Friday, 27 February 2015
ক্রোম ব্রাউজারে একটি সতর্কবার্তা
এবার ওজন কমাতেও সাহায্য করছে স্মার্টফোন
ওজন কমাতে চান? স্মার্টফোন
আছে? ব্যাস তাহলেই
চিন্তা শেষ। এই সংক্রান্ত
একাধিক স্মার্টফোন অ্যাপ এখন
বাজারে ভর্তি। যে কোনও একটা ডাউনলোড
করতে পারলেই কেল্লাফতে। এই অ্যাপগুলো লাগাতার
মেসেজ করে ভিডিও পাঠিয়ে আপনাকে ডায়েট
নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কী খাবেন আর কী খাবেন
না সেই বিষয়ে বিস্তারিত পরামর্শ দেয়। নতুন এক
গবেষণায় দেখা গেছে ওজন কমাতে এই অ্যাপসগুলো বেশ
কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টুলান ইউনিভার্সিটি অফ
পাবলিক হেলথ ও ট্রপিকাল মেডিসিনের গবেষকদের
মতে এই স্মার্টফোন অ্যাপগুলির
সাহায্যে লক্ষ্যনীয়ভাবে ওজন কমে। এই
অ্যাপগুলি থেকে আসা লাগাতার মেসেজ বা ভিডিও
স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন
আনতে বাধ্যকরে।
এই ধরণের অ্যাপ ব্যবহারকারী ১,৩৩৭ জনের উপর র্যান্ডম
সমীক্ষা চালিয়েছেন গবেষকরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই
পসিটিভ ফলাফল মিলেছে।
টানা ৬মাস বা ১ বছর এই ধরণের অ্যাপ ব্যবহার
করলে দেখা গেছে গড়ে প্রায় প্রতিমাসে ১.৪৪
কেজি ওজন কমেছে।
Thursday, 26 February 2015
National Identity Card Processing (PART:3)
জাতীয় পরিচয় পত্র হারিয়ে গেলে, ভুল থাকলে অথবা নতুন
পরিচয়পত্র করতে গেলে কি করবেন?
ঠিকানা সংশোধনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকা বর্তমান ঠিকানা ও ভোটার
এলাকা বদল করার সুযোগ আছে। তবে সারা বছর সেই সুযোগ
মেলে না। এটা শুধু ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সময়
করা যাবে। বর্তমানে হালনাগাদ করার কাজটি করা হয় শুধু
জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে। সারা বছর ভোটার
এলাকা বদলের সুযোগ থাকে না কেন, জানতে চাইলে প্রকল্পের
কমিউনিকেশন অফিসার দেবাশীষ কুণ্ডু বলেন, ‘আমাদের
দেশে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা, সিটি করপোরেশন
ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভিন্ন ভিন্ন সময়ে হয়। দেখা যায়,
একই বছর একাধিক নির্বাচন হয়। একই বছরে কেউ যাতে ইউনিয়ন
পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট
দিতে না পারেন, তাই সারা বছর ভোটার এলাকা বদলের সুযোগ
দেওয়া হয় না।’ হালনাগাদ করার সময় ভোটার এলাকা বদল
করতে হলে নতুন ঠিকানার উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিস
থেকে দেওয়া ফরম-১৩ অথবা ফরম-১৪ পূরণ
করে উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।
তবে ঠিকানা পরিবর্তন না করে সংশোধন (বানান, বাড়ির
নম্বর, সড়ক নম্বর ভুল থাকলে) করার সুযোগ ঢাকার প্রকল্প
কার্যালয়ে রয়েছে।এ ছাড়া স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন বা এর
কোনো তথ্য সংশোধনেরও সুযোগ আছে। ঠিকানার
ছোটখাটো ভুল সংশোধন বা স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তনের
সুযোগ সারা বছরই থাকে। এ জন্য আবেদনপত্রের সঙ্গে প্রকল্প
কার্যালয়ের নির্দিষ্ট কাউন্টারে জমা দিতে হবে পরিবারের
কোনো সদস্যের পরিচয়পত্রের কপি, গ্যাস, বিদ্যুৎ,টেলিফোন
বিলের যেকোনো একটির কপি বা কর দেওয়ার কপি। আরও
জমা দিতে হবে চেয়ারম্যান বা ওয়ার্ড কাউন্সিলরের
প্রত্যয়নপত্র। স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ওই
ঠিকানায় নিজের নামে বা পিতা বা মাতার
নামে থাকা জমি বা ফ্ল্যাটের দলিলের সত্যায়িত ফটোকপিও
জমা দিতে হবে।
রক্তের গ্রুপ সংশোধনঃ
রক্তের গ্রুপ সংশোধন করতে হলে মেডিকেল প্রতিবেদন দাখিল
করতে হবে।
বিবিধ সংশোধনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্রে কোনো নামের আগে পদবি, উপাধি,
খেতাব ইত্যাদি সংযুক্ত করা যাবে না।
পিতা বা স্বামী বা মাতাকে মৃত উল্লেখ করতে চাইলে মৃত্যুর
সনদ দাখিল করতে হবে। জীবিত
পিতা বা স্বামী বা মাতাকে ভুলক্রমে মৃত হিসেবে উল্লেখ
করার কারণে পরিচয়পত্র সংশোধন করতে হলে সংশ্লিষ্ট
ব্যক্তির পরিচয়পত্রের কপি দাখিল করতে হবে।
হালনাগাদ কর্মসূচির পরিচয়পত্র সংশোধনঃ
২০০৯ সালে হালনাগাদ কর্মসূচির সময় যাদের নাম ভোটার
তালিকায় যুক্ত হয়েছে, তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে কোনো ভুল
থাকলে বা হারিয়ে গেলে তাদের ২০১০ সালের ডিসেম্বরের পর
প্রকল্প কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে হবে।
পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলেঃ
পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট থানায় ভোটার নম্বর
বা আইডি নম্বর উল্লেখ করে সাধারণ ডায়েরি (জিডি)
করতে হবে। এরপর জিডির মূল কপিসহ প্রকল্প কার্যালয়
থেকে নেওয়া ছকের আবেদনপত্র নির্দিষ্ট
কাউন্টারে জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র নিতে হবে।
প্রাপ্তি স্বীকারপত্রে উল্লেখ করা তারিখে ডুপ্লিকেট
পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়।
অবশেষে দাম কমতে যাচ্ছে ইন্টারনেটের
বাড়বে গতি কমবে দাম ইন্টারনেটের -
অবশেষে দাম কমতে যাচ্ছে ইন্টারনেটের। একই
সঙ্গে গতিও বাড়বে অাগের চেয়ে কয়েকগুন।
'দেশে ইন্টারনেটের দাম বেশি' - গ্রাহকদের এমন
অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এরই
পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ইন্টারনেটের দাম
কমাতে উদ্যোগী হয়েছে ।দেশের ৭০টি পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্ধেক মূল্যে ব্যান্ডউইথ সরবরাহেরও উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর ন্যূনতম গতি হবে ১ গিগা।অাগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে এ সেবা চালু করা হবে বলে জানা গেছে।এদিকে জাতীয় ব্রডব্যান্ড নীতিমালা-২০০৯ -এ ব্রডব্যান্ডের 'সংজ্ঞা' সংশোধনেরও উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।জাতীয় ব্রডব্যান্ড নীতিমালা-২০০৯ -এ ব্রডব্যান্ডের সংজ্ঞায় বলা হয়েছিল যাহার ন্যূনতম গতি হবে ১২৮ কেবিপিএস। এর চেয়ে গতি কম হইলে তাকে বলা হইবে ন্যারোব্যান্ড ইন্টারনেট।যদিও ২০১৩ সালে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিঅারসির জারি করা এক নিদের্শনায় নতুন করে ব্রডব্যান্ডের সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হয়।নতুন সংজ্ঞায় বলা হয়, 'যাহার ন্যূনতম ব্যান্ডউইথ ১ এমবিপিএস
(মেগাবাইট পার সেকেন্ড) হইবে। ১ এমবিপিএস
হইতে কম ব্যান্ডউইথকে ন্যারোব্যান্ড বলা হইবে।'
ব্যক্তি পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ২০১৩
সালের মে মাসের ১ তারিখ থেকে এই গতি উপভোগ করছেন।
বিটিআরসি একই বছরের এপ্রিলের ১ তারিখে এ
বিষয়ে নির্দেশনা জারি করে।চলতি বছর অাবারও ব্রডব্যান্ডের সংজ্ঞায় পরিবর্তন অানা হচ্ছে। এবার ন্যূনতম ব্যান্ডউইথ ১ মেগার পরিবর্তে ৫ মেগা করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় সংশ্লিষ্টদের ব্রডব্যান্ডের সংজ্ঞা পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে প্রতি মেগা ব্যান্ডউইডথের
দাম ছিল ৭২ হাজার টাকা। একবারে ৪২ হাজার
টাকা কমিয়ে করা হয় ৩০ হাজার টাকা। পরের বছর দাম নির্ধারিত হয় ১৮ হাজার টাকা।
