Sunday, 29 May 2016

বিষণ্ণ এক ঈদ

চেয়ে আছি ছোট্ট দুটি খোকা-খুকির দিকে,

লাল-জামা আর চুড়ি না পেয়ে ঈদটা হবে ফিকে,

ফিরনি-পায়েস ঘরে-ঘরে,সন্দেশের ঘ্রাণ নাকে,

বৃষ্টি পড়ে ওরা তাকায়- চালের ফোটার ফাকে,

কেউ ডাকে বুয়া আমায়,কেউবা খালা,

সারাদিন খেটে যাই- বোঝেনা কেউ মনের জ্বালা,

চলে যায় বাড়ি সবে- অফিস,কলেজ,ভার্সিটি পেয়ে ছুটি,

ভাবে না একবার ও কেউ- জুটবে কি বুয়ার রুটি?

বছর শেষে ঈদ আসে নিয়ে আনন্দের বন্যা,

একরাশ ব্যথা চাপা দিয়ে চলছি গরিবের কন্যা।

Wednesday, 25 May 2016

স্মৃতির আড়াত আম

বাক্কা দিন বাদে বাড়িত আইলাম। খত দিন বাদে জে আইজ সূর্য উঠা দেখলাম ! টাউনও তো ছান, সুরুজ, তেরা ইতা আছে বলিয়াউ মনো ওয় না । আব্বা আর আম্মা ও গেছলা, বাদে তারা আইচ্ছইন, আমি আম ও তুকাইছি । কোন এখ সময় মেঘ দিলে দৌরিয়া গিয়া তুকাইয়া আনতাম। অখন আম-উম তুকাই না, এমনে সুন্দর লাগছিল অতার লাগি তুকাইলাম। জানস নি বরাফা, আব্বা বাড়িত আছলানা, অতার লাগি আম গাছ ও উঠছিলাম, বাদে দেখি আম্মা আইয়া গালইয়াইরা খেনে গাছো উঠলাম? আমার ও দেখি ফাউয়ে-উয়ে খাপ আরম্ভ অইছে। আগে আগে ইতা গাছো খত উঠা উঠছি। কিতা আর খরমু, আদাখান থাকি নামিগেলাম। বাদে আমরা ফুকরি ফাড়র জে গাছওখল অগুইন থাকি জত আম ফারছি।
মন অইছিল ১৪ বছরর হউ ফোয়া, যেগুরে তুমরা গালইয়াইয়া লামাইয়া আনতে,ঘরর মাজে আম আনার লাগি ও গাইল হুনতাম “খাছ না তে ইতা আনছ খেনে?” ঘরর আগর টা থনে ও ফারছিলাম। ফুরুত্তাইন ও আইয়া জততা দলা অইছলা, হতা ঘরইন্তর ফুফুইন অখল ও আইছলা। ফুরুত্তাইন্তরে বাটিয়া দিয়া হতা ঘরইন্ত ও বাটিয়া দিলাম। গেলবার তুই আইছলে দেশো। তুই টেংগা খাছ না, বাট আমরার লাগি খত জাতর আছার অখল বানাইতে। তরে সারপ্রাইজ খরার লাগি, তুই আইবার আগে গাছর জত আম দি (তিন কেজি ত অইব) আছার বানাইতাম আছলাম, ই সময় আম্মা বাড়িত আছলা না। আব্বায় দেখলেও কিচ্ছু খইছইন না। বাদে নো হখল আম নষ্ট অইযাইতো! ই বার আম্মায় তরে গুর দি আমর ছটা বানাইয়া দিছইন। জানস নি বরফা, আমরা ডালাইর উফরর জে আম গাছ , ইকটাত ত দেখিয়া আইরে হখল বার ও কিলা আম ধরে, এখটা আমো আত দি ফারচিনা। বুবির লাখান অল অলাইয়া আমর ছবি ও তরে দিসি না। দিয়া কিতা অইত! দেখিয়া তো এখলা এখলা খানবে..........

Saturday, 21 May 2016

ছিলট জননী (সনেট)


বঙ্গ মা’র আল্লাদর ছিলট জননী,
পাহাড়ি ফুরি, আখালুকির জলপরী।
খাল-বিল আওরো,বডারো ছকিধারী;
ঘুমো তোমার কোরো এমেজি ওসমানী,
নিরাই হুতন শাজালালইয়েমেনী;
ছিলটি আর খাসিয়া আছে মনিপুরী।
মিঠা তোর মাথ, মাগো, হরফ নাগরী!
কমলা,হাতখরা, চা’র নু রাজধানী।
.
ডেউ ডেউ সুরমা তোমার অলংকার,
বাড়িত গুয়া, পাহাড়ো পানোর আবাদ।
আদি-ছাটির দেশো মরি করি কান্দন,
হাছন করিমর সুরো বন্দনা তার।
স্বাধীন-বেশে বাংলাদেশ, আশীর্বাদ,
সালাম, জানাই- আজারো অভিনন্দন।
[[নাগরি বর্ণে লেখা এখটা সনেট ]]

<== Bangla Version ==>
ছিলট জননী
বঙ্গ মায়ের সুকন্যা ছিলট জননী,
পাহাড়ি-কন্যা, হাকালুকির জলপরী।
খাল-বিল হাওরে, সীমান্তে প্রহরী।
ঘুমিয়ে তোর কোলে এমেজি ওসমানী;
শান্তি শয়নে শাহজালাল ইয়েমেনী;
ছিলটি কিবা খাসিয়া আছে মনিপুরী।
মুগ্ধ তোর ভাষা, মাগো, বর্ণ নাগরী!
কমলা,সাতখরা, চায়ের রাজধানী।

স্রোতস্বিনী সুরমা তোর অলংকার,
বাড়িতে সুপারি, পাহাড়ে পানের আবাদ;
শীতল-পাঠির দেশে মরি এ ক্রন্দন,
হাছন করিমের সুরে বন্দনা তার।
স্বাধীন-বেশে বাংলাদেশ, আশীর্বাদ,
সালাম, জানাই- সহস্র অভিনন্দন।

ডাচ্-বাংলা ব্যাংক অর শিক্ষা বৃত্তি

বাংলাদেশো ডাচ্-বাংলা ব্যাংক তার শিক্ষা বির্তি কর্মসূচীর বিতরে দেশর বউত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানর উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায় অ লেখাফরা খরা মেধাবী আর টেখাপয়সায় অসচ্ছল ছাত্র-ছাত্রী অখলরে বির্তি দিয়া আড়। অউ ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালর এসএসসি/ সমমান পরীক্ষাত পাস মেধাবি আর শিক্ষাক্ষেত্রর মাঝে টেখাপয়সায় শাইয্য প্রত্যাশী শিক্ষার্থী অখলরে বির্তি প্রদান করব ডাচ্-বাংলা ব্যাংক।

