Friday 30 December 2016

অর্থের অনুদ্রিলা

অর্থের আকাশে মেঘেরা উড়ে আয়,
পাখিরা গান করে সবুজের শ্যামলিমায়;
         ভ্রমরা মধু পানে-
                    ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়ায়।
        মৃদুমন্দ বাতাসে-
                   পুষ্পেরা সুবাস ছড়ায়।
চারপাশে ছেয়ে যায় মৌ মৌ গন্ধ,
       প্রকৃতিও খুঁজে তাই প্রণয়-ছন্দ।
রাখালিয়া বাজে বাঁশি-
                 বনের ঐ ধারেতে;
কলসি কাঁধে গাঁয়ের বধূ,
                তরুণীও যায় পানিতে।
ফুলে ফুলে আজ সুশোভিত,
             অনুদ্রিলার ছোট্ট কানন।
কাটাবিহীন সব কলি তুলতে,
              অর্থের নেইকো বারণ।
          তাই, আজ সে দিয়েছে
                      সাদা পাঞ্জাবি গায়;
অনুদ্রিলাও হেঁটে আসে
                  আলতা রাঙা পায়।
অপ্সরী নৃত্য করে-
              শুনে দেবালয়ের ঘণ্টে;
কোকিলের কুহুকুহু তখন-
              দুজনার কণ্ঠে।
                   সময়ের পরিক্রমায়
                       আজো যে একত্রিশ
           মাসের পালাক্রমে,
                 হয়নি যে উনিশ-বিশ।
এ যেন তারুণ্যতে- শুরু শৈশব,
       এ বুঝি বিরহ-প্রণয়-অনুভব,
দেখা করে দুজনা রেখে দিয়ে সব।
[উৎসর্গ- অর্থ + অনুদ্রিলা]

Wednesday 7 September 2016

জীবনরথ

কেউ আর অাসবেনা,বসবেনা,
বলবে না- আয় চল।
হাওরের পানিতে নাও ভাসাবো-
সাঁতার কাটব, দেখব জল।।
জীবন মানে দস্যিপনা-
তোকে নিয়ে আঁকব আলপনা;
নাছোড়বান্দা ওরে পাগল,
তুই, ঘুড়ি উড়াবেনা? (ঐ)
টেবিল কোণে তোর ডায়রিতে,
দেখতে লাগে জং ধরেছে,
মালিকহীন ডায়রিটা ও আর-
আগ বাড়ায় না, রে পাগলা,
আগ বাড়ায় না।
ঘরে এসে তোর নামে কেউ
নালিশ করে না,
আজ আর নালিশ করে না।
তুই নাকি দস্যি ছেলে-
তাও বলে না।
কেন জানি নিজেকে বড় একা লাগে,
জানি তুই তো আছিস পাশে;
জানি সামনে বাকি অনেক পথ,
পাড়ি দিতে হবে চরে জীবনরথ;
দুঃখ-সুখের কত কথা-
তোকে বলা হবে না।।
অভিমানে তোর লালটুকটুকে মুখ-
দেখতে পাব না।।
অামি নতুনের মতো-
সবসময় বাঁচতে চাই,
সময়ের ব্যবধানে তাই কেউ আসে-
কেউ অাবার চলে যায়।
যা চলছে অনাদিকাল থেকে হরদম,
প্রকৃতির মতো অামি করে যাই সব হজম,
হয়ে যাই হরণ; হই কি বল, স্মরণ?

Monday 5 September 2016

ধোঁয়াশা

সেলফোন হাতে বসে আছি একা-
দেখা হয়নি, তবু বেড়েছে মনের স্পন্দন,
দেখা হবে বলে বলে হয়নিকো দেখা,
হয়নি তো এ দু মনের সেতুবন্ধন।
হঠাত এক অজানা ঝরে-
একই ছাদের নিচে দুজনার-
চোখে চোখ পড়ে।
লজ্জায় কুচি কুচি আমি তুমি ভেতরে,
বেচারি চেয়ে আছে মান গেল, আহা রে!
হয়নি কথা ঐদিন আর তাকিয়ে তাকিয়ে,
দেখে নিলাম তাকে আবার চোখটা বাঁকিয়ে।
সেদিন ছিলাম দাঁড়িয়ে, ছাতা হাতে বৃষ্টিতে,
প্রতীক্ষার অবসান তার ডাকে দৃষ্টিতে।
সে থেকে দুজনার পথচলা একসাথে,
আলাপ চলে অবসর দিন কি রাতে।
দেখা হত মাঝে মাঝে নির্জন প্রান্তরে,
কথা হত চোখে মুখে নাড়া দিত অন্তরে।