২০০৯ সালে ৬ হাজার টাকা কমিয়ে করা হয় ১২
হাজার টাকা। ২০১০ সালে দাম কমানো না হলেও এর পরের বছর ২ হাজার টাকা কমিয়ে করা হয় ১০ হাজার টাকা। এর পরে অারও দুই ধাপে দাম কমিয়ে করা হয় যথাক্রমে ৮ হাজার এবং ৪ হাজার ৮০০ টাকা। সর্বশেষ গত বছর সরকার প্রতি মেগা ব্যান্ডউইথের দাম নির্ধারণ করেছে ২ হাজার ৮০০ টাকা।
জুনাইদ অাহমেদ পলক জানান, প্রধানমন্ত্রীর
নির্দেশে একটি 'টেকনিক্যাল অডিট টিম' গঠন
করা হয়েছে। ওই টিম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে কেন গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ কমছে না।তারা প্রতিবেদন দিলেই এ বিষয়ে উদ্যোগী হবে সরকার। শিগগিরই ইন্টারনেট
ব্যবহারকারীদের এ বিষয়ে সুখবর দিতে পারবেন
বলে তিনি অাশাবাদ ব্যক্ত করেন।তবে বর্তমানের চেয়ে কত শতাংশ দাম কমতে পারে এ ব্যাপারে পরিষ্কার কোনও ধারণা পাওয়া যায়নি সংশ্লিষ্টদের
কাছ থেকে।
জানা গেছে, ব্যান্ডউইথ দেশে আনতে গেলে এর
সঙ্গে কতগুলো উপাদান বা বিশেষ পক্ষ জড়িত
থাকে। এর মধ্যে রয়েছে ইন্টারনেট ট্রানজিট (আইপি ক্লাউড),বিদেশি ডাটা সেন্টারের ভাড়া, দেশি-বিদেশি ব্যাকহল চার্জ,ল্যান্ডিং স্টেশন ভাড়া, কেন্দ্রীয় সার্ভারের পরিবহন খরচ,গেটওয়ে ভাড়া, আইএসপি প্রতিষ্ঠানের মুনাফা,এনটিটিএন
প্রতিষ্ঠানের আন্ডারগ্রাউন্ড নেটওয়ার্ক ভাড়া,
ইন্টারনেট যন্ত্রাংশের ওপর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ধার্য করা ভ্যাট ও শুল্ক, বিটিআরসির রাজস্ব ভাগাভাগিসহ ১৬টি উপাদান বা পক্ষ। বিগত দিনগুলোতে কেবল ব্যান্ডউইথের দামই কমানো হয়েছে।এই ১৬টি পক্ষের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হয়নি। এ কারণে ইন্টারনেটের দাম কমেনি। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এসব পক্ষের সেবাচার্জ যদি কমানো না হয় তা হলে ব্যান্ডউইথ ফ্রি করে দিলেও ইন্টারনেটের দাম কমবে না।এদিকে দেশের মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর
মধ্যে প্রায় ৯০ ভাগ মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করলেও এর দাম বেশ চড়া।বর্তমানে যে মূল্যে মোবাইল ইন্টারনেট বিক্রি হচ্ছে তার থেকে দাম কমাতে গেলে কেবল ব্যান্ডউইথের দাম কামলেই
হবে না। এ ক্ষেত্রেও কয়েকটি পক্ষ রয়েছে। সে সব
পক্ষকে বিবেচনায় এনে অানুপাতিক হারে খরচ
কমানো হলেই) কেবল মোবাইল ইন্টারনেটের দাম
কমবে বলে মনে করেন মোবাইলফোন অপারেটর
গ্রামীণফোনের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মাহমুদ হোসেইন।
নেটওয়ার্ক খরচ, স্পেক্ট্রামের মূল্য,
যন্ত্রাংশ ও এর সেটঅাপ চার্জ
এবং মোবাইলফোন সেটের দাম
কমানো না হলে মোবাইল অপারেটরগুলোর
পক্ষে ইন্টারনেটের দাম কমানো সম্ভব হবে না।
সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়গুলোর প্রতি সুদৃষ্টি দেওয়ার
অাহবান জানান তিনি। যদিও মোবাইলফোন
অপারেটরগুলো ২০০৪ সাল
থেকে প্রতি কিলোবাইটের জন্য ২
পয়সা করে চার্জ করেছে একটানা ৯ বছর।প্রযুক্তিপ্
রেমীদের দীর্ঘদিনের অান্দোলন পরে ২০১৩
সালের জুন মাসে মোবাইলফোন
অপারেটরগুলো ইন্টারনেটের দাম কমায়।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ
সংস্থা বিটিআরসি মোবাইল ফোন
অপারেটরগুলোর সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক
করে ইন্টারনেটের দাম কমায়। কিন্তু তারপরও
মোবাইল ইন্টারনেটের এখন যা দাম তা-ও অনেক
বেশি বলে মনে করেন এর ব্যবহারকারী,
অান্দোলনকারী বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা। এ
প্রসঙ্গে অাইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ব্যান্ডউইথ
সরবারহকারী এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের
মাঝ খানে যারা সার্ভিস দিচ্ছেন তাদের
ক্ষেত্রে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, কী পদক্ষেপ
নিলে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহার খরচ
কমবে সে উপায় খুঁজে বের করা হবে। শিগগিরই
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা এ সুফল ভোগ করবেন
বলে তিনি জানান।
Wednesday, 25 February 2015
National Identity Card Processing (PART:2)
জাতীয় পরিচয় পত্র হারিয়ে গেলে, ভুল থাকলে অথবা নতুন
পরিচয়পত্র করতে গেলে কি করবেন?
নাম পরিবর্তনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্রে নিজের নাম বদল করতে হলে আবেদনপত্রের
সঙ্গে জমা দিতে হবে এসএসসি বা সমমানের সনদের সত্যায়িত
ফটোকপি (শিক্ষাগত যোগ্যতা এর নিচে হলে দেয়ার দরকার
নেই), বিবাহিত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে স্ত্রী বা স্বামীর জাতীয়
পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, ম্যাজিস্ট্রেট
কোর্টে সম্পাদিত এফিডেভিট এবং জাতীয় পত্রিকায়
প্রকাশিত নাম পরিবর্তনসংক্রান্ত বিজ্ঞাপনের কপি। নাম
পরিবর্তনের জন্য প্রার্থীকে শুনানির দিন প্রকল্পের
কার্যালয়ে কাগজপত্রের মূল কপিসহ হাজির হতে হবে।
স্বামীর নাম সংযোজন বা বাদ দেওয়াঃ
বিয়ের পর কেউ জাতীয় পরিচয়পত্রে স্বামীর নাম যুক্ত
করতে চাইলে তাকে কাবিননামা ও স্বামীর জাতীয় পরিচয়পত্র
আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে। আর বিবাহবিচ্ছেদের
কারণে স্বামীর নাম বাদ
দিতে চাইলে আবেদনকারীকে তালাকনামার সত্যায়িত
কপি জমা দিতে হবে।
পিতা বা মাতার নাম পরিবর্তনঃ
পিতা বা মাতার নাম পরিবর্তন করতে হলে আবেদনপত্রের
সঙ্গে জমা দিতে হবে এসএসসি বা এইচএসসি বা সমমান
পরীক্ষার সনদ অথবা রেজিস্ট্রেশন কার্ড। পিতা বা মাতার
পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।পিতা বা মাতা বা উভয়ে মৃত হলে দিতে হবে ভাই বা বোনের
পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি। পিতা-মাতার নাম
পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা আবেদনকারীর
সাক্ষাৎকার নিতে পারেন।
জন্মতারিখ সংশোধনঃ
যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা সমমানের , তাদের
আবেদনপত্রের সঙ্গে এসএসসি বা সমমানের সনদের সত্যায়িত
ফটোকপি জমা দিতে হবে। বয়সের পার্থক্য অস্বাভাবিক
না হলে প্রাপ্তি স্বীকারপত্রে উল্লেখ
করা তারিখে সংশোধিত পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়।
অস্বাভাবিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সনদের মূল কপি প্রদর্শন
কিংবা ব্যক্তিগত শুনানিতে অংশ নিতে হতে পারে। যাদের
শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা সমমানের কম, তাদের
জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য আবেদনপত্রের
সঙ্গে জমা দিতে হবে জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার আগের
তারিখে পাওয়া সার্ভিস বুক বা এমপিওর কপি,
ড্রাইভিং লাইসেন্স, জন্ম সদন, নিকাহনামা, পাসপোর্টের
কপি প্রভৃতি। এ ক্ষেত্রে প্রকল্প কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট
কর্মকর্তা বা প্রকল্প পরিচালক আবেদনকারীর সাক্ষাৎকার
নিয়ে থাকেন। এ ছাড়া দরকার হলে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন
কর্মকর্তার মাধ্যমে সরেজমিনে তদন্ত করা হয়।
Chris Gayle became the First batsman in World Cup history to score a double century.
