Thursday 26 February 2015

National Identity Card Processing (PART:3)

জাতীয় পরিচয় পত্র হারিয়ে গেলে, ভুল থাকলে অথবা নতুন পরিচয়পত্র করতে গেলে কি করবেন?

ঠিকানা সংশোধনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকা বর্তমান ঠিকানা ও ভোটার এলাকা বদল করার সুযোগ আছে। তবে সারা বছর সেই সুযোগ মেলে না। এটা শুধু ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সময় করা যাবে। বর্তমানে হালনাগাদ করার কাজটি করা হয় শুধু
জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে। সারা বছর ভোটার
এলাকা বদলের সুযোগ থাকে না কেন, জানতে চাইলে প্রকল্পের কমিউনিকেশন অফিসার দেবাশীষ কুণ্ডু বলেন, ‘আমাদের দেশে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা, সিটি করপোরেশন
ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভিন্ন ভিন্ন সময়ে হয়। দেখা যায়, একই বছর একাধিক নির্বাচন হয়। একই বছরে কেউ যাতে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট দিতে না পারেন, তাই সারা বছর ভোটার এলাকা বদলের সুযোগ দেওয়া হয় না।’ হালনাগাদ করার সময় ভোটার এলাকা বদল করতে হলে নতুন ঠিকানার উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিস থেকে দেওয়া ফরম-১৩ অথবা ফরম-১৪ পূরণ করে উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।
তবে ঠিকানা পরিবর্তন না করে সংশোধন (বানান, বাড়ির নম্বর, সড়ক নম্বর ভুল থাকলে) করার সুযোগ ঢাকার প্রকল্প কার্যালয়ে রয়েছে।এ ছাড়া স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন বা এর কোনো তথ্য সংশোধনেরও সুযোগ আছে। ঠিকানার ছোটখাটো ভুল সংশোধন বা স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তনের সুযোগ সারা বছরই থাকে। এ জন্য আবেদনপত্রের সঙ্গে প্রকল্প কার্যালয়ের নির্দিষ্ট কাউন্টারে জমা দিতে হবে পরিবারের কোনো সদস্যের পরিচয়পত্রের কপি, গ্যাস, বিদ্যুৎ,টেলিফোন বিলের যেকোনো একটির কপি বা কর দেওয়ার কপি। আরও জমা দিতে হবে চেয়ারম্যান বা ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রত্যয়নপত্র। স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ওই ঠিকানায় নিজের নামে বা পিতা বা মাতার নামে থাকা জমি বা ফ্ল্যাটের দলিলের সত্যায়িত ফটোকপিও জমা দিতে হবে।

রক্তের গ্রুপ সংশোধনঃ
রক্তের গ্রুপ সংশোধন করতে হলে মেডিকেল প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।

বিবিধ সংশোধনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্রে কোনো নামের আগে পদবি, উপাধি, খেতাব ইত্যাদি সংযুক্ত করা যাবে না।
পিতা বা স্বামী বা মাতাকে মৃত উল্লেখ করতে চাইলে মৃত্যুর সনদ দাখিল করতে হবে। জীবিত
পিতা বা স্বামী বা মাতাকে ভুলক্রমে মৃত হিসেবে উল্লেখ করার কারণে পরিচয়পত্র সংশোধন করতে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিচয়পত্রের কপি দাখিল করতে হবে।

হালনাগাদ কর্মসূচির পরিচয়পত্র সংশোধনঃ
২০০৯ সালে হালনাগাদ কর্মসূচির সময় যাদের নাম ভোটার তালিকায় যুক্ত হয়েছে, তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে কোনো ভুল থাকলে বা হারিয়ে গেলে তাদের ২০১০ সালের ডিসেম্বরের পর প্রকল্প কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে হবে।

পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলেঃ
পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট থানায় ভোটার নম্বর বা আইডি নম্বর উল্লেখ করে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে। এরপর জিডির মূল কপিসহ প্রকল্প কার্যালয় থেকে নেওয়া ছকের আবেদনপত্র নির্দিষ্ট কাউন্টারে জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র নিতে হবে। প্রাপ্তি স্বীকারপত্রে উল্লেখ করা তারিখে ডুপ্লিকেট পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়।

