আমাদের মাশরাফি ভাই মাটির মানুষ, সরল মনের মানুষ, ও আমাদের পাগলা কৌশিক।তাইতো ও এত বড় মাপের তারকা হয়েও আকাশেথাকেনা, আমাদের সাথে এই বাংলার মাটিতেই থাকে।তাইতো ও দামি গাড়ির চেয়ে রিক্সা কে বেশি ভালোবাসে।তাইতো ও সকাল বেলা লুঙ্গী পরেই বাজারে চলে যায়।পাড়ার চা দোকানে বসে চা খেতে খেতে সবার সাথে কুশল বিনিময় করে। রাস্তার মোড়ে টং দোকানে বসে চা খেতে পারে অবলীলায়। সবার সাথে মিলে মিশে চলে। আমি অবাক হয়ে ভাবি, এই ছেলেটা এতো ভালো কেন ? মাশরাফি আমাদের গর্ব।তাঁকে ভালবাসে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া যাবে কি না আমি জানি না। মাশরাফিকে নিয়ে টিভিতে প্রথম যখন শিরোনাম দেখলাম, বুকে কাপঁন ধরিয়ে দিয়েছিল! আর একটু হলে আমি হাট' ফেল করতাম!! খবরটি চোখে পড়ার সাথে সাথে বুকের ভেতর ধপ করে কেমন যেন করে উঠলো, বুঝতে পারলাম আমরা মাশরাফিকে কত ভালোবাসি !!
যাহোক, সতর্ক থাকার জন্য বড় রকরের বিপদ এড়ালেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। মাশরাফির মেয়ে হুমায়রার টিকা দেওয়ার তারিখবৃহস্পতিবার। তার গাড়িটি মেয়েকে নিয়ে গেছেটিকা কেন্দ্রে। আরেকটি গাড়ির ব্রেকে ছিলসমস্যা। বাসা থেকে ১০-১৫ মিনিটের দূরত্বস্টেডিয়ামে তাই রিকশায় চেপে রওনা হয়েছিলেনতিনি। পথেই পেছন থেকে বাসের ধাক্কা। তবেউপস্থিত বুদ্ধির জোরে বড় ধরনের আঘাত পাওয়াথেকে বেঁচেছেন দেশ সেরা এই পেসার।সকাল ৯টার পর পর বাসা থেকে একটু এগিয়ে কালশি
রোডের কাছে আসতেই দুর্ঘটনা। মাশরাফিইবর্ণনায়, "পেছনের বাসটি যে একটু এলেমেলোচালাচ্ছিল, সেটি বুঝতে পারছিলাম। রিকশায়বসেই তাই খেয়াল রাখছিলাম বাসটির দিকে।বাসটি যখন আমার রিকশার কাছাকাছি এসে যখনধাক্কা দেবে প্রায়, বুঝতে পেরেই আমি লাফ দেই।বাস ঠিকই ধাক্কা দেয় রিকশাকে, রিকশার চাকাভেঙে যায়। পেছনেই ছিল একটি পুলিশের গাড়ি।ওরা এসে আমাকে টেনে তোলে। হাসপাতালেওনিয়ে যেতে চেয়েছিল, তবে আমি ধন্যবাদ জানিয়েবলি যে নিজেই ব্যবস্থা করে নেব।"ওই বাস ও বাসের চালককেও আটক করেছিল পুলিশ।তবে মাশরাফিই পুলিশকে অনুরোধ করেন তাদেরছেড়ে দিতে।তাৎক্ষণিক ভাবে হাসপাতালে না গিয়েশেরেবাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামেই চলে আসেনমাশরাফি।বিসিবির চিকিৎসকরা তার দুই হাতে ওহাঁটুতে ব্যান্ডেজ করে দেন। ডান হাতের চোট একটুবেশি। বুড়ো আঙুলের নিচে তালুতে ক্ষত হয়েছে।লাফ দিয়ে রাস্তায় পড়ে গিয়েছিলেন বলে গরমপিচের ঘষা খেয়ে পুড়েও গেছে। বাঁ হাতের তালুর
উল্টো পিঠে ছড়ে গেছে। হাঁটুতেও চোট লেগে ছড়েগেছে। পরে ফুলেও উঠেছে হাঁটু। ক্যারিয়ার জুড়েহাঁটুর চোট কম ভোগায়নি মাশরাফিকে। তবে এবারচোট গুরুতর নয়।
দুপুর নাগাদও হাতে ব্যথা ছিল, হাঁটু ফোলা ছিল। তবুবড় কোনো ক্ষতি হয়নি ভেবে স্বস্তির নি:শ্বাসফেলছিলেন মাশরাফি, "ব্যথা আছে এখনও। তবে এটাকোনো ব্যাপার না। ভাগ্য ভালো আমি বাসটিরদিকে চোখ রাখছিলাম। যদি খেয়াল না করতাম বা
অন্যমনস্ক থাকতাম, তাহলে হয়তো বাসের ধাক্কায়আরও গুরুতর কিছু হতে পারত। আল্লাহর রহমতে বড়ধরনের একটা বিপদ থেকে বেঁচে গেছি।"শনিবার থেকেই জিম অনুশীলন শুরু করতে পাবেনবলে মনে করছেন মাশরাফি। ১২ জুন বগুড়ায় বিসিবি
হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের প্রস্তুতি ম্যাচটিতেওখেলতে পারবেন বলে আশা বাংলাদেশের ওয়ানডেঅধিনায়কের। বগুড়ায় হাই পারফরম্যান্স ইউনিটেরপ্রস্তুতি ম্যাচে খেলার কথা মাশরাফিসহ টেস্টদলের বাইরে থাকা আরও কজনের।
এদিকে মাশরাফির হাতের তালুর ক্ষত নিয়ে চিন্তিত কোচ ও। ডান-হাতি বোলার মাশরাফির এই দুর্ঘটনাকেদুর্ভাগ্যজনক উল্লেখ করে জাতীয় দলের কোচচন্দিকা হাথুরুসিংহে বলেন, “এমনিতে চোট বেশি গুরুতর না;কিন্তু হাতের তালু নিয়ে আমরা একটু চিন্তিত।”
“যেহেতু টেস্ট আগে এবং ওয়ানডে সিরিজের আগেসময় আছে; আশা করি, সে সেরে উঠবে। তাকেসেরে ওঠার সর্বোচ্চ সুযোগ দেওয়া হবে।”
ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফি ভারতেরবিপক্ষে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলীস্টেডিয়ামে ১০ জুন শুরু হতে যাওয়া একমাত্রটেস্টের দলে নেই।তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটি শুরু হবে১৮ জুন। বাকি দুটি ওয়ানডে ২১ ও ২৪ জুন। দিবা-রাত্রির তিনটি ওয়ানডেই হবে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
No comments:
Post a Comment