Tuesday 28 April 2015

সাত দিন ছাড়া ও যেসব দিন রয়েছে

Day এর প্রকারভেদ :
Memorable day স্মরণীয় দিন
Carry the day- জয়লাভ করা
Day to day -দিনদিন
Gala day উত্সবের দিন
Rag day-graduation সমাপনী দিন
Hot day -দুর্দিন
hectic day- ব্যস্ত দিন
One Day Or Other – কোনো না কোনো
একদিন,
Today – আজ,
Day Care – দিবাকালীন তত্ত্বাবধান,
Day Time – দিনের বেলা,
Day Break – প্রভাত,
Tomorrow – আগামীকাল,
Yesterday – গতকাল
To This Day – আজ পর্যন্ত ।
Day After Tomorrow – আগামী পরশু,
Day Before Yesterday – গত পরশু,
Only The Other Day – এইতো সেদিন,
The Other Day – সেদিন,
Every Other Day – একদিন পরপর,
Every Third Day – তিনদিন পরপর,
The Very Day – সেই দিনেই,
Next To Next Friday – আগামী শুক্রবারের পরের শুক্রবার ।

Friday 24 April 2015

বাংলা ও ইংরেজি ভাষার গুরুত্বপূর্ণ প্রবাদবাক্য

যে সকল ইংরেজি প্রবাদ বা উপদেশ বাক্য আমরা প্রাত্যহিক জীবনে ব্যবহার করি,যেসব প্রবাদবাক্য আমাদের পরীক্ষায় বিভিন্ন সময় আসে,তার
কিছুটা নিচে তুলে ধরা হল।আসা করি আপনাদের কাজে আসবে :
1. অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ। ⇨Too much courtesy, too much craft.
2. অতি চালাকের গলায় দরি। ⇨Too much cunning over reaches itself.
3. অতি লোভে তাঁতী নষ্ট। ⇨ Grasp all, lose all.
4. অতি দর্পে হত লঙ্কা। ⇨ Pride goes before a fall.
5. অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী। ⇨A little learning is a dangerous thing.
6. অভাবে স্বভাব নষ্ট। ⇨ Necessity knows no law.
7. অসারের তর্জন গর্জন সার। ⇨Empty vessels sound much.
8. অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট। ⇨ Too many cooks spoil the broth.
9. আপনা ভাল তো জগৎ ভালো। ⇨ To the pure all things are pure.
10. আপনি বাঁচলে বাপের নাম। ⇨ Self-preservation is the first law of nature.
11. আয় বুঝে ব্যয় কর। ⇨ Cut your coat according to your cloth.
12. ই‛ছা থাকলে উপায় হয়। ⇨ Where there is a will, there is a way.
13. উঠন্ত মূলো পত্তনেই চেনা যায়। ⇨ Morning shows the day.
14. উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে। ⇨ One doth the scathe, another hath the scorn.
15. উলুবনে মুক্তা ছড়ানো / বানরের গলায় মুক্তার হার। ⇨ To cast pearls before swine.
16. এক ঢিলে দুই পাখি মারা / রথ দেখা কলা বেচা। ⇨ To kill two birds with one stone.
17. এক মুখে দুই কথা। ⇨ To blow hot and cold in the same breath.
18. এক হাতে তালি বাজে না। ⇨ It takes two to make a quarrel.
19. এক মাঘে শীত যায় না। ⇨ One swallow does not make a summer.
20. কষ্ট না করলে কেষ্ট মেলে না / দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহীতে? ⇨ No pains, no gains.
21. কয়লা ধুইলে ময়লা যায় না। ⇨ Black will take no other hue.
22. কাঁচায় না নোয়ালে বাঁশ, পাকলে করে ঠাস ঠাস। ⇨ Strike the iron while it is hot.
23. কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা। ⇨ To set a thief to catch a thief.
24. কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা / মরার উপর খাড়ার ঘা। ⇨ To add insult to injury.
25. কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ। ⇨ What is sports to the cat is death to the rat. OR , Nero fiddles while Rome burns. OR, Some have the hop, some stick in the gap.
26. গরূ মেরে জুতো দান। ⇨ To rob Peter to pay Paul.
27. গতস্য শোচনা নাসিত্ম। ⇨ Let bygones,be bygones.
28. গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল। ⇨ To count chickens before they are hatched.
29. গায়ে মানে না আপনি মোড়ল। ⇨ A fool to others,himself a sage.
30. গাইতে গাইতে গায়েন,বাজাইতে বাজাইতে বায়েন। ⇨ Practice makes a man perfect.
31. ঘরপোড়া গরূ সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায়। ⇨ A burnt child dreads the fire.
32. চাচা আপন প্রাণ বাঁচা। ⇨ Every man for himself.OR, Physician heals thyself.
33. চোরে না শুনে ধমের্র কাহিনী। ⇨ A rogue is deaf to all good.
34. চোরে চোরে মাসতুতো ভাই। ⇨ Birds of the same feather flock together.
35. চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে। ⇨ To lock the stable-door when the steed is stolen. OR After death comes the doctor.
36. চালুন বলে ছুঁচ তোমার পিছনে একটা ছ্যাঁদা। ⇨ The pot calls the cattle black.
37. ছেঁড়া চাটাইয়ে শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখা। ⇨ To build castle in the air.
38. জোর যার মুলুক তার। ⇨ Might is right.
39. জলন্ত আগুনে ঘৃতাহুতি। ⇨ To add fuel to the fire.
40. ঝোপ বুঝে কোপ মারা।⇨ Make hay while the sun shines.
41. ঢিলটি মারলে পাটকেলটি খেতে হয় / যেমন বুনো ওল, তেমন বাঘা তেঁতুল। / যেমন কুকুর, তেমন মুগুড়।⇨ Tit for tat.
42. তেলা মাথায় তেল দেয়া। ⇨To carry coal to Newcastle.
43. তিলকে তাল করা। ⇨ To make a mountain out of a mole hill.
44. দশের লাঠি একের বোঝা / রাই কুঁড়িয়ে বেল।
⇨ Many a pickle ( OR, little) makes a mickle.
45. দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা বোঝা যায় না। ⇨ Blessings are not valued till they are gone.
46. দুষ্ট গরূর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো। ⇨ Better an empty house than a bad (OR, an ill) tenant.
47. ধরি মাছ না ছুঁই পানি। ⇨ A cat loves fish but is loath to wet her feet.
48. নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো। ⇨ Something is better than nothing.
49. নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা। ⇨ A bad workman quarrels with his tools.
50. নানা মুনির নানা মত। ⇨ Many men, many minds.
51. নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করা। ⇨ To cut off one’s nose to spite one’s face.
52. পরের মন্দ করতে গেলে নিজের মন্দ আগে ফলে। ⇨ Harm hatch, harm catch.
53. পাননা তাই খাননা / আঙ্গুর ফল টক। ⇨ The grapes are sour.
54. পাপের ধন প্রায়শ্চিত্তে যায়। ⇨ Ill got ill spent.
55. পেটে খেলে পিঠে সয়। ⇨ Give me roast meat and beat me with the spit.
56. বিনা মেঘে বজ্রপাত। ⇨ A bolt from the blue.
57. বসতে পেলে শুতে চায়। ⇨ Give him an inch, and he will take an ell.
58. বজ্র আঁটুনি ফস্কা গিরো। ⇨ The more laws, the more offenders.
59. বামুন গেলো ঘর তো লাঙ্গল তুলে ধর। ⇨ When the cat is away, the mice will play.
60. সে বরের ঘরের মাসী কনের ঘরের পিসী। ⇨ He runs with the hare and hunts with the hound.
61. ভিক্ষার চাল কাঁড়া আর আকাঁড়া। ⇨ Beggars must not be choosers.
62. ভাত খায় ফ্যান দিয়ে গপ্প মারে দই। ⇨ Great boast, small roast.
63. ভাগের মা গঙ্গা পায় না। ⇨ Everybody’s business is nobody’s business.
64. পানিতে কুমির,ডাঙ্গায় বাঘ। ⇨ Between the devil and the deep sea. OR, Between Scylla and Charybdis.
65. মানুষ ভাবে এক হয় আর এক। ⇨ Man proposes but God disposes.
66. মারিত গন্ডার, লুটিত ভান্ডার। ⇨ Pitch your aims high.
67. মিষ্টি কথায় চিঁড়ে ভিজে না। ⇨ Fine (OR, Fair) words butter no parsnips. OR, Wishes never fill the bag.
68. মশা মাড়তে কামান দাগা। ⇨ To break a butterfly upon a wheel.
69. মরার উপর খাঁড়ার ঘা। ⇨ To pour water on a drowned mouse. OR, To slay the slain.
70. মরা হাতি লাখ টাকা। ⇨ The very ruins of greatness are great.
71. মুনীনাঞ্চ মতিভ্রমঃ / ভুল করা মানুষের স্বভাব। ⇨ To err is human. OR,Good Homer sometimes nods.
72. হাতি ঘোড়া গেলো তল,গাধা বলে কতো জল। ⇨ Fools rush in where angels fear to tread.
73. যেমন কর্ম তেমন ফল।⇨ As you sow,so you reap. OR,Like father like son.
74. যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয়। ⇨ Dangers often come where danger is feared.
75. যাকে রাখো সেই রাখে। ⇨ Keep the shop, and the shop will keep thee.
76. যারে দেখতে নারি, তার চলন বাঁকা।⇨ Faults are thick where love is thin
77. যার জ্বালা সেই জানে।⇨ The wearer best knows where the shoe pinches.
78. যতো পায়, ততো চায়। ⇨ The more man gets, the more he wants.
79. শেষ রক্ষাই রক্ষা / শেষ ভালো যার,সব ভালো তার। ⇨ All’s well that ends well.
80. সবুরে মেওয়া ফলে। ⇨ Patience is bitter, but its fruit is sweet.

Thursday 23 April 2015

বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিকগণের ১ম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ সমূহ

যেসব কবি সাহিত্যিকগণ তাদের মননশীল রচনাবলী দ্বারা বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন, তুলে ধরেছেন বিশ্ব দরবারে,চলুন তাদের ১ম রচনাবলী দেখে নেয়া যাক:
* কাজী নজরুল ইসলামঃ অগ্নিবীণা
* শামসুর রাহমানঃ প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে ।
* ফররুখ আহমদঃ সাত সাগরের মাঝি
* মাইকেল মধুসূদন দত্তঃ The Captive Lady
* রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঃ কবি কাহিনী
* জসীম উদদীনঃ রাখালী
* কায়কোবাদঃ বিরহ বিলাপ
* কামিনী রায়ঃ আলো ও ছায়া
* জীবনানন্দ দাশঃ ঝরা পালক
* আহসান হাবীবঃ রাত্রিশেষ
* শওকত ওসমানঃ জননী
* আল মাহমুদঃ লোক লোকান্তর
* হাসান হাফিজুর রহমানঃ বিমুখ প্রান্তর
* আবদুল কাদিরঃ দিলরুবা
* ইসমাইল হোসেন সিরাজীঃ অনল প্রবাহ
* সত্যেন্দ্রনাথ দত্তঃ প্রথমা
* রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনঃ মতিচুর
ডিপ্লোমা, ভার্সিটি কোচিং, বিসিএস কিংবা যেকোনো ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে আমাদের সাথেই থাকুন।

Saturday 18 April 2015

ডিপ্লোমায় ভর্তি হবেন,দেখে নেন A-Z

চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এ তুলনামূলক কম সময়ে কোর্স সমাপ্তি আর কোর্স শেষে ন্যূনতম চাকরির নিশ্চয়তা।সব মিলিয়ে তাই ডিপ্লোমা প্রকৌশলের চাহিদা হালের শিক্ষার্থীদের কাছে সবচেয়ে বেশি।
চার বছর মেয়াদি এই কোর্সে ভর্তি হতে হয় এসএসসির পর। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতায় পরিচালিত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে বিভিন্ন জেলা শহরে অবস্থিত ৪৯ টি সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাড়াও ইনস্টিটিউট অব গ্লাস অ্যান্ড সিরামিক, গ্রাফিক আর্টস ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ সার্ভে ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়।
★ভর্তির যোগ্যতা:
চার বছর মেয়াদি এই কোর্সগুলোয় আবেদন করতে হলে সাধারণ গণিত অথবা উচ্চতর গণিতে কমপক্ষে জিপিএ-৩ সহ প্রার্থীকে অবশ্যই এসএসসি পাস হতে হবে ন্যূনতম জিপিএ-৩.৫ পেয়ে।২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিতথ্য অনুযায়ী এই কারিগরি প্রতিষ্ঠানগুলোয় আবেদন করতে পারেন চলতি বছর বাদেও পূর্ববর্তী দুই বছরে এসএসসি বা সমমান পাস করা শিক্ষার্থীরা।
যেসব বিষয়ে ভর্তি হতে পারবেন :
আর্কিটেকচার, অটোমোবাইল,কেমিক্যাল, সিভিল, সিভিল (উড),কম্পিউটার, ইলেকট্রিক্যাল,ইলেকট্রনিকস, ফুড, পাওয়ার,মেকানিক্যাল, প্রিন্টিং,গ্রাফিক ডিজাইন, গ্লাস,সিরামিক, ইলেকট্রো মেডিক্যাল, মেরিন , শিপবিল্ডিং,সার্ভেয়িং, মেকাটনিকস,কনস্ট্রাকশন,টেলিকমিউনিকেশন,এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স,রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি,আর্কিটেকচার অ্যান্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইন, গার্মেন্টস ডিজাইন অ্যান্ড প্যাটার্ন মেকিং,ইনস্ট্রুমেন্টেশন অ্যান্ড প্রসেস কন্ট্রোল, ডেটা টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড নেটওয়ার্কিং, এয়ারক্রাফট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ারিং (অ্যারোস্পেস), এয়ারক্রাফট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ারিং (অ্যাভিয়োনিকস) এবং মাইনিং অ্যান্ড মাইন সার্ভে টেকনোলজি পড়ানো হয় সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা এই ইনস্টিটিউটগুলোয়।
ভর্তির তথ্য : এসএসসির পর ভর্তির বিজ্ঞপ্তি দিয়ে থাকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর।ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হতে চাইলে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে এখন থেকেই।ভর্তিসংক্রান্ত সব তথ্যের জন্য যোগাযোগ করা যাবে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের ( www.techedu.gov.bd ) ওয়েবসাইটে। এ ছাড়া ভর্তিসংক্রান্ত সব তথ্য জানা যাবে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের নিজস্ব ওয়েবসাইটে ( www.bteb.gov.bd )
★ডিপ্লোমা প্রকৌশলের আরও কিছু বিষয়:
বস্ত্র প্রকৌশল ডিপ্লোমা প্রকৌশলের ক্ষেত্রে যেসব বিষয়ের চাহিদা বেশি,সেগুলোর মধ্যে অন্যতম টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বা বস্ত্র প্রকৌশল। সরকারের বস্ত্র দপ্তরের ( www.dot.gov.bd ) আওতায় দিনাজপুর টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, বরিশাল শহীদ সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও টাঙ্গাইল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট— এই তিনটি সরকারি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট আছে। এ ছাড়া বেসরকারি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটে আছে ২১টি।ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের আবেদন করতে হবে অনলাইনের মাধ্যমে।ইনস্টিটিউটগুলো থেকে ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন করে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া যাবে বাংলাদেশ টেক্সটাইল প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে।
★কৃষি প্রকৌশল :
কৃষি ক্ষেত্রকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটগুলোয় চালু আছে চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্স। কারিগরি শিক্ষা বোডের্র অধীনে রংপুর, গাইবান্ধা, পাবনা,খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুর, ঢাকা,গাজীপুর, শেরপুর, সিলেট,নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও রাঙামাটি জেলায় একটি করে মোট ১৩টি কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট আছে। এই ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন করতে হলে প্রার্থীকে এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৩ অথবা বিজ্ঞান বিভাগ ছাড়া অন্য বিভাগের ক্ষেত্রে সাধারণ গণিত বা সাধারণ বিজ্ঞানে গ্রেড পয়েন্ট-২-সহ কমপক্ষে জিপিএ-৩ থাকতে হবে।
★হেলথ টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস তিন বছর মেয়াদি এই কোর্স বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধিভুক্ত।শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩৯।প্রতিষ্ঠানগুলো ছড়িয়ে আছে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা শহরে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে যেসব বিষয় পড়ানো হয়, সেগুলো হলো:
ডেন্টাল, পেশেন্ট কেয়ার,ফিজিওথেরাপি, ফার্মা,রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং,ইন্টিগ্রেটেড ও ল্যাবরেটরি টেকনোলজি। যেসব শিক্ষার্থী এই কোর্সে ভর্তি হতে চান, তাঁদের এসএসসিতে সাধারণ গণিত বা উচ্চতর গণিতে গ্রেড পয়েন্ট-২-সহ (অথবা ৪০ শতাংশ নম্বর) কমপক্ষে জিপিএ-২ (অথবা দ্বিতীয় বিভাগ) থাকতে হবে। এখানে যেকোনো বর্ষে পাস করা শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবেন।
[[উল্লেখ্য, নতুন ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ভর্তির যোগ্যতা পরিবর্তিত হতে পারে৷]]