অবশেষে দাম কমতে যাচ্ছে ইন্টারনেটের

বাড়বে গতি কমবে দাম ইন্টারনেটের -
অবশেষে দাম কমতে যাচ্ছে ইন্টারনেটের। একই
সঙ্গে গতিও বাড়বে অাগের চেয়ে কয়েকগুন।
'দেশে ইন্টারনেটের দাম বেশি' - গ্রাহকদের এমন
অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এরই
পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ইন্টারনেটের দাম
কমাতে উদ্যোগী হয়েছে ।দেশের ৭০টি পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্ধেক মূল্যে ব্যান্ডউইথ সরবরাহেরও উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর ন্যূনতম গতি হবে ১ গিগা।অাগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে এ সেবা চালু করা হবে বলে জানা গেছে।এদিকে জাতীয় ব্রডব্যান্ড নীতিমালা-২০০৯ -এ ব্রডব্যান্ডের 'সংজ্ঞা' সংশোধনেরও উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।জাতীয় ব্রডব্যান্ড নীতিমালা-২০০৯ -এ ব্রডব্যান্ডের সংজ্ঞায় বলা হয়েছিল যাহার ন্যূনতম গতি হবে ১২৮ কেবিপিএস। এর চেয়ে গতি কম হইলে তাকে বলা হইবে ন্যারোব্যান্ড ইন্টারনেট।যদিও ২০১৩ সালে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিঅারসির জারি করা এক নিদের্শনায় নতুন করে ব্রডব্যান্ডের সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হয়।নতুন সংজ্ঞায় বলা হয়, 'যাহার ন্যূনতম ব্যান্ডউইথ ১ এমবিপিএস
(মেগাবাইট পার সেকেন্ড) হইবে। ১ এমবিপিএস
হইতে কম ব্যান্ডউইথকে ন্যারোব্যান্ড বলা হইবে।'
ব্যক্তি পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ২০১৩
সালের মে মাসের ১ তারিখ থেকে এই গতি উপভোগ করছেন।

