Tuesday 16 June 2015

পরীক্ষা?টেনশন? দেখে নিন রেজাল্ট ভালো করার ৯টি দারুণ কার্যকর টিপস?


শিক্ষা জীবনের আসল ভয় পরীক্ষা।
কথায় আছে শিক্ষা জীবন
সুখের জীবন যদিনা হয় এক্সামিনেশন।
আর বাকিটুকু অনেক মজার সময়। বন্ধু-
বান্ধব, লেখাপড়া, আর ঘুরে বেড়ানো,
আড্ডা সবি অনেক ভালো লাগে।
কিন্তু মধ্যে রাজ্যের যতো টেনশন
চলে আসে পরীক্ষার সময় এগিয়ে
আসলে। তাই শিক্ষার্থীদের জন্য
বিশেষজ্ঞ শিক্ষকদের ৯টি দারুণ
পরামর্শ। বিশেষ পদ্ধতিতে
পড়াশোনার কাজটি চালিয়ে গেলে
পরীক্ষার সময় কাঁধে দুশ্চিন্তা ভর
করবে না।
১. বিশেষ অংশ এবং পরিকল্পনায় রঙিন কোড করুন
লেখা-পড়ার অন্যতম কার্যকর ১ টি উপায়
এটি। পড়ার কাজটি কীভাবে চালিয়ে
যাবেন তার ১ টি পরিকল্পনা নিশ্চয়ই
থাকে। এই অংশটিসহ নোটের গুরুত্বপূর্ণ
অংশগুলো রঙিন মার্কার দিয়ে
চিহ্নিত করে রাখুন। ভিন্ন ধরনের
অংশের জন্য বিভিন্ন রঙ ব্যবহার করা
বুদ্ধিমানের কাজ। যেমন- কুইজের অংশ
গোলাপি, বিভিন্ন টেস্ট হালকা সবুজ,
আন্ডার লাইনে অংশ হালকা নীল
ইত্যাদি। এই কালার কোড সিস্টেম
গুছিয়ে লেখা-পড়া চালিয়ে যাওয়ার
কার্যকর একটি উপায়।
২. সময় বের করুন
সেমিস্টারের আগের রাতে সব পড়ে
শেষ করা অসম্ভব ব্যাপার। তাই বেশ
কিছু দিন সময় বের করে রাখুন। অল্প
সময়ের মধ্যে পড়ে পরীক্ষার ঝামেলা
মেটানো যায়। কিন্তু সে পড়ায় শেখা
হয় না। ফলে ভবিষ্যতে বিপদে পড়তে
হবে। তাই বেশ কিছু দিন হাতে নিয়ে
হালকা মেজাজে পড়লেও শিখতে
পারবেন। এতে পরীক্ষা হয়ে আসবে
আরো সহজ, এবং অনেক ভাল।
৩. শিক্ষকদের সাথে দেখা করুন
আপনার শিক্ষক কখনোই আপনাকে
ফিরিয়ে দেবেন না। তাদের কয়েকজন
ভীতিকর হতে পারেন। কিন্তু সবকিছুর
শেষে তিনিই আপনার শিক্ষক। শেখা
বা পরামর্শ নিতে তার কাছে গেলে
তিনি তার শিক্ষার্থীকে বহু যত্নে
শিখিয়ে দেবেন। আপনার সমস্যা
মেটাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন
যেকোনো শিক্ষক। কাজেই পরীক্ষা
বিষয়ে পরামর্শ পেতে শিক্ষকদের
দ্বারস্থ হন। তাহলেই ভাল রেজাল্ট
করা সম্ভম।
৪. বইয়ে কি-পয়েন্ট হাইলাইট করুন?
অনেক ধরনের পরীক্ষা রয়েছে সেখানে
বই দেখে পরীক্ষা দেওয়া যায়। এসব
ক্ষেত্রে বইয়ের কি-পয়েন্টগুলো
হাইলাইট করে নিন। আর বই দেখার
সুযোগ না থাকলেও পড়াশোনার
সুবিধার জন্য নিজের বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ
অংশ মার্কার দিয়ে হাইলাইট করে
রাখুন। সেগুলো বারবার দেখে নিতে
সুবিধা হবে।
৫. স্লাইড শো বানিয়ে পড়া শুনা করুন
ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেখাপড়া করুন।
বিশেষ নোটগুলোকে কম্পিউটারে
স্লাইড শো বানিয়ে পড়ুন। এতে মনে
ভালোমতো ঢুকে যাবে সবকিছু।
৬. নিজের পরিকল্পনা বানিয়ে পড়া শুনা করুন
পড়াশোনাকে দারুণ কার্যকর করতে
হলে পরিকল্পনা দরকার। পড়াশোনার,
বিষয় আর পড়ার পদ্ধতি সবকিছু নিয়ে
সময়সূচি করে নিন। তারপর সেই সময়
অনুযায়ী পড়াশোনা চালিয়ে যান।
৭. নিজের পরীক্ষা নিজেই দিন
প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার মতো করে
বন্ধুরা একসাথে বা আপনি একাই
পরীক্ষা দিতে পারেন। এতে মূল
পরীক্ষা নিয়ে যতো অজানা আশঙ্কা
কেটে যাবে আপনার। অধিকাংশ যে
ক্ষেত্রে দেখা গেছে এসব পরীক্ষামূলক
পরীক্ষা মূলত পরীক্ষার কাছাকাছি হয়ে
থাকে।
৮. একই পড়া কয়েকবার পড়ুন
কয়েকবার করে দেখে নিন। এতে
মাথায় বসে যাবে সবকিছু। নোটের
বিশেষ পয়েন্টগুলোতে চোখ বুলিয়ে
নিন। বারবার মুখস্থ করতে হবে না।
হাইলাট করা অংশগুলোতেও চোখ দিন।
একবার মুখস্থ করে কয়েকবার শুধু
দেখলেই তা ঠোঁটস্থ হয়ে যাবে।
৯. গড়িমসি করবেন না
যা পড়তে হবেই তা পড়ছি পড়বো বলে
ফেলে রাখবেন না। অন্তত পরীক্ষা
এগিয়ে এলে এমনটি করার সুযোগ নেই। এ
কাজটির জন্যই পরীক্ষার আগের রাতে
মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। কাজেই
অল্প-বেশি পড়ার কাজ চালিয়ে যান।
দেখবেন, পরীক্ষা আগ দিয়ে প্রায় সব
প্রস্তুতি গুছিয়ে এনেছেন আপনি।