Friday 17 April 2015

ডিপ্লোমা তে আসার আগে বিষয়গুলো ভেবে নিন

◆◇◆এস.এস.সি ও সমমানের পরীক্ষা শেষ।তাই অনেকে ইংলিশ কিংবা কম্পিউটার কোচিং এ ভর্তি হয়েছেন কিংবা হবেন।অনেকের আবার ইচ্ছা আছে ম্যাটস/ডিপ্লোমাতে ভর্তি হবেন , তাই অনেক স্টুডেন্ট ভর্তি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন। এবার একটু দেখে নিলে ভালো হয় ডিপ্লোমাতে কাদের আসা উচিত এবং কাদের আসা উচিত না।একটা কথা মনে রাখবেন, আবেগের বসে কিছু করে লাইফের কয়েকটা বছর নষ্ট করবেন না।
★★★ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এ যারা আসবেনঃ
■■▶অনেকেই আছেন যাদের আর্থিক সমস্যা আছে পড়াশুনা চালানো কঠিন হবে বলে মনে করেন অথবা পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে চান্স না পাওয়ার ভয় আছে আর পাবলিকে চান্স না পেলে হয়তো ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া সম্ভব না কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার প্রচুর ইচ্ছা আছে তারা চলে আসতে পারেন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং করার জন্য । কেননা এখানে আসার পর আপনি যদি ভালো পারফরমেন্স দেখাতে পারেন তাহলে আপনাকে ওয়াল্ড ব্যাংকের পক্ষ থেকে প্রতি ছয় মাস পর পর দেওয়া হবে ৪৮০০ টাকা শিক্ষা বৃত্তি। এছাড়াও মোটামুটি রেজাল্ট হলেই পাবেন ৯০০ টাকা বৃত্তি যা দিয়া কিছুটা হলেও আপনি চালিয়ে যেতে পারেন আপনার পড়াশোনার খরচ । ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করার পরে যেকোন একটা চাকরি পাবেন আর চাকরির পাশাপাশি খুব সহজেই আপনার পছন্দসই কোন একটা ইউনিভার্সিটি থেকে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিংকরে নিতে পারবেন ।কাজ শেখার ইচ্ছা শক্তি থাকলে অবশ্যই শিখতে পারবেন কারণ পলিটেকনিকে এমন কিছু ইন্সট্রুমেন্ট আছে যেগুলো অনেক নামকরা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতেও নেই।আর একটা কথা মেধা তেমন না থাকলে না আসাই ভালো কারণ এখনকার ডিপ্লোমার সিস্টেম এবংপড়াশোনা আগের থেকে অনেক অনেক আপডেট হয়েছে ।সুতরাং যা করবেন একটু ভেবে চিন্তে করবেন আবেগের বসে কিছু করে ফেললে আপনার জীবন থেকে হারিয়ে যেতে পারে কয়েকটি বছর । আসলে ভাই ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা ব্যবস্থাটা বাইরের দেশে যেমন দাম আছে আমাদের দেশে তার একবিন্দুও নেই, আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত এর ডিপ্লোমা শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন।
★★★ডিপ্লোমায় যাদের আসার তেমন একটা প্রয়োজন নাইঃ
■■▶বাবার টাকা আছে বাইচান্স পাবলিক কোন ইউনিভার্সিটি তে চান্স না পেলেও প্রাইভেট ইউনিভারসিটিতে বি.এস.সি করে নিতে পারবেন তাদের ডিপ্লোমাতে আসার কোন প্রয়োজন আছে বলে আমি মনেকরি না, কারণ একেতো ডুয়েট ছাড়া অন্য কোন পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে চান্স নেওয়ার কোন সুযোগ নাই। যদিও ইদানীং কয়েকটা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ করে দিছে।যেমন :আমার জানামতে সাস্টে কম্পিউটার ডিপার্টমেন্ট এ ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ আছে। তারপরেও সব সাবজেক্ট এর জন্য এখন পর্যন্ত উন্মুক্ত করা হয় নি, আর প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হলেও ভালো কোন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে পারবেন না,আর যদিও হন তাহলে একেতো খরচ আছে সাথে আবার সেই ৪ বছর ধরে বি.এস.সি করতে হবে আর নরমাল কোন ইউনিভার্সিটিতেই ডিপ্লোমাদের জন্য আই.ই.বি আনুমোদন নেই।  ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বিএসসি করার জন্য ঢাকার রমনাতে AMEI এর নাম হয়ত শুনেছেন,এখান থেকে ও আপনি অল্প সময়ে বিএসসি করতে পারেন।তবে আপনাকে ধৈর্যবান ও মেধাবী হতে হবে। আর একটা কথা, ডিপ্লোমায় আপনি আপনার ইংলিশের দক্ষতা আপনার অজান্তেই হারিয়ে ফেলবেন তবে এটা আসলে সবার ক্ষেত্রে নয়।কারণ অনেকেই আছে ডিপ্লোমা করেছেন।কিন্তু ইংলিশে অনর্গল কথা বলতে পারেন তবে এটা হাতে গোনা কয়েকজন হবে যারা সম্পূর্ণ নিজের প্রচেষ্টাতে বিভিন্ন কোর্স ও ইংলিশ ক্লাব এর মাধ্যমে ইংলিশকে ধরে রাখে । ইংলিশে দক্ষতা হারানোর প্রধান কারণ ডিপ্লোমাতে ইংলিশ নামে মাত্র দুইটা সাবজেক্ট থাকে যা ২ বা ৩ সেমিস্টারেই শেষ হয়ে যায় তারপর ৩ বছর শুধু বাংলিশ পড়ানো হয়, কাজ শেখার ব্যাপারে হাতেগোনা কয়েকজন টিচার ব্যতিত খুব কম টিচার এর কাছ থেকেই সাহায্য পাবেন বলে আশা করা যায়, আর এমন কিছু ইন্সটিটিউট আছে যেখানে চার অথবা পাঁচটি বিভাগের জন্য স্যার আছে মাত্র চার থেকে ছয়জন, ডিপ্লোমা করতে গিয়ে সব পেলেও পাবেন না দক্ষ স্যার ।অনেক স্যার আছেন যারা স্টুডেন্টদের টাকায় পকেট ভারি করে রাখেন।
◆◇◆আমার এসব কথা শুনে অনেকেই বলতে পারেন ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিতে সি.এস.ই এবং ই.টি.ই তে আই.ই.বি অনুমোদন আছে ?
■□■▶ হ্যা ভাই আছে কিন্তু আপনি হয়তো এটা জানেন না যে ইভিনিং শিফট এর জন্য কোন ইউনিভার্সিটিতেই আই.ই.বি অনুমোদন নেই, এবং এশিয়া প্যাসিফিক ও ইউ.আই.ইউ তে আছে কিন্তু এগুলোতে কস্ট অনেক বেশী এবং আপনার জন্য সাবজেক্ট ক্রেডিটও কমানো হবে না । তো কি দরকার আছে ৪ বছর ডিপ্লোমা করে আবার ৪ বছর বি.এস.সি করার শুধু শুধু আপনার জীবন থেকে হারিয়ে যাবে ২টি বছর ।আর যাদের ইচ্ছা আছে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমানোর তাদের ডিপ্লোমাতে আসার কোন প্রয়োজনই নাই কারন ডিপ্লোমাতে উচ্চ শিক্ষার জন্য বাইরে যাওয়ার যতটা সুযোগ আছে তার থেকে হাজারগুন বেশী সুযোগ আছে উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে যাওয়ার । আর যদিও ডিপ্লোমা কম্পিলিট করে যান তবে খরচও সেই একই লাগবে এবং সুযোগও সেই একই পাবেন।মাঝে দিয়ে আপনার জীবন থেকে হারিয়ে যাবে অতি মূল্যবান ২টি বছর আর যদি কোন আন্দোলন হয় তাহলেতো ৩ বছরও হারিয়ে যেতে পারে ।
□■▶আর যে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা ব্যবস্থায় ইংলিশ পাঠ্যপুস্তককে বাংলিশ পাঠ্যপুস্তকে পরিবর্তন করে পড়ানো হয় সে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা ব্যবস্থা হতে কখনও খুব ভালো কিছু আশা করা সম্ভব না ।যার ফলাফল ...... খুব ভালো স্টুডেন্ট হয়ে ডিপ্লোমাতে ভর্তি হচ্ছে আর বের হওয়ার সময় আগে যা ছিল তাও হারিয়ে ফেলছে ।এখানে না আছে স্টুডেন্টদের কোন দোষ আর না আছে শিক্ষকদের কোন দোষ, এখানে মূল সমস্যাটাই হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থার ।যেখানে ডিপ্লোমার প্রত্যেক ডিপার্টমেন্ট এর থাকা উচিত ছিল নিজেস্ব ক্লাব যেখানে ছাত্ররা প্রতিনিয়ত নতুন কিছু প্রজেক্ট বানানোর চেষ্টা করবে সেখানে ক্লাবতো দূরের কথা প্রজেক্ট বানানোর ব্যাপ্যারে যে কেউ অনুপ্রেরণা দিবে সেরকম লোক খুজে পাওয়াও মুশকিল ।
★☆★২০১৩ সালে সাস্টে অনুষ্ঠিত কাইজেন বিজ্ঞান প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অর্জন করে সিলেট পলিটেকনিক এর ইলেকট্রিকাল ডিপার্টমেন্ট এর কয়েকজন ছাত্র।জাফর ইকবাল স্যারের সাথে ছবিসহ তাদের সাক্ষাতকার পরদিন দেশের জাতীয় পত্রিকাগুলোতে প্রকাশ হয়।পলিটেকনিক এর ছাত্রদের প্রতি বৈষম্যের কিছু টা তখন ফোটে উঠেছিল। তারপর আবার সব উধাও।
◆◇◆আমার এই ব্লগ পোস্ট দেখে হয়তো অনেক ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ভাই মনে মনে রাগ হয়েছেন আবার গালিও দিচ্ছেন। কিন্তু ভাই একবার চিন্তা করে দেখুন আপনি ডিপ্লোমা করে কতটুকু সুযোগ সুবিধা পেয়েছেন ??
★☆★আজকে যে ভাইয়েরা ডুয়েটে পড়ছেন আপনাদের বন্ধুদের দিকে তাকালে দেখবেন তারা আজ বুয়েট,রুয়েট অথবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত ভালো জায়গাতে ৩য় অথবা ফাইনাল ইয়ারে রয়েছে,আপনার বি.এস.সি শেষ হতে হতে তারা হয়তো অনেক উপর পর্যায়ের একটা পজিশনেও চলে যাবে আর আপনার জীবন থেকে অকারনেই হারিয়ে গেছে ২টি বছর ।
★☆★৪৯টা সরকারী এবং চারশতাধিক প্রাইভেট পলিটেকনিক ছাত্রদের জন্য একমাত্র ডুয়েট ব্যতিত অন্য কোন ইউনিভার্সিটিতেই ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ারই সুযোগ দেওয়া হয় না ।
◆আসলে এর কারণটা কি ??
■▶তাহলে কি ডিপ্লোমার স্টুডেন্টরা অন্য কোন পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার যোগ্যতাও রাখে না ??
●○●অথচ দেখা যাচ্ছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আন্ডারে যারা এইচ.এস.সি ভোকেশনাল দিয়েছে তাদেরও যদি পয়েন্ট থাকে তবে তারাও প্রায় সব পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে চান্স নিতে পারতেছে। তাহলে এখানে ডিপ্লোমার ছাত্ররা কি দোষ করেছে যে তাদেরকে ডুয়েট ব্যতিত অন্য কোন ইউনিভার্সিটিতে এডমিশন পরীক্ষা দেওয়ারই সুযোগ দেওয়া হয় না ??
যাই হোক অনেক কথা বলে ফেললাম ,এখন যে ভাইয়ারা এবার এস.এস.সি দিয়েছেন তারা আশা করি এই পোস্ট থেকে বর্তমান ডিপ্লোমা সম্পর্কে একটা ধারনা পেয়েছেন ।
আর এই ব্লগ পোস্ট দেখে যদি কোন ভাইয়ের মনে কষ্ট লেগে থাকে তাহলে আমি তার কাছ থেকে মাফ চেয়ে নিচ্ছি।।
খোদা হাফেজ, সবাই ভালো থাকবেন।।

Thursday 16 April 2015

Protect GP From Their Unfair Policy

নরওয়ে ভিত্তিক একটি টেলিকম প্রতিষ্ঠান হল জিপি।যা বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত মোবাইল অপারেটর। এমনকি যে নরওয়ে এই কোম্পানির মালিক, তার জনসংখ্যার ও তুলনায় দশ গুণ। তাই এই বিপুল পরিমাণ জনসংখ্যার কথা চিন্তা করে জিপির পলিসি যেখানে আরো নমনীয় হওয়ার কথা,সেখানে এই মোবাইল পরিসেবা প্রতিষ্ঠান টি সেবার পরিবর্তে এদেশের মানুষের রক্ত দিন দিন চোষে খাচ্ছে।রাষ্ট্রের হাজার কোটি টাকার কর ফাকি দেওয়ার ইতিহাস ও কারো অজানা নয়।
বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৫ উপলক্ষে জিপি খেলা চলাকালীন সময়ে Twitter ফ্রি করে দেয়।এতে অনেক ইউজার ও বেড়ে যায়।কিন্তু খেলা শেষ হওয়ার পরপর ই ফ্রি Twitter অফ করে দেওয়া হয়।আমার ফেসবুক গ্রুপ EasToWest24 এ প্রচুর পোস্ট আসে (যদিও এডমিনদের পক্ষ থেকে পোস্টগুলো এপ্রুভাল হয় নি একই বিষয়ে গ্রুপ ভরপুর হয়ে যাবে বলে) কিভাবে আবার ফ্রি Twitter ইউজ করা যায়।তাই সবাইকে এয়ারটেল এ ফ্রি চালানোর কথা বলা হয়।যা এখন ও চলছে।তবে শুধুমমাত্র মোবাইল ইউজারদের জন্য।
তারপর আসা যাক ফ্রি ফেসবুক এর কথায়।জিপির তখন ও ৫ কোটি গ্রাহক পূর্ণ হয় নি।তাই টার্গেট পুরণ করতে খুব চতুরতার সাথে এফবি ফ্রি করে দেয়।আর আমাদের মত একদল তরুণ তা সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে প্রচার করতে থাকে।এতে করে জিপি নতুন সিম কিনার ধুম পরে যায়।সাথে সাথে যত অব্যবহৃত সিম ও ছিল কয়েক দিনের মধ্যে সব চালু হয়ে যায়।জিপির অফিসিয়ালি ফ্রি ফেসবুক প্রচার করার আগে তা বিদ্যুৎ বেগে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে।দেখলেন তো জিপির বিজনেস পলিসি।অল্প দিনেই টার্গেট পুরণ হয়ে যায়।এখন কি একটা বের করছে ৩০ মিনিট ফ্রি এফবি।তা ঢুকতে আর বের হতেই তো শেষ হয়ে যায়।তার চেয়ে বরং এয়ারটেল ই ভালো। পিসি তে ও ফ্রি চলে।সাথে এফবির ভিডিও গুলো  ও দেখা যায়।
ব্যবহারকারী দের ধরে রাখার জন্য ফ্রি ফেসবুক এর সাথে হোয়াটসঅ্যাপ ফ্রি করে দেওয়া হয়।তখন ও কলিং অপশন চালু হয় নি।তারপর ও লোকের উপচে পড়া কে রোখে? রাস্তা ঘাটে বের হলেই তরুণদের দেখা যায় মোবাইল হাতে সামাজিক মাধ্যমে ব্যস্ত। আমার এক আঙ্কেল, যে কিনা আগে আমাদের বলতো নেট এ তোরা সারাদিন কি কর?সে এখন কি রাত কি দিন নেট এ পড়ে থাকে।সামনে আসছে শুভদিন। জানি একটা শক খাবে!!! ১৯ তারিখ থেকে ফ্রি whatsapp বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।এয়ারটেল এ ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে।
তবে ২১ তারিখ থেকে internet.org এর মাধ্যমে এফবির প্রতিষ্ঠাতা জুকারবার্গ ফ্রি ইন্টারনেট সেবা সবার হাতে পৌছে দিতে বিশেষ উদ্দোগ নিয়েছে।এতে এফবি সহ আর কয়েকটি সরকারি সাইট ফ্রি ব্যবহার করা যাবে বলে জানানো হয়।তবে সারা দেশে কবে নাগাদ এ সেবা পাওয়া যাবে তার কোন বিশেষ উল্লেখ নেই।
জিপির কাস্টমারদের প্রতি অবহেলার  কথা বলে শেষ করা যাবে না। এরই মধ্যে ফেসবুক,টুইটার সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্রি হোয়াটসঅ্যাপ বহাল রাখার দাবিতে নেটিজেন রা ক্ষোভে ১০-১২ জিপি সিম বন্ধ করার আহবান জানিয়েছে। আপনি ও সবার সাথে আওয়াজ দিতে পারেন।সবাই 158 এ ফ্রি কল করেন আর কাস্টমার কেয়ারে তুফান ছুটান ।
সবাইকে একটা অনুরোধ। সবাই gpসিম দিয়ে ১৫৮ এই নম্বরে ফোন দিন এবং অনান্য অভিযোগ অপশন টি সিলেক্ট করুন। তার পর আপনাকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে জিপির কাষ্টমার কেয়ারের শালারা ফোন দিবে। সবাই একই অভিযোগ দিবেন সেটা হলো whatappsফ্রি চালাতে চাই। যদি ১লক্ষ কাষ্টমার একই অভিযোগ দেয় তবে whatapps ফ্রি করে দিবে। মেসেজটি সবাই শেয়ার করে বন্ধুদের ছড়িয়ে দিন। সবাই একই অভিযোগ দিলে জিপি শালায় হোয়াটএপস ফ্রি করে দিতে বাধ্য। 158 এ নম্বরটি সকল সিমের অভিযোগ দেওয়ার সার্ভিস নম্বর। এ নম্বরে ফোন দিন ফ্রি। কোন টাকা কাটবে না। মেসেজটি সকল গ্রুপে কপি করে ছড়িয়ে দিন। আমরা আবার ফ্রি হোয়াটএপস চাই।সবার আন্তরিক প্রচেষ্টায় জিপি তার ডিজুস ইউজারদের জন্য নাইট প্যাকেজ এক্টিভ রাখতে বাধ্য হয়েছিল।আমরা আবার ও তা প্রমাণ করব।
তরুণদের জয় হবেই হবে। নজরুল এর একটা বাণী দিয়ে শেষ করছি
"আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে,
তোমার ছেলে উঠলে মাগো রাত পোহাবে তবে।"

Tuesday 7 April 2015

থানকুনি,প্রকৃতির এক অশেষ নেয়ামত

বাংলা নাম থানকুনি । অঞ্চলভেদে এটি টুনিমানকুনি,টেয়া,মানকি, তিতুরা,থানকুনি, আদামনি, ঢোলামানি,থুলকুড়ি, মানামানি , ধূলাবেগুন,আদাগুনগুনি নামে পরিচিত । বহু রোগের ডাক্তার এই পাতাটির ইংরেজি নাম Indian Pennywort,ল্যাটিন নাম Centella asiatica,বৈজ্ঞানিক নাম Centella asiatica Urban এবং পরিবার Mackinlayaceae । স্বাদটা একটু তিতকুটে, তবে কার্যকরণ বেশ উপকারী। অসংখ্য রোগের উপশম মেলে এই থানকুনি পাতা খেলে।
চটজলদি রোগ নিরাময়ের জন্য আমরা অনেকেই অ্যালোপ্যাথির দ্বারস্থ হয়ে যাই। কষ্ট লাঘবে তখন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়টা মাথায় থাকে না। বিশেষ করে টাইফয়েড ডায়রিয়া,কলেরার মতো পেটের রোগে অ্যান্টিবায়োটিকও চলে আকছার। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াযুক্ত ওই সব ওষুধগুলির দামও অনেক সময় নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে হয়ে যায়।অথচ আমাদের হাতের কাছেই কিছু ভেষজ গাছ রয়েছে ,যেগুলি অত্যন্ত অল্প দামে বা একটু খুঁজলে বিনামূল্যেও পাওয়া যায়,আমরা জানি না।অনেক সময় জেনেও,বিশ্বাস হয় না। তেমনই একটি ভেষজ উদ্ভিদ হল থানকুনি।থানকুনি আমাদের অতিপরিচিত পাতা।পুকুরপাড় বা জলাশয়ে হামেশাই

দেখা মেলে। কথায় বলে , পেট ভালো থাকলে মনও ফুরফুরে থাকে।চিকিত্সকরাই বলছেন, থানকুনি পাতার এমন ভেষজ গুণ রয়েছে , মিয়মিত খেতে পারলে,পেটের অসুখে কোনও দিনও ভুগতে হবে না।শরীর- স্বাস্থ্য তো সতেজ থাকেই , ছোট থেকে খাওয়াতে পারলে বুদ্ধিরও বিকাশ হয়।
দেখে নেওয়া যাক, থানকুনি পাতার ভেষজ গুণগুলি :

১. পেটের রোগ নির্মূল করতে থানকুনির বিকল্প নেই। নিয়মিত খেলে যে কোনও পেটের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। একই সঙ্গে পেট নিয়ে কোনও দিনও সমস্যায় ভুগতে হয় না।

২. শুধু পেটই নয় , আলসার, এগজিমা ,হাঁপানি - সহ নানা চর্মরোগ সেরে যায় থানকুনি পাতা খেলে। ত্বকেও জেল্লা বাড়ে।

৩ . থানকুনি পাতায় থাকে Bacoside A ও B। Bacoside B মস্তিষ্কের কোষ গঠনে সাহায্য করে ও রক্ত চলাচল বাড়ায়। থানকুনি পাতা নিয়মিত খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।

৪ . থানকুনি স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে।

৫ . মৃতকোষের ফলে চামড়ায় অনেক সময়ই শুষ্ক ছাল ওঠে। রুক্ষ হয়ে যায়।থানকুনি পাতার রস মৃতকোষগুলিকে পুনর্গঠন করে ত্বক মসৃণ করে দেয়।

৬ . পুরনো ক্ষত কোনও ওষুধেই না সারলে,থানকুনি পাতা সিদ্ধ করে তার জল লাগালে সেরে যায়। সদ্য ক্ষতে থানকুনি পাতা বেটে লাগালে , ক্ষত নিরাময় হয়ে যায়।

৭. থানকুনি পাতা চুল পড়া আটকে দেয়। এমনকি নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।

৮. বয়স বাড়লেও, যৌবন ধরে রেখে দেয় থানকুনি পাতার রস। প্রতিদিন একগ্লাস দুধে ৫ - ৬ চা চামচ থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে খেলে, চেহারায় লাবণ্য চলে আসে। আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যায়।

৯. দাঁতের রোগ সারাতেও থানকুনির জুড়ি মেলা ভার। মাড়ি থেকে রক্ত পড়লে বা দাঁতে ব্যথা করলে একটা বড় বাটিতে থানকুনি পাতা সিদ্ধ করে , তারপর ছেঁকে নিয়ে সেই জল দিয়ে কুলকুচি করলে উপকার পাওয়া যায় চটজলদি।

১০. থানকুনি পাতা বেটে ঘিয়ের সঙ্গে জ্বাল দিয়ে ঠাণ্ডা করে তা ক্ষত স্থানে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।

১১.অপুষ্টির অভাবে, ভিটামিনের অভাবে চুল পড়লে পুষ্টিকর ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবারের

পাশাপাশি ৫-৬ চা চামচ থানকুনি পাতার রস দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে।

১২. মলের সঙ্গে শ্লেষ্মা গেলে, মল পরিষ্কারভাবে না হলে, পেটে গ্যাস হলে,কোনো কোনো সময় মাথা ধরা এসব ক্ষেত্রে ৩-৪ চা চামচ থানকুনি পাতার গরম রস ও সমপরিমাণ গরুর কাঁচা দুধ মিশিয়ে খেতে হবে। নিয়মিত খেলে উপকার পাবেন।

১৩. মনে না থাকলে আধা কাপ দুধ, ২-৩ তোলা থানকুনি পাতার রস ও এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেতে হবে।

১৪.ঠাণ্ডায় নাক বন্ধ হলে, সর্দি হলে থানকুনির শিকড় ও ডাঁটার মিহি গুঁড়ার নস্যি নিলে উপকার পাওয়া যায়।
[[উল্লেখ্য: ছোট্ট এই উদ্ভিদটি বাড়ির ছাদে কিংবা বারান্দায় টবেও চাষ করা যায়।]]

Saturday 4 April 2015

ওজন কমাবে সঠিক ডায়েট প্লান আর সচেতনতা

আমার মত যারা শরীরের অতিরিক্ত ওজন ভয় পান,তারা পোস্ট টি একটু দেখে নিতে পারেন। আর যাদের হাতে এখন সময় নাই,তারা পোস্ট টি শেয়ার করে ফেসবুক টাইমলাইন এ রেখে দেন।
আধুনিকতার এই যুগে নানা কারণেই বাড়ছে আমাদের শরীরের ওজন। কি নারী আর কি পুরুষ কেউই রেহাই পাচ্ছেন না এ থেকে। তার জন্য কেউ বা ছুটছেন জিমে আবার কেউ বা করছেন ডায়েটিং তার সাথে আরো যে কত্তো আয়োজন! কিন্তু মাথার উপর
খাঁড়ার মতো ঝুলছে লক্ষ্যপূরণের চাপ। সময় কোথায় এত কিছু মেইনটেন করার? এ দিকে আবার আমাদের স্লিম বডি চাই। তাই কম সময়ে স্লিম-ট্রিম হওয়ার কিছু পন্থা রইল আপনাদের জন্য।মোটা দেহ নিয়ে কারো চোখে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তোলা যায় না।মানুষ মোটা হয় শর্করা ও স্নেহজাতীয় পদার্থের ফলে।প্রতিদিন স্বাভাবিকের
চেয়ে ৫০০ ক্যালরি খাবার কম খেলে প্রায় ১ পাউন্ড ওজন কমানো যায়।ক্যালরি কম গ্রহণ করলে দেহাভ্যন্তরে বাড়তি মেদ ভেঙে গিয়ে দেহকে বাড়তি ক্যালরি জোগান দেয়।
সাধারণত একজন প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে প্রতিদিন ১০০০ ক্যালরি খাবার গ্রহণ করে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।মহিলাদের ক্ষেত্রে কোমরের মাপ ৮০ সেন্টিমিটার বা ৩১.৫ ইঞ্চি পর্যন্ত স্বাভাবিক ধরা যেতে পারে। তবে মহিলাদের কোমরের মাপ ৮৮ সেন্টিমিটার বা ৩৪.৬ ইঞ্চি থেকে বেশি হলে অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে।ডায়েটিং করলেই মেদ কমানো যায় না।খাবারের মধ্যে কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট জাতীয় জিনিস না খেয়ে বেশি করে প্রোটিন জাতীয় খাবার খাবেন। প্রচুর পানি, শাকসবজি ও ফলমুল বেশি করে খাবেন।সুস্থ জীবনযাপনে ওজন এক বিশেষ শত্রু। একবার দেহের ওজন বৃদ্ধি পেলে সহজেই তা কমানো যায় না।ওজন কমাতে আপনার নিজের ব্যাপার নিয়ে নিজেই দায়িত্ব নিতে হবে। কিন্তু তাই বলে নিতান্তই একা নন। আপনি মানসিক জোর পেতে পারেন আপনার সঙ্গীর কাছ থেকে, বন্ধুদের কাছ থেকে। এমন মানুষ নির্বাচন করুন যে কিনা আপনাকে মূল্য দেবে এবং আপনার কথা শুনবে। আপনার শরীর চর্চার সময় আপনাকে সঙ্গ দেবে। ওজন কমানোর জন্য আগে জানতে হবে আপনার আদর্শ ওজন কত, আদর্শ ওজনের চেয়ে কত বেশি আছে, কোন শারীরিক সমস্যা আছে কিনা, এই বিষয়গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে তারপর ওজন নিয়ন্ত্রণে মনোযোগী হতে হবে। ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আপনার একান্ত আগ্রহ আর মোটিভেশন ।রাতে ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ২ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিন। প্রতিবেলা খাবার আগে অবশ্যই এক গ্লাস পানি পান করুন ।ক্ষুধা না পেলে কখনই খাবনে না।সপ্তাহে অন্তত একদিন নিজের ওজন মাপুন।ফোনে কথা বলার সময় হাটুন ।সুস্থ্ থাকতে এবং ওজন কমানোর জন্য বেশি খাওয়া বন্ধ করতে হবে।অল্প তেলে রান্না করার অ্ভ্যাস গড়ে তুলুন।ঝোল করে তরকারি রান্না করুন, এতে তেল কম লাগে। ১ চা চামচ কম তেলে রান্না করলে আমরা ১২৪ ক্যালোরি সেভ করতে পারি ।অতিরিক্ত লবণ খাওয়া পরিহার করতে হবে। কারণ, লবণ শরীরের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।পেটের মেদ এর সাথে হার্টের সমস্যা থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস ও অন্যান্য সমস্যার জোরালো সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়।পেটের মেদ কমাতে হলে প্রয়োজন পুরো শারীরিক ব্যায়াম।৪০ থেকে ৪৫ মিনিট হালকা জগিং বা জোরে হাটার পর রক্তে চলমান ফ্যাট শেষ হয়ে দেহে সঞ্চিত ফ্যাট ভাঙতে থাকে। তাই এই ৪০ বা ৪৫ মিনিটের পর আপনি যদি ১০ বা ১৫ মিনিট ও জগিং বা জোরে হাঁটতে পারেন, তাহলেই প্রতিদিন একটু একটু করে আপনার জমান চর্বি কমতে থাকবে।পেটে, নিতম্বে, কোমরে ফ্যাট সেল বেশি থাকে ;বংশগত কারণেও মানুষ মোটা হতে পারে। ‘ওব জিন’ নামের এক ধরনের জিন থাকে ফ্যাট সেলের মধ্যে।এগুলো ল্যাপটিন নামের এক রকম হরমোন তৈরি করে। আবার যাদের দেহে ব্রাউন এডিপোজ টিস্যু বেশি থাকে তারা মোটা হয় না ।কোমরে আর পেটে চর্বি জমাতে যেমন সহজ। ঠিক ততটাই কঠিন সেই চর্বি কমিয়ে ফেলা। কিন্তু কিছু ভালো অভ্যাস ও সাধারণ কিছু ব্যায়াম ধৈর্যের সাথে চালিয়ে গেলে একদিকে বাড়তি মেদ যেমন ঝরবে অন্যদিকে শরীরটা মুটিয়ে যাবার ভয়টাও কমে আসবে অনেকাংশেই। ওজন কমানোর মুল মন্ত্র হল মটিভেসন ও একাগ্রতা।শুধু
ব্যায়াম করলেই অনেক সময় মেদ কমে না, এর জন্য আপনাকে খাবার গ্রহণে সতর্ক হতে হবে।খাবারে প্রচুর পরিমানে আঁশ জাতীয় খাদ্য যেমন শাক সবজি রাখুন। চর্বি জাতিয় খাবার কম খান।ফাস্ট ফুড খাওয়া বন্ধ করতে হবে।নিয়ম মেনে পরিমিত ব্যায়াম করে গেলে ও খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করলে পেটের মেদই শুধু নয়, সারা দেহের মেদ কমিয়ে কাঙ্ক্ষিত ফিগার পেতে পারি।
বাড়তি ওজনের জন্য যেকোনো ধরনের হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।মেদবহুল ব্যক্তির জরায়ু, প্রস্টেট ও কোলন ক্যান্সারের সম্ভাবনা শতকরা ৫ ভাগ বেশি।আজকাল অপারেশনের সাহায্যেও ভুঁড়ি কিংবা মেদ কমানো হচ্ছে।মেদ বা ভুঁড়ি কোনোভাবেই সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ নয় বরং নানা অসুখের কারণ- একথা মনে রাখবেন।আমিষ বা প্রোটিন খেলে শরীরে জমে থাকা চর্বি কমে যায়। কারণ এই চর্বি শরীরকে শক্তি বা ক্যালরির যোগান দেয়।স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ রান্না মাংস খেলে আমিষের ঘাটতি কেটে যায় এবং মেদও কমে, সামুদ্রিক মাছও হতে পারে আমিষের ভালো উৎস। এ ধরনের মাছে উপকারি চর্বি ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড রয়েছে। মাছ মেদ কমায়,বিষন্নতা দূর করে,হৃদস্বাস্থ্য ভালো রাখে।খাবার সঙ্গে চা পান করা চর্বির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আরেক উপায়।সারা দিনে অন্তত দুই লিটার পানি পান করবেন। এর ফলে আপনার বাড়তি ১০০ ক্যালরি খরচ হবে। অতিরিক্ত ঘুম,মানসিক চাপ, স্টেরয়েড এবং অন্য নানা ধরনের ওষুধ গ্রহণের ফলেও ওজন বাড়তে পারে ।নিয়মিত হাঁটা সবচেয়ে ভালো ব্যায়াম। প্রতিদিন নিয়ম করে ১ ঘণ্টা হাঁটতে পারলে খুবই ভালো। সাইকেল চালানো ও সাঁতার কাটাও খুব ভালো ব্যায়াম।ভুঁড়ি কমাতে কিছু আসনের সাহায্য নেয়া যেতে পারে। এগুলোর মধ্যে ত্রিকোণ আসন,একপদ উত্থান আসন, পবন মুক্তাসন, পশ্চিমোত্থানাসন খুবই কার্যকর।কাঁচা পেঁপে, শশা, গাজর, লেটুস বা ধনিয়া পাতার সালাদ ওজন কমাতে রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। পেঁপে যুদ্ধ করে দেহের বাড়তি মেদের বিরুদ্ধে। অতিরিক্ত ওজনের কারনে পায়ে ব্যথা হয় । ওজন কমানোর জন্য আপনার থাকতে হবে- ১০০% ইচ্ছা শক্তি,ধৈর্য্য , ১০০% ডায়েট চার্ট মেনে চলা,প্রতিদিন নিয়ম করে ১ ঘন্টা হাঁটা। অভিনেত্রী মৌ ২০ কেজি ওজন কমিয়েছেন এবং গায়ক আদনান সামী ওজন কমিয়ে দেখিয়েছেন ।হেঁটে যতটুকু ক্যালরি খরচ হলো ঠিক ততটুকু বা তার বেশি ক্যালরি গ্রহণ করা হলে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে হাঁটাই বৃথা।আপনার ওজন কমানোর প্রধান হাতিয়ার হিসেবে প্রচুর পানি পান করুন।অনেকেই ওজন কমাতে চান। কিন্তু কোনো কষ্ট করতে রাজি না।
বাঁধাকপিকে ওজন কমানোর আরেকটি কার্যকর উপায় হিসেবে ধরা হয়। বাঁধাকপি মিষ্টি ও শর্করাজাতীয় খাবারকে চর্বিতে রূপান্তর করতে বাধা দেয়। এ জন্য বাঁধাকপি খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখে ওজন কমাতে।এটিকে কাঁচা অথবা রান্না করেও খাওয়া যায়।আগে যেখানে তিনটি রুটি খেতেন,সেখানে দুটি খান। ভাতের ক্ষেত্রেও তাই।
ধীরে ধীরে ভাতের পরিমাণও কমিয়ে আনতে পারেন।যেটুকু খাবার কমিয়ে দিচ্ছেন,সেই জায়গাটা ফলমূল ও সবুজ সবজি দিয়ে পূরণ করুন।গাজর, টমেটো, কাঁচা-পাকা পেঁপে,শসা রাখতে পারেন খাদ্যতালিকায়। রিকশার পথটুকু হেঁটে যান, আর ফেরার পথে বিকেলের বাতাস খেতে খেতে হেঁটে আসুন বাসায়। ওজন কমানো এ আর এমন কঠিন কী!
প্রতিদিন এই ব্যায়াম করুন- চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাত দুটো সোজা কানের দুই পাশ ঘেসে মাথার উপরে মাটিতে শোয়ানো থাকবে,পা মাটিতে শোয়ানো থাকবে। শ্বাস নিতে নিতে উঠে বসুন (উঠার সময় কনুই দিয়ে মাটিতে ভর দিবেন না, হাত কানের পাশ দিয়ে মাথার উপর উঠানো থাকবে) এবং দুই হাত একসাথে মাথার উপর থেকে নামিয়ে শরীরের দুই পাশ দিয়ে সামনে হাত বাড়ানো অবস্থায় বসুন।এবার শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পায়ের আঙ্গুল ছুতে চেষ্টা করুন। যতটুকু পারুন পায়ের আঙ্গুলের দিকে আগান (প্রথম প্রথম পেটের মেদের কারণে আঙ্গুল ছুতে পারবেন না, মেদ কমে গেলে এরপর পারবেন), এরপর থেমে শ্বাস নিতে নিতে আবার শরীর ঝুকানো অবস্থা থেকে সোজা বসে থাকা অবস্থায় ফিরে যান।এরপর শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে আগের মত করে শুয়ে পড়ুন। এভাবে ১০ বার করুন।মিষ্টি জাতীয় খাবার বাদ। ফাস্ট ফুড,অয়েলি খাবার বাদ। রিচ ফুড/পোলাও/বিরানী এইসব বাদ।দুপুর ২ টায় লাঞ্চ।ভাত ২ কাপ। শাক ১.৫ কাপ।মুরগী বা মাছ ২ টুকরা।ডাল ১ কাপ। মিক্সড ভেজিটেবল ১ কাপ। সালাদ ১.৫ কাপ (লেবুসহ)। মধুতে যদিও চিনি থাকে, কিন্তু এতে ভিটামিন ও মিনারেল থাকার কারণে এটি সাধারণ চিনির মত ওজন না বাড়িয়ে, কমায় ।কারণ সাধারণ চিনি হজম করতে আমাদের শরীর নিজের থেকে ভিটামিন ও মিনারেল খরচ করে, ফলে এই সব পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি হয়। এই সব উপাদান ফ্যাট ও cholesterol কমাতে বা ভাঙ্গতে সাহায্য করে। লেবু ওজন কমাতে সাহায্য করে। ১০০% মেনে চলা মুশকিল,এটা আমিও বুঝি কিন্তু পারতে হবে।অনেকে টিভি দেখতে দেখতে বাড়তি খাবার খেতে পছন্দ করে। তবে ওজন কমাতে চাইলে এই অভ্যেস বাদ দিতে হবে।রাতে খাওয়া ছেড়ে দেন অনেকেই। রাতে একদম না খেয়ে থাকা স্বাস্থ্যের জন্য খুব ক্ষতিকর। রাতের খাবার খেয়ে একটু হাঁটাচলা করুন, তারপর ঘুমাতে যান। দুপুরে ভরপেট খেয়ে ঘুম দিলে কিন্তু সর্বনাশ। ওজন:কমাতে চাইলে দুপুরের আরামের ঘুমটির কথা একদম ভুলে যান।
আসুন না দেখি একটু সচেতন হয়ে, কিছু কৌশলের মাধ্যমে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত ওজনের সাফল্যে পৌঁছাতে পারি কি না?নিয়মগুলো মেনে চলতে শুরু করেই দেখুন। কিছুদিনের মধ্যেই শরীর অনেক বেশি ফুরফুরে অনুভব করবেন। আর ওজন কমানো তো সময়ের ব্যাপার মাত্র।খুবই সাধারণ ও উপকারী এই নিয়মগুলো মেনে চলুন আর ফলাফল নিজেই উপলব্ধি করুণ।

চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল এর পুষ্টিবিদ মোস্তফা আল মামুন এর কাছ থেকে পোস্ট টি সংগৃহীত।

Thursday 2 April 2015

বাংলা কে তুলে ধরি বিশ্ববাসির কাছে

কয়েক দিন আগের কথা ,মানে ২৬ শে মার্চ উপলক্ষে  যখন Google translate এ বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ করার লক্ষে দেশ ব্যাপী প্রচারণা চালানো হয়,তখন আশাতীত ভাবে বাঙ্গালিরা সারা দেয়। Google Translate এ আমাদের প্রিয় মাতৃভাষা বাংলার জন্য দেশ-বিদেশ এর অনলাইন এক্টিভিস্টরা মাঠে নেমে যায় এবং কাজ শুরু করে দেয়।৪ লক্ষ শব্দ যোগ করার প্রত্যয় নিয়ে রাত- দিন সবাই নিরলস কাজ করে যায়।প্রত্যাশা ছিল একটাই, " ভাষা শহীদদের পবিত্র রক্তদান বৃথা যাবে না।২৬ শে মার্চ ৪ লক্ষ নতুন শব্দ দুনিয়ার জায়ান্ট সার্চ ইঞ্জিন গুগল ট্রান্সলেট এ যুক্ত হবেই হবে"। হ্যা,আমরা কিন্তু টিক ই করে দেখিয়েছি।। তবে আমরা আমাদের টার্গেটের চেয়েও বেশি শব্দ যুক্ত করে জগতবাসী কে দেখিয়ে দিয়েছি বাঙ্গালিরা অতীতেও ভাষার জন্য লড়েছে, এবং বর্তমানে ও লড়ে যাচ্ছে।খুব আনন্দ লাগছিল তখন, যখন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াগুলোতে দেখতে পেলাম "৭ লক্ষ বাংলা শব্দ গুগল ট্রান্সলেট এ" এই শিরোনাম টি ।ভাষার জন্য আমাদের কাজ কিন্তু এখনো শেষ হয়ে যায়নি। এখন সময় এসেছে Wikipedia কে বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য সমৃদ্ধ করে তোলার। wikitionary তে ঢুকলে তো আমার মনটা একদম খারাপ হয়ে যায়,যখন দেখি আমাদের শব্দ ভাণ্ডারে মাত্র ১১৩৫ শব্দ।বাকি সহ-সাইট((উইকিবই,উইকিউৎস,উইকিখবর,উইকিউৎস,উইকিউক্তি,উইকিভ্রমণ,উইকিকমন্স,উইকিলিংক ইত্যাদি))  গুলোর কথা না হয় বাদ দিলাম। উইকির এই চৌদ্দতম বছরে আমাদের এশিয়ান দেশগুলো অনেক এগিয়ে গেছে।তাই সবার কাছে একটাই অনুরোধ,আসুন উইকির উন্নয়নে আমরা ও অংশীদার হই,এবং সাধ্যমত অবদান রাখি।এখন প্রায় সব অপারেটর রা উইকিপিডিয়া কে ফ্রি করে দিছে।কিছুদিন আগে যেখানে শুধুমাত্র জিরো উইকি ফ্রি ছিল।এটাতে অনেক ইউজার এর অসুবিধা হত তাই আমরা উইকিপিডিয়া নিয়ে তেমন কোনো পোস্ট করি নি।এখন যেহেতু পিসি তে ও ফ্রি Wikipedia ইউজ করা যাচ্ছে,তাই আবারো অনুরোধ করব একটু হলেও বাংলা ভাষার জন্য অবদান রাখেন। সবাই অনেক ভালো থাকবেন এই শুভ কামনায় শেষ করছি।।

Tuesday 28 April 2015

সাত দিন ছাড়া ও যেসব দিন রয়েছে

Day এর প্রকারভেদ :
Memorable day স্মরণীয় দিন
Carry the day- জয়লাভ করা
Day to day -দিনদিন
Gala day উত্সবের দিন
Rag day-graduation সমাপনী দিন
Hot day -দুর্দিন
hectic day- ব্যস্ত দিন
One Day Or Other – কোনো না কোনো
একদিন,
Today – আজ,
Day Care – দিবাকালীন তত্ত্বাবধান,
Day Time – দিনের বেলা,
Day Break – প্রভাত,
Tomorrow – আগামীকাল,
Yesterday – গতকাল
To This Day – আজ পর্যন্ত ।
Day After Tomorrow – আগামী পরশু,
Day Before Yesterday – গত পরশু,
Only The Other Day – এইতো সেদিন,
The Other Day – সেদিন,
Every Other Day – একদিন পরপর,
Every Third Day – তিনদিন পরপর,
The Very Day – সেই দিনেই,
Next To Next Friday – আগামী শুক্রবারের পরের শুক্রবার ।

Friday 24 April 2015

বাংলা ও ইংরেজি ভাষার গুরুত্বপূর্ণ প্রবাদবাক্য

যে সকল ইংরেজি প্রবাদ বা উপদেশ বাক্য আমরা প্রাত্যহিক জীবনে ব্যবহার করি,যেসব প্রবাদবাক্য আমাদের পরীক্ষায় বিভিন্ন সময় আসে,তার
কিছুটা নিচে তুলে ধরা হল।আসা করি আপনাদের কাজে আসবে :
1. অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ। ⇨Too much courtesy, too much craft.
2. অতি চালাকের গলায় দরি। ⇨Too much cunning over reaches itself.
3. অতি লোভে তাঁতী নষ্ট। ⇨ Grasp all, lose all.
4. অতি দর্পে হত লঙ্কা। ⇨ Pride goes before a fall.
5. অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী। ⇨A little learning is a dangerous thing.
6. অভাবে স্বভাব নষ্ট। ⇨ Necessity knows no law.
7. অসারের তর্জন গর্জন সার। ⇨Empty vessels sound much.
8. অধিক সন্ন্যাসীতে গাজন নষ্ট। ⇨ Too many cooks spoil the broth.
9. আপনা ভাল তো জগৎ ভালো। ⇨ To the pure all things are pure.
10. আপনি বাঁচলে বাপের নাম। ⇨ Self-preservation is the first law of nature.
11. আয় বুঝে ব্যয় কর। ⇨ Cut your coat according to your cloth.
12. ই‛ছা থাকলে উপায় হয়। ⇨ Where there is a will, there is a way.
13. উঠন্ত মূলো পত্তনেই চেনা যায়। ⇨ Morning shows the day.
14. উদোর পিন্ডি বুদোর ঘাড়ে। ⇨ One doth the scathe, another hath the scorn.
15. উলুবনে মুক্তা ছড়ানো / বানরের গলায় মুক্তার হার। ⇨ To cast pearls before swine.
16. এক ঢিলে দুই পাখি মারা / রথ দেখা কলা বেচা। ⇨ To kill two birds with one stone.
17. এক মুখে দুই কথা। ⇨ To blow hot and cold in the same breath.
18. এক হাতে তালি বাজে না। ⇨ It takes two to make a quarrel.
19. এক মাঘে শীত যায় না। ⇨ One swallow does not make a summer.
20. কষ্ট না করলে কেষ্ট মেলে না / দুঃখ বিনা সুখ লাভ হয় কি মহীতে? ⇨ No pains, no gains.
21. কয়লা ধুইলে ময়লা যায় না। ⇨ Black will take no other hue.
22. কাঁচায় না নোয়ালে বাঁশ, পাকলে করে ঠাস ঠাস। ⇨ Strike the iron while it is hot.
23. কাঁটা দিয়ে কাঁটা তোলা। ⇨ To set a thief to catch a thief.
24. কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা / মরার উপর খাড়ার ঘা। ⇨ To add insult to injury.
25. কারো পৌষ মাস, কারো সর্বনাশ। ⇨ What is sports to the cat is death to the rat. OR , Nero fiddles while Rome burns. OR, Some have the hop, some stick in the gap.
26. গরূ মেরে জুতো দান। ⇨ To rob Peter to pay Paul.
27. গতস্য শোচনা নাসিত্ম। ⇨ Let bygones,be bygones.
28. গাছে কাঁঠাল গোঁফে তেল। ⇨ To count chickens before they are hatched.
29. গায়ে মানে না আপনি মোড়ল। ⇨ A fool to others,himself a sage.
30. গাইতে গাইতে গায়েন,বাজাইতে বাজাইতে বায়েন। ⇨ Practice makes a man perfect.
31. ঘরপোড়া গরূ সিঁদুরে মেঘ দেখলে ভয় পায়। ⇨ A burnt child dreads the fire.
32. চাচা আপন প্রাণ বাঁচা। ⇨ Every man for himself.OR, Physician heals thyself.
33. চোরে না শুনে ধমের্র কাহিনী। ⇨ A rogue is deaf to all good.
34. চোরে চোরে মাসতুতো ভাই। ⇨ Birds of the same feather flock together.
35. চোর পালালে বুদ্ধি বাড়ে। ⇨ To lock the stable-door when the steed is stolen. OR After death comes the doctor.
36. চালুন বলে ছুঁচ তোমার পিছনে একটা ছ্যাঁদা। ⇨ The pot calls the cattle black.
37. ছেঁড়া চাটাইয়ে শুয়ে লাখ টাকার স্বপ্ন দেখা। ⇨ To build castle in the air.
38. জোর যার মুলুক তার। ⇨ Might is right.
39. জলন্ত আগুনে ঘৃতাহুতি। ⇨ To add fuel to the fire.
40. ঝোপ বুঝে কোপ মারা।⇨ Make hay while the sun shines.
41. ঢিলটি মারলে পাটকেলটি খেতে হয় / যেমন বুনো ওল, তেমন বাঘা তেঁতুল। / যেমন কুকুর, তেমন মুগুড়।⇨ Tit for tat.
42. তেলা মাথায় তেল দেয়া। ⇨To carry coal to Newcastle.
43. তিলকে তাল করা। ⇨ To make a mountain out of a mole hill.
44. দশের লাঠি একের বোঝা / রাই কুঁড়িয়ে বেল।
⇨ Many a pickle ( OR, little) makes a mickle.
45. দাঁত থাকতে দাঁতের মর্যাদা বোঝা যায় না। ⇨ Blessings are not valued till they are gone.
46. দুষ্ট গরূর চেয়ে শূন্য গোয়াল ভালো। ⇨ Better an empty house than a bad (OR, an ill) tenant.
47. ধরি মাছ না ছুঁই পানি। ⇨ A cat loves fish but is loath to wet her feet.
48. নাই মামার চেয়ে কানা মামা ভালো। ⇨ Something is better than nothing.
49. নাচতে না জানলে উঠান বাঁকা। ⇨ A bad workman quarrels with his tools.
50. নানা মুনির নানা মত। ⇨ Many men, many minds.
51. নিজের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করা। ⇨ To cut off one’s nose to spite one’s face.
52. পরের মন্দ করতে গেলে নিজের মন্দ আগে ফলে। ⇨ Harm hatch, harm catch.
53. পাননা তাই খাননা / আঙ্গুর ফল টক। ⇨ The grapes are sour.
54. পাপের ধন প্রায়শ্চিত্তে যায়। ⇨ Ill got ill spent.
55. পেটে খেলে পিঠে সয়। ⇨ Give me roast meat and beat me with the spit.
56. বিনা মেঘে বজ্রপাত। ⇨ A bolt from the blue.
57. বসতে পেলে শুতে চায়। ⇨ Give him an inch, and he will take an ell.
58. বজ্র আঁটুনি ফস্কা গিরো। ⇨ The more laws, the more offenders.
59. বামুন গেলো ঘর তো লাঙ্গল তুলে ধর। ⇨ When the cat is away, the mice will play.
60. সে বরের ঘরের মাসী কনের ঘরের পিসী। ⇨ He runs with the hare and hunts with the hound.
61. ভিক্ষার চাল কাঁড়া আর আকাঁড়া। ⇨ Beggars must not be choosers.
62. ভাত খায় ফ্যান দিয়ে গপ্প মারে দই। ⇨ Great boast, small roast.
63. ভাগের মা গঙ্গা পায় না। ⇨ Everybody’s business is nobody’s business.
64. পানিতে কুমির,ডাঙ্গায় বাঘ। ⇨ Between the devil and the deep sea. OR, Between Scylla and Charybdis.
65. মানুষ ভাবে এক হয় আর এক। ⇨ Man proposes but God disposes.
66. মারিত গন্ডার, লুটিত ভান্ডার। ⇨ Pitch your aims high.
67. মিষ্টি কথায় চিঁড়ে ভিজে না। ⇨ Fine (OR, Fair) words butter no parsnips. OR, Wishes never fill the bag.
68. মশা মাড়তে কামান দাগা। ⇨ To break a butterfly upon a wheel.
69. মরার উপর খাঁড়ার ঘা। ⇨ To pour water on a drowned mouse. OR, To slay the slain.
70. মরা হাতি লাখ টাকা। ⇨ The very ruins of greatness are great.
71. মুনীনাঞ্চ মতিভ্রমঃ / ভুল করা মানুষের স্বভাব। ⇨ To err is human. OR,Good Homer sometimes nods.
72. হাতি ঘোড়া গেলো তল,গাধা বলে কতো জল। ⇨ Fools rush in where angels fear to tread.
73. যেমন কর্ম তেমন ফল।⇨ As you sow,so you reap. OR,Like father like son.
74. যেখানে বাঘের ভয় সেখানেই সন্ধ্যা হয়। ⇨ Dangers often come where danger is feared.
75. যাকে রাখো সেই রাখে। ⇨ Keep the shop, and the shop will keep thee.
76. যারে দেখতে নারি, তার চলন বাঁকা।⇨ Faults are thick where love is thin
77. যার জ্বালা সেই জানে।⇨ The wearer best knows where the shoe pinches.
78. যতো পায়, ততো চায়। ⇨ The more man gets, the more he wants.
79. শেষ রক্ষাই রক্ষা / শেষ ভালো যার,সব ভালো তার। ⇨ All’s well that ends well.
80. সবুরে মেওয়া ফলে। ⇨ Patience is bitter, but its fruit is sweet.

Thursday 23 April 2015

বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিকগণের ১ম প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ সমূহ

যেসব কবি সাহিত্যিকগণ তাদের মননশীল রচনাবলী দ্বারা বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন, তুলে ধরেছেন বিশ্ব দরবারে,চলুন তাদের ১ম রচনাবলী দেখে নেয়া যাক:
* কাজী নজরুল ইসলামঃ অগ্নিবীণা
* শামসুর রাহমানঃ প্রথম গান দ্বিতীয় মৃত্যুর আগে ।
* ফররুখ আহমদঃ সাত সাগরের মাঝি
* মাইকেল মধুসূদন দত্তঃ The Captive Lady
* রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরঃ কবি কাহিনী
* জসীম উদদীনঃ রাখালী
* কায়কোবাদঃ বিরহ বিলাপ
* কামিনী রায়ঃ আলো ও ছায়া
* জীবনানন্দ দাশঃ ঝরা পালক
* আহসান হাবীবঃ রাত্রিশেষ
* শওকত ওসমানঃ জননী
* আল মাহমুদঃ লোক লোকান্তর
* হাসান হাফিজুর রহমানঃ বিমুখ প্রান্তর
* আবদুল কাদিরঃ দিলরুবা
* ইসমাইল হোসেন সিরাজীঃ অনল প্রবাহ
* সত্যেন্দ্রনাথ দত্তঃ প্রথমা
* রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেনঃ মতিচুর
ডিপ্লোমা, ভার্সিটি কোচিং, বিসিএস কিংবা যেকোনো ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিতে আমাদের সাথেই থাকুন।

Saturday 18 April 2015

ডিপ্লোমায় ভর্তি হবেন,দেখে নেন A-Z

চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এ তুলনামূলক কম সময়ে কোর্স সমাপ্তি আর কোর্স শেষে ন্যূনতম চাকরির নিশ্চয়তা।সব মিলিয়ে তাই ডিপ্লোমা প্রকৌশলের চাহিদা হালের শিক্ষার্থীদের কাছে সবচেয়ে বেশি।
চার বছর মেয়াদি এই কোর্সে ভর্তি হতে হয় এসএসসির পর। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতায় পরিচালিত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে বিভিন্ন জেলা শহরে অবস্থিত ৪৯ টি সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাড়াও ইনস্টিটিউট অব গ্লাস অ্যান্ড সিরামিক, গ্রাফিক আর্টস ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ সার্ভে ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়।
★ভর্তির যোগ্যতা:
চার বছর মেয়াদি এই কোর্সগুলোয় আবেদন করতে হলে সাধারণ গণিত অথবা উচ্চতর গণিতে কমপক্ষে জিপিএ-৩ সহ প্রার্থীকে অবশ্যই এসএসসি পাস হতে হবে ন্যূনতম জিপিএ-৩.৫ পেয়ে।২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিতথ্য অনুযায়ী এই কারিগরি প্রতিষ্ঠানগুলোয় আবেদন করতে পারেন চলতি বছর বাদেও পূর্ববর্তী দুই বছরে এসএসসি বা সমমান পাস করা শিক্ষার্থীরা।
যেসব বিষয়ে ভর্তি হতে পারবেন :
আর্কিটেকচার, অটোমোবাইল,কেমিক্যাল, সিভিল, সিভিল (উড),কম্পিউটার, ইলেকট্রিক্যাল,ইলেকট্রনিকস, ফুড, পাওয়ার,মেকানিক্যাল, প্রিন্টিং,গ্রাফিক ডিজাইন, গ্লাস,সিরামিক, ইলেকট্রো মেডিক্যাল, মেরিন , শিপবিল্ডিং,সার্ভেয়িং, মেকাটনিকস,কনস্ট্রাকশন,টেলিকমিউনিকেশন,এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স,রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি,আর্কিটেকচার অ্যান্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইন, গার্মেন্টস ডিজাইন অ্যান্ড প্যাটার্ন মেকিং,ইনস্ট্রুমেন্টেশন অ্যান্ড প্রসেস কন্ট্রোল, ডেটা টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড নেটওয়ার্কিং, এয়ারক্রাফট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ারিং (অ্যারোস্পেস), এয়ারক্রাফট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ারিং (অ্যাভিয়োনিকস) এবং মাইনিং অ্যান্ড মাইন সার্ভে টেকনোলজি পড়ানো হয় সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা এই ইনস্টিটিউটগুলোয়।
ভর্তির তথ্য : এসএসসির পর ভর্তির বিজ্ঞপ্তি দিয়ে থাকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর।ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হতে চাইলে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে এখন থেকেই।ভর্তিসংক্রান্ত সব তথ্যের জন্য যোগাযোগ করা যাবে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের ( www.techedu.gov.bd ) ওয়েবসাইটে। এ ছাড়া ভর্তিসংক্রান্ত সব তথ্য জানা যাবে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের নিজস্ব ওয়েবসাইটে ( www.bteb.gov.bd )
★ডিপ্লোমা প্রকৌশলের আরও কিছু বিষয়:
বস্ত্র প্রকৌশল ডিপ্লোমা প্রকৌশলের ক্ষেত্রে যেসব বিষয়ের চাহিদা বেশি,সেগুলোর মধ্যে অন্যতম টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বা বস্ত্র প্রকৌশল। সরকারের বস্ত্র দপ্তরের ( www.dot.gov.bd ) আওতায় দিনাজপুর টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, বরিশাল শহীদ সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও টাঙ্গাইল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট— এই তিনটি সরকারি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট আছে। এ ছাড়া বেসরকারি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটে আছে ২১টি।ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের আবেদন করতে হবে অনলাইনের মাধ্যমে।ইনস্টিটিউটগুলো থেকে ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন করে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া যাবে বাংলাদেশ টেক্সটাইল প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে।
★কৃষি প্রকৌশল :
কৃষি ক্ষেত্রকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটগুলোয় চালু আছে চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্স। কারিগরি শিক্ষা বোডের্র অধীনে রংপুর, গাইবান্ধা, পাবনা,খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুর, ঢাকা,গাজীপুর, শেরপুর, সিলেট,নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও রাঙামাটি জেলায় একটি করে মোট ১৩টি কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট আছে। এই ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন করতে হলে প্রার্থীকে এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৩ অথবা বিজ্ঞান বিভাগ ছাড়া অন্য বিভাগের ক্ষেত্রে সাধারণ গণিত বা সাধারণ বিজ্ঞানে গ্রেড পয়েন্ট-২-সহ কমপক্ষে জিপিএ-৩ থাকতে হবে।
★হেলথ টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস তিন বছর মেয়াদি এই কোর্স বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধিভুক্ত।শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩৯।প্রতিষ্ঠানগুলো ছড়িয়ে আছে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা শহরে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে যেসব বিষয় পড়ানো হয়, সেগুলো হলো:
ডেন্টাল, পেশেন্ট কেয়ার,ফিজিওথেরাপি, ফার্মা,রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং,ইন্টিগ্রেটেড ও ল্যাবরেটরি টেকনোলজি। যেসব শিক্ষার্থী এই কোর্সে ভর্তি হতে চান, তাঁদের এসএসসিতে সাধারণ গণিত বা উচ্চতর গণিতে গ্রেড পয়েন্ট-২-সহ (অথবা ৪০ শতাংশ নম্বর) কমপক্ষে জিপিএ-২ (অথবা দ্বিতীয় বিভাগ) থাকতে হবে। এখানে যেকোনো বর্ষে পাস করা শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবেন।
[[উল্লেখ্য, নতুন ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ভর্তির যোগ্যতা পরিবর্তিত হতে পারে৷]]