বিটিআরসি একই বছরের এপ্রিলের ১ তারিখে এ
বিষয়ে নির্দেশনা জারি করে।চলতি বছর অাবারও ব্রডব্যান্ডের সংজ্ঞায় পরিবর্তন অানা হচ্ছে। এবার ন্যূনতম ব্যান্ডউইথ ১ মেগার পরিবর্তে ৫ মেগা করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় সংশ্লিষ্টদের ব্রডব্যান্ডের সংজ্ঞা পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে প্রতি মেগা ব্যান্ডউইডথের
দাম ছিল ৭২ হাজার টাকা। একবারে ৪২ হাজার
টাকা কমিয়ে করা হয় ৩০ হাজার টাকা। পরের বছর দাম নির্ধারিত হয় ১৮ হাজার টাকা।
২০০৯ সালে ৬ হাজার টাকা কমিয়ে করা হয় ১২
হাজার টাকা। ২০১০ সালে দাম কমানো না হলেও এর পরের বছর ২ হাজার টাকা কমিয়ে করা হয় ১০ হাজার টাকা। এর পরে অারও দুই ধাপে দাম কমিয়ে করা হয় যথাক্রমে ৮ হাজার এবং ৪ হাজার ৮০০ টাকা। সর্বশেষ গত বছর সরকার প্রতি মেগা ব্যান্ডউইথের দাম নির্ধারণ করেছে ২ হাজার ৮০০ টাকা।
জুনাইদ অাহমেদ পলক জানান, প্রধানমন্ত্রীর
নির্দেশে একটি 'টেকনিক্যাল অডিট টিম' গঠন
করা হয়েছে। ওই টিম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে কেন গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ কমছে না।তারা প্রতিবেদন দিলেই এ বিষয়ে উদ্যোগী হবে সরকার। শিগগিরই ইন্টারনেট
ব্যবহারকারীদের এ বিষয়ে সুখবর দিতে পারবেন
বলে তিনি অাশাবাদ ব্যক্ত করেন।তবে বর্তমানের চেয়ে কত শতাংশ দাম কমতে পারে এ ব্যাপারে পরিষ্কার কোনও ধারণা পাওয়া যায়নি সংশ্লিষ্টদের
কাছ থেকে।
জানা গেছে, ব্যান্ডউইথ দেশে আনতে গেলে এর
সঙ্গে কতগুলো উপাদান বা বিশেষ পক্ষ জড়িত
থাকে। এর মধ্যে রয়েছে ইন্টারনেট ট্রানজিট (আইপি ক্লাউড),বিদেশি ডাটা সেন্টারের ভাড়া, দেশি-বিদেশি ব্যাকহল চার্জ,ল্যান্ডিং স্টেশন ভাড়া, কেন্দ্রীয় সার্ভারের পরিবহন খরচ,গেটওয়ে ভাড়া, আইএসপি প্রতিষ্ঠানের মুনাফা,এনটিটিএন
প্রতিষ্ঠানের আন্ডারগ্রাউন্ড নেটওয়ার্ক ভাড়া,
ইন্টারনেট যন্ত্রাংশের ওপর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ধার্য করা ভ্যাট ও শুল্ক, বিটিআরসির রাজস্ব ভাগাভাগিসহ ১৬টি উপাদান বা পক্ষ। বিগত দিনগুলোতে কেবল ব্যান্ডউইথের দামই কমানো হয়েছে।এই ১৬টি পক্ষের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হয়নি। এ কারণে ইন্টারনেটের দাম কমেনি। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এসব পক্ষের সেবাচার্জ যদি কমানো না হয় তা হলে ব্যান্ডউইথ ফ্রি করে দিলেও ইন্টারনেটের দাম কমবে না।এদিকে দেশের মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর
মধ্যে প্রায় ৯০ ভাগ মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করলেও এর দাম বেশ চড়া।বর্তমানে যে মূল্যে মোবাইল ইন্টারনেট বিক্রি হচ্ছে তার থেকে দাম কমাতে গেলে কেবল ব্যান্ডউইথের দাম কামলেই
হবে না। এ ক্ষেত্রেও কয়েকটি পক্ষ রয়েছে। সে সব
পক্ষকে বিবেচনায় এনে অানুপাতিক হারে খরচ
কমানো হলেই) কেবল মোবাইল ইন্টারনেটের দাম
কমবে বলে মনে করেন মোবাইলফোন অপারেটর
গ্রামীণফোনের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মাহমুদ হোসেইন।
‌ নেটওয়ার্ক খরচ, স্পেক্ট্রামের মূল্য,
যন্ত্রাংশ ও এর সেটঅাপ চার্জ
এবং মোবাইলফোন সেটের দাম
কমানো না হলে মোবাইল অপারেটরগুলোর
পক্ষে ইন্টারনেটের দাম কমানো সম্ভব হবে না।
সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়গুলোর প্রতি সুদৃষ্টি দেওয়ার
অাহবান জানান তিনি। যদিও মোবাইলফোন
অপারেটরগুলো ২০০৪ সাল
থেকে প্রতি কিলোবাইটের জন্য ২
পয়সা করে চার্জ করেছে একটানা ৯ বছর।প্রযুক্তিপ্
রেমীদের দীর্ঘদিনের অান্দোলন পরে ২০১৩
সালের জুন মাসে মোবাইলফোন
অপারেটরগুলো ইন্টারনেটের দাম কমায়।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ
সংস্থা বিটিআরসি মোবাইল ফোন
অপারেটরগুলোর সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক
করে ইন্টারনেটের দাম কমায়। কিন্তু তারপরও
মোবাইল ইন্টারনেটের এখন যা দাম তা-ও অনেক
বেশি বলে মনে করেন এর ব্যবহারকারী,
অান্দোলনকারী বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা। এ
প্রসঙ্গে অাইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ব্যান্ডউইথ
সরবারহকারী এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের
মাঝ খানে যারা সার্ভিস দিচ্ছেন তাদের
ক্ষেত্রে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, কী পদক্ষেপ
নিলে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহার খরচ
কমবে সে উপায় খুঁজে বের করা হবে। শিগগিরই
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা এ সুফল ভোগ করবেন
বলে তিনি জানান।

Thursday 26 February 2015

National Identity Card Processing (PART:3)

জাতীয় পরিচয় পত্র হারিয়ে গেলে, ভুল থাকলে অথবা নতুন পরিচয়পত্র করতে গেলে কি করবেন?

