Sunday, 1 March 2015

ফেসবুক নিউজফিড সাজান ইচ্ছে মতো

ইচ্ছেমতো ফেসবুক নিউজফিড সাজিয়ে নেওয়ার ৫ কৌশল:
ইচ্ছে না থাকলেও ফেসবুক ফিডে অপ্রয়োজনীয় অনেক কিছুই
দেখতে হয় আমাদের। এর মাঝে থাকে বন্ধুদের প্যাঁচাল,
বিভিন্ন গ্রুপের অপ্রাসঙ্গিক পোস্ট, বিজ্ঞাপন ইত্যাদি। ছোট্ট
কিছু কৌশলে এসব বাদ দিয়ে ফেসবুক নিউজ ফিড
ভরিয়ে তুলতে পারবেন নিজের পছন্দের কনটেন্ট দিয়ে।
১. বিরক্তিকর মানুষদের “আনফলো” করুন : যেসব মানুষ খুব
বিরক্তিকর অথচ আনফ্রেন্ড করে ফেললে কষ্ট পাবে,
তাদেরকে আনফলো করাটাই বেশ ভালো একটি উপায়। তাদের
বিরক্তিকর পোস্টের ডান দিকের কোনায়
ত্থাকা অ্যারো ক্লিক করুন এবং আনফলো করে ফেলুন তাকে।
এছাড়াও তাদের প্রোফাইলে গিয়ে দেখুন ‘ফলোইং’ নামের
একটি বাটন আছে। ওর উপরে একবার ক্লিক করলেই
আনফলো হয়ে যাবে। ওই মানুষটির ড্রামা আর আপনাকে সহ্য
করতে হবে না।
২. অপ্রয়োজনীয় পেজ থেকে কনটেন্ট এড়িয়ে চলুন: আপনার
বন্ধুরা যদি আজেবাজে গ্রুপ বা পেইজ থেকে কনটেন্ট শেয়ার
করতে থাকে অহরহ, তাহলে কি করবেন? ওই পোস্টের ডান
কোনায় থাকা অ্যারো ক্লিক করুন। এরপর সিলেক্ট করুন “Hide
all from [অমুক পেজ]”। ওই বন্ধুর অন্যান্য পোস্ট দেখতে পাবেন
কিন্তু ওই পেজ থেকে আর কিছু দেখতে পাবেন না।
৩. ফেসবুককে জানান কি ধরণের পোস্ট আপনাকে বিরক্ত করছে
: যে ধরণের পোস্ট আপনার বিরক্তির কারণে হয়ে দাঁড়াচ্ছে,
সেগুলোর ওই ডান কোনার অ্যারোতে দেখতে পাবেন “ I don’t
want to see this” অপশনটি। বিরক্তিকর পোস্টগুলোতে এই
অপশন সিলেক্ট করতে থাকলে ফেসবুক বুঝে নেবে কি ধরণের
পোস্টে আপনার অ্যালার্জি আছে, আর এসব পোস্ট আপনার
নিউজফিডে কম আসবে।
৪. ফেসবুক সার্ভে পূরণ করুন: ফেসবুক
জানে যে ব্যবহারকারীরা বেশ কিছু ব্যাপারে বিরক্ত হয়। তাই
আপনাকে সাহায্য করার জন্যই আছে এই সার্ভে। ছোট এই
সার্ভে পূরণ করলে আপনারই উপকার হবে। পোস্টের ডান দিকের
অ্যারোতে ক্লিক করলে নিচের দিকে “more options” পাবেন,
এ থেকে ফেসবুক সার্ভে গ্রহণের অপশন আসবে।
৫. “নিউজ ফিড প্রেফারেন্স” নিয়ন্ত্রণ করুন: ফেসবুকের মেইন
সেটিংস মেনুতে গিয়ে “News Feed Preferences” সিলেক্ট
করুন। এর থেকে দেখতে পাবেন আপনি কি ধরণের কনটেন্ট
বেশি দেখে থাকেন, কাকে আনফলো করেছেন ইত্যাদি।
ইচ্ছেমতো এগুলোর পরিবর্তন করে নিউজ ফিড নিয়ন্ত্রণ
করতে পারবেন আপনি।

লাউয়াছড়া

লাউয়াছড়ার প্রাকৃতিক রুপ
............................
দিনদিন পৃথিবীতে মানুষ বৃদ্ধি পাচ্ছে আর তার
সাথে সাথে ধ্বংস হচ্ছে আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশ।
মানুষের জীবনযাপন ক্রমশ হয়ে উঠছে নগর কেন্দ্রীক। কিন্তু
যে হারে প্রকৃতি ধ্বংস হচ্ছে তার চেয়ে দ্বিগুণ হারে মানুষের
চাহিদা বাড়ছে অরণ্যে ভ্রমণের জন্য। প্রতিদিন ধ্বংস
হচ্ছে আমাদের শষ্যশ্যামলা বাংলার শ্যামল প্রকৃতি।
বৃদ্ধি পাচ্ছে শহরের ব্যস্ত জীবন কিন্তু শহরের ব্যস্ত জীবনের
ফাঁকে এখন ঘন ঘন মানুষ পেতে চায় শ্যামল অভয়ারণ্যের
ছোঁয়া কিংবা একটু নিস্তব্ধতার একাকীত্ব।
আপনার এই চাহিদা পূরণ করতে আপনি ঘুরে আসতে পারেন
দেশের পূর্বাঞ্চলের একমাত্র বন গবেষণা কেন্দ্র
‘লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্ক’। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য
লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্কের জীবজন্তুর হুংকার,
ঝিঁঝিঁ পোকার শব্দ, বানরের লাফালাফি, ঝাঁকবাঁধা হুলুকের
কলকাকলী একটু সময়ের জন্য হলেও আপনার ব্যস্ত জীবনের
কান্তি দূর করে মনের তৃপ্ততা এনে দিবে। প্রায় ১২ শত হেক্টর
এলাকা জুড়ে লাউয়াছড়া পার্কের ভিতর আড়াই হাজার
প্রজাতির পাখি, ১০ প্রজাতির সরিসৃপ, অর্ধশত প্রজাতির
জীবজন্তু রয়েছে। এর ভিতরে রয়েছে কয়েকটি খাসিয়া পুঞ্জি,
পার্কের পাহাড় বিস্তৃত লম্বা বৃ েখাসিয়ারা খাসিয়া পানের
চাষ করে। পার্কের এক পাশে রয়েছে আনারসের বাগান, এক
পাশে চায়ের বাগান আবার কোথায় রয়েছে লেবু বাগান।