Friday 17 April 2015

ডিপ্লোমা তে আসার আগে বিষয়গুলো ভেবে নিন

◆◇◆এস.এস.সি ও সমমানের পরীক্ষা শেষ।তাই অনেকে ইংলিশ কিংবা কম্পিউটার কোচিং এ ভর্তি হয়েছেন কিংবা হবেন।অনেকের আবার ইচ্ছা আছে ম্যাটস/ডিপ্লোমাতে ভর্তি হবেন , তাই অনেক স্টুডেন্ট ভর্তি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন। এবার একটু দেখে নিলে ভালো হয় ডিপ্লোমাতে কাদের আসা উচিত এবং কাদের আসা উচিত না।একটা কথা মনে রাখবেন, আবেগের বসে কিছু করে লাইফের কয়েকটা বছর নষ্ট করবেন না।
★★★ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এ যারা আসবেনঃ
■■▶অনেকেই আছেন যাদের আর্থিক সমস্যা আছে পড়াশুনা চালানো কঠিন হবে বলে মনে করেন অথবা পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে চান্স না পাওয়ার ভয় আছে আর পাবলিকে চান্স না পেলে হয়তো ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া সম্ভব না কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার প্রচুর ইচ্ছা আছে তারা চলে আসতে পারেন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং করার জন্য । কেননা এখানে আসার পর আপনি যদি ভালো পারফরমেন্স দেখাতে পারেন তাহলে আপনাকে ওয়াল্ড ব্যাংকের পক্ষ থেকে প্রতি ছয় মাস পর পর দেওয়া হবে ৪৮০০ টাকা শিক্ষা বৃত্তি। এছাড়াও মোটামুটি রেজাল্ট হলেই পাবেন ৯০০ টাকা বৃত্তি যা দিয়া কিছুটা হলেও আপনি চালিয়ে যেতে পারেন আপনার পড়াশোনার খরচ । ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করার পরে যেকোন একটা চাকরি পাবেন আর চাকরির পাশাপাশি খুব সহজেই আপনার পছন্দসই কোন একটা ইউনিভার্সিটি থেকে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিংকরে নিতে পারবেন ।কাজ শেখার ইচ্ছা শক্তি থাকলে অবশ্যই শিখতে পারবেন কারণ পলিটেকনিকে এমন কিছু ইন্সট্রুমেন্ট আছে যেগুলো অনেক নামকরা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতেও নেই।আর একটা কথা মেধা তেমন না থাকলে না আসাই ভালো কারণ এখনকার ডিপ্লোমার সিস্টেম এবংপড়াশোনা আগের থেকে অনেক অনেক আপডেট হয়েছে ।সুতরাং যা করবেন একটু ভেবে চিন্তে করবেন আবেগের বসে কিছু করে ফেললে আপনার জীবন থেকে হারিয়ে যেতে পারে কয়েকটি বছর । আসলে ভাই ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা ব্যবস্থাটা বাইরের দেশে যেমন দাম আছে আমাদের দেশে তার একবিন্দুও নেই, আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত এর ডিপ্লোমা শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন।
★★★ডিপ্লোমায় যাদের আসার তেমন একটা প্রয়োজন নাইঃ
■■▶বাবার টাকা আছে বাইচান্স পাবলিক কোন ইউনিভার্সিটি তে চান্স না পেলেও প্রাইভেট ইউনিভারসিটিতে বি.এস.সি করে নিতে পারবেন তাদের ডিপ্লোমাতে আসার কোন প্রয়োজন আছে বলে আমি মনেকরি না, কারণ একেতো ডুয়েট ছাড়া অন্য কোন পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে চান্স নেওয়ার কোন সুযোগ নাই। যদিও ইদানীং কয়েকটা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ করে দিছে।যেমন :আমার জানামতে সাস্টে কম্পিউটার ডিপার্টমেন্ট এ ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ আছে। তারপরেও সব সাবজেক্ট এর জন্য এখন পর্যন্ত উন্মুক্ত করা হয় নি, আর প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হলেও ভালো কোন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে পারবেন না,আর যদিও হন তাহলে একেতো খরচ আছে সাথে আবার সেই ৪ বছর ধরে বি.এস.সি করতে হবে আর নরমাল কোন ইউনিভার্সিটিতেই ডিপ্লোমাদের জন্য আই.ই.বি আনুমোদন নেই।  ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বিএসসি করার জন্য ঢাকার রমনাতে AMEI এর নাম হয়ত শুনেছেন,এখান থেকে ও আপনি অল্প সময়ে বিএসসি করতে পারেন।তবে আপনাকে ধৈর্যবান ও মেধাবী হতে হবে। আর একটা কথা, ডিপ্লোমায় আপনি আপনার ইংলিশের দক্ষতা আপনার অজান্তেই হারিয়ে ফেলবেন তবে এটা আসলে সবার ক্ষেত্রে নয়।কারণ অনেকেই আছে ডিপ্লোমা করেছেন।কিন্তু ইংলিশে অনর্গল কথা বলতে পারেন তবে এটা হাতে গোনা কয়েকজন হবে যারা সম্পূর্ণ নিজের প্রচেষ্টাতে বিভিন্ন কোর্স ও ইংলিশ ক্লাব এর মাধ্যমে ইংলিশকে ধরে রাখে । ইংলিশে দক্ষতা হারানোর প্রধান কারণ ডিপ্লোমাতে ইংলিশ নামে মাত্র দুইটা সাবজেক্ট থাকে যা ২ বা ৩ সেমিস্টারেই শেষ হয়ে যায় তারপর ৩ বছর শুধু বাংলিশ পড়ানো হয়, কাজ শেখার ব্যাপারে হাতেগোনা কয়েকজন টিচার ব্যতিত খুব কম টিচার এর কাছ থেকেই সাহায্য পাবেন বলে আশা করা যায়, আর এমন কিছু ইন্সটিটিউট আছে যেখানে চার অথবা পাঁচটি বিভাগের জন্য স্যার আছে মাত্র চার থেকে ছয়জন, ডিপ্লোমা করতে গিয়ে সব পেলেও পাবেন না দক্ষ স্যার ।অনেক স্যার আছেন যারা স্টুডেন্টদের টাকায় পকেট ভারি করে রাখেন।
◆◇◆আমার এসব কথা শুনে অনেকেই বলতে পারেন ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিতে সি.এস.ই এবং ই.টি.ই তে আই.ই.বি অনুমোদন আছে ?
■□■▶ হ্যা ভাই আছে কিন্তু আপনি হয়তো এটা জানেন না যে ইভিনিং শিফট এর জন্য কোন ইউনিভার্সিটিতেই আই.ই.বি অনুমোদন নেই, এবং এশিয়া প্যাসিফিক ও ইউ.আই.ইউ তে আছে কিন্তু এগুলোতে কস্ট অনেক বেশী এবং আপনার জন্য সাবজেক্ট ক্রেডিটও কমানো হবে না । তো কি দরকার আছে ৪ বছর ডিপ্লোমা করে আবার ৪ বছর বি.এস.সি করার শুধু শুধু আপনার জীবন থেকে হারিয়ে যাবে ২টি বছর ।আর যাদের ইচ্ছা আছে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমানোর তাদের ডিপ্লোমাতে আসার কোন প্রয়োজনই নাই কারন ডিপ্লোমাতে উচ্চ শিক্ষার জন্য বাইরে যাওয়ার যতটা সুযোগ আছে তার থেকে হাজারগুন বেশী সুযোগ আছে উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে যাওয়ার । আর যদিও ডিপ্লোমা কম্পিলিট করে যান তবে খরচও সেই একই লাগবে এবং সুযোগও সেই একই পাবেন।মাঝে দিয়ে আপনার জীবন থেকে হারিয়ে যাবে অতি মূল্যবান ২টি বছর আর যদি কোন আন্দোলন হয় তাহলেতো ৩ বছরও হারিয়ে যেতে পারে ।
□■▶আর যে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা ব্যবস্থায় ইংলিশ পাঠ্যপুস্তককে বাংলিশ পাঠ্যপুস্তকে পরিবর্তন করে পড়ানো হয় সে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা ব্যবস্থা হতে কখনও খুব ভালো কিছু আশা করা সম্ভব না ।যার ফলাফল ...... খুব ভালো স্টুডেন্ট হয়ে ডিপ্লোমাতে ভর্তি হচ্ছে আর বের হওয়ার সময় আগে যা ছিল তাও হারিয়ে ফেলছে ।এখানে না আছে স্টুডেন্টদের কোন দোষ আর না আছে শিক্ষকদের কোন দোষ, এখানে মূল সমস্যাটাই হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থার ।যেখানে ডিপ্লোমার প্রত্যেক ডিপার্টমেন্ট এর থাকা উচিত ছিল নিজেস্ব ক্লাব যেখানে ছাত্ররা প্রতিনিয়ত নতুন কিছু প্রজেক্ট বানানোর চেষ্টা করবে সেখানে ক্লাবতো দূরের কথা প্রজেক্ট বানানোর ব্যাপ্যারে যে কেউ অনুপ্রেরণা দিবে সেরকম লোক খুজে পাওয়াও মুশকিল ।
★☆★২০১৩ সালে সাস্টে অনুষ্ঠিত কাইজেন বিজ্ঞান প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অর্জন করে সিলেট পলিটেকনিক এর ইলেকট্রিকাল ডিপার্টমেন্ট এর কয়েকজন ছাত্র।জাফর ইকবাল স্যারের সাথে ছবিসহ তাদের সাক্ষাতকার পরদিন দেশের জাতীয় পত্রিকাগুলোতে প্রকাশ হয়।পলিটেকনিক এর ছাত্রদের প্রতি বৈষম্যের কিছু টা তখন ফোটে উঠেছিল। তারপর আবার সব উধাও।
◆◇◆আমার এই ব্লগ পোস্ট দেখে হয়তো অনেক ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ভাই মনে মনে রাগ হয়েছেন আবার গালিও দিচ্ছেন। কিন্তু ভাই একবার চিন্তা করে দেখুন আপনি ডিপ্লোমা করে কতটুকু সুযোগ সুবিধা পেয়েছেন ??
★☆★আজকে যে ভাইয়েরা ডুয়েটে পড়ছেন আপনাদের বন্ধুদের দিকে তাকালে দেখবেন তারা আজ বুয়েট,রুয়েট অথবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত ভালো জায়গাতে ৩য় অথবা ফাইনাল ইয়ারে রয়েছে,আপনার বি.এস.সি শেষ হতে হতে তারা হয়তো অনেক উপর পর্যায়ের একটা পজিশনেও চলে যাবে আর আপনার জীবন থেকে অকারনেই হারিয়ে গেছে ২টি বছর ।
★☆★৪৯টা সরকারী এবং চারশতাধিক প্রাইভেট পলিটেকনিক ছাত্রদের জন্য একমাত্র ডুয়েট ব্যতিত অন্য কোন ইউনিভার্সিটিতেই ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ারই সুযোগ দেওয়া হয় না ।
◆আসলে এর কারণটা কি ??
■▶তাহলে কি ডিপ্লোমার স্টুডেন্টরা অন্য কোন পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার যোগ্যতাও রাখে না ??
●○●অথচ দেখা যাচ্ছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আন্ডারে যারা এইচ.এস.সি ভোকেশনাল দিয়েছে তাদেরও যদি পয়েন্ট থাকে তবে তারাও প্রায় সব পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে চান্স নিতে পারতেছে। তাহলে এখানে ডিপ্লোমার ছাত্ররা কি দোষ করেছে যে তাদেরকে ডুয়েট ব্যতিত অন্য কোন ইউনিভার্সিটিতে এডমিশন পরীক্ষা দেওয়ারই সুযোগ দেওয়া হয় না ??
যাই হোক অনেক কথা বলে ফেললাম ,এখন যে ভাইয়ারা এবার এস.এস.সি দিয়েছেন তারা আশা করি এই পোস্ট থেকে বর্তমান ডিপ্লোমা সম্পর্কে একটা ধারনা পেয়েছেন ।
আর এই ব্লগ পোস্ট দেখে যদি কোন ভাইয়ের মনে কষ্ট লেগে থাকে তাহলে আমি তার কাছ থেকে মাফ চেয়ে নিচ্ছি।।
খোদা হাফেজ, সবাই ভালো থাকবেন।।

