Thursday, 4 June 2015

বিশ্বব্যাপী নতুন আতংক (mers-virus) মার্স ভাইরাস

মার্স ভাইরাসের লক্ষণ এবং প্রতিরোধে করণীয়:
মার্স ভাইরাস(mers-virus) বা মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম- সংক্ষেপে মার্স (Middle East respiratory syndrom- MERS) বর্তমানে বিশ্বব্যাপী নতুন আতংক হিসেবে দেখা দিয়েছে।সম্প্রতি মিডল ইস্ট ছাড়াও কোরিয়াতে ভাইরাসটি
ছড়িয়ে পড়ায় সকলের মধ্যে দেখা দিয়েছে ব্যাপক আতংক। মার্সে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। সবচেয়ে বড় আতংকের বিষয় হচ্ছে মার্স আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুহার অনেক বেশি।

মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (মার্স) কী?
মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (র্স) এক ধরনের ভাইরাস সংক্রমণ। এই ভাইরাস একটি করোনা ভাইরাস।

মার্স ভাইরাসে আক্রান্ত রোগের লক্ষণগুলো কী কী?
– বেশ কয়েকদিন ধরে শরীরে জ্বর থাকা (১০০.৪ ডিগ্রি বা তার অধিক)
– শ্বাসকষ্ট (জ্বর আসার ২/৩ দিন পর সাধারণত শুরু হয় তবে কারো কারো ক্ষেত্রে ১০দিন পরেও শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে)
– কাঁশি মার্স অনেকটা সার্স ভাইরাসের অনুরূপ হলেও এ দু’এর মধ্যে কিছুটা পার্থক্য পাওয়া গেছে। মার্স এর প্রধান প্রধান লক্ষণ হচ্ছে- জটিলশ্বাস-প্রশ্বাস,শ্বাসকষ্ট। রোগী স্বাভাবিক শ্বাস নিতে পারেনা। স্বাভাবিক শ্বাসের পরিবর্তে রোগীর শ্বাস হবে ঘনঘন ও ছোট ছোট।জ্বর এবং কফ। প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যাবার জটিলতা।কিভাবে এই রোগ ছড়ায়?
রোগটি সম্পর্কে এখনো বিশেষজ্ঞরা একমত না হলেও ধারণা করা হয় এই ভাইরাসটি প্রথম পশুর (উট) মাধ্যমে ছড়িয়েছে। পরবর্তী সময়ে তা মানুষ থেকে মানুষের কাছে ছড়াচ্ছে। সাধারণত এই ভাইরাসটি মানুষের ঘনবসতি এলাকায় বেশি দেখা যাচ্ছে।
কাছাকাছি সংস্পর্শ, হাচি কাশি ইত্যাদির মাধ্যমে ছড়ায়। এই রোগে আক্রান্তদের কাছাকাছি আসলে এই রোগে আক্রান্ত হবার সুযোগ সৃষ্টি হয়।মার্স ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায় এখনো পর্যন্ত মার্স করোনাভাইরাসের কোন নির্ধারিত ভ্যাকসিন আবিষ্কা রহয়নি, শুধু মার্স ভাইরাসের নির্দিষ্ট কোন চিকিৎসাও নেই। তবে বিশেষজ্ঞগণ জোর দিয়ে বলেছেন সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করলে এই করোনাভাইরাসের আক্রমণ থেকে সহজেই রক্ষা পাওয়া যায়। সতর্কতামূলক পদক্ষেপগুলোহচ্ছে-
১. উপরের লক্ষণগুলো দেখা দিলে আপনি জ্বররোধক এবং ব্যাথার ওষুধ (painkiller) গ্রহণ করতে পারেন।
২. পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল পানীয় পান করুন, পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রামগ্রহণ করুন এবং স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন।
৩. বাইরে থেকে এসে ভালো করে হাত ধুতে হবে।অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। এছাড়া হ্যান্ডস্যানিটাইজারও ব্যবহার করতে পারেন।
৪. জনবসতি পূর্ণ এলাকায় গেলে নাক-মুখ ঢেকে রাখলে রোগের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে পারেন।
৫. অধোয়া হাত চোখ, নাক অথবা মুখের স্পর্শে না আনাটাই উত্তম। কারণ জীবানু হাত থেকে নাক মুখ চোখের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে।
৬. আক্রান্ত রোগীর ব্যবহৃত জিনিস বিশেষ করে প্লেট, চামচ, তোয়ালে, গামছা ইত্যাদি ব্যবহার করবেন না।
৭. আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শ যতটুকু সম্ভব এড়িয়ে চলাটাই উত্তম।
৮. রোগের উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।প্রসঙ্গত, মার্সের এখন পর্যন্ত কোনো টিকা কিংবা প্রতিরোধক আবিষ্কৃত হয়নি, তাই সবার সচেতনতাই এখন পর্যন্ত একমাত্র উপায়।

No comments:

Post a Comment

Thursday, 4 June 2015

বিশ্বব্যাপী নতুন আতংক (mers-virus) মার্স ভাইরাস

মার্স ভাইরাসের লক্ষণ এবং প্রতিরোধে করণীয়:
মার্স ভাইরাস(mers-virus) বা মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম- সংক্ষেপে মার্স (Middle East respiratory syndrom- MERS) বর্তমানে বিশ্বব্যাপী নতুন আতংক হিসেবে দেখা দিয়েছে।সম্প্রতি মিডল ইস্ট ছাড়াও কোরিয়াতে ভাইরাসটি
ছড়িয়ে পড়ায় সকলের মধ্যে দেখা দিয়েছে ব্যাপক আতংক। মার্সে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। সবচেয়ে বড় আতংকের বিষয় হচ্ছে মার্স আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুহার অনেক বেশি।

মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (মার্স) কী?
মিডল ইস্ট রেসপিরেটরি সিনড্রোম (র্স) এক ধরনের ভাইরাস সংক্রমণ। এই ভাইরাস একটি করোনা ভাইরাস।

মার্স ভাইরাসে আক্রান্ত রোগের লক্ষণগুলো কী কী?
– বেশ কয়েকদিন ধরে শরীরে জ্বর থাকা (১০০.৪ ডিগ্রি বা তার অধিক)
– শ্বাসকষ্ট (জ্বর আসার ২/৩ দিন পর সাধারণত শুরু হয় তবে কারো কারো ক্ষেত্রে ১০দিন পরেও শ্বাসকষ্ট দেখা দিতে পারে)
– কাঁশি মার্স অনেকটা সার্স ভাইরাসের অনুরূপ হলেও এ দু’এর মধ্যে কিছুটা পার্থক্য পাওয়া গেছে। মার্স এর প্রধান প্রধান লক্ষণ হচ্ছে- জটিলশ্বাস-প্রশ্বাস,শ্বাসকষ্ট। রোগী স্বাভাবিক শ্বাস নিতে পারেনা। স্বাভাবিক শ্বাসের পরিবর্তে রোগীর শ্বাস হবে ঘনঘন ও ছোট ছোট।জ্বর এবং কফ। প্রস্রাব বন্ধ হয়ে যাবার জটিলতা।কিভাবে এই রোগ ছড়ায়?
রোগটি সম্পর্কে এখনো বিশেষজ্ঞরা একমত না হলেও ধারণা করা হয় এই ভাইরাসটি প্রথম পশুর (উট) মাধ্যমে ছড়িয়েছে। পরবর্তী সময়ে তা মানুষ থেকে মানুষের কাছে ছড়াচ্ছে। সাধারণত এই ভাইরাসটি মানুষের ঘনবসতি এলাকায় বেশি দেখা যাচ্ছে।
কাছাকাছি সংস্পর্শ, হাচি কাশি ইত্যাদির মাধ্যমে ছড়ায়। এই রোগে আক্রান্তদের কাছাকাছি আসলে এই রোগে আক্রান্ত হবার সুযোগ সৃষ্টি হয়।মার্স ভাইরাস থেকে বাঁচার উপায় এখনো পর্যন্ত মার্স করোনাভাইরাসের কোন নির্ধারিত ভ্যাকসিন আবিষ্কা রহয়নি, শুধু মার্স ভাইরাসের নির্দিষ্ট কোন চিকিৎসাও নেই। তবে বিশেষজ্ঞগণ জোর দিয়ে বলেছেন সতর্কতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করলে এই করোনাভাইরাসের আক্রমণ থেকে সহজেই রক্ষা পাওয়া যায়। সতর্কতামূলক পদক্ষেপগুলোহচ্ছে-
১. উপরের লক্ষণগুলো দেখা দিলে আপনি জ্বররোধক এবং ব্যাথার ওষুধ (painkiller) গ্রহণ করতে পারেন।
২. পর্যাপ্ত পরিমাণে তরল পানীয় পান করুন, পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রামগ্রহণ করুন এবং স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন।
৩. বাইরে থেকে এসে ভালো করে হাত ধুতে হবে।অন্তত ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। এছাড়া হ্যান্ডস্যানিটাইজারও ব্যবহার করতে পারেন।
৪. জনবসতি পূর্ণ এলাকায় গেলে নাক-মুখ ঢেকে রাখলে রোগের সংক্রমণের হাত থেকে বাঁচতে পারেন।
৫. অধোয়া হাত চোখ, নাক অথবা মুখের স্পর্শে না আনাটাই উত্তম। কারণ জীবানু হাত থেকে নাক মুখ চোখের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করে।
৬. আক্রান্ত রোগীর ব্যবহৃত জিনিস বিশেষ করে প্লেট, চামচ, তোয়ালে, গামছা ইত্যাদি ব্যবহার করবেন না।
৭. আক্রান্ত রোগীর সংস্পর্শ যতটুকু সম্ভব এড়িয়ে চলাটাই উত্তম।
৮. রোগের উপসর্গ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।প্রসঙ্গত, মার্সের এখন পর্যন্ত কোনো টিকা কিংবা প্রতিরোধক আবিষ্কৃত হয়নি, তাই সবার সচেতনতাই এখন পর্যন্ত একমাত্র উপায়।

No comments:

Post a Comment