No comments:

Tuesday 16 June 2015

পরীক্ষা?টেনশন? দেখে নিন রেজাল্ট ভালো করার ৯টি দারুণ কার্যকর টিপস?


শিক্ষা জীবনের আসল ভয় পরীক্ষা।
কথায় আছে শিক্ষা জীবন
সুখের জীবন যদিনা হয় এক্সামিনেশন।
আর বাকিটুকু অনেক মজার সময়। বন্ধু-
বান্ধব, লেখাপড়া, আর ঘুরে বেড়ানো,
আড্ডা সবি অনেক ভালো লাগে।
কিন্তু মধ্যে রাজ্যের যতো টেনশন
চলে আসে পরীক্ষার সময় এগিয়ে
আসলে। তাই শিক্ষার্থীদের জন্য
বিশেষজ্ঞ শিক্ষকদের ৯টি দারুণ
পরামর্শ। বিশেষ পদ্ধতিতে
পড়াশোনার কাজটি চালিয়ে গেলে
পরীক্ষার সময় কাঁধে দুশ্চিন্তা ভর
করবে না।
১. বিশেষ অংশ এবং পরিকল্পনায় রঙিন কোড করুন
লেখা-পড়ার অন্যতম কার্যকর ১ টি উপায়
এটি। পড়ার কাজটি কীভাবে চালিয়ে
যাবেন তার ১ টি পরিকল্পনা নিশ্চয়ই
থাকে। এই অংশটিসহ নোটের গুরুত্বপূর্ণ
অংশগুলো রঙিন মার্কার দিয়ে
চিহ্নিত করে রাখুন। ভিন্ন ধরনের
অংশের জন্য বিভিন্ন রঙ ব্যবহার করা
বুদ্ধিমানের কাজ। যেমন- কুইজের অংশ
গোলাপি, বিভিন্ন টেস্ট হালকা সবুজ,
আন্ডার লাইনে অংশ হালকা নীল
ইত্যাদি। এই কালার কোড সিস্টেম
গুছিয়ে লেখা-পড়া চালিয়ে যাওয়ার
কার্যকর একটি উপায়।
২. সময় বের করুন
সেমিস্টারের আগের রাতে সব পড়ে
শেষ করা অসম্ভব ব্যাপার। তাই বেশ
কিছু দিন সময় বের করে রাখুন। অল্প
সময়ের মধ্যে পড়ে পরীক্ষার ঝামেলা
মেটানো যায়। কিন্তু সে পড়ায় শেখা
হয় না। ফলে ভবিষ্যতে বিপদে পড়তে
হবে। তাই বেশ কিছু দিন হাতে নিয়ে
হালকা মেজাজে পড়লেও শিখতে
পারবেন। এতে পরীক্ষা হয়ে আসবে
আরো সহজ, এবং অনেক ভাল।
৩. শিক্ষকদের সাথে দেখা করুন
আপনার শিক্ষক কখনোই আপনাকে
ফিরিয়ে দেবেন না। তাদের কয়েকজন
ভীতিকর হতে পারেন। কিন্তু সবকিছুর
শেষে তিনিই আপনার শিক্ষক। শেখা
বা পরামর্শ নিতে তার কাছে গেলে
তিনি তার শিক্ষার্থীকে বহু যত্নে
শিখিয়ে দেবেন। আপনার সমস্যা
মেটাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন
যেকোনো শিক্ষক। কাজেই পরীক্ষা