জঙ্গলের ভিতর রয়েছে কয়েকটি পাহাড়ী ছড়া। পুরো ন্যাশনাল
পার্কটি শ্রীমঙ্গল ভানুগাছ পাকা মহাসড়ক ও সিলেট
আখাউড়া রেলওয়ে সেকশনের রেললাইন দ্বারা ৩ খন্ডে বিভক্ত।
কিন্তু রেললাইন ও পাকাসড়ক দ্বারা বিভক্ত হলেও পার্কের
ভিতর তেমন কোন বাড়ী-ঘর না থাকায় ও ঘন জঙ্গলের
কারণে একাকীত্বের তেমন কোন সমস্যা হয়না। লাউড়াছড়ায়
এক ধরণের পোকা রয়েছে, যার শব্দ শোনার পর আপনার
আচমকাই বা হঠাৎ করেই যেন আপনার ভালো লাগতে শুরু করবে।
মনে হবে যেন আপনি অন্য কোন পৃথিবীতে পা দিয়েছেন। এই
পোকার শব্দকে ‘ফরেস্ট মিউজিক’ বলে অখ্যায়িত করেছেন
পার্কের ট্যুরিস্টরা। লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্কেই
রয়েছে বিরল প্রজাতির একটি বৃ। যেই বৃটিকে নিয়ে নানা জনের
রয়েছে না কৌতুহল। একসময় এই বৃরে গায়ে লেখা ছিল
‘কোরোফম’। দীর্ঘ দিন এই নাম থাকায়
দেশবাসী এটিকে ‘কোরোফম’ বলেই জানেন। মাস ছয় এক
পূর্বে হঠাৎ করে এর গাত্র থেকে কোরোফম সাইন
বোর্ডটি নামিয়ে এর গায়ে টাঙানো হয়েছিল ‘আফ্রিকান অক
ট্রি’। বর্তমানে এই নেম পেটটিও
নামিয়ে লেখা হয়েছে ‘একটি বিরল প্রজাতির বৃ’।
লোকমুখে প্রচারিত রয়েছে এই বৃটি কোটি টাকা মূল্যের।
এটি নাকি একবার বিমান আটকিয়েছিল। এটির পাতার গন্ধ
শুকলে নাকি মানুষ অজ্ঞান হয়ে যেত। তবে বন বিভাগের কাছ
থেকে এরকম কোন সত্যতাই পাওয়া যায়নি।
একটি সূত্রে জানা যায়, এ প্রজাতির বৃ বিরল। বাংলাদেশে এ
প্রজাতি আর কোথাও নেই। যাই হোক নানাভাবে এর খবর
দেশে ছড়িয়ে পড়ায় মানুষ এই বিরল প্রজাতির বৃটিকে প্রধান
উদ্দেশ্য করে লাউয়াছড়ায় যায়। বৃটি পার্কের ফরেস্ট রেস্ট
হাউজের পার্শে অবস্থিত। বর্তমানে গাছটির
চারপাশে কাটা তারের বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে।
কোথায় লাউয়াছড়ার অবস্থান?
.......................................
ঢাকা, চট্টগ্রাম থেকে বাস
কিংবা ট্রেনযোগে শ্রীমঙ্গলে পৌঁছুবেন। শ্রীমঙ্গল
থেকে ভানুগাছ-কমলগঞ্জের রাস্তায় ৭ কি·মি· এগুোলেই
লাউয়াছড়া পার্কের সীমানা। এটি শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ
উপজেলায় মধ্যে পড়েছে। তবে বেশিভাগ অংশ পড়েছে কমলগঞ্জ
উপজেলায়। শ্রীমঙ্গল ভানুগাছ রোড থেকে বাসে জনপ্রতি ৬
টাকা, প্রাইভেট কার নিয়ে গেলে ৩শ থেকে ৫শ টাকা, মিশুক
নিয়ে গিলে ১৫০ টাকায় ঘুরে আসতে পারেন।
কোথায় থাকবেন ?
..............................
লাউয়াছড়ায় রয়েছে ১টি ফরেস্ট রেস্ট হাউজ, ফরেস্টের
অনুমতি নিয়ে আপনি লাউয়াছড়া রেস্ট হাউজেই
থাকতে পারেন। এছাড়াও শ্রীমঙ্গল হবিগঞ্জ
রোডে রয়েছে এসি, নন এসি, ঠান্ডা গরম পানি, টিভি, ফোন
ও গাড়ী পার্কিংএর সুবিধা সহ ‘টি টাউন রেস্টহাউজ’। হোটেল
ইউনাইটেড, সবুজ বাংলা, মুক্ত, আল-রহমান, নীলিমা, মুন,
সন্ধ্যা সহ ২৯টি হোটেল ও ২০/২৫টি সরকারী রেস্ট হাউজ।
হোটেলগুলোতে থাকতে আপনার ব্যয় হবে ৪০ থেকে ১০০০
টাকা পর্যন্ত।
খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা
.............................
শ্রীমঙ্গলে খাওয়াদাওয়া জন্য মাছ, মাংস, সব্জি সবরকম
আইটেমই পাওয়া যায়। তবে হিন্দু অধ্যুশিত
এলাকা বলে শ্রীমঙ্গলের কোন হোটেলে গরুর মাংস
রান্না হয়না। গরুর মাংস খেতে হলে আপনাকে রেস্ট হাউজের
বাবুর্চিকে দিয়ে তৈরি করে নিতে হবে।
কি কি সাথে নিবেন?
..........................
শীতের সময় আসলে অবশ্যই শীতের কাপড় সঙ্গে আনতে হবে।
স্টিল
ক্যামেরা বা ম্যুভি ক্যামেরা থাকলে সাথে নিয়ে আসতে পারেন।
বাইনুকুলার থাকলে ভালো হয়। জঙ্গলের ভিতর প্রবেশের
পূর্বে হালকা খাবার ও পানি নিয়ে যেতে পারেন। কারণ
সেখানে কোন খাবার পাওয়া যায়না। বর্ষার সময়
ছাতা নিতে হবে কারণ শ্রীমঙ্গলের হঠাৎ বৃষ্টির
সমস্যা রয়েছে। শীত-গ্রীষ্ম উভয় সময়েই সম্ভব হলে শহর
থেকে ১ জন গাইড নিতে পারেন।
কিকি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে ?
................................................
