ভালবাসা এসে মনে উকি মারে,
অজানা ঠিকানায় দেই প্রেমের বিজ্ঞাপন,
বার্তা গিয়ে খোঁজ পায় তোমার- মনের স্টেশন।
--------------------- অসমাপ্ত।।।
শীঘ্রই আসছে বাকি টুকু।
আজকাল বড্ড বেশী হাসি,
জীবন যুদ্ধে জয়-পরাজয়
তাই কি আমি ভাবি?
চোখ থাকতে যে বলে- কালো অন্ধকার!
বুঝিনা, সে কি ভুলে গেছে
আলো আসবে আবার!
বিষন্ন সকাল
তুমি ছাড়া
বিষন্ন বিকেল
তুমি ছাড়া
জ্যোৎস্নাটাও যেন বিষন্ন
তোমায় ছাড়া
জ্যোৎস্নাটাও যেন বিষন্ন
তোমায় ছাড়া
আমি পারবোনা ছেড়ে
থাকতে তোমায়
বাচঁবোনা ছেড়ে
থাকতে তোমায়
দাওনা দেখা একটু আমায়
আমি আবার
তোমায় নিয়ে বাঁচতে চাই
আমি আবার
তোমায় ঘিরে থাকতে চাই
প্রতি সুখে আর দুঃখে
তোমাকেই যে চাই
বিষন্ন সকাল
তুমি ছাড়া
বিষন্ন বিকেল
তুমি ছাড়া
জ্যোৎস্নাটাও যেন বিষন্ন
তোমায় ছাড়া
জ্যোৎস্নাটাও যেন বিষন্ন
তোমায় ছাড়া ।
উৎসর্গ - অনুদ্রিলা
শুধু নারী বলে বাস্তবতাকে
সহজে মেনে নেয়া তাদের জন্মগত স্বভাব।
শুধু পাড়ার সুন্দরী মেয়ে বলে
কত ছেলে বুড়ো যে তাকিয়ে থাকতো!
কী বিশ্রীভাবে ক্লাসে স্যার পিঠে হাত বুলাতো
ব্যঙ্গ করে বলতো,কেমন করে চলছে-
তোমার লেখাপড়া সোনামণি?
সেই সস্তা রসিকতা আজো সে ভুলেনি।
শত হায়েনার ভিড়ে যখন সে বাসে চড়ে
ভুঁড়ি নিয়ে কেউ পাশে দাঁড়ায়,কেউবা গা ঘেঁষে।
ভাই-বাবা বটবৃক্ষ মাথার উপর নাই
টিউশনিটা করে করে পড়ালেখা চালায়।
কখনো ছাত্রের মা বাড়ি ফিরতে দেরি হলে
উদম গায়ে থাকা তার বাবার সঙ্গে ভয়ে গল্প চলে।
বাঘের ন্যায় হিংস্র চাহনিতে তার গলা শুকিয়ে আসে।
যে প্রেমিকের হাত ধরে ঘর থেকে সে বেরিয়ে এসেছিল
পুরাতন হবার পর শত উপেক্ষা করে সেই তাকে ফেলে গেছে।
সমাজের প্রতিটা স্তর থেকে তাকে আঘাত করেছে তীরন্দাজ
মানিয়ে নেয়া,হার না মানা মেয়েটা উচ্চে তুলেছে স্বীয় তাজ-
উচ্চশিক্ষার অজানা লক্ষে সে দিয়েছে বিদেশ পাড়ি আজ।
চেয়ে আছি ছোট্ট দুটি খোকা-খুকির দিকে,
লাল-জামা আর চুড়ি না পেয়ে ঈদটা হবে ফিকে,
ফিরনি-পায়েস ঘরে-ঘরে,সন্দেশের ঘ্রাণ নাকে,
বৃষ্টি পড়ে ওরা তাকায়- চালের ফোটার ফাকে,
কেউ ডাকে বুয়া আমায়,কেউবা খালা,
সারাদিন খেটে যাই- বোঝেনা কেউ মনের জ্বালা,
চলে যায় বাড়ি সবে- অফিস,কলেজ,ভার্সিটি পেয়ে ছুটি,
ভাবে না একবার ও কেউ- জুটবে কি বুয়ার রুটি?