ঠিকানা সংশোধনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকা বর্তমান ঠিকানা ও ভোটার এলাকা বদল করার সুযোগ আছে। তবে সারা বছর সেই সুযোগ মেলে না। এটা শুধু ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সময় করা যাবে। বর্তমানে হালনাগাদ করার কাজটি করা হয় শুধু
জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে। সারা বছর ভোটার
এলাকা বদলের সুযোগ থাকে না কেন, জানতে চাইলে প্রকল্পের কমিউনিকেশন অফিসার দেবাশীষ কুণ্ডু বলেন, ‘আমাদের দেশে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা, সিটি করপোরেশন
ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভিন্ন ভিন্ন সময়ে হয়। দেখা যায়, একই বছর একাধিক নির্বাচন হয়। একই বছরে কেউ যাতে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট দিতে না পারেন, তাই সারা বছর ভোটার এলাকা বদলের সুযোগ দেওয়া হয় না।’ হালনাগাদ করার সময় ভোটার এলাকা বদল করতে হলে নতুন ঠিকানার উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিস থেকে দেওয়া ফরম-১৩ অথবা ফরম-১৪ পূরণ করে উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।
তবে ঠিকানা পরিবর্তন না করে সংশোধন (বানান, বাড়ির নম্বর, সড়ক নম্বর ভুল থাকলে) করার সুযোগ ঢাকার প্রকল্প কার্যালয়ে রয়েছে।এ ছাড়া স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন বা এর কোনো তথ্য সংশোধনেরও সুযোগ আছে। ঠিকানার ছোটখাটো ভুল সংশোধন বা স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তনের সুযোগ সারা বছরই থাকে। এ জন্য আবেদনপত্রের সঙ্গে প্রকল্প কার্যালয়ের নির্দিষ্ট কাউন্টারে জমা দিতে হবে পরিবারের কোনো সদস্যের পরিচয়পত্রের কপি, গ্যাস, বিদ্যুৎ,টেলিফোন বিলের যেকোনো একটির কপি বা কর দেওয়ার কপি। আরও জমা দিতে হবে চেয়ারম্যান বা ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রত্যয়নপত্র। স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ওই ঠিকানায় নিজের নামে বা পিতা বা মাতার নামে থাকা জমি বা ফ্ল্যাটের দলিলের সত্যায়িত ফটোকপিও জমা দিতে হবে।

রক্তের গ্রুপ সংশোধনঃ
রক্তের গ্রুপ সংশোধন করতে হলে মেডিকেল প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে।

বিবিধ সংশোধনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্রে কোনো নামের আগে পদবি, উপাধি, খেতাব ইত্যাদি সংযুক্ত করা যাবে না।
পিতা বা স্বামী বা মাতাকে মৃত উল্লেখ করতে চাইলে মৃত্যুর সনদ দাখিল করতে হবে। জীবিত
পিতা বা স্বামী বা মাতাকে ভুলক্রমে মৃত হিসেবে উল্লেখ করার কারণে পরিচয়পত্র সংশোধন করতে হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পরিচয়পত্রের কপি দাখিল করতে হবে।

হালনাগাদ কর্মসূচির পরিচয়পত্র সংশোধনঃ
২০০৯ সালে হালনাগাদ কর্মসূচির সময় যাদের নাম ভোটার তালিকায় যুক্ত হয়েছে, তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে কোনো ভুল থাকলে বা হারিয়ে গেলে তাদের ২০১০ সালের ডিসেম্বরের পর প্রকল্প কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে হবে।

পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলেঃ
পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট থানায় ভোটার নম্বর বা আইডি নম্বর উল্লেখ করে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে। এরপর জিডির মূল কপিসহ প্রকল্প কার্যালয় থেকে নেওয়া ছকের আবেদনপত্র নির্দিষ্ট কাউন্টারে জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র নিতে হবে। প্রাপ্তি স্বীকারপত্রে উল্লেখ করা তারিখে ডুপ্লিকেট পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়।

