Saturday 13 June 2015

১৪ জুন বিশ্ব রক্তদান দিবস

রক্তের "এ" "বি" এবং  "ও" গ্রুপের আবিষ্কারক নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী
কার্ল ল্যান্ডস্টেইনারের জন্ম হয়েছিল ১৪ জুন। রক্তদানের প্রতি মানুষের সচেতনতা বাড়াতে প্রতি বছর ১৪ই জুন পালিত হয় বিশ্ব রক্তদান দিবস
হিসেবে৷ যারা ক্যান্সার, থ্যালাসেমিয়া ও অন্যান্য রক্ত সংক্রান্ত রোগে
আক্রান্ত রোগীদের বিনামূল্যে রক্তদান করে আসছেন, যারা স্বেচ্ছায় ও বিনামূল্যে রক্তদান করে লাখো মানুষের প্রাণ বাঁচাচ্ছেন তাদের সহ
সাধারণ জনগণকে রক্তদানে
উৎসাহিত করতেই ১৪ জুন পালন
করা হয় বিশ্ব রক্তদাতা দিবস।
সাধারণত ১৯৯৫ সাল থেকেই
আন্তর্জাতিকভাবে রক্তদান দিবস পালন করা হয়ে আসলেও, ২০০৪ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী যথেষ্ট গুরুত্ব নিয়ে দিনটি পালিত হয়ে আসছে। ২০০৫ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য অধিবেশনের পর থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও বিশ্ব
রক্তদাতা দিবস পালনের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত হয়ে পড়ে। এদিন সারা বিশ্বে প্রতিবছর ১৪ কোটি ১০ লাখ ইউনিট রক্ত স্বেচ্ছায় দান করা
হয় যার মাত্র ৩৮ শতাংশ সংগ্রহ হয় উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে, যেখানে বাস করে মোট জনসংখ্যার ৮২ শতাংশ মানুষ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী, কোনো দেশের রক্তের চাহিদা থাকে সেই দেশের মোট জনসংখ্যার এক
শতাংশ৷ অনেক দেশে চাহিদা অনুযায়ী সুস্থ রক্তের জোগান কম৷ এটা একটা বড় সমস্যা বটে৷ প্রতি
দু‘সেকেন্ডে কারো না কারোর রক্ত দরকার হয়৷ বছরে চার কোটি ইউনিট রক্ত দরকার হয়৷ পাওয়া যায় মাত্র ৪০ লাখ ইউনিট৷ সব থেকে বেশি দরকার
হয় ‘ও‘ টাইপ রক্ত৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার মাত্র এক শতাংশ রক্তদান করে থাকে। যা
প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল। বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশে
রক্তদানের হার তাদের নিজ দেশের রক্তের চাহিদার থেকে কম। প্রতিবছর ৮ কোটি ইউনিট রক্ত স্বেচ্ছায় দান হয়। ৮ কোটি সংখ্যাটা বিশাল
শোনালেও প্রয়োজনের তুলনায় এটা সামান্যই। বাংলাদেশে প্রতি বছর
প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে জোগান রয়েছে মাত্র দুই লাখ ব্যাগের। অভাব রয়েছে প্রায় এক লাখ ব্যাগের।নিজে রক্তদিন অন্যকে রক্তদানে উৎসাহিত করুন।আপনার একব্যাগ রক্ত বাঁচাতে পারে একটি প্রান ,হাসি ফোটাতে পারে একটি পরিবারে।

No comments:

Post a Comment

Saturday 13 June 2015

১৪ জুন বিশ্ব রক্তদান দিবস

রক্তের "এ" "বি" এবং  "ও" গ্রুপের আবিষ্কারক নোবেলজয়ী বিজ্ঞানী
কার্ল ল্যান্ডস্টেইনারের জন্ম হয়েছিল ১৪ জুন। রক্তদানের প্রতি মানুষের সচেতনতা বাড়াতে প্রতি বছর ১৪ই জুন পালিত হয় বিশ্ব রক্তদান দিবস
হিসেবে৷ যারা ক্যান্সার, থ্যালাসেমিয়া ও অন্যান্য রক্ত সংক্রান্ত রোগে
আক্রান্ত রোগীদের বিনামূল্যে রক্তদান করে আসছেন, যারা স্বেচ্ছায় ও বিনামূল্যে রক্তদান করে লাখো মানুষের প্রাণ বাঁচাচ্ছেন তাদের সহ
সাধারণ জনগণকে রক্তদানে
উৎসাহিত করতেই ১৪ জুন পালন
করা হয় বিশ্ব রক্তদাতা দিবস।
সাধারণত ১৯৯৫ সাল থেকেই
আন্তর্জাতিকভাবে রক্তদান দিবস পালন করা হয়ে আসলেও, ২০০৪ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী যথেষ্ট গুরুত্ব নিয়ে দিনটি পালিত হয়ে আসছে। ২০০৫ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য অধিবেশনের পর থেকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও বিশ্ব
রক্তদাতা দিবস পালনের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত হয়ে পড়ে। এদিন সারা বিশ্বে প্রতিবছর ১৪ কোটি ১০ লাখ ইউনিট রক্ত স্বেচ্ছায় দান করা
হয় যার মাত্র ৩৮ শতাংশ সংগ্রহ হয় উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে, যেখানে বাস করে মোট জনসংখ্যার ৮২ শতাংশ মানুষ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী, কোনো দেশের রক্তের চাহিদা থাকে সেই দেশের মোট জনসংখ্যার এক
শতাংশ৷ অনেক দেশে চাহিদা অনুযায়ী সুস্থ রক্তের জোগান কম৷ এটা একটা বড় সমস্যা বটে৷ প্রতি
দু‘সেকেন্ডে কারো না কারোর রক্ত দরকার হয়৷ বছরে চার কোটি ইউনিট রক্ত দরকার হয়৷ পাওয়া যায় মাত্র ৪০ লাখ ইউনিট৷ সব থেকে বেশি দরকার
হয় ‘ও‘ টাইপ রক্ত৷ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বিশ্বের মোট জনসংখ্যার মাত্র এক শতাংশ রক্তদান করে থাকে। যা
প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল। বিশ্বের ৭০টিরও বেশি দেশে
রক্তদানের হার তাদের নিজ দেশের রক্তের চাহিদার থেকে কম। প্রতিবছর ৮ কোটি ইউনিট রক্ত স্বেচ্ছায় দান হয়। ৮ কোটি সংখ্যাটা বিশাল
শোনালেও প্রয়োজনের তুলনায় এটা সামান্যই। বাংলাদেশে প্রতি বছর
প্রায় সাড়ে ৪ লক্ষ ব্যাগ রক্তের প্রয়োজন হয়। এর মধ্যে জোগান রয়েছে মাত্র দুই লাখ ব্যাগের। অভাব রয়েছে প্রায় এক লাখ ব্যাগের।নিজে রক্তদিন অন্যকে রক্তদানে উৎসাহিত করুন।আপনার একব্যাগ রক্ত বাঁচাতে পারে একটি প্রান ,হাসি ফোটাতে পারে একটি পরিবারে।

No comments:

Post a Comment