লাউয়াছড়া পার্কে রয়েছে এক ধরণের চিনা জুক। যা ঘাসের
সাথে মিশে থাকে এবং এর রঙও ঘাসের মতো সবুজ।
আপনি ঘাসের উপর দিয়ে যদি হাঁটেন চিনা জুক কখন
আপনাকে আকড়ে ধরবে আপনি টেরই পাবেন না। যদি দেখেন
আপনার শরীরের কোথায় থেকে রক্ত পড়ছে তাহালে বুঝবেন
চিনা জুক আপনাকে কামড় দিয়ে চলে গেছে।
তাছাড়াও আপনাকে সবসময় স্মরণ
রাখতে হবে লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্কের জীববৈচিত্র্য রায়
সরকার সকল প্রকার আহরণ নিষিদ্ধ করেছে।
পার্কে ভ্রমণকালে কোন গাছের পাতা ছেঁড়া বা কোন পশু-
পাখি বা কীট-পতঙ্গকে ডিসটার্ব করা যাবে না। জঙ্গলের
ভিতরে একা ভ্রমণ করতে অবশ্যই ভয় করবে। তবে কয়েকজন
হলে ভালো হয়। নতুবা শ্রীমঙ্গল থেকে পরিচিত
কাউকে নিয়ে যেতে পারেন। সবশেষে যদি সময় পান
তাহলে দেখে আসতে পারেন মাগুরছড়া গ্যাসকূপ।
দেখতে পারেন ১৯৯৭ সালের কূপ বিস্ফোরনে সৃষ্ট
অগ্নিকান্ডে পুড়ে যাওয়া বৃ সেখানে এখানো কালের
স্বাী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এটি লাউয়াছড়া ফরেস্ট মুখ
থেকে ভানুগাছের দিকে পাকা সড়কে ২
কিলো অন্তরে রয়েছে।
কিভাবে ফিরবেন?
............................
শ্রীমঙ্গল থেকে আন্তঃনগর ট্রেনে করে অথবা বাস
যোগে চট্টগ্রাম-ঢাকা পৌঁছাতে হবে। চট্টগ্রামের জন্য
রয়েছে প্রতি শুক্রবার ছাড়া দুপুর ১২টায় পাহাড়িকা, রাত
সাড়ে ১১ টায় উদয়ন সহ দিনে-রাতে আরো দু’টি লোকাল
ট্রেন। ঢাকার জন্য রয়েছে সকাল সাড়ে ১০টায় জয়ন্তিকা, ৫টায়
পারাবত ও রাত ১২টায় উপবন সহ আরো দু’টি লোকাল ট্রেন।
ট্রেনে শ্রীমঙ্গল থেকে ঢাকা পৌছাতে ৫/৬ ঘন্টার সময়
লাগবে। কিন্তু বাসে সময় লাগে সাড়ে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা।
আপনি যদি বাসে যেতে চান তাহলে সিলেট উত্তরবঙ্গ, সিলেট
দণিবঙ্গ, সিলেট কলকাতা, সিলেট
আগরতলা যাতায়াতকারী পরিবহণ-এ আসতে পারেন।

Stop Misuse of Public Spectrum

সাড়ে ৯৮ হাজার কোটি টাকার তরঙ্গ
মাত্র ৫০০০ কোটি টাকায়
বিক্রি কেন?
রাষ্ট্রের অমূল্য সম্পদ মোবাইল তরঙ্গ
পছন্দের
কোম্পানীকে পাইয়ে দেবার জন্যই
কি পানির দরে বিক্রির এ
ব্যবস্থা হচ্ছে?
১৫ বছর আগে মোবাইলফোন অপারেটর
‘একটেল’ পরবর্তীতে ‘রবি আজিয়াটা’
নামে তাদের ব্যবসা শুরু করে।
শুরুতে ‘রবি’ ১৭ দশমিক ৮ মেগাহার্টজ
ফ্রিকোয়েন্সি (তরঙ্গ)
নিয়ে ব্যবসা শুরু করলেও কোনো তরঙ্গ
চার্জ দেয়নি।
এ ধরনের কোনো আইন না থাকার
সুযোগ নিয়ে রবি ওই সময় বিনা পয়সায়
তরঙ্গ ব্যবহার করে হাজার হাজার
কোটি টাকা আয় করলেও
সরকারকে এজন্য কোনো ফি দেয়নি। ১
টাকার কল মিনিট বিক্রি করেছে ৭-৮
টাকায়। অথচ
সে আমলে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত,
পাকিস্তান, নেপালসহ বিশ্বের
অন্যান্য দেশ মিলিয়ন-বিলিয়ন ডলার
আয় করেছিল এই
ফ্রিকোয়েন্সি বিক্রি করে।
দেখা গেছে, ভারত ওই সময়
প্রতি মেগাহার্টজ
ফ্রিকোয়েন্সি বিক্রি করে আয়
করছিল ১১৩ মিলিয়ন রুপি। অথচ
বাংলাদেশ হাজার হাজার
কোটি টাকার
মুনাফা লাভকারী প্রতিষ্ঠানের
কাছে এই তরঙ্গ দিয়েছিল স্রেফ শূন্য
টাকায়। সোজা কথায় ‘মাগনা’।
শুধু অতীতে নয়, বর্তমানেও সরকারের
যুগোপযোগী টেলিযোগাযোগ
নীতিমালার অভাবে হাজার
হাজার কোটি টাকা দামের তরঙ্গ
(স্পেকট্রাম) পানির
দরে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন
রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি)
কাছে অবশিষ্ট থাকা টুজির ১০ দশমিক
৬ মেগাহাটজ এবং থ্রিজির আরও ১৫
মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম বা তরঙ্গ
নিলামের চূড়ান্ত তারিখ
ঘোষণা করা হয়েছে।
নীতিমালা অনুসারে আগামী ৩০
এপ্রিল এ নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। আর উভয়
ধরনের ব্যান্ডের স্পেকট্রামের এ
নিলামে অংশ নিতে ২৬
ফেব্রুয়ারির মধ্যে আবেদন করতে হবে।
কিন্তু পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন, মূল্য
অনেক বেশী কম ধরে ও
‘প্রতিযোগিতাহীন’ নিলামের
মাধ্যমে অ্যববহৃত থ্রি-জি ও টু-জি তরঙ্গ
নিলামে বিক্রির সিদ্ধান্ত