বছর শেষে ঈদ আসে নিয়ে আনন্দের বন্যা,
একরাশ ব্যথা চাপা দিয়ে চলছি গরিবের কন্যা।
[[নাগরি বর্ণে লেখা এখটা সনেট ]]বঙ্গ মা’র আল্লাদর ছিলট জননী,
পাহাড়ি ফুরি, আখালুকির জলপরী।
খাল-বিল আওরো,বডারো ছকিধারী;
ঘুমো তোমার কোরো এমেজি ওসমানী,
নিরাই হুতন শাজালালইয়েমেনী;
ছিলটি আর খাসিয়া আছে মনিপুরী।
মিঠা তোর মাথ, মাগো, হরফ নাগরী!
কমলা,হাতখরা, চা’র নু রাজধানী।
.
ডেউ ডেউ সুরমা তোমার অলংকার,
বাড়িত গুয়া, পাহাড়ো পানোর আবাদ।
আদি-ছাটির দেশো মরি করি কান্দন,
হাছন করিমর সুরো বন্দনা তার।
স্বাধীন-বেশে বাংলাদেশ, আশীর্বাদ,
সালাম, জানাই- আজারো অভিনন্দন।
ছিলট জননী
বঙ্গ মায়ের সুকন্যা ছিলট জননী,
পাহাড়ি-কন্যা, হাকালুকির জলপরী।
খাল-বিল হাওরে, সীমান্তে প্রহরী।
ঘুমিয়ে তোর কোলে এমেজি ওসমানী;
শান্তি শয়নে শাহজালাল ইয়েমেনী;
ছিলটি কিবা খাসিয়া আছে মনিপুরী।
মুগ্ধ তোর ভাষা, মাগো, বর্ণ নাগরী!
কমলা,সাতখরা, চায়ের রাজধানী।
স্রোতস্বিনী সুরমা তোর অলংকার,
বাড়িতে সুপারি, পাহাড়ে পানের আবাদ;
শীতল-পাঠির দেশে মরি এ ক্রন্দন,
হাছন করিমের সুরে বন্দনা তার।
স্বাধীন-বেশে বাংলাদেশ, আশীর্বাদ,
সালাম, জানাই- সহস্র অভিনন্দন।
পেরত্নির ডর
বাঘর ডরে উঠি গাছে,
আগার মাঝে দেখি পেরত্নি নাছে,
ওরে পেরত্নি হবায় যা,
যারে পাছ, তারে খা,
একটা, দুইটা, তিনটা করি,
হখলটির ঘাড় ধরি,
আমারে রাখিয়া অতারে লইয়া-
যা,আন্দাইরো মিলাইয়া যা।
অমাবস্যাত ঝনী পোক জ্বলে,
দেখিইয়া শাওস ডেখইর তুলে,
ধামকি দেওয়ায় পেরত্নি বাগে,
আনন্দ অতার লাগি মনর মাঝে।
পেত্নী ভয়
বাঘের ডরে উঠি গাছে,
আগায় দেখি পেত্নী নাছে,
ওরে পেত্নী ঐদিকে যা,
যাকে পাস, তাকে খা,
একটা, দুটা, তিনটা করে,
সবগুলার ঘাড়ে ধরে,
আমায় রেখে ওদের নিয়ে-
যা,আধাঁরে মিলিয়ে যা।
অমাবস্যায় জোনাক জ্বলে,
দেখে সাহস হাই তুলে,
ধমকানিতে পেত্নী তাড়ায়,
আনন্দ তাই মনর কোণায়।
জন্মের পরেই পেয়েছি তোমারে,
শুনিয়া মায়ে র মুখের ধ্বনিরে।
তুমি আমার মায়ের ভাষা,
তাই তুমি ছাড়া মিটে কি আশা।
জেনেছি তোমারও আছে লেখার বর্ণ,
যাহার নাম 'নাগরি' বর্ণ।
শুনে তোমারই নাগরি বর্ণ,
জোড়ায় আমার কর্ণ।