বির্তির পরিমাণ আর সময়কালঃ
শিক্ষার স্তরঃ এইচ.এস.সি.
সময়সীমাঃ ২ বছর
মাসিক বির্তিঃ ২,০০০ টেখা
বছরি অনুদানঃ লেখাফরার বইখাতা-বাতার লাগি এখলগে ২৫০০ টেখা আর খাফর ছোফরর লাগি ১,০০০ টেখা
আবেদন খরার নিয়ম আর শর্তঅখলঃ
ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ওর শিক্ষা বির্তির আবেদন ওর প্রক্রিয়া গেলবারর লাখান ঔবারো অনলাইনো খরা অইছে। অতার লাগি সরাসরি কোনো আবেদন নেওয়া অইত নায়। আউকা জানি লাই কিলা অনলাইনো আবেদন খরা লাগবঃ
বির্তির লাগি আবেদনর যোগ্যতাঃ
সিটি কর্পোরেশন এলাকাত থাখা ইস্কুল/শিক্ষা প্রতিষ্ঠানর লাগিঃ খমর মাঝে জিপিএ ৫.০০ (চতুর্থ বিষয় বাদে, হখল গ্রুফর লাগি)
জেলা শহর এলাকাত থাখা ইস্কুল/শিক্ষা প্রতিষ্ঠানর লাগিঃ খমর মাঝে জিপিএ ৪.৮৮ (চতুর্থ বিষয় বাদে, হখল গ্রুফর লাগি)
গাওর খরলামাইল অঞ্চলওখলর ইস্কুল/শিক্ষা প্রতিষ্ঠানর লাগিঃ খমর মাঝে জিপিএ ৪.৭০ (চতুর্থ বিষয় বাদে, হখল গ্রুফর লাগি)
বির্তির হখল গুরুত্বপূর্ণ তারিখঃ
আবেদন শুরু অইছে ১৫ মে ২০১৬ থনে ।
আবেদনের শেষ তারিখঃ ৩১ জুলাই ২০১৬ ফর্যন্ত।
ওয়েবসাইটর মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে বাছাইখরা অখলর তালিকা প্রকাশঃ ১০ আগস্ট ২০১৬।
প্রাথমিকভাবে বাছাইখরা অখলর হখল কাগজপত্রের
সত্যতা যাচাইয়র লাগি ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ওর যেছা শাখাত নাইলে মোবাইল ব্যাংকিং অফিসো
উপস্থিত অওয়ার তারিখঃ ১১ আগস্ট ২০১৬ – ৩১
আগস্ট ২০১৬।

Thursday, 19 May 2016

হখলোর উফরে যাইবার লড়াইয়ো বাংলাদেশি অ্যাপ

যুক্তরাষ্ট্রর মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার আয়োঝন খরা হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা ‘নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৬’র ছূড়ান্ত পর্বর পিপলস চয়েজ ক্যাটাগরিত উফরে উঠার লড়াইয়ো রইছে বাংলাদেশি প্রকল্প মার্শিয়ান ওয়েসিস। অনলাইন ভোটর মাধ্যমে পাঁচটা প্রকল্প থনে ছূড়ান্ত বিজয়ী নির্বাচন খরা অইব। অনলাইনো ভোট দিয়া ই প্রকল্পটারে হখলোর উফরে লইয়া যাওয়া লাগবো।

বেসিসর উদ্যোগে বাংলাদেশো আয়োঝিত নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৬ প্রতিযোগিতাত চিটাগাং ওর আঞ্চলিক পর্যায়ো পিপলস চয়েজ ওর ক্যাটাগরিত আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার লাগি বাছা অইছিল প্রকল্পটা।

বেসিসর পরিচালক আর নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৬-র আহ্বায়ক আরিফুল হাসান অপু প্রথম আলোরে খইছইন, বিশ্বর ২২০ টার থনে বেশি শহররে খরেদি ফালাইয়া বাংলাদেশি প্রকল্প ‘মার্শিয়ান ওয়েসিস’ সেরা ৫-এর মাঝে আইচ্চে। একটা বাংলাদেশর লাগি ঝে খুশি আর গর্বর বেফার। জেরা ভোট দিয়া প্রকল্পটারে অউ পর্যায়ো লইয়া আইছইন, তারাের ধন্যবাদ। অখন ইগুরে হখলোর উফরে লইয়া যাওয়ার লাগি আগামী দুই দিন আরও ভোট দেওয়া লাগবো। ২০ তারিখ পর্যন্ত ভোট দেওয়া যাইব।
মার্শিয়ান ওয়েসিস প্রকল্পটারে ভোট দেওয়ার লাগি ফয়লা ( https://2016.spaceappschallenge.org/ ) সাইটো গিয়া আনা টেখায় একটা অ্যাকাউন্ট খুলা লাগব। বাদে ( https://2016.spaceappschallenge.org/challenges/mars/simspace/projects/martianoasis ) লিংকো গিয়া ভোট দেওয়া যাইবো। একটা অ্যাকাউন্ট থনে দিন একবার ভোট দেওয়া যাইব।

[[আমাদের পোস্ট গুলো পড়তে শেয়ার করে আপনার টাইমলাইন এ রেখে দিন।]]

Saturday, 14 May 2016

জিপি সিমো দারুন অফার মাত্র ১৯ টেকায় ১ জিবি ইন্টারনেট

আশা খরি হখল বালা আছইন, আমিও বালা আছি' বেশি মাথথাম উত্তাম নায়। হেশে বিরক্ত অইজাইবা।আওকা জানি লাই কিলা আফনে
জিপিত ১৯ টেকা দি ১জিবি ইন্টারনেট নিতা ফারবা।

আফনারা বউতে অয়ত মন খররা ১৯ টেকা দি ১জিবি মন খয় “হখল সময় “ব্যবহার খরা জাইতো নায়।না না, ইকটা দিন/রাইত ২৪ ঘন্টাই ব্যবহার
খরা যাইব।

তুরা শর্ত আছে আকিঃ
আফনার সিম রে অবশ্যই বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রি-রেজিশট্রেশন খরা লাগব।
সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতেরি-রেজিশট্রেশন খরার বাদে আফনে খালি ১বার নিতা ফারবা। অফারটি নেওয়ার লাগি
আফনার একাউন্টে ১৯ টেকা তইয়া *৫০০০*২০০# ডায়াল খরকা। এর বাদে আফনি ১জিবি ইন্টারনেট ৫দিনর লাগি ফাই যাইবা।