Thursday 16 April 2015

Protect GP From Their Unfair Policy

নরওয়ে ভিত্তিক একটি টেলিকম প্রতিষ্ঠান হল জিপি।যা বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত মোবাইল অপারেটর। এমনকি যে নরওয়ে এই কোম্পানির মালিক, তার জনসংখ্যার ও তুলনায় দশ গুণ। তাই এই বিপুল পরিমাণ জনসংখ্যার কথা চিন্তা করে জিপির পলিসি যেখানে আরো নমনীয় হওয়ার কথা,সেখানে এই মোবাইল পরিসেবা প্রতিষ্ঠান টি সেবার পরিবর্তে এদেশের মানুষের রক্ত দিন দিন চোষে খাচ্ছে।রাষ্ট্রের হাজার কোটি টাকার কর ফাকি দেওয়ার ইতিহাস ও কারো অজানা নয়।
বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৫ উপলক্ষে জিপি খেলা চলাকালীন সময়ে Twitter ফ্রি করে দেয়।এতে অনেক ইউজার ও বেড়ে যায়।কিন্তু খেলা শেষ হওয়ার পরপর ই ফ্রি Twitter অফ করে দেওয়া হয়।আমার ফেসবুক গ্রুপ EasToWest24 এ প্রচুর পোস্ট আসে (যদিও এডমিনদের পক্ষ থেকে পোস্টগুলো এপ্রুভাল হয় নি একই বিষয়ে গ্রুপ ভরপুর হয়ে যাবে বলে) কিভাবে আবার ফ্রি Twitter ইউজ করা যায়।তাই সবাইকে এয়ারটেল এ ফ্রি চালানোর কথা বলা হয়।যা এখন ও চলছে।তবে শুধুমমাত্র মোবাইল ইউজারদের জন্য।
তারপর আসা যাক ফ্রি ফেসবুক এর কথায়।জিপির তখন ও ৫ কোটি গ্রাহক পূর্ণ হয় নি।তাই টার্গেট পুরণ করতে খুব চতুরতার সাথে এফবি ফ্রি করে দেয়।আর আমাদের মত একদল তরুণ তা সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে প্রচার করতে থাকে।এতে করে জিপি নতুন সিম কিনার ধুম পরে যায়।সাথে সাথে যত অব্যবহৃত সিম ও ছিল কয়েক দিনের মধ্যে সব চালু হয়ে যায়।জিপির অফিসিয়ালি ফ্রি ফেসবুক প্রচার করার আগে তা বিদ্যুৎ বেগে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে।দেখলেন তো জিপির বিজনেস পলিসি।অল্প দিনেই টার্গেট পুরণ হয়ে যায়।এখন কি একটা বের করছে ৩০ মিনিট ফ্রি এফবি।তা ঢুকতে আর বের হতেই তো শেষ হয়ে যায়।তার চেয়ে বরং এয়ারটেল ই ভালো। পিসি তে ও ফ্রি চলে।সাথে এফবির ভিডিও গুলো  ও দেখা যায়।
ব্যবহারকারী দের ধরে রাখার জন্য ফ্রি ফেসবুক এর সাথে হোয়াটসঅ্যাপ ফ্রি করে দেওয়া হয়।তখন ও কলিং অপশন চালু হয় নি।তারপর ও লোকের উপচে পড়া কে রোখে? রাস্তা ঘাটে বের হলেই তরুণদের দেখা যায় মোবাইল হাতে সামাজিক মাধ্যমে ব্যস্ত। আমার এক আঙ্কেল, যে কিনা আগে আমাদের বলতো নেট এ তোরা সারাদিন কি কর?সে এখন কি রাত কি দিন নেট এ পড়ে থাকে।সামনে আসছে শুভদিন। জানি একটা শক খাবে!!! ১৯ তারিখ থেকে ফ্রি whatsapp বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।এয়ারটেল এ ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে।
তবে ২১ তারিখ থেকে internet.org এর মাধ্যমে এফবির প্রতিষ্ঠাতা জুকারবার্গ ফ্রি ইন্টারনেট সেবা সবার হাতে পৌছে দিতে বিশেষ উদ্দোগ নিয়েছে।এতে এফবি সহ আর কয়েকটি সরকারি সাইট ফ্রি ব্যবহার করা যাবে বলে জানানো হয়।তবে সারা দেশে কবে নাগাদ এ সেবা পাওয়া যাবে তার কোন বিশেষ উল্লেখ নেই।
জিপির কাস্টমারদের প্রতি অবহেলার  কথা বলে শেষ করা যাবে না। এরই মধ্যে ফেসবুক,টুইটার সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্রি হোয়াটসঅ্যাপ বহাল রাখার দাবিতে নেটিজেন রা ক্ষোভে ১০-১২ জিপি সিম বন্ধ করার আহবান জানিয়েছে। আপনি ও সবার সাথে আওয়াজ দিতে পারেন।সবাই 158 এ ফ্রি কল করেন আর কাস্টমার কেয়ারে তুফান ছুটান ।
সবাইকে একটা অনুরোধ। সবাই gpসিম দিয়ে ১৫৮ এই নম্বরে ফোন দিন এবং অনান্য অভিযোগ অপশন টি সিলেক্ট করুন। তার পর আপনাকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে জিপির কাষ্টমার কেয়ারের শালারা ফোন দিবে। সবাই একই অভিযোগ দিবেন সেটা হলো whatappsফ্রি চালাতে চাই। যদি ১লক্ষ কাষ্টমার একই অভিযোগ দেয় তবে whatapps ফ্রি করে দিবে। মেসেজটি সবাই শেয়ার করে বন্ধুদের ছড়িয়ে দিন। সবাই একই অভিযোগ দিলে জিপি শালায় হোয়াটএপস ফ্রি করে দিতে বাধ্য। 158 এ নম্বরটি সকল সিমের অভিযোগ দেওয়ার সার্ভিস নম্বর। এ নম্বরে ফোন দিন ফ্রি। কোন টাকা কাটবে না। মেসেজটি সকল গ্রুপে কপি করে ছড়িয়ে দিন। আমরা আবার ফ্রি হোয়াটএপস চাই।সবার আন্তরিক প্রচেষ্টায় জিপি তার ডিজুস ইউজারদের জন্য নাইট প্যাকেজ এক্টিভ রাখতে বাধ্য হয়েছিল।আমরা আবার ও তা প্রমাণ করব।
তরুণদের জয় হবেই হবে। নজরুল এর একটা বাণী দিয়ে শেষ করছি
"আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে,
তোমার ছেলে উঠলে মাগো রাত পোহাবে তবে।"

Tuesday 7 April 2015

থানকুনি,প্রকৃতির এক অশেষ নেয়ামত

বাংলা নাম থানকুনি । অঞ্চলভেদে এটি টুনিমানকুনি,টেয়া,মানকি, তিতুরা,থানকুনি, আদামনি, ঢোলামানি,থুলকুড়ি, মানামানি , ধূলাবেগুন,আদাগুনগুনি নামে পরিচিত । বহু রোগের ডাক্তার এই পাতাটির ইংরেজি নাম Indian Pennywort,ল্যাটিন নাম Centella asiatica,বৈজ্ঞানিক নাম Centella asiatica Urban এবং পরিবার Mackinlayaceae । স্বাদটা একটু তিতকুটে, তবে কার্যকরণ বেশ উপকারী। অসংখ্য রোগের উপশম মেলে এই থানকুনি পাতা খেলে।
চটজলদি রোগ নিরাময়ের জন্য আমরা অনেকেই অ্যালোপ্যাথির দ্বারস্থ হয়ে যাই। কষ্ট লাঘবে তখন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়টা মাথায় থাকে না। বিশেষ করে টাইফয়েড ডায়রিয়া,কলেরার মতো পেটের রোগে অ্যান্টিবায়োটিকও চলে আকছার। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াযুক্ত ওই সব ওষুধগুলির দামও অনেক সময় নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে হয়ে যায়।অথচ আমাদের হাতের কাছেই কিছু ভেষজ গাছ রয়েছে ,যেগুলি অত্যন্ত অল্প দামে বা একটু খুঁজলে বিনামূল্যেও পাওয়া যায়,আমরা জানি না।অনেক সময় জেনেও,বিশ্বাস হয় না। তেমনই একটি ভেষজ উদ্ভিদ হল থানকুনি।থানকুনি আমাদের অতিপরিচিত পাতা।পুকুরপাড় বা জলাশয়ে হামেশাই

দেখা মেলে। কথায় বলে , পেট ভালো থাকলে মনও ফুরফুরে থাকে।চিকিত্সকরাই বলছেন, থানকুনি পাতার এমন ভেষজ গুণ রয়েছে , মিয়মিত খেতে পারলে,পেটের অসুখে কোনও দিনও ভুগতে হবে না।শরীর- স্বাস্থ্য তো সতেজ থাকেই , ছোট থেকে খাওয়াতে পারলে বুদ্ধিরও বিকাশ হয়।
দেখে নেওয়া যাক, থানকুনি পাতার ভেষজ গুণগুলি :

১. পেটের রোগ নির্মূল করতে থানকুনির বিকল্প নেই। নিয়মিত খেলে যে কোনও পেটের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। একই সঙ্গে পেট নিয়ে কোনও দিনও সমস্যায় ভুগতে হয় না।

২. শুধু পেটই নয় , আলসার, এগজিমা ,হাঁপানি - সহ নানা চর্মরোগ সেরে যায় থানকুনি পাতা খেলে। ত্বকেও জেল্লা বাড়ে।

৩ . থানকুনি পাতায় থাকে Bacoside A ও B। Bacoside B মস্তিষ্কের কোষ গঠনে সাহায্য করে ও রক্ত চলাচল বাড়ায়। থানকুনি পাতা নিয়মিত খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।

৪ . থানকুনি স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে।

৫ . মৃতকোষের ফলে চামড়ায় অনেক সময়ই শুষ্ক ছাল ওঠে। রুক্ষ হয়ে যায়।থানকুনি পাতার রস মৃতকোষগুলিকে পুনর্গঠন করে ত্বক মসৃণ করে দেয়।

৬ . পুরনো ক্ষত কোনও ওষুধেই না সারলে,থানকুনি পাতা সিদ্ধ করে তার জল লাগালে সেরে যায়। সদ্য ক্ষতে থানকুনি পাতা বেটে লাগালে , ক্ষত নিরাময় হয়ে যায়।

৭. থানকুনি পাতা চুল পড়া আটকে দেয়। এমনকি নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।

৮. বয়স বাড়লেও, যৌবন ধরে রেখে দেয় থানকুনি পাতার রস। প্রতিদিন একগ্লাস দুধে ৫ - ৬ চা চামচ থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে খেলে, চেহারায় লাবণ্য চলে আসে। আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যায়।

৯. দাঁতের রোগ সারাতেও থানকুনির জুড়ি মেলা ভার। মাড়ি থেকে রক্ত পড়লে বা দাঁতে ব্যথা করলে একটা বড় বাটিতে থানকুনি পাতা সিদ্ধ করে , তারপর ছেঁকে নিয়ে সেই জল দিয়ে কুলকুচি করলে উপকার পাওয়া যায় চটজলদি।

১০. থানকুনি পাতা বেটে ঘিয়ের সঙ্গে জ্বাল দিয়ে ঠাণ্ডা করে তা ক্ষত স্থানে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।

১১.অপুষ্টির অভাবে, ভিটামিনের অভাবে চুল পড়লে পুষ্টিকর ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবারের

পাশাপাশি ৫-৬ চা চামচ থানকুনি পাতার রস দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে।

১২. মলের সঙ্গে শ্লেষ্মা গেলে, মল পরিষ্কারভাবে না হলে, পেটে গ্যাস হলে,কোনো কোনো সময় মাথা ধরা এসব ক্ষেত্রে ৩-৪ চা চামচ থানকুনি পাতার গরম রস ও সমপরিমাণ গরুর কাঁচা দুধ মিশিয়ে খেতে হবে। নিয়মিত খেলে উপকার পাবেন।

১৩. মনে না থাকলে আধা কাপ দুধ, ২-৩ তোলা থানকুনি পাতার রস ও এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেতে হবে।

১৪.ঠাণ্ডায় নাক বন্ধ হলে, সর্দি হলে থানকুনির শিকড় ও ডাঁটার মিহি গুঁড়ার নস্যি নিলে উপকার পাওয়া যায়।
[[উল্লেখ্য: ছোট্ট এই উদ্ভিদটি বাড়ির ছাদে কিংবা বারান্দায় টবেও চাষ করা যায়।]]