অবশেষে দাম কমতে যাচ্ছে ইন্টারনেটের

বাড়বে গতি কমবে দাম ইন্টারনেটের -
অবশেষে দাম কমতে যাচ্ছে ইন্টারনেটের। একই
সঙ্গে গতিও বাড়বে অাগের চেয়ে কয়েকগুন।
'দেশে ইন্টারনেটের দাম বেশি' - গ্রাহকদের এমন
অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এরই
পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ইন্টারনেটের দাম
কমাতে উদ্যোগী হয়েছে ।দেশের ৭০টি পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্ধেক মূল্যে ব্যান্ডউইথ সরবরাহেরও উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর ন্যূনতম গতি হবে ১ গিগা।অাগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে এ সেবা চালু করা হবে বলে জানা গেছে।এদিকে জাতীয় ব্রডব্যান্ড নীতিমালা-২০০৯ -এ ব্রডব্যান্ডের 'সংজ্ঞা' সংশোধনেরও উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।জাতীয় ব্রডব্যান্ড নীতিমালা-২০০৯ -এ ব্রডব্যান্ডের সংজ্ঞায় বলা হয়েছিল যাহার ন্যূনতম গতি হবে ১২৮ কেবিপিএস। এর চেয়ে গতি কম হইলে তাকে বলা হইবে ন্যারোব্যান্ড ইন্টারনেট।যদিও ২০১৩ সালে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিঅারসির জারি করা এক নিদের্শনায় নতুন করে ব্রডব্যান্ডের সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হয়।নতুন সংজ্ঞায় বলা হয়, 'যাহার ন্যূনতম ব্যান্ডউইথ ১ এমবিপিএস
(মেগাবাইট পার সেকেন্ড) হইবে। ১ এমবিপিএস
হইতে কম ব্যান্ডউইথকে ন্যারোব্যান্ড বলা হইবে।'
ব্যক্তি পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ২০১৩
সালের মে মাসের ১ তারিখ থেকে এই গতি উপভোগ করছেন।