--------------------- অসমাপ্ত।।।
শীঘ্রই আসছে বাকি টুকু।

ব্যর্থ আত্মহনন

নীল স্বপ্নজালে, মিথ্যে প্রেমে ফেলে,
মনটা কেন কেড়ে নিলে?
হয়েতে তোমার প্রেমে দিওয়ানা,
মা-বাবার প্রস্তাবে মন মানেনা,
তাই চিন্তা করলাম সব সাঙ্গ করে-
প্রেমেতে হব বলি তোমার তরে;
এই ভেবে সিলিং এ ঝুলতে গেলাম,
পুরাতন সিলিং ভেঙে প্যাঁড়া খেলাম,
ও মা, মা, কোমর ভেঙে গেল!
পাড়া পড়শির উপহাস কে দেখে?
বাবা-মা ও তাকায় আজ বেঁকে বেঁকে।


--------------------- অসমাপ্ত।।।
শীঘ্রই আসছে বাকি টুকু।

অতঃপর কাব্যনারী

ক্যানবাসে নয়, তুই বাস্তবে সুদর্শনা
অন্বেষণের পর বুঝেছি-
তুই ই তোর উপমা।
তোর অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে,
নিমিষে উতলা হয়ে- যাই হারিয়ে।
বিধাতা তোকে গড়ল- হয়ে অকৃপণ,
প্রকৃতি তাই সেজেছে নিয়ে- তোর রূপ রং।
গোলাভরা সোনালী-ফসল-হাসি
জুড়ে আছে তোর মুখখানি,
তোকে দেখে তাই ঈর্ষা করে-
কল্পলোকের রাণী।
পুষ্পে-পুষ্পে সুশোভিত তোর স্নিগ্ধতা,
তোকে দেখে পূর্ণ হয় সহস্র কবিতা।

তুমি আমি ছিলাম যখন দূরে,
ভালবাসা এসে মনে উকি মারে,
অজানা ঠিকানায় দেই প্রেমের বিজ্ঞাপন,
বার্তা গিয়ে খোঁজ পায় তোমার- মনের স্টেশন।


--------------------- অসমাপ্ত।।।
শীঘ্রই আসছে বাকি টুকু।

তুমি আমি একাকার

তুমি আমার কবিতার ছন্দে,
কবিতার শুরুতে কিংবা অন্তে,
আমার প্রতিটি সংগীতে,
গানের কলিতে, হৃদয়ে ও তুমি।
আমার প্রতিটি প্রার্থনা বাক্যে,
অভিধানের শব্দ হয়ে কন্ঠে,
কাব্যের শিরোনামে কিংবা মধ্যে,
সাহিত্যের ভুবনেও-
শুধু যে তুমি।
তোমার মিষ্টতায় হই একাকার,
শিরায় উপশিরায় মিশেছ আমার।
তুমি ছাড়া জগত নির্বাক তাই,
মনের ভাব মিটাতে তোমায় আগে পাই;
হৃদয়ের ক্ষুতপিপাসা মিটে-
আমার আষ্টেপৃষ্ঠে।
সকল উপমার ঊর্ধ্বে রাখা,
তুমিই আমার মাতৃভাষা।।

Friday 2 September 2016

বিদায়

ছোট্ট সোনা আর কাঁদবেনা,
আলতো করে হাত দিবেনা,
মিটমিটিয়ে চেয়ে হাসবে ও না;
কোলে বুঝলাম নাহি আসবে!
একা ঘরে কী করে থাকবে?
তাইতো তোকে দিলাম তাড়িয়ে
সাঙ্গ করে সব- সাদা শাড়ি পড়িয়ে;
খুঁজব তোকে সকাল-সন্ধ্যায়-
আকাশগঙ্গায় কিবা ক্লেশহীন তন্দ্রায়।
স্মৃতির পাতায় থাকবে তোর ছায়ামূর্তি-
স্বর্গোদ্যান মেতে থাক- করে ফূর্তি।

Thursday 1 September 2016

আলো আসবে

আজকাল বড্ড বেশী হাসি,
জীবন যুদ্ধে জয়-পরাজয়
তাই কি আমি ভাবি?
চোখ থাকতে যে বলে- কালো অন্ধকার!
বুঝিনা, সে কি ভুলে গেছে
আলো আসবে আবার!

