Monday 2 May 2016

নাগরি বর্ণমালার সরকারি স্বীকৃতি

প্রাচীনকাল থেকে সিলেট জনপদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ভাষা স্বাতন্ত্র বৈশিষ্ট্যপূর্ন ও সমৃদ্ধশীল। সিলেট অঞ্চলের অধিবাসীরা ‘সিলেটি ভাষা’য় কথা বলেন। সিলেটি ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। পৃথিবীতে প্রায় আট হাজার ভাষার মধ্যে তিন হাজার ভাষার নিজস্ব বর্ণমালা আছে। তন্মধ্যে সিলেটি ভাষা একটি, যার নিজস্ব বর্ণমালা রয়েছে। ফ্রান্সের ভাষা জাদুঘরে অসংখ্য ভাষার মধ্যে বাংলাদেশের দুইটি ভাষার নাম রয়েছে, একটি বাংলা অপরটি সিলেটি।

আমরা অনেক রক্ত ও ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্র ভাষা হিসাবে প্রতিষ্টিত করেছি। সিলেটের আঞ্চলিক ভাষা-ভাষী হিসাবে আমাদের দাবী বাংলাভাষা ও লিপির পাশাপাশি সিলেটি আঞ্চলিক ভাষার নাগরি লিপিকে স্বীকৃতি প্রদান করা হউক এবং প্রত্যেক প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসায় ঐচ্ছিক বিষয় হিসাবে পাঠদানের সুযোগ করে দিয়ে, সিলেটি ভাষার নাগরি লিপিকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করা হউক। কারণ, একটি লিপিসর্বস্ব ভাষা ও সাহিত্যের বিলুপ্তি ঘটলে বৃহৎ জনগোষ্টির ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধংস হয়ে যাবে। সভ্য জাতি হিসাবে এটা কারো কাম্য হতে পারেনা। নাগরি বর্ণে ছিলটি ভাষাকে স্বীকৃতি প্রদান সিলেটবাসীর প্রাণের দাবি।
তাই এই বর্ণমালা এবং ভাষাকে টিকিয়ে রাখার জন্য সরকার কর্তৃক স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় এমনকি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানে ‘নাগরি বর্ণে ছিলটি ভাষা স্বীকৃতি পরিষদ’ নামে অনেক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এমনকি ‘সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট’-এ ও এর একটি শাখা রয়েছে। এ কমিটির উদ্যোগে আজ ০২-০৫-২০১৬ ইং তারিখে উক্ত প্রতিষ্টানে নাগরি সরকারি স্বীকৃতির দাবিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী বরাবরে প্রেরণের জন্য (সমন্বয়ক: আবু সাঈদ,উপদেষ্টা: এ.এস পার্থ এবং আর.জে হৃদয়- এর নেতৃত্বে) এক “গনস্বাক্ষর কর্মসূচির” আয়োজন করা হয়। উক্ত কর্মসূচিকে সুষ্টভাবে সম্পন্ন করার জন্য সকল শিক্ষকমণ্ডলী এবং ছাত্রছাত্রীরা অংশগ্রহন করে।

Monday 2 May 2016

নাগরি বর্ণমালার সরকারি স্বীকৃতি

প্রাচীনকাল থেকে সিলেট জনপদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ভাষা স্বাতন্ত্র বৈশিষ্ট্যপূর্ন ও সমৃদ্ধশীল। সিলেট অঞ্চলের অধিবাসীরা ‘সিলেটি ভাষা’য় কথা বলেন। সিলেটি ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। পৃথিবীতে প্রায় আট হাজার ভাষার মধ্যে তিন হাজার ভাষার নিজস্ব বর্ণমালা আছে। তন্মধ্যে সিলেটি ভাষা একটি, যার নিজস্ব বর্ণমালা রয়েছে। ফ্রান্সের ভাষা জাদুঘরে অসংখ্য ভাষার মধ্যে বাংলাদেশের দুইটি ভাষার নাম রয়েছে, একটি বাংলা অপরটি সিলেটি।

আমরা অনেক রক্ত ও ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্র ভাষা হিসাবে প্রতিষ্টিত করেছি। সিলেটের আঞ্চলিক ভাষা-ভাষী হিসাবে আমাদের দাবী বাংলাভাষা ও লিপির পাশাপাশি সিলেটি আঞ্চলিক ভাষার নাগরি লিপিকে স্বীকৃতি প্রদান করা হউক এবং প্রত্যেক প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসায় ঐচ্ছিক বিষয় হিসাবে পাঠদানের সুযোগ করে দিয়ে, সিলেটি ভাষার নাগরি লিপিকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করা হউক। কারণ, একটি লিপিসর্বস্ব ভাষা ও সাহিত্যের বিলুপ্তি ঘটলে বৃহৎ জনগোষ্টির ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধংস হয়ে যাবে। সভ্য জাতি হিসাবে এটা কারো কাম্য হতে পারেনা। নাগরি বর্ণে ছিলটি ভাষাকে স্বীকৃতি প্রদান সিলেটবাসীর প্রাণের দাবি।
তাই এই বর্ণমালা এবং ভাষাকে টিকিয়ে রাখার জন্য সরকার কর্তৃক স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় এমনকি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানে ‘নাগরি বর্ণে ছিলটি ভাষা স্বীকৃতি পরিষদ’ নামে অনেক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এমনকি ‘সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট’-এ ও এর একটি শাখা রয়েছে। এ কমিটির উদ্যোগে আজ ০২-০৫-২০১৬ ইং তারিখে উক্ত প্রতিষ্টানে নাগরি সরকারি স্বীকৃতির দাবিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী বরাবরে প্রেরণের জন্য (সমন্বয়ক: আবু সাঈদ,উপদেষ্টা: এ.এস পার্থ এবং আর.জে হৃদয়- এর নেতৃত্বে) এক “গনস্বাক্ষর কর্মসূচির” আয়োজন করা হয়। উক্ত কর্মসূচিকে সুষ্টভাবে সম্পন্ন করার জন্য সকল শিক্ষকমণ্ডলী এবং ছাত্রছাত্রীরা অংশগ্রহন করে।