তুমি ত দিযেছ মা মধুর সেই ভাষা,
তাই ছিলটি মোর মাতৃভাষা।
তোমারে করিতে স্বাধীন,
তোমার দামাল ছেলেরা হবে প্রাণহীন।
তাই আজ আমরাও ঐক্যবদ্ধ,
তোমরা সকলে হও বোধগম্য।
দাবী মোদের নাগরির স্বীকৃতি,
আনব ছিনিয়ে এটা হবে মোদের কীর্তি।
যার ফলে পাব মোরা স্বাধীন নাগরি,
তাই আজ এসো সবাই প্রতিজ্ঞা করি।
যদি যায় এই প্রাণ,
হবো না ক মোরা ম্লান।
রব চির দৃঢ় প্রতিজ্ঞ,
যাতে নাগরিতে থাকেনা কেউ অজ্ঞ।।©আর জে হৃদয়
নাগরি আমার বর্ণমালা,
নাগরি আমার গর্ব ,
নাগরির জন্য লড়ছি মোরা,
আজীবন লড়ে যাবো।
তাই আজ করছি শপথ,
কখনো দেবোনা হারাতে,
নাগরি তোমাকে,
তুমি আমাদের বর্ণ,
হ্যা তুমি আমাদের গর্ব।
ছিলটি আমার মায়ের ভাষা,
নাগরি তাহারি বর্ণ,
কে বলেছে মাগো তোমারি,
ভাষা অপূর্ণ।
তোমার ভাষায় বলছি কথা মা,
লেখার জন্য দিয়েছ তুমি,
নাগরি বর্ণ,
কে বলেছে মাগো তোমার,
ভাষা অপূর্ণ।
ছিলটি আমার মায়ের ভাষা,
নাগরি তাহারি বর্ণ,
বর্ণ ভাষা দিয়ে তুমি মা,
করেছ "সম্পূর্ণ "।
তাই আজ ,গর্বিত আমি,
গর্বিত মা,
গর্বিত ছিলটি বলে,
গর্বিত আমি,
গর্বিত মা,
আমার ভাষার,
একটি বর্ণ আছে বলে।
© এ.এস পার্থ 'র- ব্লগ
৬/৫/১৬ ইং
(উৎসর্গ - সকল নাগরি ভাষাসৈনিকদের প্রতি)
আজকাল বড্ড বেশী হাসি,
জীবন যুদ্ধে জয়-পরাজয়
তাই কি আমি ভাবি?
চোখ থাকতে যে বলে- কালো অন্ধকার!
বুঝিনা, সে কি ভুলে গেছে
আলো আসবে আবার!
বিষন্ন সকাল
তুমি ছাড়া
বিষন্ন বিকেল
তুমি ছাড়া
জ্যোৎস্নাটাও যেন বিষন্ন
তোমায় ছাড়া
জ্যোৎস্নাটাও যেন বিষন্ন
তোমায় ছাড়া
আমি পারবোনা ছেড়ে
থাকতে তোমায়
বাচঁবোনা ছেড়ে
থাকতে তোমায়
দাওনা দেখা একটু আমায়
আমি আবার
তোমায় নিয়ে বাঁচতে চাই
আমি আবার
তোমায় ঘিরে থাকতে চাই
প্রতি সুখে আর দুঃখে
তোমাকেই যে চাই
বিষন্ন সকাল
তুমি ছাড়া
বিষন্ন বিকেল
তুমি ছাড়া
জ্যোৎস্নাটাও যেন বিষন্ন
তোমায় ছাড়া
জ্যোৎস্নাটাও যেন বিষন্ন
তোমায় ছাড়া ।
উৎসর্গ - অনুদ্রিলা
শুধু নারী বলে বাস্তবতাকে
সহজে মেনে নেয়া তাদের জন্মগত স্বভাব।
শুধু পাড়ার সুন্দরী মেয়ে বলে
কত ছেলে বুড়ো যে তাকিয়ে থাকতো!
কী বিশ্রীভাবে ক্লাসে স্যার পিঠে হাত বুলাতো
ব্যঙ্গ করে বলতো,কেমন করে চলছে-
তোমার লেখাপড়া সোনামণি?
