Saturday, 18 April 2015

ডিপ্লোমায় ভর্তি হবেন,দেখে নেন A-Z

চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এ তুলনামূলক কম সময়ে কোর্স সমাপ্তি আর কোর্স শেষে ন্যূনতম চাকরির নিশ্চয়তা।সব মিলিয়ে তাই ডিপ্লোমা প্রকৌশলের চাহিদা হালের শিক্ষার্থীদের কাছে সবচেয়ে বেশি।
চার বছর মেয়াদি এই কোর্সে ভর্তি হতে হয় এসএসসির পর। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতায় পরিচালিত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে বিভিন্ন জেলা শহরে অবস্থিত ৪৯ টি সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাড়াও ইনস্টিটিউট অব গ্লাস অ্যান্ড সিরামিক, গ্রাফিক আর্টস ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ সার্ভে ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়।
★ভর্তির যোগ্যতা:
চার বছর মেয়াদি এই কোর্সগুলোয় আবেদন করতে হলে সাধারণ গণিত অথবা উচ্চতর গণিতে কমপক্ষে জিপিএ-৩ সহ প্রার্থীকে অবশ্যই এসএসসি পাস হতে হবে ন্যূনতম জিপিএ-৩.৫ পেয়ে।২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিতথ্য অনুযায়ী এই কারিগরি প্রতিষ্ঠানগুলোয় আবেদন করতে পারেন চলতি বছর বাদেও পূর্ববর্তী দুই বছরে এসএসসি বা সমমান পাস করা শিক্ষার্থীরা।
যেসব বিষয়ে ভর্তি হতে পারবেন :
আর্কিটেকচার, অটোমোবাইল,কেমিক্যাল, সিভিল, সিভিল (উড),কম্পিউটার, ইলেকট্রিক্যাল,ইলেকট্রনিকস, ফুড, পাওয়ার,মেকানিক্যাল, প্রিন্টিং,গ্রাফিক ডিজাইন, গ্লাস,সিরামিক, ইলেকট্রো মেডিক্যাল, মেরিন , শিপবিল্ডিং,সার্ভেয়িং, মেকাটনিকস,কনস্ট্রাকশন,টেলিকমিউনিকেশন,এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স,রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি,আর্কিটেকচার অ্যান্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইন, গার্মেন্টস ডিজাইন অ্যান্ড প্যাটার্ন মেকিং,ইনস্ট্রুমেন্টেশন অ্যান্ড প্রসেস কন্ট্রোল, ডেটা টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড নেটওয়ার্কিং, এয়ারক্রাফট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ারিং (অ্যারোস্পেস), এয়ারক্রাফট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ারিং (অ্যাভিয়োনিকস) এবং মাইনিং অ্যান্ড মাইন সার্ভে টেকনোলজি পড়ানো হয় সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা এই ইনস্টিটিউটগুলোয়।
ভর্তির তথ্য : এসএসসির পর ভর্তির বিজ্ঞপ্তি দিয়ে থাকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর।ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হতে চাইলে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে এখন থেকেই।ভর্তিসংক্রান্ত সব তথ্যের জন্য যোগাযোগ করা যাবে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের ( www.techedu.gov.bd ) ওয়েবসাইটে। এ ছাড়া ভর্তিসংক্রান্ত সব তথ্য জানা যাবে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের নিজস্ব ওয়েবসাইটে ( www.bteb.gov.bd )
★ডিপ্লোমা প্রকৌশলের আরও কিছু বিষয়:
বস্ত্র প্রকৌশল ডিপ্লোমা প্রকৌশলের ক্ষেত্রে যেসব বিষয়ের চাহিদা বেশি,সেগুলোর মধ্যে অন্যতম টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বা বস্ত্র প্রকৌশল। সরকারের বস্ত্র দপ্তরের ( www.dot.gov.bd ) আওতায় দিনাজপুর টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, বরিশাল শহীদ সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও টাঙ্গাইল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট— এই তিনটি সরকারি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট আছে। এ ছাড়া বেসরকারি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটে আছে ২১টি।ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের আবেদন করতে হবে অনলাইনের মাধ্যমে।ইনস্টিটিউটগুলো থেকে ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন করে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া যাবে বাংলাদেশ টেক্সটাইল প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে।
★কৃষি প্রকৌশল :
কৃষি ক্ষেত্রকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটগুলোয় চালু আছে চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্স। কারিগরি শিক্ষা বোডের্র অধীনে রংপুর, গাইবান্ধা, পাবনা,খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুর, ঢাকা,গাজীপুর, শেরপুর, সিলেট,নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও রাঙামাটি জেলায় একটি করে মোট ১৩টি কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট আছে। এই ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন করতে হলে প্রার্থীকে এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৩ অথবা বিজ্ঞান বিভাগ ছাড়া অন্য বিভাগের ক্ষেত্রে সাধারণ গণিত বা সাধারণ বিজ্ঞানে গ্রেড পয়েন্ট-২-সহ কমপক্ষে জিপিএ-৩ থাকতে হবে।
★হেলথ টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস তিন বছর মেয়াদি এই কোর্স বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধিভুক্ত।শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩৯।প্রতিষ্ঠানগুলো ছড়িয়ে আছে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা শহরে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে যেসব বিষয় পড়ানো হয়, সেগুলো হলো:
ডেন্টাল, পেশেন্ট কেয়ার,ফিজিওথেরাপি, ফার্মা,রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং,ইন্টিগ্রেটেড ও ল্যাবরেটরি টেকনোলজি। যেসব শিক্ষার্থী এই কোর্সে ভর্তি হতে চান, তাঁদের এসএসসিতে সাধারণ গণিত বা উচ্চতর গণিতে গ্রেড পয়েন্ট-২-সহ (অথবা ৪০ শতাংশ নম্বর) কমপক্ষে জিপিএ-২ (অথবা দ্বিতীয় বিভাগ) থাকতে হবে। এখানে যেকোনো বর্ষে পাস করা শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবেন।
[[উল্লেখ্য, নতুন ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ভর্তির যোগ্যতা পরিবর্তিত হতে পারে৷]]

Friday, 17 April 2015

ডিপ্লোমা তে আসার আগে বিষয়গুলো ভেবে নিন

◆◇◆এস.এস.সি ও সমমানের পরীক্ষা শেষ।তাই অনেকে ইংলিশ কিংবা কম্পিউটার কোচিং এ ভর্তি হয়েছেন কিংবা হবেন।অনেকের আবার ইচ্ছা আছে ম্যাটস/ডিপ্লোমাতে ভর্তি হবেন , তাই অনেক স্টুডেন্ট ভর্তি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন। এবার একটু দেখে নিলে ভালো হয় ডিপ্লোমাতে কাদের আসা উচিত এবং কাদের আসা উচিত না।একটা কথা মনে রাখবেন, আবেগের বসে কিছু করে লাইফের কয়েকটা বছর নষ্ট করবেন না।
★★★ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এ যারা আসবেনঃ
■■▶অনেকেই আছেন যাদের আর্থিক সমস্যা আছে পড়াশুনা চালানো কঠিন হবে বলে মনে করেন অথবা পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে চান্স না পাওয়ার ভয় আছে আর পাবলিকে চান্স না পেলে হয়তো ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া সম্ভব না কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার প্রচুর ইচ্ছা আছে তারা চলে আসতে পারেন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং করার জন্য । কেননা এখানে আসার পর আপনি যদি ভালো পারফরমেন্স দেখাতে পারেন তাহলে আপনাকে ওয়াল্ড ব্যাংকের পক্ষ থেকে প্রতি ছয় মাস পর পর দেওয়া হবে ৪৮০০ টাকা শিক্ষা বৃত্তি। এছাড়াও মোটামুটি রেজাল্ট হলেই পাবেন ৯০০ টাকা বৃত্তি যা দিয়া কিছুটা হলেও আপনি চালিয়ে যেতে পারেন আপনার পড়াশোনার খরচ । ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করার পরে যেকোন একটা চাকরি পাবেন আর চাকরির পাশাপাশি খুব সহজেই আপনার পছন্দসই কোন একটা ইউনিভার্সিটি থেকে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিংকরে নিতে পারবেন ।কাজ শেখার ইচ্ছা শক্তি থাকলে অবশ্যই শিখতে পারবেন কারণ পলিটেকনিকে এমন কিছু ইন্সট্রুমেন্ট আছে যেগুলো অনেক নামকরা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতেও নেই।আর একটা কথা মেধা তেমন না থাকলে না আসাই ভালো কারণ এখনকার ডিপ্লোমার সিস্টেম এবংপড়াশোনা আগের থেকে অনেক অনেক আপডেট হয়েছে ।সুতরাং যা করবেন একটু ভেবে চিন্তে করবেন আবেগের বসে কিছু করে ফেললে আপনার জীবন থেকে হারিয়ে যেতে পারে কয়েকটি বছর । আসলে ভাই ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা ব্যবস্থাটা বাইরের দেশে যেমন দাম আছে আমাদের দেশে তার একবিন্দুও নেই, আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত এর ডিপ্লোমা শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন।
★★★ডিপ্লোমায় যাদের আসার তেমন একটা প্রয়োজন নাইঃ
■■▶বাবার টাকা আছে বাইচান্স পাবলিক কোন ইউনিভার্সিটি তে চান্স না পেলেও প্রাইভেট ইউনিভারসিটিতে বি.এস.সি করে নিতে পারবেন তাদের ডিপ্লোমাতে আসার কোন প্রয়োজন আছে বলে আমি মনেকরি না, কারণ একেতো ডুয়েট ছাড়া অন্য কোন পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে চান্স নেওয়ার কোন সুযোগ নাই। যদিও ইদানীং কয়েকটা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ করে দিছে।যেমন :আমার জানামতে সাস্টে কম্পিউটার ডিপার্টমেন্ট এ ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ আছে। তারপরেও সব সাবজেক্ট এর জন্য এখন পর্যন্ত উন্মুক্ত করা হয় নি, আর প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হলেও ভালো কোন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে পারবেন না,আর যদিও হন তাহলে একেতো খরচ আছে সাথে আবার সেই ৪ বছর ধরে বি.এস.সি করতে হবে আর নরমাল কোন ইউনিভার্সিটিতেই ডিপ্লোমাদের জন্য আই.ই.বি আনুমোদন নেই।  ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বিএসসি করার জন্য ঢাকার রমনাতে AMEI এর নাম হয়ত শুনেছেন,এখান থেকে ও আপনি অল্প সময়ে বিএসসি করতে পারেন।তবে আপনাকে ধৈর্যবান ও মেধাবী হতে হবে। আর একটা কথা, ডিপ্লোমায় আপনি আপনার ইংলিশের দক্ষতা আপনার অজান্তেই হারিয়ে ফেলবেন তবে এটা আসলে সবার ক্ষেত্রে নয়।কারণ অনেকেই আছে ডিপ্লোমা করেছেন।কিন্তু ইংলিশে অনর্গল কথা বলতে পারেন তবে এটা হাতে গোনা কয়েকজন হবে যারা সম্পূর্ণ নিজের প্রচেষ্টাতে বিভিন্ন কোর্স ও ইংলিশ ক্লাব এর মাধ্যমে ইংলিশকে ধরে রাখে । ইংলিশে দক্ষতা হারানোর প্রধান কারণ ডিপ্লোমাতে ইংলিশ নামে মাত্র দুইটা সাবজেক্ট থাকে যা ২ বা ৩ সেমিস্টারেই শেষ হয়ে যায় তারপর ৩ বছর শুধু বাংলিশ পড়ানো হয়, কাজ শেখার ব্যাপারে হাতেগোনা কয়েকজন টিচার ব্যতিত খুব কম টিচার এর কাছ থেকেই সাহায্য পাবেন বলে আশা করা যায়, আর এমন কিছু ইন্সটিটিউট আছে যেখানে চার অথবা পাঁচটি বিভাগের জন্য স্যার আছে মাত্র চার থেকে ছয়জন, ডিপ্লোমা করতে গিয়ে সব পেলেও পাবেন না দক্ষ স্যার ।অনেক স্যার আছেন যারা স্টুডেন্টদের টাকায় পকেট ভারি করে রাখেন।
◆◇◆আমার এসব কথা শুনে অনেকেই বলতে পারেন ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিতে সি.এস.ই এবং ই.টি.ই তে আই.ই.বি অনুমোদন আছে ?
■□■▶ হ্যা ভাই আছে কিন্তু আপনি হয়তো এটা জানেন না যে ইভিনিং শিফট এর জন্য কোন ইউনিভার্সিটিতেই আই.ই.বি অনুমোদন নেই, এবং এশিয়া প্যাসিফিক ও ইউ.আই.ইউ তে আছে কিন্তু এগুলোতে কস্ট অনেক বেশী এবং আপনার জন্য সাবজেক্ট ক্রেডিটও কমানো হবে না । তো কি দরকার আছে ৪ বছর ডিপ্লোমা করে আবার ৪ বছর বি.এস.সি করার শুধু শুধু আপনার জীবন থেকে হারিয়ে যাবে ২টি বছর ।আর যাদের ইচ্ছা আছে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমানোর তাদের ডিপ্লোমাতে আসার কোন প্রয়োজনই নাই কারন ডিপ্লোমাতে উচ্চ শিক্ষার জন্য বাইরে যাওয়ার যতটা সুযোগ আছে তার থেকে হাজারগুন বেশী সুযোগ আছে উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে যাওয়ার । আর যদিও ডিপ্লোমা কম্পিলিট করে যান তবে খরচও সেই একই লাগবে এবং সুযোগও সেই একই পাবেন।মাঝে দিয়ে আপনার জীবন থেকে হারিয়ে যাবে অতি মূল্যবান ২টি বছর আর যদি কোন আন্দোলন হয় তাহলেতো ৩ বছরও হারিয়ে যেতে পারে ।
□■▶আর যে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা ব্যবস্থায় ইংলিশ পাঠ্যপুস্তককে বাংলিশ পাঠ্যপুস্তকে পরিবর্তন করে পড়ানো হয় সে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা ব্যবস্থা হতে কখনও খুব ভালো কিছু আশা করা সম্ভব না ।যার ফলাফল ...... খুব ভালো স্টুডেন্ট হয়ে ডিপ্লোমাতে ভর্তি হচ্ছে আর বের হওয়ার সময় আগে যা ছিল তাও হারিয়ে ফেলছে ।এখানে না আছে স্টুডেন্টদের কোন দোষ আর না আছে শিক্ষকদের কোন দোষ, এখানে মূল সমস্যাটাই হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থার ।যেখানে ডিপ্লোমার প্রত্যেক ডিপার্টমেন্ট এর থাকা উচিত ছিল নিজেস্ব ক্লাব যেখানে ছাত্ররা প্রতিনিয়ত নতুন কিছু প্রজেক্ট বানানোর চেষ্টা করবে সেখানে ক্লাবতো দূরের কথা প্রজেক্ট বানানোর ব্যাপ্যারে যে কেউ অনুপ্রেরণা দিবে সেরকম লোক খুজে পাওয়াও মুশকিল ।
★☆★২০১৩ সালে সাস্টে অনুষ্ঠিত কাইজেন বিজ্ঞান প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অর্জন করে সিলেট পলিটেকনিক এর ইলেকট্রিকাল ডিপার্টমেন্ট এর কয়েকজন ছাত্র।জাফর ইকবাল স্যারের সাথে ছবিসহ তাদের সাক্ষাতকার পরদিন দেশের জাতীয় পত্রিকাগুলোতে প্রকাশ হয়।পলিটেকনিক এর ছাত্রদের প্রতি বৈষম্যের কিছু টা তখন ফোটে উঠেছিল। তারপর আবার সব উধাও।
◆◇◆আমার এই ব্লগ পোস্ট দেখে হয়তো অনেক ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ভাই মনে মনে রাগ হয়েছেন আবার গালিও দিচ্ছেন। কিন্তু ভাই একবার চিন্তা করে দেখুন আপনি ডিপ্লোমা করে কতটুকু সুযোগ সুবিধা পেয়েছেন ??
★☆★আজকে যে ভাইয়েরা ডুয়েটে পড়ছেন আপনাদের বন্ধুদের দিকে তাকালে দেখবেন তারা আজ বুয়েট,রুয়েট অথবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত ভালো জায়গাতে ৩য় অথবা ফাইনাল ইয়ারে রয়েছে,আপনার বি.এস.সি শেষ হতে হতে তারা হয়তো অনেক উপর পর্যায়ের একটা পজিশনেও চলে যাবে আর আপনার জীবন থেকে অকারনেই হারিয়ে গেছে ২টি বছর ।
★☆★৪৯টা সরকারী এবং চারশতাধিক প্রাইভেট পলিটেকনিক ছাত্রদের জন্য একমাত্র ডুয়েট ব্যতিত অন্য কোন ইউনিভার্সিটিতেই ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ারই সুযোগ দেওয়া হয় না ।
◆আসলে এর কারণটা কি ??
■▶তাহলে কি ডিপ্লোমার স্টুডেন্টরা অন্য কোন পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার যোগ্যতাও রাখে না ??
●○●অথচ দেখা যাচ্ছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আন্ডারে যারা এইচ.এস.সি ভোকেশনাল দিয়েছে তাদেরও যদি পয়েন্ট থাকে তবে তারাও প্রায় সব পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে চান্স নিতে পারতেছে। তাহলে এখানে ডিপ্লোমার ছাত্ররা কি দোষ করেছে যে তাদেরকে ডুয়েট ব্যতিত অন্য কোন ইউনিভার্সিটিতে এডমিশন পরীক্ষা দেওয়ারই সুযোগ দেওয়া হয় না ??
যাই হোক অনেক কথা বলে ফেললাম ,এখন যে ভাইয়ারা এবার এস.এস.সি দিয়েছেন তারা আশা করি এই পোস্ট থেকে বর্তমান ডিপ্লোমা সম্পর্কে একটা ধারনা পেয়েছেন ।
আর এই ব্লগ পোস্ট দেখে যদি কোন ভাইয়ের মনে কষ্ট লেগে থাকে তাহলে আমি তার কাছ থেকে মাফ চেয়ে নিচ্ছি।।
খোদা হাফেজ, সবাই ভালো থাকবেন।।

Thursday, 16 April 2015

Protect GP From Their Unfair Policy

নরওয়ে ভিত্তিক একটি টেলিকম প্রতিষ্ঠান হল জিপি।যা বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত মোবাইল অপারেটর। এমনকি যে নরওয়ে এই কোম্পানির মালিক, তার জনসংখ্যার ও তুলনায় দশ গুণ। তাই এই বিপুল পরিমাণ জনসংখ্যার কথা চিন্তা করে জিপির পলিসি যেখানে আরো নমনীয় হওয়ার কথা,সেখানে এই মোবাইল পরিসেবা প্রতিষ্ঠান টি সেবার পরিবর্তে এদেশের মানুষের রক্ত দিন দিন চোষে খাচ্ছে।রাষ্ট্রের হাজার কোটি টাকার কর ফাকি দেওয়ার ইতিহাস ও কারো অজানা নয়।
বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৫ উপলক্ষে জিপি খেলা চলাকালীন সময়ে Twitter ফ্রি করে দেয়।এতে অনেক ইউজার ও বেড়ে যায়।কিন্তু খেলা শেষ হওয়ার পরপর ই ফ্রি Twitter অফ করে দেওয়া হয়।আমার ফেসবুক গ্রুপ EasToWest24 এ প্রচুর পোস্ট আসে (যদিও এডমিনদের পক্ষ থেকে পোস্টগুলো এপ্রুভাল হয় নি একই বিষয়ে গ্রুপ ভরপুর হয়ে যাবে বলে) কিভাবে আবার ফ্রি Twitter ইউজ করা যায়।তাই সবাইকে এয়ারটেল এ ফ্রি চালানোর কথা বলা হয়।যা এখন ও চলছে।তবে শুধুমমাত্র মোবাইল ইউজারদের জন্য।
তারপর আসা যাক ফ্রি ফেসবুক এর কথায়।জিপির তখন ও ৫ কোটি গ্রাহক পূর্ণ হয় নি।তাই টার্গেট পুরণ করতে খুব চতুরতার সাথে এফবি ফ্রি করে দেয়।আর আমাদের মত একদল তরুণ তা সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে প্রচার করতে থাকে।এতে করে জিপি নতুন সিম কিনার ধুম পরে যায়।সাথে সাথে যত অব্যবহৃত সিম ও ছিল কয়েক দিনের মধ্যে সব চালু হয়ে যায়।জিপির অফিসিয়ালি ফ্রি ফেসবুক প্রচার করার আগে তা বিদ্যুৎ বেগে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে।দেখলেন তো জিপির বিজনেস পলিসি।অল্প দিনেই টার্গেট পুরণ হয়ে যায়।এখন কি একটা বের করছে ৩০ মিনিট ফ্রি এফবি।তা ঢুকতে আর বের হতেই তো শেষ হয়ে যায়।তার চেয়ে বরং এয়ারটেল ই ভালো। পিসি তে ও ফ্রি চলে।সাথে এফবির ভিডিও গুলো  ও দেখা যায়।
ব্যবহারকারী দের ধরে রাখার জন্য ফ্রি ফেসবুক এর সাথে হোয়াটসঅ্যাপ ফ্রি করে দেওয়া হয়।তখন ও কলিং অপশন চালু হয় নি।তারপর ও লোকের উপচে পড়া কে রোখে? রাস্তা ঘাটে বের হলেই তরুণদের দেখা যায় মোবাইল হাতে সামাজিক মাধ্যমে ব্যস্ত। আমার এক আঙ্কেল, যে কিনা আগে আমাদের বলতো নেট এ তোরা সারাদিন কি কর?সে এখন কি রাত কি দিন নেট এ পড়ে থাকে।সামনে আসছে শুভদিন। জানি একটা শক খাবে!!! ১৯ তারিখ থেকে ফ্রি whatsapp বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।এয়ারটেল এ ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে।
তবে ২১ তারিখ থেকে internet.org এর মাধ্যমে এফবির প্রতিষ্ঠাতা জুকারবার্গ ফ্রি ইন্টারনেট সেবা সবার হাতে পৌছে দিতে বিশেষ উদ্দোগ নিয়েছে।এতে এফবি সহ আর কয়েকটি সরকারি সাইট ফ্রি ব্যবহার করা যাবে বলে জানানো হয়।তবে সারা দেশে কবে নাগাদ এ সেবা পাওয়া যাবে তার কোন বিশেষ উল্লেখ নেই।
জিপির কাস্টমারদের প্রতি অবহেলার  কথা বলে শেষ করা যাবে না। এরই মধ্যে ফেসবুক,টুইটার সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্রি হোয়াটসঅ্যাপ বহাল রাখার দাবিতে নেটিজেন রা ক্ষোভে ১০-১২ জিপি সিম বন্ধ করার আহবান জানিয়েছে। আপনি ও সবার সাথে আওয়াজ দিতে পারেন।সবাই 158 এ ফ্রি কল করেন আর কাস্টমার কেয়ারে তুফান ছুটান ।
সবাইকে একটা অনুরোধ। সবাই gpসিম দিয়ে ১৫৮ এই নম্বরে ফোন দিন এবং অনান্য অভিযোগ অপশন টি সিলেক্ট করুন। তার পর আপনাকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে জিপির কাষ্টমার কেয়ারের শালারা ফোন দিবে। সবাই একই অভিযোগ দিবেন সেটা হলো whatappsফ্রি চালাতে চাই। যদি ১লক্ষ কাষ্টমার একই অভিযোগ দেয় তবে whatapps ফ্রি করে দিবে। মেসেজটি সবাই শেয়ার করে বন্ধুদের ছড়িয়ে দিন। সবাই একই অভিযোগ দিলে জিপি শালায় হোয়াটএপস ফ্রি করে দিতে বাধ্য। 158 এ নম্বরটি সকল সিমের অভিযোগ দেওয়ার সার্ভিস নম্বর। এ নম্বরে ফোন দিন ফ্রি। কোন টাকা কাটবে না। মেসেজটি সকল গ্রুপে কপি করে ছড়িয়ে দিন। আমরা আবার ফ্রি হোয়াটএপস চাই।সবার আন্তরিক প্রচেষ্টায় জিপি তার ডিজুস ইউজারদের জন্য নাইট প্যাকেজ এক্টিভ রাখতে বাধ্য হয়েছিল।আমরা আবার ও তা প্রমাণ করব।
তরুণদের জয় হবেই হবে। নজরুল এর একটা বাণী দিয়ে শেষ করছি
"আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে,
তোমার ছেলে উঠলে মাগো রাত পোহাবে তবে।"

Tuesday, 7 April 2015

থানকুনি,প্রকৃতির এক অশেষ নেয়ামত

বাংলা নাম থানকুনি । অঞ্চলভেদে এটি টুনিমানকুনি,টেয়া,মানকি, তিতুরা,থানকুনি, আদামনি, ঢোলামানি,থুলকুড়ি, মানামানি , ধূলাবেগুন,আদাগুনগুনি নামে পরিচিত । বহু রোগের ডাক্তার এই পাতাটির ইংরেজি নাম Indian Pennywort,ল্যাটিন নাম Centella asiatica,বৈজ্ঞানিক নাম Centella asiatica Urban এবং পরিবার Mackinlayaceae । স্বাদটা একটু তিতকুটে, তবে কার্যকরণ বেশ উপকারী। অসংখ্য রোগের উপশম মেলে এই থানকুনি পাতা খেলে।
চটজলদি রোগ নিরাময়ের জন্য আমরা অনেকেই অ্যালোপ্যাথির দ্বারস্থ হয়ে যাই। কষ্ট লাঘবে তখন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়টা মাথায় থাকে না। বিশেষ করে টাইফয়েড ডায়রিয়া,কলেরার মতো পেটের রোগে অ্যান্টিবায়োটিকও চলে আকছার। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াযুক্ত ওই সব ওষুধগুলির দামও অনেক সময় নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে হয়ে যায়।অথচ আমাদের হাতের কাছেই কিছু ভেষজ গাছ রয়েছে ,যেগুলি অত্যন্ত অল্প দামে বা একটু খুঁজলে বিনামূল্যেও পাওয়া যায়,আমরা জানি না।অনেক সময় জেনেও,বিশ্বাস হয় না। তেমনই একটি ভেষজ উদ্ভিদ হল থানকুনি।থানকুনি আমাদের অতিপরিচিত পাতা।পুকুরপাড় বা জলাশয়ে হামেশাই

দেখা মেলে। কথায় বলে , পেট ভালো থাকলে মনও ফুরফুরে থাকে।চিকিত্সকরাই বলছেন, থানকুনি পাতার এমন ভেষজ গুণ রয়েছে , মিয়মিত খেতে পারলে,পেটের অসুখে কোনও দিনও ভুগতে হবে না।শরীর- স্বাস্থ্য তো সতেজ থাকেই , ছোট থেকে খাওয়াতে পারলে বুদ্ধিরও বিকাশ হয়।
দেখে নেওয়া যাক, থানকুনি পাতার ভেষজ গুণগুলি :

১. পেটের রোগ নির্মূল করতে থানকুনির বিকল্প নেই। নিয়মিত খেলে যে কোনও পেটের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। একই সঙ্গে পেট নিয়ে কোনও দিনও সমস্যায় ভুগতে হয় না।

২. শুধু পেটই নয় , আলসার, এগজিমা ,হাঁপানি - সহ নানা চর্মরোগ সেরে যায় থানকুনি পাতা খেলে। ত্বকেও জেল্লা বাড়ে।

৩ . থানকুনি পাতায় থাকে Bacoside A ও B। Bacoside B মস্তিষ্কের কোষ গঠনে সাহায্য করে ও রক্ত চলাচল বাড়ায়। থানকুনি পাতা নিয়মিত খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।

৪ . থানকুনি স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে।

৫ . মৃতকোষের ফলে চামড়ায় অনেক সময়ই শুষ্ক ছাল ওঠে। রুক্ষ হয়ে যায়।থানকুনি পাতার রস মৃতকোষগুলিকে পুনর্গঠন করে ত্বক মসৃণ করে দেয়।

৬ . পুরনো ক্ষত কোনও ওষুধেই না সারলে,থানকুনি পাতা সিদ্ধ করে তার জল লাগালে সেরে যায়। সদ্য ক্ষতে থানকুনি পাতা বেটে লাগালে , ক্ষত নিরাময় হয়ে যায়।

৭. থানকুনি পাতা চুল পড়া আটকে দেয়। এমনকি নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।

৮. বয়স বাড়লেও, যৌবন ধরে রেখে দেয় থানকুনি পাতার রস। প্রতিদিন একগ্লাস দুধে ৫ - ৬ চা চামচ থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে খেলে, চেহারায় লাবণ্য চলে আসে। আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যায়।

৯. দাঁতের রোগ সারাতেও থানকুনির জুড়ি মেলা ভার। মাড়ি থেকে রক্ত পড়লে বা দাঁতে ব্যথা করলে একটা বড় বাটিতে থানকুনি পাতা সিদ্ধ করে , তারপর ছেঁকে নিয়ে সেই জল দিয়ে কুলকুচি করলে উপকার পাওয়া যায় চটজলদি।

১০. থানকুনি পাতা বেটে ঘিয়ের সঙ্গে জ্বাল দিয়ে ঠাণ্ডা করে তা ক্ষত স্থানে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।

১১.অপুষ্টির অভাবে, ভিটামিনের অভাবে চুল পড়লে পুষ্টিকর ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবারের

পাশাপাশি ৫-৬ চা চামচ থানকুনি পাতার রস দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে।

১২. মলের সঙ্গে শ্লেষ্মা গেলে, মল পরিষ্কারভাবে না হলে, পেটে গ্যাস হলে,কোনো কোনো সময় মাথা ধরা এসব ক্ষেত্রে ৩-৪ চা চামচ থানকুনি পাতার গরম রস ও সমপরিমাণ গরুর কাঁচা দুধ মিশিয়ে খেতে হবে। নিয়মিত খেলে উপকার পাবেন।

১৩. মনে না থাকলে আধা কাপ দুধ, ২-৩ তোলা থানকুনি পাতার রস ও এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেতে হবে।

১৪.ঠাণ্ডায় নাক বন্ধ হলে, সর্দি হলে থানকুনির শিকড় ও ডাঁটার মিহি গুঁড়ার নস্যি নিলে উপকার পাওয়া যায়।
[[উল্লেখ্য: ছোট্ট এই উদ্ভিদটি বাড়ির ছাদে কিংবা বারান্দায় টবেও চাষ করা যায়।]]