বিটিআরসি একই বছরের এপ্রিলের ১ তারিখে এ
বিষয়ে নির্দেশনা জারি করে।চলতি বছর অাবারও ব্রডব্যান্ডের সংজ্ঞায় পরিবর্তন অানা হচ্ছে। এবার ন্যূনতম ব্যান্ডউইথ ১ মেগার পরিবর্তে ৫ মেগা করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় সংশ্লিষ্টদের ব্রডব্যান্ডের সংজ্ঞা পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে প্রতি মেগা ব্যান্ডউইডথের
দাম ছিল ৭২ হাজার টাকা। একবারে ৪২ হাজার
টাকা কমিয়ে করা হয় ৩০ হাজার টাকা। পরের বছর দাম নির্ধারিত হয় ১৮ হাজার টাকা।
২০০৯ সালে ৬ হাজার টাকা কমিয়ে করা হয় ১২
হাজার টাকা। ২০১০ সালে দাম কমানো না হলেও এর পরের বছর ২ হাজার টাকা কমিয়ে করা হয় ১০ হাজার টাকা। এর পরে অারও দুই ধাপে দাম কমিয়ে করা হয় যথাক্রমে ৮ হাজার এবং ৪ হাজার ৮০০ টাকা। সর্বশেষ গত বছর সরকার প্রতি মেগা ব্যান্ডউইথের দাম নির্ধারণ করেছে ২ হাজার ৮০০ টাকা।
জুনাইদ অাহমেদ পলক জানান, প্রধানমন্ত্রীর
নির্দেশে একটি 'টেকনিক্যাল অডিট টিম' গঠন
করা হয়েছে। ওই টিম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে কেন গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ কমছে না।তারা প্রতিবেদন দিলেই এ বিষয়ে উদ্যোগী হবে সরকার। শিগগিরই ইন্টারনেট
ব্যবহারকারীদের এ বিষয়ে সুখবর দিতে পারবেন
বলে তিনি অাশাবাদ ব্যক্ত করেন।তবে বর্তমানের চেয়ে কত শতাংশ দাম কমতে পারে এ ব্যাপারে পরিষ্কার কোনও ধারণা পাওয়া যায়নি সংশ্লিষ্টদের
কাছ থেকে।
জানা গেছে, ব্যান্ডউইথ দেশে আনতে গেলে এর
সঙ্গে কতগুলো উপাদান বা বিশেষ পক্ষ জড়িত
থাকে। এর মধ্যে রয়েছে ইন্টারনেট ট্রানজিট (আইপি ক্লাউড),বিদেশি ডাটা সেন্টারের ভাড়া, দেশি-বিদেশি ব্যাকহল চার্জ,ল্যান্ডিং স্টেশন ভাড়া, কেন্দ্রীয় সার্ভারের পরিবহন খরচ,গেটওয়ে ভাড়া, আইএসপি প্রতিষ্ঠানের মুনাফা,এনটিটিএন
প্রতিষ্ঠানের আন্ডারগ্রাউন্ড নেটওয়ার্ক ভাড়া,
ইন্টারনেট যন্ত্রাংশের ওপর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ধার্য করা ভ্যাট ও শুল্ক, বিটিআরসির রাজস্ব ভাগাভাগিসহ ১৬টি উপাদান বা পক্ষ। বিগত দিনগুলোতে কেবল ব্যান্ডউইথের দামই কমানো হয়েছে।এই ১৬টি পক্ষের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হয়নি। এ কারণে ইন্টারনেটের দাম কমেনি। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এসব পক্ষের সেবাচার্জ যদি কমানো না হয় তা হলে ব্যান্ডউইথ ফ্রি করে দিলেও ইন্টারনেটের দাম কমবে না।এদিকে দেশের মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর
মধ্যে প্রায় ৯০ ভাগ মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করলেও এর দাম বেশ চড়া।বর্তমানে যে মূল্যে মোবাইল ইন্টারনেট বিক্রি হচ্ছে তার থেকে দাম কমাতে গেলে কেবল ব্যান্ডউইথের দাম কামলেই
হবে না। এ ক্ষেত্রেও কয়েকটি পক্ষ রয়েছে। সে সব
পক্ষকে বিবেচনায় এনে অানুপাতিক হারে খরচ
কমানো হলেই) কেবল মোবাইল ইন্টারনেটের দাম
কমবে বলে মনে করেন মোবাইলফোন অপারেটর
গ্রামীণফোনের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মাহমুদ হোসেইন।
‌ নেটওয়ার্ক খরচ, স্পেক্ট্রামের মূল্য,
যন্ত্রাংশ ও এর সেটঅাপ চার্জ
এবং মোবাইলফোন সেটের দাম
কমানো না হলে মোবাইল অপারেটরগুলোর
পক্ষে ইন্টারনেটের দাম কমানো সম্ভব হবে না।
সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়গুলোর প্রতি সুদৃষ্টি দেওয়ার
অাহবান জানান তিনি। যদিও মোবাইলফোন
অপারেটরগুলো ২০০৪ সাল
থেকে প্রতি কিলোবাইটের জন্য ২
পয়সা করে চার্জ করেছে একটানা ৯ বছর।প্রযুক্তিপ্
রেমীদের দীর্ঘদিনের অান্দোলন পরে ২০১৩
সালের জুন মাসে মোবাইলফোন
অপারেটরগুলো ইন্টারনেটের দাম কমায়।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ
সংস্থা বিটিআরসি মোবাইল ফোন
অপারেটরগুলোর সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক
করে ইন্টারনেটের দাম কমায়। কিন্তু তারপরও
মোবাইল ইন্টারনেটের এখন যা দাম তা-ও অনেক
বেশি বলে মনে করেন এর ব্যবহারকারী,
অান্দোলনকারী বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা। এ
প্রসঙ্গে অাইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ব্যান্ডউইথ
সরবারহকারী এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের
মাঝ খানে যারা সার্ভিস দিচ্ছেন তাদের
ক্ষেত্রে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, কী পদক্ষেপ
নিলে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহার খরচ
কমবে সে উপায় খুঁজে বের করা হবে। শিগগিরই
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা এ সুফল ভোগ করবেন
বলে তিনি জানান।