Tuesday, 10 May 2016

পেরত্নির ডর


পেরত্নির ডর 

বাঘর ডরে উঠি গাছে,
আগার মাঝে দেখি পেরত্নি নাছে,
ওরে পেরত্নি হবায় যা,
যারে পাছ, তারে খা,
একটা, দুইটা, তিনটা করি,
হখলটির ঘাড় ধরি,
আমারে রাখিয়া অতারে লইয়া-
যা,আন্দাইরো মিলাইয়া যা।
অমাবস্যাত ঝনী পোক জ্বলে,
দেখিইয়া শাওস ডেখইর তুলে,
ধামকি দেওয়ায় পেরত্নি বাগে,
আনন্দ অতার লাগি মনর মাঝে।






      পেত্নী ভয়


 বাঘের ডরে উঠি গাছে, 
আগায় দেখি পেত্নী নাছে, 
ওরে পেত্নী ঐদিকে যা,
যাকে পাস, তাকে খা,

একটা, দুটা, তিনটা করে,
সবগুলার ঘাড়ে ধরে,
আমায় রেখে ওদের নিয়ে-
যা,আধাঁরে মিলিয়ে যা।
অমাবস্যায় জোনাক জ্বলে,
দেখে সাহস হাই তুলে,
ধমকানিতে পেত্নী তাড়ায়,
আনন্দ তাই মনর কোণায়।


Friday, 6 May 2016

মাতৃভাষা


 জন্মের পরেই পেয়েছি তোমারে,
       শুনিয়া মায়ে র মুখের ধ্বনিরে।
তুমি আমার মায়ের ভাষা,
           তাই তুমি ছাড়া মিটে কি আশা।
জেনেছি তোমারও আছে লেখার বর্ণ,
                   যাহার নাম 'নাগরি' বর্ণ।
শুনে তোমারই নাগরি বর্ণ,
                    জোড়ায় আমার কর্ণ।
তুমি ত দিযেছ মা মধুর সেই ভাষা,
            তাই ছিলটি মোর মাতৃভাষা।
তোমারে করিতে স্বাধীন,
   তোমার দামাল ছেলেরা হবে প্রাণহীন।
তাই আজ আমরাও ঐক্যবদ্ধ,
            তোমরা সকলে হও বোধগম্য।
দাবী মোদের নাগরির স্বীকৃতি,
 আনব ছিনিয়ে এটা হবে মোদের কীর্তি।
যার ফলে পাব মোরা স্বাধীন নাগরি,
    তাই আজ এসো সবাই প্রতিজ্ঞা করি।
যদি যায় এই প্রাণ,
           হবো না ক মোরা ম্লান।
রব চির দৃঢ় প্রতিজ্ঞ,
   যাতে নাগরিতে থাকেনা কেউ অজ্ঞ।।
  ©আর জে হৃদয়

বর্ণ আমার "নাগরি"

নাগরি আমার বর্ণমালা,
নাগরি আমার গর্ব ,
নাগরির জন্য লড়ছি মোরা,
আজীবন লড়ে যাবো। 

তাই আজ করছি শপথ,
কখনো দেবোনা হারাতে,
নাগরি তোমাকে,
তুমি আমাদের বর্ণ,
হ্যা তুমি আমাদের গর্ব। 

ছিলটি আমার মায়ের ভাষা,
নাগরি তাহারি বর্ণ,
কে বলেছে মাগো তোমারি,
ভাষা অপূর্ণ। 

তোমার ভাষায় বলছি কথা মা,
লেখার জন্য দিয়েছ তুমি,
নাগরি বর্ণ, 
কে বলেছে মাগো তোমার,
ভাষা অপূর্ণ। 

ছিলটি আমার মায়ের ভাষা,
নাগরি তাহারি বর্ণ,
বর্ণ ভাষা দিয়ে তুমি মা,
করেছ "সম্পূর্ণ "। 

তাই আজ ,গর্বিত আমি,

গর্বিত মা,

গর্বিত ছিলটি বলে,

গর্বিত আমি,
গর্বিত মা,
আমার ভাষার, 
একটি বর্ণ আছে বলে।

© এ.এস পার্থ 'র- ব্লগ
৬/৫/১৬ ইং
(উৎসর্গ - সকল নাগরি ভাষাসৈনিকদের প্রতি)

নাগরি বর্ণের গণদাবী



মাগো, তোমার মাত-অর মর্যাদা
অখন ও পাইলাম না।
মা, অখনো মানুষর দুয়ারে দুয়ারে আঠি,
আতো থাকে বর্ণমালার পোস্টার,
জানিনা, আর কত দিন আঠা লাগবো?
তালাদেওয়া রুমো বইয়া করে গবেষণা,
নেয় পিএইছডি আর ডক্টরেট ডিগ্রী,
তোমার মাত আর বর্ণমালার
জাগা অয় আলমারিত ।
বৈশাগি হাওয়াত খাড়া আছলাম –
ইস্কুলর অউ ধারিত।
আখতা দেখি খরেদি ছাইয়া-
দশ, পনড্ড বা আরো বেশি
যেরা দলা অইছে অখনো,
মাত-অর লাগি, মা’র মাত-অর লাগি,
ছিলটি মাত-অর লাগি, তারা জান দিতে রাজী।
একটা অঞ্চলর মহান সংস্কৃতির মর্যাদার লাগি
মরমী কবি হাছন রাজার ঐতিহ্য রাখার লাগি,
আধ্যাতিক কবি শিতালং শাহ,
জ্ঞানের সাগর দূরবীন শাহ আর রাধা রমণ,
বাউল সম্রাট আবদুল করিমর
“ গাঁয়ের নওজোয়ান, হিন্দু-মুসলমান
মিলিয়া বাউলা গান আর মুর্শিদী গাইতাম”
গান অর লাগি,
মুন্সী সাদেক আলীর “হালতুন্নবী”
পুঁথি সাহিত্যর লাগি,
তারা আইজ পাড়ায় পাড়ায় আওয়াজ তুলে।

বায়ান্নত নিছে তারা আমার ভাইওর জান,
বাংলার লগে ছিলটি তারার রক্তর দান।
অউ ভাষাতে মাতি আমি,
মা কইয়া ডাকি।
অউ ভাষার নাগরি বর্ণে লেখমু
অউ দাবি রাখি।

