযোগ কাজে লাগিয়েই মূলতঃ নিজ দেশের গৃহকর্মী সংকট দূর করার উদ্যোগ নেয় সৌদিরা। বাংলাদেশ অবশ্য ‘অন্য কারণে’ আগে থেকেই সৌদি শ্রম মন্ত্রনালয়ের ব্ল্যাকলিস্টে থাকায় সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পরপরই শুরু হয়েছে সেই সংকট নিরসনেরই তোড়জোড়।

    অনুসন্ধানে জানা যায়, কেনিয়ান ও ইথিওপিয়ানদের গায়ের রং ছাড়াও অভ্যাস-আচরণগত অনেক বিষয়াদি বিশেষ শ্রেনীর সৌদি পুরুষদের মনঃপুত না হবার কারণে এবং নেপালীরা তুলনামূলকভাবে বেশি চালাক- চতুর হওয়ায় গৃহস্থালীর কাজের হাজার হাজার শূন্যস্থান পূরণে এক্ষেত্রে ‘নো আদার অপশান’ হিসেবে বেছে নেয়া হয় বাংলাদেশকে। অথচ গৃহকর্মী (হাউজ মেইড) হিসেবে নিয়োগ দেয়ার পর তাদেরকে নিজ নিজ বাসা- বাড়িতে নিয়ে গিয়ে যৌনদাসী তথা ‘সেক্স- স্লেভস’ বানিয়ে থাকে অধিকাংশ সৌদি মালিকরা – বিভিন্ন দেশের সংবাদ মাধ্যমে এমন খবর ফলাও করে বহুবার প্রকাশিত ও প্রচারিত হলেও কানে পানি যায়নি বাংলাদেশ সরকারের। বাংলাদেশে রাজনৈতিক নেতৃত্বের তরফ থেকে একসময় ঘরে ঘরে কাজ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও পরিকল্পনা ও আন্তরিকতার অভাবে ভেস্তে যায় সবকিছুই। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর অসহযোগিতার পাশাপাশি ‘জ্বালাও- পোড়াও’ মার্কা আন্দোলন সেই সাথে সরকারের অসহিষ্ণু মনোভাব এবং রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ‘গনতন্ত্রের কবর’ রচিত হওয়ায় লাইমলাইটের বাইরে চলে যায় বিদেশে নতুন শ্রমবাজার সন্ধানের অতীব গুরুত্ববহ বিষয়টি। দেশের ইতিহাসের সবচাইতে ‘রং হেডেড’ শ্রমমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের অনুর্বর মস্তিষ্কপ্রসূত পলিসি জি-টু-জি’র ভুল প্রয়োগে দেশে দেশে ধ্বংস হয়ে যায় বাংলাদেশের শ্রমবাজার। মন্ত্রীর আনাড়িপনাতেই মুখ থুবড়ে পড়ে জনশক্তি রফতানী। ভয়াবহ এই ব্যর্থতা ঢাকতেই মূলতঃ বাংলাদেশে সরকার সৌদি আরবের অন্ধকার জগতের সব তথ্য চেপে গিয়ে দেশটিতে নারী গৃহকর্মী প্রেরণে রাজি হয়ে যায়। আগে নারীদের ‘সাপ্লাই’ করা হলে পরে অন্য পেশায় পুরুষদের নিয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করবে সৌদিরা – এমন নেক্কারজনক কন্ডিশনকেই মাথা পেতে নেয় বাংলাদেশ। বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘হাউজ মেইড’ মোড়কে নিজ দেশের নারীদের নিশ্চিত যৌনদাসত্বের পাইপলাইনে তুলে দিয়ে বাংলাদেশ এক অর্থে জঙ্গী সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর পদাংকই অনুরণ করতে যাচ্ছে। ইরাকের ইয়াজিদী সম্প্রদায়ের হাজার হাজার নারীকে যেভাবে যৌনদাসী করেছে আইএস জঙ্গীরা, ভদ্রতার মুখোশধারী সৌদি পুরুষদের ঠিক সেই ‘কামলীলা’র সব খবর রেখেও বাংলাদেশ সরকার তার দেশের নারীদের আজ একই অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে। প্রসঙ্গত, ইরাক-সিরিয়াতে আইএস নিয়ন্ত্রিত জনপদে রয়েছে যৌনদাসীদের একাধিক বিশাল বিশাল বাজার, যেখানে বিক্রি করার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে ধরে আনা হয় নারীদের। কথিত যুদ্ধে লিপ্ত দেশ-বিদেশের যোদ্ধারা প্রতিনিয়ত এসে থাকে যৌনদাসীদের উক্ত বাজারগুলোতে এবং নগদ অর্থে যার যার পছন্দ মোতাবেক নারীদের কিনে নিয়ে যায়। যৌনদাসী দিয়ে যৌনক্ষুধা মেটানো আইএস জঙ্গীরা যেমন ‘নিজস্ব শরীয়ত’ মোতাবেক ‘হালাল’ মনে করে থাকে, ঠিক একইভাবে সৌদি নিয়োগদাতা মালিকরাও বিভিন্ন দেশের নারী গৃহকর্মীদের ইচ্ছেমতো ভোগ করাকে ‘অবৈধ’ মনে করে না। দাস-দাসীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনকে অধিকাংশ সৌদিরা সেই আইএস স্টাইলেই ‘হালাল’ মেনে থাকে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বাংলাদেশের নারীরাও দলে দলে আসবে এখন মরু প্রান্তরে এবং ক্ষুধার্ত সৌদি পুরুষরা নির্ধারিত অফিস থেকে যার যার চাহিদা মোতাবেক তাদের ঘরে নিয়ে যাবে। নামে ‘হাউজ মেইড’ কাজে যৌন দাস-দাসী, বিভিন্ন দেশের এমন নারী গৃহকর্মীদের সৌদিরা অস্বাভাবিক অনিয়ন্ত্রিত বিকৃত সব যৌনাচারে বাধ্য করার পাশাপাশি উঠতে বসতে মারধর সহ ভয়ানক সব টর্চার করে থাকে - এসব তথ্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে থাকলেও দেশটিতে সেই ‘সো কল্ড’ হাউজ মেইড প্রেরণের সিদ্ধান্ত এখনো স্থগিত না করায় ইতিমধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশীরা। তাঁরা বলছেন, পেট্রোল বোমার ‘ভূত’ নামের আগেই দেশ ও জাতির ঘাড়ে এভাবে ‘আইএস ভূত’ চেপে বসবে, এটা কোনভাবেই আজ কাম্য নয়। সৌদি প্রবাসীদের প্রশ্ন, এজন্যই কি বাংলার মা- বোনেরা বীরাঙ্গনা হয়েছিল একাত্তরে ?

    Saturday, 14 February 2015

    ♦ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ফিল্যান্সিং এর অবদান



    আমদানী নির্ভর আমাদের এ দেশে যত বৈদেশিক
    মুদ্রা রিজার্ভের প্রয়োজন হয় তার একটি বড় অংশ
    আসে প্রবাসী বাংলাদেশীদের কাছ থেকে। ২০১২
    সালে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের শ্রমিকেরা প্রায়
    ১৪ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন (তথ্যসুত্রঃ ওর্য়াল্ড ব্যংক)।
    প্রতিবছর ১০ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হবে এটা ধরে নিলে ২০১৫
    সাল নাগাদ সেটা হবে প্রায় ১৯ বিলিয়ন ইউএস ডলারের
    কাছাকাছি।
    এবার আসা যাক আউটসোর্সিং শিল্পের দিকে। ২০১২
    সালে ৩৬৫ কোটি টাকারও বেশি আয় করেছেন বাংলাদেশের
    ফ্রিল্যান্সাররা। ২০১৫ সালে সর্বমোট ৪৪৩ বিলিয়ন ডলার
    সমপরিমাণের কাজ আউটসোর্স হবে। আমরা যদি এর ১০%
    মার্কেট শেয়ার নিতে পারি তাহলে সেটা প্রায় ৪৫ বিলিয়ন
    ইউএস ডলার এবং ৫% মার্কেট শেয়ার নিলে সেটা হবে প্রায়
    ২৩ বিলিয়ন ইউএস ডলার, যা কিনা আমাদের বৈদেশিক
    মুদ্রা অর্জনের বর্তমানের সবচেয়ে বড় খাতকেও অতিক্রম
    করবে।
    আমাদের দেশে প্রায় ৫০ শতাংশই মহিলা। আর এ মহিলাদের
    একটা বিশাল অংশ জাতীয় অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলে- এমন
    কাজ খুব কমই করেন। কিন্তু তাদের একটা বড় অংশ
    চাইলে বাসায় বসে প্রতিদিন ৩-৪ ঘন্টা সময়
    দিলে প্রতি ঘন্টা ১ ডলার হিসাবে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩-৪
    ডলারও ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে পারেন। মোট কর্মক্ষম
    লোকের সংখ্যা যদি ৭ কোটি হয় তাহলে নারী আছে ৩.৫
    কোটি। এর মধ্যে শিক্ষিত তরুণী এবং মহিলা যদি অর্ধ
    কোটিও হয় এবং তাঁদেরকে ফ্রিল্যান্সার
    হিসাবে গড়ে তোলা সম্ভব হয় তবে প্রতিদিন ১.৫
    কোটি ডলার আয় আসবে এ ক্ষেত্র থেকে। বছরে এ আয়ের
    পরিমাণ দাড়াবে ৫০০ কোটি ডলারে।
    Showing posts with label অর্থনীতি. Show all posts
    Showing posts with label অর্থনীতি. Show all posts