নিয়েছে বাংলাদেশ
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন
(বিটিআরসি)। খাত সংশ্লিষ্ট
বিশেষজ্ঞদের মতে এতে প্রায় লাখ
কোটি টাকার রাজস্ব আয়
থেকে বঞ্চিত হবে সরকার।
নতুন গাইড লাইনে এ তরঙ্গের
ভিত্তিমূল্য প্রতিবেশী দেশগুলোর
তুলনায় বিশেষ করে ভারতের তুলনায়ও
অনেক বেশী কম ধরা হয়েছে।
ভারতে চলতি বছরের নিলাম
অনুযায়ী ১৮০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের
প্রতি মেগাহার্জ তরঙ্গের
ভিত্তিমূল্য যেখানে ২৭৩৮
কোটি টাকা সেখানে আমাদের
দেশে ধরা হয়েছে মাত্র ২৩০
কোটি (৩ কোটি ইউএস ডলার),
অন্যদিকে ভারতে ২১০০ মেগাহার্জ
ব্যান্ডের তরঙ্গের ভিত্তিমূল্য
যেখানে ৪৬৩১
কোটি টাকা সেখানে আমাদের
দেশে মাত্র ১৬৫ কোটি টাকা (২.২০
কোটি ইউএস ডলার) ধরা হয়েছে।
বিটিআরসি ঘোষিত
নিলামে প্রতিবেশী ভারতের
প্রতি মেগাহার্টজ তরঙ্গের
মূল্যকে ভিত্তিমূল্য ধরে নিলাম
করলেও টুজি’র
ক্ষেত্রে প্রতি মেগাহার্টজে ২৭৩৮
কোটি টাকা করে ১০.৬
মেগাহার্টজে পাওয়া যেত ২৯০২২
কোটি টাকা। আবার থ্রিজি’র ৪৬৩১
কোটি টাকা করে ১৫
মেগাহার্টজে পাওয়া যেত ৬৯৪৯৫
কোটি টাকা। নিলামে সরকারের
মোট আয় দাড়াত ৯৮৫১৭ কোটি টাকা।
অথচ বিটিআরসি’র বর্তমান ঘোষিত
মূল্যে নিলামে পাওয়া যাবে সর্বোচ্চ
৫০০০ কোটি টাকা। ফলে সরকার প্রায়
সাড়ে ৯৩ হাজার কোটি টাকার আয়
থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ফ্রিকোয়েন্সি ও
মেগাহার্টজ জনগণের সম্পত্তি। এজন্য
দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা থাকতে হবে।
কিন্তু এসব
অসঙ্গতি তুলে ধরতে কোনো সিটিজেন
ফোরাম নেই। কেউ কথা বলে না।
ফ্রিকোয়েন্সি ও মেগাহার্টজ
সীমিত। অথচ
ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দের
কোনো ম্যাপিং নেই। এজন্য
মাস্টারপ্ল্যান থাকতে হবে। সবার
অংশগ্রহণে এটি করা জরুরী। সস্তায়
তরঙ্গ বিক্রির বিষয়টি চোখে আঙ্গুল
দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে যে, জনগণ ও
দেশের সম্পদের সঠিক ব্যবহার
সম্পর্কে সরকার কত উদাসীন।
টেলিযোগাযোগ
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের
সমন্বয়হীনতা ও দূরদর্শিতার অভাবেই
দেশের ব্যবহারযোগ্য সম্পদ মোবাইল
ফোন ‘তরঙ্গ’ পানির
দরে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।
মোবাইল তরঙ্গ সীমিত সম্পদ। সীমিত
যে কোনো কিছুই বেশ মূল্যবান, আর
তাই উচিত- সে সম্পদ থেকে সর্বোচ্চ
মুনাফা আদায় করা। বিশেষ
করে যদি তৃতীয় পক্ষ কেউ
যদি সে সম্পদকে পুঁজি করে ব্যবসা করে।
উদাহরণ হিসাবে বলা যায় যে-
সরকার বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর
কাছে গ্যাস বিক্রি করছে, আবার
বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো নাগরিকদের
বিদ্যুৎ বিক্রি করছে। ঠিক
তেমনি সরকার তরঙ্গ বিক্রি করবে আর
মোবাইল কোম্পানিগুলো তা ব্যবহার
করে মোবাইল সার্ভিস
বিক্রি করে মুনাফা করবে। মোবাইল
কোম্পানীর ব্যবসার
মুনাফা যতটা বেশি হবে সরকারকেও
তার কাঁচামাল তরঙ্গ তত
বেশি মূল্যে বিক্রি করতে হবে।
কিন্তু যথাযথ নীতিমালা ছাড়াই
চলছে তরঙ্গ ব্যবসা। আর এর সুযোগ
নিচ্ছে মোবাইল অপারেটররা।
এতে দেশ বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয়
থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
পাশাপাশি টেলিযোগাযোগ
খাতে বড় বিনিয়োগ হওয়ার
সম্ভাবনা হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক
সংস্থা বিটিআরসি’র তথ্যমতে,
দেশে মোবাইল গ্রাহক ১২
কোটি ছাড়িয়েছে।
দেশে মোবাইলের
মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর
সংখ্যা ৩ কোটি ৯০ লাখ ৫২ হাজার।
অর্থাৎ টেলিযোগাযোগ খাত,
বিশেষ করে মোবাইলফোন খাত
হতে পারে বাংলাদেশের
অর্থনীতির অন্যতম মূল চালিকাশক্তি।
এ খাত দেশের
জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য
অবদান রেখে চলেছে।
খাতটি কর্মসংস্থান ও বৈদেশিক
বিনিয়োগের (এফডিআই) বৃহত্তম
সংস্থানকারী এবং সরকারের কর
রাজস্বের সবচেয়ে বড় উৎস। কিন্তু
সরকারের উদাসীনতায়
এক্ষেত্রে কাঙ্খিত সমৃদ্ধি আসছে না,
জনগণ বঞ্চিত হচ্ছে আর
বিদেশীরা লুটপাট করছে।
এক্ষেত্রে সরকারের উদাসীনতা ও
নিষ্ক্রিয়তার
বিপরীতে জনগণকে সচেতন
হতে হবে নিজেদের হক্ব যাতে নষ্ট
না হয়, সে সম্পর্কে সচেতন ও সক্রিয়
থাকতে হবে।

Sunday, 1 March 2015

ফেসবুক নিউজফিড সাজান ইচ্ছে মতো

ইচ্ছেমতো ফেসবুক নিউজফিড সাজিয়ে নেওয়ার ৫ কৌশল:
ইচ্ছে না থাকলেও ফেসবুক ফিডে অপ্রয়োজনীয় অনেক কিছুই
দেখতে হয় আমাদের। এর মাঝে থাকে বন্ধুদের প্যাঁচাল,
বিভিন্ন গ্রুপের অপ্রাসঙ্গিক পোস্ট, বিজ্ঞাপন ইত্যাদি। ছোট্ট
কিছু কৌশলে এসব বাদ দিয়ে ফেসবুক নিউজ ফিড
ভরিয়ে তুলতে পারবেন নিজের পছন্দের কনটেন্ট দিয়ে।
১. বিরক্তিকর মানুষদের “আনফলো” করুন : যেসব মানুষ খুব
বিরক্তিকর অথচ আনফ্রেন্ড করে ফেললে কষ্ট পাবে,
তাদেরকে আনফলো করাটাই বেশ ভালো একটি উপায়। তাদের
বিরক্তিকর পোস্টের ডান দিকের কোনায়
ত্থাকা অ্যারো ক্লিক করুন এবং আনফলো করে ফেলুন তাকে।
এছাড়াও তাদের প্রোফাইলে গিয়ে দেখুন ‘ফলোইং’ নামের
একটি বাটন আছে। ওর উপরে একবার ক্লিক করলেই
আনফলো হয়ে যাবে। ওই মানুষটির ড্রামা আর আপনাকে সহ্য
করতে হবে না।
২. অপ্রয়োজনীয় পেজ থেকে কনটেন্ট এড়িয়ে চলুন: আপনার
বন্ধুরা যদি আজেবাজে গ্রুপ বা পেইজ থেকে কনটেন্ট শেয়ার
করতে থাকে অহরহ, তাহলে কি করবেন? ওই পোস্টের ডান
কোনায় থাকা অ্যারো ক্লিক করুন। এরপর সিলেক্ট করুন “Hide
all from [অমুক পেজ]”। ওই বন্ধুর অন্যান্য পোস্ট দেখতে পাবেন
কিন্তু ওই পেজ থেকে আর কিছু দেখতে পাবেন না।
৩. ফেসবুককে জানান কি ধরণের পোস্ট আপনাকে বিরক্ত করছে
: যে ধরণের পোস্ট আপনার বিরক্তির কারণে হয়ে দাঁড়াচ্ছে,
সেগুলোর ওই ডান কোনার অ্যারোতে দেখতে পাবেন “ I don’t
want to see this” অপশনটি। বিরক্তিকর পোস্টগুলোতে এই
অপশন সিলেক্ট করতে থাকলে ফেসবুক বুঝে নেবে কি ধরণের
পোস্টে আপনার অ্যালার্জি আছে, আর এসব পোস্ট আপনার
নিউজফিডে কম আসবে।
৪. ফেসবুক সার্ভে পূরণ করুন: ফেসবুক
জানে যে ব্যবহারকারীরা বেশ কিছু ব্যাপারে বিরক্ত হয়। তাই
আপনাকে সাহায্য করার জন্যই আছে এই সার্ভে। ছোট এই
সার্ভে পূরণ করলে আপনারই উপকার হবে। পোস্টের ডান দিকের
অ্যারোতে ক্লিক করলে নিচের দিকে “more options” পাবেন,
এ থেকে ফেসবুক সার্ভে গ্রহণের অপশন আসবে।
৫. “নিউজ ফিড প্রেফারেন্স” নিয়ন্ত্রণ করুন: ফেসবুকের মেইন
সেটিংস মেনুতে গিয়ে “News Feed Preferences” সিলেক্ট
করুন। এর থেকে দেখতে পাবেন আপনি কি ধরণের কনটেন্ট
বেশি দেখে থাকেন, কাকে আনফলো করেছেন ইত্যাদি।
ইচ্ছেমতো এগুলোর পরিবর্তন করে নিউজ ফিড নিয়ন্ত্রণ
করতে পারবেন আপনি।

লাউয়াছড়া

লাউয়াছড়ার প্রাকৃতিক রুপ
............................
দিনদিন পৃথিবীতে মানুষ বৃদ্ধি পাচ্ছে আর তার
সাথে সাথে ধ্বংস হচ্ছে আমাদের প্রাকৃতিক পরিবেশ।
মানুষের জীবনযাপন ক্রমশ হয়ে উঠছে নগর কেন্দ্রীক। কিন্তু
যে হারে প্রকৃতি ধ্বংস হচ্ছে তার চেয়ে দ্বিগুণ হারে মানুষের
চাহিদা বাড়ছে অরণ্যে ভ্রমণের জন্য। প্রতিদিন ধ্বংস
হচ্ছে আমাদের শষ্যশ্যামলা বাংলার শ্যামল প্রকৃতি।
বৃদ্ধি পাচ্ছে শহরের ব্যস্ত জীবন কিন্তু শহরের ব্যস্ত জীবনের
ফাঁকে এখন ঘন ঘন মানুষ পেতে চায় শ্যামল অভয়ারণ্যের
ছোঁয়া কিংবা একটু নিস্তব্ধতার একাকীত্ব।
আপনার এই চাহিদা পূরণ করতে আপনি ঘুরে আসতে পারেন
দেশের পূর্বাঞ্চলের একমাত্র বন গবেষণা কেন্দ্র
‘লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্ক’। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য
লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্কের জীবজন্তুর হুংকার,
ঝিঁঝিঁ পোকার শব্দ, বানরের লাফালাফি, ঝাঁকবাঁধা হুলুকের
কলকাকলী একটু সময়ের জন্য হলেও আপনার ব্যস্ত জীবনের
কান্তি দূর করে মনের তৃপ্ততা এনে দিবে। প্রায় ১২ শত হেক্টর
এলাকা জুড়ে লাউয়াছড়া পার্কের ভিতর আড়াই হাজার
প্রজাতির পাখি, ১০ প্রজাতির সরিসৃপ, অর্ধশত প্রজাতির
জীবজন্তু রয়েছে। এর ভিতরে রয়েছে কয়েকটি খাসিয়া পুঞ্জি,
পার্কের পাহাড় বিস্তৃত লম্বা বৃ েখাসিয়ারা খাসিয়া পানের
