দিন দিন সব কিছুতেই পরিবর্তন আসছে।শিক্ষাখাত ও এই নিয়মের ঊর্ধ্বে নয়।এরই ধারাবাহিকতায় ডিজিটালাইজ পরীক্ষার যুগে পা রাখতে যাচ্ছে
বাংলাদেশ। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার মাধ্যমে
এই ডিজিটালাইজ পরীক্ষা পদ্ধতি চালু হচ্ছে।
আগামী ২৭ জুন প্রাথমিকভাবে দেশের পাঁচটি
জেলায় এই প্রদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে।
পর্যায়ক্রমে অন্যান্য জেলায় এই পরীক্ষা পদ্ধতি
চালু করা হবে। প্রশ্নপত্র ফাঁস এড়িয়ে নির্বিঘ্নে এই
পরীক্ষা সম্পন্ন করা গেলে অন্যান্য নিয়োগ
পরীক্ষা ও পাবলিক পরীক্ষায় এই পদ্ধতি অনুসরণ করা
হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক
শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত ডিসেম্বর মাসে
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সার্কুলার জারি
করেছিল। এর আগের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ
পরীক্ষায় (২০১৩ সালে শুরু হয়ে ২০১৪ সালে সম্পন্ন)
ব্যাপক হারে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার কারণে এবার
পরীক্ষায় ব্যাপক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া
হয়েছে। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তায়
ডিজিটালাইজ প্রদ্ধতিতে নেওয়া হচ্ছে এই
পরীক্ষা। এত দিন সরকারি মুদ্রণালয় বিজি প্রেসে
প্রশ্ন ছাপিয়ে পরীক্ষার কয়েক দিন আগেই তা
বিতরণ করা হতো। ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরীক্ষার
কয়েক ঘণ্টা আগে প্রশ্ন ছাপিয়ে পরীক্ষার ঠিক আগ
মুহূর্তে তা কেন্দ্রে পাঠানো হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত
সচিব সন্তোষ কুমার অধিকারী জানান, আগের
নিয়োগ পরীক্ষাগুলোর প্রশ্ন মডারেশনের দায়িত্ব
ছিল ময়মনসিংহে অবস্থিত জাতীয় প্রাথমিক
শিক্ষা একাডেমির (নেপ) ওপর। আর ছাপানোর
দায়িত্বে ছিল বিজি প্রেস। এবারের
ডিজিটালাইজ পরীক্ষা পদ্ধতিতে উল্লিখিত দুই
প্রতিষ্ঠানের কোনোই সম্পৃক্ততা থাকছে না। এবার
প্রশ্ন প্রণয়নের জন্য মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে
আলাদা দল গঠন করা হয়েছে। এই দল পরীক্ষার দিন
(২৭ জুন) সকাল ৬টা থেকে ৮টার মধ্যে মন্ত্রণালয়ে
বসে প্রশ্ন তৈরি করে দেবে। সেই প্রশ্ন অনলাইনের
মাধ্যমে পাঠিয়ে দেওয়া হবে জেলা প্রশাসকদের
কাছে। জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা
নিজ নিজ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে একসঙ্গে প্রশ্ন
ডাউনলোড করবেন। দ্রুতগতির একাধিক ফটোকপি
মেশিনে প্রশ্নপত্র কপি করে প্যাকেটে পুরে নিয়ে
যাওয়া হবে পরীক্ষাকেন্দ্রে। দুপুর ১২টার মধ্যে এই
প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। জেলা পর্যায়ে প্রশ্ন
ছাপানোর চার ঘণ্টার পুরো প্রক্রিয়া সিসি
টিভিতে ধারণ করা হবে। এই প্রক্রিয়া তদারকির
জন্য প্রতিটি জেলায় পাঠানো হবে মন্ত্রণালয় ও
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একাধিক
কর্মকর্তাকে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের
অতিরিক্ত সচিব জ্ঞানেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন,
'যেহেতু একটি নতুন পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণের
প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে তাই প্রাথমিকভাবে যেসব
জেলায় প্রার্থী সংখ্যা কম সেই জেলাগুলোকে
বেছে নেওয়া হয়েছে। ডিজিটালি প্রশ্ন ছাপিয়ে
সফলভাবে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া গেলে
একই পদ্ধতিতে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা গ্রহণের
বিষয়টিও ভাবা হবে।'
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৭ জুন
নড়াইল, মেহেরপুর, মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর ও ফেনী
জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক
নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই জেলাগুলোতে
প্রার্থীর সংখ্যা সাত হাজারের বেশি নয়। মোট
প্রার্থী ৩০ হাজার ৯৫২ জন। ওই দিনের পরীক্ষার
