Saturday, 14 February 2015

♦ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ফিল্যান্সিং এর অবদান



আমদানী নির্ভর আমাদের এ দেশে যত বৈদেশিক
মুদ্রা রিজার্ভের প্রয়োজন হয় তার একটি বড় অংশ
আসে প্রবাসী বাংলাদেশীদের কাছ থেকে। ২০১২
সালে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের শ্রমিকেরা প্রায়
১৪ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন (তথ্যসুত্রঃ ওর্য়াল্ড ব্যংক)।
প্রতিবছর ১০ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হবে এটা ধরে নিলে ২০১৫
সাল নাগাদ সেটা হবে প্রায় ১৯ বিলিয়ন ইউএস ডলারের
কাছাকাছি।
এবার আসা যাক আউটসোর্সিং শিল্পের দিকে। ২০১২
সালে ৩৬৫ কোটি টাকারও বেশি আয় করেছেন বাংলাদেশের
ফ্রিল্যান্সাররা। ২০১৫ সালে সর্বমোট ৪৪৩ বিলিয়ন ডলার
সমপরিমাণের কাজ আউটসোর্স হবে। আমরা যদি এর ১০%
মার্কেট শেয়ার নিতে পারি তাহলে সেটা প্রায় ৪৫ বিলিয়ন
ইউএস ডলার এবং ৫% মার্কেট শেয়ার নিলে সেটা হবে প্রায়
২৩ বিলিয়ন ইউএস ডলার, যা কিনা আমাদের বৈদেশিক
মুদ্রা অর্জনের বর্তমানের সবচেয়ে বড় খাতকেও অতিক্রম
করবে।
আমাদের দেশে প্রায় ৫০ শতাংশই মহিলা। আর এ মহিলাদের
একটা বিশাল অংশ জাতীয় অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলে- এমন
কাজ খুব কমই করেন। কিন্তু তাদের একটা বড় অংশ
চাইলে বাসায় বসে প্রতিদিন ৩-৪ ঘন্টা সময়
দিলে প্রতি ঘন্টা ১ ডলার হিসাবে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩-৪
ডলারও ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে পারেন। মোট কর্মক্ষম
লোকের সংখ্যা যদি ৭ কোটি হয় তাহলে নারী আছে ৩.৫
কোটি। এর মধ্যে শিক্ষিত তরুণী এবং মহিলা যদি অর্ধ
কোটিও হয় এবং তাঁদেরকে ফ্রিল্যান্সার
হিসাবে গড়ে তোলা সম্ভব হয় তবে প্রতিদিন ১.৫
কোটি ডলার আয় আসবে এ ক্ষেত্র থেকে। বছরে এ আয়ের
পরিমাণ দাড়াবে ৫০০ কোটি ডলারে।

No comments:

Post a Comment

Saturday, 14 February 2015

♦ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে ফিল্যান্সিং এর অবদান



আমদানী নির্ভর আমাদের এ দেশে যত বৈদেশিক
মুদ্রা রিজার্ভের প্রয়োজন হয় তার একটি বড় অংশ
আসে প্রবাসী বাংলাদেশীদের কাছ থেকে। ২০১২
সালে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশের শ্রমিকেরা প্রায়
১৪ বিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছেন (তথ্যসুত্রঃ ওর্য়াল্ড ব্যংক)।
প্রতিবছর ১০ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি হবে এটা ধরে নিলে ২০১৫
সাল নাগাদ সেটা হবে প্রায় ১৯ বিলিয়ন ইউএস ডলারের
কাছাকাছি।
এবার আসা যাক আউটসোর্সিং শিল্পের দিকে। ২০১২
সালে ৩৬৫ কোটি টাকারও বেশি আয় করেছেন বাংলাদেশের
ফ্রিল্যান্সাররা। ২০১৫ সালে সর্বমোট ৪৪৩ বিলিয়ন ডলার
সমপরিমাণের কাজ আউটসোর্স হবে। আমরা যদি এর ১০%
মার্কেট শেয়ার নিতে পারি তাহলে সেটা প্রায় ৪৫ বিলিয়ন
ইউএস ডলার এবং ৫% মার্কেট শেয়ার নিলে সেটা হবে প্রায়
২৩ বিলিয়ন ইউএস ডলার, যা কিনা আমাদের বৈদেশিক
মুদ্রা অর্জনের বর্তমানের সবচেয়ে বড় খাতকেও অতিক্রম
করবে।
আমাদের দেশে প্রায় ৫০ শতাংশই মহিলা। আর এ মহিলাদের
একটা বিশাল অংশ জাতীয় অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলে- এমন
কাজ খুব কমই করেন। কিন্তু তাদের একটা বড় অংশ
চাইলে বাসায় বসে প্রতিদিন ৩-৪ ঘন্টা সময়
দিলে প্রতি ঘন্টা ১ ডলার হিসাবে প্রতিদিন কমপক্ষে ৩-৪
ডলারও ফ্রিল্যান্সিং করে আয় করতে পারেন। মোট কর্মক্ষম
লোকের সংখ্যা যদি ৭ কোটি হয় তাহলে নারী আছে ৩.৫
কোটি। এর মধ্যে শিক্ষিত তরুণী এবং মহিলা যদি অর্ধ
কোটিও হয় এবং তাঁদেরকে ফ্রিল্যান্সার
হিসাবে গড়ে তোলা সম্ভব হয় তবে প্রতিদিন ১.৫
কোটি ডলার আয় আসবে এ ক্ষেত্র থেকে। বছরে এ আয়ের
পরিমাণ দাড়াবে ৫০০ কোটি ডলারে।

No comments:

Post a Comment