চাষ করে। পার্কের এক পাশে রয়েছে আনারসের বাগান, এক
পাশে চায়ের বাগান আবার কোথায় রয়েছে লেবু বাগান।
জঙ্গলের ভিতর রয়েছে কয়েকটি পাহাড়ী ছড়া। পুরো ন্যাশনাল
পার্কটি শ্রীমঙ্গল ভানুগাছ পাকা মহাসড়ক ও সিলেট
আখাউড়া রেলওয়ে সেকশনের রেললাইন দ্বারা ৩ খন্ডে বিভক্ত।
কিন্তু রেললাইন ও পাকাসড়ক দ্বারা বিভক্ত হলেও পার্কের
ভিতর তেমন কোন বাড়ী-ঘর না থাকায় ও ঘন জঙ্গলের
কারণে একাকীত্বের তেমন কোন সমস্যা হয়না। লাউড়াছড়ায়
এক ধরণের পোকা রয়েছে, যার শব্দ শোনার পর আপনার
আচমকাই বা হঠাৎ করেই যেন আপনার ভালো লাগতে শুরু করবে।
মনে হবে যেন আপনি অন্য কোন পৃথিবীতে পা দিয়েছেন। এই
পোকার শব্দকে ‘ফরেস্ট মিউজিক’ বলে অখ্যায়িত করেছেন
পার্কের ট্যুরিস্টরা। লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্কেই
রয়েছে বিরল প্রজাতির একটি বৃ। যেই বৃটিকে নিয়ে নানা জনের
রয়েছে না কৌতুহল। একসময় এই বৃরে গায়ে লেখা ছিল
‘কোরোফম’। দীর্ঘ দিন এই নাম থাকায়
দেশবাসী এটিকে ‘কোরোফম’ বলেই জানেন। মাস ছয় এক
পূর্বে হঠাৎ করে এর গাত্র থেকে কোরোফম সাইন
বোর্ডটি নামিয়ে এর গায়ে টাঙানো হয়েছিল ‘আফ্রিকান অক
ট্রি’। বর্তমানে এই নেম পেটটিও
নামিয়ে লেখা হয়েছে ‘একটি বিরল প্রজাতির বৃ’।
লোকমুখে প্রচারিত রয়েছে এই বৃটি কোটি টাকা মূল্যের।
এটি নাকি একবার বিমান আটকিয়েছিল। এটির পাতার গন্ধ
শুকলে নাকি মানুষ অজ্ঞান হয়ে যেত। তবে বন বিভাগের কাছ
থেকে এরকম কোন সত্যতাই পাওয়া যায়নি।
একটি সূত্রে জানা যায়, এ প্রজাতির বৃ বিরল। বাংলাদেশে এ
প্রজাতি আর কোথাও নেই। যাই হোক নানাভাবে এর খবর
দেশে ছড়িয়ে পড়ায় মানুষ এই বিরল প্রজাতির বৃটিকে প্রধান
উদ্দেশ্য করে লাউয়াছড়ায় যায়। বৃটি পার্কের ফরেস্ট রেস্ট
হাউজের পার্শে অবস্থিত। বর্তমানে গাছটির
চারপাশে কাটা তারের বেড়া দিয়ে ঘিরে রাখা হয়েছে।
কোথায় লাউয়াছড়ার অবস্থান?
.......................................
ঢাকা, চট্টগ্রাম থেকে বাস
কিংবা ট্রেনযোগে শ্রীমঙ্গলে পৌঁছুবেন। শ্রীমঙ্গল
থেকে ভানুগাছ-কমলগঞ্জের রাস্তায় ৭ কি·মি· এগুোলেই
লাউয়াছড়া পার্কের সীমানা। এটি শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জ
উপজেলায় মধ্যে পড়েছে। তবে বেশিভাগ অংশ পড়েছে কমলগঞ্জ
উপজেলায়। শ্রীমঙ্গল ভানুগাছ রোড থেকে বাসে জনপ্রতি ৬
টাকা, প্রাইভেট কার নিয়ে গেলে ৩শ থেকে ৫শ টাকা, মিশুক
নিয়ে গিলে ১৫০ টাকায় ঘুরে আসতে পারেন।
কোথায় থাকবেন ?
..............................
লাউয়াছড়ায় রয়েছে ১টি ফরেস্ট রেস্ট হাউজ, ফরেস্টের
অনুমতি নিয়ে আপনি লাউয়াছড়া রেস্ট হাউজেই
থাকতে পারেন। এছাড়াও শ্রীমঙ্গল হবিগঞ্জ
রোডে রয়েছে এসি, নন এসি, ঠান্ডা গরম পানি, টিভি, ফোন
ও গাড়ী পার্কিংএর সুবিধা সহ ‘টি টাউন রেস্টহাউজ’। হোটেল
ইউনাইটেড, সবুজ বাংলা, মুক্ত, আল-রহমান, নীলিমা, মুন,
সন্ধ্যা সহ ২৯টি হোটেল ও ২০/২৫টি সরকারী রেস্ট হাউজ।
হোটেলগুলোতে থাকতে আপনার ব্যয় হবে ৪০ থেকে ১০০০
টাকা পর্যন্ত।
খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা
.............................
শ্রীমঙ্গলে খাওয়াদাওয়া জন্য মাছ, মাংস, সব্জি সবরকম
আইটেমই পাওয়া যায়। তবে হিন্দু অধ্যুশিত
এলাকা বলে শ্রীমঙ্গলের কোন হোটেলে গরুর মাংস
রান্না হয়না। গরুর মাংস খেতে হলে আপনাকে রেস্ট হাউজের
বাবুর্চিকে দিয়ে তৈরি করে নিতে হবে।
কি কি সাথে নিবেন?
..........................
শীতের সময় আসলে অবশ্যই শীতের কাপড় সঙ্গে আনতে হবে।
স্টিল
ক্যামেরা বা ম্যুভি ক্যামেরা থাকলে সাথে নিয়ে আসতে পারেন।
বাইনুকুলার থাকলে ভালো হয়। জঙ্গলের ভিতর প্রবেশের
পূর্বে হালকা খাবার ও পানি নিয়ে যেতে পারেন। কারণ
সেখানে কোন খাবার পাওয়া যায়না। বর্ষার সময়
ছাতা নিতে হবে কারণ শ্রীমঙ্গলের হঠাৎ বৃষ্টির
সমস্যা রয়েছে। শীত-গ্রীষ্ম উভয় সময়েই সম্ভব হলে শহর
থেকে ১ জন গাইড নিতে পারেন।
কিকি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে ?
................................................