Saturday, 4 April 2015

ওজন কমাবে সঠিক ডায়েট প্লান আর সচেতনতা

আমার মত যারা শরীরের অতিরিক্ত ওজন ভয় পান,তারা পোস্ট টি একটু দেখে নিতে পারেন। আর যাদের হাতে এখন সময় নাই,তারা পোস্ট টি শেয়ার করে ফেসবুক টাইমলাইন এ রেখে দেন।
আধুনিকতার এই যুগে নানা কারণেই বাড়ছে আমাদের শরীরের ওজন। কি নারী আর কি পুরুষ কেউই রেহাই পাচ্ছেন না এ থেকে। তার জন্য কেউ বা ছুটছেন জিমে আবার কেউ বা করছেন ডায়েটিং তার সাথে আরো যে কত্তো আয়োজন! কিন্তু মাথার উপর
খাঁড়ার মতো ঝুলছে লক্ষ্যপূরণের চাপ। সময় কোথায় এত কিছু মেইনটেন করার? এ দিকে আবার আমাদের স্লিম বডি চাই। তাই কম সময়ে স্লিম-ট্রিম হওয়ার কিছু পন্থা রইল আপনাদের জন্য।মোটা দেহ নিয়ে কারো চোখে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তোলা যায় না।মানুষ মোটা হয় শর্করা ও স্নেহজাতীয় পদার্থের ফলে।প্রতিদিন স্বাভাবিকের
চেয়ে ৫০০ ক্যালরি খাবার কম খেলে প্রায় ১ পাউন্ড ওজন কমানো যায়।ক্যালরি কম গ্রহণ করলে দেহাভ্যন্তরে বাড়তি মেদ ভেঙে গিয়ে দেহকে বাড়তি ক্যালরি জোগান দেয়।
সাধারণত একজন প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে প্রতিদিন ১০০০ ক্যালরি খাবার গ্রহণ করে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।মহিলাদের ক্ষেত্রে কোমরের মাপ ৮০ সেন্টিমিটার বা ৩১.৫ ইঞ্চি পর্যন্ত স্বাভাবিক ধরা যেতে পারে। তবে মহিলাদের কোমরের মাপ ৮৮ সেন্টিমিটার বা ৩৪.৬ ইঞ্চি থেকে বেশি হলে অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে।ডায়েটিং করলেই মেদ কমানো যায় না।খাবারের মধ্যে কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট জাতীয় জিনিস না খেয়ে বেশি করে প্রোটিন জাতীয় খাবার খাবেন। প্রচুর পানি, শাকসবজি ও ফলমুল বেশি করে খাবেন।সুস্থ জীবনযাপনে ওজন এক বিশেষ শত্রু। একবার দেহের ওজন বৃদ্ধি পেলে সহজেই তা কমানো যায় না।ওজন কমাতে আপনার নিজের ব্যাপার নিয়ে নিজেই দায়িত্ব নিতে হবে। কিন্তু তাই বলে নিতান্তই একা নন। আপনি মানসিক জোর পেতে পারেন আপনার সঙ্গীর কাছ থেকে, বন্ধুদের কাছ থেকে। এমন মানুষ নির্বাচন করুন যে কিনা আপনাকে মূল্য দেবে এবং আপনার কথা শুনবে। আপনার শরীর চর্চার সময় আপনাকে সঙ্গ দেবে। ওজন কমানোর জন্য আগে জানতে হবে আপনার আদর্শ ওজন কত, আদর্শ ওজনের চেয়ে কত বেশি আছে, কোন শারীরিক সমস্যা আছে কিনা, এই বিষয়গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে তারপর ওজন নিয়ন্ত্রণে মনোযোগী হতে হবে। ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আপনার একান্ত আগ্রহ আর মোটিভেশন ।রাতে ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ২ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিন। প্রতিবেলা খাবার আগে অবশ্যই এক গ্লাস পানি পান করুন ।ক্ষুধা না পেলে কখনই খাবনে না।সপ্তাহে অন্তত একদিন নিজের ওজন মাপুন।ফোনে কথা বলার সময় হাটুন ।সুস্থ্ থাকতে এবং ওজন কমানোর জন্য বেশি খাওয়া বন্ধ করতে হবে।অল্প তেলে রান্না করার অ্ভ্যাস গড়ে তুলুন।ঝোল করে তরকারি রান্না করুন, এতে তেল কম লাগে। ১ চা চামচ কম তেলে রান্না করলে আমরা ১২৪ ক্যালোরি সেভ করতে পারি ।অতিরিক্ত লবণ খাওয়া পরিহার করতে হবে। কারণ, লবণ শরীরের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।পেটের মেদ এর সাথে হার্টের সমস্যা থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস ও অন্যান্য সমস্যার জোরালো সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়।পেটের মেদ কমাতে হলে প্রয়োজন পুরো শারীরিক ব্যায়াম।৪০ থেকে ৪৫ মিনিট হালকা জগিং বা জোরে হাটার পর রক্তে চলমান ফ্যাট শেষ হয়ে দেহে সঞ্চিত ফ্যাট ভাঙতে থাকে। তাই এই ৪০ বা ৪৫ মিনিটের পর আপনি যদি ১০ বা ১৫ মিনিট ও জগিং বা জোরে হাঁটতে পারেন, তাহলেই প্রতিদিন একটু একটু করে আপনার জমান চর্বি কমতে থাকবে।পেটে, নিতম্বে, কোমরে ফ্যাট সেল বেশি থাকে ;বংশগত কারণেও মানুষ মোটা হতে পারে। ‘ওব জিন’ নামের এক ধরনের জিন থাকে ফ্যাট সেলের মধ্যে।এগুলো ল্যাপটিন নামের এক রকম হরমোন তৈরি করে। আবার যাদের দেহে ব্রাউন এডিপোজ টিস্যু বেশি থাকে তারা মোটা হয় না ।কোমরে আর পেটে চর্বি জমাতে যেমন সহজ। ঠিক ততটাই কঠিন সেই চর্বি কমিয়ে ফেলা। কিন্তু কিছু ভালো অভ্যাস ও সাধারণ কিছু ব্যায়াম ধৈর্যের সাথে চালিয়ে গেলে একদিকে বাড়তি মেদ যেমন ঝরবে অন্যদিকে শরীরটা মুটিয়ে যাবার ভয়টাও কমে আসবে অনেকাংশেই। ওজন কমানোর মুল মন্ত্র হল মটিভেসন ও একাগ্রতা।শুধু
ব্যায়াম করলেই অনেক সময় মেদ কমে না, এর জন্য আপনাকে খাবার গ্রহণে সতর্ক হতে হবে।খাবারে প্রচুর পরিমানে আঁশ জাতীয় খাদ্য যেমন শাক সবজি রাখুন। চর্বি জাতিয় খাবার কম খান।ফাস্ট ফুড খাওয়া বন্ধ করতে হবে।নিয়ম মেনে পরিমিত ব্যায়াম করে গেলে ও খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করলে পেটের মেদই শুধু নয়, সারা দেহের মেদ কমিয়ে কাঙ্ক্ষিত ফিগার পেতে পারি।
বাড়তি ওজনের জন্য যেকোনো ধরনের হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।মেদবহুল ব্যক্তির জরায়ু, প্রস্টেট ও কোলন ক্যান্সারের সম্ভাবনা শতকরা ৫ ভাগ বেশি।আজকাল অপারেশনের সাহায্যেও ভুঁড়ি কিংবা মেদ কমানো হচ্ছে।মেদ বা ভুঁড়ি কোনোভাবেই সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ নয় বরং নানা অসুখের কারণ- একথা মনে রাখবেন।আমিষ বা প্রোটিন খেলে শরীরে জমে থাকা চর্বি কমে যায়। কারণ এই চর্বি শরীরকে শক্তি বা ক্যালরির যোগান দেয়।স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ রান্না মাংস খেলে আমিষের ঘাটতি কেটে যায় এবং মেদও কমে, সামুদ্রিক মাছও হতে পারে আমিষের ভালো উৎস। এ ধরনের মাছে উপকারি চর্বি ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড রয়েছে। মাছ মেদ কমায়,বিষন্নতা দূর করে,হৃদস্বাস্থ্য ভালো রাখে।খাবার সঙ্গে চা পান করা চর্বির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আরেক উপায়।সারা দিনে অন্তত দুই লিটার পানি পান করবেন। এর ফলে আপনার বাড়তি ১০০ ক্যালরি খরচ হবে। অতিরিক্ত ঘুম,মানসিক চাপ, স্টেরয়েড এবং অন্য নানা ধরনের ওষুধ গ্রহণের ফলেও ওজন বাড়তে পারে ।নিয়মিত হাঁটা সবচেয়ে ভালো ব্যায়াম। প্রতিদিন নিয়ম করে ১ ঘণ্টা হাঁটতে পারলে খুবই ভালো। সাইকেল চালানো ও সাঁতার কাটাও খুব ভালো ব্যায়াম।ভুঁড়ি কমাতে কিছু আসনের সাহায্য নেয়া যেতে পারে। এগুলোর মধ্যে ত্রিকোণ আসন,একপদ উত্থান আসন, পবন মুক্তাসন, পশ্চিমোত্থানাসন খুবই কার্যকর।কাঁচা পেঁপে, শশা, গাজর, লেটুস বা ধনিয়া পাতার সালাদ ওজন কমাতে রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। পেঁপে যুদ্ধ করে দেহের বাড়তি মেদের বিরুদ্ধে। অতিরিক্ত ওজনের কারনে পায়ে ব্যথা হয় । ওজন কমানোর জন্য আপনার থাকতে হবে- ১০০% ইচ্ছা শক্তি,ধৈর্য্য , ১০০% ডায়েট চার্ট মেনে চলা,প্রতিদিন নিয়ম করে ১ ঘন্টা হাঁটা। অভিনেত্রী মৌ ২০ কেজি ওজন কমিয়েছেন এবং গায়ক আদনান সামী ওজন কমিয়ে দেখিয়েছেন ।হেঁটে যতটুকু ক্যালরি খরচ হলো ঠিক ততটুকু বা তার বেশি ক্যালরি গ্রহণ করা হলে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে হাঁটাই বৃথা।আপনার ওজন কমানোর প্রধান হাতিয়ার হিসেবে প্রচুর পানি পান করুন।অনেকেই ওজন কমাতে চান। কিন্তু কোনো কষ্ট করতে রাজি না।
বাঁধাকপিকে ওজন কমানোর আরেকটি কার্যকর উপায় হিসেবে ধরা হয়। বাঁধাকপি মিষ্টি ও শর্করাজাতীয় খাবারকে চর্বিতে রূপান্তর করতে বাধা দেয়। এ জন্য বাঁধাকপি খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখে ওজন কমাতে।এটিকে কাঁচা অথবা রান্না করেও খাওয়া যায়।আগে যেখানে তিনটি রুটি খেতেন,সেখানে দুটি খান। ভাতের ক্ষেত্রেও তাই।
ধীরে ধীরে ভাতের পরিমাণও কমিয়ে আনতে পারেন।যেটুকু খাবার কমিয়ে দিচ্ছেন,সেই জায়গাটা ফলমূল ও সবুজ সবজি দিয়ে পূরণ করুন।গাজর, টমেটো, কাঁচা-পাকা পেঁপে,শসা রাখতে পারেন খাদ্যতালিকায়। রিকশার পথটুকু হেঁটে যান, আর ফেরার পথে বিকেলের বাতাস খেতে খেতে হেঁটে আসুন বাসায়। ওজন কমানো এ আর এমন কঠিন কী!
প্রতিদিন এই ব্যায়াম করুন- চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাত দুটো সোজা কানের দুই পাশ ঘেসে মাথার উপরে মাটিতে শোয়ানো থাকবে,পা মাটিতে শোয়ানো থাকবে। শ্বাস নিতে নিতে উঠে বসুন (উঠার সময় কনুই দিয়ে মাটিতে ভর দিবেন না, হাত কানের পাশ দিয়ে মাথার উপর উঠানো থাকবে) এবং দুই হাত একসাথে মাথার উপর থেকে নামিয়ে শরীরের দুই পাশ দিয়ে সামনে হাত বাড়ানো অবস্থায় বসুন।এবার শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পায়ের আঙ্গুল ছুতে চেষ্টা করুন। যতটুকু পারুন পায়ের আঙ্গুলের দিকে আগান (প্রথম প্রথম পেটের মেদের কারণে আঙ্গুল ছুতে পারবেন না, মেদ কমে গেলে এরপর পারবেন), এরপর থেমে শ্বাস নিতে নিতে আবার শরীর ঝুকানো অবস্থা থেকে সোজা বসে থাকা অবস্থায় ফিরে যান।এরপর শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে আগের মত করে শুয়ে পড়ুন। এভাবে ১০ বার করুন।মিষ্টি জাতীয় খাবার বাদ। ফাস্ট ফুড,অয়েলি খাবার বাদ। রিচ ফুড/পোলাও/বিরানী এইসব বাদ।দুপুর ২ টায় লাঞ্চ।ভাত ২ কাপ। শাক ১.৫ কাপ।মুরগী বা মাছ ২ টুকরা।ডাল ১ কাপ। মিক্সড ভেজিটেবল ১ কাপ। সালাদ ১.৫ কাপ (লেবুসহ)। মধুতে যদিও চিনি থাকে, কিন্তু এতে ভিটামিন ও মিনারেল থাকার কারণে এটি সাধারণ চিনির মত ওজন না বাড়িয়ে, কমায় ।কারণ সাধারণ চিনি হজম করতে আমাদের শরীর নিজের থেকে ভিটামিন ও মিনারেল খরচ করে, ফলে এই সব পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি হয়। এই সব উপাদান ফ্যাট ও cholesterol কমাতে বা ভাঙ্গতে সাহায্য করে। লেবু ওজন কমাতে সাহায্য করে। ১০০% মেনে চলা মুশকিল,এটা আমিও বুঝি কিন্তু পারতে হবে।অনেকে টিভি দেখতে দেখতে বাড়তি খাবার খেতে পছন্দ করে। তবে ওজন কমাতে চাইলে এই অভ্যেস বাদ দিতে হবে।রাতে খাওয়া ছেড়ে দেন অনেকেই। রাতে একদম না খেয়ে থাকা স্বাস্থ্যের জন্য খুব ক্ষতিকর। রাতের খাবার খেয়ে একটু হাঁটাচলা করুন, তারপর ঘুমাতে যান। দুপুরে ভরপেট খেয়ে ঘুম দিলে কিন্তু সর্বনাশ। ওজন:কমাতে চাইলে দুপুরের আরামের ঘুমটির কথা একদম ভুলে যান।
আসুন না দেখি একটু সচেতন হয়ে, কিছু কৌশলের মাধ্যমে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত ওজনের সাফল্যে পৌঁছাতে পারি কি না?নিয়মগুলো মেনে চলতে শুরু করেই দেখুন। কিছুদিনের মধ্যেই শরীর অনেক বেশি ফুরফুরে অনুভব করবেন। আর ওজন কমানো তো সময়ের ব্যাপার মাত্র।খুবই সাধারণ ও উপকারী এই নিয়মগুলো মেনে চলুন আর ফলাফল নিজেই উপলব্ধি করুণ।

চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল এর পুষ্টিবিদ মোস্তফা আল মামুন এর কাছ থেকে পোস্ট টি সংগৃহীত।

Thursday, 2 April 2015

বাংলা কে তুলে ধরি বিশ্ববাসির কাছে

কয়েক দিন আগের কথা ,মানে ২৬ শে মার্চ উপলক্ষে  যখন Google translate এ বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ করার লক্ষে দেশ ব্যাপী প্রচারণা চালানো হয়,তখন আশাতীত ভাবে বাঙ্গালিরা সারা দেয়। Google Translate এ আমাদের প্রিয় মাতৃভাষা বাংলার জন্য দেশ-বিদেশ এর অনলাইন এক্টিভিস্টরা মাঠে নেমে যায় এবং কাজ শুরু করে দেয়।৪ লক্ষ শব্দ যোগ করার প্রত্যয় নিয়ে রাত- দিন সবাই নিরলস কাজ করে যায়।প্রত্যাশা ছিল একটাই, " ভাষা শহীদদের পবিত্র রক্তদান বৃথা যাবে না।২৬ শে মার্চ ৪ লক্ষ নতুন শব্দ দুনিয়ার জায়ান্ট সার্চ ইঞ্জিন গুগল ট্রান্সলেট এ যুক্ত হবেই হবে"। হ্যা,আমরা কিন্তু টিক ই করে দেখিয়েছি।। তবে আমরা আমাদের টার্গেটের চেয়েও বেশি শব্দ যুক্ত করে জগতবাসী কে দেখিয়ে দিয়েছি বাঙ্গালিরা অতীতেও ভাষার জন্য লড়েছে, এবং বর্তমানে ও লড়ে যাচ্ছে।খুব আনন্দ লাগছিল তখন, যখন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াগুলোতে দেখতে পেলাম "৭ লক্ষ বাংলা শব্দ গুগল ট্রান্সলেট এ" এই শিরোনাম টি ।ভাষার জন্য আমাদের কাজ কিন্তু এখনো শেষ হয়ে যায়নি। এখন সময় এসেছে Wikipedia কে বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য সমৃদ্ধ করে তোলার। wikitionary তে ঢুকলে তো আমার মনটা একদম খারাপ হয়ে যায়,যখন দেখি আমাদের শব্দ ভাণ্ডারে মাত্র ১১৩৫ শব্দ।বাকি সহ-সাইট((উইকিবই,উইকিউৎস,উইকিখবর,উইকিউৎস,উইকিউক্তি,উইকিভ্রমণ,উইকিকমন্স,উইকিলিংক ইত্যাদি))  গুলোর কথা না হয় বাদ দিলাম। উইকির এই চৌদ্দতম বছরে আমাদের এশিয়ান দেশগুলো অনেক এগিয়ে গেছে।তাই সবার কাছে একটাই অনুরোধ,আসুন উইকির উন্নয়নে আমরা ও অংশীদার হই,এবং সাধ্যমত অবদান রাখি।এখন প্রায় সব অপারেটর রা উইকিপিডিয়া কে ফ্রি করে দিছে।কিছুদিন আগে যেখানে শুধুমাত্র জিরো উইকি ফ্রি ছিল।এটাতে অনেক ইউজার এর অসুবিধা হত তাই আমরা উইকিপিডিয়া নিয়ে তেমন কোনো পোস্ট করি নি।এখন যেহেতু পিসি তে ও ফ্রি Wikipedia ইউজ করা যাচ্ছে,তাই আবারো অনুরোধ করব একটু হলেও বাংলা ভাষার জন্য অবদান রাখেন। সবাই অনেক ভালো থাকবেন এই শুভ কামনায় শেষ করছি।।

Sunday, 29 March 2015

কিভাবে ইন্টারভিউ ফেস করবেন তার কার্যকরী কিছু টিপস


ইন্টারভিউ নিয়ে সকলের মনেই কিছু না কিছু ভয়-ভীতি থেকে থাকে। কিভাবে তৈরি হবেন
ইন্টারভিউ এর জন্য, এ নিয়ে সকলের মনেই প্রশ্ন
থাকে। বর্তমান মার্কেটে ইন্টারভিউতে বিজয়ী হওয়া অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তাই, আপনার সাধ্যমত চেষ্টা করুন,যাতে চাকরীটি পেয়ে যান।এখানে ইন্টারভিউ এর ব্যাপারে কিছু সাহায্যের চেষ্টা করা হল-
# চাকরীর বৈশিষ্ট্যের সাথে আপনার দক্ষতা যাচাই করুন “আপনার ব্যাপারে কিছু বলুন”-এই
প্রশ্নটি দিয়ে প্রায়ই ইন্টারভিউ শুরু করা হয়। কিন্তু,
অধিক প্রার্থী এই প্রশ্নের ফাঁদে পরে যায় এবং তাদের জীবনের গল্প বলা শুরু করে দেন।আপনি আপনার বর্তমান দিয়ে শুরু করুন এবং এই চাকরীর জন্য আপনিই যোগ্য প্রার্থীতা ব্যাখ্যা করুন।
# বাড়ির কাজ করে নিন কোম্পানি সম্পর্কে রিসার্চ করুন, এর ওয়েবসাইট, প্রেস রিলিজ এবং বিভিন্ন সংবাদ সম্পর্কে জেনে রাখুন। এতে আপনি তাদের প্রশ্নের উত্তর দেয়ার পাশাপাশি তাদেরকেও
প্রয়োজনীয় প্রশ্ন করতে পারবেন।
# শিল্প গবেষণা করুন শিল্প সম্পর্কে আপনার কোন পরিকল্পনা থাকলে তাদের সাথে শেয়ার করুন।পাশাপাশি তাদের চিন্তা-চেতনা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন।শিল্প সম্পর্কে তাদের পরিকল্পনা ও প্রবণতা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করুন এবং আপনার মতামত ব্যক্ত করুন।
# আপনার ইন্টারভিউ কৌশল চর্চা করুন আপনার বন্ধুদের সাথে ইন্টারভিউ এর চর্চা করুন। এতে তাদের সামনে যেয়ে আপনি ভীত হয়ে পড়বেন না। আপনার ভয়-ভীতি দূর হয়ে যাবে।
# উদাহরন প্রস্তুত করুন আপনাকে তারা কেন
কাজে রাখবেন? এমন প্রশ্নের জন্য অন্তত দুইটি উত্তর প্রস্তুত রাখুন। আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অবশ্যই তাদের সামনে ভালভাবে প্রদর্শন করুন। দেখবেন ফলাফল আপনার পক্ষেই আসবে।
# আপনি কি পরিধান করবেন তা নিশ্চিত হন
আপনি অবশ্যই শেষ মুহূর্তে বিভিন্ন জিনিস নির্বাচন করতে যেয়ে সময় নষ্ট করবেন না। তাই আগে থেকেই কোন কাপড়টি পড়বেন তা নির্বাচন করে রাখুন।অগ্রিম পরিকল্পনা শেষ মুহূর্তে আপনার জন্য অনেক সাহায্যকারী হবে।
# আপনার রুট পরিকল্পনা করুন একজন প্রার্থী যদি দেরিতে ইন্টারভিউ দিতে আসে, এর থেকে বেশী খারাপ কিছু আর নেই। তাই অবশ্যই
ইন্টারভিউ শুরু হবার ১৫ মিনিট আগেই পৌঁছানোর চেষ্টা করুন।
# সন্দেহ থাকলে, জিজ্ঞেস করুন চাকরীর ব্যাপারে কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই তা সরাসরি জিজ্ঞেস করুন। এতে আপনার সন্দেহ দূর হবে এবং তারা আপনার মাঝের আস্থা দেখতে পাবে।
# নিজের মান বজায় রাখুন ইন্টারভিউ এর আগে ভয় পাওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু, যতটা পারবেন
নিজেকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করুন।

Sunday, 22 March 2015

ওজন বাড়াবে যে ২০ টি খাদ্য

আপনি ও কি তাদের মধ্যে একজন? যারা তাদের ওজন কিভাবে একটু বাড়াবেন তার জন্য চেষ্টা করছেন!!কিন্তু ওজন বাড়াতে গিয়ে যেন আবার বাংলা সিনেমার জাম্বুর মত হয়ে না যান!! অনেকেই ওজন বাড়াতে গিয়ে ভুল করেন,ফলে শরীরে দেখা দেয় নানান সমস্যা। তাই আজ জেনে নিন স্বাস্থের সঠিক বৃদ্ধির জন্য ২০টি সঠিক খাদ্যের তালিকা। খাদ্য গ্রহণ এর মাধ্যমে আপনি যদি ওজন বাড়াতে চান তাহলে আপনাকে উচ্চ-ক্যালোরির জাঙ্ক ফুড অথবা কেবল পুষ্টিকর খাদ্য খেলেই হবে না [[জাংক ফুড অনেক রোগের কারণ]] । আপনাকে এমন খাদ্য বেছে নিতে হবে যাতে পুষ্টির ও শক্তি উভয়ই আছে পরিমাণ মত।

এখন আপনার জন্য ২০টি খাদ্যের তালিকা রইল যা খেলে আপনি সু-স্বাস্থ্যের জন্য পাবেন সঠিক পরিমাণ পুষ্টি:
১। চিনাবাদামের মাখনঃ সকালের নাস্তায় রুটিতে হালকা করে চিনাবাদামের মাখন মেখে খেতে পারেন। এটি আপনাকে যথেষ্ট পরিমাণ শক্তি দিবে প্রায় ১৯২ ক্যালরি!
২। একটা গোটা ডিমঃ এটি প্রোটিন ও তিন রকমের ভিটামিনে পরিপূর্ণ। এতে আছে ভিটামিন A, D,Eএবং প্রচুর পরিমাণ কলেস্টেরল।
৩। বাদাম ও মধু সমৃদ্ধ খাবারঃ সকালের নাস্তা হিসেবে বাদাম ও মধু সমৃদ্ধ খাবার আপনার নাস্তার তালিকায় রাখুন। এতে আপনি পাবেন প্রায় ৫০০ ক্যালরি। এছাড়া এটি এমন একটি খাবার যা আপনার সকালের নাস্তাকে সু-স্বাদু করে তুলবে।
৪। মাখনঃ মাখন আপনাকে দীর্ঘ মেয়াদী ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। তবে মাখন খেতে হবে পরিমাণ মত। কারন প্রচুর পরিমাণ মাখন আবার আপনার হার্টে সমস্যা করতে পারে।
৫। বন রুটিঃ বন রুটিতে থাকছে অতিরিক্ত ক্যালরি এবং প্রচুর পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট।
৬। ভুট্টা রুটিঃ ভুট্টার রুটি খেতে পারেন সকালে বা বিকেলে। ভুট্টাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট। আপনি সুপের সাথে ভুট্টার রুটি খেতে পারেন।
৭। পনিরঃ এক চামচ পনিরে থাকে ৬৯ ক্যালরি শক্তি।পনির তৈরি করা হয় দুধ থেকে তাই এতে থাকে প্রচুর প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, চর্বি ও কলেস্টেরল।
৮। ফলের রসঃ ফলের রস হচ্ছে ওজন বাড়ানোর স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর পথ। ১০০% ফলের রস আপনার শরীরে দেবে প্রচুর পরিমাণ চিনি ও পুষ্টি।
৯। পাস্তা ও নুডুলসঃ পাস্তা ও নুডুলস খাদ্যশস্য ও শর্করার একটি ক্যালোরি সমৃদ্ধ খাদ্য যোগান তাই এটি একটি সুস্থ এবং উচ্চ ক্যালোরি খাবার হিসাবে পরিচিত। আপনি প্রতিদিন পরিমাণ মত পাস্তা অথবা নুডুলস খেতে পারেন।
১০। চিংড়িঃ চিংড়িতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিকর ও প্রয়োজনীয় এসিড যা আপনার স্বাস্থ্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
১১। গমের পাউরুটিঃ গমের পাউরুটি খেয়ে আপনি পেতে পারেন ৬৯ ক্যালোরি শক্তি। এর ফলে আপনার ওজন বৃদ্ধি হবে।
১২। শুকনো ফলঃ আপনি দ্রুত ক্যালোরি পেতে পারেন শুকনো ফল খেয়ে। শুকনো ফলে পাকা ফলের মতই প্রচুর পরিমাণ ক্যালোরি থাকে।
১৩। যবের রুটিঃ যবের রুটিও হতে পারে আপনার সকালের নাস্তার জন্য উপযুক্ত। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ফাইবার ও পুষ্টি।
১৪। দইঃ দই আপনাকে ১১৮ ক্যালোরির সমপরিমাণ শক্তি যোগাবে। এটা চর্বি বিহীন শক্তিকর খাবারের মধ্যে অন্যতম। আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকাতে দই অন্তর্ভুক্তি করুন।
১৫। স্বাস্থ্যকর চর্বি ও তেলঃ আপনার খাদ্য তালিকাতে পরিমাণ মত চর্বি যুক্ত করুণ এর ফলে আপনার ক্যালোরির অভাব পুরন হয়ে যাবে। ভোজ্য তেল হিসেবে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
১৬। বাদামী চালঃ বাদামী চাল আপনাকে প্রচুর পরিমান কার্বোহাইড্রেট ও স্বাস্থ্য বৃদ্ধির উপাদান ফাইবার দিবে।
১৭। কলাঃ একটি কলাতে থাকে ১০০ ক্যালোরি। কলাতে ক্যাবল ক্যালোরি থাকে তাই নয় এটি আপনার কর্ম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
১৮। বাদাম এবং বীজঃ স্বাস্থ্য বৃদ্ধির জন্য বাদাম ও বীজ খেতে হবে। বাদাম ও বীজে রয়েছে পলি-আনসেচারেতেড চর্বি যা আপনার স্বাস্থ্য বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
১৯। মটরশুটিঃ নিরামিষীদের জন্য মটরশুটি প্রোটিনের প্রধান উৎস। তাই আপনি মটরশুটি প্রাণীজ আমিষের বিকল্প হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন।
২০। আলুঃ আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে কার্বোহাইড্রেট ও কমপ্লেক্স সুগার। নিয়মিত রান্না ও সিদ্ধ আলু খাওয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করতে পারেন।
আমরা আমাদের এই ব্লগ কে শিক্ষণীয় পোস্ট এর মাধ্যমে সবার কাছে ছড়িয়ে দিতে চাই।তাই আপনি ও আমাদের ব্লগের একজন সঙ্গি হন।।