    Sunday, 8 November 2015

    দীর্ঘ সাত বছর পর কুয়েতে খুলল বাংলাদেশের শ্রমবাজার

    মধ্যপ্রাচের অনেক দেশে বাংলাদেশী ভিসা বন্ধ।আলোর মুখ দেখতে শুরু করছে সৌদি আরব এর ভিসা খোলার মধ্যদিয়ে। অপেক্ষায় আছে সংযুক্ত আরব আমিরত। সাত বছর পর আবারো খুলছে কুয়েতে বাংলাদেশের শ্রমবাজার। ইতিমধ্যে সে দেশের একটি প্রতিষ্ঠান ৫৯২ জন শ্রমিক নিতে চাহিদাপত্র পাঠিয়েছে বলে জানিয়েছে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো-বিএমইটি।
    বিএমইটির তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭৬ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত কুয়েতে চার লাখ ৮০ হাজার বাংলাদেশী শ্রমিকের কর্মসংস্থান হয়। বাংলাদেশী শ্রমিকদের বিরুদ্ধে কিছু আইন ভঙ্গ করার অভিযোগ এনে, ২০০৭ সাল থেকে বাংলাদেশী শ্রমিক নেয়া প্রায় বন্ধ রাখে কুয়েত সরকার।
    তবে চলতি মাসেই কুয়েতে আবারো শ্রমিক পাঠানো যাবে বলে জানিয়েছেন বিএমইটির মহাপরিচালক বেগম শামসুন নাহার।
    তিনি জানান, কয়েকটি প্রতিনিধি দল কয়েক দফায় কুয়েত সরকারের সঙ্গে বৈঠকের পর দেশটি বাংলাদেশ থেকে আবারো শ্রমিক নিতে রাজি হয়।প্রসঙ্গত, বিশ্বের যে কয়টি দেশ থেকে সবচেয়ে বেশি রেমিটেন্স আসে তার মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েত অন্যতম।

    Monday, 2 November 2015

    চারকোল (পাটজাত পণ্য) বাংলাদেশে নতুন সম্ভাবনার দ্বার

    বাংলাদেশের সোনালি আঁশখ্যাত পাট হারিয়েছে তার গৌরব। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে পাটজাত অনেক দ্রব্যের চাহিদা বাড়ছে এখনো। পণ্যগুলোর রফতানি বাজার ধরতে পারলে পাটের হারানো গৌরব পুনরুদ্ধার সম্ভব। এ রকমই একটি সম্ভাবনাময় পণ্য পাটখড়ি পুড়িয়ে তৈরি কয়লা বা চারকোল। জানা গেছে, পণ্যটি রফতানির মাধ্যমে বার্ষিক রফতানি আয় বাড়ানো সম্ভব আড়াই হাজার কোটি টাকা। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্ভাবনাময় এ পণ্যটির বিকাশে সরকারও এগিয়ে আসছে।

    জানা গেছে, দেশে প্রথম বাণিজ্যিকভাবে চারকোল উত্পাদন শুরু হয় ২০১২ সালে। ওই বছরই চীনে প্রথম চালান পাঠানোর মাধ্যমে রফতানিমুখী পণ্য হিসেবে অভিষেক ঘটে দেশে উত্পাদিত চারকোলের। বর্তমানে পণ্যটির চাহিদা রয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। দেশে বাণিজ্যিকভাবে পণ্যটির উত্পাদন বাড়লে আগামীতে জাপান,ব্রাজিল, তুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে চারকোল রফতানি সম্ভব হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, দেশে প্রতিবছর প্রায় ৩০ লাখ টন পাটকাঠি উত্পাদিত হয়। এর মধ্যে ৫০ শতাংশের সঠিকভাবে ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে চারকোলের বার্ষিক উত্পাদন দাঁড়াতে পারে প্রায় ২ লাখ ৫০ হাজার টনে, যা বিদেশে রফতানির মাধ্যমে বার্ষিক বৈদেশিক মুদ্রার আয় বাড়ানো সম্ভব প্রায় ২ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। একই সঙ্গে সারা দেশে বাড়বে কর্মসংস্থানের সুযোগ।বিশ্বব্যাপী চারকোলের ব্যবহার বহুমুখী। ফেসওয়াশ,ফটোকপিয়ারের কালি, পানির ফিল্টার, বিষ ধ্বংসকারী ওষুধ, জীবন রক্ষাকারী ওষুধ, দাঁত পরিষ্কারের ওষুধসহ আরো বিভিন্ন পণ্য তৈরিতে ব্যবহূত হয় চারকোল।
    বাংলাদেশে বর্তমানে চারকোল উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১০-১২টি। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো সানবিম কর্পোরেশন, মাহফুজা অ্যান্ড আহান এন্টারপ্রাইজ,জামালপুর চারকোল লিমিটেড ও রিগারো প্রাইভেট লিমিটেড। এছাড়াও অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে চারকোলের উত্পাদন শুরু হয়েছে জামালপুর,নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী, পাবনা, রাজবাড়ী,ফরিদপুর, গাজীপুরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।
    সানবিম কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মনিরুল এর বলেন, ‘চারকোল উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে দেশে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করা সম্ভব।তবে এ সম্ভাবনা বাস্তবায়ন করতে হলে উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সরকারি সহযোগিতা প্রয়োজন। পাটজাত পণ্য উত্পাদক হিসেবে গত এক বছর ধরে আমরা সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করছি। এরই মধ্যে পাট মন্ত্রণালয় থেকে সহায়তার আশ্বাসও পেয়েছি আমরা। বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য অনুযায়ী,চারকোল উত্পাদন খাতে সরকারি সহযোগিতা হিসেবে প্রস্তাবিত বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে একে একটি উদীয়মান শিল্প হিসাবে ঘোষণা, উত্পাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অন্তর্ভুক্ত বা সহযোগী প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরের সুযোগ সৃষ্টি, শিল্পটির জন্য দ্রুত পৃথক নীতিমালা তৈরি এবং সরকারি-বেসরকারি সহযোগিতার পাশাপাশি ব্যাংক ঋণের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।
    চারকোল উত্পাদনকারীদের মতে, নতুন বলেই খাতটিকে বিভিন্ন সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। এর মধ্যে কাঁচামালের সরবরাহ সংকটের পাশাপাশি রয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে পাটকাঠির মূল্যবৃদ্ধি। এসব সমস্যা মোকাবেলার জন্য পাট মন্ত্রণালয়ের সহায়তা চেয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
    জানা গেছে, গত ২৮ ও ২৯ অক্টোবর বিষয়গুলো নিয়ে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ে একটি সভা হয়। সভায় উত্পাদনকারীদের সমস্যাগুলো দূর করার জন্য সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে নির্দেশনা দেয়া হয়। জানা গেছে, বিষয়টি নিয়ে খুব শিগগিরই একটি আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক আয়োজনের উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।
    বিষয়টি নিয়ে পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম জানান, চারকোল বাংলাদেশে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে। এতে পাট উত্পাদনে আবারো আগ্রহী হবেন কৃষকরা। এভাবেই ফিরিয়ে আনা হবে সোনালি আঁশের হারানো ঐতিহ্য।

    Monday, 19 October 2015

    বিনা কাস্টমসে যেসব পণ্য বিদেশ থেকে আমদানি করা যাবে

    বিনা কাষ্টমসে(Custom) বিদেশ থেকে কি কি জিনিস আমদানী করতে পারবেন, তা আপনি জানেন কি? না জানলে পড়ুন।আমাদের অনেকের আত্মীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব বিদেশে থাকেন।দেশ-বিদেশ যাতায়ত করার সময় আমরা বিদেশ থেকে অনেক জিনিস এনে থাকি, সেটা হয়ত প্রয়োজনে বা শখের বশে, অথবা আত্মীয়কে খুশি করতে। অনেক সময় সামান্য একটু অসর্তকতার কারনে আপনার ক্রয়কৃত পন্য এয়ারপোর্টে ফেলে আসতে হয় অথবা শুল্ক বাবদ দিতে হয় অনেকগুলি টাকা।আগেই বলি বাণিজ্যিক ভিত্তিতে পন্য আনার ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য নয়। শুধুমাত্র নিজ ব্যবহার, গৃহস্থালী ব্যবহারের জন্য প্রযোজ্য।
    ●প্রথমেই দিচ্ছি শুল্ক কর আরোপযোগ্য পন্যের তালিকা→
    (ক) ব্যাক্তিগত এবং গৃহস্থালী কাজে ব্যাবহৃত হয় না এমন পন্য।
    (খ) দুইটি স্যুটকেসের অতিরিক্ত স্যুটকেসে আনীত ব্যাগেজ। তবে ৩য় স্যুটকেসে আনীত বইপত্র, সাময়িকি বা শিক্ষার উপকরণ শুল্ক ও কর মুক্তভাবে খালাসযোগ্য।
    (গ) বাণিজ্যিক পরিমানে যে কোন পন্য ব্যাগেজে আমদানী হলে শুল্ক ও কর আরোপযোগ্য।

    ★(ঘ) নিম্নে বর্ণিত পণ্য ব্যাক্তিগত ও গৃহস্থালী ব্যাগেজ হিসেবে আমদানী হলেও প্রতিটির পাশে উল্লেখিত হারে কর পরিশোধ করতে হবে→
    (১) টেলিভিশন (CRT) ২৫" এর উর্ধ্বে হলে ২৯" পর্যন্ত ৩০০০/- টাকা।
    (২) Plasma, LCD, TFT ও অনুরুপ প্রযুক্তির টেলিভিশন:
    (ক) ১৭" হতে ২১" পর্যন্ত = ১০,০০০.০০/= টাকা,
    (খ) ২২" হতে ২৯" পর্যন্ত = ১৫,০০০.০০/= টাকা,
    (গ) ৩০" হতে ৪২" পর্যন্ত = ২০,০০০.০০/= টাকা,
    (ঘ) ৪৩" হতে ৫২" পর্যন্ত = ৫০,০০০.০০/= টাকা,
    (ঙ) ৫৩" হতে তদুর্ধ সাইজ = ৭৫,০০০.০০/= টাকা।

    (৩) (ক) ৪টি স্পিকারসহ কম্পোনেন্ট (মিউজিক সেন্টার) সিডি/ডিভিডি/ভিসিডি/এমডি/ এএলডি/ ব্লু-রে-ডিস্ক সেট = ৪,০০০.০০/= টাকা।
    (খ) ৪ এর অধিক তবে সবোর্চ্চ ৮টি স্পিকারসহ (মিউজিক সেন্টার) হোম থিয়েটার/সিডি/ডিভিডি/ভিসিডি/এমডি/ এএলডি/ ব্লু-রে-ডিস্ক সেট = ৮,০০০.০০/=

    (৪) রেফ্রিজারেটর/ ডিপ ফ্রিজার = ৫,০০০.০০/=
    (৫) ডিশ ওয়াশার/ ওয়াশিং মেশিন/ ক্লথ ডায়ার = ৩,০০০.০০/=
    (৬) এয়ারকুলার/ এয়াকন্ডিশনার
    (ক) উইন্ডো টাইপ = ৭,০০০.০০/= টাকা
    (খ) স্প্লিট টাইপ = ১৫,০০০.০০/= টাকা
    (৭) ওভেন বার্নারসহ = ৩,০০০.০০/=
    (৮) ডিস এন্টেনা = ৭,০০০.০০/=
    (৯) স্বর্ণবার বা স্বর্ণপিন্ড (সবোর্চ্চ ২০০ গ্রাম) প্রতি ১১.৬৬৪ গ্রাম বা ভরি= ১৫০.০০/=
    (১০) রৌপ্যবার বা রৌপ্য পিন্ড (সর্বোচ্চ ২০০ গ্রাম) প্রতি ১১.৬৬৪ গ্রাম = ৬.০০/=
    (১১) HD Cam, DV Cam, BETA Cam & Professional used Camera = 15,000.00 Taka.
    (১২) এয়ারগান/ এয়ার রাইফেল = ২,০০০.০০ টাকা (বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমুতি সাপেক্ষে আমদানিযোগ্য, আমদানি নীতি-আদেশ ২০০৩-২০০৬ দ্রষ্টব্য )
    (১৩) ঝাড়বাতি = ৩০০.০০ টাকা প্রতি পয়েন্ট।
    (১৪) কার্পেট ১৫বর্গ মিটার পর্যন্ত = ৫০০.০০ টাকা প্রতি বর্গমিটার।

    ★এবার দেখুন কি কি পন্য বিনা শুল্কে আমদানীযোগ্য (প্রত্যেকটি ১টি করে)→
    ১. ক্যাসেট প্লেয়ার/ টু ইন ওয়ান,
    ২. ডিস্কম্যান / ওয়্যাকম্যান অডিও,
    ৩. বহনযোগ্য অডিও সিডি প্লেয়ার,
    ৪. ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, ইউপিএস, স্ক্যানার, ফ্যাক্সমেশিন।
    ৫. ভিডিও ক্যাম: এইচ ডি ক্যাম, ডিভি ক্যাম, বেটা ক্যাম এবং প্রফেশনাল কাজে ব্যবহৃত হয় না এমন ক্যামেরা ব্যাতিত সব।
    ৬. ডিজিটাল ক্যামেরা,
    ৭. সাধারণ/পুশবাটন/কর্ডলেস টেলিফোন সেট
    ৮. সাধারণ ইলেকট্রিক ওভেন/ মাইক্রোওয়েভ ওভেন,
    ৯. রাইস কুকার/ প্রেসার কুকার,
    ১০. টোস্টার/ স্যান্ডউইচ মেকার/ ব্লেনডার/ ফুড প্রসেসর/ জুসার/কফি মেকার।
    ১১. সাধারণ ও বৈদ্যুতিক টাইপ রাইটার,
    ১২. গৃহস্থালী সেলাই মেশিন (মেনুয়াল/বৈদ্যুতিক)
    ১৩. টেবিল / প্যাডেস্টাইল ফ্যান,
    ১৪. স্পোর্টস সরন্জাম (ব্যাক্তিগত ব্যবহারের জন্য)
    ১৫. ২০০ গ্রাম ওজনের স্বর্ণ/র্যোপ্য অলংকার (এক প্রকারের অলংকার ১২টির অধিক হবে না)
    ১৬. এক কার্টুন সিগারেট (২০০ শলাকা),
    ১৭. ২৪" পর্যন্ত রঙ্গিন টিভি (সিআরটি)/সাদাকালো টিভি,
    ১৮. ভিসিআর/ভিসিপি,
    ১৯. সাধারণ সিডি ও দুই স্পিকার সহ কম্পোনেন্ট (মিউজিক সেন্টার/ সিডি/ ভিসিডি/ ডিভিডি/এলডি/ এমডি সেট)
    ২০. ভিসিডি/ডিভিডি/এলডি/এমডি ব্লুরেডিস্ক প্লেয়ার,
    ২১. এলসিডি মনিটর ১৭" পর্যন্ত (টিভি সুবিধা থাকুক বা নাই থাকুক)
    ২২. একটি মোবাইল সেট।

    [[বিঃদ্রঃ বিমান বাংলাদেশ এয়ার লাইন্স ( Biman Bangladesh Airlines) এ ক্যারি ১৫ কেজি পর্যন্ত আনা যায় আর ৪৪.৪০ কিলো পর্যন্ত বুকিং দেয়া যায়। যারা বিদেশ থেকে কম্বল (Blanket /Quilt) আনেন, তারা ২টি কম্বল এক সাথে বাধবেন না। এয়ার পোর্ট এভাবে এখন আর এলাউ করে না। ২টির বেশী কম্বল আনতে দেয় না। কারণ আপনার জন্য যে আয়তনের জায়গা বরাদ্দ আছে তা ২ কম্বল ও একটি লাগেজেই ভরে যায়। কম্বল ৩টি হলে অন্যর কম্পার্টমেন্ট শেয়ার করতে হয়। তাই ডিজএলাউড।]]

    Friday, 26 June 2015

    ফাইভার মার্কেটপ্লেসে কাজ পাবেন ১০০%

    Fiverr এ ভিডিও যুক্ত করার গুরুত্ব এবং নিয়ম
    যারা ফাইভার মার্কেটপ্লেসে কাজ করার চেষ্টা
    করছেন, তাদের জন্য বলছি, গিগে অবশ্যই ভিডিও
    যুক্ত করেন, তাহলে কাজ পেয়ে যাবেন। পরিচিত
    একজনকে দেখলাম, শুধুমাত্র গিগে ভিডিও যুক্ত
    থাকার কারনে, তার ইমেজ রিটাচ সম্পর্কিত গিগে
    মাত্র ৪৬টা ক্লিক পড়ার পরেও পেয়েছে ৯টা
    অর্ডার।
    গত বছরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, Fiverr ব্লগ থেকে
    জানা গেল যে, যেসকল গিগে ভিডিও ছিল তাদের
    সেল অনেক বেড়েছে। শুধু তাই নয় যে সকল সেলারের
    ভিডিওতে নিজেরাই নিজেদের কাজ উপস্থাপন
    করেছেন তাদের সেল বেড়েছে ৯৬% আর যাদের
    ভিডিও ইফেক্ট, এনিমেশন, লেখা, ষ্টীল ছবি,
    ইত্যাদির মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন তাদের সেল
    বেড়েছে ৮৪%। মিউজিক এবং অডিও ক্যাটাগরিতে
    যাদের ভিডিও ছিল তাদের সেল বেড়েছে
    অবিশ্বাস্য ভাবে ৪১৮%। সুতরাং গিগে ভিডিওর
    গুরুত্বটা পরিস্কার বুঝা যাচ্ছে, আশা করি।
    এখন ভিডিওর ব্যাপারে Fiverr এর কিছু নিয়ম বলি
    ১। ভিডিও অবশ্যই ১ মিনিট বা তার কম হতে হবে
    ২। "Exclusively on Fiverr" এই কথাটা অবশ্যই গিগে
    থাকতে হবে। সেটা লিখে, মুখে বলে, বা ছবির
    মাধ্যমে যে ভাবে হোক।
    ৩। পর পর তিনবার ভিডিও রিজেক্ট হলে আর কখনই
    গিগে ভিডিও যুক্ত করতে পারবেন না । কাজেই
    সাবধান। উপরোক্ত ১,২ করণেই সাধারণত ভিডিও
    রিজেক্ট হয়।
    ৪। ভিডিও অবশ্যই গিগের উপর ভিত্তি করে হতে
    হবে।
    ৫। একই ভিডিও একধিক গিগে যুক্ত করতে পারবেন।
    ৬। ভিডিও যুক্ত করার সাধারণত ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই
    গিগে শো করে।
    ৭। ভিডিও পাবলিশ হবার পর যতবার খুশি ভিডিও
    পরিবর্তন করতে পারবেন। Thumbnail ও ইচ্ছেমত
    পরিবর্তন করতে পারবেন।

    ফাইভারে ৫ডলারের কাজ দেখে কেউ অবজ্ঞা করলে
    ভুল করবেন, কারন এখানে ৫ডলার না, সবাই ৩০০-৪০০
    ডলার দিয়েও কাজ করছে।

    Friday, 5 June 2015

    আয়ারল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশি

    যেসব বাংলাদেশি প্রবাসী ভাইদের জন্য আমাদের অর্থনীতির চাকা দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, তারা প্রবাসে কত কষ্টে আছে তারা জানে। স্যালুট এই সব ভাইদের। এই নিউজ টা আয়ারল্যান্ডের প্রবাসী বাংলাদেশি ভাইদের জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তির হবে আশা করি।অনেকে জানেন আবার অনেকে না- আগামী ৭ই জুন ২০১৫ ইং রোজ রবিবার লন্ডনের বাংলাদেশ দূতাবাস আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনে সকাল ১০টা ৩০মিনিট থেকে বৈকাল ৪টা পর্যন্ত সকল বাংলাদেশীদের জন্য বাংলাদেশী পাসপোর্ট নবায়ন, নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন গ্রহন, আইরিশ পাসপোর্টের জন্য নো ভিসা রিকয়ার্ড সীল, এফিডেভিট, জন্ম সনদ সত্যায়িত এবং পাওয়ার এটর্নি সহ আরো অন্যান্য সেবা সমূহ প্রদান করার জন্য ডাবলিনে আসবেন।
    স্থান: Islamic Cultural Centre of Ireland,
    19 Roebuck Road, Clonskeagh, Dublin 14,Ireland
    বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন: টিটু খন্দকার -০৮৬৬৬৬৫৩১৮, রিয়াজ খন্দকার-০৮৬৭৭৫৮৯৭০, আসিক কামাল -০৮৯৯৫০৫৪৪৬, জিকু বনিক -০৮৬২৫১৯১২৫।

    নিউজ টা শেয়ার করে বাংলাদেশিদের সেবায় এগিয়ে আসুন,প্লিজ ।

    Budget 2015-2016 যেসব পণ্যের দাম বাড়ছে বা কমছে

    বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত । গড় মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ২ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য ঠিক করে বর্তমান সরকারের দ্বিতীয় বাজেট ঘোষণা করেছেন তিনি। সাত শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরে নতুন অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, “সরবরাহের দিক থেকে শিল্প ও সেবাখাত এবং চাহিদার দিক থেকে ব্যক্তি খাতের ভোগ ব্যয় এবং ব্যক্তি ও সরকারিখাতোর বিনিয়োগ ব্যয় হবে এই প্রবৃদ্ধিরচালিকাশক্তি। উপরন্তু, রাজস্ব ও মুদ্রানীতিরসুসমন্বয় এ লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে।”

    নতুন বাজেটের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে উচ্চ প্রবৃদ্ধির পথ রচনা। অর্থমন্ত্রী আশা করছেন,আসন্ন নতুন অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) চলতি অর্থবছরের চেয়ে ৭শতাংশ বাড়বে।সেই সঙ্গে গড় মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ২ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য ঠিক করেছেন মুহিত।

    বাজেটে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে শুল্কহার, সম্পূরক শুল্ক ও মূল্য সংযোজন করে (মূসক) ছাড় বা অব্যাহতি কিংবা শুল্ক রেয়াতি সুবিধা দেওয়া হলে পণ্যের দাম কমে থাকে। আবার এসব সুবিধার উল্টোটা হলে অর্থাৎ শুল্ক–করসমূহ বাড়ানো হলে পণ্যের দাম বাড়ে। তাহলে বাজেট অনুযায়ী দেখে নেই কোন কোন জিনিসের দাম কমছে বা বাড়ছে।

    যেসব পণ্যের দাম বাড়বে:
    চিনি: অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে টন প্রতি কাস্টমস ডিউটি দুই হাজার থেকে চার হাজার টাকা করায় আমদানি করা চিনির দাম বাড়বে ।আর পরিশোধিত চিনি আমদানিতে টন প্রতি কাস্টমস ডিউটি সাড়ে চার হাজার থেকে আট হাজার টাকা করায় এর দাম বাড়বে।
    মোটরগাড়ির টায়ার: মোটরগাড়ির টায়ার আমদানিতে নতুন করে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাবে এটির দাম বাড়বে।
    ইলেকট্রিক ব্যাটারিচালিত মোটরগাড়ি:
    আমদানিতে নতুন করে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের কারণে এর দাম বৃদ্ধি পাবে। অটোরিকশা/থ্রি-হুইলার: দুই স্ট্রোক এবং চারস্ট্রোকবিশিষ্ট অটোরিকশা/ থ্রি-হুইলারের ইঞ্জিন আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ১৫ থেকে বৃদ্ধি করে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাবে এটির দাম বাড়বে।
    এলইডি ও এলসিডি টিভি: বাজেটে এলসিডি ও এলইডি টেলিভিশন তৈরির পূর্ণাঙ্গ প্যানেল এবংঅপটিক্যাল ফাইবারের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব করায় এর দাম বাড়তে পারে।
    সিম কার্ড: অর্থমন্ত্রী সিম কার্ড আমদানির ওপর সম্পূরক শুল্ক হার ১৫ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছেন। এতে পণ্যটির দাম বাড়বে।
    রেজর: রেজর আমদানিতে নতুন করে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং স্টেইনলেস স্টিল ব্লেড আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ১৫ থেকে বাড়িয়ে ২০শতাংশ করার প্রস্তাবে এর দাম বাড়বে।

    আরও যেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে:
    মোটরসাইকেল, রিভলবার ও পিস্তল, অমসৃণ হীরাও ইমিটেশন জুয়েলারি; সৌন্দর্যচর্চা ও ত্বক-নখ-পায়ের পরিচর্যার প্রসাধন সামগ্রী; চা; মাখনসহ অন্যান্য দুগ্ধজাত চর্বি, তেল ও দই-পনির; তাজাবা ঠান্ডা টমেটো; তাজা বা শুকনা সুপারি,সিরামিকের বাথটাব ও জিকুজি, শাওয়ার,শাওয়ার ট্রে; প্রিন্টিং ইংক; রিরোলিংশিল্পের মধ্যবর্তী পণ্য বিলেট; আর্টিফিশিয়াল ফিলামেন্ট টো; টেম্পারড সেফটি গ্লাস ও ল্যামিনেটেড সেফটি গ্লাস; ফ্রেমবিহীন ও ফ্রেমযুক্ত কাচের আয়না; কাস্ট আয়রনের টিউব পাইপস ও ফাঁপা প্রোফাইল; আয়রন বা স্টিলের তৈরি অন্যান্য টিউব, পাইপ ও ফাঁপা প্রোফাইল,সিমলেস; অয়েল অথবা গ্যাস পাইপ লাইনে ব্যবহৃত লাইন পাইপ, রান্নার তৈজসপত্র ও প্লেট গরমকারক; স্টেইনলেস স্টিলের টেবিলওয়্যার,কিচেনওয়্যার, সিঙ্ক, ওয়াশ বেসিন, পানির ট্যাপও বাথরুমের ফিটিংস; কপারের তৈরি স্যানিটারি ওয়্যার অ্যালুমিনিয়াম স্যানিটারিওয়্যার ও এর যন্ত্রাংশ; বিভিন্ন ধরনের সাউন্ডরেকর্ডিং বা রিপ্রডিউসিং এপারেটাস (ম্যাগনেটিক, অপটিক্যাল বা সেমিকন্ডাক্টর মিডিয়া ব্যবহারকারী); সম্পূর্ণ তৈরি সাউন্ডরেকর্ডিং বা রিপ্রডিউসিং এপারেটাস; সম্পূর্ণ তৈরি ভিডিও রেকর্ডিং বা রিপ্রডিউসিংয়ের যন্ত্রপাতি; লোডেড প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড;পকেট সাইজ রেডিও ক্যাসেট প্লেয়ার;সালফিউরিক অ্যাসিড; ওলিয়াম; পেইন্টস,ভার্নিশ ও লেকার (এনামেল ও ডিস্টেম্পারসহ)।

    যেসব পণ্যের দাম কমবে:
    তৈরি পোশাক: পুরুষ, মহিলা ও শিশুদের জন্য আমদানি করা সব ধরনের তৈরি পোশাকের দাম কমতে পারে। এসব পণ্যে সম্পূরক শুল্ক ৬০ থেকে কমিয়ে ৪০ শতাংশ করা হয়েছে।
    ওষুধ: হেপাটাইটিস-সি ভাইরাস জনিত বালিভার-সংক্রান্ত জটিল রোগের ওষুধের ওপর উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে মূসক অব্যাহতি এবংআরও বেশ কিছু ওষুধের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক রেয়াতি সুবিধা প্রদানের প্রস্তাব থাকায় বিভিন্ন ধরনের ওষুধের দাম কমবে।
    পেঁয়াজ: বাজেটে পেঁয়াজের ওপর আরোপিত আমদানির ওপর শুল্কহার সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এতে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কমবে।
    দেশি খেলনা: বিভিন্ন শর্তে খেলনা শিল্পের যন্ত্রপাতি ও উপকরণ আমদানিতে শুল্ক হ্রাসের প্রস্তাব করায় এটির দাম কমবে।
    টুথব্রাশ: ডেন্টাল প্লেট ব্রাশসহ সব ধরনের টুথব্রাশ আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক কমানোর ফলে এর দাম কমবে।
    মশার কয়েল: মশার কয়েল ও অ্যারোসল আমদানির ওপর সম্পূরক শুল্ক ৩০ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশপ্রস্তাব করায় এর দাম কমবে।
    টিস্যু পেপার: টিস্যু পেপার, টয়লেট পেপার,টাওয়েল বা ন্যাপকিন পেপার ও সমজাতীয় পণ্য,গৃহস্থালি, স্যানিটারি বা অনুরূপ কাজে ব্যবহৃত এ ধরনের পণ্য আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ৪৫ থেকে কমিয়ে ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাবে এগুলোর দাম কমবে

    আরও যেসব পণ্য ও সেবার দাম কমবে:
    দেশলাই; ছেলেদের স্যুট, জ্যাকেট, ব্লেজার,
    ট্রাউজার; মেয়েদের স্যুট, জ্যাকেট, ব্লেজার,ড্রেস, স্কার্ট, ট্রাউজার, ব্লাউজ, শার্ট, শার্ট-
    ব্লাউজ; ছেলেদের আন্ডারপ্যান্ট, নাইটশার্ট,পায়জামা, বাথরোব, ড্রেসিং গাউন, স্লিপ,
    পেটিকোট, ব্রিফ, প্যান্টি, নাইটড্রেস,পায়জামা, নেগলেজি, বাথরোব, টি-শার্ট,পুলওভার, কার্ডিগান, ওয়েস্টকোট; শিশুদের গার্মেন্টস; গ্লাভস, মিটেনস ও মিটস; পুরুষ,মহিলা ও শিশুদের ট্র্যাকস্যুট ও সমজাতীয় পণ্য;কৃত্রিম ফুল, ফল; কাস্ট অথবা রোল গ্লাস; ড্রনগ্লাস ও বোন গ্লাসশিট; খেলার তাস; ডাম্পারট্রাক; কোকাযুক্ত চকলেট ও অন্যান্য খাদ্য প্রিপারেশন; কোকাযুক্ত নয় এমন সুগার কনফেকশনারি (সাদা চকলেটসহ); তৈরি চকলেট;জ্যাম-জেলি, মারমালেডস; ফল বা বাদামযুক্ত পিউরি, ফল বা বাদামের পেস্ট; গ্রিজ (খনিজ);প্লাস্টিকের তৈরি দরজা, জানালা, বাক্স,কেইস, টেবিলওয়্যার বা কিচেনওয়্যার, সেলফএডহেসিভ প্লেট, শিট, ফিল্ম, ফয়েল, টেপ, স্ট্রিপ,কার্বয়, বোতল, ফ্লাস্ক ও প্যালেটস; সব ধরনের পার্টিক্যাল বোর্ড, ফাইবার বোর্ড, হার্ডবোর্ড,প্লাইউড, ভিনিয়ার্ড প্যানেলস ও সমজাতীয় লেমিনেটেড পণ্য, দরজা, জানালা, প্যারকিটপ্যানেল ও শাটারিং; পেপার ও পেপার বোর্ড;কার্টন, বক্স, কেস, করোগেটেড পেপার ও পেপারবোর্ড; স্যাকস্ ও ব্যাগস্; মুদ্রিত বই, ব্রশিউর ও লিফলেট; ছাপানো ছবি, ফটোগ্রাফসহ অন্যান্য ছাপানো পণ্যসামগ্রী; মিস্টি বিস্কুট, ওয়াফল সওয়েফার; পশু খাদ্যের পুষ্টি প্রিমিক্স;হিমাগার সেবার বিদ্যুৎ বিল; পলিস্টার সুতার কাঁচামাল পেটচিপস; আয়রণ অক্সাইড; প্লাস্টিকদানা; বাসবার ট্রাংকিং সিস্টেম ও ফ্লাক্স ফাইবার প্রভৃতি।

    Friday, 6 March 2015

    Choose Your Easy Online Payment Method

    অনলাইন মার্কেটিং এ পেমেন্ট সম্পর্কে আপনার জানা থাকলে ভালো :
     পিটিসি(PTC), ডাটা এন্ট্রি(DATA ENTRY) থেকে শুরু করে গ্রাফিক ডিজাইন বা প্রোগ্রামিং এর কাজ করুন,ইন্টারনেটের মাধ্যমে কিছু বিক্রি করুন, টাকা হাতে পাওয়ার জন্য আপনার প্রয়োজন অনলাইন পেমেন্ট ব্যবস্থা। এখানে অনলাইনে লেনদেনের বিভিন্ন পদ্ধতির একটি চিত্র তুলে ধরা হলো ---

    পেওনিয়ার মাষ্টার কার্ড(Master Card) : পেমেন্ট সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন বিকল্পের অন্যতম ও কার্যকর ব্যবস্থাটি হল পেওনিয়ার কার্ড। পেওনিয়ার কার্ডের কথা জানা নেই এরকম কম মানুষই আছেন। পেওনিয়ার কার্ড দিয়ে প্রায় সকল ওয়েবসাইট থেকে কেনাকাটা করা যায়। পেপাল, ফেসবুক, ইবে, অ্যাডওয়ার্ড ইত্যাদি অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করা যায়। এমনকি পেপালে টাকা গ্রহণ করা যায়। বিশ্বের সকল দেশের এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারবেন (বাংলাদেশ থেকেও)। ফ্রিল্যান্স সাইট সমূহ, ক্লায়েন্ট বা অন্য কারো কাছে থেকে পেমেন্ট গ্রহন। পেওনিয়ার প্রায় ২০০ কোম্পানি হতে পেমেন্ট সাপোর্ট করে। সুবিধার পাশাপাশি অল্প কিছু অসুবিধাও পেওনিয়ারের নেই, তা নয়। তবে সুবিধার তুলনায় তা নগন্য। আমার মতে সবচেয়ে বড় অসুবিধা হল ফি। পেওনিয়ারের এটিএম উইথড্র এর ক্ষেত্রে ফি টা একটু বেশি। এছাড়াও ২০ ডলারের নিচে কার্ড লোড করতে না পারাটাও অন্যতম একটা সমস্যা। অবশ্য এসব আমার মনে হয় সুবিধার তুলনায় নগন্য। পেওনিয়ার সাইটে গিয়ে সরাসরি এপ্লাই করতে পারেন কার্ডের জন্য। তবে কোনো পার্টনারের সাহায্যে বা রেফারেল লিংক হতে এপ্লাই করে কার্ড পাওয়ার পসিবিলিটি বেশি।

    ওয়েষ্টার্ন ইউনিয়ন : ওয়েষ্টার্ন ইউনিয়ন ব্যবহার করে অনলাইনে বা ফোনের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করা যায় কিংবা অনলানে বিল দেয়া, কেনাকাটা করা যায়। একাজ করতে হয় তাদের কোন এজেন্ট (Bank) এর মাধ্যমে। টাকা প্রদানের জন্য নির্দিষ্ট কোড ব্যবহার করা হয় বলে লেনদেন নিরাপদ।

    অয়্যার ট্রান্সফার : এক ব্যাংক থেকে আরেক ব্যাংকে টাকা পাঠানোর পদ্ধতি। আপনি যার কাছে অর্থ পাবেন তিনি তার ব্যাংক একাউন্ট থেকে টাকা পাঠাবেন। সেটা জমা হবে আপনার ব্যাংক একাউন্টে। দেশ এবং অর্থ পরিমান ইত্যাদি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে লেনদেনের জন্য ফি দিতে হয় !