লাউয়াছড়া পার্কে রয়েছে এক ধরণের চিনা জুক। যা ঘাসের
সাথে মিশে থাকে এবং এর রঙও ঘাসের মতো সবুজ।
আপনি ঘাসের উপর দিয়ে যদি হাঁটেন চিনা জুক কখন
আপনাকে আকড়ে ধরবে আপনি টেরই পাবেন না। যদি দেখেন
আপনার শরীরের কোথায় থেকে রক্ত পড়ছে তাহালে বুঝবেন
চিনা জুক আপনাকে কামড় দিয়ে চলে গেছে।
তাছাড়াও আপনাকে সবসময় স্মরণ
রাখতে হবে লাউয়াছড়া ন্যাশনাল পার্কের জীববৈচিত্র্য রায়
সরকার সকল প্রকার আহরণ নিষিদ্ধ করেছে।
পার্কে ভ্রমণকালে কোন গাছের পাতা ছেঁড়া বা কোন পশু-
পাখি বা কীট-পতঙ্গকে ডিসটার্ব করা যাবে না। জঙ্গলের
ভিতরে একা ভ্রমণ করতে অবশ্যই ভয় করবে। তবে কয়েকজন
হলে ভালো হয়। নতুবা শ্রীমঙ্গল থেকে পরিচিত
কাউকে নিয়ে যেতে পারেন। সবশেষে যদি সময় পান
তাহলে দেখে আসতে পারেন মাগুরছড়া গ্যাসকূপ।
দেখতে পারেন ১৯৯৭ সালের কূপ বিস্ফোরনে সৃষ্ট
অগ্নিকান্ডে পুড়ে যাওয়া বৃ সেখানে এখানো কালের
স্বাী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এটি লাউয়াছড়া ফরেস্ট মুখ
থেকে ভানুগাছের দিকে পাকা সড়কে ২
কিলো অন্তরে রয়েছে।
কিভাবে ফিরবেন?
............................
শ্রীমঙ্গল থেকে আন্তঃনগর ট্রেনে করে অথবা বাস
যোগে চট্টগ্রাম-ঢাকা পৌঁছাতে হবে। চট্টগ্রামের জন্য
রয়েছে প্রতি শুক্রবার ছাড়া দুপুর ১২টায় পাহাড়িকা, রাত
সাড়ে ১১ টায় উদয়ন সহ দিনে-রাতে আরো দু’টি লোকাল
ট্রেন। ঢাকার জন্য রয়েছে সকাল সাড়ে ১০টায় জয়ন্তিকা, ৫টায়
পারাবত ও রাত ১২টায় উপবন সহ আরো দু’টি লোকাল ট্রেন।
ট্রেনে শ্রীমঙ্গল থেকে ঢাকা পৌছাতে ৫/৬ ঘন্টার সময়
লাগবে। কিন্তু বাসে সময় লাগে সাড়ে ৩ থেকে ৪ ঘন্টা।
আপনি যদি বাসে যেতে চান তাহলে সিলেট উত্তরবঙ্গ, সিলেট
দণিবঙ্গ, সিলেট কলকাতা, সিলেট
আগরতলা যাতায়াতকারী পরিবহণ-এ আসতে পারেন।

Stop Misuse of Public Spectrum

সাড়ে ৯৮ হাজার কোটি টাকার তরঙ্গ
মাত্র ৫০০০ কোটি টাকায়
বিক্রি কেন?
রাষ্ট্রের অমূল্য সম্পদ মোবাইল তরঙ্গ
পছন্দের
কোম্পানীকে পাইয়ে দেবার জন্যই
কি পানির দরে বিক্রির এ
ব্যবস্থা হচ্ছে?
১৫ বছর আগে মোবাইলফোন অপারেটর
‘একটেল’ পরবর্তীতে ‘রবি আজিয়াটা’
নামে তাদের ব্যবসা শুরু করে।
শুরুতে ‘রবি’ ১৭ দশমিক ৮ মেগাহার্টজ
ফ্রিকোয়েন্সি (তরঙ্গ)
নিয়ে ব্যবসা শুরু করলেও কোনো তরঙ্গ
চার্জ দেয়নি।
এ ধরনের কোনো আইন না থাকার
সুযোগ নিয়ে রবি ওই সময় বিনা পয়সায়
তরঙ্গ ব্যবহার করে হাজার হাজার
কোটি টাকা আয় করলেও
সরকারকে এজন্য কোনো ফি দেয়নি। ১
টাকার কল মিনিট বিক্রি করেছে ৭-৮
টাকায়। অথচ
সে আমলে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত,
পাকিস্তান, নেপালসহ বিশ্বের
অন্যান্য দেশ মিলিয়ন-বিলিয়ন ডলার
আয় করেছিল এই
ফ্রিকোয়েন্সি বিক্রি করে।
দেখা গেছে, ভারত ওই সময়
প্রতি মেগাহার্টজ
ফ্রিকোয়েন্সি বিক্রি করে আয়
করছিল ১১৩ মিলিয়ন রুপি। অথচ
বাংলাদেশ হাজার হাজার
কোটি টাকার
মুনাফা লাভকারী প্রতিষ্ঠানের
কাছে এই তরঙ্গ দিয়েছিল স্রেফ শূন্য
টাকায়। সোজা কথায় ‘মাগনা’।
শুধু অতীতে নয়, বর্তমানেও সরকারের
যুগোপযোগী টেলিযোগাযোগ
নীতিমালার অভাবে হাজার
হাজার কোটি টাকা দামের তরঙ্গ
(স্পেকট্রাম) পানির
দরে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন
রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি)
কাছে অবশিষ্ট থাকা টুজির ১০ দশমিক
৬ মেগাহাটজ এবং থ্রিজির আরও ১৫
মেগাহার্টজ স্পেকট্রাম বা তরঙ্গ
নিলামের চূড়ান্ত তারিখ
ঘোষণা করা হয়েছে।
নীতিমালা অনুসারে আগামী ৩০
এপ্রিল এ নিলাম অনুষ্ঠিত হবে। আর উভয়
ধরনের ব্যান্ডের স্পেকট্রামের এ
নিলামে অংশ নিতে ২৬
ফেব্রুয়ারির মধ্যে আবেদন করতে হবে।
কিন্তু পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন, মূল্য
অনেক বেশী কম ধরে ও
‘প্রতিযোগিতাহীন’ নিলামের
মাধ্যমে অ্যববহৃত থ্রি-জি ও টু-জি তরঙ্গ
নিলামে বিক্রির সিদ্ধান্ত
নিয়েছে বাংলাদেশ
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন
(বিটিআরসি)। খাত সংশ্লিষ্ট
বিশেষজ্ঞদের মতে এতে প্রায় লাখ