Chris Gayle was struggling for form heading into the
2015 ICC Cricket World Cup against Zimbabwe at the
Manuka Oval in Canberra. He had not scored a century
for close to 20 months and there was some criticism
regarding his form. However, on a gloomy afternoon, he
spectacularly turned his form around and brightened the
mood in the West Indies camp. It was a record-breaking
exhibition of batting by Gayle and his knock, along with
his partnership with Marlon Samuels, broke several
World records in the process. Here is a look at the
records that have been broken in this match:
Chris Gayle blasted 215 off 146 balls. This is the first
time that a double century has been scored in World
Cups. The previous best was 188* by Gary Kirsten
against the UAE in 1996.
Marlon Samuels and Gayle shared a 372-run stand for
the second wicket. This is a world record stand for
any wicket in ODIs. The previous highest partnership
was 331 between Sachin Tendulkar and Rahul Dravid
against New Zealand in Hyderabad in 1999. This was
also the highest partnership in World Cups, going
past 318 set by Sourav Ganguly and Dravid against
Sri Lanka in Taunton in 1999.
Gayle notched up his double century off 138 balls,
the fastest ever double century in ODIs.
Gayle's score is the highest individual score by a
West Indies batsman in ODIs. The previous highest
score by a West Indies batsman in ODIs was 189 by
Sir Viv Richards against England in Old Trafford in
1984.
Gayle become the second man to hit over 400 sixes
in international cricket (229 ODIs, 98 in Tests and 87
in T20Is). Only Shahid Afridi has hit more sixes in
cricket than Gayle.
Gayle equalled the record of most sixes hit in ODIs.
He hit 16 sixes in the innings, tied with Rohit
Sharma and AB de Villiers. However, this is the most
in a World Cup innings, going past the mark of nine
sixes set by David Miller against Zimbabwe in
Hamilton recently.
Gayle became the first non-Indian batsman to score
a double century in ODIs. This is the first double-
century outside the sub-continent as well. This is
the fifth double century in ODIs.
Gayle is the only cricketer currently to have scored a
hundred in T20Is, double hundred in ODIs and a triple
hundred in Tests.
পেসার "ওয়েন পারনেল"
দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় ক্রিকেট
দলের পেসার "ওয়েন পারনেল" । তিনি খ্রিষ্টান ধর্ম
থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে উদ্বুদ্ধ হন ।
ব্যক্তিগত গবেষণা ও ভাবনা থেকেই
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন তিনি ।
ইসলাম ধর্মগ্রহণের সত্যতা নিশ্চিত
করে পারনেল জানান,
অনেকদিন আগে থেকেই ইসলামের
প্রতি এক ধরনের অনুরাগ জন্মেছিল
তার । নতুন ধর্ম গ্রহণ করার পর
পারনেল তার নাম পরিবর্তন করে
"ওয়েন পারনেল" থেকে
"ওয়ালিদ পারনেল" রেখেছেন ।
"ওয়ালিদ" অর্থ 'সদ্য ভূমিষ্ঠ পুত্র
সন্তান'। পোর্ট এলিজাবেথে জন্ম
নেয়া পারনেল বলেছেন, "নতুন ধর্ম
অনুসরণের ব্যাপারটি তিনি খুব
গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছিলেন ।
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করানোর পেছনে
তার সতীর্থ হাশিম আমলা বা
ইমরান তাহিরের কোনো হাত নেই ।
এখন থেকে তিনি শ্রদ্ধার সঙ্গে নতুন
ধর্মের নিয়ম কানুন পালন করবেন ।
ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর মুসলমানদের
জন্য নিষিদ্ধ কোনো অ্যালকোহল
স্পর্শ করেননি তিনি ।
একই সঙ্গে তার প্রতি আগ্রহ থাকায়
ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন
তিনি।"
National Identity Card Processing (Part:1)
জাতীয় পরিচয় পত্র হারিয়ে গেলে, ভুল থাকলে অথবা নতুন
পরিচয়পত্র করতে গেলে কি করবেন? এছাড়াও অনেককেই জাতীয়
পরিচয়পত্রের বিভিন্ন
ভুলভ্রান্তি নিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয়। আবার যারা নতুন
পরিচয়পত্র করতে চান তারাও এ বিষয়ে অনেকে অজ্ঞ।
কিভাবে করব, কোথায় করব, কি কি লাগবে ইত্যাদি বিষয়
জানেন না। আর এ সমস্যা সমাধানের জন্য কিছু পদ্ধতি অনুসরণ
করলে আশা করি সবাই উপকার পাবেন।
পরিচয়পত্রে নিজের নাম, পিতা, মাতা, স্বামী, স্ত্রী ও
অভিভাবকের নাম, জন্মতারিখ, রক্তের গ্রুপ
এবং ঠিকানা সংশোধন কিংবা বদল করতে হতে পারে। এ জন্য
প্রার্থীকে সাদা কাগজে ‘ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন
এবং জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানে সহায়তা প্রদান প্রকল্প’- এর
পরিচালকেরকাছে আবেদন করতে হবে। এই আবেদন আগারগাঁওয়ের
ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনের সপ্তম তলায় প্রকল্প
কার্যালয়ে পাওয়া ছক বা ফরমেও করা যায়।
ফরম পূরণ করে প্রকল্প কার্যালয়ের নির্দিষ্ট
কাউন্টারে জমা দেওয়ার পর সেখান
থেকে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র (প্রাপ্তি নম্বরসংবলিত)
দেওয়া হয়। এতে সংশোধিত জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার তারিখ
উল্লেখ থাকবে। এই তারিখের সাত দিনের মধ্যে কাউন্টার
থেকে সংশোধিত পরিচয়পত্র নিতে হবে।
নাম সংশোধনঃ কেউ পরিচয়পত্রে থাকা নিজের নাম, পিতা,
স্বামী কিংবা মাতার নাম সংশোধন
করতে চাইলে তাকে আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে-
১। এসএসসি বা সমমান সনদ
২। নাগরিকত্ব সনদ
৩। জন্মনিবন্ধন সনদ
৪। চাকরির প্রমাণপত্র
৫। পাসপোর্ট
৬। নিকাহনামা
৭। পিতা, স্বামী কিংবা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের
ফটোকপি। আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত এসব নথি অবশ্যই
সত্যায়িত হতে হবে। এ ক্ষেত্রে উল্লেখ করা নথির যার
যেটি আছে, শুধু সেটি দিলেই চলবে। যেমন, যার শিক্ষাগত
যোগ্যতা এসএসসির কম, তাকে এসএসসি বা সমমানের সনদের
ফটোকপি জমা দিতে হবে না। আবার কেউ
যদি চাকরি না করেন, তাকে চাকরির প্রমাণপত্র
দিতে হবে না। আবার পাসপোর্ট না থাকলে তা দেয়ার দরকার
নেই।
Sunday, 22 February 2015
Once Upon A Time In Sylhet
কালের বিবর্তনে সিলেটের ওসমানী নগরের এককালের উত্তাল
রত্না নদী হারিয়েছে তার স্রোত, যৌবন ও পেটের ক্ষুধা।
বর্তমানে এ নদী নাম পরিবর্তিত হয়ে বিভিন্ন এলাকায়
বিভিন্ন নামে পরিচিতি পাচ্ছে। ইতিহাস সাক্ষ্যে প্রমাণিত
হয় এই নদীর আয়তন ছিল প্রায় ১৫ কিলোমিটার। কিন্তু
বর্তমানে তার এক তৃতীয়াংশও খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কথিত আছে,
সুরমা নদী হয়ে জাহাজ, লঞ্চ রত্না নদীর ঢেউয়ের
সাথে খেলা করে গোয়ালাবাজারের গয়নাঘাটে ভিড়তো।
ব্রিটিশ বেনিয়াগোষ্ঠী ব্যবসা করতে এ স্থানে আসতো।
১৬৬২ সালে মোঘল বাদশাহ শাহজাহান সিলেট ভ্রমণের সময়
৭টি জাহাজ নিয়ে এ নদী দেখতে এসেছিলেন। ফেরার
পথে ঢেউয়ের তোড়ে ১টি জাহাজ ডুবে যায়।
যেটি পরবর্তীতে আর উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ১৯৯৭
সালে ইসবপুর গ্রামের একটি পুকুর খননকালে জাহাজের মাস্তুল
পাওয়া গিয়েছিল। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে নানা রকমের
পিতলের সামগ্রী পাওয়া গেছে বলে প্রবীণরা জানান।
মহাভারত ও শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত আকর গ্রন্থে এ নদীর উল্লেখ্য
আছে। ব্রিটিশ আমলে পিতল ও কাসার ব্যবসা ছিল তুঙ্গে আর
তাই রত্না নদীর বুকে বড় বড় জাহাজ ভাসতো। সে সময়ের
রাজা-বাদশারা ভ্রমণে আসতেন বাহারী নৌকা নিয়ে।
একদা প্রমত্তা রত্না নদী পরিবর্তনের ধারায় প্রকৃতির
কাছে আত্মসমর্পণ করে খাল বলে চিহ্নিত হলেও ইতিহাস