Wednesday, 18 March 2015

Linux, When On Your Computer

কে সে কিংবদন্তি যার কারনে আজ আমরা  Linux এর ফ্রি জগতে ঢুকতে পারছি ?
১৯৬৯ সালের ডিসেম্বরে যখন ছেলেটার জন্ম হয় তখনই কি সাংবাদিক এবং কবি ওলে টরভাল্ডস
বুঝতে পেরেছিলেন যে তার নাতি একদিন বিশ্ব
কাঁপাবে? ওলে টরভাল্ডসের ছেলে নিল্স বা ছেলের
বউ এ্যানাও মনে হয় বুঝেছিল যে তাদের ছেলেকে একদিন পুরো বিশ্ব চিনবে এক নামে।সেজন্যই বোধহয় নোবেল প্রাইজ বিজয়ী আমেরিকান
কেমিস্ট “লিনুস পলিং” এর নামানুসারে ছোট্ট
ছেলেটির নাম রাখেন লিনুস বেনেডিক্ট টরভাল্ডস।
দাদা ছিলেন একাধারে কবি ও সাংবাদিক, বাবা-
মা দুজনেই সাংবাদিক, তাই চোখ বন্ধ করেই বলে দেয়া যায় ছোট্ট লিনুস বড় হলে এই লেখালেখির
জগতকেই আপন করে নিবে।লেখালেখির জগৎকে লিনুস আপন করে নিয়েছিল ঠিকই তবে সেটা অন্য ধরনের লেখালেখি আর জগৎটাও হচ্ছে অন্যরকম। ডিজিটাল জগতে কোড লেখালেখিতেই যেন এই ছেলের মূল আনন্দ।
https://lh4.googleusercontent.com/_EDofRdU4POQ/Tc-0_b8DN5I/AAAAAAAAAPU/Xd_99KGxMFE/linus.jpg
ছোটবেলা থেকেই ছেলেটা একটু মুখচোরা ধরনের
ছিল, কারো সাথে তেমন মিশতোনা, অন্যদের
সাথে খেলাধূলাতেও নেই সেরকম উৎসাহ।বাবা অনেক চেষ্টা করলেন ছেলেকে কিছুটা সামাজিক করতে কিন্তু সব চেষ্টাই বিফলে গেল। ছেলে থাকে নিজের মত করে। তবে আর কেউ বুঝতে পারুক আর না পারুক,লিনুসের নানা কিন্তু ঠিকই তার নাতিকে চিনেছিলেন।ফিনল্যান্ডের বিখ্যাত হেলসিংকি ইউনিভার্সিটির পরিসংখ্যানের প্রফেসর এই ভদ্রলোক নাতিকে তাই কিনে দিলেন একটা কম্পিউটার – “কমোডোর ভিআইসি টুয়েন্টি”।জীবনের প্রথম পারসোনাল কম্পিউটার পেয়ে লিনুসতো মহাখুশি! কিন্তু কম্পিউটারের সাথে দেয়া অল্প কিছু প্রোগ্রাম নিয়ে কাজ করার পর অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই সেই খুশিটা উধাও হয়ে গেল। তারপর আর কোন উপায় না দেখে লিনুস নিজেই বসে গেলেন প্রোগ্রাম লিখতে। বেসিক দিয়ে শুরু করলেও পরে এ্যাসেম্বলি ল্যাংগুয়েজের দিকে ঝুঁকে পড়লেন তিনি। ধীরে ধীরে প্রোগ্রামিং আর গনিতই হয়ে পড়ল তার জীবনের একটা বড়সর অংশ।
আধ পাগলা লোকটাঃ
এমআইটির আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ল্যাবে ক্যারিয়ার শুরু করা রিচার্ড স্টলম্যান আধপাগলা ছিল না পুরা পাগলা ছিল সেটা গবেষনার বিষয়। কিন্তু এটা ঠিক যে এই লোকটির জন্যই আজকে পৃথিবীতে মুক্ত সফটওয়্যারের জোয়ার শুরু হয়েছে। আশির দশকের প্রথমভাগে কমার্শিয়াল সফটওয়্যার কোম্পানিগুলো মোটা টাকা দিয়ে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ল্যাবের ব্রিলিয়ান্ট প্রোগ্রামারদের হাত করতে শুরু করল। সেই সাথে তারা তাদের সফটওয়্যারের সোর্স কোড নিয়েও গোপনীয়তা শুরু করল। অর্থ্যাৎ আমার আপনার মত সাধারন মানুষদের কোন অধিকার নাই কিভাবে কোন সফটওয়্যার তৈরি হল সেটা জানার ।টাকা দিয়ে সফটওয়্যার কিনে ব্যবহার করার মধ্যেই সাধারন মানুষ সীমাবদ্ধ।কেউ যদি সেটা জানতেও চায় তাহলে পড়ে যাবে আইনের মারপ্যাচে কারন সেসব আবার কপিরাইটেড!বুঝুন অবস্থা! যদি আপনার টাকা থাকে তাহলে আপনি সফটওয়্যার কিনে ব্যবহার করতে পারবেন। আর যদি কেনার সামর্থ্য না থাকে তাহলে সফটওয়্যার আপনার জন্য না। কিন্তু রিচার্ড স্টলম্যানের দৃষ্টিভঙ্গী ছিল অন্য রকম। তার মতে এইসব বাধাধরা নিয়ম দিয়ে সফটওয়্যার ব্যবস্থাপনাকে আটকে ফেলা পুরোপুরি অনুচিত ও অনৈতিক।তার ধারনা মতে সফটওয়্যার হতে হবে মুক্ত, এতে করে সফটওয়্যারকে যে কেউ তার মত করে সাজিয়ে নিতে পারবে, ফলে সফটওয়্যারের উন্নয়নও দ্রুত হবে।সফটওয়্যারের স্বার্থেই একে কোন নিয়মনীতি দিয়ে আটকে ফেলা উচিত না।তিনি শুরু করলেন মুক্ত সফটওয়্যারের আন্দোলন,গড়ে তুললেন সম মনাদের নিয়ে সংগঠন,নাম দিলেন “গ্নু” (GNU)।
শুরু হল মুক্ত সফটওয়্যার লেখার কাজ। কিন্তু এই
আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে দরকার ছিল
একটা মুক্ত অপারেটিং সিস্টেম। কিন্তু সেজন্য
দরকার প্রয়োজনীয় আরো সফটওয়্যার, বিশেষ
করে একটা কম্পাইলার। সে লক্ষ্যে স্টলম্যান শুরু
করলেন সি কম্পাইলার লেখার কাজ। তার
কিংবদন্তিতূল্য প্রোগ্রামিং দক্ষতায় অল্প দিনেই
তিনি শেষ করে ফেললেন কম্পাইলার লেখার কাজ,
নাম দিলেন গ্নু সি কম্পাইলার বা জিসিসি (GCC)।
https://lh3.googleusercontent.com/_EDofRdU4POQ/Tc-1AtPxzCI/AAAAAAAAAPY/stNo-918lJE/
stallman.jpg
জিসিসিকে অন্যতম রকসলিড এবং কার্যকরি একটা কম্পাইলার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এরপর গ্নু হাত দিল অপারেটিং সিস্টেম লিখার কাজে। যেকোন অপারেটিং সিস্টেমের প্রান হচ্ছে তার কার্নেল।কার্নেলের উপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠে যে কোন অপারেটিং সিস্টেম।গ্নু হার্ড (HURD) নামে একটা কার্নেলও বানিয়ে ফেললো ।কিন্তু সেটা ডেভেলপারদের আকর্ষন করতে ব্যর্থ হয়।যার ফলে একটা অপারেটিং সিস্টেম ছাড়া গ্নু অসম্পূর্ন থেকে যায়। গ্নুকে সম্পুর্ন করতে দরকার একটা মুক্ত অপারেটিং সিস্টেম,তারও আগে দরকার একটা মুক্ত কার্নেল।নাহলে মুক্ত সফটওয়্যারের পুরো আন্দোলনই যে থেমে যাচ্ছে।
জন্ম নিল নতুন অপারেটিং সিস্টেমঃ
সময়টা ১৯৯১ সাল যখন লিনুস হেলসিংকি ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র,তখন আইবিএমের ইন্টেল ৩৮৬ প্রসেসরের একটা পার্সনাল কম্পিউটার কিনল। এই প্রেসেসরটি ছিল ইন্টেলের আগের প্রসেসরগুলোর তুলনায় অত্যধিক উন্নত। সেসময় আইবিএমের সাথে পাওয়া যেত এমএসডস অপারেটিং সিস্টেম।এমএসডস ব্যবহার করে লিনুস পুরোপুরি হতাশ হয়ে পড়ল,কারন ইন্টেলের ৩৮৬ প্রসেসরকে পুরোপুরি ব্যবহার করার ক্ষমতা সেটার ছিলনা।লিনুস চাচ্ছিল আরো ক্ষমতাসম্পন্ন ইউনিক্স অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করতে।এর অন্য কারন অবশ্য ছিল সে তার ভার্সিটিতে ইউনিক্স ব্যবহার করে অভ্যস্ত।তাই নিজের পিসিতে একই অপারেটিং সিস্টেম থাকলে কাজ করতে সুবিধা।কিন্তু ইউনিক্স পাবার চেষ্টা করে হাল ছেড়ে দিলো যখন দেখলো যে ইউনিক্সের দাম ৫০০০ মার্কিন ডলার !লিনুস তখন মিনিক্স নিয়ে পড়ল। মিনিক্স ছিল ডাচ প্রফেসর এন্ড্রু টানেনবমের লেখা ইউনিক্সের মত একটা অপারেটিং সিস্টেম। সোজা কথায় বলা চলে মিনিক্স ছিল ইউনিক্সের ছোটখাট একটা ক্লোন ,তবে পুরোপুরি ক্লোন নয়। প্রফেসর সাহেব তার ছাত্রদের অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে ক্লাশ নেবার সময় অপারেটিং সিস্টেমের ভিতরের খুটিনাটি বুঝাতে মিনিক্সকে ব্যবহার করতেন।তবে মিনিক্সের কোড কিছুটা উন্মুক্ত ছিল।সেসময় যে কেউ প্রফেসর টানেনবমের লেখা “অপারেটিং সিস্টেমঃ ডিজাইন এ্যান্ড ইম্পলিমেন্টেশন” বইটা কিনলেই সাথে করে মিনিক্সের ১২০০০ লাইনের কোডটা পেত ।যদিও পুরো কোড উন্মুক্ত নয় তারপরও সেই সময় কোন অপারেটিং সিস্টেমের আংশিক কোড পাওয়াটাও ছিল ভাগ্যের ব্যপার। কিন্তু সমস্যা একটা ছিল,সেটা হল মিনিক্সের কোডকে নিজের ইচ্ছেমত পাল্টানোর লাইসেন্স ছিলনা। তাছাড়া এটা ছিল ছাত্রদের শিখানোর একটা উপকরনমাত্র, পুর্ণাঙ্গ অপারেটিং সিস্টেম বলতে যা বোঝায় সেটা না।যাই হোক আমাদের লিনুস সেই জিনিস একটা কিনে ফেললো। তারপর গুতোগুতি করতে গিয়ে টের পেলো যে এটাও তার চাহিদা পূরণের জন্য উপযুক্ত না। এরপর এক ভয়ানক স্বিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললো লিনুস – নিজেই একটা অপারেটিং সিস্টেম বানিয়ে ফেলবে, তাও আবার একদম শূন্য থেকে, মিনিক্স আর ইউনিক্সের আদলে, পুরোপুরি নতুন একটা অপারেটিং সিস্টেম ! এই স্বিদ্ধান্ত নেবার আগে সে কি বুঝতে পেরেছিল যে তার এই স্বিদ্ধান্ত শুধুমাত্র তার আইবিএমের পিসিকেই পাল্টে দেবেনা বরং তার জীবন এবং পৃথিবীকেও পাল্টে দেবে! মনে হয় না।
উনিশশো একানব্বইয়ের এপ্রিলে লিনুস শুরু করল তার অপারেটিং সিস্টেমের কাজ। টেক্সটবেজড ইউজার ইন্টারফেসের জন্য গ্নু ব্যাশ শেল আর কম্পাইলিং এর জন্য স্টলম্যানের বানানো গ্নু সি কম্পাইলার (GCC) যুক্ত করে মোটামুটি একটা কাঠামো দাঁড় করিয়ে লিনুস চাইলো মিনিক্স ইউজার গ্রুপের সবাইকে তার নতুন অপারেটিং সিস্টেমের কথা জানাতে। মনে ভয় ছিল শুনে হয়তো সবাই হাসাহাসি করবে, আবার আশাও ছিল হয়তো কয়েকজন তাকে এ ব্যাপারে সাহায্যও করতে পারে। দুরুদুরু মনেই সে নিচের ঐতিহাসিক ইমেইলটা গ্রুপে পোস্ট করে ফেললঃ
From: torvalds@klaava.Helsinki.FI (Linus Benedict Torvalds)
Newsgroups: comp.os.minix
Subject: What would you like to see most in minix?
Summary: small poll for my new operating system
Message-ID:
Date: 25 Aug 91 20:57:08 GMT
Organization: University of Helsinki
Hello everybody out there using minix –
I’m doing a (free) operating system (just a hobby, won’t be big and professional like gnu) for 386(486) AT clones. This has been brewing since april, and is starting to get ready. I’d like any feedback on things people like/dislike in minix, as my OS resembles it somewhat (same physical layout of the file-system (due to practical reasons) among other things). I’ve currently ported bash(1.08) and gcc(1.40),and things seem to work. This implies that I’ll get something practical within a few months,and I’d like to know what features most people would want. Any suggestions are welcome, but I won’t promise I’ll implement them
Linus (torvalds@kruuna.helsinki.fi)
PS. Yes – it’s free of any minix code, and it has a multi-threaded fs. It is NOT protable (uses 386 task switching etc), and it probably never will support anything other than AT-harddisks, as that’s all I have :-( .
এই বিখ্যাত মেইলটা পড়ে কিন্তু বোঝা যায় যে লিনুস নিজেও কল্পনা করতে পারেনি যে তার শখের বশে বানানো অপারেটিং সিস্টেম পৃথিবীতে বিশাল একটা পরিবর্তন আনবে। ঐ বছরেরই ১৭ই সেপ্টেম্বর লিনুস আর অপারেটিং সিস্টেমের প্রথম ভার্সন ০.০১ বের করে।ধীরে ধীরে অন্যরা জড়ো হতে থাকে।তারা ওএসটি ডাউনলোড করে নিজের সুবিধামত পরীক্ষা-পরিবর্তন-পরিবর্ধন করে পরিবর্তিত ভার্সনটি পাঠাতে থাকে লিনুসকে।গড়ে উঠতে থাকে লিনুসের নতুন অপারেটিং সিস্টেম।৫ই অক্টোবর বের হল প্রথম অফিসিয়াল রিলিজ ভার্সন ০.০২। সংগে লিনুসের তরফ থেকে আরেকটি মেইলঃ
From: torvalds@klaava.Helsinki.FI (Linus Benedict Torvalds)
Newsgroups: comp.os.minix
Subject: Free minix-like kernel sources for 386-AT
Message-ID:
Date: 5 Oct 91 05:41:06 GMT
Organization: University of Helsinki
Do you pine for the nice days of minix-1.1,when men were men and wrote their own device drivers? Are you without a nice project and just dying to cut your teeth on a OS you can try to modify for your needs? Are you finding it frustrating when everything works on minix? No more all-nighters to get a nifty program working? Then this post might be just for you As I mentioned a month(?)ago, I’m working on a free version of a minix-lookalike for AT-386 computers. It has finally reached the stage where it’s even usable (though may not be depending on what you want), and I am willing to put out the sources for wider distribution. It is just version 0.02 (+1 (very small) patch already), but I’ve successfully run bash/gcc/gnu-make/gnu-sed/compress etc under it. Sources for this pet project of mine can be found at nic.funet.fi (128.214.6.100) in the directory /pub/OS/Linux. The directory also contains some README-file and a couple of binaries to work under linux (bash, update and gcc, what more can you ask for :-). Full kernel source is provided, as no minix code has been used.Library sources are only partially free, so that cannot be distributed currently. The system is able to compile “as-is” and has been known to work. Heh. Sources to the binaries (bash and gcc) can be found at the same place in / pub/gnu. কয়েক সপ্তাহের মাঝে বের হল ভার্সন ০.০৩। ঐ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে বের হল ভার্সন ০.১০।এভাবে এগিয়ে যেতে থাকে লিনাক্স।
শুরু হল লিনাক্সের পথচলাঃ
লিনুসের খুব শখ ছিল তার অপারেটিং সিস্টেমের
নাম হবে “ফ্রিক্স” (FREAKS) যেটা কিনা “Free”, “Freak” আর “Unix” শব্দ তিনটার মিলিত একটা রূপ।কিন্তু নামটা পছন্দ হয়নি এ্যারি লেম্কের ।এ্যারি লেম্কে ছিল লিনুসের বন্ধু ও সহকর্মী এবং হেলসিংকি ইউনিভার্সিটির এফটিপি সার্ভারের এডমিনিস্ট্রেটর।এফটিপি সার্ভার দিয়ে খুব সহজেই যেকোন ফাইল সবার সাথে শেয়ার করা যায়। এ্যারিই লিনুসকে বুদ্ধি দিল যে নতুন ওএসের সোর্সকোডকে এফটিপি সার্ভারে শেয়ার করতে,যাতে করে পৃথিবীর সবার জন্যই এর কোডটা উন্মুক্ত থাকে আর যে কেউ সেটা নামিয়ে নিয়ে ব্যবহার করতে পারে। তবে এজন্য “ফ্রিক্স” নামটা পছন্দ হলনা এ্যারির।সে “লিনাক্স” নামের এক ফোল্ডারে এফটিপি সার্ভারে সেই কোডগুলো রেখে দিলেন। সেই থেকে নাম হয়ে গেল “লিনাক্স” ।ওহ, বলতে তো ভুলেই গেলাম কেন এর নাম লিনাক্স হল, সহজ ব্যাপার “Linus’s Unix” থেকেই এ্যারির মাথায় লিনাক্স নামটা চলে আসে। আসল নাম হারিয়ে লিনাক্স এখন যে নামে পরিচিত সেটা আসলে তার ডাউনলোড করার জন্য রাখা ফোল্ডারের নাম।
এদিকে লিনাক্সের জন্য যখন প্রতীক খোঁজাখুজি শুরু হল তখন লিনুস বললেন পেঙ্গুইনের কথা।
অবকাশে সাউদার্ন হেমিস্ফিয়ারে ছুটি কাটতে গিয়ে নাকি পেঙ্গুইনের কামড় খেয়েছিলেন লিনুস। সেই থেকে নাকি তার মাথায় পেঙ্গুইনের আইডিয়া আসে। তাও আবার যে সে পেঙ্গুইন না, নাদুসনুদুস পেঙ্গুইন।যেটা কিনা আবার অলস ভঙ্গিতে খাবার খাওয়ার পর ছোটখাট ভুড়ি উঁচিয়ে দু’পা ছড়িয়ে মাটিতে বসে আছে!এ কিরকম প্রতীক! অনেকেই আপত্তি জানালো।
কিন্তু লিনুস বলে অন্য কথা “… অন্যান্য লোগোগুলো ছিল খুবই বোরিং এবং আমার মনের মতো ছিলনা মোটেও। লিনাক্স করপোরেট লোগোর জন্য আমি খুঁজছিলাম এমন কিছু যা হবে মজার এবং লিনাক্সের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।একটা মোটাসোটা পেঙ্গুইন খাওয়াদাওয়া শেষ করে বসে আছে এমন একটা ছবি।
অনেকেই বলে কেন লিনাক্সের প্রতীক একটা নাদুসনুদুস পেঙ্গুইন?
=>>লিনাক্সের যে আভিজাত্য তার সাথে এটা ঠিক খাপ খায় না। যারা একথা বলে তারা কখনো একটা রাগী পেঙ্গুইনকে প্রতি ঘন্টায় ১০০ মাইল বেগে আক্রমন করতে দেখেনি..."।
তাই অফিসিয়াল মাসকট হিসেবে পেঙ্গুইনকেই পছন্দ করা হল, এর নাম দেয়া হল টাক্স। এঁকেছিলেন ল্যারি উইং। সেই যে প্যাঙ্গুইনের প্যাঁকপ্যাঁক শুরু হল সেটা এখনো চলছে। আর দিনদিন এই প্যাঁকপ্যাঁকানি কেবল বেড়েই চলছে।
টানেনবমের কথা মনে আছে? ঐ যে যার মিনিক্স
নিয়ে সবাই অপারেটিং সিস্টেমের ভেতরের
কলাকৌশল শিখতো। সেই টানেনবম লিনাক্স তৈরির প্রথমদিকে একবার লিনুসকে বলেছিলেন
“আমি এখনো মনেকরি ১৯৯১ সালে এসে একটা মনোলিথিক কার্নেল ডিজাইন করার মানে হচ্ছে এক্কেবারে গোড়ায় গলদ করা।তোমার ভাগ্য ভালো যে তুমি আমার ছাত্র না।নাহলে এরকম বাজে ডিজাইনের জন্য আমার কাছ থেকে কখনোই বেশি গ্রেড পেতেনা”। শুধু তাইনা,টানেনবম একে “একেবারে সেকেলে” বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। যে সময়কার কথা বলা হচ্ছে সে সময় টানেনবমের মত প্রফেসররা ছিলেন খুবই দাপুটে।তাদের সব কিছুকেই খুব সমীহের চোখে দেখা হত।
কিন্তু বেচারা লিনাক্স নিয়ে ভুল বলেছিলেন।
লিনুসও পাল্টা জবাব দিলেন “আপনার কাজ
হচ্ছে প্রফেসরি আর গবেষনা করা, আর মিনিক্সের
কিছু কিছু ব্রেন-ড্যামেজের জন্য এটাই বিশাল
কারন!” সার্ভার আর সুপার কম্পিউটারের জগৎ জয় করে এবার লিনাক্স মনোযোগ দিয়েছে সাধারন ব্যবহারকারিদের ডেস্কটপের জগৎ জয়ের দিকে।

Monday, 16 March 2015

How Bit And Bite Is Used


চলুন জেনে নেই কম্পিউটার মেমরি যেভাবে কাজ করে : আমরা কম্পিউটারে কোন কাজ করার সময় KB (বা kilobite) এবং MB (বা Megabite) দেখতে পাই কিন্তু এটা আসলে কি কখনো ভেবেছেন?মূলত এটি কম্পিউটারের মেমরি পরিমাপ করে।এটি মূলত কি বুঝতে নিচে একটি উদাহরণের সাহায্যে বর্ণনা করা হলঃ বাইট আসলে কি? আপনি কম্পিউটারে যাই লিখুন না কেন কম্পিউটার শুধুমাত্র দুটি জিনিস বুঝতে পারে ‘অফ’ এবং ‘অন’। কম্পিউটার অফকে “0” হিসাবে এবং অনকে “1” হিসাবে প্রকাশ করে। এখন পর্দায় আপনি যা কিছু দেখতে পাচ্ছেন তার সবই হচ্ছে ওয়েবপেজ প্রদর্শন করার জন্য 0 এবং 1 এর বিশেষ অর্ডারের সমন্বয়। এখন চলুন সবচেয়ে বিভ্রান্তিকর অংশে বিট এবং বাইট।প্রতিটি ১ বা ০ কে বলা হয় বিট এবং একসঙ্গে ৮টি বিটকে বলা হয় বাইট। যখনই আপনি একটি ০ টাইপ করেন তখন কম্পিউটার এই শূন্য কে একটি ৮বিট সিরিজ হিসাবে বা “00000000” হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এখানে কম্পিউটারের চোখে কিছু সংখ্যা ও অক্ষর কিরূপ হয় তার কিছু উদাহরণ দেওয়া হল: 0 = 00000000 a =01100001 L = 01001100 1 = 00000001 v =01110110 p = 01110000 2 = 00000010 $ = 00100100 z = 01111010 যখন কেউ “L” টাইপ করবে তখন কম্পিউটার একে “01001100″ বাইটে অনুবাদ করবে। যদি “L” ৫০ বার টাইপ করা হয় তবে 50 বাইট তথ্য তৈরি হবে। আবার কেউ যদি “L” ১০০০ বার টাইপ করা সুতরাং 1000 বাইট বা 1 কিলোবাইট তথ্য তৈরি হবে।আসলে বাস্তবে বাইট ২ এর পাওয়ার দিয়ে হিসেব করা হয় সুতরাং ১ কিলোবাইট 1000 বাইটের সমান হয়না বরং 1024 বাইট হয়।

Sunday, 15 March 2015

Clean Ram And Increase The PC'S Working Performance

কম্পিউটার আজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ বলা যায়। গেম খেলা, নেটওয়ার্কিং থেকে শুরু করে যাই বলেন না কেন প্রতিটা ক্ষেত্রে আজ কম্পিউটার ব্যবহার হয়।তাই কাজের সুবিধার্থে কম্পিউটারের র‍্যামকে ক্লিন করে কম্পিউটারের গতিকে ধরে রাখতে হয়। তবে এই জন্য আপনাকে দুইটি কাজ করতে হবে।
প্রথমে আপনি নোটপ্যাডের কাজ টি করার আগে নিচের এই টিপসটি অনুসরন করুন।
→ My Computer ওপেন করে Tools এ যান এবং Folder options এ ক্লিক করুন।
এবার যে উইন্ডো আসবে তাতে View তে ক্লিক দিয়ে “Hide extension for known file type” টিক চিহ্ন তুলে দিয়ে Ok করুন।
★এবার নোটপ্যাডের কাজ কিভাবে করতে হবে দেখে নিন :—
→ প্রথমে স্টার্ট মেনুতে গিয়ে নোটপ্যাড ওপেন করুন
→ তাতে লিখুন mystring=(80000000) এবং ডেস্কটপে সেভ করুন RAM.Vbe নামে।
→ এবার আপনি যখনই সময় পাবেন RAM.Vbe নামের ফোল্ডার টি তে ক্লিক করে র্যাম কে ক্লিন করে প্রায় ৮০% গতি বৃদ্ধি করে নিন।
★কম্পিউটার বিষয়ক আমাদের আগের পোস্ট গুলো ও দেখতে পারেন।

"Google Shop" in London For The First

♦Google has opened the first Google Shop in London♦
>>>Employees at the Google Shop will offer training on how to use Android devices, Android apps,Chromebook laptops and Chromecasts.
This is the first Google shop experience Google has opened anywhere in the world.
The Google Shop will host “Virtual Space Camps” for teaching children how to code.
And the store will demo potential educational tools at its “Open House” events for teachers.
Inside of the store is a set of large connected screens known as “Portal,” which lets users navigate Google Earth.
There is a “Doodle Wall” where customers use artificial spray to create their own Google doodle and, it lets you save your work as an animated GIF.
♦Get Ready For "Google Shop" In Your Town (It May Be Established Someday)♦

Thursday, 12 March 2015

Top Batsmen Leading The Cricket World

Batsmen   Rankings - Test♦
Rank - Name           -        Team -             Rating
1          Sangakkara          Sri Lanka        909
          de Villiers             South Africa   908
          Amla                     South Africa   891
          S Smith                 Australia         873
          Mathews               Sri Lanka        841
          Williamson          New Zealand    839
          Chanderpaul          West Indies  834
          Younis Khan          Pakistan       818
          Warner                    Australia     805
10         J Root                    England       789

Batsmen Rankings - ODI♠
Rank  -  Name -              Team   -            Rating
          de Villiers         South Africa    898
2           Amla                 South Africa    849
          Sangakkara      Sri Lanka         849
          Kohli                  India                847
5           Dilshan              Sri Lanka        798
6           Williamson        New Zealand   789
          Dhawan             India                 784
          Finch                  Australia          734
          Bailey                 Australia          718
10         Dhoni                India                712

Batsmen Rankings - T20♣
Rank  -  Name   -               Team  -           Rating
          Kohli                     India               897
          Finch                    Australia         870
          A Hales                 England         866
          du Plessis            South Africa    795
          B McCullum         New Zealand 751
          Gayle                    West Indies     732
7           K Perera               Sri Lanka       707
          Raina                     India               677
          Warner                    Australia      662
10           Yuvraj                  India              657 

আপনি জানেন কি?
এক দিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে কত রানের সর্বশ্রেষ্ঠ জয়ের ব্যবধান রয়েছে ?
উত্তর  :২৯০ রান
বাংলাদেশ  ক্রিকেট টিমের জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা রইল।

চায়ের রাজধানী সিলেট এর শ্রীমঙ্গলের ৭ রং চায়ের ৭ রহস্য

সেদিন চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলে ঘুরেছিলাম সারাদিন। তাই সারাদিনের ক্লান্তি একটু ঝেড়ে ফেলতে যেন চায়ের বিকল্প ছিল না। চা-পানের অভ্যাস খুব একটা না থাকলেও সাতরঙা চা পানের ইচ্ছেটা দমন করতে পারলাম না সোজা চলে গেলাম সাতরঙা চায়ের উদ্ভাবক কারিগর রমেশ রাম গৌড়ের নীলকন্ঠ চা-কেবিনে
একটি স্বচ্ছ কাচের গ্লাস। তাতে পানি।পানিতে আবার রয়েছে সাতটি স্তর।প্রতিটি স্তরের রং আলাদা। রংগুলো পানির
না গ্লাসের বুঝতে একটু কষ্টই হয়। যিনি প্রথম বিষয়টি দেখবেন তার কাছে এটি চা ভাবতে কষ্ট হবে। আর যিনি দেখেছেন আগেও, নিয়েছেন স্বাদ,তিনি ভাববেন এটা কীভাবে সম্ভব যদি জানতে পারতাম! অর্থাৎ, এটা কীভাবে সম্ভব! কী এর রহস্য।
শ্রীমঙ্গলের সাতরঙা চায়ের খ্যাতি দেশজুড়ে এমনকি শ্রীমঙ্গলে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভোলেন নি সাতরঙা চায়ের উদ্ভাবক রমেশের চা পান করতে। রমেশের রহস্য ভেঙে এখন দেশের আরো দু’এক জায়গায় তৈরি হয় সাতরঙা চা। তবে চায়ের উপাদান, তৈরির কৌশল এখনো অজানা। সেই রহস্য ভেদ করার চেষ্টা করেছি মাত্র। আর এটা সম্ভব হয়েছে নীলকন্ঠ চা-কেবিনের মালিক ও সাতরঙা চায়ের উদ্ভাবক ও কারিগর রমেশ রাম গৌড়ের সহযোগিতা ও আন্তরিকতায়। একটু আলাপেই বেশ ভাব জমলো রমেশ দাদার সঙ্গে। দাদার কাছে জানতে চাইলাম সাত স্তরে সাত রঙের রহস্য। বললেন, ভিতরের ঘরে চলুন। গিয়ে দেখলাম ছোট একটি ঘর।সেখানে সর্বসাধারণের প্রবেশ নিষেধ।দেখলাম সাতটি আলাদা গ্লাসে সাত রঙের চা সাজানো। সেখান থেকে একটু একটু করে নিয়ে সাজাচ্ছেন সাতটি স্তর। বেশ ভালো মনের মানুষ এই রমেশ রাম গৌড়। এভাবে এর আগে কাউকে দেখান নি বলে জানালেন তিনি।আমি প্রস্তাব করলাম প্রতিটি স্তর আমাকে তৈরি করে দেখানোর। রাজি হলেন।প্রথম স্তর, অর্থাৎ একেবারে নিচের স্তরের রংটা ঠিক চায়ের মতো না। এই স্তরের চায়ের উপাদান আদা, গ্রিন-টি ও চিনি। সবচেয়ে ঘন স্তর এটি।দ্বিতীয় স্তরের উপাদান শুধু লিকার ও চিনি।তৃতীয় স্তরের উপাদান চা, দুধ ও চিনি।চতুর্থ স্তরে রয়েছে গ্রিন টি, সাধারণ চা, দুধ ও চিনি।পঞ্চম স্তরের উপাদান গ্রিন টি ও চিনি। ষষ্ঠ স্তরের লেবুর জল ও চিনিই প্রধান উপাদান।সবশেষ অর্থাৎ, সবার উপরের স্তরের উপাদান গ্রিন
টি লেবু ও চিনি।পুরো প্রক্রিয়ায় রমেশ দাদা আমাকে একটি জিনিস শুধু নিষেধ করলেন। সেটা হলো, বিভিন্ন পাত্রে মেশানো তার উপাদানগুলোর ছবি যেন না তুলি এবং প্রকাশ না করি।সবশেষে তার কাছে দুটো প্রশ্ন ছিল।নাড়াচড়া করলে এক স্তরের চা আরেক স্তরে মিশবে কি না? জানতে চাইলে তিনি বলেন,
চামচ দিয়ে না ঘুটে যতই নাড়াচাড়া করুন এক স্তর আরেক স্তরে মিশবে না। পরীক্ষা করে দেখলাম
বিষয়টি একেবারেই ঠিক।আবার প্রশ্ন করলাম এই না মেশার প্রধান কারণ কি? সেটাই আসলে মূল রহস্য। রমেশ দাদা এবার মুচকি হেসে বললেন, সেটা না বললে হয় না। বললাম সবই তো দেখালেন, এটুকু বলেই ফেলেন না। তারপর আস্তে আস্তে বললেন, জলের ঘনত্ব।সব বলার পরও একটি রহস্য কিন্তু রমেশ দাদা তার কাছে রেখেই দিলেন। সেটিও কিন্তু কম গুরুত্বপূর্ণ নয়, মেশানোর পদ্ধতিটা। বললেন, এই মেশানোর
ছবিটা যেন না তুলি। এখানেই দক্ষতা কারিগরের।এটুকু রহস্য, রহস্যই থাক!উল্লেখ্য, প্রতি কাপ গ্লাস চায়ের দাম ৭০ টাকা।চাইলে কেউ তিন, চার বা পাঁচ স্তর পর্যন্তও খেতে পারেন। তখন প্রতি স্তরের দাম পড়বে ১০ টাকা করে। সাত স্তরের স্বাদও কিন্তু আলাদা

[[এমদাদুল হকের (মৌলভীবাজার প্রতিনিধি) লিখা]]

Top Teams Of Cricket World

Team Rankings - Test♣
Rank -Team -                Points -   Rating
1          South Africa      3,839       124
2          Australia           4,718       118
3          England            4,063       104
4          Pakistan            3,090       103
         New Zealand     3,660       99
        Sri Lanka           3,258       96
        India                   3,228       95
        West Indies        2,272       76
        Bangladesh         676         32
10        Zimbabwe         228         18

♣Team Rankings - ODI
Rank Team     Points    Rating
1         Australia       6,751     121
        India              8,587     116
        South Africa  6,710    112
        Sri Lanka       9,473    108
        New Zealand  5,346   107
        England           6,160   101
        Pakistan          6,088   95
        West Indies     5,189    93
9         Bangladesh     2,766    77
10        Zimbabwe      2,011    50
11        Ireland                         45
12        Afghanistan 736         39

♠Team Rankings - T20
Rank   Team    Points Rating
1         Sri Lanka       3,006   131
        India               2,009   126
        Pakistan        3,474   120
        Australia        3,041   117
        South Africa  3,362   116
        West Indies   3,140    112
        New Zealand  2,657   111
        England          2,481    99
        Ireland            1,046    87
10       Bangladesh  1,147    72
11       Netherlands    951    68
12       Afghanistan    743    62
13       Zimbabwe        573    52
14       Scotland           512    51
টপ ব্যাটসম্যানদের লিস্ট নিয়ে আমরা শীগ্রই আসছি। সাথে থাকুন।।

ল্যাপটপের সুরক্ষায় যা করনীয়

বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বর্তমানে বাংলাদেশে ও এখন ল্যাপটপের ব্যাপক
চাহিদা। বিভিন্ন সুবিধার কারনে অনেকেই এখন
ডেস্কটপ এর পরিবর্তে ল্যাপটপ ব্যাবহার করছে। যদিও
প্রোফেশনাল কাজের জন্য ডেস্কটপই উপযুক্ত।
তবে যারা শখের বশে কম্পিউটার ব্যবহার করেন,
তাদের ল্যাপটপ কেনাই উচিত। ল্যাপটপ সাধারনত দুই
ধরনের হয়ে থাকে- নেটবুক, নোটবুক।
যারা হাল্কা কাজ বা অনলাইনে কাজ করে থাকেন
তারা সাধারনত নেটবুক ব্যাবহার করে থাকেন। আর
অপেক্ষাকৃত ভারী কাজ ও হাই গ্রাফিক্স এর
গেমিং এর জন্য অনেকে নোটবুক কিনে থাকেন। শুধু
ল্যাপটপ কিনে ব্যাবহার করলেই চলবে না। ব্যাবহার
এর সাথে সাথে নিয়মিতভাবে এর যত্নও নিতে হবে।
আপনার ল্যাপটপটি যাতে দীর্ঘদিন
ঠিকভাবে সার্ভিস দিতে পারে সে জন্য কিছু টিপস
মেনে চলা উচিত। এতে করে ল্যাপটপের পারফরমেন্স
ভাল থাকবে।
ল্যাপটপ ব্যবহারের টিপসঃ
◆কিছু নিয়ম মেনে চললে ল্যাপটপের পারফরমেন্স
ভালো হয়।
●ব্যাটারি দিয়ে ল্যাপটপ চালানো না লাগলেও
২/৩
সপ্তাহে মাঝে মাঝে ব্যাটারি থেকে চালাতে
হবে, নতুবা ব্যাটারি আয়ু কমে যাবে।
◆ব্যাটারিতে ল্যাপটপ চালানোর সময় স্ক্রিনের
ব্রাইটনেস কমিয়ে দিন।
মাঝে মাঝে ব্যাটারির কানেক্টর লাইন পরিষ্কার
করুন।
●ভালো মানের এন্টিভাইরাস ব্যবহার করুন।
দরকারি ছাড়া অন্য উইন্ডোগুলো মিনিমাইজ
করে রাখুন।
◆হার্ডডিস্ক থেকে মুভি-গান প্লে করুন, কারণ
সিডি/ডিভিডি র্যাম অনেক বেশি পাওয়ার নেয়।
●এয়ার ভেন্টের পথ খোলা রাখুন, সহজে বাতাস
চলাচল করে এমনভাবে ল্যাপটপ পজিশনিং করুন,
সরাসরি সূর্যের আলোতে রাখবেন না।
◆শাট ডাউনের পরিবর্তে হাইবারনেট অপশন ইউজ
করুন।
●ব্লু-টুথ ও ওয়াই-ফাই কানেকশন বন্ধ রাখুন।
হার্ডডিস্ক ও সিপিইউ-এর
মেইনটেন্যান্সে কোনো কাজ করবেন না।
◆অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রামগুলো বন্ধ করুন।
মাঝে মাঝে মেমোরি ক্লিনের জন্য Ram Cleaner,
Ram Optimizer, Mem Monster, Free Up Ram, Super Ram
নিয়মমাফিক ডিফ্রাগমেন্ট করুন।
●আপাতত দরকার নেই এমন প্রোগ্রাম আনইনস্টল করুন।

♦♦♦কম্পিউটার এর গতি বাড়ানো বিষয়ক আগের  পুষ্ট টি দেখার অনুরোধ রইল। ♦♦♦

Wednesday, 11 March 2015

ডিজিটাল বাংলাদেশ এর জন্য ডিজিটাল পাঠ্য বই

আমরা কাগজের বই দিয়ে তো অনেক পড়াশুনা করেছি কিন্তু
সরকার নতুন প্রজন্মের জন্য তৈরি করেছেন
ফাটাফাটি একটা ওয়েবসাইট। হ্যাঁ, এই ওয়েবসাইটের
মাধ্যমে আপনি পাবেন ১ম শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণীর সকল
বোর্ড নির্ধারিত পাঠ্য বই / টেক্সট বুক। ডিজিটাল বাংলাদেশ
এর জন্য ডিজিটাল পাঠ্য বই ।
http://www.ebook.gov.bd/
এছাড়াও নিচের লিঙ্কটির মাধ্যমেও পাবেন প্রথম থেকে দশম
শ্রেণীর পাঠ্য বই / টেক্সট বুক।
http://www.nctb.gov.bd/book.php?cat=4&subcat=35
যারা ইউনিভারসিটির প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদের কাজে আসবে আশা করি।

Tuesday, 10 March 2015

মেমোরী তে সংখ্যার খেলা

বর্তমানে আমরা সেলফোন হোক  বা কম্পিউটার যাই হোক দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ধরনের মেমোরী ব্যবহার করে থাকি। ফ্ল্যাশ মেমোরী বা পেনড্রাইভ কিংবা হার্ডডিস্ক ইত্যাদি।
আমরা প্রতিদিন মেমোরী কার্ডের মধ্যে কত কিছু যে লোড করে থাকি কিন্তু এগুলো মেমোরী কার্ডের ভিতরে যায় কোথায় ভিতরে জিনিষ ঢুকছে কিন্তু ওজন কেন বাড়ছে না?
আমরা মেমোরী কার্ড যখন ফর্মেট দিলাম এর ভিতর থেকে সব ডাটা ডিলিট হয়ে গেলো কিন্তু ওজনের এক ফোটাও হেরফের হচ্ছে না!
উপরে প্রশ্নগুলো অনেকের মনে নিশ্চয়ই জেগেছে। আর আপনাদের এই প্রশ্নের চমকপ্রদ উত্তর নিয়েই আজ হাজির হয়েছি আমি।
==>আপনারা দেখছেন যে চমৎকার ডিজাইনের হার্ডডিস্ক এদের ভিতর কি আসলেই বাইরে থেকে কোন ডাটা ঢুকানো যায়? এক কথায় এর উত্তর হলো ‘না’।
এবার আবার প্রশ্ন আসতে পারে “আমরা যে সব গান শুনি বা মুভি দেখি এইসব কই থাকে?”
==>তাহলে আমার একটা কথা শুনুন,কম্পিউটার আপনার আমার মত মুভিও বুঝে না গানও বুঝে না। সে একমাত্র তার সার্কিটগুলোর মধ্যে বয়ে যাওয়া ট্রিলিয়ন সংখ্যক বিদ্যুৎ প্রবাহের হিসেব রাখতে পারে।বিদ্যুৎ থাকলে 1 আর না থাকলে 0।তার মানে আপনি যখন গান শুনছেন সেটা আপনার কম্পিউটারের কাছে একটা বিদ্যুৎ প্রবাহের হিসেব মাত্র। একটা সোর্স থেকে গানটা যখন মেমোরীতে রাখলেন তখন আপনার গানের জন্য সেটা একটি মেমোরী এড্রেস তৈরী করল অর্থাৎ আপনার গানটা হয়ে গেলো ১০০০১১০০০১০০০১০১০০১০০১০১১১০১১১০১০১০১
এরকম টাইপের কিছু সংখ্যা।আপনি যদি গানটা ডিলেট করেন তখন কম্পিউটার যাস্ট গানের মেমোরী এড্রেসটা বদলে দেবে অর্থাৎ সে জায়গায় অন্য একটা সফটওয়্যার বা গান আনলো যার মেমোরী এড্রেস হলো ১১০০১১০১১০০১ এরকম অর্থাৎ আমাদের  কাছে যেটা গান সেটা কম্পিউটারের কাছে সংখ্যার খেলা। তাই কোন ডাটা কম্পিউটারে ঢুকানো মানে শুধু 1 ও 0 এর স্থান পরিবর্তন বা পুনর্বিন্যস্তকরণ। তাইলে তো 1,0 গুলো হার্ডড্রাইভে আগে থেকেই আছে জাস্ট সংখ্যার স্থানগুলো পালটে দিলেই হলো। ঠিক এই কারণেই কম্পিউটারের হার্ডড্রাইভ থেকে ডিলেট হয়ে যাওয়া ডাটাগুলো বিভিন্ন রিকভারী সফটওয়ারের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা যায়।
ডি এন এ (D.N.A) ও আধুনিক ডাটা স্টোরেজঃ
DNA এর কথা শুনেনি এমন কাওকে পাওয়া যাবে না। হাভার্ড ইন্সটিটিউটের একজন বায়োইঞ্জিনিয়ার এক গ্রাম ডিএনএ’র মধ্যে ৫.৫ পেটাবাইট (১ পেটাবাইট =১০০০০০০ গিগাবাইট) ডাটা সংরক্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন।
হার্ডডিস্কের ম্যাগনেটিক বাইনারী ডাটা সংরক্ষণ ব্যবস্থার বদলে DNA এর চারটি বেস (T,G,A,C) কে ৯৬ বিট ক্যারেক্টার ধরে ব্যবহার করা হয়েছে। এদের মধ্যে T ও G কে বাইনারী সংখ্যা পদ্ধতির ১ এবং A ও C কে বাইনারী সংখ্যা পদ্ধতির ০ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। যেহেতু DNA হাজার বছর পর্যন্ত অক্ষত থাকে তাই এর নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।আশা করি ভবিষ্যতে DNA ই হবে আমাদের বিশাল নির্ভরযোগ্য ডাটাব্যাংক।

Monday, 9 March 2015

Increase Your Computers Speed

আপনার কম্পিউটার কে আরো দ্রুত গতির করার দুর্দান্ত কিছু টিপস:
অনেক সময় দেখা যায় কাজ করতে করতে কম্পিউটার ধির গতির হয়ে যায়। এতে আমাদের অনেক সময় তো নষ্ট হয়ই সাথে সাথে মাথার মেজাজ ও যায় চড়কে।অনেকে আবার এই সমস্যা থেকে সমাধান পেতে অনেক ধরনের Utilities Software ব্যাবহার করে থাকেন। কিন্তু এইসব Utilities Software ফুল Version করে ব্যবহার করতে হ্য়,এর জন্য অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়।
আজ আমি আপনাদের কে দেখাবো কিভাবে খুব সহজেই কিছু টিপসের মাধ্যমে আপনার কম্পিউটারকে রাখতে পারবেন সতেজ এবং গতিশিল । তাহলে শুরু করা যাক ==>>
-Ctrl+Alt+Delete চেপে Task Manager খুলুন,তারপর Processes-এ ক্লিক করলে অনেকগুলো প্রোগ্রাম-এর তালিকা দেখতে পাবেন। এর মধ্যে বর্তমানে যে প্রোগ্রামগুলো কাজে লাগছে না সেগুলো নির্বাচন করে End Process-এ ক্লিক করে বন্ধ করে দেন।
-আর যদি ২নম্বর কাজটা করতে গিয়ে ভুল করে কোনো প্রোগ্রাম বন্ধ করে দেন এবং এতে যদি অপারেটিং সিস্টেম এর কোন সমস্যা হয় তাহলে কম্পিউটার রিস্টার্ট করুন।
-কম্পিউটারের র্যাম কম থাকলে কম্পিউটার ধীর গতির হয়ে যায়। ভার্চুয়াল মেমোরি বাড়িয়ে কম্পিউটার গতি কিছুটা বাড়ানো যায়।
-ভার্চুয়াল মেমোরি বাড়ানোর জন্য প্রথমে My computer-এ মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে Properties-এ যান।এখন Advance-এ ক্লিক করে performance এর settings-এ ক্লিক করুন। আবার Advance-এ ক্লিক করুন। এখন change-এ ক্লিক করে নতুন উইন্ডো এলে সেটির Initial size ও Maximum size-এ
আপনার ইচ্ছামত size লিখে set-এ ক্লিক করে ok দিয়ে বেরিয়ে আসুন।
-তবে Initial size-এ আপনার কম্পিউটারের র্যামের size-এর দ্বিগুন এবং Maximum size-এ র্যামের size-এর চারগুন দিলে ভাল হয়।
-কন্ট্রোল প্যানেলে গিয়ে Add/Remove-এ ক্লিক করুন। Add/Remove windows components-এ ক্লিক করুন। নতুন যে উইন্ডো আসবে সেটির বাম পাশ থেকে অদরকারি প্রোগ্রামগুলোর পাশের টিক চিহ্ন তুলে দিন।
তারপর Accessories and Utilities নির্বাচন করে Details-এ ক্লিক করুন। নতুন
যে উইন্ডো আসবে সেটি থেকে যে প্রোগ্রামগুলো আপনার কাজে লাগে না সেগুলোর টিক চিহ্ন তুলে দিয়ে OK করুন। এখন next-এ ক্লিক করুন। Successful message আসলে Finish-এ
ক্লিক করুন।
-কিছুক্ষন পরপর Start থেকে Run-এ ক্লিক করে tree লিখে ok করুন।এতে র্যামের কার্যক্ষমতা বাড়ে।
-
GO ” run ” – prefetch লিখে এন্টার করুন। (একটা নতুন উইন্ডো আসবে সব ফোল্ডার এবং ফাইল ডিলিট করুন।
GO ” run ” – temp লিখে এন্টার করুন। এখন টেম্পোরারী ফাইল গুলো ডিলিট করুন।
GO ” run ” – %temp% লিখে এন্টার করুন। এখন টেম্পোরারী ফাইল গুলো ডিলিট করুন।
GO ” run ” – recent লিখে এন্টার করুন। এখন রিসেন্ট ফাইল গুলো ডিলিট করুন
আশা করি যাদের জানা ছিল না, তারা এখন নিজেই কম্পিউটারের গতি বাড়িয়ে নিতে পারবেন । এরকম আরো টিপস পেতে আমাদের সাথেই থাকোন ।।

Friday, 6 March 2015

Choose Your Easy Online Payment Method

অনলাইন মার্কেটিং এ পেমেন্ট সম্পর্কে আপনার জানা থাকলে ভালো :
 পিটিসি(PTC), ডাটা এন্ট্রি(DATA ENTRY) থেকে শুরু করে গ্রাফিক ডিজাইন বা প্রোগ্রামিং এর কাজ করুন,ইন্টারনেটের মাধ্যমে কিছু বিক্রি করুন, টাকা হাতে পাওয়ার জন্য আপনার প্রয়োজন অনলাইন পেমেন্ট ব্যবস্থা। এখানে অনলাইনে লেনদেনের বিভিন্ন পদ্ধতির একটি চিত্র তুলে ধরা হলো ---

পেওনিয়ার মাষ্টার কার্ড(Master Card) : পেমেন্ট সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন বিকল্পের অন্যতম ও কার্যকর ব্যবস্থাটি হল পেওনিয়ার কার্ড। পেওনিয়ার কার্ডের কথা জানা নেই এরকম কম মানুষই আছেন। পেওনিয়ার কার্ড দিয়ে প্রায় সকল ওয়েবসাইট থেকে কেনাকাটা করা যায়। পেপাল, ফেসবুক, ইবে, অ্যাডওয়ার্ড ইত্যাদি অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করা যায়। এমনকি পেপালে টাকা গ্রহণ করা যায়। বিশ্বের সকল দেশের এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারবেন (বাংলাদেশ থেকেও)। ফ্রিল্যান্স সাইট সমূহ, ক্লায়েন্ট বা অন্য কারো কাছে থেকে পেমেন্ট গ্রহন। পেওনিয়ার প্রায় ২০০ কোম্পানি হতে পেমেন্ট সাপোর্ট করে। সুবিধার পাশাপাশি অল্প কিছু অসুবিধাও পেওনিয়ারের নেই, তা নয়। তবে সুবিধার তুলনায় তা নগন্য। আমার মতে সবচেয়ে বড় অসুবিধা হল ফি। পেওনিয়ারের এটিএম উইথড্র এর ক্ষেত্রে ফি টা একটু বেশি। এছাড়াও ২০ ডলারের নিচে কার্ড লোড করতে না পারাটাও অন্যতম একটা সমস্যা। অবশ্য এসব আমার মনে হয় সুবিধার তুলনায় নগন্য। পেওনিয়ার সাইটে গিয়ে সরাসরি এপ্লাই করতে পারেন কার্ডের জন্য। তবে কোনো পার্টনারের সাহায্যে বা রেফারেল লিংক হতে এপ্লাই করে কার্ড পাওয়ার পসিবিলিটি বেশি।

ওয়েষ্টার্ন ইউনিয়ন : ওয়েষ্টার্ন ইউনিয়ন ব্যবহার করে অনলাইনে বা ফোনের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করা যায় কিংবা অনলানে বিল দেয়া, কেনাকাটা করা যায়। একাজ করতে হয় তাদের কোন এজেন্ট (Bank) এর মাধ্যমে। টাকা প্রদানের জন্য নির্দিষ্ট কোড ব্যবহার করা হয় বলে লেনদেন নিরাপদ।

অয়্যার ট্রান্সফার : এক ব্যাংক থেকে আরেক ব্যাংকে টাকা পাঠানোর পদ্ধতি। আপনি যার কাছে অর্থ পাবেন তিনি তার ব্যাংক একাউন্ট থেকে টাকা পাঠাবেন। সেটা জমা হবে আপনার ব্যাংক একাউন্টে। দেশ এবং অর্থ পরিমান ইত্যাদি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে লেনদেনের জন্য ফি দিতে হয় !


ব্যাংক চেক : আপনার নামে সরাসরি ব্যাংক চেক পাঠানো হবে। আপনি স্থানীয় ব্যাংক থেকে তার বিপরীতে টাকা উঠাতে পারেন। গুগল, চিতিকা এবং আরো কিছু কোম্পানী এই ব্যবস্থা ব্যবহার করে। সমস্যা হচ্ছে, চেক হারিয়ে যেতে পারে, হাতে পেতে দেরী হতে পারে। গুগলের এমন ব্যবস্থা রয়েছে যেখানে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে কুরিয়ারের মাধ্যমে চেক নিতে পারেন। এতে দ্রুত চেক পাওয়া যায়।

পে-পল: সহজে অর্থ লেনদেনের সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি। তাদের সাইটে গিয়ে বিনামুল্যে একাউন্ট করা যায় (বাংলাদেশসহ কিছু দেশ বাদে)। লেনদেনের জন্য শুধুমাত্র ই-মেইল এড্রেস ব্যবহার করতে হয়। অর্থাৎ আপনি যারকাছে টাকা পাবেন তাকে ই-মেইল এড্রেস জানালে তিনি আপনার একাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দিতে পারেন। একইভাবে কোথাও অর্থ দেয়া প্রয়োজন হলে (যেমন সার্ভার ভাড়া করা বা সফটঅয়্যার কেনা) আপনি পে-পল একাউন্ট থেকে টাকা দিতে পারেন। কিংবা অনলাইনে কিছু কিনতে পারেন। প্রায় সব কোম্পানী এই ব্যবস্থা ব্যবহার করে থাকে। বাংলাদেশ থেকে পে-পলের সদস্য হওয়া যায় না। সরকার এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জানালেও বাস্তবে সেটা এখনো হয়নি।

স্ক্রীল: পে-পলের মত একই ধরনের আরেকটি প্রতিস্ঠান। এখানেও ইমেইল এড্রেস ব্যবহার করে টাকা লেনদেন করা হয়। বাংলাদেশে স্ক্রীল ব্যবহার করা যায়্ তবে এর জনপ্রিয়তা এবং ব্যবহার পে-পলের থেকে কম। ফলে যে কোম্পানী এই ব্যবস্থা ব্যবহার করে কেবলমাত্র তাদের সাথে লেনদেনের কাজ করতে পারেন। সদস্য হতে টাকা দিতে হয় না, তবে প্রতিটি লেনদেন থেকে সার্ভিস চার্জ হিসেবে কিছু টাকা কেটে নেয়া হয়। নিজস্ব ব্যাংক একাউন্ট থেকে এখানে জমা হওয়া টাকা উঠানো যায়।

পায়জা: এটাও ইমেইল এড্রেস ব্যবহার করে টাকা স্থানান্তরের পদ্ধতি। তাদের একাউন্টে জমা হওয়া টাকা ব্যাঙকের মাধ্যমে কিংবা চেক অয়্যার ট্রান্সফার, ডেবিট-ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে উঠানো যায়। এছাড়া কয়েকটি দেশের জন্য তাদের নিজস্ব কার্ড রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে পায়জা ব্যবহার করা যায়।

এগুলি ছাড়াও এধরনের আরো বেশকিছু পদ্ধতি রয়েছে যার মাধ্যমে অনলাইনে অর্থ লেনদেন করা যায়।
আপনাদের প্রযোজনীয় টিপস নিয়ে আমরা সব সময় প্রস্তুত , আমাদের সাথেই থাকুন !!! 

    Thursday, 5 March 2015

    "Facebook Emotions Codes"

    Facebook all latest cool
    chat emotions with codes :-
    Go To Your Facebook Comment Box And Remove The  (*) then Comment >>>
    [[f9.sad*]]
    [[f9.angry*]]
    [[f9.sleepy*]]
    [[f9.shock*]]
    [[f9.kiss*]]
    [[f9.inlove*]]
    [[f9.pizza*]]
    [[f9.coffee*]]
    [[f9.rain*]]
    [[f9.bomb*]]
    [[f9.sun*]]
    [[f9.heart*]]
    [[f9.heartbreak *]]
    [[f9.doctor*]]
    [[f9.ghost*]]
    [[f9.brb*]]
    [[f9.wine*]]
    [[f9.gift*]]
    [[f9.adore*]]
    [[f9.angel*]]
    [[f9.baloons*]]
    [[f9.bowl*]]
    [[f9.cake*]]
    [[f9.callme*]]
    [[f9.clap*]]
    [[f9.confused*] ]
    [[f9.curllip*]]
    [[f9.devilface* ]]
    [[f9.lying*]]
    [[f9.rofl*]]
    [[f9.billiard*] ]
    [[f9.cakepiece* ]]
    [[f9.rosedown*] ]
    [[f9.shutmouth* ]]
    [[f9.shy*]]
    [[f9.silly*]]
    [[f9.tongue1*]]
    [[f9.fastfood*]]
    [[f9.ring*]]
    [[f9.plate*]]

    Past, Present And Future

    ☆ ১ বছরের মূল্য বুঝতে চান?
    তাকে জিজ্ঞেস করুন,যে পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি।
    ☆ ১ মাসের মূল্য বুঝতে চান?
    তাকে জিজ্ঞেস করুন,যে তার বেতন পায়নি।
    ☆ ১ সপ্তাহের মূল্য বুঝতে চান?
    তাকে জিজ্ঞেস করুন,যে হাসপাতালে ভর্তি ছিল।
    ☆ ১ দিনের মূল্য বুঝতে চান?
    তাকে জিজ্ঞেস করুন,যে কারাগারে ছিল।
    ☆ ১ ঘন্টার মূল্য বুঝতে চান?
    তাকে জিজ্ঞেস করুন,যে প্রিয়জনের অপেক্ষায় ছিল।
    ☆ ১ মিনিটের মূল্য বুঝতে চান?
    তাকে জিজ্ঞেস করুন,যে ট্রেন মিস করেছিল।
    ☆ ১ সেকেন্ডের মূল্য বুঝতে চান?
    তাকে জিজ্ঞেস করুন,যে এক্সিডেন্টের হাত থেকে রক্ষা পেল।
    ★★★ প্রতিটা মুহুর্ত খুব মুল্যবান..গতকাল ইতিহাস...আগামীকাল অজানা...কিন্তু আজকের দিনটা আমাদের জন্য উপহার...
    আর এ কেই বলে বর্তমান....!!

    গার্বেজ ব্যাগে পাওয়া গেল অস্কারজয়ী তারকার সেই পোশাক!


    অস্কারজয়ী অভিনেত্রী লুপিতা নিয়োঙ্গের ১
    লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলারের পোশাক চুরি হওয়ার ২ দিনের মধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে। তার এ পোশাক৬ হাজার মুক্তা ও হীরা দিয়ে খচিত ছিল। এবারের অস্কার অনুষ্ঠানে এ পোশাক পরে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
    মঙ্গলবার সন্ধ্যা অথবা বুধবার দিনে এই পোশাক
    চুরি হতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। ওয়েস্ট হলিউডের লন্ডন হোটেলের টয়লেটের ভেতর একটি গার্বেজ ব্যাগ থেকে পোশাকটি পাওয়া যায়। বর্তমানে লস এনঞ্জেলেসের কর্মীরা হোটেলটির পুনঃসংস্কারের কাজ করছে।
    পুলিশ জানায়, সিসিটিভি ফুটেজে সন্দেহভাজন কিছু ধরা না পড়লেও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। ৬ হাজার মুক্তা দিয়ে খচিত এই পোশাকের কিছু মুক্তা পড়ে গেছে,তবে পোশাকটির কোনো ক্ষতি হয়নি।
    ৩১ বছর বয়সী লুপিতা নিয়োঙ্গে গত রোববার ৮৭তম অস্কার অনুষ্ঠানে এ পোশাকটি পরেন। ওই
    অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থাপিকার ভূমিকা পালন করেন। কেনিয়ান অভিনেত্রী লুপিটা নিয়োঙ্গে গত বছর ‘টুয়েলভ ইয়ারস অ্যা স্লেভ’র জন্য সেরা সহ-অভিনেত্রী হিসেবে অস্কার পুরস্কার লাভ করেন। তিনি একই বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সাপ্তাহিক ‘পিপল ম্যাগাজিন’র সেরা সুন্দরী নির্বাচিত হন।

    Wednesday, 4 March 2015

    মাশরাফি আমাদের গর্ব ,আমাদের প্রেরণা

    দুঃখটা বাংলাদেশের জন্য না। দুঃখ টা মাশরাফির জন্য।।একজন বাবার ৫মাসের শিশু
    সন্তান হসপিটালের আই সি ইউ তে কাতরাচ্ছে। তার পরও সেই বাবা দেশের হয়ে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে লক্ষ মাইল দুরে। একজন খেলোয়াড় যার পায়ে ১২বার ডাক্তারের ছুরি চলেছে। যে কোন
    সময় আজীবন পংগু হওয়ার সম্ভবনা। এর পরও খেলে যাচ্ছেন দেশের জন্য।।সে খেলোয়াড়ি জীবনে যা ইনকাম করেছে,তা দিয়ে আরামে আয়েশে বসে বড় কোন ব্যবসা শুরু করতে পারতো।কিন্ত না,পাগলা টা তাও ছুটে যায়,সব কিছুকে পেছনে ফেলে।দেশের জন্য।। আজ-কাল কার আনামুলরা কেমনে বুঝবে তার দেশপ্রেম!! একজন ভাল প্লেয়ার হিসেবে নয়। একজন ভাল মানুষ হিসেবে মাশরাফি আমার কাছে অধিকতর প্রিয়।।কিন্তু সে মানুষ কে দুদিন আগে জুমার নামায পড়তে গিয়ে লাঞ্চিত হতে হয়।কেমন
    আমরা চিন্তা করুন।মাশরাফির মত আর ৪/৫ টা খেলোয়াড় নিজের জন্য না খেলে দেশের
    জন্য খেলতেন তাহলে বাংলাদেশ বিশ্ব
    চ্যাম্পিয়ন হতো ।এক মত হলে গর্জে উঠুন ।
    I love u মাশরাফি ভাই।
    ★☆★ আর একটা প্রশ্ন,আপনি কি তামিম কে বাংলাদেশ দলে রাখার প্রয়োজন
    আছে বলে মনে করেন???

    Monday, 2 March 2015

    Learn The Core Meaning Of Different Colours

    যে সব নতুন  ভাইয়েরা ডিজাইনইং কিংবা html এ নতুনভাবে লেখালিখি করছেন ,তাদের কাজে আসতে পারে।
    প্রত্যেক ডিজাইনার এর বিষয় ভিত্তিক রং এর ব্যবহার সম্পর্কে ভালো অভিজ্ঞতা থাকা অত্যন্ত জরুরী, তাই জেনে নিন কখন কোন রং ব্যবহার করবেন
    -• Red: Passion, Love, Anger ( আবেগ, ভালবাসা, রাগ )
    • Orange: Energy, Happiness, Vitality ( শক্তি, সুখ, জীবনীশক্তি )
    • Yellow: Happiness, Hope, Deceit ( সুখ, আশা, কৌশল )
    • Green: New Beginnings, Abundance, Nature ( নতুন সূত্রপাত, প্রাচুর্য, প্রকৃতি )
    • Blue: Calm, Responsible, Sadness ( শান্ত, দায়িত্বপ্রাপ্ত, বিষণ্ণতা )
    • Purple: Creativity, Royalty, Wealth (সৃজনশীলতা, সার্বভৌমত্ব, সম্পদ)
    • Black: Mystery, Elegance, Evil ( রহস্য, কমনীয়তা, মন্দ )
    • Gray: Moody, Conservative, Formality ( বিষণ্ণ, রক্ষনশীল, লৌকিকতা )
    • White: Purity, Cleanliness, Virtue ( বিশুদ্ধতা, পরিচ্ছন্নতা, পুণ্য )
    • Brown: Nature, Wholesomeness, Dependability ( প্রকৃতি, সততা, নির্ভরযোগ্য)
    • Tan or Beige: Conservative, Piety, Dull ( রক্ষনশীল, ভক্তি, নিস্তেজ )
    • Cream or Ivory: Calm, Elegant, Purity ( শান্ত, মার্জিত, স্বচ্ছতা )
    আপনাদের সুবিধার্থে একেবারে বেসিক জিনিস নিয়ে আলোচনা করি ।লেখায় ভুল ত্রুটির জন্য ক্ষমা করবেন ।আর আমার ব্লগের সাথে থাকেন। আমার একটা পোস্ট ও যদি আপনাদের কাজে আসে তাহলে নিজেকে সার্থক মনে করব। এবং কোন সমস্যা থাকলে বলবেন ,যথাসাধ্য চেষ্টা করব। আর কোন কোন বিষয় এর পোস্ট চান তা বলতে কিন্তু ভুলবেন না !!!সবাই ভালো থাকেন

    The Popular "DX ing"


    DX ing কী?
    DX ing
    কথাটি বিশ্বব্যাপী অতি পরিচিত
    একটি শব্দ ৷ তারপরও অনেকে জানেন
    না DX ing কী?
    বেতার বা রেডিও হল
    একটি শক্তিশালী গণমাধ্যম ৷
    বিশ্বের প্রতিটি দেশই বিভিন্ন
    ভাষায়✍ বিভিন্ন কম্পাংকে ( LW,
    MW, SW, FM) বিভিন্ন ভাষায় অনুষ্ঠান
    প্রচার করে থাকে ৷ আর এসব
    অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য হল রাষ্ট্রের
    আইন কানুন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য,
    চিকিৎসা, সংবাদ, বিনোদন,
    ইতিহাস, বিজ্ঞান -
    ইত্যাদি সবচেয়ে কম
    খরচে শ্রোতাদের
    মাঝে পৌছে দেয়া ৷
    শ্রোতারা এসব অনুষ্ঠান শুনেন আর
    বেতার কেন্দ্রগুলোর আয়োজিত
    বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নেন ৷
    এককথায় - বেতার শোনা ও বেতার
    কেন্দ্রগুলোর কার্যক্রমে অংশ
    নেয়াই হল DX ing.
    DX ing আওতায় যেসব কাজ
    পড়ে তা হল - অনুষ্ঠান শোনা,
    অনুষ্ঠানে চিঠি লেখা, বিভিন্ন
    বিষয় জানতে চাওয়া,
    শুনতে চাওয়া, কুইজে অংশ নেয়া,
    শ্রোতা সম্মেলনে অংশ নেয়া,
    শ্রোতা ক্লাব গঠন ইত্যাদি ৷
    আপনি ইচ্ছে করলেই পারেন এসব
    কার্যক্রমে অংশ নিয়ে নিজের
    জ্ঞান বাড়াতে , পুরষ্কার
    জিততে সর্বপরি বিশ্বব্যাপী পরিচিত
    হতে ৷
    অনেকে এটা করেন শখের বশে ৷ সহজ
    ও সবচেয়ে শক্তিশালী গণমাধ্যম
    হিসেবে বেতারের সমকক্ষ আর
    কোনটি নেই ৷ এর সুবিধা হল
    সম্প্রচার খরচ কম আর
    শ্রোতারা শুনতে পারেন খুব কম
    খরচে ৷ বেতার শোনার সুবিধা হল
    এর জন্য আলাদা সময় ব্যয় না করলেও
    চলে ৷ অন্যান্য কাজের মাঝেই
    এটা শোনা যায় ৷ বিশ্বের যে কোন
    প্রান্ত থেকেই এটা শোনা যায়;
    দরকার শুধু একটি ভাল মানের
    রিসিভার ৷
    বিশ্বের অনেক দেশ
    বাংলা ভাষায় অনুষ্ঠান প্রচার
    করে ৷ যেমন রেডিও তেহরান ,
    রেডিও জাপান, রেডিও
    ভেরিতাস এশিয়া, চীন
    আন্তর্জাতিক বেতার, ভয়েস অব
    আমেরিকা, বিবিসি, অল
    ইন্ডিয়া রেডিও,
    ডয়চেভেলে( বর্তমানে বন্ধ), আশার
    বানী, রেডিও কুয়েত, বাংলাদেশ
    বেতার, রেডিও রাশিয়া (বন্ধ)
    ইত্যাদি ৷ আপনি শুধু অনুষ্ঠান
    শোনা নয়; অংশ নিতে পারেন
    সাক্ষাতকারে , পাঠাতে পারেন
    আপনার লেখা প্রতিবেদন, ভয়েস
    রেকর্ডিং ৷ কুইজে অংশ
    নিয়ে জিততে পারেন বিদেশ
    ভ্রমনের সুযোগ, পেতে পারেন
    টি শার্ট, ক্যাপ, টেবিল ক্লথ, নগদ
    টাকা, ওয়াল ম্যাট, চাবি রিং,
    ব্যাগ, তোয়ালে, আইপড, রেডিও,
    কলম, ডায়েরি, ঘড়ি, ক্যালকুলেটর,
    বই সহ নানা পুরস্কার ৷
    বাংলা ভাষা বাদেও অন্যান্য
    ভাষার অনুষ্ঠানও শুনতে পারেন ৷
    তাই বেতার [RADIO] শুনুন;
    নিজেকে আবিষ্কার☀ করুন এক নতুন
    জগতে ৷

    Sunday, 1 March 2015

    ফেসবুক নিউজফিড সাজান ইচ্ছে মতো

    ইচ্ছেমতো ফেসবুক নিউজফিড সাজিয়ে নেওয়ার ৫ কৌশল:
    ইচ্ছে না থাকলেও ফেসবুক ফিডে অপ্রয়োজনীয় অনেক কিছুই
    দেখতে হয় আমাদের। এর মাঝে থাকে বন্ধুদের প্যাঁচাল,
    বিভিন্ন গ্রুপের অপ্রাসঙ্গিক পোস্ট, বিজ্ঞাপন ইত্যাদি। ছোট্ট
    কিছু কৌশলে এসব বাদ দিয়ে ফেসবুক নিউজ ফিড
    ভরিয়ে তুলতে পারবেন নিজের পছন্দের কনটেন্ট দিয়ে।
    ১. বিরক্তিকর মানুষদের “আনফলো” করুন : যেসব মানুষ খুব
    বিরক্তিকর অথচ আনফ্রেন্ড করে ফেললে কষ্ট পাবে,
    তাদেরকে আনফলো করাটাই বেশ ভালো একটি উপায়। তাদের
    বিরক্তিকর পোস্টের ডান দিকের কোনায়
    ত্থাকা অ্যারো ক্লিক করুন এবং আনফলো করে ফেলুন তাকে।
    এছাড়াও তাদের প্রোফাইলে গিয়ে দেখুন ‘ফলোইং’ নামের
    একটি বাটন আছে। ওর উপরে একবার ক্লিক করলেই
    আনফলো হয়ে যাবে। ওই মানুষটির ড্রামা আর আপনাকে সহ্য
    করতে হবে না।
    ২. অপ্রয়োজনীয় পেজ থেকে কনটেন্ট এড়িয়ে চলুন: আপনার
    বন্ধুরা যদি আজেবাজে গ্রুপ বা পেইজ থেকে কনটেন্ট শেয়ার
    করতে থাকে অহরহ, তাহলে কি করবেন? ওই পোস্টের ডান
    কোনায় থাকা অ্যারো ক্লিক করুন। এরপর সিলেক্ট করুন “Hide
    all from [অমুক পেজ]”। ওই বন্ধুর অন্যান্য পোস্ট দেখতে পাবেন
    কিন্তু ওই পেজ থেকে আর কিছু দেখতে পাবেন না।
    ৩. ফেসবুককে জানান কি ধরণের পোস্ট আপনাকে বিরক্ত করছে
    : যে ধরণের পোস্ট আপনার বিরক্তির কারণে হয়ে দাঁড়াচ্ছে,
    সেগুলোর ওই ডান কোনার অ্যারোতে দেখতে পাবেন “ I don’t
    want to see this” অপশনটি। বিরক্তিকর পোস্টগুলোতে এই
    অপশন সিলেক্ট করতে থাকলে ফেসবুক বুঝে নেবে কি ধরণের
    পোস্টে আপনার অ্যালার্জি আছে, আর এসব পোস্ট আপনার
    নিউজফিডে কম আসবে।
    ৪. ফেসবুক সার্ভে পূরণ করুন: ফেসবুক
    জানে যে ব্যবহারকারীরা বেশ কিছু ব্যাপারে বিরক্ত হয়। তাই
    আপনাকে সাহায্য করার জন্যই আছে এই সার্ভে। ছোট এই
    সার্ভে পূরণ করলে আপনারই উপকার হবে। পোস্টের ডান দিকের
    অ্যারোতে ক্লিক করলে নিচের দিকে “more options” পাবেন,
    এ থেকে ফেসবুক সার্ভে গ্রহণের অপশন আসবে।
    ৫. “নিউজ ফিড প্রেফারেন্স” নিয়ন্ত্রণ করুন: ফেসবুকের মেইন
    সেটিংস মেনুতে গিয়ে “News Feed Preferences” সিলেক্ট
    করুন। এর থেকে দেখতে পাবেন আপনি কি ধরণের কনটেন্ট
    বেশি দেখে থাকেন, কাকে আনফলো করেছেন ইত্যাদি।
    ইচ্ছেমতো এগুলোর পরিবর্তন করে নিউজ ফিড নিয়ন্ত্রণ
    করতে পারবেন আপনি।

    Saturday, 18 April 2015

    ডিপ্লোমায় ভর্তি হবেন,দেখে নেন A-Z

    চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং এ তুলনামূলক কম সময়ে কোর্স সমাপ্তি আর কোর্স শেষে ন্যূনতম চাকরির নিশ্চয়তা।সব মিলিয়ে তাই ডিপ্লোমা প্রকৌশলের চাহিদা হালের শিক্ষার্থীদের কাছে সবচেয়ে বেশি।
    চার বছর মেয়াদি এই কোর্সে ভর্তি হতে হয় এসএসসির পর। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আওতায় পরিচালিত ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে বিভিন্ন জেলা শহরে অবস্থিত ৪৯ টি সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট ছাড়াও ইনস্টিটিউট অব গ্লাস অ্যান্ড সিরামিক, গ্রাফিক আর্টস ইনস্টিটিউট, বাংলাদেশ সার্ভে ইনস্টিটিউটে শিক্ষার্থী ভর্তি করানো হয়।
    ★ভর্তির যোগ্যতা:
    চার বছর মেয়াদি এই কোর্সগুলোয় আবেদন করতে হলে সাধারণ গণিত অথবা উচ্চতর গণিতে কমপক্ষে জিপিএ-৩ সহ প্রার্থীকে অবশ্যই এসএসসি পাস হতে হবে ন্যূনতম জিপিএ-৩.৫ পেয়ে।২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষে ভর্তিতথ্য অনুযায়ী এই কারিগরি প্রতিষ্ঠানগুলোয় আবেদন করতে পারেন চলতি বছর বাদেও পূর্ববর্তী দুই বছরে এসএসসি বা সমমান পাস করা শিক্ষার্থীরা।
    যেসব বিষয়ে ভর্তি হতে পারবেন :
    আর্কিটেকচার, অটোমোবাইল,কেমিক্যাল, সিভিল, সিভিল (উড),কম্পিউটার, ইলেকট্রিক্যাল,ইলেকট্রনিকস, ফুড, পাওয়ার,মেকানিক্যাল, প্রিন্টিং,গ্রাফিক ডিজাইন, গ্লাস,সিরামিক, ইলেকট্রো মেডিক্যাল, মেরিন , শিপবিল্ডিং,সার্ভেয়িং, মেকাটনিকস,কনস্ট্রাকশন,টেলিকমিউনিকেশন,এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স,রেফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি,আর্কিটেকচার অ্যান্ড ইন্টেরিয়র ডিজাইন, গার্মেন্টস ডিজাইন অ্যান্ড প্যাটার্ন মেকিং,ইনস্ট্রুমেন্টেশন অ্যান্ড প্রসেস কন্ট্রোল, ডেটা টেলিকমিউনিকেশন অ্যান্ড নেটওয়ার্কিং, এয়ারক্রাফট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ারিং (অ্যারোস্পেস), এয়ারক্রাফট মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ারিং (অ্যাভিয়োনিকস) এবং মাইনিং অ্যান্ড মাইন সার্ভে টেকনোলজি পড়ানো হয় সারা দেশে ছড়িয়ে থাকা এই ইনস্টিটিউটগুলোয়।
    ভর্তির তথ্য : এসএসসির পর ভর্তির বিজ্ঞপ্তি দিয়ে থাকে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর।ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ভর্তি হতে চাইলে পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে এখন থেকেই।ভর্তিসংক্রান্ত সব তথ্যের জন্য যোগাযোগ করা যাবে কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের ( www.techedu.gov.bd ) ওয়েবসাইটে। এ ছাড়া ভর্তিসংক্রান্ত সব তথ্য জানা যাবে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের নিজস্ব ওয়েবসাইটে ( www.bteb.gov.bd )
    ★ডিপ্লোমা প্রকৌশলের আরও কিছু বিষয়:
    বস্ত্র প্রকৌশল ডিপ্লোমা প্রকৌশলের ক্ষেত্রে যেসব বিষয়ের চাহিদা বেশি,সেগুলোর মধ্যে অন্যতম টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বা বস্ত্র প্রকৌশল। সরকারের বস্ত্র দপ্তরের ( www.dot.gov.bd ) আওতায় দিনাজপুর টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট, বরিশাল শহীদ সেরনিয়াবাত টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ ও টাঙ্গাইল টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট— এই তিনটি সরকারি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট আছে। এ ছাড়া বেসরকারি টেক্সটাইল ইনস্টিটিউটে আছে ২১টি।ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের আবেদন করতে হবে অনলাইনের মাধ্যমে।ইনস্টিটিউটগুলো থেকে ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন করে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া যাবে বাংলাদেশ টেক্সটাইল প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) এবং বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে।
    ★কৃষি প্রকৌশল :
    কৃষি ক্ষেত্রকে যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটগুলোয় চালু আছে চার বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা কোর্স। কারিগরি শিক্ষা বোডের্র অধীনে রংপুর, গাইবান্ধা, পাবনা,খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুর, ঢাকা,গাজীপুর, শেরপুর, সিলেট,নোয়াখালী, চট্টগ্রাম ও রাঙামাটি জেলায় একটি করে মোট ১৩টি কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট আছে। এই ডিপ্লোমা কোর্স সম্পন্ন করতে হলে প্রার্থীকে এসএসসিতে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে জিপিএ-৩ অথবা বিজ্ঞান বিভাগ ছাড়া অন্য বিভাগের ক্ষেত্রে সাধারণ গণিত বা সাধারণ বিজ্ঞানে গ্রেড পয়েন্ট-২-সহ কমপক্ষে জিপিএ-৩ থাকতে হবে।
    ★হেলথ টেকনোলজি অ্যান্ড সার্ভিসেস তিন বছর মেয়াদি এই কোর্স বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের অধিভুক্ত।শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩৯।প্রতিষ্ঠানগুলো ছড়িয়ে আছে ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলা শহরে। এই প্রতিষ্ঠানগুলোতে যেসব বিষয় পড়ানো হয়, সেগুলো হলো:
    ডেন্টাল, পেশেন্ট কেয়ার,ফিজিওথেরাপি, ফার্মা,রেডিওলজি অ্যান্ড ইমেজিং,ইন্টিগ্রেটেড ও ল্যাবরেটরি টেকনোলজি। যেসব শিক্ষার্থী এই কোর্সে ভর্তি হতে চান, তাঁদের এসএসসিতে সাধারণ গণিত বা উচ্চতর গণিতে গ্রেড পয়েন্ট-২-সহ (অথবা ৪০ শতাংশ নম্বর) কমপক্ষে জিপিএ-২ (অথবা দ্বিতীয় বিভাগ) থাকতে হবে। এখানে যেকোনো বর্ষে পাস করা শিক্ষার্থী আবেদন করতে পারবেন।
    [[উল্লেখ্য, নতুন ভর্তি বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ভর্তির যোগ্যতা পরিবর্তিত হতে পারে৷]]

    Friday, 17 April 2015

    ডিপ্লোমা তে আসার আগে বিষয়গুলো ভেবে নিন

    ◆◇◆এস.এস.সি ও সমমানের পরীক্ষা শেষ।তাই অনেকে ইংলিশ কিংবা কম্পিউটার কোচিং এ ভর্তি হয়েছেন কিংবা হবেন।অনেকের আবার ইচ্ছা আছে ম্যাটস/ডিপ্লোমাতে ভর্তি হবেন , তাই অনেক স্টুডেন্ট ভর্তি যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন। এবার একটু দেখে নিলে ভালো হয় ডিপ্লোমাতে কাদের আসা উচিত এবং কাদের আসা উচিত না।একটা কথা মনে রাখবেন, আবেগের বসে কিছু করে লাইফের কয়েকটা বছর নষ্ট করবেন না।
    ★★★ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং এ যারা আসবেনঃ
    ■■▶অনেকেই আছেন যাদের আর্থিক সমস্যা আছে পড়াশুনা চালানো কঠিন হবে বলে মনে করেন অথবা পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে চান্স না পাওয়ার ভয় আছে আর পাবলিকে চান্স না পেলে হয়তো ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া সম্ভব না কিন্তু ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার প্রচুর ইচ্ছা আছে তারা চলে আসতে পারেন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং করার জন্য । কেননা এখানে আসার পর আপনি যদি ভালো পারফরমেন্স দেখাতে পারেন তাহলে আপনাকে ওয়াল্ড ব্যাংকের পক্ষ থেকে প্রতি ছয় মাস পর পর দেওয়া হবে ৪৮০০ টাকা শিক্ষা বৃত্তি। এছাড়াও মোটামুটি রেজাল্ট হলেই পাবেন ৯০০ টাকা বৃত্তি যা দিয়া কিছুটা হলেও আপনি চালিয়ে যেতে পারেন আপনার পড়াশোনার খরচ । ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শেষ করার পরে যেকোন একটা চাকরি পাবেন আর চাকরির পাশাপাশি খুব সহজেই আপনার পছন্দসই কোন একটা ইউনিভার্সিটি থেকে বি.এস.সি ইঞ্জিনিয়ারিংকরে নিতে পারবেন ।কাজ শেখার ইচ্ছা শক্তি থাকলে অবশ্যই শিখতে পারবেন কারণ পলিটেকনিকে এমন কিছু ইন্সট্রুমেন্ট আছে যেগুলো অনেক নামকরা প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতেও নেই।আর একটা কথা মেধা তেমন না থাকলে না আসাই ভালো কারণ এখনকার ডিপ্লোমার সিস্টেম এবংপড়াশোনা আগের থেকে অনেক অনেক আপডেট হয়েছে ।সুতরাং যা করবেন একটু ভেবে চিন্তে করবেন আবেগের বসে কিছু করে ফেললে আপনার জীবন থেকে হারিয়ে যেতে পারে কয়েকটি বছর । আসলে ভাই ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা ব্যবস্থাটা বাইরের দেশে যেমন দাম আছে আমাদের দেশে তার একবিন্দুও নেই, আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারত এর ডিপ্লোমা শিক্ষা ব্যবস্থার দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন।
    ★★★ডিপ্লোমায় যাদের আসার তেমন একটা প্রয়োজন নাইঃ
    ■■▶বাবার টাকা আছে বাইচান্স পাবলিক কোন ইউনিভার্সিটি তে চান্স না পেলেও প্রাইভেট ইউনিভারসিটিতে বি.এস.সি করে নিতে পারবেন তাদের ডিপ্লোমাতে আসার কোন প্রয়োজন আছে বলে আমি মনেকরি না, কারণ একেতো ডুয়েট ছাড়া অন্য কোন পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে চান্স নেওয়ার কোন সুযোগ নাই। যদিও ইদানীং কয়েকটা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ করে দিছে।যেমন :আমার জানামতে সাস্টে কম্পিউটার ডিপার্টমেন্ট এ ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ আছে। তারপরেও সব সাবজেক্ট এর জন্য এখন পর্যন্ত উন্মুক্ত করা হয় নি, আর প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হলেও ভালো কোন প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হতে পারবেন না,আর যদিও হন তাহলে একেতো খরচ আছে সাথে আবার সেই ৪ বছর ধরে বি.এস.সি করতে হবে আর নরমাল কোন ইউনিভার্সিটিতেই ডিপ্লোমাদের জন্য আই.ই.বি আনুমোদন নেই।  ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের বিএসসি করার জন্য ঢাকার রমনাতে AMEI এর নাম হয়ত শুনেছেন,এখান থেকে ও আপনি অল্প সময়ে বিএসসি করতে পারেন।তবে আপনাকে ধৈর্যবান ও মেধাবী হতে হবে। আর একটা কথা, ডিপ্লোমায় আপনি আপনার ইংলিশের দক্ষতা আপনার অজান্তেই হারিয়ে ফেলবেন তবে এটা আসলে সবার ক্ষেত্রে নয়।কারণ অনেকেই আছে ডিপ্লোমা করেছেন।কিন্তু ইংলিশে অনর্গল কথা বলতে পারেন তবে এটা হাতে গোনা কয়েকজন হবে যারা সম্পূর্ণ নিজের প্রচেষ্টাতে বিভিন্ন কোর্স ও ইংলিশ ক্লাব এর মাধ্যমে ইংলিশকে ধরে রাখে । ইংলিশে দক্ষতা হারানোর প্রধান কারণ ডিপ্লোমাতে ইংলিশ নামে মাত্র দুইটা সাবজেক্ট থাকে যা ২ বা ৩ সেমিস্টারেই শেষ হয়ে যায় তারপর ৩ বছর শুধু বাংলিশ পড়ানো হয়, কাজ শেখার ব্যাপারে হাতেগোনা কয়েকজন টিচার ব্যতিত খুব কম টিচার এর কাছ থেকেই সাহায্য পাবেন বলে আশা করা যায়, আর এমন কিছু ইন্সটিটিউট আছে যেখানে চার অথবা পাঁচটি বিভাগের জন্য স্যার আছে মাত্র চার থেকে ছয়জন, ডিপ্লোমা করতে গিয়ে সব পেলেও পাবেন না দক্ষ স্যার ।অনেক স্যার আছেন যারা স্টুডেন্টদের টাকায় পকেট ভারি করে রাখেন।
    ◆◇◆আমার এসব কথা শুনে অনেকেই বলতে পারেন ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটিতে সি.এস.ই এবং ই.টি.ই তে আই.ই.বি অনুমোদন আছে ?
    ■□■▶ হ্যা ভাই আছে কিন্তু আপনি হয়তো এটা জানেন না যে ইভিনিং শিফট এর জন্য কোন ইউনিভার্সিটিতেই আই.ই.বি অনুমোদন নেই, এবং এশিয়া প্যাসিফিক ও ইউ.আই.ইউ তে আছে কিন্তু এগুলোতে কস্ট অনেক বেশী এবং আপনার জন্য সাবজেক্ট ক্রেডিটও কমানো হবে না । তো কি দরকার আছে ৪ বছর ডিপ্লোমা করে আবার ৪ বছর বি.এস.সি করার শুধু শুধু আপনার জীবন থেকে হারিয়ে যাবে ২টি বছর ।আর যাদের ইচ্ছা আছে উচ্চশিক্ষার জন্য বিদেশে পাড়ি জমানোর তাদের ডিপ্লোমাতে আসার কোন প্রয়োজনই নাই কারন ডিপ্লোমাতে উচ্চ শিক্ষার জন্য বাইরে যাওয়ার যতটা সুযোগ আছে তার থেকে হাজারগুন বেশী সুযোগ আছে উচ্চমাধ্যমিক শেষ করে যাওয়ার । আর যদিও ডিপ্লোমা কম্পিলিট করে যান তবে খরচও সেই একই লাগবে এবং সুযোগও সেই একই পাবেন।মাঝে দিয়ে আপনার জীবন থেকে হারিয়ে যাবে অতি মূল্যবান ২টি বছর আর যদি কোন আন্দোলন হয় তাহলেতো ৩ বছরও হারিয়ে যেতে পারে ।
    □■▶আর যে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা ব্যবস্থায় ইংলিশ পাঠ্যপুস্তককে বাংলিশ পাঠ্যপুস্তকে পরিবর্তন করে পড়ানো হয় সে ইঞ্জিনিয়ারিং শিক্ষা ব্যবস্থা হতে কখনও খুব ভালো কিছু আশা করা সম্ভব না ।যার ফলাফল ...... খুব ভালো স্টুডেন্ট হয়ে ডিপ্লোমাতে ভর্তি হচ্ছে আর বের হওয়ার সময় আগে যা ছিল তাও হারিয়ে ফেলছে ।এখানে না আছে স্টুডেন্টদের কোন দোষ আর না আছে শিক্ষকদের কোন দোষ, এখানে মূল সমস্যাটাই হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থার ।যেখানে ডিপ্লোমার প্রত্যেক ডিপার্টমেন্ট এর থাকা উচিত ছিল নিজেস্ব ক্লাব যেখানে ছাত্ররা প্রতিনিয়ত নতুন কিছু প্রজেক্ট বানানোর চেষ্টা করবে সেখানে ক্লাবতো দূরের কথা প্রজেক্ট বানানোর ব্যাপ্যারে যে কেউ অনুপ্রেরণা দিবে সেরকম লোক খুজে পাওয়াও মুশকিল ।
    ★☆★২০১৩ সালে সাস্টে অনুষ্ঠিত কাইজেন বিজ্ঞান প্রতিযোগিতায় ১ম স্থান অর্জন করে সিলেট পলিটেকনিক এর ইলেকট্রিকাল ডিপার্টমেন্ট এর কয়েকজন ছাত্র।জাফর ইকবাল স্যারের সাথে ছবিসহ তাদের সাক্ষাতকার পরদিন দেশের জাতীয় পত্রিকাগুলোতে প্রকাশ হয়।পলিটেকনিক এর ছাত্রদের প্রতি বৈষম্যের কিছু টা তখন ফোটে উঠেছিল। তারপর আবার সব উধাও।
    ◆◇◆আমার এই ব্লগ পোস্ট দেখে হয়তো অনেক ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার ভাই মনে মনে রাগ হয়েছেন আবার গালিও দিচ্ছেন। কিন্তু ভাই একবার চিন্তা করে দেখুন আপনি ডিপ্লোমা করে কতটুকু সুযোগ সুবিধা পেয়েছেন ??
    ★☆★আজকে যে ভাইয়েরা ডুয়েটে পড়ছেন আপনাদের বন্ধুদের দিকে তাকালে দেখবেন তারা আজ বুয়েট,রুয়েট অথবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মত ভালো জায়গাতে ৩য় অথবা ফাইনাল ইয়ারে রয়েছে,আপনার বি.এস.সি শেষ হতে হতে তারা হয়তো অনেক উপর পর্যায়ের একটা পজিশনেও চলে যাবে আর আপনার জীবন থেকে অকারনেই হারিয়ে গেছে ২টি বছর ।
    ★☆★৪৯টা সরকারী এবং চারশতাধিক প্রাইভেট পলিটেকনিক ছাত্রদের জন্য একমাত্র ডুয়েট ব্যতিত অন্য কোন ইউনিভার্সিটিতেই ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ারই সুযোগ দেওয়া হয় না ।
    ◆আসলে এর কারণটা কি ??
    ■▶তাহলে কি ডিপ্লোমার স্টুডেন্টরা অন্য কোন পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি পরীক্ষা দেওয়ার যোগ্যতাও রাখে না ??
    ●○●অথচ দেখা যাচ্ছে কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের আন্ডারে যারা এইচ.এস.সি ভোকেশনাল দিয়েছে তাদেরও যদি পয়েন্ট থাকে তবে তারাও প্রায় সব পাবলিক ইউনিভার্সিটিতে চান্স নিতে পারতেছে। তাহলে এখানে ডিপ্লোমার ছাত্ররা কি দোষ করেছে যে তাদেরকে ডুয়েট ব্যতিত অন্য কোন ইউনিভার্সিটিতে এডমিশন পরীক্ষা দেওয়ারই সুযোগ দেওয়া হয় না ??
    যাই হোক অনেক কথা বলে ফেললাম ,এখন যে ভাইয়ারা এবার এস.এস.সি দিয়েছেন তারা আশা করি এই পোস্ট থেকে বর্তমান ডিপ্লোমা সম্পর্কে একটা ধারনা পেয়েছেন ।
    আর এই ব্লগ পোস্ট দেখে যদি কোন ভাইয়ের মনে কষ্ট লেগে থাকে তাহলে আমি তার কাছ থেকে মাফ চেয়ে নিচ্ছি।।
    খোদা হাফেজ, সবাই ভালো থাকবেন।।

    Thursday, 16 April 2015

    Protect GP From Their Unfair Policy

    নরওয়ে ভিত্তিক একটি টেলিকম প্রতিষ্ঠান হল জিপি।যা বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত মোবাইল অপারেটর। এমনকি যে নরওয়ে এই কোম্পানির মালিক, তার জনসংখ্যার ও তুলনায় দশ গুণ। তাই এই বিপুল পরিমাণ জনসংখ্যার কথা চিন্তা করে জিপির পলিসি যেখানে আরো নমনীয় হওয়ার কথা,সেখানে এই মোবাইল পরিসেবা প্রতিষ্ঠান টি সেবার পরিবর্তে এদেশের মানুষের রক্ত দিন দিন চোষে খাচ্ছে।রাষ্ট্রের হাজার কোটি টাকার কর ফাকি দেওয়ার ইতিহাস ও কারো অজানা নয়।
    বিশ্বকাপ ক্রিকেট ২০১৫ উপলক্ষে জিপি খেলা চলাকালীন সময়ে Twitter ফ্রি করে দেয়।এতে অনেক ইউজার ও বেড়ে যায়।কিন্তু খেলা শেষ হওয়ার পরপর ই ফ্রি Twitter অফ করে দেওয়া হয়।আমার ফেসবুক গ্রুপ EasToWest24 এ প্রচুর পোস্ট আসে (যদিও এডমিনদের পক্ষ থেকে পোস্টগুলো এপ্রুভাল হয় নি একই বিষয়ে গ্রুপ ভরপুর হয়ে যাবে বলে) কিভাবে আবার ফ্রি Twitter ইউজ করা যায়।তাই সবাইকে এয়ারটেল এ ফ্রি চালানোর কথা বলা হয়।যা এখন ও চলছে।তবে শুধুমমাত্র মোবাইল ইউজারদের জন্য।
    তারপর আসা যাক ফ্রি ফেসবুক এর কথায়।জিপির তখন ও ৫ কোটি গ্রাহক পূর্ণ হয় নি।তাই টার্গেট পুরণ করতে খুব চতুরতার সাথে এফবি ফ্রি করে দেয়।আর আমাদের মত একদল তরুণ তা সোশ্যাল মিডিয়াগুলোতে প্রচার করতে থাকে।এতে করে জিপি নতুন সিম কিনার ধুম পরে যায়।সাথে সাথে যত অব্যবহৃত সিম ও ছিল কয়েক দিনের মধ্যে সব চালু হয়ে যায়।জিপির অফিসিয়ালি ফ্রি ফেসবুক প্রচার করার আগে তা বিদ্যুৎ বেগে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে।দেখলেন তো জিপির বিজনেস পলিসি।অল্প দিনেই টার্গেট পুরণ হয়ে যায়।এখন কি একটা বের করছে ৩০ মিনিট ফ্রি এফবি।তা ঢুকতে আর বের হতেই তো শেষ হয়ে যায়।তার চেয়ে বরং এয়ারটেল ই ভালো। পিসি তে ও ফ্রি চলে।সাথে এফবির ভিডিও গুলো  ও দেখা যায়।
    ব্যবহারকারী দের ধরে রাখার জন্য ফ্রি ফেসবুক এর সাথে হোয়াটসঅ্যাপ ফ্রি করে দেওয়া হয়।তখন ও কলিং অপশন চালু হয় নি।তারপর ও লোকের উপচে পড়া কে রোখে? রাস্তা ঘাটে বের হলেই তরুণদের দেখা যায় মোবাইল হাতে সামাজিক মাধ্যমে ব্যস্ত। আমার এক আঙ্কেল, যে কিনা আগে আমাদের বলতো নেট এ তোরা সারাদিন কি কর?সে এখন কি রাত কি দিন নেট এ পড়ে থাকে।সামনে আসছে শুভদিন। জানি একটা শক খাবে!!! ১৯ তারিখ থেকে ফ্রি whatsapp বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে।এয়ারটেল এ ইতোমধ্যে বন্ধ হয়ে গেছে।
    তবে ২১ তারিখ থেকে internet.org এর মাধ্যমে এফবির প্রতিষ্ঠাতা জুকারবার্গ ফ্রি ইন্টারনেট সেবা সবার হাতে পৌছে দিতে বিশেষ উদ্দোগ নিয়েছে।এতে এফবি সহ আর কয়েকটি সরকারি সাইট ফ্রি ব্যবহার করা যাবে বলে জানানো হয়।তবে সারা দেশে কবে নাগাদ এ সেবা পাওয়া যাবে তার কোন বিশেষ উল্লেখ নেই।
    জিপির কাস্টমারদের প্রতি অবহেলার  কথা বলে শেষ করা যাবে না। এরই মধ্যে ফেসবুক,টুইটার সহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় ফ্রি হোয়াটসঅ্যাপ বহাল রাখার দাবিতে নেটিজেন রা ক্ষোভে ১০-১২ জিপি সিম বন্ধ করার আহবান জানিয়েছে। আপনি ও সবার সাথে আওয়াজ দিতে পারেন।সবাই 158 এ ফ্রি কল করেন আর কাস্টমার কেয়ারে তুফান ছুটান ।
    সবাইকে একটা অনুরোধ। সবাই gpসিম দিয়ে ১৫৮ এই নম্বরে ফোন দিন এবং অনান্য অভিযোগ অপশন টি সিলেক্ট করুন। তার পর আপনাকে ২৪ ঘন্টার মধ্যে জিপির কাষ্টমার কেয়ারের শালারা ফোন দিবে। সবাই একই অভিযোগ দিবেন সেটা হলো whatappsফ্রি চালাতে চাই। যদি ১লক্ষ কাষ্টমার একই অভিযোগ দেয় তবে whatapps ফ্রি করে দিবে। মেসেজটি সবাই শেয়ার করে বন্ধুদের ছড়িয়ে দিন। সবাই একই অভিযোগ দিলে জিপি শালায় হোয়াটএপস ফ্রি করে দিতে বাধ্য। 158 এ নম্বরটি সকল সিমের অভিযোগ দেওয়ার সার্ভিস নম্বর। এ নম্বরে ফোন দিন ফ্রি। কোন টাকা কাটবে না। মেসেজটি সকল গ্রুপে কপি করে ছড়িয়ে দিন। আমরা আবার ফ্রি হোয়াটএপস চাই।সবার আন্তরিক প্রচেষ্টায় জিপি তার ডিজুস ইউজারদের জন্য নাইট প্যাকেজ এক্টিভ রাখতে বাধ্য হয়েছিল।আমরা আবার ও তা প্রমাণ করব।
    তরুণদের জয় হবেই হবে। নজরুল এর একটা বাণী দিয়ে শেষ করছি
    "আমরা যদি না জাগি মা কেমনে সকাল হবে,
    তোমার ছেলে উঠলে মাগো রাত পোহাবে তবে।"

    Tuesday, 7 April 2015

    থানকুনি,প্রকৃতির এক অশেষ নেয়ামত

    বাংলা নাম থানকুনি । অঞ্চলভেদে এটি টুনিমানকুনি,টেয়া,মানকি, তিতুরা,থানকুনি, আদামনি, ঢোলামানি,থুলকুড়ি, মানামানি , ধূলাবেগুন,আদাগুনগুনি নামে পরিচিত । বহু রোগের ডাক্তার এই পাতাটির ইংরেজি নাম Indian Pennywort,ল্যাটিন নাম Centella asiatica,বৈজ্ঞানিক নাম Centella asiatica Urban এবং পরিবার Mackinlayaceae । স্বাদটা একটু তিতকুটে, তবে কার্যকরণ বেশ উপকারী। অসংখ্য রোগের উপশম মেলে এই থানকুনি পাতা খেলে।
    চটজলদি রোগ নিরাময়ের জন্য আমরা অনেকেই অ্যালোপ্যাথির দ্বারস্থ হয়ে যাই। কষ্ট লাঘবে তখন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার বিষয়টা মাথায় থাকে না। বিশেষ করে টাইফয়েড ডায়রিয়া,কলেরার মতো পেটের রোগে অ্যান্টিবায়োটিকও চলে আকছার। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াযুক্ত ওই সব ওষুধগুলির দামও অনেক সময় নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে হয়ে যায়।অথচ আমাদের হাতের কাছেই কিছু ভেষজ গাছ রয়েছে ,যেগুলি অত্যন্ত অল্প দামে বা একটু খুঁজলে বিনামূল্যেও পাওয়া যায়,আমরা জানি না।অনেক সময় জেনেও,বিশ্বাস হয় না। তেমনই একটি ভেষজ উদ্ভিদ হল থানকুনি।থানকুনি আমাদের অতিপরিচিত পাতা।পুকুরপাড় বা জলাশয়ে হামেশাই

    দেখা মেলে। কথায় বলে , পেট ভালো থাকলে মনও ফুরফুরে থাকে।চিকিত্সকরাই বলছেন, থানকুনি পাতার এমন ভেষজ গুণ রয়েছে , মিয়মিত খেতে পারলে,পেটের অসুখে কোনও দিনও ভুগতে হবে না।শরীর- স্বাস্থ্য তো সতেজ থাকেই , ছোট থেকে খাওয়াতে পারলে বুদ্ধিরও বিকাশ হয়।
    দেখে নেওয়া যাক, থানকুনি পাতার ভেষজ গুণগুলি :

    ১. পেটের রোগ নির্মূল করতে থানকুনির বিকল্প নেই। নিয়মিত খেলে যে কোনও পেটের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। একই সঙ্গে পেট নিয়ে কোনও দিনও সমস্যায় ভুগতে হয় না।

    ২. শুধু পেটই নয় , আলসার, এগজিমা ,হাঁপানি - সহ নানা চর্মরোগ সেরে যায় থানকুনি পাতা খেলে। ত্বকেও জেল্লা বাড়ে।

    ৩ . থানকুনি পাতায় থাকে Bacoside A ও B। Bacoside B মস্তিষ্কের কোষ গঠনে সাহায্য করে ও রক্ত চলাচল বাড়ায়। থানকুনি পাতা নিয়মিত খেলে স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়।

    ৪ . থানকুনি স্নায়ুতন্ত্রকে সক্রিয় রাখতে সাহায্য করে।

    ৫ . মৃতকোষের ফলে চামড়ায় অনেক সময়ই শুষ্ক ছাল ওঠে। রুক্ষ হয়ে যায়।থানকুনি পাতার রস মৃতকোষগুলিকে পুনর্গঠন করে ত্বক মসৃণ করে দেয়।

    ৬ . পুরনো ক্ষত কোনও ওষুধেই না সারলে,থানকুনি পাতা সিদ্ধ করে তার জল লাগালে সেরে যায়। সদ্য ক্ষতে থানকুনি পাতা বেটে লাগালে , ক্ষত নিরাময় হয়ে যায়।

    ৭. থানকুনি পাতা চুল পড়া আটকে দেয়। এমনকি নতুন চুল গজাতেও সাহায্য করে।

    ৮. বয়স বাড়লেও, যৌবন ধরে রেখে দেয় থানকুনি পাতার রস। প্রতিদিন একগ্লাস দুধে ৫ - ৬ চা চামচ থানকুনি পাতার রস মিশিয়ে খেলে, চেহারায় লাবণ্য চলে আসে। আত্মবিশ্বাসও বেড়ে যায়।

    ৯. দাঁতের রোগ সারাতেও থানকুনির জুড়ি মেলা ভার। মাড়ি থেকে রক্ত পড়লে বা দাঁতে ব্যথা করলে একটা বড় বাটিতে থানকুনি পাতা সিদ্ধ করে , তারপর ছেঁকে নিয়ে সেই জল দিয়ে কুলকুচি করলে উপকার পাওয়া যায় চটজলদি।

    ১০. থানকুনি পাতা বেটে ঘিয়ের সঙ্গে জ্বাল দিয়ে ঠাণ্ডা করে তা ক্ষত স্থানে লাগালে উপকার পাওয়া যায়।

    ১১.অপুষ্টির অভাবে, ভিটামিনের অভাবে চুল পড়লে পুষ্টিকর ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবারের

    পাশাপাশি ৫-৬ চা চামচ থানকুনি পাতার রস দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে।

    ১২. মলের সঙ্গে শ্লেষ্মা গেলে, মল পরিষ্কারভাবে না হলে, পেটে গ্যাস হলে,কোনো কোনো সময় মাথা ধরা এসব ক্ষেত্রে ৩-৪ চা চামচ থানকুনি পাতার গরম রস ও সমপরিমাণ গরুর কাঁচা দুধ মিশিয়ে খেতে হবে। নিয়মিত খেলে উপকার পাবেন।

    ১৩. মনে না থাকলে আধা কাপ দুধ, ২-৩ তোলা থানকুনি পাতার রস ও এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেতে হবে।

    ১৪.ঠাণ্ডায় নাক বন্ধ হলে, সর্দি হলে থানকুনির শিকড় ও ডাঁটার মিহি গুঁড়ার নস্যি নিলে উপকার পাওয়া যায়।
    [[উল্লেখ্য: ছোট্ট এই উদ্ভিদটি বাড়ির ছাদে কিংবা বারান্দায় টবেও চাষ করা যায়।]]

    Saturday, 4 April 2015

    ওজন কমাবে সঠিক ডায়েট প্লান আর সচেতনতা

    আমার মত যারা শরীরের অতিরিক্ত ওজন ভয় পান,তারা পোস্ট টি একটু দেখে নিতে পারেন। আর যাদের হাতে এখন সময় নাই,তারা পোস্ট টি শেয়ার করে ফেসবুক টাইমলাইন এ রেখে দেন।
    আধুনিকতার এই যুগে নানা কারণেই বাড়ছে আমাদের শরীরের ওজন। কি নারী আর কি পুরুষ কেউই রেহাই পাচ্ছেন না এ থেকে। তার জন্য কেউ বা ছুটছেন জিমে আবার কেউ বা করছেন ডায়েটিং তার সাথে আরো যে কত্তো আয়োজন! কিন্তু মাথার উপর
    খাঁড়ার মতো ঝুলছে লক্ষ্যপূরণের চাপ। সময় কোথায় এত কিছু মেইনটেন করার? এ দিকে আবার আমাদের স্লিম বডি চাই। তাই কম সময়ে স্লিম-ট্রিম হওয়ার কিছু পন্থা রইল আপনাদের জন্য।মোটা দেহ নিয়ে কারো চোখে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তোলা যায় না।মানুষ মোটা হয় শর্করা ও স্নেহজাতীয় পদার্থের ফলে।প্রতিদিন স্বাভাবিকের
    চেয়ে ৫০০ ক্যালরি খাবার কম খেলে প্রায় ১ পাউন্ড ওজন কমানো যায়।ক্যালরি কম গ্রহণ করলে দেহাভ্যন্তরে বাড়তি মেদ ভেঙে গিয়ে দেহকে বাড়তি ক্যালরি জোগান দেয়।
    সাধারণত একজন প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ে প্রতিদিন ১০০০ ক্যালরি খাবার গ্রহণ করে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।মহিলাদের ক্ষেত্রে কোমরের মাপ ৮০ সেন্টিমিটার বা ৩১.৫ ইঞ্চি পর্যন্ত স্বাভাবিক ধরা যেতে পারে। তবে মহিলাদের কোমরের মাপ ৮৮ সেন্টিমিটার বা ৩৪.৬ ইঞ্চি থেকে বেশি হলে অত্যন্ত সতর্ক হতে হবে।ডায়েটিং করলেই মেদ কমানো যায় না।খাবারের মধ্যে কার্বোহাইড্রেট ও ফ্যাট জাতীয় জিনিস না খেয়ে বেশি করে প্রোটিন জাতীয় খাবার খাবেন। প্রচুর পানি, শাকসবজি ও ফলমুল বেশি করে খাবেন।সুস্থ জীবনযাপনে ওজন এক বিশেষ শত্রু। একবার দেহের ওজন বৃদ্ধি পেলে সহজেই তা কমানো যায় না।ওজন কমাতে আপনার নিজের ব্যাপার নিয়ে নিজেই দায়িত্ব নিতে হবে। কিন্তু তাই বলে নিতান্তই একা নন। আপনি মানসিক জোর পেতে পারেন আপনার সঙ্গীর কাছ থেকে, বন্ধুদের কাছ থেকে। এমন মানুষ নির্বাচন করুন যে কিনা আপনাকে মূল্য দেবে এবং আপনার কথা শুনবে। আপনার শরীর চর্চার সময় আপনাকে সঙ্গ দেবে। ওজন কমানোর জন্য আগে জানতে হবে আপনার আদর্শ ওজন কত, আদর্শ ওজনের চেয়ে কত বেশি আছে, কোন শারীরিক সমস্যা আছে কিনা, এই বিষয়গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জেনে তারপর ওজন নিয়ন্ত্রণে মনোযোগী হতে হবে। ওজন নিয়ন্ত্রণের জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন আপনার একান্ত আগ্রহ আর মোটিভেশন ।রাতে ঘুমাতে যাওয়ার অন্তত ২ ঘণ্টা আগে রাতের খাবার খেয়ে নিন। প্রতিবেলা খাবার আগে অবশ্যই এক গ্লাস পানি পান করুন ।ক্ষুধা না পেলে কখনই খাবনে না।সপ্তাহে অন্তত একদিন নিজের ওজন মাপুন।ফোনে কথা বলার সময় হাটুন ।সুস্থ্ থাকতে এবং ওজন কমানোর জন্য বেশি খাওয়া বন্ধ করতে হবে।অল্প তেলে রান্না করার অ্ভ্যাস গড়ে তুলুন।ঝোল করে তরকারি রান্না করুন, এতে তেল কম লাগে। ১ চা চামচ কম তেলে রান্না করলে আমরা ১২৪ ক্যালোরি সেভ করতে পারি ।অতিরিক্ত লবণ খাওয়া পরিহার করতে হবে। কারণ, লবণ শরীরের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে।পেটের মেদ এর সাথে হার্টের সমস্যা থেকে শুরু করে ডায়াবেটিস ও অন্যান্য সমস্যার জোরালো সম্পর্ক খুঁজে পাওয়া যায়।পেটের মেদ কমাতে হলে প্রয়োজন পুরো শারীরিক ব্যায়াম।৪০ থেকে ৪৫ মিনিট হালকা জগিং বা জোরে হাটার পর রক্তে চলমান ফ্যাট শেষ হয়ে দেহে সঞ্চিত ফ্যাট ভাঙতে থাকে। তাই এই ৪০ বা ৪৫ মিনিটের পর আপনি যদি ১০ বা ১৫ মিনিট ও জগিং বা জোরে হাঁটতে পারেন, তাহলেই প্রতিদিন একটু একটু করে আপনার জমান চর্বি কমতে থাকবে।পেটে, নিতম্বে, কোমরে ফ্যাট সেল বেশি থাকে ;বংশগত কারণেও মানুষ মোটা হতে পারে। ‘ওব জিন’ নামের এক ধরনের জিন থাকে ফ্যাট সেলের মধ্যে।এগুলো ল্যাপটিন নামের এক রকম হরমোন তৈরি করে। আবার যাদের দেহে ব্রাউন এডিপোজ টিস্যু বেশি থাকে তারা মোটা হয় না ।কোমরে আর পেটে চর্বি জমাতে যেমন সহজ। ঠিক ততটাই কঠিন সেই চর্বি কমিয়ে ফেলা। কিন্তু কিছু ভালো অভ্যাস ও সাধারণ কিছু ব্যায়াম ধৈর্যের সাথে চালিয়ে গেলে একদিকে বাড়তি মেদ যেমন ঝরবে অন্যদিকে শরীরটা মুটিয়ে যাবার ভয়টাও কমে আসবে অনেকাংশেই। ওজন কমানোর মুল মন্ত্র হল মটিভেসন ও একাগ্রতা।শুধু
    ব্যায়াম করলেই অনেক সময় মেদ কমে না, এর জন্য আপনাকে খাবার গ্রহণে সতর্ক হতে হবে।খাবারে প্রচুর পরিমানে আঁশ জাতীয় খাদ্য যেমন শাক সবজি রাখুন। চর্বি জাতিয় খাবার কম খান।ফাস্ট ফুড খাওয়া বন্ধ করতে হবে।নিয়ম মেনে পরিমিত ব্যায়াম করে গেলে ও খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তন করলে পেটের মেদই শুধু নয়, সারা দেহের মেদ কমিয়ে কাঙ্ক্ষিত ফিগার পেতে পারি।
    বাড়তি ওজনের জন্য যেকোনো ধরনের হৃদরোগ হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।মেদবহুল ব্যক্তির জরায়ু, প্রস্টেট ও কোলন ক্যান্সারের সম্ভাবনা শতকরা ৫ ভাগ বেশি।আজকাল অপারেশনের সাহায্যেও ভুঁড়ি কিংবা মেদ কমানো হচ্ছে।মেদ বা ভুঁড়ি কোনোভাবেই সুস্বাস্থ্যের লক্ষণ নয় বরং নানা অসুখের কারণ- একথা মনে রাখবেন।আমিষ বা প্রোটিন খেলে শরীরে জমে থাকা চর্বি কমে যায়। কারণ এই চর্বি শরীরকে শক্তি বা ক্যালরির যোগান দেয়।স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে নির্দিষ্ট পরিমাণ রান্না মাংস খেলে আমিষের ঘাটতি কেটে যায় এবং মেদও কমে, সামুদ্রিক মাছও হতে পারে আমিষের ভালো উৎস। এ ধরনের মাছে উপকারি চর্বি ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড রয়েছে। মাছ মেদ কমায়,বিষন্নতা দূর করে,হৃদস্বাস্থ্য ভালো রাখে।খাবার সঙ্গে চা পান করা চর্বির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আরেক উপায়।সারা দিনে অন্তত দুই লিটার পানি পান করবেন। এর ফলে আপনার বাড়তি ১০০ ক্যালরি খরচ হবে। অতিরিক্ত ঘুম,মানসিক চাপ, স্টেরয়েড এবং অন্য নানা ধরনের ওষুধ গ্রহণের ফলেও ওজন বাড়তে পারে ।নিয়মিত হাঁটা সবচেয়ে ভালো ব্যায়াম। প্রতিদিন নিয়ম করে ১ ঘণ্টা হাঁটতে পারলে খুবই ভালো। সাইকেল চালানো ও সাঁতার কাটাও খুব ভালো ব্যায়াম।ভুঁড়ি কমাতে কিছু আসনের সাহায্য নেয়া যেতে পারে। এগুলোর মধ্যে ত্রিকোণ আসন,একপদ উত্থান আসন, পবন মুক্তাসন, পশ্চিমোত্থানাসন খুবই কার্যকর।কাঁচা পেঁপে, শশা, গাজর, লেটুস বা ধনিয়া পাতার সালাদ ওজন কমাতে রাখে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। পেঁপে যুদ্ধ করে দেহের বাড়তি মেদের বিরুদ্ধে। অতিরিক্ত ওজনের কারনে পায়ে ব্যথা হয় । ওজন কমানোর জন্য আপনার থাকতে হবে- ১০০% ইচ্ছা শক্তি,ধৈর্য্য , ১০০% ডায়েট চার্ট মেনে চলা,প্রতিদিন নিয়ম করে ১ ঘন্টা হাঁটা। অভিনেত্রী মৌ ২০ কেজি ওজন কমিয়েছেন এবং গায়ক আদনান সামী ওজন কমিয়ে দেখিয়েছেন ।হেঁটে যতটুকু ক্যালরি খরচ হলো ঠিক ততটুকু বা তার বেশি ক্যালরি গ্রহণ করা হলে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে হাঁটাই বৃথা।আপনার ওজন কমানোর প্রধান হাতিয়ার হিসেবে প্রচুর পানি পান করুন।অনেকেই ওজন কমাতে চান। কিন্তু কোনো কষ্ট করতে রাজি না।
    বাঁধাকপিকে ওজন কমানোর আরেকটি কার্যকর উপায় হিসেবে ধরা হয়। বাঁধাকপি মিষ্টি ও শর্করাজাতীয় খাবারকে চর্বিতে রূপান্তর করতে বাধা দেয়। এ জন্য বাঁধাকপি খুবই কার্যকর ভূমিকা রাখে ওজন কমাতে।এটিকে কাঁচা অথবা রান্না করেও খাওয়া যায়।আগে যেখানে তিনটি রুটি খেতেন,সেখানে দুটি খান। ভাতের ক্ষেত্রেও তাই।
    ধীরে ধীরে ভাতের পরিমাণও কমিয়ে আনতে পারেন।যেটুকু খাবার কমিয়ে দিচ্ছেন,সেই জায়গাটা ফলমূল ও সবুজ সবজি দিয়ে পূরণ করুন।গাজর, টমেটো, কাঁচা-পাকা পেঁপে,শসা রাখতে পারেন খাদ্যতালিকায়। রিকশার পথটুকু হেঁটে যান, আর ফেরার পথে বিকেলের বাতাস খেতে খেতে হেঁটে আসুন বাসায়। ওজন কমানো এ আর এমন কঠিন কী!
    প্রতিদিন এই ব্যায়াম করুন- চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। হাত দুটো সোজা কানের দুই পাশ ঘেসে মাথার উপরে মাটিতে শোয়ানো থাকবে,পা মাটিতে শোয়ানো থাকবে। শ্বাস নিতে নিতে উঠে বসুন (উঠার সময় কনুই দিয়ে মাটিতে ভর দিবেন না, হাত কানের পাশ দিয়ে মাথার উপর উঠানো থাকবে) এবং দুই হাত একসাথে মাথার উপর থেকে নামিয়ে শরীরের দুই পাশ দিয়ে সামনে হাত বাড়ানো অবস্থায় বসুন।এবার শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে পায়ের আঙ্গুল ছুতে চেষ্টা করুন। যতটুকু পারুন পায়ের আঙ্গুলের দিকে আগান (প্রথম প্রথম পেটের মেদের কারণে আঙ্গুল ছুতে পারবেন না, মেদ কমে গেলে এরপর পারবেন), এরপর থেমে শ্বাস নিতে নিতে আবার শরীর ঝুকানো অবস্থা থেকে সোজা বসে থাকা অবস্থায় ফিরে যান।এরপর শ্বাস ছাড়তে ছাড়তে আগের মত করে শুয়ে পড়ুন। এভাবে ১০ বার করুন।মিষ্টি জাতীয় খাবার বাদ। ফাস্ট ফুড,অয়েলি খাবার বাদ। রিচ ফুড/পোলাও/বিরানী এইসব বাদ।দুপুর ২ টায় লাঞ্চ।ভাত ২ কাপ। শাক ১.৫ কাপ।মুরগী বা মাছ ২ টুকরা।ডাল ১ কাপ। মিক্সড ভেজিটেবল ১ কাপ। সালাদ ১.৫ কাপ (লেবুসহ)। মধুতে যদিও চিনি থাকে, কিন্তু এতে ভিটামিন ও মিনারেল থাকার কারণে এটি সাধারণ চিনির মত ওজন না বাড়িয়ে, কমায় ।কারণ সাধারণ চিনি হজম করতে আমাদের শরীর নিজের থেকে ভিটামিন ও মিনারেল খরচ করে, ফলে এই সব পুষ্টি উপাদানের ঘাটতি হয়। এই সব উপাদান ফ্যাট ও cholesterol কমাতে বা ভাঙ্গতে সাহায্য করে। লেবু ওজন কমাতে সাহায্য করে। ১০০% মেনে চলা মুশকিল,এটা আমিও বুঝি কিন্তু পারতে হবে।অনেকে টিভি দেখতে দেখতে বাড়তি খাবার খেতে পছন্দ করে। তবে ওজন কমাতে চাইলে এই অভ্যেস বাদ দিতে হবে।রাতে খাওয়া ছেড়ে দেন অনেকেই। রাতে একদম না খেয়ে থাকা স্বাস্থ্যের জন্য খুব ক্ষতিকর। রাতের খাবার খেয়ে একটু হাঁটাচলা করুন, তারপর ঘুমাতে যান। দুপুরে ভরপেট খেয়ে ঘুম দিলে কিন্তু সর্বনাশ। ওজন:কমাতে চাইলে দুপুরের আরামের ঘুমটির কথা একদম ভুলে যান।
    আসুন না দেখি একটু সচেতন হয়ে, কিছু কৌশলের মাধ্যমে আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত ওজনের সাফল্যে পৌঁছাতে পারি কি না?নিয়মগুলো মেনে চলতে শুরু করেই দেখুন। কিছুদিনের মধ্যেই শরীর অনেক বেশি ফুরফুরে অনুভব করবেন। আর ওজন কমানো তো সময়ের ব্যাপার মাত্র।খুবই সাধারণ ও উপকারী এই নিয়মগুলো মেনে চলুন আর ফলাফল নিজেই উপলব্ধি করুণ।

    চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল এর পুষ্টিবিদ মোস্তফা আল মামুন এর কাছ থেকে পোস্ট টি সংগৃহীত।

    Thursday, 2 April 2015

    বাংলা কে তুলে ধরি বিশ্ববাসির কাছে

    কয়েক দিন আগের কথা ,মানে ২৬ শে মার্চ উপলক্ষে  যখন Google translate এ বাংলা ভাষার শব্দভাণ্ডার সমৃদ্ধ করার লক্ষে দেশ ব্যাপী প্রচারণা চালানো হয়,তখন আশাতীত ভাবে বাঙ্গালিরা সারা দেয়। Google Translate এ আমাদের প্রিয় মাতৃভাষা বাংলার জন্য দেশ-বিদেশ এর অনলাইন এক্টিভিস্টরা মাঠে নেমে যায় এবং কাজ শুরু করে দেয়।৪ লক্ষ শব্দ যোগ করার প্রত্যয় নিয়ে রাত- দিন সবাই নিরলস কাজ করে যায়।প্রত্যাশা ছিল একটাই, " ভাষা শহীদদের পবিত্র রক্তদান বৃথা যাবে না।২৬ শে মার্চ ৪ লক্ষ নতুন শব্দ দুনিয়ার জায়ান্ট সার্চ ইঞ্জিন গুগল ট্রান্সলেট এ যুক্ত হবেই হবে"। হ্যা,আমরা কিন্তু টিক ই করে দেখিয়েছি।। তবে আমরা আমাদের টার্গেটের চেয়েও বেশি শব্দ যুক্ত করে জগতবাসী কে দেখিয়ে দিয়েছি বাঙ্গালিরা অতীতেও ভাষার জন্য লড়েছে, এবং বর্তমানে ও লড়ে যাচ্ছে।খুব আনন্দ লাগছিল তখন, যখন ইলেক্ট্রনিক মিডিয়াগুলোতে দেখতে পেলাম "৭ লক্ষ বাংলা শব্দ গুগল ট্রান্সলেট এ" এই শিরোনাম টি ।ভাষার জন্য আমাদের কাজ কিন্তু এখনো শেষ হয়ে যায়নি। এখন সময় এসেছে Wikipedia কে বাংলা ভাষাভাষীদের জন্য সমৃদ্ধ করে তোলার। wikitionary তে ঢুকলে তো আমার মনটা একদম খারাপ হয়ে যায়,যখন দেখি আমাদের শব্দ ভাণ্ডারে মাত্র ১১৩৫ শব্দ।বাকি সহ-সাইট((উইকিবই,উইকিউৎস,উইকিখবর,উইকিউৎস,উইকিউক্তি,উইকিভ্রমণ,উইকিকমন্স,উইকিলিংক ইত্যাদি))  গুলোর কথা না হয় বাদ দিলাম। উইকির এই চৌদ্দতম বছরে আমাদের এশিয়ান দেশগুলো অনেক এগিয়ে গেছে।তাই সবার কাছে একটাই অনুরোধ,আসুন উইকির উন্নয়নে আমরা ও অংশীদার হই,এবং সাধ্যমত অবদান রাখি।এখন প্রায় সব অপারেটর রা উইকিপিডিয়া কে ফ্রি করে দিছে।কিছুদিন আগে যেখানে শুধুমাত্র জিরো উইকি ফ্রি ছিল।এটাতে অনেক ইউজার এর অসুবিধা হত তাই আমরা উইকিপিডিয়া নিয়ে তেমন কোনো পোস্ট করি নি।এখন যেহেতু পিসি তে ও ফ্রি Wikipedia ইউজ করা যাচ্ছে,তাই আবারো অনুরোধ করব একটু হলেও বাংলা ভাষার জন্য অবদান রাখেন। সবাই অনেক ভালো থাকবেন এই শুভ কামনায় শেষ করছি।।

    Sunday, 29 March 2015

    কিভাবে ইন্টারভিউ ফেস করবেন তার কার্যকরী কিছু টিপস


    ইন্টারভিউ নিয়ে সকলের মনেই কিছু না কিছু ভয়-ভীতি থেকে থাকে। কিভাবে তৈরি হবেন
    ইন্টারভিউ এর জন্য, এ নিয়ে সকলের মনেই প্রশ্ন
    থাকে। বর্তমান মার্কেটে ইন্টারভিউতে বিজয়ী হওয়া অনেক কষ্টসাধ্য ব্যাপার। তাই, আপনার সাধ্যমত চেষ্টা করুন,যাতে চাকরীটি পেয়ে যান।এখানে ইন্টারভিউ এর ব্যাপারে কিছু সাহায্যের চেষ্টা করা হল-
    # চাকরীর বৈশিষ্ট্যের সাথে আপনার দক্ষতা যাচাই করুন “আপনার ব্যাপারে কিছু বলুন”-এই
    প্রশ্নটি দিয়ে প্রায়ই ইন্টারভিউ শুরু করা হয়। কিন্তু,
    অধিক প্রার্থী এই প্রশ্নের ফাঁদে পরে যায় এবং তাদের জীবনের গল্প বলা শুরু করে দেন।আপনি আপনার বর্তমান দিয়ে শুরু করুন এবং এই চাকরীর জন্য আপনিই যোগ্য প্রার্থীতা ব্যাখ্যা করুন।
    # বাড়ির কাজ করে নিন কোম্পানি সম্পর্কে রিসার্চ করুন, এর ওয়েবসাইট, প্রেস রিলিজ এবং বিভিন্ন সংবাদ সম্পর্কে জেনে রাখুন। এতে আপনি তাদের প্রশ্নের উত্তর দেয়ার পাশাপাশি তাদেরকেও
    প্রয়োজনীয় প্রশ্ন করতে পারবেন।
    # শিল্প গবেষণা করুন শিল্প সম্পর্কে আপনার কোন পরিকল্পনা থাকলে তাদের সাথে শেয়ার করুন।পাশাপাশি তাদের চিন্তা-চেতনা সম্পর্কে জানার চেষ্টা করুন।শিল্প সম্পর্কে তাদের পরিকল্পনা ও প্রবণতা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করুন এবং আপনার মতামত ব্যক্ত করুন।
    # আপনার ইন্টারভিউ কৌশল চর্চা করুন আপনার বন্ধুদের সাথে ইন্টারভিউ এর চর্চা করুন। এতে তাদের সামনে যেয়ে আপনি ভীত হয়ে পড়বেন না। আপনার ভয়-ভীতি দূর হয়ে যাবে।
    # উদাহরন প্রস্তুত করুন আপনাকে তারা কেন
    কাজে রাখবেন? এমন প্রশ্নের জন্য অন্তত দুইটি উত্তর প্রস্তুত রাখুন। আপনার দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা অবশ্যই তাদের সামনে ভালভাবে প্রদর্শন করুন। দেখবেন ফলাফল আপনার পক্ষেই আসবে।
    # আপনি কি পরিধান করবেন তা নিশ্চিত হন
    আপনি অবশ্যই শেষ মুহূর্তে বিভিন্ন জিনিস নির্বাচন করতে যেয়ে সময় নষ্ট করবেন না। তাই আগে থেকেই কোন কাপড়টি পড়বেন তা নির্বাচন করে রাখুন।অগ্রিম পরিকল্পনা শেষ মুহূর্তে আপনার জন্য অনেক সাহায্যকারী হবে।
    # আপনার রুট পরিকল্পনা করুন একজন প্রার্থী যদি দেরিতে ইন্টারভিউ দিতে আসে, এর থেকে বেশী খারাপ কিছু আর নেই। তাই অবশ্যই
    ইন্টারভিউ শুরু হবার ১৫ মিনিট আগেই পৌঁছানোর চেষ্টা করুন।
    # সন্দেহ থাকলে, জিজ্ঞেস করুন চাকরীর ব্যাপারে কোন প্রশ্ন থাকলে অবশ্যই তা সরাসরি জিজ্ঞেস করুন। এতে আপনার সন্দেহ দূর হবে এবং তারা আপনার মাঝের আস্থা দেখতে পাবে।
    # নিজের মান বজায় রাখুন ইন্টারভিউ এর আগে ভয় পাওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু, যতটা পারবেন
    নিজেকে স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করুন।

    Sunday, 22 March 2015

    ওজন বাড়াবে যে ২০ টি খাদ্য

    আপনি ও কি তাদের মধ্যে একজন? যারা তাদের ওজন কিভাবে একটু বাড়াবেন তার জন্য চেষ্টা করছেন!!কিন্তু ওজন বাড়াতে গিয়ে যেন আবার বাংলা সিনেমার জাম্বুর মত হয়ে না যান!! অনেকেই ওজন বাড়াতে গিয়ে ভুল করেন,ফলে শরীরে দেখা দেয় নানান সমস্যা। তাই আজ জেনে নিন স্বাস্থের সঠিক বৃদ্ধির জন্য ২০টি সঠিক খাদ্যের তালিকা। খাদ্য গ্রহণ এর মাধ্যমে আপনি যদি ওজন বাড়াতে চান তাহলে আপনাকে উচ্চ-ক্যালোরির জাঙ্ক ফুড অথবা কেবল পুষ্টিকর খাদ্য খেলেই হবে না [[জাংক ফুড অনেক রোগের কারণ]] । আপনাকে এমন খাদ্য বেছে নিতে হবে যাতে পুষ্টির ও শক্তি উভয়ই আছে পরিমাণ মত।

    এখন আপনার জন্য ২০টি খাদ্যের তালিকা রইল যা খেলে আপনি সু-স্বাস্থ্যের জন্য পাবেন সঠিক পরিমাণ পুষ্টি:
    ১। চিনাবাদামের মাখনঃ সকালের নাস্তায় রুটিতে হালকা করে চিনাবাদামের মাখন মেখে খেতে পারেন। এটি আপনাকে যথেষ্ট পরিমাণ শক্তি দিবে প্রায় ১৯২ ক্যালরি!
    ২। একটা গোটা ডিমঃ এটি প্রোটিন ও তিন রকমের ভিটামিনে পরিপূর্ণ। এতে আছে ভিটামিন A, D,Eএবং প্রচুর পরিমাণ কলেস্টেরল।
    ৩। বাদাম ও মধু সমৃদ্ধ খাবারঃ সকালের নাস্তা হিসেবে বাদাম ও মধু সমৃদ্ধ খাবার আপনার নাস্তার তালিকায় রাখুন। এতে আপনি পাবেন প্রায় ৫০০ ক্যালরি। এছাড়া এটি এমন একটি খাবার যা আপনার সকালের নাস্তাকে সু-স্বাদু করে তুলবে।
    ৪। মাখনঃ মাখন আপনাকে দীর্ঘ মেয়াদী ওজন বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে। তবে মাখন খেতে হবে পরিমাণ মত। কারন প্রচুর পরিমাণ মাখন আবার আপনার হার্টে সমস্যা করতে পারে।
    ৫। বন রুটিঃ বন রুটিতে থাকছে অতিরিক্ত ক্যালরি এবং প্রচুর পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট।
    ৬। ভুট্টা রুটিঃ ভুট্টার রুটি খেতে পারেন সকালে বা বিকেলে। ভুট্টাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট। আপনি সুপের সাথে ভুট্টার রুটি খেতে পারেন।
    ৭। পনিরঃ এক চামচ পনিরে থাকে ৬৯ ক্যালরি শক্তি।পনির তৈরি করা হয় দুধ থেকে তাই এতে থাকে প্রচুর প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, চর্বি ও কলেস্টেরল।
    ৮। ফলের রসঃ ফলের রস হচ্ছে ওজন বাড়ানোর স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর পথ। ১০০% ফলের রস আপনার শরীরে দেবে প্রচুর পরিমাণ চিনি ও পুষ্টি।
    ৯। পাস্তা ও নুডুলসঃ পাস্তা ও নুডুলস খাদ্যশস্য ও শর্করার একটি ক্যালোরি সমৃদ্ধ খাদ্য যোগান তাই এটি একটি সুস্থ এবং উচ্চ ক্যালোরি খাবার হিসাবে পরিচিত। আপনি প্রতিদিন পরিমাণ মত পাস্তা অথবা নুডুলস খেতে পারেন।
    ১০। চিংড়িঃ চিংড়িতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিকর ও প্রয়োজনীয় এসিড যা আপনার স্বাস্থ্য বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
    ১১। গমের পাউরুটিঃ গমের পাউরুটি খেয়ে আপনি পেতে পারেন ৬৯ ক্যালোরি শক্তি। এর ফলে আপনার ওজন বৃদ্ধি হবে।
    ১২। শুকনো ফলঃ আপনি দ্রুত ক্যালোরি পেতে পারেন শুকনো ফল খেয়ে। শুকনো ফলে পাকা ফলের মতই প্রচুর পরিমাণ ক্যালোরি থাকে।
    ১৩। যবের রুটিঃ যবের রুটিও হতে পারে আপনার সকালের নাস্তার জন্য উপযুক্ত। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে ফাইবার ও পুষ্টি।
    ১৪। দইঃ দই আপনাকে ১১৮ ক্যালোরির সমপরিমাণ শক্তি যোগাবে। এটা চর্বি বিহীন শক্তিকর খাবারের মধ্যে অন্যতম। আপনার প্রতিদিনের খাদ্য তালিকাতে দই অন্তর্ভুক্তি করুন।
    ১৫। স্বাস্থ্যকর চর্বি ও তেলঃ আপনার খাদ্য তালিকাতে পরিমাণ মত চর্বি যুক্ত করুণ এর ফলে আপনার ক্যালোরির অভাব পুরন হয়ে যাবে। ভোজ্য তেল হিসেবে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
    ১৬। বাদামী চালঃ বাদামী চাল আপনাকে প্রচুর পরিমান কার্বোহাইড্রেট ও স্বাস্থ্য বৃদ্ধির উপাদান ফাইবার দিবে।
    ১৭। কলাঃ একটি কলাতে থাকে ১০০ ক্যালোরি। কলাতে ক্যাবল ক্যালোরি থাকে তাই নয় এটি আপনার কর্ম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
    ১৮। বাদাম এবং বীজঃ স্বাস্থ্য বৃদ্ধির জন্য বাদাম ও বীজ খেতে হবে। বাদাম ও বীজে রয়েছে পলি-আনসেচারেতেড চর্বি যা আপনার স্বাস্থ্য বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে।
    ১৯। মটরশুটিঃ নিরামিষীদের জন্য মটরশুটি প্রোটিনের প্রধান উৎস। তাই আপনি মটরশুটি প্রাণীজ আমিষের বিকল্প হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন।
    ২০। আলুঃ আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমানে কার্বোহাইড্রেট ও কমপ্লেক্স সুগার। নিয়মিত রান্না ও সিদ্ধ আলু খাওয়ার মাধ্যমে আপনি আপনার স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করতে পারেন।
    আমরা আমাদের এই ব্লগ কে শিক্ষণীয় পোস্ট এর মাধ্যমে সবার কাছে ছড়িয়ে দিতে চাই।তাই আপনি ও আমাদের ব্লগের একজন সঙ্গি হন।।

    Wednesday, 18 March 2015

    Linux, When On Your Computer

    কে সে কিংবদন্তি যার কারনে আজ আমরা  Linux এর ফ্রি জগতে ঢুকতে পারছি ?
    ১৯৬৯ সালের ডিসেম্বরে যখন ছেলেটার জন্ম হয় তখনই কি সাংবাদিক এবং কবি ওলে টরভাল্ডস
    বুঝতে পেরেছিলেন যে তার নাতি একদিন বিশ্ব
    কাঁপাবে? ওলে টরভাল্ডসের ছেলে নিল্স বা ছেলের
    বউ এ্যানাও মনে হয় বুঝেছিল যে তাদের ছেলেকে একদিন পুরো বিশ্ব চিনবে এক নামে।সেজন্যই বোধহয় নোবেল প্রাইজ বিজয়ী আমেরিকান
    কেমিস্ট “লিনুস পলিং” এর নামানুসারে ছোট্ট
    ছেলেটির নাম রাখেন লিনুস বেনেডিক্ট টরভাল্ডস।
    দাদা ছিলেন একাধারে কবি ও সাংবাদিক, বাবা-
    মা দুজনেই সাংবাদিক, তাই চোখ বন্ধ করেই বলে দেয়া যায় ছোট্ট লিনুস বড় হলে এই লেখালেখির
    জগতকেই আপন করে নিবে।লেখালেখির জগৎকে লিনুস আপন করে নিয়েছিল ঠিকই তবে সেটা অন্য ধরনের লেখালেখি আর জগৎটাও হচ্ছে অন্যরকম। ডিজিটাল জগতে কোড লেখালেখিতেই যেন এই ছেলের মূল আনন্দ।
    https://lh4.googleusercontent.com/_EDofRdU4POQ/Tc-0_b8DN5I/AAAAAAAAAPU/Xd_99KGxMFE/linus.jpg
    ছোটবেলা থেকেই ছেলেটা একটু মুখচোরা ধরনের
    ছিল, কারো সাথে তেমন মিশতোনা, অন্যদের
    সাথে খেলাধূলাতেও নেই সেরকম উৎসাহ।বাবা অনেক চেষ্টা করলেন ছেলেকে কিছুটা সামাজিক করতে কিন্তু সব চেষ্টাই বিফলে গেল। ছেলে থাকে নিজের মত করে। তবে আর কেউ বুঝতে পারুক আর না পারুক,লিনুসের নানা কিন্তু ঠিকই তার নাতিকে চিনেছিলেন।ফিনল্যান্ডের বিখ্যাত হেলসিংকি ইউনিভার্সিটির পরিসংখ্যানের প্রফেসর এই ভদ্রলোক নাতিকে তাই কিনে দিলেন একটা কম্পিউটার – “কমোডোর ভিআইসি টুয়েন্টি”।জীবনের প্রথম পারসোনাল কম্পিউটার পেয়ে লিনুসতো মহাখুশি! কিন্তু কম্পিউটারের সাথে দেয়া অল্প কিছু প্রোগ্রাম নিয়ে কাজ করার পর অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই সেই খুশিটা উধাও হয়ে গেল। তারপর আর কোন উপায় না দেখে লিনুস নিজেই বসে গেলেন প্রোগ্রাম লিখতে। বেসিক দিয়ে শুরু করলেও পরে এ্যাসেম্বলি ল্যাংগুয়েজের দিকে ঝুঁকে পড়লেন তিনি। ধীরে ধীরে প্রোগ্রামিং আর গনিতই হয়ে পড়ল তার জীবনের একটা বড়সর অংশ।
    আধ পাগলা লোকটাঃ
    এমআইটির আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ল্যাবে ক্যারিয়ার শুরু করা রিচার্ড স্টলম্যান আধপাগলা ছিল না পুরা পাগলা ছিল সেটা গবেষনার বিষয়। কিন্তু এটা ঠিক যে এই লোকটির জন্যই আজকে পৃথিবীতে মুক্ত সফটওয়্যারের জোয়ার শুরু হয়েছে। আশির দশকের প্রথমভাগে কমার্শিয়াল সফটওয়্যার কোম্পানিগুলো মোটা টাকা দিয়ে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ল্যাবের ব্রিলিয়ান্ট প্রোগ্রামারদের হাত করতে শুরু করল। সেই সাথে তারা তাদের সফটওয়্যারের সোর্স কোড নিয়েও গোপনীয়তা শুরু করল। অর্থ্যাৎ আমার আপনার মত সাধারন মানুষদের কোন অধিকার নাই কিভাবে কোন সফটওয়্যার তৈরি হল সেটা জানার ।টাকা দিয়ে সফটওয়্যার কিনে ব্যবহার করার মধ্যেই সাধারন মানুষ সীমাবদ্ধ।কেউ যদি সেটা জানতেও চায় তাহলে পড়ে যাবে আইনের মারপ্যাচে কারন সেসব আবার কপিরাইটেড!বুঝুন অবস্থা! যদি আপনার টাকা থাকে তাহলে আপনি সফটওয়্যার কিনে ব্যবহার করতে পারবেন। আর যদি কেনার সামর্থ্য না থাকে তাহলে সফটওয়্যার আপনার জন্য না। কিন্তু রিচার্ড স্টলম্যানের দৃষ্টিভঙ্গী ছিল অন্য রকম। তার মতে এইসব বাধাধরা নিয়ম দিয়ে সফটওয়্যার ব্যবস্থাপনাকে আটকে ফেলা পুরোপুরি অনুচিত ও অনৈতিক।তার ধারনা মতে সফটওয়্যার হতে হবে মুক্ত, এতে করে সফটওয়্যারকে যে কেউ তার মত করে সাজিয়ে নিতে পারবে, ফলে সফটওয়্যারের উন্নয়নও দ্রুত হবে।সফটওয়্যারের স্বার্থেই একে কোন নিয়মনীতি দিয়ে আটকে ফেলা উচিত না।তিনি শুরু করলেন মুক্ত সফটওয়্যারের আন্দোলন,গড়ে তুললেন সম মনাদের নিয়ে সংগঠন,নাম দিলেন “গ্নু” (GNU)।
    শুরু হল মুক্ত সফটওয়্যার লেখার কাজ। কিন্তু এই
    আন্দোলনকে আরও বেগবান করতে দরকার ছিল
    একটা মুক্ত অপারেটিং সিস্টেম। কিন্তু সেজন্য
    দরকার প্রয়োজনীয় আরো সফটওয়্যার, বিশেষ
    করে একটা কম্পাইলার। সে লক্ষ্যে স্টলম্যান শুরু
    করলেন সি কম্পাইলার লেখার কাজ। তার
    কিংবদন্তিতূল্য প্রোগ্রামিং দক্ষতায় অল্প দিনেই
    তিনি শেষ করে ফেললেন কম্পাইলার লেখার কাজ,
    নাম দিলেন গ্নু সি কম্পাইলার বা জিসিসি (GCC)।
    https://lh3.googleusercontent.com/_EDofRdU4POQ/Tc-1AtPxzCI/AAAAAAAAAPY/stNo-918lJE/
    stallman.jpg
    জিসিসিকে অন্যতম রকসলিড এবং কার্যকরি একটা কম্পাইলার হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এরপর গ্নু হাত দিল অপারেটিং সিস্টেম লিখার কাজে। যেকোন অপারেটিং সিস্টেমের প্রান হচ্ছে তার কার্নেল।কার্নেলের উপর ভিত্তি করেই গড়ে উঠে যে কোন অপারেটিং সিস্টেম।গ্নু হার্ড (HURD) নামে একটা কার্নেলও বানিয়ে ফেললো ।কিন্তু সেটা ডেভেলপারদের আকর্ষন করতে ব্যর্থ হয়।যার ফলে একটা অপারেটিং সিস্টেম ছাড়া গ্নু অসম্পূর্ন থেকে যায়। গ্নুকে সম্পুর্ন করতে দরকার একটা মুক্ত অপারেটিং সিস্টেম,তারও আগে দরকার একটা মুক্ত কার্নেল।নাহলে মুক্ত সফটওয়্যারের পুরো আন্দোলনই যে থেমে যাচ্ছে।
    জন্ম নিল নতুন অপারেটিং সিস্টেমঃ
    সময়টা ১৯৯১ সাল যখন লিনুস হেলসিংকি ইউনিভার্সিটির দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র,তখন আইবিএমের ইন্টেল ৩৮৬ প্রসেসরের একটা পার্সনাল কম্পিউটার কিনল। এই প্রেসেসরটি ছিল ইন্টেলের আগের প্রসেসরগুলোর তুলনায় অত্যধিক উন্নত। সেসময় আইবিএমের সাথে পাওয়া যেত এমএসডস অপারেটিং সিস্টেম।এমএসডস ব্যবহার করে লিনুস পুরোপুরি হতাশ হয়ে পড়ল,কারন ইন্টেলের ৩৮৬ প্রসেসরকে পুরোপুরি ব্যবহার করার ক্ষমতা সেটার ছিলনা।লিনুস চাচ্ছিল আরো ক্ষমতাসম্পন্ন ইউনিক্স অপারেটিং সিস্টেম ব্যবহার করতে।এর অন্য কারন অবশ্য ছিল সে তার ভার্সিটিতে ইউনিক্স ব্যবহার করে অভ্যস্ত।তাই নিজের পিসিতে একই অপারেটিং সিস্টেম থাকলে কাজ করতে সুবিধা।কিন্তু ইউনিক্স পাবার চেষ্টা করে হাল ছেড়ে দিলো যখন দেখলো যে ইউনিক্সের দাম ৫০০০ মার্কিন ডলার !লিনুস তখন মিনিক্স নিয়ে পড়ল। মিনিক্স ছিল ডাচ প্রফেসর এন্ড্রু টানেনবমের লেখা ইউনিক্সের মত একটা অপারেটিং সিস্টেম। সোজা কথায় বলা চলে মিনিক্স ছিল ইউনিক্সের ছোটখাট একটা ক্লোন ,তবে পুরোপুরি ক্লোন নয়। প্রফেসর সাহেব তার ছাত্রদের অপারেটিং সিস্টেম সম্পর্কে ক্লাশ নেবার সময় অপারেটিং সিস্টেমের ভিতরের খুটিনাটি বুঝাতে মিনিক্সকে ব্যবহার করতেন।তবে মিনিক্সের কোড কিছুটা উন্মুক্ত ছিল।সেসময় যে কেউ প্রফেসর টানেনবমের লেখা “অপারেটিং সিস্টেমঃ ডিজাইন এ্যান্ড ইম্পলিমেন্টেশন” বইটা কিনলেই সাথে করে মিনিক্সের ১২০০০ লাইনের কোডটা পেত ।যদিও পুরো কোড উন্মুক্ত নয় তারপরও সেই সময় কোন অপারেটিং সিস্টেমের আংশিক কোড পাওয়াটাও ছিল ভাগ্যের ব্যপার। কিন্তু সমস্যা একটা ছিল,সেটা হল মিনিক্সের কোডকে নিজের ইচ্ছেমত পাল্টানোর লাইসেন্স ছিলনা। তাছাড়া এটা ছিল ছাত্রদের শিখানোর একটা উপকরনমাত্র, পুর্ণাঙ্গ অপারেটিং সিস্টেম বলতে যা বোঝায় সেটা না।যাই হোক আমাদের লিনুস সেই জিনিস একটা কিনে ফেললো। তারপর গুতোগুতি করতে গিয়ে টের পেলো যে এটাও তার চাহিদা পূরণের জন্য উপযুক্ত না। এরপর এক ভয়ানক স্বিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললো লিনুস – নিজেই একটা অপারেটিং সিস্টেম বানিয়ে ফেলবে, তাও আবার একদম শূন্য থেকে, মিনিক্স আর ইউনিক্সের আদলে, পুরোপুরি নতুন একটা অপারেটিং সিস্টেম ! এই স্বিদ্ধান্ত নেবার আগে সে কি বুঝতে পেরেছিল যে তার এই স্বিদ্ধান্ত শুধুমাত্র তার আইবিএমের পিসিকেই পাল্টে দেবেনা বরং তার জীবন এবং পৃথিবীকেও পাল্টে দেবে! মনে হয় না।
    উনিশশো একানব্বইয়ের এপ্রিলে লিনুস শুরু করল তার অপারেটিং সিস্টেমের কাজ। টেক্সটবেজড ইউজার ইন্টারফেসের জন্য গ্নু ব্যাশ শেল আর কম্পাইলিং এর জন্য স্টলম্যানের বানানো গ্নু সি কম্পাইলার (GCC) যুক্ত করে মোটামুটি একটা কাঠামো দাঁড় করিয়ে লিনুস চাইলো মিনিক্স ইউজার গ্রুপের সবাইকে তার নতুন অপারেটিং সিস্টেমের কথা জানাতে। মনে ভয় ছিল শুনে হয়তো সবাই হাসাহাসি করবে, আবার আশাও ছিল হয়তো কয়েকজন তাকে এ ব্যাপারে সাহায্যও করতে পারে। দুরুদুরু মনেই সে নিচের ঐতিহাসিক ইমেইলটা গ্রুপে পোস্ট করে ফেললঃ
    From: torvalds@klaava.Helsinki.FI (Linus Benedict Torvalds)
    Newsgroups: comp.os.minix
    Subject: What would you like to see most in minix?
    Summary: small poll for my new operating system
    Message-ID:
    Date: 25 Aug 91 20:57:08 GMT
    Organization: University of Helsinki
    Hello everybody out there using minix –
    I’m doing a (free) operating system (just a hobby, won’t be big and professional like gnu) for 386(486) AT clones. This has been brewing since april, and is starting to get ready. I’d like any feedback on things people like/dislike in minix, as my OS resembles it somewhat (same physical layout of the file-system (due to practical reasons) among other things). I’ve currently ported bash(1.08) and gcc(1.40),and things seem to work. This implies that I’ll get something practical within a few months,and I’d like to know what features most people would want. Any suggestions are welcome, but I won’t promise I’ll implement them
    Linus (torvalds@kruuna.helsinki.fi)
    PS. Yes – it’s free of any minix code, and it has a multi-threaded fs. It is NOT protable (uses 386 task switching etc), and it probably never will support anything other than AT-harddisks, as that’s all I have :-( .
    এই বিখ্যাত মেইলটা পড়ে কিন্তু বোঝা যায় যে লিনুস নিজেও কল্পনা করতে পারেনি যে তার শখের বশে বানানো অপারেটিং সিস্টেম পৃথিবীতে বিশাল একটা পরিবর্তন আনবে। ঐ বছরেরই ১৭ই সেপ্টেম্বর লিনুস আর অপারেটিং সিস্টেমের প্রথম ভার্সন ০.০১ বের করে।ধীরে ধীরে অন্যরা জড়ো হতে থাকে।তারা ওএসটি ডাউনলোড করে নিজের সুবিধামত পরীক্ষা-পরিবর্তন-পরিবর্ধন করে পরিবর্তিত ভার্সনটি পাঠাতে থাকে লিনুসকে।গড়ে উঠতে থাকে লিনুসের নতুন অপারেটিং সিস্টেম।৫ই অক্টোবর বের হল প্রথম অফিসিয়াল রিলিজ ভার্সন ০.০২। সংগে লিনুসের তরফ থেকে আরেকটি মেইলঃ
    From: torvalds@klaava.Helsinki.FI (Linus Benedict Torvalds)
    Newsgroups: comp.os.minix
    Subject: Free minix-like kernel sources for 386-AT
    Message-ID:
    Date: 5 Oct 91 05:41:06 GMT
    Organization: University of Helsinki
    Do you pine for the nice days of minix-1.1,when men were men and wrote their own device drivers? Are you without a nice project and just dying to cut your teeth on a OS you can try to modify for your needs? Are you finding it frustrating when everything works on minix? No more all-nighters to get a nifty program working? Then this post might be just for you As I mentioned a month(?)ago, I’m working on a free version of a minix-lookalike for AT-386 computers. It has finally reached the stage where it’s even usable (though may not be depending on what you want), and I am willing to put out the sources for wider distribution. It is just version 0.02 (+1 (very small) patch already), but I’ve successfully run bash/gcc/gnu-make/gnu-sed/compress etc under it. Sources for this pet project of mine can be found at nic.funet.fi (128.214.6.100) in the directory /pub/OS/Linux. The directory also contains some README-file and a couple of binaries to work under linux (bash, update and gcc, what more can you ask for :-). Full kernel source is provided, as no minix code has been used.Library sources are only partially free, so that cannot be distributed currently. The system is able to compile “as-is” and has been known to work. Heh. Sources to the binaries (bash and gcc) can be found at the same place in / pub/gnu. কয়েক সপ্তাহের মাঝে বের হল ভার্সন ০.০৩। ঐ বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে বের হল ভার্সন ০.১০।এভাবে এগিয়ে যেতে থাকে লিনাক্স।
    শুরু হল লিনাক্সের পথচলাঃ
    লিনুসের খুব শখ ছিল তার অপারেটিং সিস্টেমের
    নাম হবে “ফ্রিক্স” (FREAKS) যেটা কিনা “Free”, “Freak” আর “Unix” শব্দ তিনটার মিলিত একটা রূপ।কিন্তু নামটা পছন্দ হয়নি এ্যারি লেম্কের ।এ্যারি লেম্কে ছিল লিনুসের বন্ধু ও সহকর্মী এবং হেলসিংকি ইউনিভার্সিটির এফটিপি সার্ভারের এডমিনিস্ট্রেটর।এফটিপি সার্ভার দিয়ে খুব সহজেই যেকোন ফাইল সবার সাথে শেয়ার করা যায়। এ্যারিই লিনুসকে বুদ্ধি দিল যে নতুন ওএসের সোর্সকোডকে এফটিপি সার্ভারে শেয়ার করতে,যাতে করে পৃথিবীর সবার জন্যই এর কোডটা উন্মুক্ত থাকে আর যে কেউ সেটা নামিয়ে নিয়ে ব্যবহার করতে পারে। তবে এজন্য “ফ্রিক্স” নামটা পছন্দ হলনা এ্যারির।সে “লিনাক্স” নামের এক ফোল্ডারে এফটিপি সার্ভারে সেই কোডগুলো রেখে দিলেন। সেই থেকে নাম হয়ে গেল “লিনাক্স” ।ওহ, বলতে তো ভুলেই গেলাম কেন এর নাম লিনাক্স হল, সহজ ব্যাপার “Linus’s Unix” থেকেই এ্যারির মাথায় লিনাক্স নামটা চলে আসে। আসল নাম হারিয়ে লিনাক্স এখন যে নামে পরিচিত সেটা আসলে তার ডাউনলোড করার জন্য রাখা ফোল্ডারের নাম।
    এদিকে লিনাক্সের জন্য যখন প্রতীক খোঁজাখুজি শুরু হল তখন লিনুস বললেন পেঙ্গুইনের কথা।
    অবকাশে সাউদার্ন হেমিস্ফিয়ারে ছুটি কাটতে গিয়ে নাকি পেঙ্গুইনের কামড় খেয়েছিলেন লিনুস। সেই থেকে নাকি তার মাথায় পেঙ্গুইনের আইডিয়া আসে। তাও আবার যে সে পেঙ্গুইন না, নাদুসনুদুস পেঙ্গুইন।যেটা কিনা আবার অলস ভঙ্গিতে খাবার খাওয়ার পর ছোটখাট ভুড়ি উঁচিয়ে দু’পা ছড়িয়ে মাটিতে বসে আছে!এ কিরকম প্রতীক! অনেকেই আপত্তি জানালো।
    কিন্তু লিনুস বলে অন্য কথা “… অন্যান্য লোগোগুলো ছিল খুবই বোরিং এবং আমার মনের মতো ছিলনা মোটেও। লিনাক্স করপোরেট লোগোর জন্য আমি খুঁজছিলাম এমন কিছু যা হবে মজার এবং লিনাক্সের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।একটা মোটাসোটা পেঙ্গুইন খাওয়াদাওয়া শেষ করে বসে আছে এমন একটা ছবি।
    অনেকেই বলে কেন লিনাক্সের প্রতীক একটা নাদুসনুদুস পেঙ্গুইন?
    =>>লিনাক্সের যে আভিজাত্য তার সাথে এটা ঠিক খাপ খায় না। যারা একথা বলে তারা কখনো একটা রাগী পেঙ্গুইনকে প্রতি ঘন্টায় ১০০ মাইল বেগে আক্রমন করতে দেখেনি..."।
    তাই অফিসিয়াল মাসকট হিসেবে পেঙ্গুইনকেই পছন্দ করা হল, এর নাম দেয়া হল টাক্স। এঁকেছিলেন ল্যারি উইং। সেই যে প্যাঙ্গুইনের প্যাঁকপ্যাঁক শুরু হল সেটা এখনো চলছে। আর দিনদিন এই প্যাঁকপ্যাঁকানি কেবল বেড়েই চলছে।
    টানেনবমের কথা মনে আছে? ঐ যে যার মিনিক্স
    নিয়ে সবাই অপারেটিং সিস্টেমের ভেতরের
    কলাকৌশল শিখতো। সেই টানেনবম লিনাক্স তৈরির প্রথমদিকে একবার লিনুসকে বলেছিলেন
    “আমি এখনো মনেকরি ১৯৯১ সালে এসে একটা মনোলিথিক কার্নেল ডিজাইন করার মানে হচ্ছে এক্কেবারে গোড়ায় গলদ করা।তোমার ভাগ্য ভালো যে তুমি আমার ছাত্র না।নাহলে এরকম বাজে ডিজাইনের জন্য আমার কাছ থেকে কখনোই বেশি গ্রেড পেতেনা”। শুধু তাইনা,টানেনবম একে “একেবারে সেকেলে” বলে আখ্যায়িত করেছিলেন। যে সময়কার কথা বলা হচ্ছে সে সময় টানেনবমের মত প্রফেসররা ছিলেন খুবই দাপুটে।তাদের সব কিছুকেই খুব সমীহের চোখে দেখা হত।
    কিন্তু বেচারা লিনাক্স নিয়ে ভুল বলেছিলেন।
    লিনুসও পাল্টা জবাব দিলেন “আপনার কাজ
    হচ্ছে প্রফেসরি আর গবেষনা করা, আর মিনিক্সের
    কিছু কিছু ব্রেন-ড্যামেজের জন্য এটাই বিশাল
    কারন!” সার্ভার আর সুপার কম্পিউটারের জগৎ জয় করে এবার লিনাক্স মনোযোগ দিয়েছে সাধারন ব্যবহারকারিদের ডেস্কটপের জগৎ জয়ের দিকে।

    Monday, 16 March 2015

    How Bit And Bite Is Used


    চলুন জেনে নেই কম্পিউটার মেমরি যেভাবে কাজ করে : আমরা কম্পিউটারে কোন কাজ করার সময় KB (বা kilobite) এবং MB (বা Megabite) দেখতে পাই কিন্তু এটা আসলে কি কখনো ভেবেছেন?মূলত এটি কম্পিউটারের মেমরি পরিমাপ করে।এটি মূলত কি বুঝতে নিচে একটি উদাহরণের সাহায্যে বর্ণনা করা হলঃ বাইট আসলে কি? আপনি কম্পিউটারে যাই লিখুন না কেন কম্পিউটার শুধুমাত্র দুটি জিনিস বুঝতে পারে ‘অফ’ এবং ‘অন’। কম্পিউটার অফকে “0” হিসাবে এবং অনকে “1” হিসাবে প্রকাশ করে। এখন পর্দায় আপনি যা কিছু দেখতে পাচ্ছেন তার সবই হচ্ছে ওয়েবপেজ প্রদর্শন করার জন্য 0 এবং 1 এর বিশেষ অর্ডারের সমন্বয়। এখন চলুন সবচেয়ে বিভ্রান্তিকর অংশে বিট এবং বাইট।প্রতিটি ১ বা ০ কে বলা হয় বিট এবং একসঙ্গে ৮টি বিটকে বলা হয় বাইট। যখনই আপনি একটি ০ টাইপ করেন তখন কম্পিউটার এই শূন্য কে একটি ৮বিট সিরিজ হিসাবে বা “00000000” হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। এখানে কম্পিউটারের চোখে কিছু সংখ্যা ও অক্ষর কিরূপ হয় তার কিছু উদাহরণ দেওয়া হল: 0 = 00000000 a =01100001 L = 01001100 1 = 00000001 v =01110110 p = 01110000 2 = 00000010 $ = 00100100 z = 01111010 যখন কেউ “L” টাইপ করবে তখন কম্পিউটার একে “01001100″ বাইটে অনুবাদ করবে। যদি “L” ৫০ বার টাইপ করা হয় তবে 50 বাইট তথ্য তৈরি হবে। আবার কেউ যদি “L” ১০০০ বার টাইপ করা সুতরাং 1000 বাইট বা 1 কিলোবাইট তথ্য তৈরি হবে।আসলে বাস্তবে বাইট ২ এর পাওয়ার দিয়ে হিসেব করা হয় সুতরাং ১ কিলোবাইট 1000 বাইটের সমান হয়না বরং 1024 বাইট হয়।

    Sunday, 15 March 2015

    Clean Ram And Increase The PC'S Working Performance

    কম্পিউটার আজ আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ বলা যায়। গেম খেলা, নেটওয়ার্কিং থেকে শুরু করে যাই বলেন না কেন প্রতিটা ক্ষেত্রে আজ কম্পিউটার ব্যবহার হয়।তাই কাজের সুবিধার্থে কম্পিউটারের র‍্যামকে ক্লিন করে কম্পিউটারের গতিকে ধরে রাখতে হয়। তবে এই জন্য আপনাকে দুইটি কাজ করতে হবে।
    প্রথমে আপনি নোটপ্যাডের কাজ টি করার আগে নিচের এই টিপসটি অনুসরন করুন।
    → My Computer ওপেন করে Tools এ যান এবং Folder options এ ক্লিক করুন।
    এবার যে উইন্ডো আসবে তাতে View তে ক্লিক দিয়ে “Hide extension for known file type” টিক চিহ্ন তুলে দিয়ে Ok করুন।
    ★এবার নোটপ্যাডের কাজ কিভাবে করতে হবে দেখে নিন :—
    → প্রথমে স্টার্ট মেনুতে গিয়ে নোটপ্যাড ওপেন করুন
    → তাতে লিখুন mystring=(80000000) এবং ডেস্কটপে সেভ করুন RAM.Vbe নামে।
    → এবার আপনি যখনই সময় পাবেন RAM.Vbe নামের ফোল্ডার টি তে ক্লিক করে র্যাম কে ক্লিন করে প্রায় ৮০% গতি বৃদ্ধি করে নিন।
    ★কম্পিউটার বিষয়ক আমাদের আগের পোস্ট গুলো ও দেখতে পারেন।

    "Google Shop" in London For The First

    ♦Google has opened the first Google Shop in London♦
    >>>Employees at the Google Shop will offer training on how to use Android devices, Android apps,Chromebook laptops and Chromecasts.
    This is the first Google shop experience Google has opened anywhere in the world.
    The Google Shop will host “Virtual Space Camps” for teaching children how to code.
    And the store will demo potential educational tools at its “Open House” events for teachers.
    Inside of the store is a set of large connected screens known as “Portal,” which lets users navigate Google Earth.
    There is a “Doodle Wall” where customers use artificial spray to create their own Google doodle and, it lets you save your work as an animated GIF.
    ♦Get Ready For "Google Shop" In Your Town (It May Be Established Someday)♦

    Thursday, 12 March 2015

    Top Batsmen Leading The Cricket World

    Batsmen   Rankings - Test♦
    Rank - Name           -        Team -             Rating
    1          Sangakkara          Sri Lanka        909
              de Villiers             South Africa   908
              Amla                     South Africa   891
              S Smith                 Australia         873
              Mathews               Sri Lanka        841
              Williamson          New Zealand    839
              Chanderpaul          West Indies  834
              Younis Khan          Pakistan       818
              Warner                    Australia     805
    10         J Root                    England       789

    Batsmen Rankings - ODI♠
    Rank  -  Name -              Team   -            Rating
              de Villiers         South Africa    898
    2           Amla                 South Africa    849
              Sangakkara      Sri Lanka         849
              Kohli                  India                847
    5           Dilshan              Sri Lanka        798
    6           Williamson        New Zealand   789
              Dhawan             India                 784
              Finch                  Australia          734
              Bailey                 Australia          718
    10         Dhoni                India                712

    Batsmen Rankings - T20♣
    Rank  -  Name   -               Team  -           Rating
              Kohli                     India               897
              Finch                    Australia         870
              A Hales                 England         866
              du Plessis            South Africa    795
              B McCullum         New Zealand 751
              Gayle                    West Indies     732
    7           K Perera               Sri Lanka       707
              Raina                     India               677
              Warner                    Australia      662
    10           Yuvraj                  India              657 

    আপনি জানেন কি?
    এক দিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে কত রানের সর্বশ্রেষ্ঠ জয়ের ব্যবধান রয়েছে ?
    উত্তর  :২৯০ রান
    বাংলাদেশ  ক্রিকেট টিমের জন্য অনেক অনেক শুভ কামনা রইল।

    চায়ের রাজধানী সিলেট এর শ্রীমঙ্গলের ৭ রং চায়ের ৭ রহস্য

    সেদিন চায়ের রাজধানী শ্রীমঙ্গলে ঘুরেছিলাম সারাদিন। তাই সারাদিনের ক্লান্তি একটু ঝেড়ে ফেলতে যেন চায়ের বিকল্প ছিল না। চা-পানের অভ্যাস খুব একটা না থাকলেও সাতরঙা চা পানের ইচ্ছেটা দমন করতে পারলাম না সোজা চলে গেলাম সাতরঙা চায়ের উদ্ভাবক কারিগর রমেশ রাম গৌড়ের নীলকন্ঠ চা-কেবিনে
    একটি স্বচ্ছ কাচের গ্লাস। তাতে পানি।পানিতে আবার রয়েছে সাতটি স্তর।প্রতিটি স্তরের রং আলাদা। রংগুলো পানির
    না গ্লাসের বুঝতে একটু কষ্টই হয়। যিনি প্রথম বিষয়টি দেখবেন তার কাছে এটি চা ভাবতে কষ্ট হবে। আর যিনি দেখেছেন আগেও, নিয়েছেন স্বাদ,তিনি ভাববেন এটা কীভাবে সম্ভব যদি জানতে পারতাম! অর্থাৎ, এটা কীভাবে সম্ভব! কী এর রহস্য।
    শ্রীমঙ্গলের সাতরঙা চায়ের খ্যাতি দেশজুড়ে এমনকি শ্রীমঙ্গলে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভোলেন নি সাতরঙা চায়ের উদ্ভাবক রমেশের চা পান করতে। রমেশের রহস্য ভেঙে এখন দেশের আরো দু’এক জায়গায় তৈরি হয় সাতরঙা চা। তবে চায়ের উপাদান, তৈরির কৌশল এখনো অজানা। সেই রহস্য ভেদ করার চেষ্টা করেছি মাত্র। আর এটা সম্ভব হয়েছে নীলকন্ঠ চা-কেবিনের মালিক ও সাতরঙা চায়ের উদ্ভাবক ও কারিগর রমেশ রাম গৌড়ের সহযোগিতা ও আন্তরিকতায়। একটু আলাপেই বেশ ভাব জমলো রমেশ দাদার সঙ্গে। দাদার কাছে জানতে চাইলাম সাত স্তরে সাত রঙের রহস্য। বললেন, ভিতরের ঘরে চলুন। গিয়ে দেখলাম ছোট একটি ঘর।সেখানে সর্বসাধারণের প্রবেশ নিষেধ।দেখলাম সাতটি আলাদা গ্লাসে সাত রঙের চা সাজানো। সেখান থেকে একটু একটু করে নিয়ে সাজাচ্ছেন সাতটি স্তর। বেশ ভালো মনের মানুষ এই রমেশ রাম গৌড়। এভাবে এর আগে কাউকে দেখান নি বলে জানালেন তিনি।আমি প্রস্তাব করলাম প্রতিটি স্তর আমাকে তৈরি করে দেখানোর। রাজি হলেন।প্রথম স্তর, অর্থাৎ একেবারে নিচের স্তরের রংটা ঠিক চায়ের মতো না। এই স্তরের চায়ের উপাদান আদা, গ্রিন-টি ও চিনি। সবচেয়ে ঘন স্তর এটি।দ্বিতীয় স্তরের উপাদান শুধু লিকার ও চিনি।তৃতীয় স্তরের উপাদান চা, দুধ ও চিনি।চতুর্থ স্তরে রয়েছে গ্রিন টি, সাধারণ চা, দুধ ও চিনি।পঞ্চম স্তরের উপাদান গ্রিন টি ও চিনি। ষষ্ঠ স্তরের লেবুর জল ও চিনিই প্রধান উপাদান।সবশেষ অর্থাৎ, সবার উপরের স্তরের উপাদান গ্রিন
    টি লেবু ও চিনি।পুরো প্রক্রিয়ায় রমেশ দাদা আমাকে একটি জিনিস শুধু নিষেধ করলেন। সেটা হলো, বিভিন্ন পাত্রে মেশানো তার উপাদানগুলোর ছবি যেন না তুলি এবং প্রকাশ না করি।সবশেষে তার কাছে দুটো প্রশ্ন ছিল।নাড়াচড়া করলে এক স্তরের চা আরেক স্তরে মিশবে কি না? জানতে চাইলে তিনি বলেন,
    চামচ দিয়ে না ঘুটে যতই নাড়াচাড়া করুন এক স্তর আরেক স্তরে মিশবে না। পরীক্ষা করে দেখলাম
    বিষয়টি একেবারেই ঠিক।আবার প্রশ্ন করলাম এই না মেশার প্রধান কারণ কি? সেটাই আসলে মূল রহস্য। রমেশ দাদা এবার মুচকি হেসে বললেন, সেটা না বললে হয় না। বললাম সবই তো দেখালেন, এটুকু বলেই ফেলেন না। তারপর আস্তে আস্তে বললেন, জলের ঘনত্ব।সব বলার পরও একটি রহস্য কিন্তু রমেশ দাদা তার কাছে রেখেই দিলেন। সেটিও কিন্তু কম গুরুত্বপূর্ণ নয়, মেশানোর পদ্ধতিটা। বললেন, এই মেশানোর
    ছবিটা যেন না তুলি। এখানেই দক্ষতা কারিগরের।এটুকু রহস্য, রহস্যই থাক!উল্লেখ্য, প্রতি কাপ গ্লাস চায়ের দাম ৭০ টাকা।চাইলে কেউ তিন, চার বা পাঁচ স্তর পর্যন্তও খেতে পারেন। তখন প্রতি স্তরের দাম পড়বে ১০ টাকা করে। সাত স্তরের স্বাদও কিন্তু আলাদা

    [[এমদাদুল হকের (মৌলভীবাজার প্রতিনিধি) লিখা]]

    Top Teams Of Cricket World

    Team Rankings - Test♣
    Rank -Team -                Points -   Rating
    1          South Africa      3,839       124
    2          Australia           4,718       118
    3          England            4,063       104
    4          Pakistan            3,090       103
             New Zealand     3,660       99
            Sri Lanka           3,258       96
            India                   3,228       95
            West Indies        2,272       76
            Bangladesh         676         32
    10        Zimbabwe         228         18

    ♣Team Rankings - ODI
    Rank Team     Points    Rating
    1         Australia       6,751     121
            India              8,587     116
            South Africa  6,710    112
            Sri Lanka       9,473    108
            New Zealand  5,346   107
            England           6,160   101
            Pakistan          6,088   95
            West Indies     5,189    93
    9         Bangladesh     2,766    77
    10        Zimbabwe      2,011    50
    11        Ireland                         45
    12        Afghanistan 736         39

    ♠Team Rankings - T20
    Rank   Team    Points Rating
    1         Sri Lanka       3,006   131
            India               2,009   126
            Pakistan        3,474   120
            Australia        3,041   117
            South Africa  3,362   116
            West Indies   3,140    112
            New Zealand  2,657   111
            England          2,481    99
            Ireland            1,046    87
    10       Bangladesh  1,147    72
    11       Netherlands    951    68
    12       Afghanistan    743    62
    13       Zimbabwe        573    52
    14       Scotland           512    51
    টপ ব্যাটসম্যানদের লিস্ট নিয়ে আমরা শীগ্রই আসছি। সাথে থাকুন।।

    ল্যাপটপের সুরক্ষায় যা করনীয়

    বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বর্তমানে বাংলাদেশে ও এখন ল্যাপটপের ব্যাপক
    চাহিদা। বিভিন্ন সুবিধার কারনে অনেকেই এখন
    ডেস্কটপ এর পরিবর্তে ল্যাপটপ ব্যাবহার করছে। যদিও
    প্রোফেশনাল কাজের জন্য ডেস্কটপই উপযুক্ত।
    তবে যারা শখের বশে কম্পিউটার ব্যবহার করেন,
    তাদের ল্যাপটপ কেনাই উচিত। ল্যাপটপ সাধারনত দুই
    ধরনের হয়ে থাকে- নেটবুক, নোটবুক।
    যারা হাল্কা কাজ বা অনলাইনে কাজ করে থাকেন
    তারা সাধারনত নেটবুক ব্যাবহার করে থাকেন। আর
    অপেক্ষাকৃত ভারী কাজ ও হাই গ্রাফিক্স এর
    গেমিং এর জন্য অনেকে নোটবুক কিনে থাকেন। শুধু
    ল্যাপটপ কিনে ব্যাবহার করলেই চলবে না। ব্যাবহার
    এর সাথে সাথে নিয়মিতভাবে এর যত্নও নিতে হবে।
    আপনার ল্যাপটপটি যাতে দীর্ঘদিন
    ঠিকভাবে সার্ভিস দিতে পারে সে জন্য কিছু টিপস
    মেনে চলা উচিত। এতে করে ল্যাপটপের পারফরমেন্স
    ভাল থাকবে।
    ল্যাপটপ ব্যবহারের টিপসঃ
    ◆কিছু নিয়ম মেনে চললে ল্যাপটপের পারফরমেন্স
    ভালো হয়।
    ●ব্যাটারি দিয়ে ল্যাপটপ চালানো না লাগলেও
    ২/৩
    সপ্তাহে মাঝে মাঝে ব্যাটারি থেকে চালাতে
    হবে, নতুবা ব্যাটারি আয়ু কমে যাবে।
    ◆ব্যাটারিতে ল্যাপটপ চালানোর সময় স্ক্রিনের
    ব্রাইটনেস কমিয়ে দিন।
    মাঝে মাঝে ব্যাটারির কানেক্টর লাইন পরিষ্কার
    করুন।
    ●ভালো মানের এন্টিভাইরাস ব্যবহার করুন।
    দরকারি ছাড়া অন্য উইন্ডোগুলো মিনিমাইজ
    করে রাখুন।
    ◆হার্ডডিস্ক থেকে মুভি-গান প্লে করুন, কারণ
    সিডি/ডিভিডি র্যাম অনেক বেশি পাওয়ার নেয়।
    ●এয়ার ভেন্টের পথ খোলা রাখুন, সহজে বাতাস
    চলাচল করে এমনভাবে ল্যাপটপ পজিশনিং করুন,
    সরাসরি সূর্যের আলোতে রাখবেন না।
    ◆শাট ডাউনের পরিবর্তে হাইবারনেট অপশন ইউজ
    করুন।
    ●ব্লু-টুথ ও ওয়াই-ফাই কানেকশন বন্ধ রাখুন।
    হার্ডডিস্ক ও সিপিইউ-এর
    মেইনটেন্যান্সে কোনো কাজ করবেন না।
    ◆অপ্রয়োজনীয় প্রোগ্রামগুলো বন্ধ করুন।
    মাঝে মাঝে মেমোরি ক্লিনের জন্য Ram Cleaner,
    Ram Optimizer, Mem Monster, Free Up Ram, Super Ram
    নিয়মমাফিক ডিফ্রাগমেন্ট করুন।
    ●আপাতত দরকার নেই এমন প্রোগ্রাম আনইনস্টল করুন।

    ♦♦♦কম্পিউটার এর গতি বাড়ানো বিষয়ক আগের  পুষ্ট টি দেখার অনুরোধ রইল। ♦♦♦

    Wednesday, 11 March 2015

    ডিজিটাল বাংলাদেশ এর জন্য ডিজিটাল পাঠ্য বই

    আমরা কাগজের বই দিয়ে তো অনেক পড়াশুনা করেছি কিন্তু
    সরকার নতুন প্রজন্মের জন্য তৈরি করেছেন
    ফাটাফাটি একটা ওয়েবসাইট। হ্যাঁ, এই ওয়েবসাইটের
    মাধ্যমে আপনি পাবেন ১ম শ্রেণী থেকে ১০ম শ্রেণীর সকল
    বোর্ড নির্ধারিত পাঠ্য বই / টেক্সট বুক। ডিজিটাল বাংলাদেশ
    এর জন্য ডিজিটাল পাঠ্য বই ।
    http://www.ebook.gov.bd/
    এছাড়াও নিচের লিঙ্কটির মাধ্যমেও পাবেন প্রথম থেকে দশম
    শ্রেণীর পাঠ্য বই / টেক্সট বুক।
    http://www.nctb.gov.bd/book.php?cat=4&subcat=35
    যারা ইউনিভারসিটির প্রস্তুতি নিচ্ছেন তাদের কাজে আসবে আশা করি।