কোটি টাকার রাজস্ব আয়
থেকে বঞ্চিত হবে সরকার।
নতুন গাইড লাইনে এ তরঙ্গের
ভিত্তিমূল্য প্রতিবেশী দেশগুলোর
তুলনায় বিশেষ করে ভারতের তুলনায়ও
অনেক বেশী কম ধরা হয়েছে।
ভারতে চলতি বছরের নিলাম
অনুযায়ী ১৮০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের
প্রতি মেগাহার্জ তরঙ্গের
ভিত্তিমূল্য যেখানে ২৭৩৮
কোটি টাকা সেখানে আমাদের
দেশে ধরা হয়েছে মাত্র ২৩০
কোটি (৩ কোটি ইউএস ডলার),
অন্যদিকে ভারতে ২১০০ মেগাহার্জ
ব্যান্ডের তরঙ্গের ভিত্তিমূল্য
যেখানে ৪৬৩১
কোটি টাকা সেখানে আমাদের
দেশে মাত্র ১৬৫ কোটি টাকা (২.২০
কোটি ইউএস ডলার) ধরা হয়েছে।
বিটিআরসি ঘোষিত
নিলামে প্রতিবেশী ভারতের
প্রতি মেগাহার্টজ তরঙ্গের
মূল্যকে ভিত্তিমূল্য ধরে নিলাম
করলেও টুজি’র
ক্ষেত্রে প্রতি মেগাহার্টজে ২৭৩৮
কোটি টাকা করে ১০.৬
মেগাহার্টজে পাওয়া যেত ২৯০২২
কোটি টাকা। আবার থ্রিজি’র ৪৬৩১
কোটি টাকা করে ১৫
মেগাহার্টজে পাওয়া যেত ৬৯৪৯৫
কোটি টাকা। নিলামে সরকারের
মোট আয় দাড়াত ৯৮৫১৭ কোটি টাকা।
অথচ বিটিআরসি’র বর্তমান ঘোষিত
মূল্যে নিলামে পাওয়া যাবে সর্বোচ্চ
৫০০০ কোটি টাকা। ফলে সরকার প্রায়
সাড়ে ৯৩ হাজার কোটি টাকার আয়
থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ফ্রিকোয়েন্সি ও
মেগাহার্টজ জনগণের সম্পত্তি। এজন্য
দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা থাকতে হবে।
কিন্তু এসব
অসঙ্গতি তুলে ধরতে কোনো সিটিজেন
ফোরাম নেই। কেউ কথা বলে না।
ফ্রিকোয়েন্সি ও মেগাহার্টজ
সীমিত। অথচ
ফ্রিকোয়েন্সি বরাদ্দের
কোনো ম্যাপিং নেই। এজন্য
মাস্টারপ্ল্যান থাকতে হবে। সবার
অংশগ্রহণে এটি করা জরুরী। সস্তায়
তরঙ্গ বিক্রির বিষয়টি চোখে আঙ্গুল
দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে যে, জনগণ ও
দেশের সম্পদের সঠিক ব্যবহার
সম্পর্কে সরকার কত উদাসীন।
টেলিযোগাযোগ
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারের
সমন্বয়হীনতা ও দূরদর্শিতার অভাবেই
দেশের ব্যবহারযোগ্য সম্পদ মোবাইল
ফোন ‘তরঙ্গ’ পানির
দরে বিক্রি হয়ে যাচ্ছে।
মোবাইল তরঙ্গ সীমিত সম্পদ। সীমিত
যে কোনো কিছুই বেশ মূল্যবান, আর
তাই উচিত- সে সম্পদ থেকে সর্বোচ্চ
মুনাফা আদায় করা। বিশেষ
করে যদি তৃতীয় পক্ষ কেউ
যদি সে সম্পদকে পুঁজি করে ব্যবসা করে।
উদাহরণ হিসাবে বলা যায় যে-
সরকার বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলোর
কাছে গ্যাস বিক্রি করছে, আবার
বিদ্যুৎ কোম্পানিগুলো নাগরিকদের
বিদ্যুৎ বিক্রি করছে। ঠিক
তেমনি সরকার তরঙ্গ বিক্রি করবে আর
মোবাইল কোম্পানিগুলো তা ব্যবহার
করে মোবাইল সার্ভিস
বিক্রি করে মুনাফা করবে। মোবাইল
কোম্পানীর ব্যবসার
মুনাফা যতটা বেশি হবে সরকারকেও
তার কাঁচামাল তরঙ্গ তত
বেশি মূল্যে বিক্রি করতে হবে।
কিন্তু যথাযথ নীতিমালা ছাড়াই
চলছে তরঙ্গ ব্যবসা। আর এর সুযোগ
নিচ্ছে মোবাইল অপারেটররা।
এতে দেশ বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয়
থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
পাশাপাশি টেলিযোগাযোগ
খাতে বড় বিনিয়োগ হওয়ার
সম্ভাবনা হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক
সংস্থা বিটিআরসি’র তথ্যমতে,
দেশে মোবাইল গ্রাহক ১২
কোটি ছাড়িয়েছে।
দেশে মোবাইলের
মাধ্যমে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর
সংখ্যা ৩ কোটি ৯০ লাখ ৫২ হাজার।
অর্থাৎ টেলিযোগাযোগ খাত,
বিশেষ করে মোবাইলফোন খাত
হতে পারে বাংলাদেশের
অর্থনীতির অন্যতম মূল চালিকাশক্তি।
এ খাত দেশের
জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে উল্লেখযোগ্য
অবদান রেখে চলেছে।
খাতটি কর্মসংস্থান ও বৈদেশিক
বিনিয়োগের (এফডিআই) বৃহত্তম
সংস্থানকারী এবং সরকারের কর
রাজস্বের সবচেয়ে বড় উৎস। কিন্তু
সরকারের উদাসীনতায়
এক্ষেত্রে কাঙ্খিত সমৃদ্ধি আসছে না,
জনগণ বঞ্চিত হচ্ছে আর
বিদেশীরা লুটপাট করছে।
এক্ষেত্রে সরকারের উদাসীনতা ও
নিষ্ক্রিয়তার
বিপরীতে জনগণকে সচেতন
হতে হবে নিজেদের হক্ব যাতে নষ্ট
না হয়, সে সম্পর্কে সচেতন ও সক্রিয়
থাকতে হবে।