 
Bangla Transliteration




মাগো, তোমার ভাষার মর্যাদা
এখনো পাইনি ।
মা, এখনো মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরি,
হাতে থাকে বর্ণমালার পোস্টার,
জানিনা, আর কত দিন হাঁটতে হবে?
তালাবদ্ধ রুমে বসে করে গবেষণা,
নেয় পিএইছডি আর ডক্টরেট ডিগ্রী,
তোমার ভাষা ও বর্ণমালার
জায়গা হয় আলমারিতে ।
বৈশাখী হাওয়ায় দাঁড়িয়ে ছিলাম –
স্কুলের ঐ বারান্দায়।
হঠাৎ দেখি পিছনে তাকিয়ে-
দশ, পনেরো বা আরো বেশি
যারা একত্রিত হয়েছে এখানে,
ভাষার জন্য, মাতৃভাষার জন্য,
ছিলটি ভাষার জন্য, তারা প্রান দিতে রাজী।
একটা অঞ্চলের মহান সংস্কৃতির মর্যাদার জন্য,
মরমী কবি হাছন রাজার ঐতিহ্য রক্ষার জন্য,
আধ্যাতিক কবি শিতালং শাহ,
জ্ঞানের সাগর দূরবীন শাহ আর রাধা রমণ,
বাউল সম্রাট আবদুল করিমের
“ গাঁয়ের নওজোয়ান, হিন্দু-মুসলমান
মিলিয়া বাউলা গান আর মুর্শিদী গাইতাম”
গানের জন্য,
মুন্সী সাদেক আলীর “হালতুন্নবী”
পুঁথি সাহিত্যর জন্য,
তারা আজ পাড়ায় পাড়ায় আওয়াজ তুলে।

বাহান্নতে নিলো তারা আমার ভাইয়ের প্রান,
বাংলার সাথে ছিলটি তাদের রক্তের দান।
এই ভাষাতে কথা কই,
মা বলে ডাকি।
এই ভাষার নাগরি বর্ণে লেখব
এই দাবি রাখি।



Monday, 2 May 2016

নাগরি বর্ণমালার সরকারি স্বীকৃতি

প্রাচীনকাল থেকে সিলেট জনপদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ভাষা স্বাতন্ত্র বৈশিষ্ট্যপূর্ন ও সমৃদ্ধশীল। সিলেট অঞ্চলের অধিবাসীরা ‘সিলেটি ভাষা’য় কথা বলেন। সিলেটি ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। পৃথিবীতে প্রায় আট হাজার ভাষার মধ্যে তিন হাজার ভাষার নিজস্ব বর্ণমালা আছে। তন্মধ্যে সিলেটি ভাষা একটি, যার নিজস্ব বর্ণমালা রয়েছে। ফ্রান্সের ভাষা জাদুঘরে অসংখ্য ভাষার মধ্যে বাংলাদেশের দুইটি ভাষার নাম রয়েছে, একটি বাংলা অপরটি সিলেটি।

আমরা অনেক রক্ত ও ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্র ভাষা হিসাবে প্রতিষ্টিত করেছি। সিলেটের আঞ্চলিক ভাষা-ভাষী হিসাবে আমাদের দাবী বাংলাভাষা ও লিপির পাশাপাশি সিলেটি আঞ্চলিক ভাষার নাগরি লিপিকে স্বীকৃতি প্রদান করা হউক এবং প্রত্যেক প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসায় ঐচ্ছিক বিষয় হিসাবে পাঠদানের সুযোগ করে দিয়ে, সিলেটি ভাষার নাগরি লিপিকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করা হউক। কারণ, একটি লিপিসর্বস্ব ভাষা ও সাহিত্যের বিলুপ্তি ঘটলে বৃহৎ জনগোষ্টির ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধংস হয়ে যাবে। সভ্য জাতি হিসাবে এটা কারো কাম্য হতে পারেনা। নাগরি বর্ণে ছিলটি ভাষাকে স্বীকৃতি প্রদান সিলেটবাসীর প্রাণের দাবি।
তাই এই বর্ণমালা এবং ভাষাকে টিকিয়ে রাখার জন্য সরকার কর্তৃক স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় এমনকি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানে ‘নাগরি বর্ণে ছিলটি ভাষা স্বীকৃতি পরিষদ’ নামে অনেক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এমনকি ‘সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট’-এ ও এর একটি শাখা রয়েছে। এ কমিটির উদ্যোগে আজ ০২-০৫-২০১৬ ইং তারিখে উক্ত প্রতিষ্টানে নাগরি সরকারি স্বীকৃতির দাবিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী বরাবরে প্রেরণের জন্য (সমন্বয়ক: আবু সাঈদ,উপদেষ্টা: এ.এস পার্থ এবং আর.জে হৃদয়- এর নেতৃত্বে) এক “গনস্বাক্ষর কর্মসূচির” আয়োজন করা হয়। উক্ত কর্মসূচিকে সুষ্টভাবে সম্পন্ন করার জন্য সকল শিক্ষকমণ্ডলী এবং ছাত্রছাত্রীরা অংশগ্রহন করে।

Sunday, 1 May 2016

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য জাপান সরকারের বৃত্তি


মুনোবুকাকাশো বৃত্তির আওতায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ দিচ্ছে জাপান সরকার। জাপানে স্নাতক, কলেজ অব টেকনোলজি এবং স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি পর্যায়ে পড়তে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারীদের মধ্য থেকে প্রাথমিকভাবে ১৫০ জনকে জাপান দূতাবাসে সাক্ষাৎকারের জন্য নির্বাচন করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
স্নাতক পর্যায় ও কলেজ অব টেকনোলজিতে পড়ার যোগ্যতা হিসেবে বলা হয়েছে, ২ এপ্রিল ১৯৯৫ থেকে ১ এপ্রিল ২০০০ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণকারী উচ্চমাধ্যমিক পাস শিক্ষার্থী হতে হবে। ২ এপ্রিল ১৯৮২ সালের পর জন্মগ্রহণকারী স্নাতক বা স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা জাপানে স্নাতকোত্তর বা পিএইচডি পর্যায়ে পড়ার সুযোগ পাবেন। তবে স্নাতকে ন্যূনতম ৬০ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে।
এ ছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা রয়েছে, জাপানি ভাষা জানা কিংবা আইইএলটিএস বা টোয়েফল সনদপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বৃত্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। আবেদন করা যাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবাসইটে ( www.banbeis.gov.bd/MEXT ) আবেদনের শেষ তারিখ ১৫ মে।

Sunday, 29 May 2016

বিষণ্ণ এক ঈদ

চেয়ে আছি ছোট্ট দুটি খোকা-খুকির দিকে,

লাল-জামা আর চুড়ি না পেয়ে ঈদটা হবে ফিকে,

ফিরনি-পায়েস ঘরে-ঘরে,সন্দেশের ঘ্রাণ নাকে,

বৃষ্টি পড়ে ওরা তাকায়- চালের ফোটার ফাকে,

কেউ ডাকে বুয়া আমায়,কেউবা খালা,

সারাদিন খেটে যাই- বোঝেনা কেউ মনের জ্বালা,

চলে যায় বাড়ি সবে- অফিস,কলেজ,ভার্সিটি পেয়ে ছুটি,

ভাবে না একবার ও কেউ- জুটবে কি বুয়ার রুটি?

বছর শেষে ঈদ আসে নিয়ে আনন্দের বন্যা,

একরাশ ব্যথা চাপা দিয়ে চলছি গরিবের কন্যা।

Wednesday, 25 May 2016

স্মৃতির আড়াত আম

বাক্কা দিন বাদে বাড়িত আইলাম। খত দিন বাদে জে আইজ সূর্য উঠা দেখলাম ! টাউনও তো ছান, সুরুজ, তেরা ইতা আছে বলিয়াউ মনো ওয় না । আব্বা আর আম্মা ও গেছলা, বাদে তারা আইচ্ছইন, আমি আম ও তুকাইছি । কোন এখ সময় মেঘ দিলে দৌরিয়া গিয়া তুকাইয়া আনতাম। অখন আম-উম তুকাই না, এমনে সুন্দর লাগছিল অতার লাগি তুকাইলাম। জানস নি বরাফা, আব্বা বাড়িত আছলানা, অতার লাগি আম গাছ ও উঠছিলাম, বাদে দেখি আম্মা আইয়া গালইয়াইরা খেনে গাছো উঠলাম? আমার ও দেখি ফাউয়ে-উয়ে খাপ আরম্ভ অইছে। আগে আগে ইতা গাছো খত উঠা উঠছি। কিতা আর খরমু, আদাখান থাকি নামিগেলাম। বাদে আমরা ফুকরি ফাড়র জে গাছওখল অগুইন থাকি জত আম ফারছি।
মন অইছিল ১৪ বছরর হউ ফোয়া, যেগুরে তুমরা গালইয়াইয়া লামাইয়া আনতে,ঘরর মাজে আম আনার লাগি ও গাইল হুনতাম “খাছ না তে ইতা আনছ খেনে?” ঘরর আগর টা থনে ও ফারছিলাম। ফুরুত্তাইন ও আইয়া জততা দলা অইছলা, হতা ঘরইন্তর ফুফুইন অখল ও আইছলা। ফুরুত্তাইন্তরে বাটিয়া দিয়া হতা ঘরইন্ত ও বাটিয়া দিলাম। গেলবার তুই আইছলে দেশো। তুই টেংগা খাছ না, বাট আমরার লাগি খত জাতর আছার অখল বানাইতে। তরে সারপ্রাইজ খরার লাগি, তুই আইবার আগে গাছর জত আম দি (তিন কেজি ত অইব) আছার বানাইতাম আছলাম, ই সময় আম্মা বাড়িত আছলা না। আব্বায় দেখলেও কিচ্ছু খইছইন না। বাদে নো হখল আম নষ্ট অইযাইতো! ই বার আম্মায় তরে গুর দি আমর ছটা বানাইয়া দিছইন। জানস নি বরফা, আমরা ডালাইর উফরর জে আম গাছ , ইকটাত ত দেখিয়া আইরে হখল বার ও কিলা আম ধরে, এখটা আমো আত দি ফারচিনা। বুবির লাখান অল অলাইয়া আমর ছবি ও তরে দিসি না। দিয়া কিতা অইত! দেখিয়া তো এখলা এখলা খানবে..........

Saturday, 21 May 2016

ছিলট জননী (সনেট)


বঙ্গ মা’র আল্লাদর ছিলট জননী,
পাহাড়ি ফুরি, আখালুকির জলপরী।
খাল-বিল আওরো,বডারো ছকিধারী;
ঘুমো তোমার কোরো এমেজি ওসমানী,
নিরাই হুতন শাজালালইয়েমেনী;
ছিলটি আর খাসিয়া আছে মনিপুরী।
মিঠা তোর মাথ, মাগো, হরফ নাগরী!
কমলা,হাতখরা, চা’র নু রাজধানী।
.
ডেউ ডেউ সুরমা তোমার অলংকার,
বাড়িত গুয়া, পাহাড়ো পানোর আবাদ।
আদি-ছাটির দেশো মরি করি কান্দন,
হাছন করিমর সুরো বন্দনা তার।
স্বাধীন-বেশে বাংলাদেশ, আশীর্বাদ,
সালাম, জানাই- আজারো অভিনন্দন।
[[নাগরি বর্ণে লেখা এখটা সনেট ]]

<== Bangla Version ==>
ছিলট জননী
বঙ্গ মায়ের সুকন্যা ছিলট জননী,
পাহাড়ি-কন্যা, হাকালুকির জলপরী।
খাল-বিল হাওরে, সীমান্তে প্রহরী।
ঘুমিয়ে তোর কোলে এমেজি ওসমানী;
শান্তি শয়নে শাহজালাল ইয়েমেনী;
ছিলটি কিবা খাসিয়া আছে মনিপুরী।
মুগ্ধ তোর ভাষা, মাগো, বর্ণ নাগরী!
কমলা,সাতখরা, চায়ের রাজধানী।

স্রোতস্বিনী সুরমা তোর অলংকার,
বাড়িতে সুপারি, পাহাড়ে পানের আবাদ;
শীতল-পাঠির দেশে মরি এ ক্রন্দন,
হাছন করিমের সুরে বন্দনা তার।
স্বাধীন-বেশে বাংলাদেশ, আশীর্বাদ,
সালাম, জানাই- সহস্র অভিনন্দন।

ডাচ্-বাংলা ব্যাংক অর শিক্ষা বৃত্তি

বাংলাদেশো ডাচ্-বাংলা ব্যাংক তার শিক্ষা বির্তি কর্মসূচীর বিতরে দেশর বউত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানর উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায় অ লেখাফরা খরা মেধাবী আর টেখাপয়সায় অসচ্ছল ছাত্র-ছাত্রী অখলরে বির্তি দিয়া আড়। অউ ধারাবাহিকতায় ২০১৬ সালর এসএসসি/ সমমান পরীক্ষাত পাস মেধাবি আর শিক্ষাক্ষেত্রর মাঝে টেখাপয়সায় শাইয্য প্রত্যাশী শিক্ষার্থী অখলরে বির্তি প্রদান করব ডাচ্-বাংলা ব্যাংক।