    Tuesday, 10 March 2015

    মেমোরী তে সংখ্যার খেলা

    বর্তমানে আমরা সেলফোন হোক  বা কম্পিউটার যাই হোক দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন ধরনের মেমোরী ব্যবহার করে থাকি। ফ্ল্যাশ মেমোরী বা পেনড্রাইভ কিংবা হার্ডডিস্ক ইত্যাদি।
    আমরা প্রতিদিন মেমোরী কার্ডের মধ্যে কত কিছু যে লোড করে থাকি কিন্তু এগুলো মেমোরী কার্ডের ভিতরে যায় কোথায় ভিতরে জিনিষ ঢুকছে কিন্তু ওজন কেন বাড়ছে না?
    আমরা মেমোরী কার্ড যখন ফর্মেট দিলাম এর ভিতর থেকে সব ডাটা ডিলিট হয়ে গেলো কিন্তু ওজনের এক ফোটাও হেরফের হচ্ছে না!
    উপরে প্রশ্নগুলো অনেকের মনে নিশ্চয়ই জেগেছে। আর আপনাদের এই প্রশ্নের চমকপ্রদ উত্তর নিয়েই আজ হাজির হয়েছি আমি।
    ==>আপনারা দেখছেন যে চমৎকার ডিজাইনের হার্ডডিস্ক এদের ভিতর কি আসলেই বাইরে থেকে কোন ডাটা ঢুকানো যায়? এক কথায় এর উত্তর হলো ‘না’।
    এবার আবার প্রশ্ন আসতে পারে “আমরা যে সব গান শুনি বা মুভি দেখি এইসব কই থাকে?”
    ==>তাহলে আমার একটা কথা শুনুন,কম্পিউটার আপনার আমার মত মুভিও বুঝে না গানও বুঝে না। সে একমাত্র তার সার্কিটগুলোর মধ্যে বয়ে যাওয়া ট্রিলিয়ন সংখ্যক বিদ্যুৎ প্রবাহের হিসেব রাখতে পারে।বিদ্যুৎ থাকলে 1 আর না থাকলে 0।তার মানে আপনি যখন গান শুনছেন সেটা আপনার কম্পিউটারের কাছে একটা বিদ্যুৎ প্রবাহের হিসেব মাত্র। একটা সোর্স থেকে গানটা যখন মেমোরীতে রাখলেন তখন আপনার গানের জন্য সেটা একটি মেমোরী এড্রেস তৈরী করল অর্থাৎ আপনার গানটা হয়ে গেলো ১০০০১১০০০১০০০১০১০০১০০১০১১১০১১১০১০১০১
    এরকম টাইপের কিছু সংখ্যা।আপনি যদি গানটা ডিলেট করেন তখন কম্পিউটার যাস্ট গানের মেমোরী এড্রেসটা বদলে দেবে অর্থাৎ সে জায়গায় অন্য একটা সফটওয়্যার বা গান আনলো যার মেমোরী এড্রেস হলো ১১০০১১০১১০০১ এরকম অর্থাৎ আমাদের  কাছে যেটা গান সেটা কম্পিউটারের কাছে সংখ্যার খেলা। তাই কোন ডাটা কম্পিউটারে ঢুকানো মানে শুধু 1 ও 0 এর স্থান পরিবর্তন বা পুনর্বিন্যস্তকরণ। তাইলে তো 1,0 গুলো হার্ডড্রাইভে আগে থেকেই আছে জাস্ট সংখ্যার স্থানগুলো পালটে দিলেই হলো। ঠিক এই কারণেই কম্পিউটারের হার্ডড্রাইভ থেকে ডিলেট হয়ে যাওয়া ডাটাগুলো বিভিন্ন রিকভারী সফটওয়ারের মাধ্যমে ফিরিয়ে আনা যায়।
    ডি এন এ (D.N.A) ও আধুনিক ডাটা স্টোরেজঃ
    DNA এর কথা শুনেনি এমন কাওকে পাওয়া যাবে না। হাভার্ড ইন্সটিটিউটের একজন বায়োইঞ্জিনিয়ার এক গ্রাম ডিএনএ’র মধ্যে ৫.৫ পেটাবাইট (১ পেটাবাইট =১০০০০০০ গিগাবাইট) ডাটা সংরক্ষণ করতে সক্ষম হয়েছেন।
    হার্ডডিস্কের ম্যাগনেটিক বাইনারী ডাটা সংরক্ষণ ব্যবস্থার বদলে DNA এর চারটি বেস (T,G,A,C) কে ৯৬ বিট ক্যারেক্টার ধরে ব্যবহার করা হয়েছে। এদের মধ্যে T ও G কে বাইনারী সংখ্যা পদ্ধতির ১ এবং A ও C কে বাইনারী সংখ্যা পদ্ধতির ০ হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। যেহেতু DNA হাজার বছর পর্যন্ত অক্ষত থাকে তাই এর নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম।আশা করি ভবিষ্যতে DNA ই হবে আমাদের বিশাল নির্ভরযোগ্য ডাটাব্যাংক।

    Monday, 9 March 2015

    Increase Your Computers Speed

    আপনার কম্পিউটার কে আরো দ্রুত গতির করার দুর্দান্ত কিছু টিপস:
    অনেক সময় দেখা যায় কাজ করতে করতে কম্পিউটার ধির গতির হয়ে যায়। এতে আমাদের অনেক সময় তো নষ্ট হয়ই সাথে সাথে মাথার মেজাজ ও যায় চড়কে।অনেকে আবার এই সমস্যা থেকে সমাধান পেতে অনেক ধরনের Utilities Software ব্যাবহার করে থাকেন। কিন্তু এইসব Utilities Software ফুল Version করে ব্যবহার করতে হ্য়,এর জন্য অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়।
    আজ আমি আপনাদের কে দেখাবো কিভাবে খুব সহজেই কিছু টিপসের মাধ্যমে আপনার কম্পিউটারকে রাখতে পারবেন সতেজ এবং গতিশিল । তাহলে শুরু করা যাক ==>>
    -Ctrl+Alt+Delete চেপে Task Manager খুলুন,তারপর Processes-এ ক্লিক করলে অনেকগুলো প্রোগ্রাম-এর তালিকা দেখতে পাবেন। এর মধ্যে বর্তমানে যে প্রোগ্রামগুলো কাজে লাগছে না সেগুলো নির্বাচন করে End Process-এ ক্লিক করে বন্ধ করে দেন।
    -আর যদি ২নম্বর কাজটা করতে গিয়ে ভুল করে কোনো প্রোগ্রাম বন্ধ করে দেন এবং এতে যদি অপারেটিং সিস্টেম এর কোন সমস্যা হয় তাহলে কম্পিউটার রিস্টার্ট করুন।
    -কম্পিউটারের র্যাম কম থাকলে কম্পিউটার ধীর গতির হয়ে যায়। ভার্চুয়াল মেমোরি বাড়িয়ে কম্পিউটার গতি কিছুটা বাড়ানো যায়।
    -ভার্চুয়াল মেমোরি বাড়ানোর জন্য প্রথমে My computer-এ মাউস রেখে ডান বাটনে ক্লিক করে Properties-এ যান।এখন Advance-এ ক্লিক করে performance এর settings-এ ক্লিক করুন। আবার Advance-এ ক্লিক করুন। এখন change-এ ক্লিক করে নতুন উইন্ডো এলে সেটির Initial size ও Maximum size-এ
    আপনার ইচ্ছামত size লিখে set-এ ক্লিক করে ok দিয়ে বেরিয়ে আসুন।
    -তবে Initial size-এ আপনার কম্পিউটারের র্যামের size-এর দ্বিগুন এবং Maximum size-এ র্যামের size-এর চারগুন দিলে ভাল হয়।
    -কন্ট্রোল প্যানেলে গিয়ে Add/Remove-এ ক্লিক করুন। Add/Remove windows components-এ ক্লিক করুন। নতুন যে উইন্ডো আসবে সেটির বাম পাশ থেকে অদরকারি প্রোগ্রামগুলোর পাশের টিক চিহ্ন তুলে দিন।
    তারপর Accessories and Utilities নির্বাচন করে Details-এ ক্লিক করুন। নতুন
    যে উইন্ডো আসবে সেটি থেকে যে প্রোগ্রামগুলো আপনার কাজে লাগে না সেগুলোর টিক চিহ্ন তুলে দিয়ে OK করুন। এখন next-এ ক্লিক করুন। Successful message আসলে Finish-এ
    ক্লিক করুন।
    -কিছুক্ষন পরপর Start থেকে Run-এ ক্লিক করে tree লিখে ok করুন।এতে র্যামের কার্যক্ষমতা বাড়ে।
    -
    GO ” run ” – prefetch লিখে এন্টার করুন। (একটা নতুন উইন্ডো আসবে সব ফোল্ডার এবং ফাইল ডিলিট করুন।
    GO ” run ” – temp লিখে এন্টার করুন। এখন টেম্পোরারী ফাইল গুলো ডিলিট করুন।
    GO ” run ” – %temp% লিখে এন্টার করুন। এখন টেম্পোরারী ফাইল গুলো ডিলিট করুন।
    GO ” run ” – recent লিখে এন্টার করুন। এখন রিসেন্ট ফাইল গুলো ডিলিট করুন
    আশা করি যাদের জানা ছিল না, তারা এখন নিজেই কম্পিউটারের গতি বাড়িয়ে নিতে পারবেন । এরকম আরো টিপস পেতে আমাদের সাথেই থাকোন ।।

    Friday, 6 March 2015

    Choose Your Easy Online Payment Method

    অনলাইন মার্কেটিং এ পেমেন্ট সম্পর্কে আপনার জানা থাকলে ভালো :
     পিটিসি(PTC), ডাটা এন্ট্রি(DATA ENTRY) থেকে শুরু করে গ্রাফিক ডিজাইন বা প্রোগ্রামিং এর কাজ করুন,ইন্টারনেটের মাধ্যমে কিছু বিক্রি করুন, টাকা হাতে পাওয়ার জন্য আপনার প্রয়োজন অনলাইন পেমেন্ট ব্যবস্থা। এখানে অনলাইনে লেনদেনের বিভিন্ন পদ্ধতির একটি চিত্র তুলে ধরা হলো ---

    পেওনিয়ার মাষ্টার কার্ড(Master Card) : পেমেন্ট সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন বিকল্পের অন্যতম ও কার্যকর ব্যবস্থাটি হল পেওনিয়ার কার্ড। পেওনিয়ার কার্ডের কথা জানা নেই এরকম কম মানুষই আছেন। পেওনিয়ার কার্ড দিয়ে প্রায় সকল ওয়েবসাইট থেকে কেনাকাটা করা যায়। পেপাল, ফেসবুক, ইবে, অ্যাডওয়ার্ড ইত্যাদি অ্যাকাউন্ট ভেরিফাই করা যায়। এমনকি পেপালে টাকা গ্রহণ করা যায়। বিশ্বের সকল দেশের এটিএম বুথ থেকে টাকা তুলতে পারবেন (বাংলাদেশ থেকেও)। ফ্রিল্যান্স সাইট সমূহ, ক্লায়েন্ট বা অন্য কারো কাছে থেকে পেমেন্ট গ্রহন। পেওনিয়ার প্রায় ২০০ কোম্পানি হতে পেমেন্ট সাপোর্ট করে। সুবিধার পাশাপাশি অল্প কিছু অসুবিধাও পেওনিয়ারের নেই, তা নয়। তবে সুবিধার তুলনায় তা নগন্য। আমার মতে সবচেয়ে বড় অসুবিধা হল ফি। পেওনিয়ারের এটিএম উইথড্র এর ক্ষেত্রে ফি টা একটু বেশি। এছাড়াও ২০ ডলারের নিচে কার্ড লোড করতে না পারাটাও অন্যতম একটা সমস্যা। অবশ্য এসব আমার মনে হয় সুবিধার তুলনায় নগন্য। পেওনিয়ার সাইটে গিয়ে সরাসরি এপ্লাই করতে পারেন কার্ডের জন্য। তবে কোনো পার্টনারের সাহায্যে বা রেফারেল লিংক হতে এপ্লাই করে কার্ড পাওয়ার পসিবিলিটি বেশি।

    ওয়েষ্টার্ন ইউনিয়ন : ওয়েষ্টার্ন ইউনিয়ন ব্যবহার করে অনলাইনে বা ফোনের মাধ্যমে টাকা লেনদেন করা যায় কিংবা অনলানে বিল দেয়া, কেনাকাটা করা যায়। একাজ করতে হয় তাদের কোন এজেন্ট (Bank) এর মাধ্যমে। টাকা প্রদানের জন্য নির্দিষ্ট কোড ব্যবহার করা হয় বলে লেনদেন নিরাপদ।

    অয়্যার ট্রান্সফার : এক ব্যাংক থেকে আরেক ব্যাংকে টাকা পাঠানোর পদ্ধতি। আপনি যার কাছে অর্থ পাবেন তিনি তার ব্যাংক একাউন্ট থেকে টাকা পাঠাবেন। সেটা জমা হবে আপনার ব্যাংক একাউন্টে। দেশ এবং অর্থ পরিমান ইত্যাদি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে লেনদেনের জন্য ফি দিতে হয় !


    ব্যাংক চেক : আপনার নামে সরাসরি ব্যাংক চেক পাঠানো হবে। আপনি স্থানীয় ব্যাংক থেকে তার বিপরীতে টাকা উঠাতে পারেন। গুগল, চিতিকা এবং আরো কিছু কোম্পানী এই ব্যবস্থা ব্যবহার করে। সমস্যা হচ্ছে, চেক হারিয়ে যেতে পারে, হাতে পেতে দেরী হতে পারে। গুগলের এমন ব্যবস্থা রয়েছে যেখানে অতিরিক্ত টাকা দিয়ে কুরিয়ারের মাধ্যমে চেক নিতে পারেন। এতে দ্রুত চেক পাওয়া যায়।

    পে-পল: সহজে অর্থ লেনদেনের সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি। তাদের সাইটে গিয়ে বিনামুল্যে একাউন্ট করা যায় (বাংলাদেশসহ কিছু দেশ বাদে)। লেনদেনের জন্য শুধুমাত্র ই-মেইল এড্রেস ব্যবহার করতে হয়। অর্থাৎ আপনি যারকাছে টাকা পাবেন তাকে ই-মেইল এড্রেস জানালে তিনি আপনার একাউন্টে টাকা পাঠিয়ে দিতে পারেন। একইভাবে কোথাও অর্থ দেয়া প্রয়োজন হলে (যেমন সার্ভার ভাড়া করা বা সফটঅয়্যার কেনা) আপনি পে-পল একাউন্ট থেকে টাকা দিতে পারেন। কিংবা অনলাইনে কিছু কিনতে পারেন। প্রায় সব কোম্পানী এই ব্যবস্থা ব্যবহার করে থাকে। বাংলাদেশ থেকে পে-পলের সদস্য হওয়া যায় না। সরকার এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে জানালেও বাস্তবে সেটা এখনো হয়নি।

    স্ক্রীল: পে-পলের মত একই ধরনের আরেকটি প্রতিস্ঠান। এখানেও ইমেইল এড্রেস ব্যবহার করে টাকা লেনদেন করা হয়। বাংলাদেশে স্ক্রীল ব্যবহার করা যায়্ তবে এর জনপ্রিয়তা এবং ব্যবহার পে-পলের থেকে কম। ফলে যে কোম্পানী এই ব্যবস্থা ব্যবহার করে কেবলমাত্র তাদের সাথে লেনদেনের কাজ করতে পারেন। সদস্য হতে টাকা দিতে হয় না, তবে প্রতিটি লেনদেন থেকে সার্ভিস চার্জ হিসেবে কিছু টাকা কেটে নেয়া হয়। নিজস্ব ব্যাংক একাউন্ট থেকে এখানে জমা হওয়া টাকা উঠানো যায়।

    পায়জা: এটাও ইমেইল এড্রেস ব্যবহার করে টাকা স্থানান্তরের পদ্ধতি। তাদের একাউন্টে জমা হওয়া টাকা ব্যাঙকের মাধ্যমে কিংবা চেক অয়্যার ট্রান্সফার, ডেবিট-ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে উঠানো যায়। এছাড়া কয়েকটি দেশের জন্য তাদের নিজস্ব কার্ড রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে পায়জা ব্যবহার করা যায়।

    এগুলি ছাড়াও এধরনের আরো বেশকিছু পদ্ধতি রয়েছে যার মাধ্যমে অনলাইনে অর্থ লেনদেন করা যায়।
    আপনাদের প্রযোজনীয় টিপস নিয়ে আমরা সব সময় প্রস্তুত , আমাদের সাথেই থাকুন !!! 

      Thursday, 5 March 2015

      "Facebook Emotions Codes"

      Facebook all latest cool
      chat emotions with codes :-
      Go To Your Facebook Comment Box And Remove The  (*) then Comment >>>
      [[f9.sad*]]
      [[f9.angry*]]
      [[f9.sleepy*]]
      [[f9.shock*]]
      [[f9.kiss*]]
      [[f9.inlove*]]
      [[f9.pizza*]]
      [[f9.coffee*]]
      [[f9.rain*]]
      [[f9.bomb*]]
      [[f9.sun*]]
      [[f9.heart*]]
      [[f9.heartbreak *]]
      [[f9.doctor*]]
      [[f9.ghost*]]
      [[f9.brb*]]
      [[f9.wine*]]
      [[f9.gift*]]
      [[f9.adore*]]
      [[f9.angel*]]
      [[f9.baloons*]]
      [[f9.bowl*]]
      [[f9.cake*]]
      [[f9.callme*]]
      [[f9.clap*]]
      [[f9.confused*] ]
      [[f9.curllip*]]
      [[f9.devilface* ]]
      [[f9.lying*]]
      [[f9.rofl*]]
      [[f9.billiard*] ]
      [[f9.cakepiece* ]]
      [[f9.rosedown*] ]
      [[f9.shutmouth* ]]
      [[f9.shy*]]
      [[f9.silly*]]
      [[f9.tongue1*]]
      [[f9.fastfood*]]
      [[f9.ring*]]
      [[f9.plate*]]

      Past, Present And Future

      ☆ ১ বছরের মূল্য বুঝতে চান?
      তাকে জিজ্ঞেস করুন,যে পরীক্ষায় পাশ করতে পারেনি।
      ☆ ১ মাসের মূল্য বুঝতে চান?
      তাকে জিজ্ঞেস করুন,যে তার বেতন পায়নি।
      ☆ ১ সপ্তাহের মূল্য বুঝতে চান?
      তাকে জিজ্ঞেস করুন,যে হাসপাতালে ভর্তি ছিল।
      ☆ ১ দিনের মূল্য বুঝতে চান?
      তাকে জিজ্ঞেস করুন,যে কারাগারে ছিল।
      ☆ ১ ঘন্টার মূল্য বুঝতে চান?
      তাকে জিজ্ঞেস করুন,যে প্রিয়জনের অপেক্ষায় ছিল।
      ☆ ১ মিনিটের মূল্য বুঝতে চান?
      তাকে জিজ্ঞেস করুন,যে ট্রেন মিস করেছিল।
      ☆ ১ সেকেন্ডের মূল্য বুঝতে চান?
      তাকে জিজ্ঞেস করুন,যে এক্সিডেন্টের হাত থেকে রক্ষা পেল।
      ★★★ প্রতিটা মুহুর্ত খুব মুল্যবান..গতকাল ইতিহাস...আগামীকাল অজানা...কিন্তু আজকের দিনটা আমাদের জন্য উপহার...
      আর এ কেই বলে বর্তমান....!!

      গার্বেজ ব্যাগে পাওয়া গেল অস্কারজয়ী তারকার সেই পোশাক!


      অস্কারজয়ী অভিনেত্রী লুপিতা নিয়োঙ্গের ১
      লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলারের পোশাক চুরি হওয়ার ২ দিনের মধ্যেই উদ্ধার করা হয়েছে। তার এ পোশাক৬ হাজার মুক্তা ও হীরা দিয়ে খচিত ছিল। এবারের অস্কার অনুষ্ঠানে এ পোশাক পরে উপস্থিত ছিলেন তিনি।
      মঙ্গলবার সন্ধ্যা অথবা বুধবার দিনে এই পোশাক
      চুরি হতে পারে বলে ধারণা করছে পুলিশ। ওয়েস্ট হলিউডের লন্ডন হোটেলের টয়লেটের ভেতর একটি গার্বেজ ব্যাগ থেকে পোশাকটি পাওয়া যায়। বর্তমানে লস এনঞ্জেলেসের কর্মীরা হোটেলটির পুনঃসংস্কারের কাজ করছে।
      পুলিশ জানায়, সিসিটিভি ফুটেজে সন্দেহভাজন কিছু ধরা না পড়লেও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। ৬ হাজার মুক্তা দিয়ে খচিত এই পোশাকের কিছু মুক্তা পড়ে গেছে,তবে পোশাকটির কোনো ক্ষতি হয়নি।
      ৩১ বছর বয়সী লুপিতা নিয়োঙ্গে গত রোববার ৮৭তম অস্কার অনুষ্ঠানে এ পোশাকটি পরেন। ওই
      অনুষ্ঠানে তিনি উপস্থাপিকার ভূমিকা পালন করেন। কেনিয়ান অভিনেত্রী লুপিটা নিয়োঙ্গে গত বছর ‘টুয়েলভ ইয়ারস অ্যা স্লেভ’র জন্য সেরা সহ-অভিনেত্রী হিসেবে অস্কার পুরস্কার লাভ করেন। তিনি একই বছর যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সাপ্তাহিক ‘পিপল ম্যাগাজিন’র সেরা সুন্দরী নির্বাচিত হন।

      Wednesday, 4 March 2015

      মাশরাফি আমাদের গর্ব ,আমাদের প্রেরণা

      দুঃখটা বাংলাদেশের জন্য না। দুঃখ টা মাশরাফির জন্য।।একজন বাবার ৫মাসের শিশু
      সন্তান হসপিটালের আই সি ইউ তে কাতরাচ্ছে। তার পরও সেই বাবা দেশের হয়ে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছে লক্ষ মাইল দুরে। একজন খেলোয়াড় যার পায়ে ১২বার ডাক্তারের ছুরি চলেছে। যে কোন
      সময় আজীবন পংগু হওয়ার সম্ভবনা। এর পরও খেলে যাচ্ছেন দেশের জন্য।।সে খেলোয়াড়ি জীবনে যা ইনকাম করেছে,তা দিয়ে আরামে আয়েশে বসে বড় কোন ব্যবসা শুরু করতে পারতো।কিন্ত না,পাগলা টা তাও ছুটে যায়,সব কিছুকে পেছনে ফেলে।দেশের জন্য।। আজ-কাল কার আনামুলরা কেমনে বুঝবে তার দেশপ্রেম!! একজন ভাল প্লেয়ার হিসেবে নয়। একজন ভাল মানুষ হিসেবে মাশরাফি আমার কাছে অধিকতর প্রিয়।।কিন্তু সে মানুষ কে দুদিন আগে জুমার নামায পড়তে গিয়ে লাঞ্চিত হতে হয়।কেমন
      আমরা চিন্তা করুন।মাশরাফির মত আর ৪/৫ টা খেলোয়াড় নিজের জন্য না খেলে দেশের
      জন্য খেলতেন তাহলে বাংলাদেশ বিশ্ব
      চ্যাম্পিয়ন হতো ।এক মত হলে গর্জে উঠুন ।
      I love u মাশরাফি ভাই।
      ★☆★ আর একটা প্রশ্ন,আপনি কি তামিম কে বাংলাদেশ দলে রাখার প্রয়োজন
      আছে বলে মনে করেন???

      Monday, 2 March 2015

      Learn The Core Meaning Of Different Colours

      যে সব নতুন  ভাইয়েরা ডিজাইনইং কিংবা html এ নতুনভাবে লেখালিখি করছেন ,তাদের কাজে আসতে পারে।
      প্রত্যেক ডিজাইনার এর বিষয় ভিত্তিক রং এর ব্যবহার সম্পর্কে ভালো অভিজ্ঞতা থাকা অত্যন্ত জরুরী, তাই জেনে নিন কখন কোন রং ব্যবহার করবেন
      -• Red: Passion, Love, Anger ( আবেগ, ভালবাসা, রাগ )
      • Orange: Energy, Happiness, Vitality ( শক্তি, সুখ, জীবনীশক্তি )
      • Yellow: Happiness, Hope, Deceit ( সুখ, আশা, কৌশল )
      • Green: New Beginnings, Abundance, Nature ( নতুন সূত্রপাত, প্রাচুর্য, প্রকৃতি )
      • Blue: Calm, Responsible, Sadness ( শান্ত, দায়িত্বপ্রাপ্ত, বিষণ্ণতা )
      • Purple: Creativity, Royalty, Wealth (সৃজনশীলতা, সার্বভৌমত্ব, সম্পদ)
      • Black: Mystery, Elegance, Evil ( রহস্য, কমনীয়তা, মন্দ )
      • Gray: Moody, Conservative, Formality ( বিষণ্ণ, রক্ষনশীল, লৌকিকতা )
      • White: Purity, Cleanliness, Virtue ( বিশুদ্ধতা, পরিচ্ছন্নতা, পুণ্য )
      • Brown: Nature, Wholesomeness, Dependability ( প্রকৃতি, সততা, নির্ভরযোগ্য)
      • Tan or Beige: Conservative, Piety, Dull ( রক্ষনশীল, ভক্তি, নিস্তেজ )
      • Cream or Ivory: Calm, Elegant, Purity ( শান্ত, মার্জিত, স্বচ্ছতা )
      আপনাদের সুবিধার্থে একেবারে বেসিক জিনিস নিয়ে আলোচনা করি ।লেখায় ভুল ত্রুটির জন্য ক্ষমা করবেন ।আর আমার ব্লগের সাথে থাকেন। আমার একটা পোস্ট ও যদি আপনাদের কাজে আসে তাহলে নিজেকে সার্থক মনে করব। এবং কোন সমস্যা থাকলে বলবেন ,যথাসাধ্য চেষ্টা করব। আর কোন কোন বিষয় এর পোস্ট চান তা বলতে কিন্তু ভুলবেন না !!!সবাই ভালো থাকেন

      The Popular "DX ing"


      DX ing কী?
      DX ing
      কথাটি বিশ্বব্যাপী অতি পরিচিত
      একটি শব্দ ৷ তারপরও অনেকে জানেন
      না DX ing কী?
      বেতার বা রেডিও হল
      একটি শক্তিশালী গণমাধ্যম ৷
      বিশ্বের প্রতিটি দেশই বিভিন্ন
      ভাষায়✍ বিভিন্ন কম্পাংকে ( LW,
      MW, SW, FM) বিভিন্ন ভাষায় অনুষ্ঠান
      প্রচার করে থাকে ৷ আর এসব
      অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য হল রাষ্ট্রের
      আইন কানুন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য,
      চিকিৎসা, সংবাদ, বিনোদন,
      ইতিহাস, বিজ্ঞান -
      ইত্যাদি সবচেয়ে কম
      খরচে শ্রোতাদের
      মাঝে পৌছে দেয়া ৷
      শ্রোতারা এসব অনুষ্ঠান শুনেন আর
      বেতার কেন্দ্রগুলোর আয়োজিত
      বিভিন্ন কার্যক্রমে অংশ নেন ৷
      এককথায় - বেতার শোনা ও বেতার
      কেন্দ্রগুলোর কার্যক্রমে অংশ
      নেয়াই হল DX ing.
      DX ing আওতায় যেসব কাজ
      পড়ে তা হল - অনুষ্ঠান শোনা,
      অনুষ্ঠানে চিঠি লেখা, বিভিন্ন
      বিষয় জানতে চাওয়া,
      শুনতে চাওয়া, কুইজে অংশ নেয়া,
      শ্রোতা সম্মেলনে অংশ নেয়া,
      শ্রোতা ক্লাব গঠন ইত্যাদি ৷
      আপনি ইচ্ছে করলেই পারেন এসব
      কার্যক্রমে অংশ নিয়ে নিজের
      জ্ঞান বাড়াতে , পুরষ্কার
      জিততে সর্বপরি বিশ্বব্যাপী পরিচিত
      হতে ৷
      অনেকে এটা করেন শখের বশে ৷ সহজ
      ও সবচেয়ে শক্তিশালী গণমাধ্যম
      হিসেবে বেতারের সমকক্ষ আর
      কোনটি নেই ৷ এর সুবিধা হল
      সম্প্রচার খরচ কম আর
      শ্রোতারা শুনতে পারেন খুব কম
      খরচে ৷ বেতার শোনার সুবিধা হল
      এর জন্য আলাদা সময় ব্যয় না করলেও
      চলে ৷ অন্যান্য কাজের মাঝেই
      এটা শোনা যায় ৷ বিশ্বের যে কোন
      প্রান্ত থেকেই এটা শোনা যায়;
      দরকার শুধু একটি ভাল মানের
      রিসিভার ৷
      বিশ্বের অনেক দেশ
      বাংলা ভাষায় অনুষ্ঠান প্রচার
      করে ৷ যেমন রেডিও তেহরান ,
      রেডিও জাপান, রেডিও
      ভেরিতাস এশিয়া, চীন
      আন্তর্জাতিক বেতার, ভয়েস অব
      আমেরিকা, বিবিসি, অল
      ইন্ডিয়া রেডিও,
      ডয়চেভেলে( বর্তমানে বন্ধ), আশার
      বানী, রেডিও কুয়েত, বাংলাদেশ
      বেতার, রেডিও রাশিয়া (বন্ধ)
      ইত্যাদি ৷ আপনি শুধু অনুষ্ঠান
      শোনা নয়; অংশ নিতে পারেন
      সাক্ষাতকারে , পাঠাতে পারেন
      আপনার লেখা প্রতিবেদন, ভয়েস
      রেকর্ডিং ৷ কুইজে অংশ
      নিয়ে জিততে পারেন বিদেশ
      ভ্রমনের সুযোগ, পেতে পারেন
      টি শার্ট, ক্যাপ, টেবিল ক্লথ, নগদ
      টাকা, ওয়াল ম্যাট, চাবি রিং,
      ব্যাগ, তোয়ালে, আইপড, রেডিও,
      কলম, ডায়েরি, ঘড়ি, ক্যালকুলেটর,
      বই সহ নানা পুরস্কার ৷
      বাংলা ভাষা বাদেও অন্যান্য
      ভাষার অনুষ্ঠানও শুনতে পারেন ৷
      তাই বেতার [RADIO] শুনুন;
      নিজেকে আবিষ্কার☀ করুন এক নতুন
      জগতে ৷

      Sunday, 1 March 2015

      ফেসবুক নিউজফিড সাজান ইচ্ছে মতো

      ইচ্ছেমতো ফেসবুক নিউজফিড সাজিয়ে নেওয়ার ৫ কৌশল:
      ইচ্ছে না থাকলেও ফেসবুক ফিডে অপ্রয়োজনীয় অনেক কিছুই
      দেখতে হয় আমাদের। এর মাঝে থাকে বন্ধুদের প্যাঁচাল,
      বিভিন্ন গ্রুপের অপ্রাসঙ্গিক পোস্ট, বিজ্ঞাপন ইত্যাদি। ছোট্ট
      কিছু কৌশলে এসব বাদ দিয়ে ফেসবুক নিউজ ফিড
      ভরিয়ে তুলতে পারবেন নিজের পছন্দের কনটেন্ট দিয়ে।
      ১. বিরক্তিকর মানুষদের “আনফলো” করুন : যেসব মানুষ খুব
      বিরক্তিকর অথচ আনফ্রেন্ড করে ফেললে কষ্ট পাবে,
      তাদেরকে আনফলো করাটাই বেশ ভালো একটি উপায়। তাদের
      বিরক্তিকর পোস্টের ডান দিকের কোনায়
      ত্থাকা অ্যারো ক্লিক করুন এবং আনফলো করে ফেলুন তাকে।
      এছাড়াও তাদের প্রোফাইলে গিয়ে দেখুন ‘ফলোইং’ নামের
      একটি বাটন আছে। ওর উপরে একবার ক্লিক করলেই
      আনফলো হয়ে যাবে। ওই মানুষটির ড্রামা আর আপনাকে সহ্য
      করতে হবে না।
      ২. অপ্রয়োজনীয় পেজ থেকে কনটেন্ট এড়িয়ে চলুন: আপনার
      বন্ধুরা যদি আজেবাজে গ্রুপ বা পেইজ থেকে কনটেন্ট শেয়ার
      করতে থাকে অহরহ, তাহলে কি করবেন? ওই পোস্টের ডান
      কোনায় থাকা অ্যারো ক্লিক করুন। এরপর সিলেক্ট করুন “Hide
      all from [অমুক পেজ]”। ওই বন্ধুর অন্যান্য পোস্ট দেখতে পাবেন
      কিন্তু ওই পেজ থেকে আর কিছু দেখতে পাবেন না।
      ৩. ফেসবুককে জানান কি ধরণের পোস্ট আপনাকে বিরক্ত করছে
      : যে ধরণের পোস্ট আপনার বিরক্তির কারণে হয়ে দাঁড়াচ্ছে,
      সেগুলোর ওই ডান কোনার অ্যারোতে দেখতে পাবেন “ I don’t
      want to see this” অপশনটি। বিরক্তিকর পোস্টগুলোতে এই
      অপশন সিলেক্ট করতে থাকলে ফেসবুক বুঝে নেবে কি ধরণের
      পোস্টে আপনার অ্যালার্জি আছে, আর এসব পোস্ট আপনার
      নিউজফিডে কম আসবে।
      ৪. ফেসবুক সার্ভে পূরণ করুন: ফেসবুক
      জানে যে ব্যবহারকারীরা বেশ কিছু ব্যাপারে বিরক্ত হয়। তাই
      আপনাকে সাহায্য করার জন্যই আছে এই সার্ভে। ছোট এই
      সার্ভে পূরণ করলে আপনারই উপকার হবে। পোস্টের ডান দিকের
      অ্যারোতে ক্লিক করলে নিচের দিকে “more options” পাবেন,
      এ থেকে ফেসবুক সার্ভে গ্রহণের অপশন আসবে।
      ৫. “নিউজ ফিড প্রেফারেন্স” নিয়ন্ত্রণ করুন: ফেসবুকের মেইন
      সেটিংস মেনুতে গিয়ে “News Feed Preferences” সিলেক্ট
      করুন। এর থেকে দেখতে পাবেন আপনি কি ধরণের কনটেন্ট
      বেশি দেখে থাকেন, কাকে আনফলো করেছেন ইত্যাদি।
      ইচ্ছেমতো এগুলোর পরিবর্তন করে নিউজ ফিড নিয়ন্ত্রণ
      করতে পারবেন আপনি।