Friday 30 December 2016

অর্থের অনুদ্রিলা

অর্থের আকাশে মেঘেরা উড়ে আয়,
পাখিরা গান করে সবুজের শ্যামলিমায়;
         ভ্রমরা মধু পানে-
                    ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়ায়।
        মৃদুমন্দ বাতাসে-
                   পুষ্পেরা সুবাস ছড়ায়।
চারপাশে ছেয়ে যায় মৌ মৌ গন্ধ,
       প্রকৃতিও খুঁজে তাই প্রণয়-ছন্দ।
রাখালিয়া বাজে বাঁশি-
                 বনের ঐ ধারেতে;
কলসি কাঁধে গাঁয়ের বধূ,
                তরুণীও যায় পানিতে।
ফুলে ফুলে আজ সুশোভিত,
             অনুদ্রিলার ছোট্ট কানন।
কাটাবিহীন সব কলি তুলতে,
              অর্থের নেইকো বারণ।
          তাই, আজ সে দিয়েছে
                      সাদা পাঞ্জাবি গায়;
অনুদ্রিলাও হেঁটে আসে
                  আলতা রাঙা পায়।
অপ্সরী নৃত্য করে-
              শুনে দেবালয়ের ঘণ্টে;
কোকিলের কুহুকুহু তখন-
              দুজনার কণ্ঠে।
                   সময়ের পরিক্রমায়
                       আজো যে একত্রিশ
           মাসের পালাক্রমে,
                 হয়নি যে উনিশ-বিশ।
এ যেন তারুণ্যতে- শুরু শৈশব,
       এ বুঝি বিরহ-প্রণয়-অনুভব,
দেখা করে দুজনা রেখে দিয়ে সব।
[উৎসর্গ- অর্থ + অনুদ্রিলা]

Wednesday 7 September 2016

জীবনরথ

কেউ আর অাসবেনা,বসবেনা,
বলবে না- আয় চল।
হাওরের পানিতে নাও ভাসাবো-
সাঁতার কাটব, দেখব জল।।
জীবন মানে দস্যিপনা-
তোকে নিয়ে আঁকব আলপনা;
নাছোড়বান্দা ওরে পাগল,
তুই, ঘুড়ি উড়াবেনা? (ঐ)
টেবিল কোণে তোর ডায়রিতে,
দেখতে লাগে জং ধরেছে,
মালিকহীন ডায়রিটা ও আর-
আগ বাড়ায় না, রে পাগলা,
আগ বাড়ায় না।
ঘরে এসে তোর নামে কেউ
নালিশ করে না,
আজ আর নালিশ করে না।
তুই নাকি দস্যি ছেলে-
তাও বলে না।
কেন জানি নিজেকে বড় একা লাগে,
জানি তুই তো আছিস পাশে;
জানি সামনে বাকি অনেক পথ,
পাড়ি দিতে হবে চরে জীবনরথ;
দুঃখ-সুখের কত কথা-
তোকে বলা হবে না।।
অভিমানে তোর লালটুকটুকে মুখ-
দেখতে পাব না।।
অামি নতুনের মতো-
সবসময় বাঁচতে চাই,
সময়ের ব্যবধানে তাই কেউ আসে-
কেউ অাবার চলে যায়।
যা চলছে অনাদিকাল থেকে হরদম,
প্রকৃতির মতো অামি করে যাই সব হজম,
হয়ে যাই হরণ; হই কি বল, স্মরণ?

Monday 5 September 2016

ধোঁয়াশা

সেলফোন হাতে বসে আছি একা-
দেখা হয়নি, তবু বেড়েছে মনের স্পন্দন,
দেখা হবে বলে বলে হয়নিকো দেখা,
হয়নি তো এ দু মনের সেতুবন্ধন।
হঠাত এক অজানা ঝরে-
একই ছাদের নিচে দুজনার-
চোখে চোখ পড়ে।
লজ্জায় কুচি কুচি আমি তুমি ভেতরে,
বেচারি চেয়ে আছে মান গেল, আহা রে!
হয়নি কথা ঐদিন আর তাকিয়ে তাকিয়ে,
দেখে নিলাম তাকে আবার চোখটা বাঁকিয়ে।
সেদিন ছিলাম দাঁড়িয়ে, ছাতা হাতে বৃষ্টিতে,
প্রতীক্ষার অবসান তার ডাকে দৃষ্টিতে।
সে থেকে দুজনার পথচলা একসাথে,
আলাপ চলে অবসর দিন কি রাতে।
দেখা হত মাঝে মাঝে নির্জন প্রান্তরে,
কথা হত চোখে মুখে নাড়া দিত অন্তরে।


