পৃথিবীতে গ্রহাণুর আঘাত হানা সংক্রান্ত গুজব
ছড়াচ্ছে। গুজবে কান দেবেন না। পরামর্শ দিয়েছেন
যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার
গবেষকেরা। সম্প্রতি অনলাইনে বিভিন্ন ব্লগ, সাইট
ও সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটগুলোতে এ
ধরনের গুজব ছড়াচ্ছে। গতকাল পিটিআইয়ের এক খবরে
এ তথ্য জানানো হয়।
নাসার গবেষকেরা বলছেন, আগামী মাসের ১৫
থেকে ২৮ তারিখের মধ্যে পৃথিবীতে ভয়ংকর গ্রহাণু
আঘাত হানবে বলে গুজব ছড়িয়েছে। কিন্তু পৃথিবীতে
প্রভাব পড়ার মতো কোনো সে রকম কোনো বস্তুর
অস্তিত্বের প্রমাণ তাঁরা পাননি। এর কোনো
বৈজ্ঞানিক ভিত্তিও নেই।
নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরির (জেপিএল)
ব্যবস্থাপক পল চোডাস বলেন, নাসার নিয়ার-আর্থ
অবজারভেশন থেকে তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা
গেছে, নিকট ভবিষ্যতে কোনো গ্রহাণুর বা ধূমকেতুর
পৃথিবীর ওপর আছড়ে পড়ার মতো আশঙ্কা নেই।
আগামী ১০০ বছরের মধ্যে পৃথিবীর জন্য হুমকি হয়ে
থাকা গ্রহাণুগুলোর ক্ষেত্রেও এই আশঙ্কা শূন্য
দশমিক এক শতাংশ মাত্র। নাসার জেপিএলের
নিয়ার-আর্থ অবজেক্ট অফিসটি মূলত আন্তর্জাতিক
জ্যোতির্বিদ ও বিজ্ঞানীদের একটি যৌথ দল যাঁরা
টেলিস্কোপ দিয়ে মহাকাশ পর্যবেক্ষণ করেন। তাঁরা
পৃথিবীর জন্য হুমকি মনে করা গ্রহাণুর পথ পর্যবেক্ষণ
করেন। চোডাস বলেন, আগামী সেপ্টেম্বর মাসে
যদি বড় কোনো গ্রহাণুর আঘাত হানার আশঙ্কা
থাকতো আমরা এখন তার কিছুটা হলেও দেখতে
পেতাম। এক বিবৃতিতে নাসা জানিয়েছে, এর আগেও
পৃথিবীতে গ্রহাণুর আছড়ে পড়া নিয়ে অবান্তর দাবি
করা হয়েছে। কিন্তু সেগুলো সত্যি হয়নি। অনলাইনে
দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকা এ ধরনের অবান্তর
বিষয়গুলো জনপ্রিয় হতে দেখা যায়।
এর আগে ২০১১ সালে এলেনিন ধূমকেতুকে কেন্দ্র করে
‘ডুমসডে’ বা পৃথিবী ধ্বংস হবে বলে গুজব
ছড়িয়েছিল। ২০১২ সালের ২১ ডিসেম্বর মায়া
সভ্যতার দিনপঞ্জি ঘিরেও এ ধরনের গুজব রটতে
দেখা যায়। গত বছর ২০০৪ বিএল ৮৬ গ্রহাণুটি পৃথিবীর
জন্য হুমকি বলে গুজব রটেছিল। এ বছরের জানুয়ারি ও
মার্চে পৃথিবীর ওপর কোনো প্রভাব না ফেলেই তা
পৃথিবীকে অতিক্রম করেছে।