Saturday 4 April 2015

ওজন কমাবে সঠিক ডায়েট প্লান আর সচেতনতা

আমার মত যারা শরীরের অতিরিক্ত ওজন ভয় পান,তারা পোস্ট টি একটু দেখে নিতে পারেন। আর যাদের হাতে এখন সময় নাই,তারা পোস্ট টি শেয়ার করে ফেসবুক টাইমলাইন এ রেখে দেন।
আধুনিকতার এই যুগে নানা কারণেই বাড়ছে আমাদের শরীরের ওজন। কি নারী আর কি পুরুষ কেউই রেহাই পাচ্ছেন না এ থেকে। তার জন্য কেউ বা ছুটছেন জিমে আবার কেউ বা করছেন ডায়েটিং তার সাথে আরো যে কত্তো আয়োজন! কিন্তু মাথার উপর
খাঁড়ার মতো ঝুলছে লক্ষ্যপূরণের চাপ। সময় কোথায় এত কিছু মেইনটেন করার? এ দিকে আবার আমাদের স্লিম বডি চাই। তাই কম সময়ে স্লিম-ট্রিম হওয়ার কিছু পন্থা রইল আপনাদের জন্য।মোটা দেহ নিয়ে কারো চোখে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তোলা যায় না।মানুষ মোটা হয় শর্করা ও স্নেহজাতীয় পদার্থের ফলে।প্রতিদিন স্বাভাবিকের
চেয়ে ৫০০ ক্যালরি খাবার কম খেলে প্রায় ১ পাউন্ড ওজন কমানো যায়।ক্যালরি কম গ্রহণ করলে দেহাভ্যন্তরে বাড়তি মেদ ভেঙে গিয়ে দেহকে বাড়তি ক্যালরি জোগান দেয়।
সাধারণত একজন প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে প্রতিদিন ১০০০ ক্যালরি খাবার গ্রহণ করে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।মহিলাদের ক্ষেত্রে কোমরের মাপ ৮০ সেন্টিমিটার বা ৩১.৫ ইঞ্চি পর্যন্ত স্বাভাবিক ধরা যেতে পারে। তবে মহিলাদের কোমরের মাপ ৮৮ সেন্টিমিটার বা ৩৪.৬ ইঞ্চি থেকে বেশি হলে অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে।ডায়েটিং করলেই মেদ কমানো যায় না।খাবারের মধ্যে কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট জাতীয় জিনিস না খেয়ে বেশি করে প্রোটিন জাতীয় খাবার খাবেন। প্রচুর পানি, শাকসবজি ও ফলমুল বেশি করে খাবেন।সুস্থ জীবনযাপনে ওজন এক বিশেষ শত্রু। একবার দেহের ওজন বৃদ্ধি পেলে সহজেই তা কমানো যায় না।ওজন কমাতে আপনার নিজের ব্যাপার নিয়ে নিজেই দায়িত্ব নিতে হবে। কিন্তু তাই বলে নিতান্তই একা নন। আপনি মানসিক জোর পেতে পারেন আপনার সঙ্গীর কাছ থেকে, বন্ধুদের কাছ থেকে। এমন মানুষ নির্বাচন করুন যে কিনা আপনাকে মূল্য দেবে এবং আপনার কথা শুনবে। আপনার শরীর চর্চার সময় আপনাকে সঙ্গ দেবে। ওজন কমানোর জন্য আগে জানতে হবে আপনার আদর্শ ওজন কত, আদর্শ ওজনের চেয়ে কত বেশি আছে, কোন শারীরিক সমস্যা আছে কিনা, এই বিষয়গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে তারপর ওজন নিয়ন্ত্রণে মনোযোগী হতে হবে। ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আপনার একান্ত আগ্রহ আর মোটিভেশন ।রাতে ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ২ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিন। প্রতিবেলা খাবার আগে অবশ্যই এক গ্লাস পানি পান করুন ।ক্ষুধা না পেলে কখনই খাবনে না।সপ্তাহে অন্তত একদিন নিজের ওজন মাপুন।ফোনে কথা বলার সময় হাটুন ।সুস্থ্ থাকতে এবং ওজন কমানোর জন্য বেশি খাওয়া বন্ধ করতে হবে।অল্প তেলে রান্না করার অ্ভ্যাস গড়ে তুলুন।ঝোল করে তরকারি রান্না করুন, এতে তেল কম লাগে। ১ চা চামচ কম তেলে রান্না করলে আমরা ১২৪ ক্যালোরি সেভ করতে পারি ।অতিরিক্ত লবণ খাওয়া পরিহার করতে হবে। কারণ, লবণ শরীরের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।পেটের মেদ এর সাথে হার্টের সমস্যা থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস ও অন্যান্য সমস্যার জোরালো সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়।পেটের মেদ কমাতে হলে প্রয়োজন পুরো শারীরিক ব্যায়াম।৪০ থেকে ৪৫ মিনিট হালকা জগিং বা জোরে হাটার পর রক্তে চলমান ফ্যাট শেষ হয়ে দেহে সঞ্চিত ফ্যাট ভাঙতে থাকে। তাই এই ৪০ বা ৪৫ মিনিটের পর আপনি যদি ১০ বা ১৫ মিনিট ও জগিং বা জোরে হাঁটতে পারেন, তাহলেই প্রতিদিন একটু একটু করে আপনার জমান চর্বি কমতে থাকবে।পেটে, নিতম্বে, কোমরে ফ্যাট সেল বেশি থাকে ;বংশগত কারণেও মানুষ মোটা হতে পারে। ‘ওব জিন’ নামের এক ধরনের জিন থাকে ফ্যাট সেলের মধ্যে।এগুলো ল্যাপটিন নামের এক রকম হরমোন তৈরি করে। আবার যাদের দেহে ব্রাউন এডিপোজ টিস্যু বেশি থাকে তারা মোটা হয় না ।কোমরে আর পেটে চর্বি জমাতে যেমন সহজ। ঠিক ততটাই কঠিন সেই চর্বি কমিয়ে ফেলা। কিন্তু কিছু ভালো অভ্যাস ও সাধারণ কিছু ব্যায়াম ধৈর্যের সাথে চালিয়ে গেলে একদিকে বাড়তি মেদ যেমন ঝরবে অন্যদিকে শরীরটা মুটিয়ে যাবার ভয়টাও কমে আসবে অনেকাংশেই। ওজন কমানোর মুল মন্ত্র হল মটিভেসন ও একাগ্রতা।শুধু
ব্যায়াম করলেই অনেক সময় মেদ কমে না, এর জন্য আপনাকে খাবার গ্রহণে সতর্ক হতে হবে।খাবারে প্রচুর পরিমানে আঁশ জাতীয় খাদ্য যেমন শাক সবজি রাখুন। চর্বি জাতিয় খাবার কম খান।ফাস্ট ফুড খাওয়া বন্ধ করতে হবে।নিয়ম মেনে পরিমিত ব্যায়াম করে গেলে ও খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করলে পেটের মেদই শুধু নয়, সারা দেহের মেদ কমিয়ে কাঙ্ক্ষিত ফিগার পেতে পারি।
বাড়তি ওজনের জন্য যেকোনো ধরনের হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।মেদবহুল ব্যক্তির জরায়ু, প্রস্টেট ও কোলন ক্যান্সারের সম্ভাবনা শতকরা ৫ ভাগ বেশি।আজকাল অপারেশনের সাহায্যেও ভুঁড়ি কিংবা মেদ কমানো হচ্ছে।মেদ বা ভুঁড়ি কোনোভাবেই সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ নয় বরং নানা অসুখের কারণ- একথা মনে রাখবেন।আমিষ বা প্রোটিন খেলে শরীরে জমে থাকা চর্বি কমে যায়। কারণ এই চর্বি শরীরকে শক্তি বা ক্যালরির যোগান দেয়।স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ রান্না মাংস খেলে আমিষের ঘাটতি কেটে যায় এবং মেদও কমে, সামুদ্রিক মাছও হতে পারে আমিষের ভালো উৎস। এ ধরনের মাছে উপকারি চর্বি ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড রয়েছে। মাছ মেদ কমায়,বিষন্নতা দূর করে,হৃদস্বাস্থ্য ভালো রাখে।খাবার সঙ্গে চা পান করা চর্বির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আরেক উপায়।সারা দিনে অন্তত দুই লিটার পানি পান করবেন। এর ফলে আপনার বাড়তি ১০০ ক্যালরি খরচ হবে। অতিরিক্ত ঘুম,মানসিক চাপ, স্টেরয়েড এবং অন্য নানা ধরনের ওষুধ গ্রহণের ফলেও ওজন বাড়তে পারে ।নিয়মিত হাঁটা সবচেয়ে ভালো ব্যায়াম। প্রতিদিন নিয়ম করে ১ ঘণ্টা হাঁটতে পারলে খুবই ভালো। সাইকেল চালানো ও সাঁতার কাটাও খুব ভালো ব্যায়াম।ভুঁড়ি কমাতে কিছু আসনের সাহায্য নেয়া যেতে পারে। এগুলোর মধ্যে ত্রিকোণ আসন,একপদ উত্থান আসন, পবন মুক্তাসন, পশ্চিমোত্থানাসন খুবই কার্যকর।কাঁচা পেঁপে, শশা, গাজর, লেটুস বা ধনিয়া পাতার সালাদ ওজন কমাতে রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। পেঁপে যুদ্ধ করে দেহের বাড়তি মেদের বিরুদ্ধে। অতিরিক্ত ওজনের কারনে পায়ে ব্যথা হয় । ওজন কমানোর জন্য আপনার থাকতে হবে- ১০০% ইচ্ছা শক্তি,ধৈর্য্য , ১০০% ডায়েট চার্ট মেনে চলা,প্রতিদিন নিয়ম করে ১ ঘন্টা হাঁটা। অভিনেত্রী মৌ ২০ কেজি ওজন কমিয়েছেন এবং গায়ক আদনান সামী ওজন কমিয়ে দেখিয়েছেন ।হেঁটে যতটুকু ক্যালরি খরচ হলো ঠিক ততটুকু বা তার বেশি ক্যালরি গ্রহণ করা হলে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে হাঁটাই বৃথা।আপনার ওজন কমানোর প্রধান হাতিয়ার হিসেবে প্রচুর পানি পান করুন।অনেকেই ওজন কমাতে চান। কিন্তু কোনো কষ্ট করতে রাজি না।
বাঁধাকপিকে ওজন কমানোর আরেকটি কার্যকর উপায় হিসেবে ধরা হয়। বাঁধাকপি মিষ্টি ও শর্করাজাতীয় খাবারকে চর্বিতে রূপান্তর করতে বাধা দেয়। এ জন্য বাঁধাকপি খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখে ওজন কমাতে।এটিকে কাঁচা অথবা রান্না করেও খাওয়া যায়।আগে যেখানে তিনটি রুটি খেতেন,সেখানে দুটি খান। ভাতের ক্ষেত্রেও তাই।
ধীরে ধীরে ভাতের পরিমাণও কমিয়ে আনতে পারেন।যেটুকু খাবার কমিয়ে দিচ্ছেন,সেই জায়গাটা ফলমূল ও সবুজ সবজি দিয়ে পূরণ করুন।গাজর, টমেটো, কাঁচা-পাকা পেঁপে,শসা রাখতে পারেন খাদ্যতালিকায়। রিকশার পথটুকু হেঁটে যান, আর ফেরার পথে বিকেলের বাতাস খেতে খেতে হেঁটে আসুন বাসায়। ওজন কমানো এ আর এমন কঠিন কী!
প্রতিদিন এই ব্যায়াম করুন- চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাত দুটো সোজা কানের দুই পাশ ঘেসে মাথার উপরে মাটিতে শোয়ানো থাকবে,পা মাটিতে শোয়ানো থাকবে। শ্বাস নিতে নিতে উঠে বসুন (উঠার সময় কনুই দিয়ে মাটিতে ভর দিবেন না, হাত কানের পাশ দিয়ে মাথার উপর উঠানো থাকবে) এবং দুই হাত একসাথে মাথার উপর থেকে নামিয়ে শরীরের দুই পাশ দিয়ে সামনে হাত বাড়ানো অবস্থায় বসুন।এবার শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পায়ের আঙ্গুল ছুতে চেষ্টা করুন। যতটুকু পারুন পায়ের আঙ্গুলের দিকে আগান (প্রথম প্রথম পেটের মেদের কারণে আঙ্গুল ছুতে পারবেন না, মেদ কমে গেলে এরপর পারবেন), এরপর থেমে শ্বাস নিতে নিতে আবার শরীর ঝুকানো অবস্থা থেকে সোজা বসে থাকা অবস্থায় ফিরে যান।এরপর শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে আগের মত করে শুয়ে পড়ুন। এভাবে ১০ বার করুন।মিষ্টি জাতীয় খাবার বাদ। ফাস্ট ফুড,অয়েলি খাবার বাদ। রিচ ফুড/পোলাও/বিরানী এইসব বাদ।দুপুর ২ টায় লাঞ্চ।ভাত ২ কাপ। শাক ১.৫ কাপ।মুরগী বা মাছ ২ টুকরা।ডাল ১ কাপ। মিক্সড ভেজিটেবল ১ কাপ। সালাদ ১.৫ কাপ (লেবুসহ)। মধুতে যদিও চিনি থাকে, কিন্তু এতে ভিটামিন ও মিনারেল থাকার কারণে এটি সাধারণ চিনির মত ওজন না বাড়িয়ে, কমায় ।কারণ সাধারণ চিনি হজম করতে আমাদের শরীর নিজের থেকে ভিটামিন ও মিনারেল খরচ করে, ফলে এই সব পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি হয়। এই সব উপাদান ফ্যাট ও cholesterol কমাতে বা ভাঙ্গতে সাহায্য করে। লেবু ওজন কমাতে সাহায্য করে। ১০০% মেনে চলা মুশকিল,এটা আমিও বুঝি কিন্তু পারতে হবে।অনেকে টিভি দেখতে দেখতে বাড়তি খাবার খেতে পছন্দ করে। তবে ওজন কমাতে চাইলে এই অভ্যেস বাদ দিতে হবে।রাতে খাওয়া ছেড়ে দেন অনেকেই। রাতে একদম না খেয়ে থাকা স্বাস্থ্যের জন্য খুব ক্ষতিকর। রাতের খাবার খেয়ে একটু হাঁটাচলা করুন, তারপর ঘুমাতে যান। দুপুরে ভরপেট খেয়ে ঘুম দিলে কিন্তু সর্বনাশ। ওজন:কমাতে চাইলে দুপুরের আরামের ঘুমটির কথা একদম ভুলে যান।
আসুন না দেখি একটু সচেতন হয়ে, কিছু কৌশলের মাধ্যমে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত ওজনের সাফল্যে পৌঁছাতে পারি কি না?নিয়মগুলো মেনে চলতে শুরু করেই দেখুন। কিছুদিনের মধ্যেই শরীর অনেক বেশি ফুরফুরে অনুভব করবেন। আর ওজন কমানো তো সময়ের ব্যাপার মাত্র।খুবই সাধারণ ও উপকারী এই নিয়মগুলো মেনে চলুন আর ফলাফল নিজেই উপলব্ধি করুণ।

চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল এর পুষ্টিবিদ মোস্তফা আল মামুন এর কাছ থেকে পোস্ট টি সংগৃহীত।

Thursday 2 April 2015

বাংলা কে তুলে ধরি বিশ্ববাসির কাছে

কয়েক দিন আগের কথা ,মানে ২৬ শে মার্চ উপলক্ষে  যখন Google translate এ বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ করার লক্ষে দেশ ব্যাপী প্রচারণা চালানো হয়,তখন আশাতীত ভাবে বাঙ্গালিরা সারা দেয়। Google Translate এ আমাদের প্রিয় মাতৃভাষা বাংলার জন্য দেশ-বিদেশ এর অনলাইন এক্টিভিস্টরা মাঠে নেমে যায় এবং কাজ শুরু করে দেয়।৪ লক্ষ শব্দ যোগ করার প্রত্যয় নিয়ে রাত- দিন সবাই নিরলস কাজ করে যায়।প্রত্যাশা ছিল একটাই, " ভাষা শহীদদের পবিত্র রক্তদান বৃথা যাবে না।২৬ শে মার্চ ৪ লক্ষ নতুন শব্দ দুনিয়ার জায়ান্ট সার্চ ইঞ্জিন গুগল ট্রান্সলেট এ যুক্ত হবেই হবে"। হ্যা,আমরা কিন্তু টিক ই করে দেখিয়েছি।। তবে আমরা আমাদের টার্গেটের চেয়েও বেশি শব্দ যুক্ত করে জগতবাসী কে দেখিয়ে দিয়েছি বাঙ্গালিরা অতীতেও ভাষার জন্য লড়েছে, এবং বর্তমানে ও লড়ে যাচ্ছে।খুব আনন্দ লাগছিল তখন, যখন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াগুলোতে দেখতে পেলাম "৭ লক্ষ বাংলা শব্দ গুগল ট্রান্সলেট এ" এই শিরোনাম টি ।ভাষার জন্য আমাদের কাজ কিন্তু এখনো শেষ হয়ে যায়নি। এখন সময় এসেছে Wikipedia কে বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য সমৃদ্ধ করে তোলার। wikitionary তে ঢুকলে তো আমার মনটা একদম খারাপ হয়ে যায়,যখন দেখি আমাদের শব্দ ভাণ্ডারে মাত্র ১১৩৫ শব্দ।বাকি সহ-সাইট((উইকিবই,উইকিউৎস,উইকিখবর,উইকিউৎস,উইকিউক্তি,উইকিভ্রমণ,উইকিকমন্স,উইকিলিংক ইত্যাদি))  গুলোর কথা না হয় বাদ দিলাম। উইকির এই চৌদ্দতম বছরে আমাদের এশিয়ান দেশগুলো অনেক এগিয়ে গেছে।তাই সবার কাছে একটাই অনুরোধ,আসুন উইকির উন্নয়নে আমরা ও অংশীদার হই,এবং সাধ্যমত অবদান রাখি।এখন প্রায় সব অপারেটর রা উইকিপিডিয়া কে ফ্রি করে দিছে।কিছুদিন আগে যেখানে শুধুমাত্র জিরো উইকি ফ্রি ছিল।এটাতে অনেক ইউজার এর অসুবিধা হত তাই আমরা উইকিপিডিয়া নিয়ে তেমন কোনো পোস্ট করি নি।এখন যেহেতু পিসি তে ও ফ্রি Wikipedia ইউজ করা যাচ্ছে,তাই আবারো অনুরোধ করব একটু হলেও বাংলা ভাষার জন্য অবদান রাখেন। সবাই অনেক ভালো থাকবেন এই শুভ কামনায় শেষ করছি।।