তাকে নদী হিসাবে ধরে রেখেছে সযত্নে
Saturday, 21 February 2015
We Love Our Bangla
দুই বাংলাকে এক করে দেওয়ার জন্য দুই দেশের সরকারের
কাছে অনুরোধ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নায়ক
দেব। তিনি বলেছেন, দুই বাংলার স্বপ্ন এক, ইচ্ছেও এক। সব
কিছুই এক। তাই দুই বাংলার এক হওয়া দরকার।
আজ শুক্রবার রাজধানীর একটি হোটেলে সাংস্কৃতিক
ব্যক্তিত্বদের সাথে মতবিনিময়কালে দেব এ কথা বলেন।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
সাথে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের এই মতবিনিময়
সভার আয়োজন করে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন, যার নাম
দেওয়া হয়েছিল ‘বৈঠকী বাংলা’।
অনুষ্ঠানে আবেগাপ্লুত দেব বলেন, ‘আমাদের ভাষাটা (বাংলা)
পৃথিবীতে পঞ্চম স্থানে। আমি জানি, আমরা কেউ
এটা আমাদের জন্য করছি না। আমাদের জীবনটা খুব
ভালো কেটেছে, বা কেটেও যাবে। কিন্তু
সমাজে আমরা যে স্থানটাতে আছি, এটা আমাদের দায়িত্ব, এই
ভাষাটাকে নিয়ে আমাদের কিছু বলা উচিত। সেই
কারণে হয়তো আমরা এখানে এসেছি। আমাদের স্বপ্ন এক,
আমাদের ইচ্ছেটাও। সব কিছুই যখন এক, তাহলে আমরা দুই
সরকারকে বলি যে প্লিজ, এপার বাংলা, ওপার বাংলাকে এক
বাংলা করে দাও।’
অনুষ্ঠানে ভারতের বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ
বলেন, ‘আমি আপ্লুত। এত পরিচিত বন্ধুবান্ধব। হৃদয়ের টান। আমার
একটা ছোট্ট কথা বলার। ৬৭-৬৮ বছর আগে এপার বাংলা, ওপার
বাংলা হয়ে গিয়েছিল। তারপর অনেক কাণ্ড ঘটে গেছে। এখন
থেকে এপার বাংলা, ওপার বাংলা না বললেই বোধহয় ভালো।’
গৌতম বলেন, ‘বাংলার গান, বাংলার সাহিত্য, বাংলার নাটক,
বাংলা সিনেমা। সেটা কোন দেশের তা নয়, সেটা সমগ্র
বাঙালির। তার কারণ, বাংলা ভাষা হচ্ছে আমাদের গুরু।
আমরা এখন থেকে শুধু মনে করি যেন দুই বাংলা সংস্কৃতির দিক
দিয়ে একটাই। (তাহলে) আমার মনে হয়, আমরা অনেকটাই
এগিয়ে যাব।’
Is It Really Politics
বাংলাদেশে এখন শুধুই একে অন্যের বিরুধ্যে প্রতিশোধের রাজনীতি চলছে, এ যেন রাজনীতিতে দুই পরিবারের আখেরী খেলা - এই কারণেই প্রতিশোধের নেশা কার বেশি তা মাপার ব্যারোমিটারও দরকার নেই --- সেই প্রতিশোধের মাধ্যম হলো ক্ষমতা --- আর,এফ, এল, এর ভাষায় বলি, "যতই কান্নাকাটি করুক না কেন সাধারণ জনগণ, কোনো লাভ নাই - দুইজনকে প্রতিশোধের নেশা থেকে ফেরাতে পারবে না" -- অথবা লাকি আকন্দ এর গানের মতো, "মোদের ডেকো না, ফেরানো যাবে না, যে খেলায় নেমেছি, পরাজয় মানব না"
Love Our Foreigners
Friday, 20 February 2015
"বোর্ড পরীক্ষার সার্টিফিকেট হারিয়ে গেলে আপনার যা করনীয়"
একটি ছাত্রের শিক্ষাজীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ
সার্টিফিকেট আর তা হারিয়ে গেলে ভীষণ চিন্তায় পড়ে যান
অনেকেই। কী করবেন, কিভাবে সার্টিফিকেট ফিরে পাবেন
তা বুঝতে পারেন না। সার্টিফিকেট বা এ ধরনের মূল্যবান
শিক্ষাসংক্রান্ত কাগজপত্র হারালে বা নষ্ট
হয়ে গেলে ঘাবড়ানোর কিছু নেই।
প্রথমে যা করবেনঃ
সার্টিফিকেট, নম্বরপত্র বা প্রবেশপত্র
হারিয়ে গেলে দেরি না করে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ
নেওয়া উচিত। এর জন্য প্রথমে আপনার এলাকার
নিকটবর্তী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে।
জিডির একটি কপি অবশ্যই নিজের কাছে রাখতে হবে। এরপর
যেকোনো একটি দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে নাম, শাখা, পরীক্ষার কেন্দ্র, রোল নম্বর,
পাসের সাল, বোর্ডের নাম এবং কিভাবে আপনি সাটিফিকেট,
নম্বরপত্র অথবা প্রবেশপত্র হারিয়েছেন তা সংক্ষেপে উল্লেখ
করতে হবে।
থানায় জিডি ও পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর
আপনাকে যেতে হবে যে বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা দিয়েছেন
সেই শিক্ষা বোর্ডে। শিক্ষাবোর্ডের ‘তথ্যসংগ্রহ কেন্দ্র’
থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহের পর নির্ভুলভাবে পূরণ করতে হবে।
এরপর নির্ধারিত ফি সোনালী ব্যাংকের ডিমান্ড ড্রাফটের
মাধ্যমে বোর্ডের সচিব বরাবর জমা দিতে হবে।
টাকা জমা হওয়ার পর আবেদন কার্যকর হবে। আবেদনপত্রের
সঙ্গে মূল ব্যাংক ড্রাফট, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির কাটিং ও
থানার জিডির কপি জমা দিতে হবে।
আবেদনপত্রে যা পূরণ করতে হবেঃ
আবেদনপত্র পূরণের ক্ষেত্রে প্রথমেই উল্লেখ
করতে হবে আপনি কোন পরীক্ষার (মাধ্যমিক না উচ্চমাধ্যমিক)
কী হারিয়েছেন এবং কী কারণে আবেদন করছেন। আবেদনপত্রের
বিভিন্ন অংশে ইংরেজি বড় অক্ষরে এবং বাংলায় স্পষ্ট
অক্ষরে পূর্ণ নাম, মাতার নাম, পিতার নাম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠা
নের নাম, রোল নম্বর, পাশের বিভাগ/জিপিএ, শাখা,
রেজিস্ট্রেশন নম্বর, শিক্ষাবর্ষ এবং জন্মতারিখ সহ বিভিন্ন
তথ্য লিখতে হবে।
পরবর্তী অংশে জাতীয়তা, বিজ্ঞপ্তি যে দৈনিক পত্রিকায়
প্রকাশিত হয়েছে সেটির নাম ও তারিখ
এবং সোনালী ব্যাংকের যে শাখায় ব্যাংক ড্রাফট করেছেন
সে শাখার নাম, ড্রাফট নম্বর ও তারিখ উল্লেখ করতে হবে।
আবেদনপত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধানের সুপারিশের প্রয়োজন হবে।
এতে তার দস্তখত ও নামসহ সিলমোহর থাকতে হবে। আর
প্রাইভেট প্রার্থীদের আবেদনপত্র অবশ্যই গেজেটেড কর্মকর্তার
স্বাক্ষর ও নামসহ সিলমোহর থাকতে হবে।
নষ্ট হয়ে যাওয়া সনদপত্র/নম্বরপত্র/একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের
অংশবিশেষ থাকলে পত্রিকায়
বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে না বা থানায় জিডি করতে হবে না। এ
ক্ষেত্রে আবেদনপত্রের সঙ্গে ওই অংশবিশেষ জমা দিতে হবে।
তবে সনদে ও নম্বরপত্রের অংশবিশেষে নাম, রোল নম্বর, কেন্দ্র,
পাশের বিভাগ ও সন, জন্ম তারিখ ও পরীক্ষার নাম
না থাকলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। আর
বিদেশি নাগরিককে ব্যাংক ড্রাফটসহ নিজ সরকারের
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
কত টাকা লাগবেঃ
সাময়িক সনদ, নম্বরপত্র, প্রবেশপত্র ফি (জরুরি ফিসহ) ১৩০
টাকা। এ ছাড়া ত্রি-নকলের জন্য ১৫০ টাকা এবং চৌ-নকলের
জন্য ২৫০ টাকা ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে জমা দিতে হয়।
কমেন্ট ও শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকুন।
আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য।ধন্যবাদ।
Nuclear Binding Energy in Deuterium
Friday, 27 February 2015
ক্রোম ব্রাউজারে একটি সতর্কবার্তা
এবার ওজন কমাতেও সাহায্য করছে স্মার্টফোন
ওজন কমাতে চান? স্মার্টফোন
আছে? ব্যাস তাহলেই
চিন্তা শেষ। এই সংক্রান্ত
একাধিক স্মার্টফোন অ্যাপ এখন
বাজারে ভর্তি। যে কোনও একটা ডাউনলোড
করতে পারলেই কেল্লাফতে। এই অ্যাপগুলো লাগাতার
মেসেজ করে ভিডিও পাঠিয়ে আপনাকে ডায়েট
নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কী খাবেন আর কী খাবেন
না সেই বিষয়ে বিস্তারিত পরামর্শ দেয়। নতুন এক
গবেষণায় দেখা গেছে ওজন কমাতে এই অ্যাপসগুলো বেশ
কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণ করে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টুলান ইউনিভার্সিটি অফ
পাবলিক হেলথ ও ট্রপিকাল মেডিসিনের গবেষকদের
মতে এই স্মার্টফোন অ্যাপগুলির
সাহায্যে লক্ষ্যনীয়ভাবে ওজন কমে। এই
অ্যাপগুলি থেকে আসা লাগাতার মেসেজ বা ভিডিও
স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন
আনতে বাধ্যকরে।
এই ধরণের অ্যাপ ব্যবহারকারী ১,৩৩৭ জনের উপর র্যান্ডম
সমীক্ষা চালিয়েছেন গবেষকরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই
পসিটিভ ফলাফল মিলেছে।
টানা ৬মাস বা ১ বছর এই ধরণের অ্যাপ ব্যবহার
করলে দেখা গেছে গড়ে প্রায় প্রতিমাসে ১.৪৪
কেজি ওজন কমেছে।
Thursday, 26 February 2015
National Identity Card Processing (PART:3)
জাতীয় পরিচয় পত্র হারিয়ে গেলে, ভুল থাকলে অথবা নতুন
পরিচয়পত্র করতে গেলে কি করবেন?
ঠিকানা সংশোধনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্রে থাকা বর্তমান ঠিকানা ও ভোটার
এলাকা বদল করার সুযোগ আছে। তবে সারা বছর সেই সুযোগ
মেলে না। এটা শুধু ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার সময়
করা যাবে। বর্তমানে হালনাগাদ করার কাজটি করা হয় শুধু
জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে। সারা বছর ভোটার
এলাকা বদলের সুযোগ থাকে না কেন, জানতে চাইলে প্রকল্পের
কমিউনিকেশন অফিসার দেবাশীষ কুণ্ডু বলেন, ‘আমাদের
দেশে ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, উপজেলা, সিটি করপোরেশন
ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন ভিন্ন ভিন্ন সময়ে হয়। দেখা যায়,
একই বছর একাধিক নির্বাচন হয়। একই বছরে কেউ যাতে ইউনিয়ন
পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোট
দিতে না পারেন, তাই সারা বছর ভোটার এলাকা বদলের সুযোগ
দেওয়া হয় না।’ হালনাগাদ করার সময় ভোটার এলাকা বদল
করতে হলে নতুন ঠিকানার উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিস
থেকে দেওয়া ফরম-১৩ অথবা ফরম-১৪ পূরণ
করে উপজেলা বা থানা নির্বাচন অফিসে আবেদন করতে হবে।
তবে ঠিকানা পরিবর্তন না করে সংশোধন (বানান, বাড়ির
নম্বর, সড়ক নম্বর ভুল থাকলে) করার সুযোগ ঢাকার প্রকল্প
কার্যালয়ে রয়েছে।এ ছাড়া স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তন বা এর
কোনো তথ্য সংশোধনেরও সুযোগ আছে। ঠিকানার
ছোটখাটো ভুল সংশোধন বা স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তনের
সুযোগ সারা বছরই থাকে। এ জন্য আবেদনপত্রের সঙ্গে প্রকল্প
কার্যালয়ের নির্দিষ্ট কাউন্টারে জমা দিতে হবে পরিবারের
কোনো সদস্যের পরিচয়পত্রের কপি, গ্যাস, বিদ্যুৎ,টেলিফোন
বিলের যেকোনো একটির কপি বা কর দেওয়ার কপি। আরও
জমা দিতে হবে চেয়ারম্যান বা ওয়ার্ড কাউন্সিলরের
প্রত্যয়নপত্র। স্থায়ী ঠিকানা পরিবর্তনের ক্ষেত্রে ওই
ঠিকানায় নিজের নামে বা পিতা বা মাতার
নামে থাকা জমি বা ফ্ল্যাটের দলিলের সত্যায়িত ফটোকপিও
জমা দিতে হবে।
রক্তের গ্রুপ সংশোধনঃ
রক্তের গ্রুপ সংশোধন করতে হলে মেডিকেল প্রতিবেদন দাখিল
করতে হবে।
বিবিধ সংশোধনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্রে কোনো নামের আগে পদবি, উপাধি,
খেতাব ইত্যাদি সংযুক্ত করা যাবে না।
পিতা বা স্বামী বা মাতাকে মৃত উল্লেখ করতে চাইলে মৃত্যুর
সনদ দাখিল করতে হবে। জীবিত
পিতা বা স্বামী বা মাতাকে ভুলক্রমে মৃত হিসেবে উল্লেখ
করার কারণে পরিচয়পত্র সংশোধন করতে হলে সংশ্লিষ্ট
ব্যক্তির পরিচয়পত্রের কপি দাখিল করতে হবে।
হালনাগাদ কর্মসূচির পরিচয়পত্র সংশোধনঃ
২০০৯ সালে হালনাগাদ কর্মসূচির সময় যাদের নাম ভোটার
তালিকায় যুক্ত হয়েছে, তাদের জাতীয় পরিচয়পত্রে কোনো ভুল
থাকলে বা হারিয়ে গেলে তাদের ২০১০ সালের ডিসেম্বরের পর
প্রকল্প কার্যালয়ে যোগাযোগ করতে হবে।
পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলেঃ
পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে সংশ্লিষ্ট থানায় ভোটার নম্বর
বা আইডি নম্বর উল্লেখ করে সাধারণ ডায়েরি (জিডি)
করতে হবে। এরপর জিডির মূল কপিসহ প্রকল্প কার্যালয়
থেকে নেওয়া ছকের আবেদনপত্র নির্দিষ্ট
কাউন্টারে জমা দিয়ে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র নিতে হবে।
প্রাপ্তি স্বীকারপত্রে উল্লেখ করা তারিখে ডুপ্লিকেট
পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়।
অবশেষে দাম কমতে যাচ্ছে ইন্টারনেটের
বাড়বে গতি কমবে দাম ইন্টারনেটের -
অবশেষে দাম কমতে যাচ্ছে ইন্টারনেটের। একই
সঙ্গে গতিও বাড়বে অাগের চেয়ে কয়েকগুন।
'দেশে ইন্টারনেটের দাম বেশি' - গ্রাহকদের এমন
অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এরই
পরিপ্রেক্ষিতে সরকার ইন্টারনেটের দাম
কমাতে উদ্যোগী হয়েছে ।দেশের ৭০টি পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্ধেক মূল্যে ব্যান্ডউইথ সরবরাহেরও উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর ন্যূনতম গতি হবে ১ গিগা।অাগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে এ সেবা চালু করা হবে বলে জানা গেছে।এদিকে জাতীয় ব্রডব্যান্ড নীতিমালা-২০০৯ -এ ব্রডব্যান্ডের 'সংজ্ঞা' সংশোধনেরও উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।জাতীয় ব্রডব্যান্ড নীতিমালা-২০০৯ -এ ব্রডব্যান্ডের সংজ্ঞায় বলা হয়েছিল যাহার ন্যূনতম গতি হবে ১২৮ কেবিপিএস। এর চেয়ে গতি কম হইলে তাকে বলা হইবে ন্যারোব্যান্ড ইন্টারনেট।যদিও ২০১৩ সালে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিঅারসির জারি করা এক নিদের্শনায় নতুন করে ব্রডব্যান্ডের সংজ্ঞা নির্ধারণ করা হয়।নতুন সংজ্ঞায় বলা হয়, 'যাহার ন্যূনতম ব্যান্ডউইথ ১ এমবিপিএস
(মেগাবাইট পার সেকেন্ড) হইবে। ১ এমবিপিএস
হইতে কম ব্যান্ডউইথকে ন্যারোব্যান্ড বলা হইবে।'
ব্যক্তি পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা ২০১৩
সালের মে মাসের ১ তারিখ থেকে এই গতি উপভোগ করছেন।
বিটিআরসি একই বছরের এপ্রিলের ১ তারিখে এ
বিষয়ে নির্দেশনা জারি করে।চলতি বছর অাবারও ব্রডব্যান্ডের সংজ্ঞায় পরিবর্তন অানা হচ্ছে। এবার ন্যূনতম ব্যান্ডউইথ ১ মেগার পরিবর্তে ৫ মেগা করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় সংশ্লিষ্টদের ব্রডব্যান্ডের সংজ্ঞা পরিবর্তনের পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালে প্রতি মেগা ব্যান্ডউইডথের
দাম ছিল ৭২ হাজার টাকা। একবারে ৪২ হাজার
টাকা কমিয়ে করা হয় ৩০ হাজার টাকা। পরের বছর দাম নির্ধারিত হয় ১৮ হাজার টাকা।
২০০৯ সালে ৬ হাজার টাকা কমিয়ে করা হয় ১২
হাজার টাকা। ২০১০ সালে দাম কমানো না হলেও এর পরের বছর ২ হাজার টাকা কমিয়ে করা হয় ১০ হাজার টাকা। এর পরে অারও দুই ধাপে দাম কমিয়ে করা হয় যথাক্রমে ৮ হাজার এবং ৪ হাজার ৮০০ টাকা। সর্বশেষ গত বছর সরকার প্রতি মেগা ব্যান্ডউইথের দাম নির্ধারণ করেছে ২ হাজার ৮০০ টাকা।
জুনাইদ অাহমেদ পলক জানান, প্রধানমন্ত্রীর
নির্দেশে একটি 'টেকনিক্যাল অডিট টিম' গঠন
করা হয়েছে। ওই টিম পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দেখছে কেন গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ কমছে না।তারা প্রতিবেদন দিলেই এ বিষয়ে উদ্যোগী হবে সরকার। শিগগিরই ইন্টারনেট
ব্যবহারকারীদের এ বিষয়ে সুখবর দিতে পারবেন
বলে তিনি অাশাবাদ ব্যক্ত করেন।তবে বর্তমানের চেয়ে কত শতাংশ দাম কমতে পারে এ ব্যাপারে পরিষ্কার কোনও ধারণা পাওয়া যায়নি সংশ্লিষ্টদের
কাছ থেকে।
জানা গেছে, ব্যান্ডউইথ দেশে আনতে গেলে এর
সঙ্গে কতগুলো উপাদান বা বিশেষ পক্ষ জড়িত
থাকে। এর মধ্যে রয়েছে ইন্টারনেট ট্রানজিট (আইপি ক্লাউড),বিদেশি ডাটা সেন্টারের ভাড়া, দেশি-বিদেশি ব্যাকহল চার্জ,ল্যান্ডিং স্টেশন ভাড়া, কেন্দ্রীয় সার্ভারের পরিবহন খরচ,গেটওয়ে ভাড়া, আইএসপি প্রতিষ্ঠানের মুনাফা,এনটিটিএন
প্রতিষ্ঠানের আন্ডারগ্রাউন্ড নেটওয়ার্ক ভাড়া,
ইন্টারনেট যন্ত্রাংশের ওপর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ধার্য করা ভ্যাট ও শুল্ক, বিটিআরসির রাজস্ব ভাগাভাগিসহ ১৬টি উপাদান বা পক্ষ। বিগত দিনগুলোতে কেবল ব্যান্ডউইথের দামই কমানো হয়েছে।এই ১৬টি পক্ষের প্রতি বিশেষ নজর দেওয়া হয়নি। এ কারণে ইন্টারনেটের দাম কমেনি। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, এসব পক্ষের সেবাচার্জ যদি কমানো না হয় তা হলে ব্যান্ডউইথ ফ্রি করে দিলেও ইন্টারনেটের দাম কমবে না।এদিকে দেশের মোট ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর
মধ্যে প্রায় ৯০ ভাগ মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার করলেও এর দাম বেশ চড়া।বর্তমানে যে মূল্যে মোবাইল ইন্টারনেট বিক্রি হচ্ছে তার থেকে দাম কমাতে গেলে কেবল ব্যান্ডউইথের দাম কামলেই
হবে না। এ ক্ষেত্রেও কয়েকটি পক্ষ রয়েছে। সে সব
পক্ষকে বিবেচনায় এনে অানুপাতিক হারে খরচ
কমানো হলেই) কেবল মোবাইল ইন্টারনেটের দাম
কমবে বলে মনে করেন মোবাইলফোন অপারেটর
গ্রামীণফোনের চিফ করপোরেট অ্যাফেয়ার্স অফিসার মাহমুদ হোসেইন।
নেটওয়ার্ক খরচ, স্পেক্ট্রামের মূল্য,
যন্ত্রাংশ ও এর সেটঅাপ চার্জ
এবং মোবাইলফোন সেটের দাম
কমানো না হলে মোবাইল অপারেটরগুলোর
পক্ষে ইন্টারনেটের দাম কমানো সম্ভব হবে না।
সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়গুলোর প্রতি সুদৃষ্টি দেওয়ার
অাহবান জানান তিনি। যদিও মোবাইলফোন
অপারেটরগুলো ২০০৪ সাল
থেকে প্রতি কিলোবাইটের জন্য ২
পয়সা করে চার্জ করেছে একটানা ৯ বছর।প্রযুক্তিপ্
রেমীদের দীর্ঘদিনের অান্দোলন পরে ২০১৩
সালের জুন মাসে মোবাইলফোন
অপারেটরগুলো ইন্টারনেটের দাম কমায়।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ
সংস্থা বিটিআরসি মোবাইল ফোন
অপারেটরগুলোর সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক
করে ইন্টারনেটের দাম কমায়। কিন্তু তারপরও
মোবাইল ইন্টারনেটের এখন যা দাম তা-ও অনেক
বেশি বলে মনে করেন এর ব্যবহারকারী,
অান্দোলনকারী বিভিন্ন সংগঠনের সদস্যরা। এ
প্রসঙ্গে অাইসিটি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ব্যান্ডউইথ
সরবারহকারী এবং ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের
মাঝ খানে যারা সার্ভিস দিচ্ছেন তাদের
ক্ষেত্রে কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যায়, কী পদক্ষেপ
নিলে গ্রাহক পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহার খরচ
কমবে সে উপায় খুঁজে বের করা হবে। শিগগিরই
ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা এ সুফল ভোগ করবেন
বলে তিনি জানান।
Wednesday, 25 February 2015
National Identity Card Processing (PART:2)
জাতীয় পরিচয় পত্র হারিয়ে গেলে, ভুল থাকলে অথবা নতুন
পরিচয়পত্র করতে গেলে কি করবেন?
নাম পরিবর্তনঃ
জাতীয় পরিচয়পত্রে নিজের নাম বদল করতে হলে আবেদনপত্রের
সঙ্গে জমা দিতে হবে এসএসসি বা সমমানের সনদের সত্যায়িত
ফটোকপি (শিক্ষাগত যোগ্যতা এর নিচে হলে দেয়ার দরকার
নেই), বিবাহিত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে স্ত্রী বা স্বামীর জাতীয়
পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, ম্যাজিস্ট্রেট
কোর্টে সম্পাদিত এফিডেভিট এবং জাতীয় পত্রিকায়
প্রকাশিত নাম পরিবর্তনসংক্রান্ত বিজ্ঞাপনের কপি। নাম
পরিবর্তনের জন্য প্রার্থীকে শুনানির দিন প্রকল্পের
কার্যালয়ে কাগজপত্রের মূল কপিসহ হাজির হতে হবে।
স্বামীর নাম সংযোজন বা বাদ দেওয়াঃ
বিয়ের পর কেউ জাতীয় পরিচয়পত্রে স্বামীর নাম যুক্ত
করতে চাইলে তাকে কাবিননামা ও স্বামীর জাতীয় পরিচয়পত্র
আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে। আর বিবাহবিচ্ছেদের
কারণে স্বামীর নাম বাদ
দিতে চাইলে আবেদনকারীকে তালাকনামার সত্যায়িত
কপি জমা দিতে হবে।
পিতা বা মাতার নাম পরিবর্তনঃ
পিতা বা মাতার নাম পরিবর্তন করতে হলে আবেদনপত্রের
সঙ্গে জমা দিতে হবে এসএসসি বা এইচএসসি বা সমমান
পরীক্ষার সনদ অথবা রেজিস্ট্রেশন কার্ড। পিতা বা মাতার
পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি।পিতা বা মাতা বা উভয়ে মৃত হলে দিতে হবে ভাই বা বোনের
পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি। পিতা-মাতার নাম
পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা আবেদনকারীর
সাক্ষাৎকার নিতে পারেন।
জন্মতারিখ সংশোধনঃ
যাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা সমমানের , তাদের
আবেদনপত্রের সঙ্গে এসএসসি বা সমমানের সনদের সত্যায়িত
ফটোকপি জমা দিতে হবে। বয়সের পার্থক্য অস্বাভাবিক
না হলে প্রাপ্তি স্বীকারপত্রে উল্লেখ
করা তারিখে সংশোধিত পরিচয়পত্র বিতরণ করা হয়।
অস্বাভাবিক পরিবর্তনের ক্ষেত্রে সনদের মূল কপি প্রদর্শন
কিংবা ব্যক্তিগত শুনানিতে অংশ নিতে হতে পারে। যাদের
শিক্ষাগত যোগ্যতা এসএসসি বা সমমানের কম, তাদের
জন্মতারিখ সংশোধনের জন্য আবেদনপত্রের
সঙ্গে জমা দিতে হবে জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার আগের
তারিখে পাওয়া সার্ভিস বুক বা এমপিওর কপি,
ড্রাইভিং লাইসেন্স, জন্ম সদন, নিকাহনামা, পাসপোর্টের
কপি প্রভৃতি। এ ক্ষেত্রে প্রকল্প কার্যালয়ে সংশ্লিষ্ট
কর্মকর্তা বা প্রকল্প পরিচালক আবেদনকারীর সাক্ষাৎকার
নিয়ে থাকেন। এ ছাড়া দরকার হলে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন
কর্মকর্তার মাধ্যমে সরেজমিনে তদন্ত করা হয়।
Chris Gayle became the First batsman in World Cup history to score a double century.