    ব্যাংক চেক : আপনার নামে সরাসরি ব্যাংক চেক পাঠানো হবে। আপনি স্থানীয় ব্যাংক থেকে তার বিপরীতে টাকা উঠাতে পারেন। গুগল, চিতিকা এবং আরো কিছু কোম্পানী এই ব্যবস্থা ব্যবহার করে। সমস্যা হচ্ছে, চেক হারিয়ে যেতে পারে, হাতে পেতে দেরী হতে পারে। গুগলের এমন ব্যবস্থা রয়েছে যেখানে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে কুরিয়ারের মাধ্যমে চেক নিতে পারেন। এতে দ্রুত চেক পাওয়া যায়।

    পে-পল: সহজে অর্থ লেনদেনের সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি। তাদের সাইটে গিয়ে বিনামুল্যে একাউন্ট করা যায় (বাংলাদেশসহ কিছু দেশ বাদে)। লেনদেনের জন্য শুধুমাত্র ই-মেইল এড্রেস ব্যবহার করতে হয়। অর্থাৎ আপনি যারকাছে টাকা পাবেন তাকে ই-মেইল এড্রেস জানালে তিনি আপনার একাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দিতে পারেন। একইভাবে কোথাও অর্থ দেয়া প্রয়োজন হলে (যেমন সার্ভার ভাড়া করা বা সফটঅয়্যার কেনা) আপনি পে-পল একাউন্ট থেকে টাকা দিতে পারেন। কিংবা অনলাইনে কিছু কিনতে পারেন। প্রায় সব কোম্পানী এই ব্যবস্থা ব্যবহার করে থাকে। বাংলাদেশ থেকে পে-পলের সদস্য হওয়া যায় না। সরকার এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জানালেও বাস্তবে সেটা এখনো হয়নি।

    স্ক্রীল: পে-পলের মত একই ধরনের আরেকটি প্রতিস্ঠান। এখানেও ইমেইল এড্রেস ব্যবহার করে টাকা লেনদেন করা হয়। বাংলাদেশে স্ক্রীল ব্যবহার করা যায়্ তবে এর জনপ্রিয়তা এবং ব্যবহার পে-পলের থেকে কম। ফলে যে কোম্পানী এই ব্যবস্থা ব্যবহার করে কেবলমাত্র তাদের সাথে লেনদেনের কাজ করতে পারেন। সদস্য হতে টাকা দিতে হয় না, তবে প্রতিটি লেনদেন থেকে সার্ভিস চার্জ হিসেবে কিছু টাকা কেটে নেয়া হয়। নিজস্ব ব্যাংক একাউন্ট থেকে এখানে জমা হওয়া টাকা উঠানো যায়।

    পায়জা: এটাও ইমেইল এড্রেস ব্যবহার করে টাকা স্থানান্তরের পদ্ধতি। তাদের একাউন্টে জমা হওয়া টাকা ব্যাঙকের মাধ্যমে কিংবা চেক অয়্যার ট্রান্সফার, ডেবিট-ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে উঠানো যায়। এছাড়া কয়েকটি দেশের জন্য তাদের নিজস্ব কার্ড রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে পায়জা ব্যবহার করা যায়।

    এগুলি ছাড়াও এধরনের আরো বেশকিছু পদ্ধতি রয়েছে যার মাধ্যমে অনলাইনে অর্থ লেনদেন করা যায়।
    আপনাদের প্রযোজনীয় টিপস নিয়ে আমরা সব সময় প্রস্তুত , আমাদের সাথেই থাকুন !!! 

      Sunday, 1 March 2015

      Stop Misuse of Public Spectrum

      সাড়ে ৯৮ হাজার কোটি টাকার তরঙ্গ
      মাত্র ৫০০০ কোটি টাকায়
      বিক্রি কেন?
      রাষ্ট্রের অমূল্য সম্পদ মোবাইল তরঙ্গ
      পছন্দের
      কোম্পানীকে পাইয়ে দেবার জন্যই
      কি পানির দরে বিক্রির এ
      ব্যবস্থা হচ্ছে?
      ১৫ বছর আগে মোবাইলফোন অপারেটর
      ‘একটেল’ পরবর্তীতে ‘রবি আজিয়াটা’
      নামে তাদের ব্যবসা শুরু করে।
      শুরুতে ‘রবি’ ১৭ দশমিক ৮ মেগাহার্টজ
      ফ্রিকোয়েন্সি (তরঙ্গ)
      নিয়ে ব্যবসা শুরু করলেও কোনো তরঙ্গ
      চার্জ দেয়নি।
      এ ধরনের কোনো আইন না থাকার
      সুযোগ নিয়ে রবি ওই সময় বিনা পয়সায়
      তরঙ্গ ব্যবহার করে হাজার হাজার
      কোটি টাকা আয় করলেও
      সরকারকে এজন্য কোনো ফি দেয়নি। ১
      টাকার কল মিনিট বিক্রি করেছে ৭-৮
      টাকায়। অথচ
      সে আমলে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত,
      পাকিস্তান, নেপালসহ বিশ্বের
      অন্যান্য দেশ মিলিয়ন-বিলিয়ন ডলার
      আয় করেছিল এই
      ফ্রিকোয়েন্সি বিক্রি করে।
      দেখা গেছে, ভারত ওই সময়
      প্রতি মেগাহার্টজ
      ফ্রিকোয়েন্সি বিক্রি করে আয়
      করছিল ১১৩ মিলিয়ন রুপি। অথচ
      বাংলাদেশ হাজার হাজার
      কোটি টাকার
      মুনাফা লাভকারী প্রতিষ্ঠানের
      কাছে এই তরঙ্গ দিয়েছিল স্রেফ শূন্য
      টাকায়। সোজা কথায় ‘মাগনা’।
      শুধু অতীতে নয়, বর্তমানেও সরকারের
      যুগোপযোগী টেলিযোগাযোগ
      নীতিমালার অভাবে হাজার
      হাজার কোটি টাকা দামের তরঙ্গ
      (স্পেকট্রাম) পানির
      দরে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।
      বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন
      রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি)
      কাছে অবশিষ্ট থাকা টুজির ১০ দশমিক
      ৬ মেগাহাটজ এবং থ্রিজির আরও ১৫
      মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম বা তরঙ্গ
      নিলামের চূড়ান্ত তারিখ
      ঘোষণা করা হয়েছে।
      নীতিমালা অনুসারে আগামী ৩০
      এপ্রিল এ নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। আর উভয়
      ধরনের ব্যান্ডের স্পেকট্রামের এ
      নিলামে অংশ নিতে ২৬
      ফেব্রুয়ারির মধ্যে আবেদন করতে হবে।
      কিন্তু পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন, মূল্য
      অনেক বেশী কম ধরে ও
      ‘প্রতিযোগিতাহীন’ নিলামের
      মাধ্যমে অ্যববহৃত থ্রি-জি ও টু-জি তরঙ্গ
      নিলামে বিক্রির সিদ্ধান্ত
      নিয়েছে বাংলাদেশ
      টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন
      (বিটিআরসি)। খাত সংশ্লিষ্ট
      বিশেষজ্ঞদের মতে এতে প্রায় লাখ
      কোটি টাকার রাজস্ব আয়
      থেকে বঞ্চিত হবে সরকার।
      নতুন গাইড লাইনে এ তরঙ্গের
      ভিত্তিমূল্য প্রতিবেশী দেশগুলোর
      তুলনায় বিশেষ করে ভারতের তুলনায়ও
      অনেক বেশী কম ধরা হয়েছে।
      ভারতে চলতি বছরের নিলাম
      অনুযায়ী ১৮০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের
      প্রতি মেগাহার্জ তরঙ্গের
      ভিত্তিমূল্য যেখানে ২৭৩৮
      কোটি টাকা সেখানে আমাদের
      দেশে ধরা হয়েছে মাত্র ২৩০
      কোটি (৩ কোটি ইউএস ডলার),
      অন্যদিকে ভারতে ২১০০ মেগাহার্জ
      ব্যান্ডের তরঙ্গের ভিত্তিমূল্য
      যেখানে ৪৬৩১
      কোটি টাকা সেখানে আমাদের
      দেশে মাত্র ১৬৫ কোটি টাকা (২.২০
      কোটি ইউএস ডলার) ধরা হয়েছে।
      বিটিআরসি ঘোষিত
      নিলামে প্রতিবেশী ভারতের
      প্রতি মেগাহার্টজ তরঙ্গের
      মূল্যকে ভিত্তিমূল্য ধরে নিলাম
      করলেও টুজি’র
      ক্ষেত্রে প্রতি মেগাহার্টজে ২৭৩৮
      কোটি টাকা করে ১০.৬
      মেগাহার্টজে পাওয়া যেত ২৯০২২
      কোটি টাকা। আবার থ্রিজি’র ৪৬৩১
      কোটি টাকা করে ১৫
      মেগাহার্টজে পাওয়া যেত ৬৯৪৯৫
      কোটি টাকা। নিলামে সরকারের
      মোট আয় দাড়াত ৯৮৫১৭ কোটি টাকা।
      অথচ বিটিআরসি’র বর্তমান ঘোষিত
      মূল্যে নিলামে পাওয়া যাবে সর্বোচ্চ
      ৫০০০ কোটি টাকা। ফলে সরকার প্রায়
      সাড়ে ৯৩ হাজার কোটি টাকার আয়
      থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
      উল্লেখ্য, ফ্রিকোয়েন্সি ও
      মেগাহার্টজ জনগণের সম্পত্তি। এজন্য
      দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা থাকতে হবে।
      কিন্তু এসব
      অসঙ্গতি তুলে ধরতে কোনো সিটিজেন
      ফোরাম নেই। কেউ কথা বলে না।
      ফ্রিকোয়েন্সি ও মেগাহার্টজ
      সীমিত। অথচ
      ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দের
      কোনো ম্যাপিং নেই। এজন্য
      মাস্টারপ্ল্যান থাকতে হবে। সবার
      অংশগ্রহণে এটি করা জরুরী। সস্তায়
      তরঙ্গ বিক্রির বিষয়টি চোখে আঙ্গুল
      দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে যে, জনগণ ও
      দেশের সম্পদের সঠিক ব্যবহার
      সম্পর্কে সরকার কত উদাসীন।
      টেলিযোগাযোগ
      বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের
      সমন্বয়হীনতা ও দূরদর্শিতার অভাবেই
      দেশের ব্যবহারযোগ্য সম্পদ মোবাইল
      ফোন ‘তরঙ্গ’ পানির
      দরে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।
      মোবাইল তরঙ্গ সীমিত সম্পদ। সীমিত
      যে কোনো কিছুই বেশ মূল্যবান, আর
      তাই উচিত- সে সম্পদ থেকে সর্বোচ্চ
      মুনাফা আদায় করা। বিশেষ
      করে যদি তৃতীয় পক্ষ কেউ
      যদি সে সম্পদকে পুঁজি করে ব্যবসা করে।
      উদাহরণ হিসাবে বলা যায় যে-
      সরকার বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর
      কাছে গ্যাস বিক্রি করছে, আবার
      বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো নাগরিকদের
      বিদ্যুৎ বিক্রি করছে। ঠিক
      তেমনি সরকার তরঙ্গ বিক্রি করবে আর
      মোবাইল কোম্পানিগুলো তা ব্যবহার
      করে মোবাইল সার্ভিস
      বিক্রি করে মুনাফা করবে। মোবাইল
      কোম্পানীর ব্যবসার
      মুনাফা যতটা বেশি হবে সরকারকেও
      তার কাঁচামাল তরঙ্গ তত
      বেশি মূল্যে বিক্রি করতে হবে।
      কিন্তু যথাযথ নীতিমালা ছাড়াই
      চলছে তরঙ্গ ব্যবসা। আর এর সুযোগ
      নিচ্ছে মোবাইল অপারেটররা।
      এতে দেশ বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয়
      থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
      পাশাপাশি টেলিযোগাযোগ
      খাতে বড় বিনিয়োগ হওয়ার
      সম্ভাবনা হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে।
      টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক
      সংস্থা বিটিআরসি’র তথ্যমতে,
      দেশে মোবাইল গ্রাহক ১২
      কোটি ছাড়িয়েছে।
      দেশে মোবাইলের
      মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর
      সংখ্যা ৩ কোটি ৯০ লাখ ৫২ হাজার।
      অর্থাৎ টেলিযোগাযোগ খাত,
      বিশেষ করে মোবাইলফোন খাত
      হতে পারে বাংলাদেশের
      অর্থনীতির অন্যতম মূল চালিকাশক্তি।
      এ খাত দেশের
      জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য
      অবদান রেখে চলেছে।
      খাতটি কর্মসংস্থান ও বৈদেশিক
      বিনিয়োগের (এফডিআই) বৃহত্তম
      সংস্থানকারী এবং সরকারের কর
      রাজস্বের সবচেয়ে বড় উৎস। কিন্তু
      সরকারের উদাসীনতায়
      এক্ষেত্রে কাঙ্খিত সমৃদ্ধি আসছে না,
      জনগণ বঞ্চিত হচ্ছে আর
      বিদেশীরা লুটপাট করছে।
      এক্ষেত্রে সরকারের উদাসীনতা ও
      নিষ্ক্রিয়তার
      বিপরীতে জনগণকে সচেতন
      হতে হবে নিজেদের হক্ব যাতে নষ্ট
      না হয়, সে সম্পর্কে সচেতন ও সক্রিয়
      থাকতে হবে।

      Monday, 16 February 2015

      What Is Online Income Or Outsourcing ?


      Online Income or Outsourcing বর্তমানে বহুল পরিচিত
      দুইটা শব্দ। আমরা জানি Online থেকে আয় করা যায়। কিন্তু
      সেটা কি ভাবে? কিংবা আদো কি Online থেকে আয়
      করা যায়?
      এর উওর হচ্ছে, হ্যা। যায়। তবে Online থেকে আয়
      করতে হলে Online Income এর Process গুলো আমাদের ঠিকমত
      জানতে হবে। আর বর্তমানে Outsourcing এর সবচে বড় খাত
      হচ্ছে Online Marketing, যেটাকে আমরা সবাই #SEO
      নামে জানি। SEO for Search Engine Optimization. SEO
      হচ্ছে এমন একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে একটি Service, Product
      বা Website কে Search Engine এর
      কাছে তুলে ধরা যাতে SERPs এ আপনার বা আপনার Client এর
      Website টি সবার উপরে থাকে। SEO তে Article Writing,
      Forum Posting, Blog Posting, Link building, Affiliation etc.
      সহ প্রায় ১০ টি আলাদা আলাদা Sector কাজ করার সুযোগ
      রয়ছে। কিন্তু এর মানে এইনয় যে একটা Computer আর Internet
      Connection নিয়ে বসলাম কিছুক্ষণ টিপাটিিপ কোরলাম আর
      Account এ Dollar জমা হতে শুরু করল। যদি এটা ভেবে থাকেন
      তাহলে আপনি এখনো বোকার স্বর্গে বসবাস করছেন।
      স্বৎপথে অর্থ উপার্যন কখনই এত সহজ নয়। তবে আপনার
      মধ্যে তিনটা গুণ থাকলেই আপনি Outsourcing করে Online থেকে অতি সহজেই Income করতে পারবেন।
      আর সেগুলো হচ্ছে:
      ১। প্রবল জানার ইচ্ছা
      ২। পরিশ্রম করার মানষিকতা
      ৩। ধৈর্য ধারনের ক্ষমতা  ।

      আর এই কাজ সঠিক ভাবে সম্পুন্ন করার জন্য আপনার দরকার একটি সঠিক গাইডলাইন। শুদু মাএ সঠিক গাইডলাইন এর অভাবে অনেক সময় ইচ্ছা ও সামর্থ্য থাকা স্বত্বেও অনেকে সফল হতে পারেনা।সবার সুস্বাস্থ কামনা করে আজকের মতো এটুকুই।

      এ কোন 'আইএস ভূত' বাংলাদেশের ঘাড়ে


      যৌনদাসী ইস্যুতে ‘আইএস ভূত’ বাংলাদেশের ঘাড়ে

      ঢালাও যৌন নির্যাতনের মুখে ইন্দোনেশিয়া ফিলিপাইন শ্রীলংকা বিগত বছরগুলোতে সউদি আরবে নারী গৃহকর্মী প্রেরণ বন্ধ করে দেয়ার পর সংকট নিরসনে নতুন ৪টি দেশ ইথিওপিয়া, কেনিয়া, নেপাল ও বাংলাদেশ থেকে ‘হাউজ মেইড’ নিয়োগ দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সৌদি শ্রম মন্ত্রনালয়। নারীদের অধিকার রক্ষায় উক্ত ৪টি দেশে ‘জনসচেতনতা’ কম থাকার পাশাপাশি সরকারী-বেসরকারী পর্যায়ে ‘উদাসীনতা’র সুযোগ কাজে লাগিয়েই মূলতঃ নিজ দেশের গৃহকর্মী সংকট দূর করার উদ্যোগ নেয় সৌদিরা। বাংলাদেশ অবশ্য ‘অন্য কারণে’ আগে থেকেই সৌদি শ্রম মন্ত্রনালয়ের ব্ল্যাকলিস্টে থাকায় সম্প্রতি নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পরপরই শুরু হয়েছে সেই সংকট নিরসনেরই তোড়জোড়।