সেই সস্তা রসিকতা আজো সে ভুলেনি।
শত হায়েনার ভিড়ে যখন সে বাসে চড়ে
ভুঁড়ি নিয়ে কেউ পাশে দাঁড়ায়,কেউবা গা ঘেঁষে।
ভাই-বাবা বটবৃক্ষ মাথার উপর নাই
টিউশনিটা করে করে পড়ালেখা চালায়।
কখনো ছাত্রের মা বাড়ি ফিরতে দেরি হলে
উদম গায়ে থাকা তার বাবার সঙ্গে ভয়ে গল্প চলে।
বাঘের ন্যায় হিংস্র চাহনিতে তার গলা শুকিয়ে আসে।
যে প্রেমিকের হাত ধরে ঘর থেকে সে বেরিয়ে এসেছিল
পুরাতন হবার পর শত উপেক্ষা করে সেই তাকে ফেলে গেছে।
সমাজের প্রতিটা স্তর থেকে তাকে আঘাত করেছে তীরন্দাজ
মানিয়ে নেয়া,হার না মানা মেয়েটা উচ্চে তুলেছে স্বীয় তাজ-
উচ্চশিক্ষার অজানা লক্ষে সে দিয়েছে বিদেশ পাড়ি আজ।
চেয়ে আছি ছোট্ট দুটি খোকা-খুকির দিকে,
লাল-জামা আর চুড়ি না পেয়ে ঈদটা হবে ফিকে,
ফিরনি-পায়েস ঘরে-ঘরে,সন্দেশের ঘ্রাণ নাকে,
বৃষ্টি পড়ে ওরা তাকায়- চালের ফোটার ফাকে,
কেউ ডাকে বুয়া আমায়,কেউবা খালা,
সারাদিন খেটে যাই- বোঝেনা কেউ মনের জ্বালা,
চলে যায় বাড়ি সবে- অফিস,কলেজ,ভার্সিটি পেয়ে ছুটি,
ভাবে না একবার ও কেউ- জুটবে কি বুয়ার রুটি?
বছর শেষে ঈদ আসে নিয়ে আনন্দের বন্যা,
একরাশ ব্যথা চাপা দিয়ে চলছি গরিবের কন্যা।
[[নাগরি বর্ণে লেখা এখটা সনেট ]]বঙ্গ মা’র আল্লাদর ছিলট জননী,
পাহাড়ি ফুরি, আখালুকির জলপরী।
খাল-বিল আওরো,বডারো ছকিধারী;
ঘুমো তোমার কোরো এমেজি ওসমানী,
নিরাই হুতন শাজালালইয়েমেনী;
ছিলটি আর খাসিয়া আছে মনিপুরী।
মিঠা তোর মাথ, মাগো, হরফ নাগরী!
কমলা,হাতখরা, চা’র নু রাজধানী।
.
ডেউ ডেউ সুরমা তোমার অলংকার,
বাড়িত গুয়া, পাহাড়ো পানোর আবাদ।
আদি-ছাটির দেশো মরি করি কান্দন,
হাছন করিমর সুরো বন্দনা তার।
স্বাধীন-বেশে বাংলাদেশ, আশীর্বাদ,
সালাম, জানাই- আজারো অভিনন্দন।
ছিলট জননী
বঙ্গ মায়ের সুকন্যা ছিলট জননী,
পাহাড়ি-কন্যা, হাকালুকির জলপরী।
খাল-বিল হাওরে, সীমান্তে প্রহরী।
ঘুমিয়ে তোর কোলে এমেজি ওসমানী;
শান্তি শয়নে শাহজালাল ইয়েমেনী;
ছিলটি কিবা খাসিয়া আছে মনিপুরী।
মুগ্ধ তোর ভাষা, মাগো, বর্ণ নাগরী!
কমলা,সাতখরা, চায়ের রাজধানী।
স্রোতস্বিনী সুরমা তোর অলংকার,
বাড়িতে সুপারি, পাহাড়ে পানের আবাদ;
শীতল-পাঠির দেশে মরি এ ক্রন্দন,
হাছন করিমের সুরে বন্দনা তার।
স্বাধীন-বেশে বাংলাদেশ, আশীর্বাদ,
সালাম, জানাই- সহস্র অভিনন্দন।
পেরত্নির ডর
বাঘর ডরে উঠি গাছে,
আগার মাঝে দেখি পেরত্নি নাছে,
ওরে পেরত্নি হবায় যা,
যারে পাছ, তারে খা,
একটা, দুইটা, তিনটা করি,
হখলটির ঘাড় ধরি,
আমারে রাখিয়া অতারে লইয়া-
যা,আন্দাইরো মিলাইয়া যা।
অমাবস্যাত ঝনী পোক জ্বলে,
দেখিইয়া শাওস ডেখইর তুলে,
ধামকি দেওয়ায় পেরত্নি বাগে,
আনন্দ অতার লাগি মনর মাঝে।
পেত্নী ভয়
বাঘের ডরে উঠি গাছে,
আগায় দেখি পেত্নী নাছে,
ওরে পেত্নী ঐদিকে যা,
যাকে পাস, তাকে খা,
একটা, দুটা, তিনটা করে,
সবগুলার ঘাড়ে ধরে,
আমায় রেখে ওদের নিয়ে-
যা,আধাঁরে মিলিয়ে যা।
অমাবস্যায় জোনাক জ্বলে,
দেখে সাহস হাই তুলে,
ধমকানিতে পেত্নী তাড়ায়,
আনন্দ তাই মনর কোণায়।
জন্মের পরেই পেয়েছি তোমারে,
শুনিয়া মায়ে র মুখের ধ্বনিরে।
তুমি আমার মায়ের ভাষা,
তাই তুমি ছাড়া মিটে কি আশা।
জেনেছি তোমারও আছে লেখার বর্ণ,
যাহার নাম 'নাগরি' বর্ণ।
শুনে তোমারই নাগরি বর্ণ,
জোড়ায় আমার কর্ণ।
তুমি ত দিযেছ মা মধুর সেই ভাষা,
তাই ছিলটি মোর মাতৃভাষা।
তোমারে করিতে স্বাধীন,
তোমার দামাল ছেলেরা হবে প্রাণহীন।
তাই আজ আমরাও ঐক্যবদ্ধ,
তোমরা সকলে হও বোধগম্য।
দাবী মোদের নাগরির স্বীকৃতি,
আনব ছিনিয়ে এটা হবে মোদের কীর্তি।
যার ফলে পাব মোরা স্বাধীন নাগরি,
তাই আজ এসো সবাই প্রতিজ্ঞা করি।
যদি যায় এই প্রাণ,
হবো না ক মোরা ম্লান।
রব চির দৃঢ় প্রতিজ্ঞ,
যাতে নাগরিতে থাকেনা কেউ অজ্ঞ।।©আর জে হৃদয়
নাগরি আমার বর্ণমালা,
নাগরি আমার গর্ব ,
নাগরির জন্য লড়ছি মোরা,
আজীবন লড়ে যাবো।
তাই আজ করছি শপথ,
কখনো দেবোনা হারাতে,
নাগরি তোমাকে,
তুমি আমাদের বর্ণ,
হ্যা তুমি আমাদের গর্ব।
ছিলটি আমার মায়ের ভাষা,
নাগরি তাহারি বর্ণ,
কে বলেছে মাগো তোমারি,
ভাষা অপূর্ণ।
তোমার ভাষায় বলছি কথা মা,
লেখার জন্য দিয়েছ তুমি,
নাগরি বর্ণ,
কে বলেছে মাগো তোমার,
ভাষা অপূর্ণ।
ছিলটি আমার মায়ের ভাষা,
নাগরি তাহারি বর্ণ,
বর্ণ ভাষা দিয়ে তুমি মা,
করেছ "সম্পূর্ণ "।
তাই আজ ,গর্বিত আমি,
গর্বিত মা,
গর্বিত ছিলটি বলে,
গর্বিত আমি,
গর্বিত মা,
আমার ভাষার,
একটি বর্ণ আছে বলে।
© এ.এস পার্থ 'র- ব্লগ
৬/৫/১৬ ইং
(উৎসর্গ - সকল নাগরি ভাষাসৈনিকদের প্রতি)