ত্রুটি-বিচ্যুতি মূল্যায়ন করে জুলাই মাসে কয়েক
ধাপে অন্যান্য জেলায় পরীক্ষা নেওয়া হবে।
প্রতিটি জেলায় পরীক্ষা হবে নতুন প্রশ্নে।
বাংলাদেশ। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার মাধ্যমে
এই ডিজিটালাইজ পরীক্ষা পদ্ধতি চালু হচ্ছে।
আগামী ২৭ জুন প্রাথমিকভাবে দেশের পাঁচটি
জেলায় এই প্রদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়া হবে।
পর্যায়ক্রমে অন্যান্য জেলায় এই পরীক্ষা পদ্ধতি
চালু করা হবে। প্রশ্নপত্র ফাঁস এড়িয়ে নির্বিঘ্নে এই
পরীক্ষা সম্পন্ন করা গেলে অন্যান্য নিয়োগ
পরীক্ষা ও পাবলিক পরীক্ষায় এই পদ্ধতি অনুসরণ করা
হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক
শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগের জন্য গত ডিসেম্বর মাসে
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সার্কুলার জারি
করেছিল। এর আগের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ
পরীক্ষায় (২০১৩ সালে শুরু হয়ে ২০১৪ সালে সম্পন্ন)
ব্যাপক হারে প্রশ্নপত্র ফাঁস হওয়ার কারণে এবার
পরীক্ষায় ব্যাপক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া
হয়েছে। প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের সহায়তায়
ডিজিটালাইজ প্রদ্ধতিতে নেওয়া হচ্ছে এই
পরীক্ষা। এত দিন সরকারি মুদ্রণালয় বিজি প্রেসে
প্রশ্ন ছাপিয়ে পরীক্ষার কয়েক দিন আগেই তা
বিতরণ করা হতো। ডিজিটাল পদ্ধতিতে পরীক্ষার
কয়েক ঘণ্টা আগে প্রশ্ন ছাপিয়ে পরীক্ষার ঠিক আগ
মুহূর্তে তা কেন্দ্রে পাঠানো হবে।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত
সচিব সন্তোষ কুমার অধিকারী জানান, আগের
নিয়োগ পরীক্ষাগুলোর প্রশ্ন মডারেশনের দায়িত্ব
ছিল ময়মনসিংহে অবস্থিত জাতীয় প্রাথমিক
শিক্ষা একাডেমির (নেপ) ওপর। আর ছাপানোর
দায়িত্বে ছিল বিজি প্রেস। এবারের
ডিজিটালাইজ পরীক্ষা পদ্ধতিতে উল্লিখিত দুই
প্রতিষ্ঠানের কোনোই সম্পৃক্ততা থাকছে না। এবার
প্রশ্ন প্রণয়নের জন্য মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে
আলাদা দল গঠন করা হয়েছে। এই দল পরীক্ষার দিন
(২৭ জুন) সকাল ৬টা থেকে ৮টার মধ্যে মন্ত্রণালয়ে
বসে প্রশ্ন তৈরি করে দেবে। সেই প্রশ্ন অনলাইনের
মাধ্যমে পাঠিয়ে দেওয়া হবে জেলা প্রশাসকদের
কাছে। জেলা প্রশাসক ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা
নিজ নিজ পাসওয়ার্ড ব্যবহার করে একসঙ্গে প্রশ্ন
ডাউনলোড করবেন। দ্রুতগতির একাধিক ফটোকপি
মেশিনে প্রশ্নপত্র কপি করে প্যাকেটে পুরে নিয়ে
যাওয়া হবে পরীক্ষাকেন্দ্রে। দুপুর ১২টার মধ্যে এই
প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। জেলা পর্যায়ে প্রশ্ন
ছাপানোর চার ঘণ্টার পুরো প্রক্রিয়া সিসি
টিভিতে ধারণ করা হবে। এই প্রক্রিয়া তদারকির
জন্য প্রতিটি জেলায় পাঠানো হবে মন্ত্রণালয় ও
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একাধিক
কর্মকর্তাকে। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের
অতিরিক্ত সচিব জ্ঞানেন্দ্রনাথ বিশ্বাস বলেন,
'যেহেতু একটি নতুন পদ্ধতিতে পরীক্ষা গ্রহণের
প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে তাই প্রাথমিকভাবে যেসব
জেলায় প্রার্থী সংখ্যা কম সেই জেলাগুলোকে
বেছে নেওয়া হয়েছে। ডিজিটালি প্রশ্ন ছাপিয়ে
সফলভাবে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া গেলে
একই পদ্ধতিতে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা গ্রহণের
বিষয়টিও ভাবা হবে।'
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, আগামী ২৭ জুন
নড়াইল, মেহেরপুর, মুন্সীগঞ্জ, শরীয়তপুর ও ফেনী
জেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক
নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। এই জেলাগুলোতে
প্রার্থীর সংখ্যা সাত হাজারের বেশি নয়। মোট
প্রার্থী ৩০ হাজার ৯৫২ জন। ওই দিনের পরীক্ষার
ত্রুটি-বিচ্যুতি মূল্যায়ন করে জুলাই মাসে কয়েক
ধাপে অন্যান্য জেলায় পরীক্ষা নেওয়া হবে।
প্রতিটি জেলায় পরীক্ষা হবে নতুন প্রশ্নে।
No comments:
Post a Comment