বির্তির পরিমাণ আর সময়কালঃ
শিক্ষার স্তরঃ এইচ.এস.সি.
সময়সীমাঃ ২ বছর
মাসিক বির্তিঃ ২,০০০ টেখা
বছরি অনুদানঃ লেখাফরার বইখাতা-বাতার লাগি এখলগে ২৫০০ টেখা আর খাফর ছোফরর লাগি ১,০০০ টেখা
আবেদন খরার নিয়ম আর শর্তঅখলঃ
ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ওর শিক্ষা বির্তির আবেদন ওর প্রক্রিয়া গেলবারর লাখান ঔবারো অনলাইনো খরা অইছে। অতার লাগি সরাসরি কোনো আবেদন নেওয়া অইত নায়। আউকা জানি লাই কিলা অনলাইনো আবেদন খরা লাগবঃ
বির্তির লাগি আবেদনর যোগ্যতাঃ
সিটি কর্পোরেশন এলাকাত থাখা ইস্কুল/শিক্ষা প্রতিষ্ঠানর লাগিঃ খমর মাঝে জিপিএ ৫.০০ (চতুর্থ বিষয় বাদে, হখল গ্রুফর লাগি)
জেলা শহর এলাকাত থাখা ইস্কুল/শিক্ষা প্রতিষ্ঠানর লাগিঃ খমর মাঝে জিপিএ ৪.৮৮ (চতুর্থ বিষয় বাদে, হখল গ্রুফর লাগি)
গাওর খরলামাইল অঞ্চলওখলর ইস্কুল/শিক্ষা প্রতিষ্ঠানর লাগিঃ খমর মাঝে জিপিএ ৪.৭০ (চতুর্থ বিষয় বাদে, হখল গ্রুফর লাগি)
বির্তির হখল গুরুত্বপূর্ণ তারিখঃ
আবেদন শুরু অইছে ১৫ মে ২০১৬ থনে ।
আবেদনের শেষ তারিখঃ ৩১ জুলাই ২০১৬ ফর্যন্ত।
ওয়েবসাইটর মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে বাছাইখরা অখলর তালিকা প্রকাশঃ ১০ আগস্ট ২০১৬।
প্রাথমিকভাবে বাছাইখরা অখলর হখল কাগজপত্রের
সত্যতা যাচাইয়র লাগি ডাচ্-বাংলা ব্যাংক ওর যেছা শাখাত নাইলে মোবাইল ব্যাংকিং অফিসো
উপস্থিত অওয়ার তারিখঃ ১১ আগস্ট ২০১৬ – ৩১
আগস্ট ২০১৬।

Thursday, 19 May 2016

হখলোর উফরে যাইবার লড়াইয়ো বাংলাদেশি অ্যাপ

যুক্তরাষ্ট্রর মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার আয়োঝন খরা হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা ‘নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৬’র ছূড়ান্ত পর্বর পিপলস চয়েজ ক্যাটাগরিত উফরে উঠার লড়াইয়ো রইছে বাংলাদেশি প্রকল্প মার্শিয়ান ওয়েসিস। অনলাইন ভোটর মাধ্যমে পাঁচটা প্রকল্প থনে ছূড়ান্ত বিজয়ী নির্বাচন খরা অইব। অনলাইনো ভোট দিয়া ই প্রকল্পটারে হখলোর উফরে লইয়া যাওয়া লাগবো।

বেসিসর উদ্যোগে বাংলাদেশো আয়োঝিত নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৬ প্রতিযোগিতাত চিটাগাং ওর আঞ্চলিক পর্যায়ো পিপলস চয়েজ ওর ক্যাটাগরিত আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার লাগি বাছা অইছিল প্রকল্পটা।

বেসিসর পরিচালক আর নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০১৬-র আহ্বায়ক আরিফুল হাসান অপু প্রথম আলোরে খইছইন, বিশ্বর ২২০ টার থনে বেশি শহররে খরেদি ফালাইয়া বাংলাদেশি প্রকল্প ‘মার্শিয়ান ওয়েসিস’ সেরা ৫-এর মাঝে আইচ্চে। একটা বাংলাদেশর লাগি ঝে খুশি আর গর্বর বেফার। জেরা ভোট দিয়া প্রকল্পটারে অউ পর্যায়ো লইয়া আইছইন, তারাের ধন্যবাদ। অখন ইগুরে হখলোর উফরে লইয়া যাওয়ার লাগি আগামী দুই দিন আরও ভোট দেওয়া লাগবো। ২০ তারিখ পর্যন্ত ভোট দেওয়া যাইব।
মার্শিয়ান ওয়েসিস প্রকল্পটারে ভোট দেওয়ার লাগি ফয়লা ( https://2016.spaceappschallenge.org/ ) সাইটো গিয়া আনা টেখায় একটা অ্যাকাউন্ট খুলা লাগব। বাদে ( https://2016.spaceappschallenge.org/challenges/mars/simspace/projects/martianoasis ) লিংকো গিয়া ভোট দেওয়া যাইবো। একটা অ্যাকাউন্ট থনে দিন একবার ভোট দেওয়া যাইব।

[[আমাদের পোস্ট গুলো পড়তে শেয়ার করে আপনার টাইমলাইন এ রেখে দিন।]]

Saturday, 14 May 2016

জিপি সিমো দারুন অফার মাত্র ১৯ টেকায় ১ জিবি ইন্টারনেট

আশা খরি হখল বালা আছইন, আমিও বালা আছি' বেশি মাথথাম উত্তাম নায়। হেশে বিরক্ত অইজাইবা।আওকা জানি লাই কিলা আফনে
জিপিত ১৯ টেকা দি ১জিবি ইন্টারনেট নিতা ফারবা।

আফনারা বউতে অয়ত মন খররা ১৯ টেকা দি ১জিবি মন খয় “হখল সময় “ব্যবহার খরা জাইতো নায়।না না, ইকটা দিন/রাইত ২৪ ঘন্টাই ব্যবহার
খরা যাইব।

তুরা শর্ত আছে আকিঃ
আফনার সিম রে অবশ্যই বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে রি-রেজিশট্রেশন খরা লাগব।
সিম বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতেরি-রেজিশট্রেশন খরার বাদে আফনে খালি ১বার নিতা ফারবা। অফারটি নেওয়ার লাগি
আফনার একাউন্টে ১৯ টেকা তইয়া *৫০০০*২০০# ডায়াল খরকা। এর বাদে আফনি ১জিবি ইন্টারনেট ৫দিনর লাগি ফাই যাইবা।