--------------------- অসমাপ্ত।।।
শীঘ্রই আসছে বাকি টুকু।

ব্যর্থ আত্মহনন

নীল স্বপ্নজালে, মিথ্যে প্রেমে ফেলে,
মনটা কেন কেড়ে নিলে?
হয়েতে তোমার প্রেমে দিওয়ানা,
মা-বাবার প্রস্তাবে মন মানেনা,
তাই চিন্তা করলাম সব সাঙ্গ করে-
প্রেমেতে হব বলি তোমার তরে;
এই ভেবে সিলিং এ ঝুলতে গেলাম,
পুরাতন সিলিং ভেঙে প্যাঁড়া খেলাম,
ও মা, মা, কোমর ভেঙে গেল!
পাড়া পড়শির উপহাস কে দেখে?
বাবা-মা ও তাকায় আজ বেঁকে বেঁকে।


--------------------- অসমাপ্ত।।।
শীঘ্রই আসছে বাকি টুকু।

অতঃপর কাব্যনারী

ক্যানবাসে নয়, তুই বাস্তবে সুদর্শনা
অন্বেষণের পর বুঝেছি-
তুই ই তোর উপমা।
তোর অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে,
নিমিষে উতলা হয়ে- যাই হারিয়ে।
বিধাতা তোকে গড়ল- হয়ে অকৃপণ,
প্রকৃতি তাই সেজেছে নিয়ে- তোর রূপ রং।
গোলাভরা সোনালী-ফসল-হাসি
জুড়ে আছে তোর মুখখানি,
তোকে দেখে তাই ঈর্ষা করে-
কল্পলোকের রাণী।
পুষ্পে-পুষ্পে সুশোভিত তোর স্নিগ্ধতা,
তোকে দেখে পূর্ণ হয় সহস্র কবিতা।

তুমি আমি ছিলাম যখন দূরে,
ভালবাসা এসে মনে উকি মারে,
অজানা ঠিকানায় দেই প্রেমের বিজ্ঞাপন,
বার্তা গিয়ে খোঁজ পায় তোমার- মনের স্টেশন।


--------------------- অসমাপ্ত।।।
শীঘ্রই আসছে বাকি টুকু।

তুমি আমি একাকার

তুমি আমার কবিতার ছন্দে,
কবিতার শুরুতে কিংবা অন্তে,
আমার প্রতিটি সংগীতে,
গানের কলিতে, হৃদয়ে ও তুমি।
আমার প্রতিটি প্রার্থনা বাক্যে,
অভিধানের শব্দ হয়ে কন্ঠে,
কাব্যের শিরোনামে কিংবা মধ্যে,
সাহিত্যের ভুবনেও-
শুধু যে তুমি।
তোমার মিষ্টতায় হই একাকার,
শিরায় উপশিরায় মিশেছ আমার।
তুমি ছাড়া জগত নির্বাক তাই,
মনের ভাব মিটাতে তোমায় আগে পাই;
হৃদয়ের ক্ষুতপিপাসা মিটে-
আমার আষ্টেপৃষ্ঠে।
সকল উপমার ঊর্ধ্বে রাখা,
তুমিই আমার মাতৃভাষা।।

Friday 2 September 2016

বিদায়

ছোট্ট সোনা আর কাঁদবেনা,
আলতো করে হাত দিবেনা,
মিটমিটিয়ে চেয়ে হাসবে ও না;
কোলে বুঝলাম নাহি আসবে!
একা ঘরে কী করে থাকবে?
তাইতো তোকে দিলাম তাড়িয়ে
সাঙ্গ করে সব- সাদা শাড়ি পড়িয়ে;
খুঁজব তোকে সকাল-সন্ধ্যায়-
আকাশগঙ্গায় কিবা ক্লেশহীন তন্দ্রায়।
স্মৃতির পাতায় থাকবে তোর ছায়ামূর্তি-
স্বর্গোদ্যান মেতে থাক- করে ফূর্তি।

Thursday 1 September 2016

আলো আসবে

আজকাল বড্ড বেশী হাসি,
জীবন যুদ্ধে জয়-পরাজয়
তাই কি আমি ভাবি?
চোখ থাকতে যে বলে- কালো অন্ধকার!
বুঝিনা, সে কি ভুলে গেছে
আলো আসবে আবার!