      অনুসন্ধানে জানা যায়, কেনিয়ান ও ইথিওপিয়ানদের গায়ের রং ছাড়াও অভ্যাস-আচরণগত অনেক বিষয়াদি বিশেষ শ্রেনীর সৌদি পুরুষদের মনঃপুত না হবার কারণে এবং নেপালীরা তুলনামূলকভাবে বেশি চালাক- চতুর হওয়ায় গৃহস্থালীর কাজের হাজার হাজার শূন্যস্থান পূরণে এক্ষেত্রে ‘নো আদার অপশান’ হিসেবে বেছে নেয়া হয় বাংলাদেশকে। অথচ গৃহকর্মী (হাউজ মেইড) হিসেবে নিয়োগ দেয়ার পর তাদেরকে নিজ নিজ বাসা- বাড়িতে নিয়ে গিয়ে যৌনদাসী তথা ‘সেক্স- স্লেভস’ বানিয়ে থাকে অধিকাংশ সৌদি মালিকরা – বিভিন্ন দেশের সংবাদ মাধ্যমে এমন খবর ফলাও করে বহুবার প্রকাশিত ও প্রচারিত হলেও কানে পানি যায়নি বাংলাদেশ সরকারের। বাংলাদেশে রাজনৈতিক নেতৃত্বের তরফ থেকে একসময় ঘরে ঘরে কাজ দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়া হলেও পরিকল্পনা ও আন্তরিকতার অভাবে ভেস্তে যায় সবকিছুই। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর অসহযোগিতার পাশাপাশি ‘জ্বালাও- পোড়াও’ মার্কা আন্দোলন সেই সাথে সরকারের অসহিষ্ণু মনোভাব এবং রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় ‘গনতন্ত্রের কবর’ রচিত হওয়ায় লাইমলাইটের বাইরে চলে যায় বিদেশে নতুন শ্রমবাজার সন্ধানের অতীব গুরুত্ববহ বিষয়টি। দেশের ইতিহাসের সবচাইতে ‘রং হেডেড’ শ্রমমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের অনুর্বর মস্তিষ্কপ্রসূত পলিসি জি-টু-জি’র ভুল প্রয়োগে দেশে দেশে ধ্বংস হয়ে যায় বাংলাদেশের শ্রমবাজার। মন্ত্রীর আনাড়িপনাতেই মুখ থুবড়ে পড়ে জনশক্তি রফতানী। ভয়াবহ এই ব্যর্থতা ঢাকতেই মূলতঃ বাংলাদেশে সরকার সৌদি আরবের অন্ধকার জগতের সব তথ্য চেপে গিয়ে দেশটিতে নারী গৃহকর্মী প্রেরণে রাজি হয়ে যায়। আগে নারীদের ‘সাপ্লাই’ করা হলে পরে অন্য পেশায় পুরুষদের নিয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করবে সৌদিরা – এমন নেক্কারজনক কন্ডিশনকেই মাথা পেতে নেয় বাংলাদেশ। বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘হাউজ মেইড’ মোড়কে নিজ দেশের নারীদের নিশ্চিত যৌনদাসত্বের পাইপলাইনে তুলে দিয়ে বাংলাদেশ এক অর্থে জঙ্গী সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)-এর পদাংকই অনুরণ করতে যাচ্ছে। ইরাকের ইয়াজিদী সম্প্রদায়ের হাজার হাজার নারীকে যেভাবে যৌনদাসী করেছে আইএস জঙ্গীরা, ভদ্রতার মুখোশধারী সৌদি পুরুষদের ঠিক সেই ‘কামলীলা’র সব খবর রেখেও বাংলাদেশ সরকার তার দেশের নারীদের আজ একই অন্ধকারে ঠেলে দিচ্ছে। প্রসঙ্গত, ইরাক-সিরিয়াতে আইএস নিয়ন্ত্রিত জনপদে রয়েছে যৌনদাসীদের একাধিক বিশাল বিশাল বাজার, যেখানে বিক্রি করার জন্য বিভিন্ন এলাকা থেকে ধরে আনা হয় নারীদের। কথিত যুদ্ধে লিপ্ত দেশ-বিদেশের যোদ্ধারা প্রতিনিয়ত এসে থাকে যৌনদাসীদের উক্ত বাজারগুলোতে এবং নগদ অর্থে যার যার পছন্দ মোতাবেক নারীদের কিনে নিয়ে যায়। যৌনদাসী দিয়ে যৌনক্ষুধা মেটানো আইএস জঙ্গীরা যেমন ‘নিজস্ব শরীয়ত’ মোতাবেক ‘হালাল’ মনে করে থাকে, ঠিক একইভাবে সৌদি নিয়োগদাতা মালিকরাও বিভিন্ন দেশের নারী গৃহকর্মীদের ইচ্ছেমতো ভোগ করাকে ‘অবৈধ’ মনে করে না। দাস-দাসীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনকে অধিকাংশ সৌদিরা সেই আইএস স্টাইলেই ‘হালাল’ মেনে থাকে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে বাংলাদেশের নারীরাও দলে দলে আসবে এখন মরু প্রান্তরে এবং ক্ষুধার্ত সৌদি পুরুষরা নির্ধারিত অফিস থেকে যার যার চাহিদা মোতাবেক তাদের ঘরে নিয়ে যাবে। নামে ‘হাউজ মেইড’ কাজে যৌন দাস-দাসী, বিভিন্ন দেশের এমন নারী গৃহকর্মীদের সৌদিরা অস্বাভাবিক অনিয়ন্ত্রিত বিকৃত সব যৌনাচারে বাধ্য করার পাশাপাশি উঠতে বসতে মারধর সহ ভয়ানক সব টর্চার করে থাকে - এসব তথ্য বাংলাদেশ সরকারের কাছে থাকলেও দেশটিতে সেই ‘সো কল্ড’ হাউজ মেইড প্রেরণের সিদ্ধান্ত এখনো স্থগিত না করায় ইতিমধ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশীরা। তাঁরা বলছেন, পেট্রোল বোমার ‘ভূত’ নামের আগেই দেশ ও জাতির ঘাড়ে এভাবে ‘আইএস ভূত’ চেপে বসবে, এটা কোনভাবেই আজ কাম্য নয়। সৌদি প্রবাসীদের প্রশ্ন, এজন্যই কি বাংলার মা- বোনেরা বীরাঙ্গনা হয়েছিল একাত্তরে ?

      Saturday, 14 February 2015

      ♦ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ফিল্যান্সিং এর অবদান



      আমদানী নির্ভর আমাদের এ দেশে যত বৈদেশিক
      মুদ্রা রিজার্ভের প্রয়োজন হয় তার একটি বড় অংশ
      আসে প্রবাসী বাংলাদেশীদের কাছ থেকে। ২০১২
      সালে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের শ্রমিকেরা প্রায়
      ১৪ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন (তথ্যসুত্রঃ ওর্য়াল্ড ব্যংক)।
      প্রতিবছর ১০ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হবে এটা ধরে নিলে ২০১৫
      সাল নাগাদ সেটা হবে প্রায় ১৯ বিলিয়ন ইউএস ডলারের
      কাছাকাছি।
      এবার আসা যাক আউটসোর্সিং শিল্পের দিকে। ২০১২
      সালে ৩৬৫ কোটি টাকারও বেশি আয় করেছেন বাংলাদেশের
      ফ্রিল্যান্সাররা। ২০১৫ সালে সর্বমোট ৪৪৩ বিলিয়ন ডলার
      সমপরিমাণের কাজ আউটসোর্স হবে। আমরা যদি এর ১০%
      মার্কেট শেয়ার নিতে পারি তাহলে সেটা প্রায় ৪৫ বিলিয়ন
      ইউএস ডলার এবং ৫% মার্কেট শেয়ার নিলে সেটা হবে প্রায়
      ২৩ বিলিয়ন ইউএস ডলার, যা কিনা আমাদের বৈদেশিক
      মুদ্রা অর্জনের বর্তমানের সবচেয়ে বড় খাতকেও অতিক্রম
      করবে।
      আমাদের দেশে প্রায় ৫০ শতাংশই মহিলা। আর এ মহিলাদের
      একটা বিশাল অংশ জাতীয় অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলে- এমন
      কাজ খুব কমই করেন। কিন্তু তাদের একটা বড় অংশ
      চাইলে বাসায় বসে প্রতিদিন ৩-৪ ঘন্টা সময়
      দিলে প্রতি ঘন্টা ১ ডলার হিসাবে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩-৪
      ডলারও ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে পারেন। মোট কর্মক্ষম
      লোকের সংখ্যা যদি ৭ কোটি হয় তাহলে নারী আছে ৩.৫
      কোটি। এর মধ্যে শিক্ষিত তরুণী এবং মহিলা যদি অর্ধ
      কোটিও হয় এবং তাঁদেরকে ফ্রিল্যান্সার
      হিসাবে গড়ে তোলা সম্ভব হয় তবে প্রতিদিন ১.৫
      কোটি ডলার আয় আসবে এ ক্ষেত্র থেকে। বছরে এ আয়ের
      পরিমাণ দাড়াবে ৫০০ কোটি ডলারে।