Chris Gayle was struggling for form heading into the
2015 ICC Cricket World Cup against Zimbabwe at the
Manuka Oval in Canberra. He had not scored a century
for close to 20 months and there was some criticism
regarding his form. However, on a gloomy afternoon, he
spectacularly turned his form around and brightened the
mood in the West Indies camp. It was a record-breaking
exhibition of batting by Gayle and his knock, along with
his partnership with Marlon Samuels, broke several
World records in the process. Here is a look at the
records that have been broken in this match:
Chris Gayle blasted 215 off 146 balls. This is the first
time that a double century has been scored in World
Cups. The previous best was 188* by Gary Kirsten
against the UAE in 1996.
Marlon Samuels and Gayle shared a 372-run stand for
the second wicket. This is a world record stand for
any wicket in ODIs. The previous highest partnership
was 331 between Sachin Tendulkar and Rahul Dravid
against New Zealand in Hyderabad in 1999. This was
also the highest partnership in World Cups, going
past 318 set by Sourav Ganguly and Dravid against
Sri Lanka in Taunton in 1999.
Gayle notched up his double century off 138 balls,
the fastest ever double century in ODIs.
Gayle's score is the highest individual score by a
West Indies batsman in ODIs. The previous highest
score by a West Indies batsman in ODIs was 189 by
Sir Viv Richards against England in Old Trafford in
1984.
Gayle become the second man to hit over 400 sixes
in international cricket (229 ODIs, 98 in Tests and 87
in T20Is). Only Shahid Afridi has hit more sixes in
cricket than Gayle.
Gayle equalled the record of most sixes hit in ODIs.
He hit 16 sixes in the innings, tied with Rohit
Sharma and AB de Villiers. However, this is the most
in a World Cup innings, going past the mark of nine
sixes set by David Miller against Zimbabwe in
Hamilton recently.
Gayle became the first non-Indian batsman to score
a double century in ODIs. This is the first double-
century outside the sub-continent as well. This is
the fifth double century in ODIs.
Gayle is the only cricketer currently to have scored a
hundred in T20Is, double hundred in ODIs and a triple
hundred in Tests.
পেসার "ওয়েন পারনেল"
দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় ক্রিকেট
দলের পেসার "ওয়েন পারনেল" । তিনি খ্রিষ্টান ধর্ম
থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণে উদ্বুদ্ধ হন ।
ব্যক্তিগত গবেষণা ও ভাবনা থেকেই
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন তিনি ।
ইসলাম ধর্মগ্রহণের সত্যতা নিশ্চিত
করে পারনেল জানান,
অনেকদিন আগে থেকেই ইসলামের
প্রতি এক ধরনের অনুরাগ জন্মেছিল
তার । নতুন ধর্ম গ্রহণ করার পর
পারনেল তার নাম পরিবর্তন করে
"ওয়েন পারনেল" থেকে
"ওয়ালিদ পারনেল" রেখেছেন ।
"ওয়ালিদ" অর্থ 'সদ্য ভূমিষ্ঠ পুত্র
সন্তান'। পোর্ট এলিজাবেথে জন্ম
নেয়া পারনেল বলেছেন, "নতুন ধর্ম
অনুসরণের ব্যাপারটি তিনি খুব
গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছিলেন ।
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করানোর পেছনে
তার সতীর্থ হাশিম আমলা বা
ইমরান তাহিরের কোনো হাত নেই ।
এখন থেকে তিনি শ্রদ্ধার সঙ্গে নতুন
ধর্মের নিয়ম কানুন পালন করবেন ।
ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর মুসলমানদের
জন্য নিষিদ্ধ কোনো অ্যালকোহল
স্পর্শ করেননি তিনি ।
একই সঙ্গে তার প্রতি আগ্রহ থাকায়
ভক্তদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন
তিনি।"
National Identity Card Processing (Part:1)
জাতীয় পরিচয় পত্র হারিয়ে গেলে, ভুল থাকলে অথবা নতুন
পরিচয়পত্র করতে গেলে কি করবেন? এছাড়াও অনেককেই জাতীয়
পরিচয়পত্রের বিভিন্ন
ভুলভ্রান্তি নিয়ে ভোগান্তি পোহাতে হয়। আবার যারা নতুন
পরিচয়পত্র করতে চান তারাও এ বিষয়ে অনেকে অজ্ঞ।
কিভাবে করব, কোথায় করব, কি কি লাগবে ইত্যাদি বিষয়
জানেন না। আর এ সমস্যা সমাধানের জন্য কিছু পদ্ধতি অনুসরণ
করলে আশা করি সবাই উপকার পাবেন।
পরিচয়পত্রে নিজের নাম, পিতা, মাতা, স্বামী, স্ত্রী ও
অভিভাবকের নাম, জন্মতারিখ, রক্তের গ্রুপ
এবং ঠিকানা সংশোধন কিংবা বদল করতে হতে পারে। এ জন্য
প্রার্থীকে সাদা কাগজে ‘ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন
এবং জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানে সহায়তা প্রদান প্রকল্প’- এর
পরিচালকেরকাছে আবেদন করতে হবে। এই আবেদন আগারগাঁওয়ের
ইসলামিক ফাউন্ডেশন ভবনের সপ্তম তলায় প্রকল্প
কার্যালয়ে পাওয়া ছক বা ফরমেও করা যায়।
ফরম পূরণ করে প্রকল্প কার্যালয়ের নির্দিষ্ট
কাউন্টারে জমা দেওয়ার পর সেখান
থেকে প্রাপ্তি স্বীকারপত্র (প্রাপ্তি নম্বরসংবলিত)
দেওয়া হয়। এতে সংশোধিত জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার তারিখ
উল্লেখ থাকবে। এই তারিখের সাত দিনের মধ্যে কাউন্টার
থেকে সংশোধিত পরিচয়পত্র নিতে হবে।
নাম সংশোধনঃ কেউ পরিচয়পত্রে থাকা নিজের নাম, পিতা,
স্বামী কিংবা মাতার নাম সংশোধন
করতে চাইলে তাকে আবেদনপত্রের সঙ্গে জমা দিতে হবে-
১। এসএসসি বা সমমান সনদ
২। নাগরিকত্ব সনদ
৩। জন্মনিবন্ধন সনদ
৪। চাকরির প্রমাণপত্র
৫। পাসপোর্ট
৬। নিকাহনামা
৭। পিতা, স্বামী কিংবা মাতার জাতীয় পরিচয়পত্রের
ফটোকপি। আবেদনপত্রের সঙ্গে সংযুক্ত এসব নথি অবশ্যই
সত্যায়িত হতে হবে। এ ক্ষেত্রে উল্লেখ করা নথির যার
যেটি আছে, শুধু সেটি দিলেই চলবে। যেমন, যার শিক্ষাগত
যোগ্যতা এসএসসির কম, তাকে এসএসসি বা সমমানের সনদের
ফটোকপি জমা দিতে হবে না। আবার কেউ
যদি চাকরি না করেন, তাকে চাকরির প্রমাণপত্র
দিতে হবে না। আবার পাসপোর্ট না থাকলে তা দেয়ার দরকার
নেই।
Sunday, 22 February 2015
Once Upon A Time In Sylhet
কালের বিবর্তনে সিলেটের ওসমানী নগরের এককালের উত্তাল
রত্না নদী হারিয়েছে তার স্রোত, যৌবন ও পেটের ক্ষুধা।
বর্তমানে এ নদী নাম পরিবর্তিত হয়ে বিভিন্ন এলাকায়
বিভিন্ন নামে পরিচিতি পাচ্ছে। ইতিহাস সাক্ষ্যে প্রমাণিত
হয় এই নদীর আয়তন ছিল প্রায় ১৫ কিলোমিটার। কিন্তু
বর্তমানে তার এক তৃতীয়াংশও খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। কথিত আছে,
সুরমা নদী হয়ে জাহাজ, লঞ্চ রত্না নদীর ঢেউয়ের
সাথে খেলা করে গোয়ালাবাজারের গয়নাঘাটে ভিড়তো।
ব্রিটিশ বেনিয়াগোষ্ঠী ব্যবসা করতে এ স্থানে আসতো।
১৬৬২ সালে মোঘল বাদশাহ শাহজাহান সিলেট ভ্রমণের সময়
৭টি জাহাজ নিয়ে এ নদী দেখতে এসেছিলেন। ফেরার
পথে ঢেউয়ের তোড়ে ১টি জাহাজ ডুবে যায়।
যেটি পরবর্তীতে আর উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ১৯৯৭
সালে ইসবপুর গ্রামের একটি পুকুর খননকালে জাহাজের মাস্তুল
পাওয়া গিয়েছিল। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে নানা রকমের
পিতলের সামগ্রী পাওয়া গেছে বলে প্রবীণরা জানান।
মহাভারত ও শ্রীচৈতন্য চরিতামৃত আকর গ্রন্থে এ নদীর উল্লেখ্য
আছে। ব্রিটিশ আমলে পিতল ও কাসার ব্যবসা ছিল তুঙ্গে আর
তাই রত্না নদীর বুকে বড় বড় জাহাজ ভাসতো। সে সময়ের
রাজা-বাদশারা ভ্রমণে আসতেন বাহারী নৌকা নিয়ে।
একদা প্রমত্তা রত্না নদী পরিবর্তনের ধারায় প্রকৃতির
কাছে আত্মসমর্পণ করে খাল বলে চিহ্নিত হলেও ইতিহাস
তাকে নদী হিসাবে ধরে রেখেছে সযত্নে
Saturday, 21 February 2015
We Love Our Bangla
দুই বাংলাকে এক করে দেওয়ার জন্য দুই দেশের সরকারের
কাছে অনুরোধ করেছেন পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নায়ক
দেব। তিনি বলেছেন, দুই বাংলার স্বপ্ন এক, ইচ্ছেও এক। সব
কিছুই এক। তাই দুই বাংলার এক হওয়া দরকার।
আজ শুক্রবার রাজধানীর একটি হোটেলে সাংস্কৃতিক
ব্যক্তিত্বদের সাথে মতবিনিময়কালে দেব এ কথা বলেন।
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের
সাথে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের এই মতবিনিময়
সভার আয়োজন করে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন, যার নাম
দেওয়া হয়েছিল ‘বৈঠকী বাংলা’।
অনুষ্ঠানে আবেগাপ্লুত দেব বলেন, ‘আমাদের ভাষাটা (বাংলা)
পৃথিবীতে পঞ্চম স্থানে। আমি জানি, আমরা কেউ
এটা আমাদের জন্য করছি না। আমাদের জীবনটা খুব
ভালো কেটেছে, বা কেটেও যাবে। কিন্তু
সমাজে আমরা যে স্থানটাতে আছি, এটা আমাদের দায়িত্ব, এই
ভাষাটাকে নিয়ে আমাদের কিছু বলা উচিত। সেই
কারণে হয়তো আমরা এখানে এসেছি। আমাদের স্বপ্ন এক,
আমাদের ইচ্ছেটাও। সব কিছুই যখন এক, তাহলে আমরা দুই
সরকারকে বলি যে প্লিজ, এপার বাংলা, ওপার বাংলাকে এক
বাংলা করে দাও।’
অনুষ্ঠানে ভারতের বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ
বলেন, ‘আমি আপ্লুত। এত পরিচিত বন্ধুবান্ধব। হৃদয়ের টান। আমার
একটা ছোট্ট কথা বলার। ৬৭-৬৮ বছর আগে এপার বাংলা, ওপার
বাংলা হয়ে গিয়েছিল। তারপর অনেক কাণ্ড ঘটে গেছে। এখন
থেকে এপার বাংলা, ওপার বাংলা না বললেই বোধহয় ভালো।’
গৌতম বলেন, ‘বাংলার গান, বাংলার সাহিত্য, বাংলার নাটক,
বাংলা সিনেমা। সেটা কোন দেশের তা নয়, সেটা সমগ্র
বাঙালির। তার কারণ, বাংলা ভাষা হচ্ছে আমাদের গুরু।
আমরা এখন থেকে শুধু মনে করি যেন দুই বাংলা সংস্কৃতির দিক
দিয়ে একটাই। (তাহলে) আমার মনে হয়, আমরা অনেকটাই
এগিয়ে যাব।’
Is It Really Politics
বাংলাদেশে এখন শুধুই একে অন্যের বিরুধ্যে প্রতিশোধের রাজনীতি চলছে, এ যেন রাজনীতিতে দুই পরিবারের আখেরী খেলা - এই কারণেই প্রতিশোধের নেশা কার বেশি তা মাপার ব্যারোমিটারও দরকার নেই --- সেই প্রতিশোধের মাধ্যম হলো ক্ষমতা --- আর,এফ, এল, এর ভাষায় বলি, "যতই কান্নাকাটি করুক না কেন সাধারণ জনগণ, কোনো লাভ নাই - দুইজনকে প্রতিশোধের নেশা থেকে ফেরাতে পারবে না" -- অথবা লাকি আকন্দ এর গানের মতো, "মোদের ডেকো না, ফেরানো যাবে না, যে খেলায় নেমেছি, পরাজয় মানব না"
Love Our Foreigners
Friday, 20 February 2015
"বোর্ড পরীক্ষার সার্টিফিকেট হারিয়ে গেলে আপনার যা করনীয়"
একটি ছাত্রের শিক্ষাজীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ
সার্টিফিকেট আর তা হারিয়ে গেলে ভীষণ চিন্তায় পড়ে যান
অনেকেই। কী করবেন, কিভাবে সার্টিফিকেট ফিরে পাবেন
তা বুঝতে পারেন না। সার্টিফিকেট বা এ ধরনের মূল্যবান
শিক্ষাসংক্রান্ত কাগজপত্র হারালে বা নষ্ট
হয়ে গেলে ঘাবড়ানোর কিছু নেই।
প্রথমে যা করবেনঃ
সার্টিফিকেট, নম্বরপত্র বা প্রবেশপত্র
হারিয়ে গেলে দেরি না করে এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ
নেওয়া উচিত। এর জন্য প্রথমে আপনার এলাকার
নিকটবর্তী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে।
জিডির একটি কপি অবশ্যই নিজের কাছে রাখতে হবে। এরপর
যেকোনো একটি দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে নাম, শাখা, পরীক্ষার কেন্দ্র, রোল নম্বর,
পাসের সাল, বোর্ডের নাম এবং কিভাবে আপনি সাটিফিকেট,
নম্বরপত্র অথবা প্রবেশপত্র হারিয়েছেন তা সংক্ষেপে উল্লেখ
করতে হবে।
থানায় জিডি ও পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর
আপনাকে যেতে হবে যে বোর্ডের অধীনে পরীক্ষা দিয়েছেন
সেই শিক্ষা বোর্ডে। শিক্ষাবোর্ডের ‘তথ্যসংগ্রহ কেন্দ্র’
থেকে আবেদনপত্র সংগ্রহের পর নির্ভুলভাবে পূরণ করতে হবে।
এরপর নির্ধারিত ফি সোনালী ব্যাংকের ডিমান্ড ড্রাফটের
মাধ্যমে বোর্ডের সচিব বরাবর জমা দিতে হবে।
টাকা জমা হওয়ার পর আবেদন কার্যকর হবে। আবেদনপত্রের
সঙ্গে মূল ব্যাংক ড্রাফট, পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তির কাটিং ও
থানার জিডির কপি জমা দিতে হবে।
আবেদনপত্রে যা পূরণ করতে হবেঃ
আবেদনপত্র পূরণের ক্ষেত্রে প্রথমেই উল্লেখ
করতে হবে আপনি কোন পরীক্ষার (মাধ্যমিক না উচ্চমাধ্যমিক)
কী হারিয়েছেন এবং কী কারণে আবেদন করছেন। আবেদনপত্রের
বিভিন্ন অংশে ইংরেজি বড় অক্ষরে এবং বাংলায় স্পষ্ট
অক্ষরে পূর্ণ নাম, মাতার নাম, পিতার নাম, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠা
নের নাম, রোল নম্বর, পাশের বিভাগ/জিপিএ, শাখা,
রেজিস্ট্রেশন নম্বর, শিক্ষাবর্ষ এবং জন্মতারিখ সহ বিভিন্ন
তথ্য লিখতে হবে।
পরবর্তী অংশে জাতীয়তা, বিজ্ঞপ্তি যে দৈনিক পত্রিকায়
প্রকাশিত হয়েছে সেটির নাম ও তারিখ
এবং সোনালী ব্যাংকের যে শাখায় ব্যাংক ড্রাফট করেছেন
সে শাখার নাম, ড্রাফট নম্বর ও তারিখ উল্লেখ করতে হবে।
আবেদনপত্রে প্রতিষ্ঠান প্রধানের সুপারিশের প্রয়োজন হবে।
এতে তার দস্তখত ও নামসহ সিলমোহর থাকতে হবে। আর
প্রাইভেট প্রার্থীদের আবেদনপত্র অবশ্যই গেজেটেড কর্মকর্তার
স্বাক্ষর ও নামসহ সিলমোহর থাকতে হবে।
নষ্ট হয়ে যাওয়া সনদপত্র/নম্বরপত্র/একাডেমিক ট্রান্সক্রিপ্টের
অংশবিশেষ থাকলে পত্রিকায়
বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে না বা থানায় জিডি করতে হবে না। এ
ক্ষেত্রে আবেদনপত্রের সঙ্গে ওই অংশবিশেষ জমা দিতে হবে।
তবে সনদে ও নম্বরপত্রের অংশবিশেষে নাম, রোল নম্বর, কেন্দ্র,
পাশের বিভাগ ও সন, জন্ম তারিখ ও পরীক্ষার নাম
না থাকলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। আর
বিদেশি নাগরিককে ব্যাংক ড্রাফটসহ নিজ সরকারের
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।
কত টাকা লাগবেঃ
সাময়িক সনদ, নম্বরপত্র, প্রবেশপত্র ফি (জরুরি ফিসহ) ১৩০
টাকা। এ ছাড়া ত্রি-নকলের জন্য ১৫০ টাকা এবং চৌ-নকলের
জন্য ২৫০ টাকা ব্যাংক ড্রাফটের মাধ্যমে জমা দিতে হয়।
কমেন্ট ও শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকুন।
আপনাদের সুখী জীবন আমাদের কাম্য।ধন্যবাদ।