বিষয়ে পরামর্শ পেতে শিক্ষকদের
দ্বারস্থ হন। তাহলেই ভাল রেজাল্ট
করা সম্ভম।
৪. বইয়ে কি-পয়েন্ট হাইলাইট করুন?
অনেক ধরনের পরীক্ষা রয়েছে সেখানে
বই দেখে পরীক্ষা দেওয়া যায়। এসব
ক্ষেত্রে বইয়ের কি-পয়েন্টগুলো
হাইলাইট করে নিন। আর বই দেখার
সুযোগ না থাকলেও পড়াশোনার
সুবিধার জন্য নিজের বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ
অংশ মার্কার দিয়ে হাইলাইট করে
রাখুন। সেগুলো বারবার দেখে নিতে
সুবিধা হবে।
৫. স্লাইড শো বানিয়ে পড়া শুনা করুন
ডিজিটাল পদ্ধতিতে লেখাপড়া করুন।
বিশেষ নোটগুলোকে কম্পিউটারে
স্লাইড শো বানিয়ে পড়ুন। এতে মনে
ভালোমতো ঢুকে যাবে সবকিছু।
৬. নিজের পরিকল্পনা বানিয়ে পড়া শুনা করুন
পড়াশোনাকে দারুণ কার্যকর করতে
হলে পরিকল্পনা দরকার। পড়াশোনার,
বিষয় আর পড়ার পদ্ধতি সবকিছু নিয়ে
সময়সূচি করে নিন। তারপর সেই সময়
অনুযায়ী পড়াশোনা চালিয়ে যান।
৭. নিজের পরীক্ষা নিজেই দিন
প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার মতো করে
বন্ধুরা একসাথে বা আপনি একাই
পরীক্ষা দিতে পারেন। এতে মূল
পরীক্ষা নিয়ে যতো অজানা আশঙ্কা
কেটে যাবে আপনার। অধিকাংশ যে
ক্ষেত্রে দেখা গেছে এসব পরীক্ষামূলক
পরীক্ষা মূলত পরীক্ষার কাছাকাছি হয়ে
থাকে।
৮. একই পড়া কয়েকবার পড়ুন
কয়েকবার করে দেখে নিন। এতে
মাথায় বসে যাবে সবকিছু। নোটের
বিশেষ পয়েন্টগুলোতে চোখ বুলিয়ে
নিন। বারবার মুখস্থ করতে হবে না।
হাইলাট করা অংশগুলোতেও চোখ দিন।
একবার মুখস্থ করে কয়েকবার শুধু
দেখলেই তা ঠোঁটস্থ হয়ে যাবে।
৯. গড়িমসি করবেন না
যা পড়তে হবেই তা পড়ছি পড়বো বলে
ফেলে রাখবেন না। অন্তত পরীক্ষা
এগিয়ে এলে এমনটি করার সুযোগ নেই। এ
কাজটির জন্যই পরীক্ষার আগের রাতে
মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। কাজেই
অল্প-বেশি পড়ার কাজ চালিয়ে যান।
দেখবেন, পরীক্ষা আগ দিয়ে প্রায় সব
প্রস্তুতি গুছিয়ে এনেছেন আপনি।

No comments: