Saturday, 6 June 2015

মুখোমুখি ফেভারিট বার্সেলোনা-জুভেন্টাস চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে (Champions League Final /Today, 12:45 AM Juventas-Barcelona)

শিরোপা জিতবে কে?স্পানিশ জায়ান্টরা নাকি কাতালান জায়ান্টরা?লক্ষ লক্ষ ফুটবল প্রেমিকের কৌতূহল এখন একটাই।স্বপ্ন টপ ফেভারিটদের নিয়ে। ফেভারিট বার্সেলোনা ও জুভেন্টাস আজ শনিবার যখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে মুখোমুখি হবে সে সময় উভয় দলেরই লক্ষ্য হবে ‘ট্রেবল’ জয়। কেননা নিজ নিজ লিগ জয়ের পাশাপাশি স্পেন(Spain) ও ইতালির(Italy) ক্লাব দুটি এছাড়াও ঘরোয়া আরো একটি শিরোপা তুলে নিয়েই মহাদেশীয় এ লড়াইয়ে নামছে। জার্মানির অলিম্পিক স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয়ের লড়াইটি ঘিরে এখন ইউরোপ জুড়ে সাজ সাজ রব। এ লড়াইয়ে শ্রেষ্ঠত্ব দেখাতে পারলে ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো ‘ট্রেবল’ জিতবে স্পানিশ জায়ান্টরা। অপরদিকে জুভেন্তাসের সামনে ‘ট্রেবল’-এর পাশাপাশি থাকছে প্রায় দু’দশক পর আবারো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের হাতছানি। বার্সেলোনা এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতলে দারুণ এক রেকর্ড গড়বেন দলটির মিডফিল্ডার আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। এই তারকা ২০১০ সালে
স্পেনের বিশ্বকাপজয়ী গোলটি করলেও, চ্যাম্পিয়ন্স
লিগের ফাইনালে কখনো জালে বল পাঠাতে
পারেননি। এমন নয় যে, ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের
সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতাটিতে ইনিয়েস্তার সাফল্য
নেই। কালকের খেলায় জুভেন্তাসকে হারিয়ে দিতে
পারলেই ইনিয়েস্তার নাম দেখা যাবে রিয়াল
মাদ্রিদ এবং এসি মিলানের কিংবদন্তী মিডফিল্ডার ক্ল্যারেন্স সিড্রফের পাশে, যিনি একাধিক ক্লাবের হয়ে চারবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন। তিনবার এই প্রতিযোগিতার শিরোপা জিতে পরের স্থানেই রয়েছেন ইনিয়েস্তা। ফাইনালের আগে বার্সা-জুভেন্টাস শিবির থেকে সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড়দের কাছ থেকে কথার গোলাও মিলছে। জুভদের সাবেক তারকা মার্কো তারদেল্লি মনে করেন ২০০৬ সালে ইতালিয়ান ফুটবলে কেলেঙ্কারির পর তুরিনের ক্লাবটি আবারো পুনর্গঠিত হচ্ছে। সেই ঘটনায় জড়িত থাকায় শাস্তি হিসেবে আরো চার ক্লাবের সঙ্গে রেলিগেশনে নামিয়ে দেয়া হয়েছিলো জুভেন্তাসকে। দ্যা গার্ডিয়ানকে এক সাক্ষাত্কারে তারদেল্লি বলেন, ‘ক্লাবটি আর্থিক দিক থেকে দাঁড়িয়েছে এবং ফের লিগ শিরোপাগুলো জিতছে। জুভেন্তাস ক্লাবের পেছনে তাকালে কেবল আলোকিত দিনগুলোই দেখা যাবে।’
এদিকে শক্তির দিক থেকে কাতালান ক্লাবটি এগিয়ে থাকলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে জুভেন্তাসকে সমীহই করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারকা স্ট্রাইকার নেইমার। ইতালিয়ান জায়ান্টদের সঙ্গে লড়ার জন্য ক্লাবটি সর্বোচ্চ প্রস্তুতিই নিচ্ছে বলে জানান ব্রাজিল জাতীয় দলের এই অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘আমরা জুভেন্তাসকে জানি। তারা দারুণ একটি দল এবং তারা সহজ কোনো সুযোগে ফাইনালে আসেনি। এটা অনেক কঠিন একটি খেলা হবে। তাই আমাদেরকে সর্বোচ্চটা দিয়েই খেলতে হবে। আমি মনে করি এটা চলতি মৌসুমের সবচেয়ে কঠিন ম্যাচ হবে। তবে আমরা ইতিহাস গড়তে চাইবো এবং এই লক্ষ্যের খুবই নিকটে চলে এসেছি আমরা।’
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালটা আরো স্মরণীয় হতে পারে বার্সা কিংবদন্তী জাভি হার্নান্দেজের জন্য। তিনি এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন— মৌসুম শেষেই দীর্ঘদিনের ক্লাবটি ছেড়ে কাতারে পাড়ি জমাবেন। গত বুধবার ক্যাম্প ন্যুতে জাভিকে আনুষ্ঠানিক বিদায়ও জানানো হয়েছে। তার বিদায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাতালান ক্লাবটির বর্তমান এবং সাবেক খেলোয়াড়রা; উপস্থিত ছিলেন গ্যালারি ভর্তি সমর্থক।চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল লড়াইটা হবে বার্সার হয়ে জাভির শেষ ম্যাচ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ দিয়ে এই তারকা মিডফিল্ডারকে বিদায় জানানোটা বেশি তাত্পর্যময় হবে বলে মনে করেন বার্সার সাবেক অধিনায়ক কার্লোস পুয়োল। তিনি বলেন, ‘জাভি তার শেষ খেলায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা তুলে ধরার জন্য যোগ্যতা রাখে। এই শিরোপা দিয়ে সে বিদায় নিক—এমনটাই আমি চাই।’ জাভির বিদায়টা নিশ্চিত হলেও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালটা জুভেন্তাস তারকা আন্দ্রে পিরলোর জন্যও শেষ ম্যাচ হতে পারে। এই ইতালিয়ান তারকা আমেরিকার মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) দল নিউইয়র্ক সিটির সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বলে জানা গেছে। ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে জুভেন্তাস থেকে বিদায় নেয়াটা আরো মহিমান্বিত করতে চাইবেন পিরলো। ফাইনালের আগে ভালো খবর—খারাপ খবর দু’টিই শুনছেন জুভেন্তাস কোচ ম্যাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রি। ঊরুর চোট কাটিয়ে অনুশীলনে ফিরেছেন সেন্টার-ব্যাক আন্দ্রে বারজাগলি। তবে কাফ ইনজুরিতে ভুগছেন দলের অপর ডিফেন্ডার গিওর্গিও চিয়েলিনি।

Friday, 5 June 2015

আয়ারল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশি

যেসব বাংলাদেশি প্রবাসী ভাইদের জন্য আমাদের অর্থনীতির চাকা দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, তারা প্রবাসে কত কষ্টে আছে তারা জানে। স্যালুট এই সব ভাইদের। এই নিউজ টা আয়ারল্যান্ডের প্রবাসী বাংলাদেশি ভাইদের জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তির হবে আশা করি।অনেকে জানেন আবার অনেকে না- আগামী ৭ই জুন ২০১৫ ইং রোজ রবিবার লন্ডনের বাংলাদেশ দূতাবাস আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনে সকাল ১০টা ৩০মিনিট থেকে বৈকাল ৪টা পর্যন্ত সকল বাংলাদেশীদের জন্য বাংলাদেশী পাসপোর্ট নবায়ন, নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন গ্রহন, আইরিশ পাসপোর্টের জন্য নো ভিসা রিকয়ার্ড সীল, এফিডেভিট, জন্ম সনদ সত্যায়িত এবং পাওয়ার এটর্নি সহ আরো অন্যান্য সেবা সমূহ প্রদান করার জন্য ডাবলিনে আসবেন।
স্থান: Islamic Cultural Centre of Ireland,
19 Roebuck Road, Clonskeagh, Dublin 14,Ireland
বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন: টিটু খন্দকার -০৮৬৬৬৬৫৩১৮, রিয়াজ খন্দকার-০৮৬৭৭৫৮৯৭০, আসিক কামাল -০৮৯৯৫০৫৪৪৬, জিকু বনিক -০৮৬২৫১৯১২৫।

নিউজ টা শেয়ার করে বাংলাদেশিদের সেবায় এগিয়ে আসুন,প্লিজ ।

Budget 2015-2016 যেসব পণ্যের দাম বাড়ছে বা কমছে

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত । গড় মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ২ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য ঠিক করে বর্তমান সরকারের দ্বিতীয় বাজেট ঘোষণা করেছেন তিনি। সাত শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরে নতুন অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, “সরবরাহের দিক থেকে শিল্প ও সেবাখাত এবং চাহিদার দিক থেকে ব্যক্তি খাতের ভোগ ব্যয় এবং ব্যক্তি ও সরকারিখাতোর বিনিয়োগ ব্যয় হবে এই প্রবৃদ্ধিরচালিকাশক্তি। উপরন্তু, রাজস্ব ও মুদ্রানীতিরসুসমন্বয় এ লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে।”

নতুন বাজেটের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে উচ্চ প্রবৃদ্ধির পথ রচনা। অর্থমন্ত্রী আশা করছেন,আসন্ন নতুন অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) চলতি অর্থবছরের চেয়ে ৭শতাংশ বাড়বে।সেই সঙ্গে গড় মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ২ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য ঠিক করেছেন মুহিত।

বাজেটে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে শুল্কহার, সম্পূরক শুল্ক ও মূল্য সংযোজন করে (মূসক) ছাড় বা অব্যাহতি কিংবা শুল্ক রেয়াতি সুবিধা দেওয়া হলে পণ্যের দাম কমে থাকে। আবার এসব সুবিধার উল্টোটা হলে অর্থাৎ শুল্ক–করসমূহ বাড়ানো হলে পণ্যের দাম বাড়ে। তাহলে বাজেট অনুযায়ী দেখে নেই কোন কোন জিনিসের দাম কমছে বা বাড়ছে।

যেসব পণ্যের দাম বাড়বে:
চিনি: অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে টন প্রতি কাস্টমস ডিউটি দুই হাজার থেকে চার হাজার টাকা করায় আমদানি করা চিনির দাম বাড়বে ।আর পরিশোধিত চিনি আমদানিতে টন প্রতি কাস্টমস ডিউটি সাড়ে চার হাজার থেকে আট হাজার টাকা করায় এর দাম বাড়বে।
মোটরগাড়ির টায়ার: মোটরগাড়ির টায়ার আমদানিতে নতুন করে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাবে এটির দাম বাড়বে।
ইলেকট্রিক ব্যাটারিচালিত মোটরগাড়ি:
আমদানিতে নতুন করে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের কারণে এর দাম বৃদ্ধি পাবে। অটোরিকশা/থ্রি-হুইলার: দুই স্ট্রোক এবং চারস্ট্রোকবিশিষ্ট অটোরিকশা/ থ্রি-হুইলারের ইঞ্জিন আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ১৫ থেকে বৃদ্ধি করে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাবে এটির দাম বাড়বে।
এলইডি ও এলসিডি টিভি: বাজেটে এলসিডি ও এলইডি টেলিভিশন তৈরির পূর্ণাঙ্গ প্যানেল এবংঅপটিক্যাল ফাইবারের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব করায় এর দাম বাড়তে পারে।
সিম কার্ড: অর্থমন্ত্রী সিম কার্ড আমদানির ওপর সম্পূরক শুল্ক হার ১৫ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছেন। এতে পণ্যটির দাম বাড়বে।
রেজর: রেজর আমদানিতে নতুন করে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং স্টেইনলেস স্টিল ব্লেড আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ১৫ থেকে বাড়িয়ে ২০শতাংশ করার প্রস্তাবে এর দাম বাড়বে।

আরও যেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে:
মোটরসাইকেল, রিভলবার ও পিস্তল, অমসৃণ হীরাও ইমিটেশন জুয়েলারি; সৌন্দর্যচর্চা ও ত্বক-নখ-পায়ের পরিচর্যার প্রসাধন সামগ্রী; চা; মাখনসহ অন্যান্য দুগ্ধজাত চর্বি, তেল ও দই-পনির; তাজাবা ঠান্ডা টমেটো; তাজা বা শুকনা সুপারি,সিরামিকের বাথটাব ও জিকুজি, শাওয়ার,শাওয়ার ট্রে; প্রিন্টিং ইংক; রিরোলিংশিল্পের মধ্যবর্তী পণ্য বিলেট; আর্টিফিশিয়াল ফিলামেন্ট টো; টেম্পারড সেফটি গ্লাস ও ল্যামিনেটেড সেফটি গ্লাস; ফ্রেমবিহীন ও ফ্রেমযুক্ত কাচের আয়না; কাস্ট আয়রনের টিউব পাইপস ও ফাঁপা প্রোফাইল; আয়রন বা স্টিলের তৈরি অন্যান্য টিউব, পাইপ ও ফাঁপা প্রোফাইল,সিমলেস; অয়েল অথবা গ্যাস পাইপ লাইনে ব্যবহৃত লাইন পাইপ, রান্নার তৈজসপত্র ও প্লেট গরমকারক; স্টেইনলেস স্টিলের টেবিলওয়্যার,কিচেনওয়্যার, সিঙ্ক, ওয়াশ বেসিন, পানির ট্যাপও বাথরুমের ফিটিংস; কপারের তৈরি স্যানিটারি ওয়্যার অ্যালুমিনিয়াম স্যানিটারিওয়্যার ও এর যন্ত্রাংশ; বিভিন্ন ধরনের সাউন্ডরেকর্ডিং বা রিপ্রডিউসিং এপারেটাস (ম্যাগনেটিক, অপটিক্যাল বা সেমিকন্ডাক্টর মিডিয়া ব্যবহারকারী); সম্পূর্ণ তৈরি সাউন্ডরেকর্ডিং বা রিপ্রডিউসিং এপারেটাস; সম্পূর্ণ তৈরি ভিডিও রেকর্ডিং বা রিপ্রডিউসিংয়ের যন্ত্রপাতি; লোডেড প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড;পকেট সাইজ রেডিও ক্যাসেট প্লেয়ার;সালফিউরিক অ্যাসিড; ওলিয়াম; পেইন্টস,ভার্নিশ ও লেকার (এনামেল ও ডিস্টেম্পারসহ)।

যেসব পণ্যের দাম কমবে:
তৈরি পোশাক: পুরুষ, মহিলা ও শিশুদের জন্য আমদানি করা সব ধরনের তৈরি পোশাকের দাম কমতে পারে। এসব পণ্যে সম্পূরক শুল্ক ৬০ থেকে কমিয়ে ৪০ শতাংশ করা হয়েছে।
ওষুধ: হেপাটাইটিস-সি ভাইরাস জনিত বালিভার-সংক্রান্ত জটিল রোগের ওষুধের ওপর উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে মূসক অব্যাহতি এবংআরও বেশ কিছু ওষুধের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক রেয়াতি সুবিধা প্রদানের প্রস্তাব থাকায় বিভিন্ন ধরনের ওষুধের দাম কমবে।
পেঁয়াজ: বাজেটে পেঁয়াজের ওপর আরোপিত আমদানির ওপর শুল্কহার সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এতে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কমবে।
দেশি খেলনা: বিভিন্ন শর্তে খেলনা শিল্পের যন্ত্রপাতি ও উপকরণ আমদানিতে শুল্ক হ্রাসের প্রস্তাব করায় এটির দাম কমবে।
টুথব্রাশ: ডেন্টাল প্লেট ব্রাশসহ সব ধরনের টুথব্রাশ আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক কমানোর ফলে এর দাম কমবে।
মশার কয়েল: মশার কয়েল ও অ্যারোসল আমদানির ওপর সম্পূরক শুল্ক ৩০ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশপ্রস্তাব করায় এর দাম কমবে।
টিস্যু পেপার: টিস্যু পেপার, টয়লেট পেপার,টাওয়েল বা ন্যাপকিন পেপার ও সমজাতীয় পণ্য,গৃহস্থালি, স্যানিটারি বা অনুরূপ কাজে ব্যবহৃত এ ধরনের পণ্য আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ৪৫ থেকে কমিয়ে ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাবে এগুলোর দাম কমবে

আরও যেসব পণ্য ও সেবার দাম কমবে:
দেশলাই; ছেলেদের স্যুট, জ্যাকেট, ব্লেজার,
ট্রাউজার; মেয়েদের স্যুট, জ্যাকেট, ব্লেজার,ড্রেস, স্কার্ট, ট্রাউজার, ব্লাউজ, শার্ট, শার্ট-
ব্লাউজ; ছেলেদের আন্ডারপ্যান্ট, নাইটশার্ট,পায়জামা, বাথরোব, ড্রেসিং গাউন, স্লিপ,
পেটিকোট, ব্রিফ, প্যান্টি, নাইটড্রেস,পায়জামা, নেগলেজি, বাথরোব, টি-শার্ট,পুলওভার, কার্ডিগান, ওয়েস্টকোট; শিশুদের গার্মেন্টস; গ্লাভস, মিটেনস ও মিটস; পুরুষ,মহিলা ও শিশুদের ট্র্যাকস্যুট ও সমজাতীয় পণ্য;কৃত্রিম ফুল, ফল; কাস্ট অথবা রোল গ্লাস; ড্রনগ্লাস ও বোন গ্লাসশিট; খেলার তাস; ডাম্পারট্রাক; কোকাযুক্ত চকলেট ও অন্যান্য খাদ্য প্রিপারেশন; কোকাযুক্ত নয় এমন সুগার কনফেকশনারি (সাদা চকলেটসহ); তৈরি চকলেট;জ্যাম-জেলি, মারমালেডস; ফল বা বাদামযুক্ত পিউরি, ফল বা বাদামের পেস্ট; গ্রিজ (খনিজ);প্লাস্টিকের তৈরি দরজা, জানালা, বাক্স,কেইস, টেবিলওয়্যার বা কিচেনওয়্যার, সেলফএডহেসিভ প্লেট, শিট, ফিল্ম, ফয়েল, টেপ, স্ট্রিপ,কার্বয়, বোতল, ফ্লাস্ক ও প্যালেটস; সব ধরনের পার্টিক্যাল বোর্ড, ফাইবার বোর্ড, হার্ডবোর্ড,প্লাইউড, ভিনিয়ার্ড প্যানেলস ও সমজাতীয় লেমিনেটেড পণ্য, দরজা, জানালা, প্যারকিটপ্যানেল ও শাটারিং; পেপার ও পেপার বোর্ড;কার্টন, বক্স, কেস, করোগেটেড পেপার ও পেপারবোর্ড; স্যাকস্ ও ব্যাগস্; মুদ্রিত বই, ব্রশিউর ও লিফলেট; ছাপানো ছবি, ফটোগ্রাফসহ অন্যান্য ছাপানো পণ্যসামগ্রী; মিস্টি বিস্কুট, ওয়াফল সওয়েফার; পশু খাদ্যের পুষ্টি প্রিমিক্স;হিমাগার সেবার বিদ্যুৎ বিল; পলিস্টার সুতার কাঁচামাল পেটচিপস; আয়রণ অক্সাইড; প্লাস্টিকদানা; বাসবার ট্রাংকিং সিস্টেম ও ফ্লাক্স ফাইবার প্রভৃতি।

Thursday, 4 June 2015

বিশ্বব্যাপী নতুন আতংক (mers-virus) মার্স ভাইরাস

মার্স ভাইরাসের লক্ষণ এবং প্রতিরোধে করণীয়:
মার্স ভাইরাস(mers-virus) বা মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম- সংক্ষেপে মার্স (Middle East respiratory syndrom- MERS) বর্তমানে বিশ্বব্যাপী নতুন আতংক হিসেবে দেখা দিয়েছে।সম্প্রতি মিডল ইস্ট ছাড়াও কোরিয়াতে ভাইরাসটি
ছড়িয়ে পড়ায় সকলের মধ্যে দেখা দিয়েছে ব্যাপক আতংক। মার্সে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। সবচেয়ে বড় আতংকের বিষয় হচ্ছে মার্স আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুহার অনেক বেশি।

মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (মার্স) কী?
মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (র্স) এক ধরনের ভাইরাস সংক্রমণ। এই ভাইরাস একটি করোনা ভাইরাস।

মার্স ভাইরাসে আক্রান্ত রোগের লক্ষণগুলো কী কী?
– বেশ কয়েকদিন ধরে শরীরে জ্বর থাকা (১০০.৪ ডিগ্রি বা তার অধিক)
– শ্বাসকষ্ট (জ্বর আসার ২/৩ দিন পর সাধারণত শুরু হয় তবে কারো কারো ক্ষেত্রে ১০দিন পরেও শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে)
– কাঁশি মার্স অনেকটা সার্স ভাইরাসের অনুরূপ হলেও এ দু’এর মধ্যে কিছুটা পার্থক্য পাওয়া গেছে। মার্স এর প্রধান প্রধান লক্ষণ হচ্ছে- জটিলশ্বাস-প্রশ্বাস,শ্বাসকষ্ট। রোগী স্বাভাবিক শ্বাস নিতে পারেনা। স্বাভাবিক শ্বাসের পরিবর্তে রোগীর শ্বাস হবে ঘনঘন ও ছোট ছোট।জ্বর এবং কফ। প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যাবার জটিলতা।কিভাবে এই রোগ ছড়ায়?
রোগটি সম্পর্কে এখনো বিশেষজ্ঞরা একমত না হলেও ধারণা করা হয় এই ভাইরাসটি প্রথম পশুর (উট) মাধ্যমে ছড়িয়েছে। পরবর্তী সময়ে তা মানুষ থেকে মানুষের কাছে ছড়াচ্ছে। সাধারণত এই ভাইরাসটি মানুষের ঘনবসতি এলাকায় বেশি দেখা যাচ্ছে।
কাছাকাছি সংস্পর্শ, হাচি কাশি ইত্যাদির মাধ্যমে ছড়ায়। এই রোগে আক্রান্তদের কাছাকাছি আসলে এই রোগে আক্রান্ত হবার সুযোগ সৃষ্টি হয়।মার্স ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায় এখনো পর্যন্ত মার্স করোনাভাইরাসের কোন নির্ধারিত ভ্যাকসিন আবিষ্কা রহয়নি, শুধু মার্স ভাইরাসের নির্দিষ্ট কোন চিকিৎসাও নেই। তবে বিশেষজ্ঞগণ জোর দিয়ে বলেছেন সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করলে এই করোনাভাইরাসের আক্রমণ থেকে সহজেই রক্ষা পাওয়া যায়। সতর্কতামূলক পদক্ষেপগুলোহচ্ছে-
১. উপরের লক্ষণগুলো দেখা দিলে আপনি জ্বররোধক এবং ব্যাথার ওষুধ (painkiller) গ্রহণ করতে পারেন।
২. পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল পানীয় পান করুন, পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রামগ্রহণ করুন এবং স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন।
৩. বাইরে থেকে এসে ভালো করে হাত ধুতে হবে।অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। এছাড়া হ্যান্ডস্যানিটাইজারও ব্যবহার করতে পারেন।
৪. জনবসতি পূর্ণ এলাকায় গেলে নাক-মুখ ঢেকে রাখলে রোগের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে পারেন।
৫. অধোয়া হাত চোখ, নাক অথবা মুখের স্পর্শে না আনাটাই উত্তম। কারণ জীবানু হাত থেকে নাক মুখ চোখের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে।
৬. আক্রান্ত রোগীর ব্যবহৃত জিনিস বিশেষ করে প্লেট, চামচ, তোয়ালে, গামছা ইত্যাদি ব্যবহার করবেন না।
৭. আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শ যতটুকু সম্ভব এড়িয়ে চলাটাই উত্তম।
৮. রোগের উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।প্রসঙ্গত, মার্সের এখন পর্যন্ত কোনো টিকা কিংবা প্রতিরোধক আবিষ্কৃত হয়নি, তাই সবার সচেতনতাই এখন পর্যন্ত একমাত্র উপায়।

সড়ক দুর্ঘটনার শিকার মাশরাফি সতর্ক থেকে বড় বিপদ এড়ালেন

আমাদের মাশরাফি ভাই মাটির মানুষ, সরল মনের মানুষ, ও আমাদের পাগলা কৌশিক।তাইতো ও এত বড় মাপের তারকা হয়েও আকাশেথাকেনা, আমাদের সাথে এই বাংলার মাটিতেই থাকে।তাইতো ও দামি গাড়ির চেয়ে রিক্সা কে বেশি ভালোবাসে।তাইতো ও সকাল বেলা লুঙ্গী পরেই বাজারে চলে যায়।পাড়ার চা দোকানে বসে চা খেতে খেতে সবার সাথে কুশল বিনিময় করে। রাস্তার মোড়ে টং দোকানে বসে চা খেতে পারে অবলীলায়। সবার সাথে মিলে মিশে চলে। আমি অবাক হয়ে ভাবি, এই ছেলেটা এতো ভালো কেন ? মাশরাফি আমাদের গর্ব।তাঁকে ভালবাসে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে কি না আমি জানি না। মাশরাফিকে নিয়ে টিভিতে প্রথম যখন শিরোনাম দেখলাম, বুকে কাপঁন ধরিয়ে দিয়েছিল! আর একটু হলে আমি হাট' ফেল করতাম!!  খবরটি চোখে পড়ার সাথে সাথে বুকের ভেতর ধপ করে কেমন যেন করে উঠলো, বুঝতে পারলাম আমরা মাশরাফিকে কত ভালোবাসি !!
যাহোক, সতর্ক থাকার জন্য বড় রকরের বিপদ এড়ালেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। মাশরাফির মেয়ে হুমায়রার টিকা দেওয়ার তারিখবৃহস্পতিবার। তার গাড়িটি মেয়েকে নিয়ে গেছেটিকা কেন্দ্রে। আরেকটি গাড়ির ব্রেকে ছিলসমস্যা। বাসা থেকে ১০-১৫ মিনিটের দূরত্বস্টেডিয়ামে তাই রিকশায় চেপে রওনা হয়েছিলেনতিনি। পথেই পেছন থেকে বাসের ধাক্কা। তবেউপস্থিত বুদ্ধির জোরে বড় ধরনের আঘাত পাওয়াথেকে বেঁচেছেন দেশ সেরা এই পেসার।সকাল ৯টার পর পর বাসা থেকে একটু এগিয়ে কালশি
রোডের কাছে আসতেই দুর্ঘটনা। মাশরাফিইবর্ণনায়, "পেছনের বাসটি যে একটু এলেমেলোচালাচ্ছিল, সেটি বুঝতে পারছিলাম। রিকশায়বসেই তাই খেয়াল রাখছিলাম বাসটির দিকে।বাসটি যখন আমার রিকশার কাছাকাছি এসে যখনধাক্কা দেবে প্রায়, বুঝতে পেরেই আমি লাফ দেই।বাস ঠিকই ধাক্কা দেয় রিকশাকে, রিকশার চাকাভেঙে যায়। পেছনেই ছিল একটি পুলিশের গাড়ি।ওরা এসে আমাকে টেনে তোলে। হাসপাতালেওনিয়ে যেতে চেয়েছিল, তবে আমি ধন্যবাদ জানিয়েবলি যে নিজেই ব্যবস্থা করে নেব।"ওই বাস ও বাসের চালককেও আটক করেছিল পুলিশ।তবে মাশরাফিই পুলিশকে অনুরোধ করেন তাদেরছেড়ে দিতে।তাৎক্ষণিক ভাবে হাসপাতালে না গিয়েশেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামেই চলে আসেনমাশরাফি।বিসিবির চিকিৎসকরা তার দুই হাতে ওহাঁটুতে ব্যান্ডেজ করে দেন। ডান হাতের চোট একটুবেশি। বুড়ো আঙুলের নিচে তালুতে ক্ষত হয়েছে।লাফ দিয়ে রাস্তায় পড়ে গিয়েছিলেন বলে গরমপিচের ঘষা খেয়ে পুড়েও গেছে। বাঁ হাতের তালুর
উল্টো পিঠে ছড়ে গেছে। হাঁটুতেও চোট লেগে ছড়েগেছে। পরে ফুলেও উঠেছে হাঁটু। ক্যারিয়ার জুড়েহাঁটুর চোট কম ভোগায়নি মাশরাফিকে। তবে এবারচোট গুরুতর নয়।
দুপুর নাগাদও হাতে ব্যথা ছিল, হাঁটু ফোলা ছিল। তবুবড় কোনো ক্ষতি হয়নি ভেবে স্বস্তির নি:শ্বাসফেলছিলেন মাশরাফি, "ব্যথা আছে এখনও। তবে এটাকোনো ব্যাপার না। ভাগ্য ভালো আমি বাসটিরদিকে চোখ রাখছিলাম। যদি খেয়াল না করতাম বা
অন্যমনস্ক থাকতাম, তাহলে হয়তো বাসের ধাক্কায়আরও গুরুতর কিছু হতে পারত। আল্লাহর রহমতে বড়ধরনের একটা বিপদ থেকে বেঁচে গেছি।"শনিবার থেকেই জিম অনুশীলন শুরু করতে পাবেনবলে মনে করছেন মাশরাফি। ১২ জুন বগুড়ায় বিসিবি
হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের প্রস্তুতি ম্যাচটিতেওখেলতে পারবেন বলে আশা বাংলাদেশের ওয়ানডেঅধিনায়কের। বগুড়ায় হাই পারফরম্যান্স ইউনিটেরপ্রস্তুতি ম্যাচে খেলার কথা মাশরাফিসহ টেস্টদলের বাইরে থাকা আরও কজনের।

এদিকে মাশরাফির হাতের তালুর ক্ষত নিয়ে চিন্তিত কোচ ও। ডান-হাতি বোলার মাশরাফির এই দুর্ঘটনাকেদুর্ভাগ্যজনক উল্লেখ করে জাতীয় দলের কোচচন্দিকা হাথুরুসিংহে বলেন, “এমনিতে চোট বেশি গুরুতর না;কিন্তু হাতের তালু নিয়ে আমরা একটু চিন্তিত।”
“যেহেতু টেস্ট আগে এবং ওয়ানডে সিরিজের আগেসময় আছে; আশা করি, সে সেরে উঠবে। তাকেসেরে ওঠার সর্বোচ্চ সুযোগ দেওয়া হবে।”
ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি ভারতেরবিপক্ষে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলীস্টেডিয়ামে ১০ জুন শুরু হতে যাওয়া একমাত্রটেস্টের দলে নেই।তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি শুরু হবে১৮ জুন। বাকি দুটি ওয়ানডে ২১ ও ২৪ জুন। দিবা-রাত্রির তিনটি ওয়ানডেই হবে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।

বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের গভর্নর ও অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমানের নিজের ভাষায় তাঁর জীবন কথা

বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের গভর্নর ও অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমানের জীবন গাঁথা পড়ুন , উপলব্ধি করুন। যদি ভেবে থাকেন আপনার জীবন এখানেই থেমে গেছে ,তবে ভুল করবেন। হাল ধরুন আর এখান থেকেই এগিয়ে যান ।
আমার জন্ম জামালপুর জেলার এক অজপাড়াগাঁয়ে। ১৪ কিলোমিটার দূরের শহরে যেতে হতো পায়ে হেঁটে বা সাইকেলে চড়ে। পুরো গ্রামের মধ্যে একমাত্র মেট্রিক পাস ছিলেন আমার চাচা মফিজউদ্দিন। আমার বাবা একজন অতি দরিদ্র ভূমিহীনকৃষক। আমরা পাঁচ ভাই, তিন বোন। কোনরকমে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটতো আমাদের। আমার দাদার আর্থিক অবস্থা ছিলো মোটামুটি। কিন্তু তিনি আমার বাবাকে তাঁর বাড়িতে ঠাঁই দেননি। দাদার বাড়ি থেকে খানিকটা দূরেএকটা ছনের ঘরে আমরা এতগুলো ভাই-বোন আর বাবা-মা থাকতাম। মা তাঁর বাবার বাড়ি থেকে নানার সম্পত্তির সামান্য অংশপেয়েছিলেন। তাতে তিন বিঘা জমি কেনা হয়। চাষাবাদের জন্য অনুপযুক্ত ওই জমিতে বহু কষ্টে বাবা যা ফলাতেন, তাতে বছরে ৫/৬মাসের খাবার জুটতো। দারিদ্র্য কী জিনিস, তা আমি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করেছি- খাবার নেই, পরনের কাপড় নেই; কী এক অবস্থা ! আমার মা সামান্য লেখাপড়া জানতেন। তাঁর কাছেই আমার পড়াশোনার হাতেখড়ি। তারপর বাড়ির পাশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হই।কিন্তু আমার পরিবারে এতটাই অভাব যে, আমি যখন তৃতীয় শ্রেণীতে উঠলাম, তখন আর পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকলোনা। বড় ভাই আরো আগে স্কুল ছেড়ে কাজে ঢুকেছেন। আমাকেও লেখাপড়া ছেড়ে রোজগারের পথে নামতে হলো। আমাদের একটা গাভী আর কয়েকটা খাসি ছিল। আমি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওগুলো মাঠে চরাতাম। বিকেল বেলা গাভীর দুধ নিয়েবাজারে গিয়ে বিক্রি করতাম। এভাবে দুই ভাই মিলে যা আয় করতাম, তাতে কোনরকমে দিন কাটছিল। কিছুদিন চলার পর দুধ বিক্রিরআয় থেকে সঞ্চিত আট টাকা দিয়ে আমি পান-বিড়ির দোকান দেই। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দোকানে বসতাম। পড়াশোনা তোবন্ধই, আদৌ করবো- সেই স্বপ্নও ছিল না ! এক বিকেলে বড় ভাই বললেন, আজ স্কুল মাঠে নাটক হবে। স্পষ্ট মনে আছে, তখন আমার গায়ে দেওয়ার মতো কোন জামা নেই। খালিগা আর লুঙ্গি পরে আমি ভাইয়ের সঙ্গে নাটক দেখতে চলেছি। স্কুলে পৌঁছে আমি তো বিস্ময়ে হতবাক ! চারদিকে এত আনন্দময় চমৎকারপরিবেশ ! আমার মনে হলো, আমিও তো আর সবার মতোই হতে পারতাম। সিদ্ধান্ত নিলাম, আমাকে আবার স্কুলে ফিরে আসতে হবে। নাটক দেখে বাড়ি ফেরার পথে বড় ভাইকে বললাম, আমি কি আবার স্কুলে ফিরে আসতে পারি না ? আমার বলার ভঙ্গি বা করুণ চাহনিদেখেই হোক কিংবা অন্য কোন কারণেই হোক কথাটা ভাইয়ের মনে ধরলো। তিনি বললেন, ঠিক আছে কাল হেডস্যারের সঙ্গে আলাপকরবো। পরদিন দুই ভাই আবার স্কুলে গেলাম। বড় ভাই আমাকে হেডস্যারের রুমের বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে ভিতরে গেলেন। আমি বাইরেদাঁড়িয়ে স্পষ্ট শুনছি, ভাই বলছেন আমাকে যেন বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগটুকু দেওয়া হয়। কিন্তু হেডস্যার অবজ্ঞার ভঙ্গিতেবললেন, সবাইকে দিয়ে কি লেখাপড়া হয় ! স্যারের কথা শুনে আমার মাথা নিচু হয়ে গেল। যতখানি আশা নিয়ে স্কুলে গিয়েছিলাম,স্যারের এক কথাতেই সব ধুলিস্মাৎ হয়ে গেল। তবু বড় ভাই অনেক পীড়াপীড়ি করে আমার পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি যোগাড় করলেন।পরীক্ষার তখন আর মাত্র তিন মাস বাকি। বাড়ি ফিরে মাকে বললাম, আমাকে তিন মাসের ছুটি দিতে হবে। আমি আর এখানে থাকবোনা। কারণ ঘরে খাবার নেই, পরনে কাপড় নেই- আমার কোন বইও নেই, কিন্তু আমাকে পরীক্ষায় পাস করতে হবে। মা বললেন, কোথায় যাবি ? বললাম, আমার এককালের সহপাঠী এবং এখন ক্লাসের ফার্স্টবয় মোজাম্মেলের বাড়িতে যাবো। ওর মায়েরসঙ্গে আমার পরিচয় আছে। যে ক’দিন কথা বলেছি, তাতে করে খুব ভালো মানুষ বলে মনে হয়েছে। আমার বিশ্বাস, আমাকে উনি ফিরিয়েদিতে পারবেন না। দুরু দুরু মনে মোজাম্মেলের বাড়ি গেলাম। সবকিছু খুলে বলতেই খালাম্মা সানন্দে রাজি হলেন। আমার খাবার আর আশ্রয় জুটলো; শুরুহলো নতুন জীবন। নতুন করে পড়াশোনা শুরু করলাম। প্রতিক্ষণেই হেডস্যারের সেই অবজ্ঞাসূচক কথা মনে পড়ে যায়, জেদ কাজ করেমনে; আরো ভালো করে পড়াশোনা করি। যথাসময়ে পরীক্ষা শুরু হলো। আমি এক-একটি পরীক্ষা শেষ করছি আর ক্রমেই যেন উজ্জীবিত হচ্ছি। আমার আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যাচ্ছে।ফল প্রকাশের দিন আমি স্কুলে গিয়ে প্রথম সারিতে বসলাম। হেডস্যার ফলাফল নিয়ে এলেন। আমি লক্ষ্য করলাম, পড়তে গিয়ে তিনিকেমন যেন দ্বিধান্বিত। আড়চোখে আমার দিকে তাকাচ্ছেন। তারপর ফল ঘোষণা করলেন। আমি প্রথম হয়েছি ! খবর শুনে বড় ভাইআনন্দে কেঁদে ফেললেন। শুধু আমি নির্বিকার- যেন এটাই হওয়ার কথা ছিল। বাড়ি ফেরার পথে সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। আমি আর আমার ভাই গর্বিত ভঙ্গিতে হেঁটে আসছি। আর পিছনে এক দল ছেলেমেয়ে আমাকেনিয়ে হৈ চৈ করছে, স্লোগান দিচ্ছে। সারা গাঁয়ে সাড়া পড়ে গেল ! আমার নিরক্ষর বাবা, যাঁর কাছে ফার্স্ট আর লাস্ট একই কথা- তিনিওআনন্দে আত্মহারা; শুধু এইটুকু বুঝলেন যে, ছেলে বিশেষ কিছু একটা করেছে। যখন শুনলেন আমি ওপরের কাসে উঠেছি, নতুন বইলাগবে, পরদিনই ঘরের খাসিটা হাটে নিয়ে গিয়ে ১২ টাকায় বিক্রি করে দিলেন। তারপর আমাকে সঙ্গে নিয়ে জামালপুর গেলেন।সেখানকার নবনূর লাইব্রেরি থেকে নতুন বই কিনলাম। আমার জীবনযাত্রা এখন সম্পূর্ণ বদলে গেছে। আমি রোজ স্কুলে যাই। অবসরে সংসারের কাজ করি। ইতোমধ্যে স্যারদের সুনজরে পড়েগেছি। ফয়েজ মৌলভী স্যার আমাকে তাঁর সন্তানের মতো দেখাশুনা করতে লাগলেন। সবার আদর, যত্ন, স্নেহে আমি ফার্স্ট হয়েই পঞ্চমশ্রেণীতে উঠলাম। এতদিনে গ্রামের একমাত্র মেট্রিক পাস মফিজউদ্দিন চাচা আমার খোঁজ নিলেন। তাঁর বাড়িতে আমার আশ্রয় জুটলো। প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে আমি দিঘপাইত জুনিয়র হাইস্কুলে ভর্তি হই। চাচা ওই স্কুলের শিক্ষক। অন্য শিক্ষকরাও আমার সংগ্রামের কথাজানতেন। তাই সবার বাড়তি আদর-ভালোবাসা পেতাম। আমি যখন সপ্তম শ্রেণী পেরিয়ে অষ্টম শ্রেণীতে উঠবো, তখন চাচা একদিন কোত্থেকে যেন একটা বিজ্ঞাপন কেটে নিয়ে এসে আমাকেদেখালেন। ওইটা ছিল ক্যাডেট কলেজে ভর্তির বিজ্ঞাপন। যথাসময়ে ফরম পুরণ করে পাঠালাম। এখানে বলা দরকার, আমার নাম ছিলআতাউর রহমান। কিন্তু ক্যাডেট কলেজের ভর্তি ফরমে স্কুলের হেডস্যার আমার নাম আতিউর রহমান লিখে চাচাকে বলেছিলেন, এইছেলে একদিন অনেক বড় কিছু হবে। দেশে অনেক আতাউর আছে। ওর নামটা একটু আলাদা হওয়া দরকার; তাই আতিউর করেদিলাম। আমি রাত জেগে পড়াশোনা করে প্রস্তুতি নিলাম। নির্ধারিত দিনে চাচার সঙ্গে পরীক্ষা দিতে রওনা হলাম। ওই আমার জীবনে প্রথমময়মনসিংহ যাওয়া। গিয়ে সবকিছু দেখে তো চক্ষু চড়কগাছ ! এত এত ছেলের মধ্যে আমিই কেবল পায়জামা আর স্পঞ্জ পরে এসেছি !আমার মনে হলো, না আসাটাই ভালো ছিল। অহেতুক কষ্ট করলাম। যাই হোক পরীক্ষা দিলাম; ভাবলাম হবে না। কিন্তু দুই মাস পর চিঠিপেলাম, আমি নির্বাচিত হয়েছি। এখন চূড়ান্ত পরীক্ষার জন্য ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে যেতে হবে। সবাই খুব খুশি; কেবল আমিই হতাশ। আমার একটা প্যান্ট নেই, যেটা পরে যাবো। শেষে স্কুলের কেরানি কানাই লাল বিশ্বাসেরফুলপ্যান্টটা ধার করলাম। আর একটা শার্ট যোগাড় হলো। আমি আর চাচা অচেনা ঢাকার উদ্দেশে রওনা হলাম। চাচা শিখিয়ে দিলেন,মৌখিক পরীক্ষা দিতে গিয়ে আমি যেন দরজার কাছে দাঁড়িয়ে বলি: ম্যা আই কাম ইন স্যার ? ঠিকমতোই বললাম। তবে এত উচ্চস্বরেবললাম যে, উপস্থিত সবাই হো হো করে হেসে উঠলো। পরীক্ষকদের একজন মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের অধ্যক্ষ এম. ডাব্লিউ. পিট আমাকে আপাদমস্তক নিরীক্ষণ করে সবকিছু আঁচ করেফেললেন। পরম স্নেহে তিনি আমাকে বসালেন। মুহূর্তের মধ্যে তিনি আমার খুব আপন হয়ে গেলেন। আমার মনে হলো, তিনি থাকলেআমার কোন ভয় নেই। পিট স্যার আমার লিখিত পরীক্ষার খাতায় চোখ বুলিয়ে নিলেন। তারপর অন্য পরীক্ষকদের সঙ্গে ইংরেজিতে কী-সব আলাপ করলেন। আমি সবটা না বুঝলেও আঁচ করতে পারলাম যে, আমাকে তাঁদের পছন্দ হয়েছে। তবে তাঁরা কিছুই বললেন না।পরদিন ঢাকা শহর ঘুরে দেখে বাড়ি ফিরে এলাম। যথারীতি পড়াশোনায় মনোনিবেশ করলাম। কারণ আমি ধরেই নিয়েছি, আমার চান্সহবে না। হঠাৎ তিন মাস পর চিঠি এলো। আমি চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছি। মাসে ১৫০ টাকা বেতন লাগবে। এর মধ্যে ১০০ টাকা বৃত্তি দেওয়াহবে, বাকি ৫০ টাকা আমার পরিবারকে যোগান দিতে হবে। চিঠি পড়ে মন ভেঙে গেল। যেখানে আমার পরিবারের তিনবেলা খাওয়ারনিশ্চয়তা নেই, আমি চাচার বাড়িতে মানুষ হচ্ছি, সেখানে প্রতিমাসে ৫০ টাকা বেতন যোগানোর কথা চিন্তাও করা যায় না ! এই যখন অবস্থা, তখন প্রথমবারের মতো আমার দাদা সরব হলেন। এত বছর পর নাতির (আমার) খোঁজ নিলেন। আমাকে অন্য চাচাদেরকাছে নিয়ে গিয়ে বললেন, তোমরা থাকতে নাতি আমার এত ভালো সুযোগ পেয়েও পড়তে পারবে না ? কিন্তু তাঁদের অবস্থাও খুব বেশিভালো ছিল না। তাঁরা বললেন, একবার না হয় ৫০ টাকা যোগাড় করে দেবো, কিন্তু প্রতি মাসে তো সম্ভব নয়। দাদাও বিষয়টা বুঝলেন। আমি আর কোন আশার আলো দেখতে না পেয়ে সেই ফয়েজ মৌলভী স্যারের কাছে গেলাম। তিনি বললেন, আমি থাকতে কোন চিন্তাকরবে না। পরদিন আরো দুইজন সহকর্মী আর আমাকে নিয়ে তিনি হাটে গেলেন। সেখানে গামছা পেতে দোকানে দোকানে ঘুরলেন।সবাইকে বিস্তারিত বলে সাহায্য চাইলেন। সবাই সাধ্য মতো আট আনা, চার আনা, এক টাকা, দুই টাকা দিলেন। সব মিলিয়ে ১৫০ টাকাহলো। আর চাচারা দিলেন ৫০ টাকা। এই সামান্য টাকা সম্বল করে আমি মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হলাম। যাতায়াত খরচ বাদদিয়ে আমি ১৫০ টাকায় তিন মাসের বেতন পরিশোধ করলাম। শুরু হলো অন্য এক জীবন। প্রথম দিনেই এম. ডাব্লিউ. পিট স্যার আমাকে দেখতে এলেন। আমি সবকিছু খুলে বললাম। আরো জানালাম যে, যেহেতু আমার আরবেতন দেওয়ার সামর্থ্য নেই, তাই তিন মাস পর ক্যাডেট কলেজ ছেড়ে চলে যেতে হবে। সব শুনে স্যার আমার বিষয়টা বোর্ড মিটিঙেতুললেন এবং পুরো ১৫০ টাকাই বৃত্তির ব্যবস্থা করে দিলেন। সেই থেকে আমাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এস.এস.সি পরীক্ষায়ঢাকা বোর্ডে পঞ্চম স্থান অধিকার করলাম এবং আরো অনেক সাফল্যের মুকুট যোগ হলো। আমার জীবনটা সাধারণ মানুষের অনুদানে ভরপুর। পরবর্তীকালে আমি আমার এলাকায় স্কুল করেছি, কলেজ করেছি। যখন যাকে যতটাপারি, সাধ্যমতো সাহায্য সহযোগিতাও করি। কিন্তু সেই যে হাট থেকে তোলা ১৫০ টাকা; সেই ঋণ আজও শোধ হয়নি। আমার সমগ্রজীবন উৎসর্গ করলেও সেই ঋণ শোধ হবে না!

Wednesday, 3 June 2015

জিমেইলে লেবেল এবং ফিল্টার এর মাধ্যমে চোখ রাখুন প্রয়োজনীয় ইমেইলে

আজকাল এই ইলেকট্রনিক মিডিয়ার যুগে সবার ই একটা করে হলে ও ইমেইল একাউন্ট আছে। কোন ওয়েবসাইটে একাউন্ট করতে কিংবা প্লে স্টোর থেকে এপ্স ডাউনলোড দিতে অথবা প্রয়োজনীয় কোন ফাইলপত্র আদান প্রদান করতে একটা ইমেইল থাকতেই হয়।এখন মনে করুন আপনার একটি ইমেইল একাউন্ট আছে অর্থাৎ হাজার হাজার ইমেইল আপনার ইনবক্সে প্রতিনিয়ত জমা হচ্ছে। কিন্তু, হাজার হাজার ইমেইলের মধ্যে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ইমেইল খুঁজে পাওয়াটাই খুব মুশকিল। কিন্তু, এরও আছে সহজ সমাধান। 
আমাদের সকলেরই গুগলের ইমেইল সেবা জিমেইলে একাউন্ট আছে। আজ দেখবো জিমেইলে লেবেল এবং ফিল্টার ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় ইমেইল কিভাবে সংরক্ষন করবো।প্রথমেই জেনে নেই লেবেল কি? 
লেবেল কিঃ 
আমাদের ইনবক্সে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ওয়েবসাইট থেকে অসংখ্য ইমেইল আসে। আমরা চাই ফেসবুকের সকল ইমেইল ফেসবুক নামক একটি ফোল্ডারে জমা হবে। এখানে শুধুই ফেসবুক থেকে আসা ইমেইলগুলো জমা হবে। আবার  টুইটার থেকে আসা ইমেইলগুলো  টুইটার  ফোল্ডারে জমা হবে। এজন্য আমরা যে ফোল্ডার তৈরী করবো সেগুলোই লেবেল। 
এখন দেখব লেবেল কি করে  তৈরী করেঃ 
১. প্রথমেই জিমেইলে লগিন করে এর সেটিং এ যান।
২. এবার দ্বিতীয় ট্যাব লেবেল এ ক্লিক করুন।
৩. এবার লেবেল থেকে Create New Label এ ক্লিক করুন।
৪. লেবেল এর নাম দিন। উদাহরনঃ সোশ্যাল, ক্লাউড স্টোরেজ।
৫. এবার লেবেলটি সেভ করুন। 
হয়ে গেলো আমাদের লেবেল বানানো। এবার ইমেইল আসবে আর লেবেল অনুযায়ী জমা হবে এমনটা না। এখন আমাদের ফিল্টার করতে হবে।
হ্যাঁ, পানি যেমন আমরা ছেঁকে ধূলিকণা থেকে আলাদা করি ঠিক তেমনই সকল ইমেইল থেকে আমাদের বিভাগ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ইমেইলগুলো ফিল্টার করে আলাদা করতে হবে। এখন ফিল্টার করলেই কি সব আলাদা হয়ে যাবে? হ্যাঁ, তবে আমাদের ফিল্টার করার সময় সিলেক্ট করে দিতে হবে কোন আইটেমের ইমেইলগুলো কোন লেবেল এ যাবে। 
এখন দেখব  ফিল্টার কি করে  তৈরী করেঃ
১. জিমেইলের সেটিং থেকে ফিল্টার ট্যাবে যান।
২. Create a new filter ক্লিক করুন।
৩. এবার @yourDomain.com প্রথম বক্সে দিন।
৪. Create a new filter এ ক্লিক করুন।
৫. এবার পরবর্তী অপশন থেকে Skip the Inbox এবং Also apply filter to”..” matching conversations এ টিক দিন।
৬. এবার Apply the label: টিক দিয়ে ড্রপডাউন থেকে যে লেবেলে ইমেইলগুলো সংরক্ষণ করতে চান সিলেক্ট করে দিন।
৭. Create Filter এ ক্লিক করুন। 
ব্যাখ্যাঃ 
@yourDomain.com এর স্থানে @eastowest24.blogspot.com; @facebook.com ইত্যাদি আপনার প্রয়োজন অনুসারে দিবেন। মূল ডোমেইন ব্যাবহার করলে সাব-ডোমেইন থেকেও যদি ইমেইল আসে তবে তা একই লেবেলে জমা হবে। 
# আপনি চাইলে নিচের মত করেও লেবেল তৈরী করতে পারেন।
Social
-Facebook
-Twitter

Monday, 1 June 2015

বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্লগ সমূহ

আমরা প্রায় সময় ভাবি বা জানতে চাই-বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্লগিং সাইট কোন গুলো এবং সেগুলো কি একই বৈশিষ্ট্যের নাকি বৈচিত্র্যতা আছে?
বর্তমান সময়ে বাংলা ভাষায় বেশ ভালো ভালো ব্লগ রয়েছে। তবে  দীর্ঘদিন ধরে অনুসরণ করছি বলে আমার ভালো লাগা ব্লগের মধ্যে আমি বলতে পারি "সামহোয়্যার ইন ব্লগ"  কে। এতে দেশের শীর্ষস্থানীয় অনেক ব্লগাররা লেখে থাকেন ।লেখাগুলোতে অনেক বৈচিত্র্যময়তা ও খোঁজে পাই। সমসাময়িক বিষয়ের উপর মানুষের মনের কথা এতে পাবেন, এরপর আছে প্রথম আলো ব্লগ, এতেও অনেক তরুন লেখক লিখে থাকেন। আমার ব্লগ ও বেশ ভালো একটি ব্লগ সাইট। আর টেক টিউন এর সাথে পরিচর নেই এমন টেক পাগলা খুব কম ই আছে। এখানে আপনি টেকনোলোজিক্যাল যাবতীয় সাপোর্ট পাবেন।"কবিতা ব্লগ" আমার সব থেকে ভালো লাগা আরেক টি ব্লগ , নাম শুনে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন এখানে আপনি অসাধারন কিছু কবিতা পাবেন।যদিও বর্তমানে কবিতা ব্লগ থেকে কবিতা পড়ার তেমন একটা সময় পাই না।এছাড়া ও প্রচুর জনপ্রিয় বাংলা ব্লগ রয়েছে, আমি শুধু আমার ও বন্ধু মহলে পরিচিত ব্লগ সাইট গুলো তুলে ধরলাম। আপনি আপনার পছন্দ মত যে কোন ব্লগ দেখতে পারেন।
অনেকেই বলতে পারেন, ব্লগ নিয়া লিখলেন অথচ ব্লগ গুলোর লিংক দিলেন না।তাই আপনাদের জন্য কিছু ব্লগ লিংক শেয়ার করলাম :
১। http://www.somewhereinblog.net/
২। http://prothom-aloblog.com/
৩। http://www.amarblog.com/
৪। http://www.sachalayatan.com/
৫। http://www.techtunes.com.bd/
৬। http://www.tunerpage.com/
৭। http://www.bigganprojukti.com/

Saturday, 6 June 2015

মুখোমুখি ফেভারিট বার্সেলোনা-জুভেন্টাস চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে (Champions League Final /Today, 12:45 AM Juventas-Barcelona)

শিরোপা জিতবে কে?স্পানিশ জায়ান্টরা নাকি কাতালান জায়ান্টরা?লক্ষ লক্ষ ফুটবল প্রেমিকের কৌতূহল এখন একটাই।স্বপ্ন টপ ফেভারিটদের নিয়ে। ফেভারিট বার্সেলোনা ও জুভেন্টাস আজ শনিবার যখন চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে মুখোমুখি হবে সে সময় উভয় দলেরই লক্ষ্য হবে ‘ট্রেবল’ জয়। কেননা নিজ নিজ লিগ জয়ের পাশাপাশি স্পেন(Spain) ও ইতালির(Italy) ক্লাব দুটি এছাড়াও ঘরোয়া আরো একটি শিরোপা তুলে নিয়েই মহাদেশীয় এ লড়াইয়ে নামছে। জার্মানির অলিম্পিক স্টেডিয়ামে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শিরোপা জয়ের লড়াইটি ঘিরে এখন ইউরোপ জুড়ে সাজ সাজ রব। এ লড়াইয়ে শ্রেষ্ঠত্ব দেখাতে পারলে ইতিহাসে দ্বিতীয়বারের মতো ‘ট্রেবল’ জিতবে স্পানিশ জায়ান্টরা। অপরদিকে জুভেন্তাসের সামনে ‘ট্রেবল’-এর পাশাপাশি থাকছে প্রায় দু’দশক পর আবারো চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের হাতছানি। বার্সেলোনা এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতলে দারুণ এক রেকর্ড গড়বেন দলটির মিডফিল্ডার আন্দ্রেস ইনিয়েস্তা। এই তারকা ২০১০ সালে
স্পেনের বিশ্বকাপজয়ী গোলটি করলেও, চ্যাম্পিয়ন্স
লিগের ফাইনালে কখনো জালে বল পাঠাতে
পারেননি। এমন নয় যে, ইউরোপীয় ক্লাব ফুটবলের
সর্বোচ্চ প্রতিযোগিতাটিতে ইনিয়েস্তার সাফল্য
নেই। কালকের খেলায় জুভেন্তাসকে হারিয়ে দিতে
পারলেই ইনিয়েস্তার নাম দেখা যাবে রিয়াল
মাদ্রিদ এবং এসি মিলানের কিংবদন্তী মিডফিল্ডার ক্ল্যারেন্স সিড্রফের পাশে, যিনি একাধিক ক্লাবের হয়ে চারবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন। তিনবার এই প্রতিযোগিতার শিরোপা জিতে পরের স্থানেই রয়েছেন ইনিয়েস্তা। ফাইনালের আগে বার্সা-জুভেন্টাস শিবির থেকে সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড়দের কাছ থেকে কথার গোলাও মিলছে। জুভদের সাবেক তারকা মার্কো তারদেল্লি মনে করেন ২০০৬ সালে ইতালিয়ান ফুটবলে কেলেঙ্কারির পর তুরিনের ক্লাবটি আবারো পুনর্গঠিত হচ্ছে। সেই ঘটনায় জড়িত থাকায় শাস্তি হিসেবে আরো চার ক্লাবের সঙ্গে রেলিগেশনে নামিয়ে দেয়া হয়েছিলো জুভেন্তাসকে। দ্যা গার্ডিয়ানকে এক সাক্ষাত্কারে তারদেল্লি বলেন, ‘ক্লাবটি আর্থিক দিক থেকে দাঁড়িয়েছে এবং ফের লিগ শিরোপাগুলো জিতছে। জুভেন্তাস ক্লাবের পেছনে তাকালে কেবল আলোকিত দিনগুলোই দেখা যাবে।’
এদিকে শক্তির দিক থেকে কাতালান ক্লাবটি এগিয়ে থাকলেও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে জুভেন্তাসকে সমীহই করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তারকা স্ট্রাইকার নেইমার। ইতালিয়ান জায়ান্টদের সঙ্গে লড়ার জন্য ক্লাবটি সর্বোচ্চ প্রস্তুতিই নিচ্ছে বলে জানান ব্রাজিল জাতীয় দলের এই অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘আমরা জুভেন্তাসকে জানি। তারা দারুণ একটি দল এবং তারা সহজ কোনো সুযোগে ফাইনালে আসেনি। এটা অনেক কঠিন একটি খেলা হবে। তাই আমাদেরকে সর্বোচ্চটা দিয়েই খেলতে হবে। আমি মনে করি এটা চলতি মৌসুমের সবচেয়ে কঠিন ম্যাচ হবে। তবে আমরা ইতিহাস গড়তে চাইবো এবং এই লক্ষ্যের খুবই নিকটে চলে এসেছি আমরা।’
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালটা আরো স্মরণীয় হতে পারে বার্সা কিংবদন্তী জাভি হার্নান্দেজের জন্য। তিনি এরই মধ্যে ঘোষণা দিয়ে দিয়েছেন— মৌসুম শেষেই দীর্ঘদিনের ক্লাবটি ছেড়ে কাতারে পাড়ি জমাবেন। গত বুধবার ক্যাম্প ন্যুতে জাভিকে আনুষ্ঠানিক বিদায়ও জানানো হয়েছে। তার বিদায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাতালান ক্লাবটির বর্তমান এবং সাবেক খেলোয়াড়রা; উপস্থিত ছিলেন গ্যালারি ভর্তি সমর্থক।চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল লড়াইটা হবে বার্সার হয়ে জাভির শেষ ম্যাচ। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ দিয়ে এই তারকা মিডফিল্ডারকে বিদায় জানানোটা বেশি তাত্পর্যময় হবে বলে মনে করেন বার্সার সাবেক অধিনায়ক কার্লোস পুয়োল। তিনি বলেন, ‘জাভি তার শেষ খেলায় চ্যাম্পিয়ন্স লিগ শিরোপা তুলে ধরার জন্য যোগ্যতা রাখে। এই শিরোপা দিয়ে সে বিদায় নিক—এমনটাই আমি চাই।’ জাভির বিদায়টা নিশ্চিত হলেও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালটা জুভেন্তাস তারকা আন্দ্রে পিরলোর জন্যও শেষ ম্যাচ হতে পারে। এই ইতালিয়ান তারকা আমেরিকার মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) দল নিউইয়র্ক সিটির সঙ্গে যোগাযোগ করছেন বলে জানা গেছে। ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতে জুভেন্তাস থেকে বিদায় নেয়াটা আরো মহিমান্বিত করতে চাইবেন পিরলো। ফাইনালের আগে ভালো খবর—খারাপ খবর দু’টিই শুনছেন জুভেন্তাস কোচ ম্যাসিমিলিয়ানো অ্যালেগ্রি। ঊরুর চোট কাটিয়ে অনুশীলনে ফিরেছেন সেন্টার-ব্যাক আন্দ্রে বারজাগলি। তবে কাফ ইনজুরিতে ভুগছেন দলের অপর ডিফেন্ডার গিওর্গিও চিয়েলিনি।

Friday, 5 June 2015

আয়ারল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশি

যেসব বাংলাদেশি প্রবাসী ভাইদের জন্য আমাদের অর্থনীতির চাকা দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, তারা প্রবাসে কত কষ্টে আছে তারা জানে। স্যালুট এই সব ভাইদের। এই নিউজ টা আয়ারল্যান্ডের প্রবাসী বাংলাদেশি ভাইদের জন্য কিছুটা হলেও স্বস্তির হবে আশা করি।অনেকে জানেন আবার অনেকে না- আগামী ৭ই জুন ২০১৫ ইং রোজ রবিবার লন্ডনের বাংলাদেশ দূতাবাস আয়ারল্যান্ডের রাজধানী ডাবলিনে সকাল ১০টা ৩০মিনিট থেকে বৈকাল ৪টা পর্যন্ত সকল বাংলাদেশীদের জন্য বাংলাদেশী পাসপোর্ট নবায়ন, নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন গ্রহন, আইরিশ পাসপোর্টের জন্য নো ভিসা রিকয়ার্ড সীল, এফিডেভিট, জন্ম সনদ সত্যায়িত এবং পাওয়ার এটর্নি সহ আরো অন্যান্য সেবা সমূহ প্রদান করার জন্য ডাবলিনে আসবেন।
স্থান: Islamic Cultural Centre of Ireland,
19 Roebuck Road, Clonskeagh, Dublin 14,Ireland
বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন: টিটু খন্দকার -০৮৬৬৬৬৫৩১৮, রিয়াজ খন্দকার-০৮৬৭৭৫৮৯৭০, আসিক কামাল -০৮৯৯৫০৫৪৪৬, জিকু বনিক -০৮৬২৫১৯১২৫।

নিউজ টা শেয়ার করে বাংলাদেশিদের সেবায় এগিয়ে আসুন,প্লিজ ।

Budget 2015-2016 যেসব পণ্যের দাম বাড়ছে বা কমছে

বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ২০১৫-১৬ অর্থবছরের জন্য প্রায় ৩ লাখ কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত । গড় মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ২ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য ঠিক করে বর্তমান সরকারের দ্বিতীয় বাজেট ঘোষণা করেছেন তিনি। সাত শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরে নতুন অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপন করছেন অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, “সরবরাহের দিক থেকে শিল্প ও সেবাখাত এবং চাহিদার দিক থেকে ব্যক্তি খাতের ভোগ ব্যয় এবং ব্যক্তি ও সরকারিখাতোর বিনিয়োগ ব্যয় হবে এই প্রবৃদ্ধিরচালিকাশক্তি। উপরন্তু, রাজস্ব ও মুদ্রানীতিরসুসমন্বয় এ লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে।”

নতুন বাজেটের শিরোনাম দেওয়া হয়েছে উচ্চ প্রবৃদ্ধির পথ রচনা। অর্থমন্ত্রী আশা করছেন,আসন্ন নতুন অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) চলতি অর্থবছরের চেয়ে ৭শতাংশ বাড়বে।সেই সঙ্গে গড় মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ২ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য ঠিক করেছেন মুহিত।

বাজেটে পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে শুল্কহার, সম্পূরক শুল্ক ও মূল্য সংযোজন করে (মূসক) ছাড় বা অব্যাহতি কিংবা শুল্ক রেয়াতি সুবিধা দেওয়া হলে পণ্যের দাম কমে থাকে। আবার এসব সুবিধার উল্টোটা হলে অর্থাৎ শুল্ক–করসমূহ বাড়ানো হলে পণ্যের দাম বাড়ে। তাহলে বাজেট অনুযায়ী দেখে নেই কোন কোন জিনিসের দাম কমছে বা বাড়ছে।

যেসব পণ্যের দাম বাড়বে:
চিনি: অপরিশোধিত চিনি আমদানিতে টন প্রতি কাস্টমস ডিউটি দুই হাজার থেকে চার হাজার টাকা করায় আমদানি করা চিনির দাম বাড়বে ।আর পরিশোধিত চিনি আমদানিতে টন প্রতি কাস্টমস ডিউটি সাড়ে চার হাজার থেকে আট হাজার টাকা করায় এর দাম বাড়বে।
মোটরগাড়ির টায়ার: মোটরগাড়ির টায়ার আমদানিতে নতুন করে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের প্রস্তাবে এটির দাম বাড়বে।
ইলেকট্রিক ব্যাটারিচালিত মোটরগাড়ি:
আমদানিতে নতুন করে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপের কারণে এর দাম বৃদ্ধি পাবে। অটোরিকশা/থ্রি-হুইলার: দুই স্ট্রোক এবং চারস্ট্রোকবিশিষ্ট অটোরিকশা/ থ্রি-হুইলারের ইঞ্জিন আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ১৫ থেকে বৃদ্ধি করে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাবে এটির দাম বাড়বে।
এলইডি ও এলসিডি টিভি: বাজেটে এলসিডি ও এলইডি টেলিভিশন তৈরির পূর্ণাঙ্গ প্যানেল এবংঅপটিক্যাল ফাইবারের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির প্রস্তাব করায় এর দাম বাড়তে পারে।
সিম কার্ড: অর্থমন্ত্রী সিম কার্ড আমদানির ওপর সম্পূরক শুল্ক হার ১৫ থেকে বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছেন। এতে পণ্যটির দাম বাড়বে।
রেজর: রেজর আমদানিতে নতুন করে ২০ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক এবং স্টেইনলেস স্টিল ব্লেড আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ১৫ থেকে বাড়িয়ে ২০শতাংশ করার প্রস্তাবে এর দাম বাড়বে।

আরও যেসব পণ্যের দাম বাড়তে পারে:
মোটরসাইকেল, রিভলবার ও পিস্তল, অমসৃণ হীরাও ইমিটেশন জুয়েলারি; সৌন্দর্যচর্চা ও ত্বক-নখ-পায়ের পরিচর্যার প্রসাধন সামগ্রী; চা; মাখনসহ অন্যান্য দুগ্ধজাত চর্বি, তেল ও দই-পনির; তাজাবা ঠান্ডা টমেটো; তাজা বা শুকনা সুপারি,সিরামিকের বাথটাব ও জিকুজি, শাওয়ার,শাওয়ার ট্রে; প্রিন্টিং ইংক; রিরোলিংশিল্পের মধ্যবর্তী পণ্য বিলেট; আর্টিফিশিয়াল ফিলামেন্ট টো; টেম্পারড সেফটি গ্লাস ও ল্যামিনেটেড সেফটি গ্লাস; ফ্রেমবিহীন ও ফ্রেমযুক্ত কাচের আয়না; কাস্ট আয়রনের টিউব পাইপস ও ফাঁপা প্রোফাইল; আয়রন বা স্টিলের তৈরি অন্যান্য টিউব, পাইপ ও ফাঁপা প্রোফাইল,সিমলেস; অয়েল অথবা গ্যাস পাইপ লাইনে ব্যবহৃত লাইন পাইপ, রান্নার তৈজসপত্র ও প্লেট গরমকারক; স্টেইনলেস স্টিলের টেবিলওয়্যার,কিচেনওয়্যার, সিঙ্ক, ওয়াশ বেসিন, পানির ট্যাপও বাথরুমের ফিটিংস; কপারের তৈরি স্যানিটারি ওয়্যার অ্যালুমিনিয়াম স্যানিটারিওয়্যার ও এর যন্ত্রাংশ; বিভিন্ন ধরনের সাউন্ডরেকর্ডিং বা রিপ্রডিউসিং এপারেটাস (ম্যাগনেটিক, অপটিক্যাল বা সেমিকন্ডাক্টর মিডিয়া ব্যবহারকারী); সম্পূর্ণ তৈরি সাউন্ডরেকর্ডিং বা রিপ্রডিউসিং এপারেটাস; সম্পূর্ণ তৈরি ভিডিও রেকর্ডিং বা রিপ্রডিউসিংয়ের যন্ত্রপাতি; লোডেড প্রিন্টেড সার্কিট বোর্ড;পকেট সাইজ রেডিও ক্যাসেট প্লেয়ার;সালফিউরিক অ্যাসিড; ওলিয়াম; পেইন্টস,ভার্নিশ ও লেকার (এনামেল ও ডিস্টেম্পারসহ)।

যেসব পণ্যের দাম কমবে:
তৈরি পোশাক: পুরুষ, মহিলা ও শিশুদের জন্য আমদানি করা সব ধরনের তৈরি পোশাকের দাম কমতে পারে। এসব পণ্যে সম্পূরক শুল্ক ৬০ থেকে কমিয়ে ৪০ শতাংশ করা হয়েছে।
ওষুধ: হেপাটাইটিস-সি ভাইরাস জনিত বালিভার-সংক্রান্ত জটিল রোগের ওষুধের ওপর উৎপাদন ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে মূসক অব্যাহতি এবংআরও বেশ কিছু ওষুধের কাঁচামাল আমদানিতে শুল্ক রেয়াতি সুবিধা প্রদানের প্রস্তাব থাকায় বিভিন্ন ধরনের ওষুধের দাম কমবে।
পেঁয়াজ: বাজেটে পেঁয়াজের ওপর আরোপিত আমদানির ওপর শুল্কহার সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এতে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম কমবে।
দেশি খেলনা: বিভিন্ন শর্তে খেলনা শিল্পের যন্ত্রপাতি ও উপকরণ আমদানিতে শুল্ক হ্রাসের প্রস্তাব করায় এটির দাম কমবে।
টুথব্রাশ: ডেন্টাল প্লেট ব্রাশসহ সব ধরনের টুথব্রাশ আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক কমানোর ফলে এর দাম কমবে।
মশার কয়েল: মশার কয়েল ও অ্যারোসল আমদানির ওপর সম্পূরক শুল্ক ৩০ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশপ্রস্তাব করায় এর দাম কমবে।
টিস্যু পেপার: টিস্যু পেপার, টয়লেট পেপার,টাওয়েল বা ন্যাপকিন পেপার ও সমজাতীয় পণ্য,গৃহস্থালি, স্যানিটারি বা অনুরূপ কাজে ব্যবহৃত এ ধরনের পণ্য আমদানিতে সম্পূরক শুল্ক ৪৫ থেকে কমিয়ে ৩০ শতাংশ করার প্রস্তাবে এগুলোর দাম কমবে

আরও যেসব পণ্য ও সেবার দাম কমবে:
দেশলাই; ছেলেদের স্যুট, জ্যাকেট, ব্লেজার,
ট্রাউজার; মেয়েদের স্যুট, জ্যাকেট, ব্লেজার,ড্রেস, স্কার্ট, ট্রাউজার, ব্লাউজ, শার্ট, শার্ট-
ব্লাউজ; ছেলেদের আন্ডারপ্যান্ট, নাইটশার্ট,পায়জামা, বাথরোব, ড্রেসিং গাউন, স্লিপ,
পেটিকোট, ব্রিফ, প্যান্টি, নাইটড্রেস,পায়জামা, নেগলেজি, বাথরোব, টি-শার্ট,পুলওভার, কার্ডিগান, ওয়েস্টকোট; শিশুদের গার্মেন্টস; গ্লাভস, মিটেনস ও মিটস; পুরুষ,মহিলা ও শিশুদের ট্র্যাকস্যুট ও সমজাতীয় পণ্য;কৃত্রিম ফুল, ফল; কাস্ট অথবা রোল গ্লাস; ড্রনগ্লাস ও বোন গ্লাসশিট; খেলার তাস; ডাম্পারট্রাক; কোকাযুক্ত চকলেট ও অন্যান্য খাদ্য প্রিপারেশন; কোকাযুক্ত নয় এমন সুগার কনফেকশনারি (সাদা চকলেটসহ); তৈরি চকলেট;জ্যাম-জেলি, মারমালেডস; ফল বা বাদামযুক্ত পিউরি, ফল বা বাদামের পেস্ট; গ্রিজ (খনিজ);প্লাস্টিকের তৈরি দরজা, জানালা, বাক্স,কেইস, টেবিলওয়্যার বা কিচেনওয়্যার, সেলফএডহেসিভ প্লেট, শিট, ফিল্ম, ফয়েল, টেপ, স্ট্রিপ,কার্বয়, বোতল, ফ্লাস্ক ও প্যালেটস; সব ধরনের পার্টিক্যাল বোর্ড, ফাইবার বোর্ড, হার্ডবোর্ড,প্লাইউড, ভিনিয়ার্ড প্যানেলস ও সমজাতীয় লেমিনেটেড পণ্য, দরজা, জানালা, প্যারকিটপ্যানেল ও শাটারিং; পেপার ও পেপার বোর্ড;কার্টন, বক্স, কেস, করোগেটেড পেপার ও পেপারবোর্ড; স্যাকস্ ও ব্যাগস্; মুদ্রিত বই, ব্রশিউর ও লিফলেট; ছাপানো ছবি, ফটোগ্রাফসহ অন্যান্য ছাপানো পণ্যসামগ্রী; মিস্টি বিস্কুট, ওয়াফল সওয়েফার; পশু খাদ্যের পুষ্টি প্রিমিক্স;হিমাগার সেবার বিদ্যুৎ বিল; পলিস্টার সুতার কাঁচামাল পেটচিপস; আয়রণ অক্সাইড; প্লাস্টিকদানা; বাসবার ট্রাংকিং সিস্টেম ও ফ্লাক্স ফাইবার প্রভৃতি।

Thursday, 4 June 2015

বিশ্বব্যাপী নতুন আতংক (mers-virus) মার্স ভাইরাস

মার্স ভাইরাসের লক্ষণ এবং প্রতিরোধে করণীয়:
মার্স ভাইরাস(mers-virus) বা মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম- সংক্ষেপে মার্স (Middle East respiratory syndrom- MERS) বর্তমানে বিশ্বব্যাপী নতুন আতংক হিসেবে দেখা দিয়েছে।সম্প্রতি মিডল ইস্ট ছাড়াও কোরিয়াতে ভাইরাসটি
ছড়িয়ে পড়ায় সকলের মধ্যে দেখা দিয়েছে ব্যাপক আতংক। মার্সে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। সবচেয়ে বড় আতংকের বিষয় হচ্ছে মার্স আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুহার অনেক বেশি।

মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (মার্স) কী?
মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (র্স) এক ধরনের ভাইরাস সংক্রমণ। এই ভাইরাস একটি করোনা ভাইরাস।

মার্স ভাইরাসে আক্রান্ত রোগের লক্ষণগুলো কী কী?
– বেশ কয়েকদিন ধরে শরীরে জ্বর থাকা (১০০.৪ ডিগ্রি বা তার অধিক)
– শ্বাসকষ্ট (জ্বর আসার ২/৩ দিন পর সাধারণত শুরু হয় তবে কারো কারো ক্ষেত্রে ১০দিন পরেও শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে)
– কাঁশি মার্স অনেকটা সার্স ভাইরাসের অনুরূপ হলেও এ দু’এর মধ্যে কিছুটা পার্থক্য পাওয়া গেছে। মার্স এর প্রধান প্রধান লক্ষণ হচ্ছে- জটিলশ্বাস-প্রশ্বাস,শ্বাসকষ্ট। রোগী স্বাভাবিক শ্বাস নিতে পারেনা। স্বাভাবিক শ্বাসের পরিবর্তে রোগীর শ্বাস হবে ঘনঘন ও ছোট ছোট।জ্বর এবং কফ। প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যাবার জটিলতা।কিভাবে এই রোগ ছড়ায়?
রোগটি সম্পর্কে এখনো বিশেষজ্ঞরা একমত না হলেও ধারণা করা হয় এই ভাইরাসটি প্রথম পশুর (উট) মাধ্যমে ছড়িয়েছে। পরবর্তী সময়ে তা মানুষ থেকে মানুষের কাছে ছড়াচ্ছে। সাধারণত এই ভাইরাসটি মানুষের ঘনবসতি এলাকায় বেশি দেখা যাচ্ছে।
কাছাকাছি সংস্পর্শ, হাচি কাশি ইত্যাদির মাধ্যমে ছড়ায়। এই রোগে আক্রান্তদের কাছাকাছি আসলে এই রোগে আক্রান্ত হবার সুযোগ সৃষ্টি হয়।মার্স ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায় এখনো পর্যন্ত মার্স করোনাভাইরাসের কোন নির্ধারিত ভ্যাকসিন আবিষ্কা রহয়নি, শুধু মার্স ভাইরাসের নির্দিষ্ট কোন চিকিৎসাও নেই। তবে বিশেষজ্ঞগণ জোর দিয়ে বলেছেন সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করলে এই করোনাভাইরাসের আক্রমণ থেকে সহজেই রক্ষা পাওয়া যায়। সতর্কতামূলক পদক্ষেপগুলোহচ্ছে-
১. উপরের লক্ষণগুলো দেখা দিলে আপনি জ্বররোধক এবং ব্যাথার ওষুধ (painkiller) গ্রহণ করতে পারেন।
২. পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল পানীয় পান করুন, পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রামগ্রহণ করুন এবং স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন।
৩. বাইরে থেকে এসে ভালো করে হাত ধুতে হবে।অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। এছাড়া হ্যান্ডস্যানিটাইজারও ব্যবহার করতে পারেন।
৪. জনবসতি পূর্ণ এলাকায় গেলে নাক-মুখ ঢেকে রাখলে রোগের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে পারেন।
৫. অধোয়া হাত চোখ, নাক অথবা মুখের স্পর্শে না আনাটাই উত্তম। কারণ জীবানু হাত থেকে নাক মুখ চোখের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে।
৬. আক্রান্ত রোগীর ব্যবহৃত জিনিস বিশেষ করে প্লেট, চামচ, তোয়ালে, গামছা ইত্যাদি ব্যবহার করবেন না।
৭. আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শ যতটুকু সম্ভব এড়িয়ে চলাটাই উত্তম।
৮. রোগের উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।প্রসঙ্গত, মার্সের এখন পর্যন্ত কোনো টিকা কিংবা প্রতিরোধক আবিষ্কৃত হয়নি, তাই সবার সচেতনতাই এখন পর্যন্ত একমাত্র উপায়।

সড়ক দুর্ঘটনার শিকার মাশরাফি সতর্ক থেকে বড় বিপদ এড়ালেন

আমাদের মাশরাফি ভাই মাটির মানুষ, সরল মনের মানুষ, ও আমাদের পাগলা কৌশিক।তাইতো ও এত বড় মাপের তারকা হয়েও আকাশেথাকেনা, আমাদের সাথে এই বাংলার মাটিতেই থাকে।তাইতো ও দামি গাড়ির চেয়ে রিক্সা কে বেশি ভালোবাসে।তাইতো ও সকাল বেলা লুঙ্গী পরেই বাজারে চলে যায়।পাড়ার চা দোকানে বসে চা খেতে খেতে সবার সাথে কুশল বিনিময় করে। রাস্তার মোড়ে টং দোকানে বসে চা খেতে পারে অবলীলায়। সবার সাথে মিলে মিশে চলে। আমি অবাক হয়ে ভাবি, এই ছেলেটা এতো ভালো কেন ? মাশরাফি আমাদের গর্ব।তাঁকে ভালবাসে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে কি না আমি জানি না। মাশরাফিকে নিয়ে টিভিতে প্রথম যখন শিরোনাম দেখলাম, বুকে কাপঁন ধরিয়ে দিয়েছিল! আর একটু হলে আমি হাট' ফেল করতাম!!  খবরটি চোখে পড়ার সাথে সাথে বুকের ভেতর ধপ করে কেমন যেন করে উঠলো, বুঝতে পারলাম আমরা মাশরাফিকে কত ভালোবাসি !!
যাহোক, সতর্ক থাকার জন্য বড় রকরের বিপদ এড়ালেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। মাশরাফির মেয়ে হুমায়রার টিকা দেওয়ার তারিখবৃহস্পতিবার। তার গাড়িটি মেয়েকে নিয়ে গেছেটিকা কেন্দ্রে। আরেকটি গাড়ির ব্রেকে ছিলসমস্যা। বাসা থেকে ১০-১৫ মিনিটের দূরত্বস্টেডিয়ামে তাই রিকশায় চেপে রওনা হয়েছিলেনতিনি। পথেই পেছন থেকে বাসের ধাক্কা। তবেউপস্থিত বুদ্ধির জোরে বড় ধরনের আঘাত পাওয়াথেকে বেঁচেছেন দেশ সেরা এই পেসার।সকাল ৯টার পর পর বাসা থেকে একটু এগিয়ে কালশি
রোডের কাছে আসতেই দুর্ঘটনা। মাশরাফিইবর্ণনায়, "পেছনের বাসটি যে একটু এলেমেলোচালাচ্ছিল, সেটি বুঝতে পারছিলাম। রিকশায়বসেই তাই খেয়াল রাখছিলাম বাসটির দিকে।বাসটি যখন আমার রিকশার কাছাকাছি এসে যখনধাক্কা দেবে প্রায়, বুঝতে পেরেই আমি লাফ দেই।বাস ঠিকই ধাক্কা দেয় রিকশাকে, রিকশার চাকাভেঙে যায়। পেছনেই ছিল একটি পুলিশের গাড়ি।ওরা এসে আমাকে টেনে তোলে। হাসপাতালেওনিয়ে যেতে চেয়েছিল, তবে আমি ধন্যবাদ জানিয়েবলি যে নিজেই ব্যবস্থা করে নেব।"ওই বাস ও বাসের চালককেও আটক করেছিল পুলিশ।তবে মাশরাফিই পুলিশকে অনুরোধ করেন তাদেরছেড়ে দিতে।তাৎক্ষণিক ভাবে হাসপাতালে না গিয়েশেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামেই চলে আসেনমাশরাফি।বিসিবির চিকিৎসকরা তার দুই হাতে ওহাঁটুতে ব্যান্ডেজ করে দেন। ডান হাতের চোট একটুবেশি। বুড়ো আঙুলের নিচে তালুতে ক্ষত হয়েছে।লাফ দিয়ে রাস্তায় পড়ে গিয়েছিলেন বলে গরমপিচের ঘষা খেয়ে পুড়েও গেছে। বাঁ হাতের তালুর
উল্টো পিঠে ছড়ে গেছে। হাঁটুতেও চোট লেগে ছড়েগেছে। পরে ফুলেও উঠেছে হাঁটু। ক্যারিয়ার জুড়েহাঁটুর চোট কম ভোগায়নি মাশরাফিকে। তবে এবারচোট গুরুতর নয়।
দুপুর নাগাদও হাতে ব্যথা ছিল, হাঁটু ফোলা ছিল। তবুবড় কোনো ক্ষতি হয়নি ভেবে স্বস্তির নি:শ্বাসফেলছিলেন মাশরাফি, "ব্যথা আছে এখনও। তবে এটাকোনো ব্যাপার না। ভাগ্য ভালো আমি বাসটিরদিকে চোখ রাখছিলাম। যদি খেয়াল না করতাম বা
অন্যমনস্ক থাকতাম, তাহলে হয়তো বাসের ধাক্কায়আরও গুরুতর কিছু হতে পারত। আল্লাহর রহমতে বড়ধরনের একটা বিপদ থেকে বেঁচে গেছি।"শনিবার থেকেই জিম অনুশীলন শুরু করতে পাবেনবলে মনে করছেন মাশরাফি। ১২ জুন বগুড়ায় বিসিবি
হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের প্রস্তুতি ম্যাচটিতেওখেলতে পারবেন বলে আশা বাংলাদেশের ওয়ানডেঅধিনায়কের। বগুড়ায় হাই পারফরম্যান্স ইউনিটেরপ্রস্তুতি ম্যাচে খেলার কথা মাশরাফিসহ টেস্টদলের বাইরে থাকা আরও কজনের।

এদিকে মাশরাফির হাতের তালুর ক্ষত নিয়ে চিন্তিত কোচ ও। ডান-হাতি বোলার মাশরাফির এই দুর্ঘটনাকেদুর্ভাগ্যজনক উল্লেখ করে জাতীয় দলের কোচচন্দিকা হাথুরুসিংহে বলেন, “এমনিতে চোট বেশি গুরুতর না;কিন্তু হাতের তালু নিয়ে আমরা একটু চিন্তিত।”
“যেহেতু টেস্ট আগে এবং ওয়ানডে সিরিজের আগেসময় আছে; আশা করি, সে সেরে উঠবে। তাকেসেরে ওঠার সর্বোচ্চ সুযোগ দেওয়া হবে।”
ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি ভারতেরবিপক্ষে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলীস্টেডিয়ামে ১০ জুন শুরু হতে যাওয়া একমাত্রটেস্টের দলে নেই।তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি শুরু হবে১৮ জুন। বাকি দুটি ওয়ানডে ২১ ও ২৪ জুন। দিবা-রাত্রির তিনটি ওয়ানডেই হবে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।

বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের গভর্নর ও অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমানের নিজের ভাষায় তাঁর জীবন কথা

বাংলাদেশ ব্যাঙ্কের গভর্নর ও অর্থনীতিবিদ ড. আতিউর রহমানের জীবন গাঁথা পড়ুন , উপলব্ধি করুন। যদি ভেবে থাকেন আপনার জীবন এখানেই থেমে গেছে ,তবে ভুল করবেন। হাল ধরুন আর এখান থেকেই এগিয়ে যান ।
আমার জন্ম জামালপুর জেলার এক অজপাড়াগাঁয়ে। ১৪ কিলোমিটার দূরের শহরে যেতে হতো পায়ে হেঁটে বা সাইকেলে চড়ে। পুরো গ্রামের মধ্যে একমাত্র মেট্রিক পাস ছিলেন আমার চাচা মফিজউদ্দিন। আমার বাবা একজন অতি দরিদ্র ভূমিহীনকৃষক। আমরা পাঁচ ভাই, তিন বোন। কোনরকমে খেয়ে না খেয়ে দিন কাটতো আমাদের। আমার দাদার আর্থিক অবস্থা ছিলো মোটামুটি। কিন্তু তিনি আমার বাবাকে তাঁর বাড়িতে ঠাঁই দেননি। দাদার বাড়ি থেকে খানিকটা দূরেএকটা ছনের ঘরে আমরা এতগুলো ভাই-বোন আর বাবা-মা থাকতাম। মা তাঁর বাবার বাড়ি থেকে নানার সম্পত্তির সামান্য অংশপেয়েছিলেন। তাতে তিন বিঘা জমি কেনা হয়। চাষাবাদের জন্য অনুপযুক্ত ওই জমিতে বহু কষ্টে বাবা যা ফলাতেন, তাতে বছরে ৫/৬মাসের খাবার জুটতো। দারিদ্র্য কী জিনিস, তা আমি মর্মে মর্মে উপলব্ধি করেছি- খাবার নেই, পরনের কাপড় নেই; কী এক অবস্থা ! আমার মা সামান্য লেখাপড়া জানতেন। তাঁর কাছেই আমার পড়াশোনার হাতেখড়ি। তারপর বাড়ির পাশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হই।কিন্তু আমার পরিবারে এতটাই অভাব যে, আমি যখন তৃতীয় শ্রেণীতে উঠলাম, তখন আর পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ থাকলোনা। বড় ভাই আরো আগে স্কুল ছেড়ে কাজে ঢুকেছেন। আমাকেও লেখাপড়া ছেড়ে রোজগারের পথে নামতে হলো। আমাদের একটা গাভী আর কয়েকটা খাসি ছিল। আমি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওগুলো মাঠে চরাতাম। বিকেল বেলা গাভীর দুধ নিয়েবাজারে গিয়ে বিক্রি করতাম। এভাবে দুই ভাই মিলে যা আয় করতাম, তাতে কোনরকমে দিন কাটছিল। কিছুদিন চলার পর দুধ বিক্রিরআয় থেকে সঞ্চিত আট টাকা দিয়ে আমি পান-বিড়ির দোকান দেই। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দোকানে বসতাম। পড়াশোনা তোবন্ধই, আদৌ করবো- সেই স্বপ্নও ছিল না ! এক বিকেলে বড় ভাই বললেন, আজ স্কুল মাঠে নাটক হবে। স্পষ্ট মনে আছে, তখন আমার গায়ে দেওয়ার মতো কোন জামা নেই। খালিগা আর লুঙ্গি পরে আমি ভাইয়ের সঙ্গে নাটক দেখতে চলেছি। স্কুলে পৌঁছে আমি তো বিস্ময়ে হতবাক ! চারদিকে এত আনন্দময় চমৎকারপরিবেশ ! আমার মনে হলো, আমিও তো আর সবার মতোই হতে পারতাম। সিদ্ধান্ত নিলাম, আমাকে আবার স্কুলে ফিরে আসতে হবে। নাটক দেখে বাড়ি ফেরার পথে বড় ভাইকে বললাম, আমি কি আবার স্কুলে ফিরে আসতে পারি না ? আমার বলার ভঙ্গি বা করুণ চাহনিদেখেই হোক কিংবা অন্য কোন কারণেই হোক কথাটা ভাইয়ের মনে ধরলো। তিনি বললেন, ঠিক আছে কাল হেডস্যারের সঙ্গে আলাপকরবো। পরদিন দুই ভাই আবার স্কুলে গেলাম। বড় ভাই আমাকে হেডস্যারের রুমের বাইরে দাঁড় করিয়ে রেখে ভিতরে গেলেন। আমি বাইরেদাঁড়িয়ে স্পষ্ট শুনছি, ভাই বলছেন আমাকে যেন বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগটুকু দেওয়া হয়। কিন্তু হেডস্যার অবজ্ঞার ভঙ্গিতেবললেন, সবাইকে দিয়ে কি লেখাপড়া হয় ! স্যারের কথা শুনে আমার মাথা নিচু হয়ে গেল। যতখানি আশা নিয়ে স্কুলে গিয়েছিলাম,স্যারের এক কথাতেই সব ধুলিস্মাৎ হয়ে গেল। তবু বড় ভাই অনেক পীড়াপীড়ি করে আমার পরীক্ষা দেওয়ার অনুমতি যোগাড় করলেন।পরীক্ষার তখন আর মাত্র তিন মাস বাকি। বাড়ি ফিরে মাকে বললাম, আমাকে তিন মাসের ছুটি দিতে হবে। আমি আর এখানে থাকবোনা। কারণ ঘরে খাবার নেই, পরনে কাপড় নেই- আমার কোন বইও নেই, কিন্তু আমাকে পরীক্ষায় পাস করতে হবে। মা বললেন, কোথায় যাবি ? বললাম, আমার এককালের সহপাঠী এবং এখন ক্লাসের ফার্স্টবয় মোজাম্মেলের বাড়িতে যাবো। ওর মায়েরসঙ্গে আমার পরিচয় আছে। যে ক’দিন কথা বলেছি, তাতে করে খুব ভালো মানুষ বলে মনে হয়েছে। আমার বিশ্বাস, আমাকে উনি ফিরিয়েদিতে পারবেন না। দুরু দুরু মনে মোজাম্মেলের বাড়ি গেলাম। সবকিছু খুলে বলতেই খালাম্মা সানন্দে রাজি হলেন। আমার খাবার আর আশ্রয় জুটলো; শুরুহলো নতুন জীবন। নতুন করে পড়াশোনা শুরু করলাম। প্রতিক্ষণেই হেডস্যারের সেই অবজ্ঞাসূচক কথা মনে পড়ে যায়, জেদ কাজ করেমনে; আরো ভালো করে পড়াশোনা করি। যথাসময়ে পরীক্ষা শুরু হলো। আমি এক-একটি পরীক্ষা শেষ করছি আর ক্রমেই যেন উজ্জীবিত হচ্ছি। আমার আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যাচ্ছে।ফল প্রকাশের দিন আমি স্কুলে গিয়ে প্রথম সারিতে বসলাম। হেডস্যার ফলাফল নিয়ে এলেন। আমি লক্ষ্য করলাম, পড়তে গিয়ে তিনিকেমন যেন দ্বিধান্বিত। আড়চোখে আমার দিকে তাকাচ্ছেন। তারপর ফল ঘোষণা করলেন। আমি প্রথম হয়েছি ! খবর শুনে বড় ভাইআনন্দে কেঁদে ফেললেন। শুধু আমি নির্বিকার- যেন এটাই হওয়ার কথা ছিল। বাড়ি ফেরার পথে সে এক অভূতপূর্ব দৃশ্য। আমি আর আমার ভাই গর্বিত ভঙ্গিতে হেঁটে আসছি। আর পিছনে এক দল ছেলেমেয়ে আমাকেনিয়ে হৈ চৈ করছে, স্লোগান দিচ্ছে। সারা গাঁয়ে সাড়া পড়ে গেল ! আমার নিরক্ষর বাবা, যাঁর কাছে ফার্স্ট আর লাস্ট একই কথা- তিনিওআনন্দে আত্মহারা; শুধু এইটুকু বুঝলেন যে, ছেলে বিশেষ কিছু একটা করেছে। যখন শুনলেন আমি ওপরের কাসে উঠেছি, নতুন বইলাগবে, পরদিনই ঘরের খাসিটা হাটে নিয়ে গিয়ে ১২ টাকায় বিক্রি করে দিলেন। তারপর আমাকে সঙ্গে নিয়ে জামালপুর গেলেন।সেখানকার নবনূর লাইব্রেরি থেকে নতুন বই কিনলাম। আমার জীবনযাত্রা এখন সম্পূর্ণ বদলে গেছে। আমি রোজ স্কুলে যাই। অবসরে সংসারের কাজ করি। ইতোমধ্যে স্যারদের সুনজরে পড়েগেছি। ফয়েজ মৌলভী স্যার আমাকে তাঁর সন্তানের মতো দেখাশুনা করতে লাগলেন। সবার আদর, যত্ন, স্নেহে আমি ফার্স্ট হয়েই পঞ্চমশ্রেণীতে উঠলাম। এতদিনে গ্রামের একমাত্র মেট্রিক পাস মফিজউদ্দিন চাচা আমার খোঁজ নিলেন। তাঁর বাড়িতে আমার আশ্রয় জুটলো। প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করে আমি দিঘপাইত জুনিয়র হাইস্কুলে ভর্তি হই। চাচা ওই স্কুলের শিক্ষক। অন্য শিক্ষকরাও আমার সংগ্রামের কথাজানতেন। তাই সবার বাড়তি আদর-ভালোবাসা পেতাম। আমি যখন সপ্তম শ্রেণী পেরিয়ে অষ্টম শ্রেণীতে উঠবো, তখন চাচা একদিন কোত্থেকে যেন একটা বিজ্ঞাপন কেটে নিয়ে এসে আমাকেদেখালেন। ওইটা ছিল ক্যাডেট কলেজে ভর্তির বিজ্ঞাপন। যথাসময়ে ফরম পুরণ করে পাঠালাম। এখানে বলা দরকার, আমার নাম ছিলআতাউর রহমান। কিন্তু ক্যাডেট কলেজের ভর্তি ফরমে স্কুলের হেডস্যার আমার নাম আতিউর রহমান লিখে চাচাকে বলেছিলেন, এইছেলে একদিন অনেক বড় কিছু হবে। দেশে অনেক আতাউর আছে। ওর নামটা একটু আলাদা হওয়া দরকার; তাই আতিউর করেদিলাম। আমি রাত জেগে পড়াশোনা করে প্রস্তুতি নিলাম। নির্ধারিত দিনে চাচার সঙ্গে পরীক্ষা দিতে রওনা হলাম। ওই আমার জীবনে প্রথমময়মনসিংহ যাওয়া। গিয়ে সবকিছু দেখে তো চক্ষু চড়কগাছ ! এত এত ছেলের মধ্যে আমিই কেবল পায়জামা আর স্পঞ্জ পরে এসেছি !আমার মনে হলো, না আসাটাই ভালো ছিল। অহেতুক কষ্ট করলাম। যাই হোক পরীক্ষা দিলাম; ভাবলাম হবে না। কিন্তু দুই মাস পর চিঠিপেলাম, আমি নির্বাচিত হয়েছি। এখন চূড়ান্ত পরীক্ষার জন্য ঢাকা ক্যান্টনমেন্টে যেতে হবে। সবাই খুব খুশি; কেবল আমিই হতাশ। আমার একটা প্যান্ট নেই, যেটা পরে যাবো। শেষে স্কুলের কেরানি কানাই লাল বিশ্বাসেরফুলপ্যান্টটা ধার করলাম। আর একটা শার্ট যোগাড় হলো। আমি আর চাচা অচেনা ঢাকার উদ্দেশে রওনা হলাম। চাচা শিখিয়ে দিলেন,মৌখিক পরীক্ষা দিতে গিয়ে আমি যেন দরজার কাছে দাঁড়িয়ে বলি: ম্যা আই কাম ইন স্যার ? ঠিকমতোই বললাম। তবে এত উচ্চস্বরেবললাম যে, উপস্থিত সবাই হো হো করে হেসে উঠলো। পরীক্ষকদের একজন মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজের অধ্যক্ষ এম. ডাব্লিউ. পিট আমাকে আপাদমস্তক নিরীক্ষণ করে সবকিছু আঁচ করেফেললেন। পরম স্নেহে তিনি আমাকে বসালেন। মুহূর্তের মধ্যে তিনি আমার খুব আপন হয়ে গেলেন। আমার মনে হলো, তিনি থাকলেআমার কোন ভয় নেই। পিট স্যার আমার লিখিত পরীক্ষার খাতায় চোখ বুলিয়ে নিলেন। তারপর অন্য পরীক্ষকদের সঙ্গে ইংরেজিতে কী-সব আলাপ করলেন। আমি সবটা না বুঝলেও আঁচ করতে পারলাম যে, আমাকে তাঁদের পছন্দ হয়েছে। তবে তাঁরা কিছুই বললেন না।পরদিন ঢাকা শহর ঘুরে দেখে বাড়ি ফিরে এলাম। যথারীতি পড়াশোনায় মনোনিবেশ করলাম। কারণ আমি ধরেই নিয়েছি, আমার চান্সহবে না। হঠাৎ তিন মাস পর চিঠি এলো। আমি চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছি। মাসে ১৫০ টাকা বেতন লাগবে। এর মধ্যে ১০০ টাকা বৃত্তি দেওয়াহবে, বাকি ৫০ টাকা আমার পরিবারকে যোগান দিতে হবে। চিঠি পড়ে মন ভেঙে গেল। যেখানে আমার পরিবারের তিনবেলা খাওয়ারনিশ্চয়তা নেই, আমি চাচার বাড়িতে মানুষ হচ্ছি, সেখানে প্রতিমাসে ৫০ টাকা বেতন যোগানোর কথা চিন্তাও করা যায় না ! এই যখন অবস্থা, তখন প্রথমবারের মতো আমার দাদা সরব হলেন। এত বছর পর নাতির (আমার) খোঁজ নিলেন। আমাকে অন্য চাচাদেরকাছে নিয়ে গিয়ে বললেন, তোমরা থাকতে নাতি আমার এত ভালো সুযোগ পেয়েও পড়তে পারবে না ? কিন্তু তাঁদের অবস্থাও খুব বেশিভালো ছিল না। তাঁরা বললেন, একবার না হয় ৫০ টাকা যোগাড় করে দেবো, কিন্তু প্রতি মাসে তো সম্ভব নয়। দাদাও বিষয়টা বুঝলেন। আমি আর কোন আশার আলো দেখতে না পেয়ে সেই ফয়েজ মৌলভী স্যারের কাছে গেলাম। তিনি বললেন, আমি থাকতে কোন চিন্তাকরবে না। পরদিন আরো দুইজন সহকর্মী আর আমাকে নিয়ে তিনি হাটে গেলেন। সেখানে গামছা পেতে দোকানে দোকানে ঘুরলেন।সবাইকে বিস্তারিত বলে সাহায্য চাইলেন। সবাই সাধ্য মতো আট আনা, চার আনা, এক টাকা, দুই টাকা দিলেন। সব মিলিয়ে ১৫০ টাকাহলো। আর চাচারা দিলেন ৫০ টাকা। এই সামান্য টাকা সম্বল করে আমি মির্জাপুর ক্যাডেট কলেজে ভর্তি হলাম। যাতায়াত খরচ বাদদিয়ে আমি ১৫০ টাকায় তিন মাসের বেতন পরিশোধ করলাম। শুরু হলো অন্য এক জীবন। প্রথম দিনেই এম. ডাব্লিউ. পিট স্যার আমাকে দেখতে এলেন। আমি সবকিছু খুলে বললাম। আরো জানালাম যে, যেহেতু আমার আরবেতন দেওয়ার সামর্থ্য নেই, তাই তিন মাস পর ক্যাডেট কলেজ ছেড়ে চলে যেতে হবে। সব শুনে স্যার আমার বিষয়টা বোর্ড মিটিঙেতুললেন এবং পুরো ১৫০ টাকাই বৃত্তির ব্যবস্থা করে দিলেন। সেই থেকে আমাকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এস.এস.সি পরীক্ষায়ঢাকা বোর্ডে পঞ্চম স্থান অধিকার করলাম এবং আরো অনেক সাফল্যের মুকুট যোগ হলো। আমার জীবনটা সাধারণ মানুষের অনুদানে ভরপুর। পরবর্তীকালে আমি আমার এলাকায় স্কুল করেছি, কলেজ করেছি। যখন যাকে যতটাপারি, সাধ্যমতো সাহায্য সহযোগিতাও করি। কিন্তু সেই যে হাট থেকে তোলা ১৫০ টাকা; সেই ঋণ আজও শোধ হয়নি। আমার সমগ্রজীবন উৎসর্গ করলেও সেই ঋণ শোধ হবে না!

Wednesday, 3 June 2015

জিমেইলে লেবেল এবং ফিল্টার এর মাধ্যমে চোখ রাখুন প্রয়োজনীয় ইমেইলে

আজকাল এই ইলেকট্রনিক মিডিয়ার যুগে সবার ই একটা করে হলে ও ইমেইল একাউন্ট আছে। কোন ওয়েবসাইটে একাউন্ট করতে কিংবা প্লে স্টোর থেকে এপ্স ডাউনলোড দিতে অথবা প্রয়োজনীয় কোন ফাইলপত্র আদান প্রদান করতে একটা ইমেইল থাকতেই হয়।এখন মনে করুন আপনার একটি ইমেইল একাউন্ট আছে অর্থাৎ হাজার হাজার ইমেইল আপনার ইনবক্সে প্রতিনিয়ত জমা হচ্ছে। কিন্তু, হাজার হাজার ইমেইলের মধ্যে আমাদের গুরুত্বপূর্ণ ইমেইল খুঁজে পাওয়াটাই খুব মুশকিল। কিন্তু, এরও আছে সহজ সমাধান। 
আমাদের সকলেরই গুগলের ইমেইল সেবা জিমেইলে একাউন্ট আছে। আজ দেখবো জিমেইলে লেবেল এবং ফিল্টার ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় ইমেইল কিভাবে সংরক্ষন করবো।প্রথমেই জেনে নেই লেবেল কি? 
লেবেল কিঃ 
আমাদের ইনবক্সে বিভিন্ন ক্যাটাগরির ওয়েবসাইট থেকে অসংখ্য ইমেইল আসে। আমরা চাই ফেসবুকের সকল ইমেইল ফেসবুক নামক একটি ফোল্ডারে জমা হবে। এখানে শুধুই ফেসবুক থেকে আসা ইমেইলগুলো জমা হবে। আবার  টুইটার থেকে আসা ইমেইলগুলো  টুইটার  ফোল্ডারে জমা হবে। এজন্য আমরা যে ফোল্ডার তৈরী করবো সেগুলোই লেবেল। 
এখন দেখব লেবেল কি করে  তৈরী করেঃ 
১. প্রথমেই জিমেইলে লগিন করে এর সেটিং এ যান।
২. এবার দ্বিতীয় ট্যাব লেবেল এ ক্লিক করুন।
৩. এবার লেবেল থেকে Create New Label এ ক্লিক করুন।
৪. লেবেল এর নাম দিন। উদাহরনঃ সোশ্যাল, ক্লাউড স্টোরেজ।
৫. এবার লেবেলটি সেভ করুন। 
হয়ে গেলো আমাদের লেবেল বানানো। এবার ইমেইল আসবে আর লেবেল অনুযায়ী জমা হবে এমনটা না। এখন আমাদের ফিল্টার করতে হবে।
হ্যাঁ, পানি যেমন আমরা ছেঁকে ধূলিকণা থেকে আলাদা করি ঠিক তেমনই সকল ইমেইল থেকে আমাদের বিভাগ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ইমেইলগুলো ফিল্টার করে আলাদা করতে হবে। এখন ফিল্টার করলেই কি সব আলাদা হয়ে যাবে? হ্যাঁ, তবে আমাদের ফিল্টার করার সময় সিলেক্ট করে দিতে হবে কোন আইটেমের ইমেইলগুলো কোন লেবেল এ যাবে। 
এখন দেখব  ফিল্টার কি করে  তৈরী করেঃ
১. জিমেইলের সেটিং থেকে ফিল্টার ট্যাবে যান।
২. Create a new filter ক্লিক করুন।
৩. এবার @yourDomain.com প্রথম বক্সে দিন।
৪. Create a new filter এ ক্লিক করুন।
৫. এবার পরবর্তী অপশন থেকে Skip the Inbox এবং Also apply filter to”..” matching conversations এ টিক দিন।
৬. এবার Apply the label: টিক দিয়ে ড্রপডাউন থেকে যে লেবেলে ইমেইলগুলো সংরক্ষণ করতে চান সিলেক্ট করে দিন।
৭. Create Filter এ ক্লিক করুন। 
ব্যাখ্যাঃ 
@yourDomain.com এর স্থানে @eastowest24.blogspot.com; @facebook.com ইত্যাদি আপনার প্রয়োজন অনুসারে দিবেন। মূল ডোমেইন ব্যাবহার করলে সাব-ডোমেইন থেকেও যদি ইমেইল আসে তবে তা একই লেবেলে জমা হবে। 
# আপনি চাইলে নিচের মত করেও লেবেল তৈরী করতে পারেন।
Social
-Facebook
-Twitter

Monday, 1 June 2015

বাংলাদেশের জনপ্রিয় ব্লগ সমূহ

আমরা প্রায় সময় ভাবি বা জানতে চাই-বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্লগিং সাইট কোন গুলো এবং সেগুলো কি একই বৈশিষ্ট্যের নাকি বৈচিত্র্যতা আছে?
বর্তমান সময়ে বাংলা ভাষায় বেশ ভালো ভালো ব্লগ রয়েছে। তবে  দীর্ঘদিন ধরে অনুসরণ করছি বলে আমার ভালো লাগা ব্লগের মধ্যে আমি বলতে পারি "সামহোয়্যার ইন ব্লগ"  কে। এতে দেশের শীর্ষস্থানীয় অনেক ব্লগাররা লেখে থাকেন ।লেখাগুলোতে অনেক বৈচিত্র্যময়তা ও খোঁজে পাই। সমসাময়িক বিষয়ের উপর মানুষের মনের কথা এতে পাবেন, এরপর আছে প্রথম আলো ব্লগ, এতেও অনেক তরুন লেখক লিখে থাকেন। আমার ব্লগ ও বেশ ভালো একটি ব্লগ সাইট। আর টেক টিউন এর সাথে পরিচর নেই এমন টেক পাগলা খুব কম ই আছে। এখানে আপনি টেকনোলোজিক্যাল যাবতীয় সাপোর্ট পাবেন।"কবিতা ব্লগ" আমার সব থেকে ভালো লাগা আরেক টি ব্লগ , নাম শুনে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন এখানে আপনি অসাধারন কিছু কবিতা পাবেন।যদিও বর্তমানে কবিতা ব্লগ থেকে কবিতা পড়ার তেমন একটা সময় পাই না।এছাড়া ও প্রচুর জনপ্রিয় বাংলা ব্লগ রয়েছে, আমি শুধু আমার ও বন্ধু মহলে পরিচিত ব্লগ সাইট গুলো তুলে ধরলাম। আপনি আপনার পছন্দ মত যে কোন ব্লগ দেখতে পারেন।
অনেকেই বলতে পারেন, ব্লগ নিয়া লিখলেন অথচ ব্লগ গুলোর লিংক দিলেন না।তাই আপনাদের জন্য কিছু ব্লগ লিংক শেয়ার করলাম :
১। http://www.somewhereinblog.net/
২। http://prothom-aloblog.com/
৩। http://www.amarblog.com/
৪। http://www.sachalayatan.com/
৫। http://www.techtunes.com.bd/
৬। http://www.tunerpage.com/
৭। http://www.bigganprojukti.com/