Tuesday, 10 May 2016

পেরত্নির ডর


পেরত্নির ডর 

বাঘর ডরে উঠি গাছে,
আগার মাঝে দেখি পেরত্নি নাছে,
ওরে পেরত্নি হবায় যা,
যারে পাছ, তারে খা,
একটা, দুইটা, তিনটা করি,
হখলটির ঘাড় ধরি,
আমারে রাখিয়া অতারে লইয়া-
যা,আন্দাইরো মিলাইয়া যা।
অমাবস্যাত ঝনী পোক জ্বলে,
দেখিইয়া শাওস ডেখইর তুলে,
ধামকি দেওয়ায় পেরত্নি বাগে,
আনন্দ অতার লাগি মনর মাঝে।






      পেত্নী ভয়


 বাঘের ডরে উঠি গাছে, 
আগায় দেখি পেত্নী নাছে, 
ওরে পেত্নী ঐদিকে যা,
যাকে পাস, তাকে খা,

একটা, দুটা, তিনটা করে,
সবগুলার ঘাড়ে ধরে,
আমায় রেখে ওদের নিয়ে-
যা,আধাঁরে মিলিয়ে যা।
অমাবস্যায় জোনাক জ্বলে,
দেখে সাহস হাই তুলে,
ধমকানিতে পেত্নী তাড়ায়,
আনন্দ তাই মনর কোণায়।


Friday, 6 May 2016

মাতৃভাষা


 জন্মের পরেই পেয়েছি তোমারে,
       শুনিয়া মায়ে র মুখের ধ্বনিরে।
তুমি আমার মায়ের ভাষা,
           তাই তুমি ছাড়া মিটে কি আশা।
জেনেছি তোমারও আছে লেখার বর্ণ,
                   যাহার নাম 'নাগরি' বর্ণ।
শুনে তোমারই নাগরি বর্ণ,
                    জোড়ায় আমার কর্ণ।
তুমি ত দিযেছ মা মধুর সেই ভাষা,
            তাই ছিলটি মোর মাতৃভাষা।
তোমারে করিতে স্বাধীন,
   তোমার দামাল ছেলেরা হবে প্রাণহীন।
তাই আজ আমরাও ঐক্যবদ্ধ,
            তোমরা সকলে হও বোধগম্য।
দাবী মোদের নাগরির স্বীকৃতি,
 আনব ছিনিয়ে এটা হবে মোদের কীর্তি।
যার ফলে পাব মোরা স্বাধীন নাগরি,
    তাই আজ এসো সবাই প্রতিজ্ঞা করি।
যদি যায় এই প্রাণ,
           হবো না ক মোরা ম্লান।
রব চির দৃঢ় প্রতিজ্ঞ,
   যাতে নাগরিতে থাকেনা কেউ অজ্ঞ।।
  ©আর জে হৃদয়

বর্ণ আমার "নাগরি"

নাগরি আমার বর্ণমালা,
নাগরি আমার গর্ব ,
নাগরির জন্য লড়ছি মোরা,
আজীবন লড়ে যাবো। 

তাই আজ করছি শপথ,
কখনো দেবোনা হারাতে,
নাগরি তোমাকে,
তুমি আমাদের বর্ণ,
হ্যা তুমি আমাদের গর্ব। 

ছিলটি আমার মায়ের ভাষা,
নাগরি তাহারি বর্ণ,
কে বলেছে মাগো তোমারি,
ভাষা অপূর্ণ। 

তোমার ভাষায় বলছি কথা মা,
লেখার জন্য দিয়েছ তুমি,
নাগরি বর্ণ, 
কে বলেছে মাগো তোমার,
ভাষা অপূর্ণ। 

ছিলটি আমার মায়ের ভাষা,
নাগরি তাহারি বর্ণ,
বর্ণ ভাষা দিয়ে তুমি মা,
করেছ "সম্পূর্ণ "। 

তাই আজ ,গর্বিত আমি,

গর্বিত মা,

গর্বিত ছিলটি বলে,

গর্বিত আমি,
গর্বিত মা,
আমার ভাষার, 
একটি বর্ণ আছে বলে।

© এ.এস পার্থ 'র- ব্লগ
৬/৫/১৬ ইং
(উৎসর্গ - সকল নাগরি ভাষাসৈনিকদের প্রতি)

নাগরি বর্ণের গণদাবী



মাগো, তোমার মাত-অর মর্যাদা
অখন ও পাইলাম না।
মা, অখনো মানুষর দুয়ারে দুয়ারে আঠি,
আতো থাকে বর্ণমালার পোস্টার,
জানিনা, আর কত দিন আঠা লাগবো?
তালাদেওয়া রুমো বইয়া করে গবেষণা,
নেয় পিএইছডি আর ডক্টরেট ডিগ্রী,
তোমার মাত আর বর্ণমালার
জাগা অয় আলমারিত ।
বৈশাগি হাওয়াত খাড়া আছলাম –
ইস্কুলর অউ ধারিত।
আখতা দেখি খরেদি ছাইয়া-
দশ, পনড্ড বা আরো বেশি
যেরা দলা অইছে অখনো,
মাত-অর লাগি, মা’র মাত-অর লাগি,
ছিলটি মাত-অর লাগি, তারা জান দিতে রাজী।
একটা অঞ্চলর মহান সংস্কৃতির মর্যাদার লাগি
মরমী কবি হাছন রাজার ঐতিহ্য রাখার লাগি,
আধ্যাতিক কবি শিতালং শাহ,
জ্ঞানের সাগর দূরবীন শাহ আর রাধা রমণ,
বাউল সম্রাট আবদুল করিমর
“ গাঁয়ের নওজোয়ান, হিন্দু-মুসলমান
মিলিয়া বাউলা গান আর মুর্শিদী গাইতাম”
গান অর লাগি,
মুন্সী সাদেক আলীর “হালতুন্নবী”
পুঁথি সাহিত্যর লাগি,
তারা আইজ পাড়ায় পাড়ায় আওয়াজ তুলে।

বায়ান্নত নিছে তারা আমার ভাইওর জান,
বাংলার লগে ছিলটি তারার রক্তর দান।
অউ ভাষাতে মাতি আমি,
মা কইয়া ডাকি।
অউ ভাষার নাগরি বর্ণে লেখমু
অউ দাবি রাখি।

 
Bangla Transliteration




মাগো, তোমার ভাষার মর্যাদা
এখনো পাইনি ।
মা, এখনো মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরি,
হাতে থাকে বর্ণমালার পোস্টার,
জানিনা, আর কত দিন হাঁটতে হবে?
তালাবদ্ধ রুমে বসে করে গবেষণা,
নেয় পিএইছডি আর ডক্টরেট ডিগ্রী,
তোমার ভাষা ও বর্ণমালার
জায়গা হয় আলমারিতে ।
বৈশাখী হাওয়ায় দাঁড়িয়ে ছিলাম –
স্কুলের ঐ বারান্দায়।
হঠাৎ দেখি পিছনে তাকিয়ে-
দশ, পনেরো বা আরো বেশি
যারা একত্রিত হয়েছে এখানে,
ভাষার জন্য, মাতৃভাষার জন্য,
ছিলটি ভাষার জন্য, তারা প্রান দিতে রাজী।
একটা অঞ্চলের মহান সংস্কৃতির মর্যাদার জন্য,
মরমী কবি হাছন রাজার ঐতিহ্য রক্ষার জন্য,
আধ্যাতিক কবি শিতালং শাহ,
জ্ঞানের সাগর দূরবীন শাহ আর রাধা রমণ,
বাউল সম্রাট আবদুল করিমের
“ গাঁয়ের নওজোয়ান, হিন্দু-মুসলমান
মিলিয়া বাউলা গান আর মুর্শিদী গাইতাম”
গানের জন্য,
মুন্সী সাদেক আলীর “হালতুন্নবী”
পুঁথি সাহিত্যর জন্য,
তারা আজ পাড়ায় পাড়ায় আওয়াজ তুলে।

বাহান্নতে নিলো তারা আমার ভাইয়ের প্রান,
বাংলার সাথে ছিলটি তাদের রক্তের দান।
এই ভাষাতে কথা কই,
মা বলে ডাকি।
এই ভাষার নাগরি বর্ণে লেখব
এই দাবি রাখি।



Monday, 2 May 2016

নাগরি বর্ণমালার সরকারি স্বীকৃতি

প্রাচীনকাল থেকে সিলেট জনপদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, ভাষা স্বাতন্ত্র বৈশিষ্ট্যপূর্ন ও সমৃদ্ধশীল। সিলেট অঞ্চলের অধিবাসীরা ‘সিলেটি ভাষা’য় কথা বলেন। সিলেটি ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। পৃথিবীতে প্রায় আট হাজার ভাষার মধ্যে তিন হাজার ভাষার নিজস্ব বর্ণমালা আছে। তন্মধ্যে সিলেটি ভাষা একটি, যার নিজস্ব বর্ণমালা রয়েছে। ফ্রান্সের ভাষা জাদুঘরে অসংখ্য ভাষার মধ্যে বাংলাদেশের দুইটি ভাষার নাম রয়েছে, একটি বাংলা অপরটি সিলেটি।

আমরা অনেক রক্ত ও ত্যাগ-তিতিক্ষার বিনিময়ে বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্র ভাষা হিসাবে প্রতিষ্টিত করেছি। সিলেটের আঞ্চলিক ভাষা-ভাষী হিসাবে আমাদের দাবী বাংলাভাষা ও লিপির পাশাপাশি সিলেটি আঞ্চলিক ভাষার নাগরি লিপিকে স্বীকৃতি প্রদান করা হউক এবং প্রত্যেক প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং মাদ্রাসায় ঐচ্ছিক বিষয় হিসাবে পাঠদানের সুযোগ করে দিয়ে, সিলেটি ভাষার নাগরি লিপিকে বিলুপ্তির হাত থেকে রক্ষা করা হউক। কারণ, একটি লিপিসর্বস্ব ভাষা ও সাহিত্যের বিলুপ্তি ঘটলে বৃহৎ জনগোষ্টির ইতিহাস ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ধংস হয়ে যাবে। সভ্য জাতি হিসাবে এটা কারো কাম্য হতে পারেনা। নাগরি বর্ণে ছিলটি ভাষাকে স্বীকৃতি প্রদান সিলেটবাসীর প্রাণের দাবি।
তাই এই বর্ণমালা এবং ভাষাকে টিকিয়ে রাখার জন্য সরকার কর্তৃক স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় এমনকি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্টানে ‘নাগরি বর্ণে ছিলটি ভাষা স্বীকৃতি পরিষদ’ নামে অনেক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এমনকি ‘সিলেট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট’-এ ও এর একটি শাখা রয়েছে। এ কমিটির উদ্যোগে আজ ০২-০৫-২০১৬ ইং তারিখে উক্ত প্রতিষ্টানে নাগরি সরকারি স্বীকৃতির দাবিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী বরাবরে প্রেরণের জন্য (সমন্বয়ক: আবু সাঈদ,উপদেষ্টা: এ.এস পার্থ এবং আর.জে হৃদয়- এর নেতৃত্বে) এক “গনস্বাক্ষর কর্মসূচির” আয়োজন করা হয়। উক্ত কর্মসূচিকে সুষ্টভাবে সম্পন্ন করার জন্য সকল শিক্ষকমণ্ডলী এবং ছাত্রছাত্রীরা অংশগ্রহন করে।

Sunday, 1 May 2016

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য জাপান সরকারের বৃত্তি


মুনোবুকাকাশো বৃত্তির আওতায় বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুযোগ দিচ্ছে জাপান সরকার। জাপানে স্নাতক, কলেজ অব টেকনোলজি এবং স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি পর্যায়ে পড়তে আগ্রহী শিক্ষার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারীদের মধ্য থেকে প্রাথমিকভাবে ১৫০ জনকে জাপান দূতাবাসে সাক্ষাৎকারের জন্য নির্বাচন করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
স্নাতক পর্যায় ও কলেজ অব টেকনোলজিতে পড়ার যোগ্যতা হিসেবে বলা হয়েছে, ২ এপ্রিল ১৯৯৫ থেকে ১ এপ্রিল ২০০০ সালের মধ্যে জন্মগ্রহণকারী উচ্চমাধ্যমিক পাস শিক্ষার্থী হতে হবে। ২ এপ্রিল ১৯৮২ সালের পর জন্মগ্রহণকারী স্নাতক বা স্নাতকোত্তর উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা জাপানে স্নাতকোত্তর বা পিএইচডি পর্যায়ে পড়ার সুযোগ পাবেন। তবে স্নাতকে ন্যূনতম ৬০ শতাংশ নম্বর থাকতে হবে।
এ ছাড়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা রয়েছে, জাপানি ভাষা জানা কিংবা আইইএলটিএস বা টোয়েফল সনদপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের বৃত্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। আবেদন করা যাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবাসইটে ( www.banbeis.gov.bd/MEXT ) আবেদনের শেষ তারিখ ১৫ মে।